Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




তৃতীয় বিশ্বে পঞ্চসপ্তমীর প্রভাব

PENTECOSTALISM IN THE THIRD WORLD
(Bengali)

লেখক: ডঃ খ্রীষ্টোফার এল. কেগান
by Dr. Christopher L. Cagan

2021 সালের, 21শে নভেম্বর, প্রভুর দিনের মধ্যাহ্নে লস্‍ এঞ্জেল্‌সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যা‌ক্‌ল মন্ডলীতে দেওয়া একটি শিক্ষা
A lesson taught at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Afternoon, November 21, 2021

শিক্ষাদানের আগে গাওয়া সঙ্গীত: “হালেল্লুইয়া, কি পরিত্রাতা!” (লেখক ফিলিপ পি. ব্লিস্‌, 1838-1876)|

“যীশু তাঁহাকে বলিলেন, আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না” (যোহন 14:6; পৃ. 1135 স্কোফিল্ড)|


খ্রীষ্ট বলেছেন যে ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার তিনিই একমাত্র পথ| পরিত্রাণে যীশুই চরম অপরিহার্য্য| তাঁর মাধ্যমে ছাড়া কেউই পিতার কাছে আসতে পারেন না| হিন্দু দেবদেবী অথবা বুদ্ধের মাধ্যমে আপনি ঈশ্বরের কাছে আসতে পারেন না| আপনার নিজের উত্তম কাজের দ্বারা আপনাকে উদ্ধার করা যাবে না| এমনকী পবিত্র আত্মার দ্বারাও আপনি উদ্ধার পেতে পারেন না - কিন্তু শুধু যীশুর দ্বারা! প্রেরিত পিতর এই একই বিষয় বলেছেন,

“আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই; কেননা আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে” (প্রেরিত 4:12; পৃ. 1153)|

যীশুকে বিশ্বাস করা ছাড়া কেউ স্বর্গে যেতে পারে না| তিনি এবং একমাত্র তিনিই হলেন ঈশ্বরের নিষ্কলঙ্ক পুত্র যিনি আমাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, আমাদের পাপ ধুয়ে দেওয়ার জন্য তাঁর রক্ত ঝরিয়েছিলেন, এবং আমাদের জীবন দান করার জন্য মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| এটি কোন ছোট্ট ঘটনা নয়| এটি হ’ল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর মৌলিক ধর্মতত্ত্ব, যা যুগ যুগ ধরে প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ বিশ্বাস করে আসছেন| দুঃখজনকভাবে, এটি পেন্টিকোস্টালদের দ্বারা আন্তরিকভাবে গ্রহণ করা হয় না যারা তৃতীয় বিশ্বের “খ্রীষ্টিয়” ধর্মকে দমন করে রেখেছে| হ্যাঁ, সেখানে কিছু মন্ডলী রয়েছে যেগুলি পেন্টিকোস্টাল নয়, কিন্তু সেগুলির সংখ্যা কম এবং তাদের খোঁজ পাওয়া দুষ্কর| সেখানে খ্রীষ্ট ধর্মের প্রধান শাখা পেন্টিকোস্টাল সংক্রান্ত মতবাদ থেকে অনেক দূরে| এই সমস্ত মন্ডলীগুলি কি প্রচার করে? তারা কি করে?

মিশনের কাজে আমি ভারতে এবং আফ্রিকার তিনটি দেশে গিয়েছিলাম| যেমন আমি বলেছি, সেখানকার প্রায় সব কয়টি মন্ডলীই পেন্টিকোস্টাল| যে কয়টি নয় সেগুলি খুব ছোট ও শান্ত| কেউই তাদের সম্বন্ধে কোন কথা বলে না| খ্রীষ্টধর্ম হিসাবে যা ধরা হয় তার প্রায় সবই হ’ল পেন্টিকোস্টাল| কিন্তু এই সমস্ত লোকদের মধ্যে খুব কম লোকই মন পরিবর্তন করেছেন| আমি কি দেখেছি আসুন আপনাদের বলছি|

