Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




প্রশ্নগুচ্ছের উত্তর

ANSWERING QUESTIONS
(Bengali)

লেখক: ডঃ আর. এল. হেইমার্‍স, জুনিয়র,
এমিরিটাস পালক
by Dr. R. L. Hymers, Jr.,
Pastor Emeritus

2020 সালের, 4ঠা অক্টোবর, প্রভুর দিনের অপরাহ্নে লস্‍ এঞ্জেল্‌সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যা‌ক্‌ল মন্ডলীতে দেওয়া একটি শিক্ষা
A lesson given at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Afternoon, October 4, 2020

শিক্ষাদানের আগে গীত সঙ্গীত:
     “সহস্র জিহ্বা যদি হয়” (চার্লস ওয়েস্‌লী, 1707-1788)|


আপনাকে যদি কোন কোন লোক একটি প্রশ্ন করেন আপনি কি অসন্তুষ্ট হবেন? নিশ্চিতভাবে নয়| প্রেরিত পিতর বলেছিলেন,

“যে কেহ তোমাদের অন্তরস্থ প্রত্যাশার হেতু জিজ্ঞাসা করে, তাহাকে উত্তর দিতে সর্ব্বদা প্রস্তুত থাক| কিন্তু মৃদুতা ও ভয় সহকারে উত্তর দিও, সৎসংবেদ রক্ষা কর” (I পিতর 3:15)|

সাধারণ প্রশ্নগুচ্ছ

1. আমি বাইবেল বিশ্বাস করি না |

প্রেরিত পৌল বাইবেল থেকে উদ্ধৃতি দিয়ে গ্রীকদের প্রতি বলেছিলেন যারা বাইবেল বিশ্বাস করতেন না| পৌল নিজেকে সাক্ষ্য হিসাবে দেখিয়ে তাদের উপরে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেননি| সাক্ষ্যের বিষয়ে আমাদের প্রধান কর্ত্তব্য হল প্রচার, প্রতিরোধ নয়|

+ + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + +
এখন আপনার সেল ফোনেই আমাদের ধর্ম্মোপদেশগুলি পাওয়া যাবে|
WWW.SERMONSFORTHEWORLD.COM ওয়েবসাইটে যান|
“অ্যাপ” লেখা সবুজ বোতামটি ক্লিক্‌ করুন|
যে নির্দেশগুলি আসবে সেগুলি অনুসরণ করুন|

+ + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + + +

বাইবেলের মূল প্রচার হল কিভাবে একজন ব্যক্তি অনন্ত জীবন পেতে পারে| যদি তিনি বলেন যে তিনি অনন্ত জীবনে বিশ্বাস করেন না, আপনি বলতে পারেন, “বাইবেল ঐ বিষয় সম্বন্ধে কি বলেছে তার বিষয়ে আপনি কি বুঝেছেন? এই বিষয়ের উপরে বাইবেল যে শিক্ষা দিয়েছে সেই বিষয়ে আপনি কি বুঝেছেন?”

শতকরা প্রায় 98 ভাগ সময়ে, তারা বলবেন, “দশম আজ্ঞা পালন অথবা খ্রীষ্টের উদাহরণ অনুকরণ করা|” আপনি তখন বলতে পারেন, “সেই কারণেই আমি ভীত ছিলাম| বাইবেল এর মূল বাণী না বুঝেই আপনি বাইবেল অস্বীকার করেছেন, কারণ আপনার উত্তর শুধু ভুলই নয়, এটা সার্বিক অর্থে বাইবেল যে শিক্ষা দেয় তার সম্পূর্ণ বিপরীত| এখন, আপনি কি মনে করেন না যে বাইবেল এই বিষয়ে কি শিক্ষা দিচ্ছে সেটা আমাকে আপনার সাথে শেয়ার করতে দেওয়া আরও বেশী বৌদ্ধিক প্রতিক্রিয়া হবে? তাহলে এটা অস্বীকার করবেন অথবা গ্রহণ করবেন সেই বিষয়ে আপনি একটি চতুর সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন|”

এখন আমি আপনাকে যীশুর বিষয়ে 10টি ভবিষ্যবাণী পড়ে শোনাব|

(1) বিদ্রূপ,

“আবার লোকে আমাকে খাদ্যের জন্য বিষ দিল, আমার পিপাসাকালে অম্লরস পান করাইল” (গীতসংহিতা 69:21)|

(2) অন্যদের জন্য দুঃখভোগ

“সত্য আমাদের যাতনা সকল তিনিই তুলিয়া লইয়াছেন, আমাদের ব্যাথা সকল তিনিই বহন করিয়াছেন… তিনি আমাদের অধর্ম্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন… আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার অপরাধ তাঁহার উপর বর্ত্তাইয়াছেন” (যিশাইয় 53:4-6)|