এই সমস্ত মন্ডলীগুলিতে আমি যীশুর সম্বন্ধে এবং সুসমাচারের খুব সামান্যই উল্লেখ শুনতে পেয়েছি| এর পরিবর্তে, প্রচারক হয়ে উঠেছেন একজন “ম্যাজিক ম্যান” যিনি লোকদের আশীর্ব্বাদ করছেন, ঠিক যেমন একজন ওঝা আফ্রিকাতে করে থাকেন এবং ভারতে একজন গুরু করেন| একটি ছোট মন্ডলীর পালক নিজেকে একজন পালক বা একজন প্রচারক বলে উল্লেখ করেন| যদি তিনি একটি বৃহত্তর মন্ডলী বা মিনিস্ট্রি পরিচালনা করেন, তিনি প্রায়শই নিজেকে “বিশপ” বলে উল্লেখ করেন| যদি তিনি সত্যিই সাফল্য অর্জন করেন, তিনি “প্রেরিত” তে পরিণত হন| এই সমস্ত প্রচারকদের মধ্যে কয়েকজনের কিছু জাদুকরী ক্ষমতা রয়েছে বলেও অনুমান করা হয়। এমনকী দরিদ্র দেশেও, তাদের মধ্যে কেউ কেউ বেশ ধনী।

সমৃদ্ধ প্রচারকগণ মনোযোগ আকর্ষণ করেন| আমি বড় বিলবোর্ডে তাদের জন্য দেওয়া বিজ্ঞাপন দেখেছি| তারা টেলিভিশনে অনুষ্ঠান করেন| ভারতে টেলিভিশনে এই লোকদের একজন শ্রীবৃদ্ধির উপরে একটি দীর্ঘ প্রচার করেছিলেন| সবশেষে তিনি বলেছিলেন যে আপনি এই ধন-সম্পদগুলি পেতে পারবেন না যদি না আপনি পরিত্রাণ পান| এরপরে তিনি লোকদের একটি পাপীর প্রার্থনা করতে বলেছিলেন যাতে তাদের উদ্ধার করা যায়| কিন্তু লোকেরা তাদের পাপের মার্জনা পাওয়ার জন্য সেই প্রার্থনা করেননি| তারা এটি করেছিলেন ধন-সম্পদ অর্জনের দলে প্রবেশের একটি টিকেট হিসাবে| ধনসম্পদ পাওয়ার একটি প্রবেশপথ হিসাবে তারা যীশুকে “বিশ্বাস” করেছিলেন|

কোন কোন সময় আমি বলি, “অর্থ হ’ল সর্বজনীন ভাষা যা প্রত্যেকে বুঝতে পারেন|” পঞ্চসপ্তমীর প্রচারকদের কাছে এটি নিশ্চিতভাবে সত্য! তারা হয়তো সুসমাচার প্রচার করেন না, কিন্তু অর্থের বিষয়টি অবশ্যই বোঝেন! একটি সভায়, একজন প্রচারক লোকদের তাদের হাত উঁচু করতে এবং উচ্চস্বরে বলতে বলেছিলেন যে, “আমি ধনী| আমি ধনী|” কিন্তু একমাত্র একজন যিনি ধনসম্পদ পেয়েছিলেন তিনি হলেন সেই প্রচারক| শ্রীবৃদ্ধির তত্ত্ব কাজ করে না| এটি একটি কৌশল মাত্র!

আমি একটা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করছি| ধনসম্পদের বিষয়টি কেন দেশের গরীব লোকদের কাছে, গ্রামে এবং খামারে প্রচার করা হয় না? সেখানকার লোকদের কি অর্থের প্রয়োজন নেই? কিন্তু আমি কখনও গ্রামাঞ্চলে একজন প্রাচুর্য্য প্রচারককে দেখিনি| কেন দেখিনি? কেননা ঐসব প্রচারকদের একজনকে তাদের ইচ্ছানুসার জীবনযাপনে সহায়তা দান করার মতন অর্থ সেখানকার গরীব লোকদের কাছে নেই! তার শৌখিন গাড়ি, বিমান ভ্রমণ, তার বিশাল বাড়ি, তার স্ত্রীর জন্য নতুন নতুন পোষাক, এবং টেলিভিশনের সময়ের জন্য দেওয়ার মতন অর্থ তাদের কাছে নেই| কাজেই গরীব মানুষদের নিয়ে প্রচারক মাথা ঘামান না| তিনি জানেন যে এমনকী যদি তারা তার কথা শোনেন তাহলেও তারা ধনী হবেন না| তিনি জানেন যে তারা তাকে বেশি কিছু দিতে পারবেন না| আমি একমাত্র শহরগুলিতেই প্রাচুর্য্য প্রচারকদের দেখেছি যেখানে অর্থ সংগ্রহ করতে পারা যাবে| শিয়াল সেখানে যায় না যেখানে কোন মুরগি নেই!

কিন্তু এইগুলিই সব নয় যা আমি দেখেছি| একজন প্রচারকের স্পর্শ পাওয়ার জন্য আমি লোকদের সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি| তারপরে তারা মাটিতে পড়ে যায় এবং অচেতন অবস্থাতে কয়েক মিনিটের জন্য শুয়ে থাকে, কোন সময় শরীর মোচড়ায় বা শরীর ঝাঁকায়| একে বলা হয়েছে “আত্মায় বধ|” কিন্তু পবিত্র আত্মা তাদের জন্য কিছুই করেননি| প্রচারক তাদের স্পর্শ করার আগেই, লোকেরা তাদের হাঁটু ভাঁজ করে দেন, পিছনের দিকে হেলে যান, এবং তাদের মাথা পেছন দিকে ঠেলে দেন| প্রচারক দের কপালে নিজের হাত রাখেন এবং আস্তে করে তাদের পিছনের দিকে ঠেলে দেন| যদি এটা প্রকৃতই হত, তাহলে তারা পা ভাঁজ করুন বা না করুন পবিত্র আত্মা তাদের সাথে এরকম করতেন! খুব বেশি হলে - এটা ছিল একটা জালিয়াতি| খুব মন্দভাবে এটা ছিল পৈশাচিক|

ভারতে একদিন একজন লোক আমার কাছে ছুটতে ছুটতে আসেন এবং আমার পা জড়িয়ে ধরেন| আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে কেন তিনি এরকম করেছেন| একজন অনুবাদকের মাধ্যমে, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন যে, আমাকে স্পর্শ করে তিনি আমার মাধ্যমে পরিত্রাণ পেতে চান| আমি তাকে বলেছিলাম যে আমি তাকে পরিত্রাণ দিতে পারব না| আমি শুধু একজন মানুষ, ঠিক তার মতনই একজন পাপী মানুষ| আমি তাকে বলেছিলাম যে সেখানে আমার থেকে আরও বড় মাপের একজন মানুষ রয়েছেন যিনি আমার নতুন বন্ধুকে পরিত্রাণ দেবেন যদি তিনি তাঁর কাছে আসেন এবং তাঁকে বিশ্বাস করেন| সেই মানুষটির নাম হ’ল যীশু| আমি তাকে যীশুর সম্বন্ধে বলেছিলাম যে, তিনি কে এবং তিনি কি করেছিলেন| তারপরে আমি এই হতভাগ্য ভারতীয় মানুষটিকে খ্রীষ্টে পরিচালনা করেছিলাম| তিনি যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন| এক মাস পরে এই মানুষটি মারা যান এবং স্বর্গে গমন করেন|

ভারতে অনেক পেন্টিকোস্টাল প্রচারকই একজন গুরুর ভূমিকায়, একজন আধ্যাত্মিক “প্রভু” হিসাবে অবতীর্ণ হয়েছেন যিনি একজনকে উৎসাহ দিচ্ছেন এবং তার শিষ্যে উন্নীত করছেন| আমি এটা বার বার দেখেছি| প্রচারের পরে লোকেরা তাদের অনুরোধ – আরোগ্য, অর্থ, বা অন্য কিছু সম্বন্ধে বলার জন্যে প্রচারকের (বা আমার!) দিকে এগিয়ে আসেন| তারা তাদের হাতজোড় করে এবং হাঁটু গেড়ে যেমন তারা একজন হিন্দু গুরুর সামনে করেন তেমনি করবেন| তারা আমাকে বলেন তাদের কপালে আমার হাত রাখতে এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করতে| যখন তারা কথা বলেন, তখন একজন খ্রীষ্টান প্রচারকদের জন্য তারা সেই একই শব্দ ব্যবহার করেন যেমন তারা একজন গুরুর জন্য ব্যবহার করতেন| তারা বলেন “অবতার” – উচ্চারণ করেন সেই একইভাবে যেমন উভয় প্রকারের মানুষ করেন| এই সমস্ত মানুষদের কাছে, প্রচার গুরুত্বপূর্ণ নয়| গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পরবর্তীতে কি আসছে – প্রচারকের স্পর্শ থেকে লোকেরা কোন আশীর্ব্বাদ পাচ্ছেন|