(3) অলৌকিক কাজ করা

“তৎকালে অন্ধদের চক্ষু খোলা যাইবে, আর বধিরদের কর্ণ মুক্ত হইবে” (যিশাইয় 35:5 – 713 খীষ্টপূর্ব)|

(4) বন্ধুর দ্বারা প্রতারিত

“আমার যে মিত্র আমার বিশ্বাসপাত্র ছিল, ও আমার রুটী খাইত, সে আমার বিরুদ্ধে পাদমূল উঠাইয়াছে” (গীতসংহিতা 41:9)|

(5) ত্রিশ রৌপ্য মুদ্রায় বিক্রী করা হয়েছিল

“তবে আমার বেতন দাও…অতএব তাহারা আমার বেতন বলিয়া ত্রিশ রৌপ্য মুদ্রা তৌল করিয়া দিল” (সখরিয় 11:12 – 487 খ্রীষ্টপূর্ব)|

(6) গায়ে থুথু দিয়েছিল ও বেত্রাঘাত করেছিল

“আমি প্রহারকদের প্রতি আপন পৃষ্ঠ দিলাম… অপমান ও থুথু হইতে আপনমুখ আচ্ছাদন করিলাম না” (যিশাইয় 50:6 – 712 খ্রীষ্টপূর্ব)|

(7) ক্রুশে পেরেক বিদ্ধ করেছিল

“তাহারা আমার হস্তপদ বিদ্ধ করিয়াছে” (গীতসংহিতা 22:16)|

(8) ঈশ্বর কর্ত্তৃক পরিত্যক্ত

“ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করিয়াছ?” (গীতসংহিতা 22:1)|

(9) তাঁর পুনরুত্থান

“তুমি নিজ সাধুকে ক্ষয় দেখিতে দিবে না” (গীতসংহিতা 16:10)|

(10) তাঁর প্রতি পরজাতির বৈপরীত্য

“ঐ দেখ, আমার দাস… তিনি জাতিগণের কাছে ন্যায়বিচার উপস্থিত করিবেন” (যিশাইয় 42:1 – 712 খ্রীষ্টপূর্ব)|

এইগুলি যীশুর সম্বন্ধে শুধুমাত্র 10টি ভবিষ্যবাণী| সেখানে আরও দুই হাজারেরও বেশী বিশেষ ভবিষ্যবাণী বাইবেলে রয়েছে যা ইতিমধ্যেই পরিপূর্ণ হয়েছে|

বেশ কয়েক বছর আগে ন্যাশনাল এনকোয়েরার পত্রিকা আধুনিক মুখ্য “ভাববাদীদের” দ্বারা 61টি ভবিষ্যবাণীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছিল| এইসব 61টি ভবিষ্যবানী ঐ বছরের শেষ ছয় মাসে ঘটার কথা ছিল| সেগুলি কত ভাল ফলেছিল? এটা বিশ্বাস করুন বা না করুন, 61টি ভবিষ্যবাণীর সবকয়টি তাদের হাত থেকে ফসকেছে! তারা বলেছিল যে পোপ পল অবসর নেবেন এবং রোমান ক্যাথলিক চার্চ সাধারণ মানুষের একটি কমিটির দ্বারা অধিগৃহীত হবে; বলেছিল যে জর্জ ফোরম্যান আফ্রিকায় মহম্মদ আলির সাথে এক প্রতিদ্বন্দীতায় তার হেভিওয়েট মুকুট ধরে রাখবে; এবং টেড কেনেডি রাষ্ট্রপতি পদের জন্য প্রচার করবে! আধুনিক ভবিষ্যবাণী এবং বাইবেলে যা আছে তাদের মধ্যে একমাত্র পার্থক্য হল যে, আধুনিক “ভবিষ্যবাণী” নিয়তভাবেই ভুল হয়েছে এবং বাইবেলের ভাববাদীরা অব্যর্থভাবেই সঠিক ছিলেন!

2. বিবর্তন কি সৃষ্টিকে ভুল প্রতিপন্ন করে না?

ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার বলেছেন, “আমরা যাহারা বাইবেল বিশ্বাস করি তাহারা জানি যে জগৎ হইতেছে একটি সৃষ্টি| ইহা চিরন্তন নহে যেহেতু ইহার একটি প্রারম্ভ ছিল| ইহা একটি আনন্দদায়ক সমাপতনের ধারাবাহিকতার ফল নহে যেখানে মানানসই অংশগুলির সংখ্যা ঘটনাক্রমে একে অপরকে খুঁজিয়া পাইয়াছে, যথাস্থানে পতিত হইয়াছে, এবং গুঞ্জন করিতে শুরু করিয়াছে| উহা বিশ্বাস করিতে কিছু ব্যক্তির সহজে বিশ্বাসে আকৃষ্ট হইবার প্রয়োজন আছে|”

একজন যুবককে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “কোন প্রামাণিক তথ্য আপনাকে দৃঢ় প্রত্যয় দিয়েছিল যে বিবর্তন সত্য?” তিনি উত্তর করেছিলেন, “পশু ও মানুষের মধ্যে সাদৃশ্য| আমার কাছে, সেটাই বিবর্তন প্রমাণ করেছে|”

1950 সালে জেম্‌স ওয়াটসন এবং ফ্রান্‌সিস ক্রিক জীবনের মূল অনু, ডিএনএ আবিষ্কার করেছিলেন – একটা আবিষ্কার যাতে তারা নোবেল পুরষ্কার অর্জন করেন| মানুষের শরীরে দশ লক্ষাধিক ডিএনএ অনু আছে| এটা একটা অবিশ্বাস্য রকমের জটিল ব্যবস্থা|

ক্রিক, একজন নাস্তিক এবং বিবর্তনবাদী, স্বতঃস্ফূর্তভাবে 4.6 বিলিয়ন বছর সময়ের প্রবাহকালে উদ্ভূত একটি ডিএনএ অনু থাকার সম্ভাবনা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যাকে বিবর্তনবাদীরা পৃথিবীর জীবন বলেন| পৃথিবীর ইতিহাসে একটি একক কোষের ডিএনএ অনুর সম্ভাবনা কতখানি ছিল? আপনি কি তার সিদ্ধান্ত জানেন? শূন্য| এমনকী 4.6 বিলিয়ন বছরে, সম্ভবত এইরকমের কোন ঘটনা ঘটেনি!

ফ্রান্‌সিস ক্রিক কি তখন বলবেন হতেই হবে ইনি ঈশ্বর যিনি এটা করেছিলেন? তিনি বলেননি|

এটা অদ্ভুত মনে হয় যে সেই প্রমাণ গ্রহণকারী, এইসব বিজ্ঞানীদের মধ্যে একজনও কি স্বীকার করেছেন যে, তাদের তত্ত্ব ভুল ছিল? তাদের একজনও বলেননি যে, “ডারউইন-এর পর থেকেই, আমরা অসত্য কিছু একটা শিক্ষা দিয়ে চলেছি| আমরা আপনাদের শিখিয়েছি যে আদিম পাঁক থেকে প্রাণের উৎপত্তি হয়েছে যেহেতু অ্যামিনো অ্যাসিডগুলি একসাথে মিশেছিল এবং একটি কোষ গঠন করেছিল| এবং, এক বিলিয়ন বছর পরে, আজ আমরা এখানে| আমরা ভেবেছিলাম এভাবেই সেটা হয়েছিল| কিন্তু আমাদের তত্ত্ব ভুল প্রমাণিত হয়েছে| আমরা দুঃখিত যে আমরা আপনাদের ভুল পথে চালিত করেছি|”

আপনি কি জানেন ফ্রান্‌সিস ক্রিক কি করেছিলেন? তিনি এমনকী আরও অসম্ভব আর একটি তত্ত্ব হাজির করেছিলেন| তার নতুন তত্ত্বটি ছিল যে বহূ-দূরবর্তী কোন গ্রহ থেকে, মানুষের এক উন্নত প্রজাতি, তাদের শুক্রাণু বোঝাই করা মহাকাশযান পাঠিয়েছিল, এবং বিভিন্ন গ্রহে নিজেদের বীজ বপন করেছিল| আর সেটা বলে যে আমরা কোথা থেকে এসেছি| এটা শুনতে খানিকটা ক্ষুদ্র নক্ষত্র যুদ্ধের এর মতন!

প্রাণহীনের থেকে কখনও প্রাণের উৎপত্তি হতে পারে না| সেই কারণে বাইবেল বলছে, “আদিতে ঈশ্বর আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর সৃষ্টি করিলেন”(আদিপুস্তক 1:1)|

তিনটি প্রমাণ যা আমাকে ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করতে সাহায্য করেছে:

(1) কারণ এবং কার্য্যের সূত্র|

     কারণ আমি জগতে দেখি কারণ ও কার্য্য যা আমাকে যুক্তিগতভাবে একটি মহান অদৃশ্য কারণের দিকে অঙ্গুলী নির্দেশ করে যাকে আমি ঈশ্বর বলে বিশ্বাস করি|