ভারত এবং আফ্রিকাতে আমি কখনো শুনিনি ঐতিহ্যগত গান গাইতে| আমি ভাষা জানি না, কিন্তু আমি সুর চিনতে পারি! অপেক্ষাকৃত বড় মন্ডলীতে আমি রক্‌ মিউজিক গাইতে শুনেছি, ঠিক যেমন আমেরিকায় মন্ডলীগুলিতে হয়| আমি প্রায়ই লোকদের সমবেত স্বরে গান গাইতে শুনেছি| ভারতে একটি গরীব মন্ডলীতে ইলেকট্রিক গীটার সহ রক ব্যান্ড এবং বড় লাউডস্পিকার বাজানোর মতন অর্থ নেই| কিন্তু তাদের একটি ড্রাম থাকে| কুড়ি মিনিট ধরে আমি লোকদের বারে বারে “Yesaya” (ইয়েসায়া) গাইতে শুনেছিলাম যখন তার সাথে ড্রাম বাজানো হচ্ছিল| আমার মনে হচ্ছিল একটি হাতি যেন রাস্তা ধরে তালে তালে ধীর পদক্ষেপে হাঁটছে – সেইভাবেই ড্রাম বাজানো হচ্ছিল| “Yesaya” (ইয়েসায়া) হল যীশুর জন্য তাদের দেওয়া নাম| কিন্তু মন্ত্র উচ্চারণের মতন করে নাম গান করা হচ্ছিল, প্রশংসার গানের মতন নয়|

যদিও হয়ত যীশুর উল্লেখ করা হতে পারে, কিন্তু এইসব মন্ডলীগুলির কেন্দ্রে খ্রীষ্ট এবং তাঁর সুসমাচার নেই| কেন্দ্রে রয়েছে অন্যান্য সব জিনিস – পবিত্র আত্মা, একজন প্রচারকের স্পর্শ, প্রাচুর্য্য - কিন্তু পাপের দেনা শোধ করতে রক্তাক্ত যীশু ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করছেন তার উল্লেখ বাদে যেকোন কিছু|

আফ্রিকায় একটি সভায় প্রচারের আগে এক ঘন্টা ধরে আমি বাজনা শুনেছিলাম, যার সাথে লোকেরা মঞ্চের উপরে ও সামনে নাচছিলেন| গান শেষ হলে পালক আমার কাছে এসে বলেছিলেন এখানে কিছু লোক আছেন যারা নতুন জন্ম পেতে চাইছেন| কিন্তু তারা সুসমাচার শোনেননি! কোন “নতুন জন্ম” তারা গ্রহণ করবেন? আমি পালককে বলেছিলাম আমি এমন একজনকেও পরামর্শ দান করব না যারা এখনও সুসমাচার শোনেননি| তিনি আশ্চর্য্য হয়ে গেলেন! প্রচারের পরে আমি লোকদের পরামর্শ দিয়েছিলাম এবং তাদের খ্রীষ্টে আনার চেষ্টা করেছিলাম|

সেখানে এরা ছিলেন “সবচেয়ে খারাপ” লোক যাদের মনপরিবর্তিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি ছিল। আমি শুনেছি যে কিছু পুরুষ ও মহিলা জাদুবিদ্যায় জড়িত ছিলেন। ধর্মোপদেশের পর আমি পালককে তাদের জন্য একটি বিশেষ আমন্ত্রণ দিতে বলেছিলাম, যা পালক এড়িয়ে গিয়েছিলেন। আমার চতুর্থবারের পীড়াপীড়িতে তিনি শেষ পর্যন্ত ইংরেজিতে আমন্ত্রণপত্র দেন এবং স্থানীয় ভাষায় এর পুনরাবৃত্তি করেন। ছয় বা সাতজন লোক এসেছিলেন। তারা জানতেন যে তারা ভুল করেছেন। তারা আগে থেকেই নিজেদের ইতিমধ্যেই খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলে মনে করেননি। তারা জানতেন যে তারা সমস্যায় পড়েছেন। আমি তাদের পরামর্শ দিযেছিলাম এবং তাদের পৈশাচিক সম্পৃক্ততার সাথে মোকাবিলা করেছিলাম। তারপর আমি সুসমাচার পেশ করেছিলাম এবং তাদেরকে খ্রীষ্টে পরিচালনা করেছিলাম।

পেন্টিকোস্টালিজম এর মধ্যে সেখানে প্রচুর পরিমাণে আবেগ কাজ করে, কিন্তু পরিত্রাণ খুবই কম হয়| আপনি বছরের পর বছর ধরে, কয়েক দশক ধরে, আপনার সারা জীবন ধরে, আপনার মন পরিবর্তন না করেই থেকে যেতে পারেন| একজন হিন্দু বা একজন পরজাতীয় যেমন নরকে যান ঠিক সেইভাবেই একজন পেন্টিকোস্টাল হিসাবে আপনি নরকে যেতে পারেন|

কোন বিষয়টি আদর্শগত খ্রীষ্টধর্ম থেকে পেন্টিকোস্টাল মন্ডলীগুলিকে পৃথক করে রাখে? একটি আদর্শগত প্রোটেস্টান্ট মন্ডলীতে, সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা ঘটে তা হল ধর্ম্মোপদেশ| পালক ঈশ্বরের বাক্য প্রচার করেন| সুসমাচার উপস্থিত করা হয়|

একটি পেন্টিকোস্টাল মন্ডলীতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি হল আবেগ ও অভিজ্ঞতা| লোক গানবাজনার দ্বারা উত্তেজিত হন| শেষে তারা পালকের থেকে একটি প্রার্থনা পেতে পারেন| তারা ধনসম্পদের একটি পথ আশা করতে পারেন| কোন কোন সময়ে তারা “আত্মা” দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং পড়ে যান| কিন্তু এইগুলি সবই হল অনুভূতি| সেটা পরিত্রাণ নয়! সর্ব্বোত্তমভাবে এটা হল সময়ের অপচয়, এবং সবচেয়ে খারাপভাবে ভৌতিক|

কেউ হয়ত ভাবতে পারেন, “এই সমস্ত আপনি তৃতীয় বিশ্বে দেখেছেন| আমরা এখানে আমেরিকাতে অপেক্ষাকৃত ভাল আছি|” না, না! এখানেই বা কি পার্থক্য রয়েছে? মোটের উপর, আমাদের দেশের পাগল পেন্টিকোস্টালদের থেকেই তৃতীয় বিশ্বের পেন্টিকোস্টালগণ পাগলামীর শিক্ষা পেয়েছেন|

বেশ কয়েক বছর আগে জ্যাক নগান্‌ন এবং আমি একটি পেন্টিকোস্টাল সভা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম| এটা একটা উদ্দীপনা সভা হবে বলে জানা ছিল| উচ্চরবে রক্‌ মিউজিক দিয়ে এটি শুরু হয়েছিল| শেষ পর্য্যন্ত সেখানে একজন পুরুষ ও একজন মহিলা এসে ছাদ থেকে ঝোলানো একটি দড়িতে ঝুলে ট্র্যাপিজ খেলোয়ারদের মতন সামনে পিছনে দোল খেতে খেতে গান গেয়েছিলেন| দোল খেতে খেতে যখন তারা প্রকৃতই অনেক উঁচুতে চলে যাচ্ছিলেন, তখন খুব বড় বড় অক্ষরে লেখা উদ্দীপনা! শব্দটি একটি পর্দায় ফুটে উঠছিল| অবশ্যই সেটা আদৌ উদ্দীপনা ছিল না! কিন্তু লোকেরা হাততালি দিয়ে বাহবা দিচ্ছিলেন| তারপরে কয়েকজন পালক বক্তব্য রেখেছিলেন| এক ঘন্টার প্রচারে, মাত্র একবার যীশুর উল্লেখ করা হয়েছিল| সুসমাচার উল্লিখিত হয়নি| আমার মনে আছে একজন পরিদর্শনকারী পালক অ্যারিজোনা থেকে এসেছিলেন যিনি বলেছিলেন যে তার লোকেরা “অগ্নি সুড়ঙ্গ” এর মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন| আমি স্মরণ করছি এই চিন্তা করে যে, “বাইবেলে কোন অগ্নি সুড়ঙ্গ নেই|” কিন্তু যা ঘটেছিল সেই সমস্ত মহান জিনিসের বিষয়ে তারা খুবই উত্তেজিত হয়েছিলেন! শেষে সেই পরিচালক পালক লোকদের বলেন যে যদি তারা প্রার্থনা করতে চান, তাহলে তারা মঞ্চে উঠে আসতে পারেন| লোকেরা মঞ্চে উঠেছিলেন এবং পালকগন তাদের উপরে হাত রেখেছিলেন এবং তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন| লোকেরা চিৎকার করে পড়ে যাচ্ছিলেন, শরীরে মোচড় এবং ঝাঁকুনি দিচ্ছিলেন| পালকদের মধ্যে একজন চিৎকার করে কাউকে বলেছিলেন, “ধরে রাখ!” এরা হলেন সেইসব মানুষজন যারা পড়ে যাওয়া লোকদের ধরার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুত হয়ে থাকেন| এটা পুরোটাই পরিকল্পিত ছিল! অবশেষে রাত ঠিক 9:30 মিনিটে সভা শেষ হল| আপনি দেখুন, ঘরটি ভাড়া করা হয়েছিল এবং সভা রাত 9:30 মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে বলে ঠিক ছিল| অতএব, ভাড়া করা “পবিত্র আত্মা” ঠিক 9:30 মিনিটে ঘর ছেড়ে চলে গেলেন| লোকজন সেইভাবেই স্থানত্যাগ করলেন, ঠিক যেভাবে তারা প্রবেশ করেছিলেন, শুধু তারা আরও বেশি করে ভৌতিকভাবে প্রভাবিত হয়ে পড়লেন| সেখানে “উদ্দীপনা” হবে বলে মনে হয়েছিল, কিন্তু সেটা হয়নি|

তবে প্রত্যেকটি পেন্টিকোস্টাল বা ক্যারিসমেটিক মন্ডলী এতটা উগ্র নয়| কিন্তু বৈশিষ্ট্য একই – সুসমাচার নয় কিন্তু চিত্তবিনোদন ও রোমাঞ্চ| আমেরিকায় অনেক মন্ডলী, সুসমাচার এর খুব একটা উল্লেখ করে না এবং প্রায় কখনোই প্রচার করে না| তাদের জন্য, যীশু হলেন একজন সাহায্যকারী যিনি সহজেই স্বর্গে যাওয়ার টিকিট দেন যখন তিনি তাদের সম্পর্কের মধ্যে লোকদের পরিচালনা করেন| তাঁর প্রধান কাজ পাপের ক্ষমা করা নয় কিন্তু লোকদের সুখী করানো| পেন্টিকোস্টাল মন্ডলীগুলি অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা প্রদান করে| লোকদের উত্তেজিত করার জন্য তারা ওয়াইল্ড রক্‌ মিউজিক শোনায়! পেন্টিকোস্টালগুলি ভাষা, ধন-সম্পদ, এবং আরোগ্যের আশা প্রদান করে| কিন্তু তারা ক্রুশের খ্রীষ্টকে প্রদান করে না|

এর উত্তর কি? যীশু খ্রীষ্ট এর উত্তর দিয়েছেন,

“আমিই পথ ও সত্য ও জীবন; আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকটে আইসে না” (যোহন 14:6)|

পালক, নিশ্চিত হন যে আপনি নিজে যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন| তারপরে যীশু খ্রীষ্টের প্রচার করুন এবং শিক্ষা দিন! এটা স্পষ্ট করুন যে যীশু কে এবং আমাদের জন্য তিনি কি করেছেন| যত্নপূর্ব্বক সতর্কতার সাথে সুসমাচার – এবং শুধুমাত্র সুসমাচার প্রচার করুন| সান্‌ডে স্কুল এবং বাইবেল অধ্যয়ন কেন্দ্রে সুসমাচারের উপর শিক্ষাদানের সাথে এটি অনুসরণ করুন| খ্রীষ্ট এবং তাঁর পরিত্রাণকে আপনার মন্ডলীর মূল বিষয় করে তুলুন| কখনো আত্মিক বরদান এবং ধন-সম্পত্তির আশীর্ব্বাদের বিষয় মনের মধ্যে আনবেন না| মানুষ ধনী হবেন না| কিন্তু তারা কোনভাবেই ধনী হবেন না| পরভাষার বিষয়ে কখনো কিছু মনে করবেন না| পরভাষা কখনও কারও ভাল করে না| যীশু খ্রীষ্টের প্রচার করুন এবং শিক্ষা দিন!

আপনার মন্ডলীর প্রত্যেকের সাথে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলুন| মানুষ যাতে সুসমাচার বুঝতে এবং যীশুতে বিশ্বাস করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আপনার যথাসাধ্য করুন| তাহলেই তারা প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হবেন| সেটাই হবে আপনার প্রকৃত সেবাকাজ| আপনার এই কাজ করার জন্য ঈশ্বর আপনাকে আশীর্ব্বাদ করুন| যীশুর নামে, আমেন|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।