(2) নকশা প্রস্তুতকারীর স্পষ্ট প্রমাণ|

     যদি আপনি মঙ্গল গ্রহে যান এবং সেখানে একটি সুন্দর নকশাওয়ালা ঘড়ি দেখেন, তবে আপনি যুক্তিসঙ্গতভাবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে ঘড়িটি অবশ্যই একজন ঘড়ি নির্মাতার প্রতি নির্দেশ করছে| অতএব একটি সুচারুভাবে নকশা করা জগৎ একজন জগৎ সৃষ্টিকারীর প্রতি নির্দেশ করছে, সেই নকশা প্রস্তুতকারী যাকে আমি ঈশ্বর বলছি|

(3) ব্যক্তিত্বের সাক্ষ্য|

     আমরা মোনালিসার সেই বিখ্যাত চিত্রটি দেখি| আমরা দেখছি ব্যক্তিত্বের সাক্ষ্য| চিত্রটি একটি নৈর্ব্যক্তিক কারণের ফল হতে পারে না| তৃতীয় এই প্রমাণটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ, একটি কারণ অথবা শক্তি আমাদের দায়ী করে না কিন্তু একজন ব্যক্তি তা করতে পারেন এবং আমাদের পাপের জন্য আমাদের দায়ী করবেন|

3. আমার ঈশ্বর সেই ধরণের নয়|

জ‌ন্‌ ওয়েস্‌লী, যিনি মেথডিষ্ট মন্ডলী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, খুব স্পষ্টভাবে পরিত্রাণের জন্য একমাত্র যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেছেন| তিনি পাঁচ বছরের জন্য অক্সফোর্ড সেমিনারীতে গিয়েছিলেন এবং তারপরে চার্চ অফ্‌ ইংল্যান্ডের একজন মিনিস্টার হয়েছিলেন, যেখানে তিনি প্রায় দশ বছর সেবাকাজ চালিয়েছিলেন| সেই সময়ের প্রায় শেষের দিকে, আনুমানিকভাবে 1735 সালে, তিনি একজন মিশনারি হয়ে ইংল্যান্ড থেকে জর্জিয়া গিয়েছিলেন|

তার সারা জীবন, তিনি তার সেবাকাজে শুধু অকৃতকার্যই হয়ে এসেছিলেন, যদিও তিনি ছিলেন, যেমন আমরা লোকদের দেখতে পাই, সেই হিসাবে একজন অতি ধার্মিক মানুষ| তিনি ভোর চারটার সময় ঘুম থেকে উঠতেন এবং দুই ঘন্টা প্রার্থনা করতেন| এরপরে জেল, কারাগার এবং হাসপাতালে সব ধরণের লোকদের প্রতি সেবাকাজে যাওয়ার আগে তিনি এক ঘন্টার জন্য বাইবেল পাঠ করতেন| তিনি শিক্ষা দিতেন, প্রার্থনা করতেন এবং অন্যদের সাহায্য করতেন প্রায় গভীর রাত্রি অবধি| বছরের পর বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছিলেন| বাস্তবিকপক্ষে, ওয়েস্‌লী এবং তার বন্ধুরা যে কর্তব্যনিষ্ঠ সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করতেন তার থেকেই মেথডিষ্ট মন্ডলীর নাম এতটা ছড়িয়েছিল|

আমেরিকা থেকে ফেরার সময়, সাগরে বিশাল একটা ঝড় উঠেছিল| যে ছোট্ট জাহাজে তারা যাচ্ছিলেন সেটা প্রায় ডুবতে বসেছিল| বড় বড় ঢেউ জাহাজের ডেক এর উপরে আছড়ে পড়ছিল, আর ঝোড়ো বাতাস জাহাজের পাল ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছিল| ওয়েস্‌লী ভয় পেয়েছিলেন যে তিনি হয়তো সেই মুহূর্তেই মারা যাবেন, এবং তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন| যখন তিনি মারা যাবেন তার প্রতি কি ঘটবে তার কোন নিশ্চয়তা তার কাছে ছিল না| ভাল হওয়ার প্রতি তার সব রকমের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও, তার জন্যে মৃত্যু ছিল এক বড়, অন্ধকারময়, ভীতিজনক প্রশ্নবোধক চিহ্ন|

জাহাজের অন্যদিকে একদল লোক ছিলেন যারা গান গাইছিলেন| তিনি তাদের জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “কিভাবে তোমরা গান করছ যেখানে আজ রাত্রে তোমরা মরতে বসেছো?” তারা উত্তর দিলেন, “যদি এই জাহাজ ডুবে যায়, আমরা চিরতরে প্রভুর সাথে হওয়ার প্রতি উপরে উঠে আসব|”

ওয়েস্‌লী মাথা ঝাঁকিয়ে চলে গেলেন, নিজের বিষয়ে চিন্তা করলেন, “কিভাবে এই লোকগুলি এটা জানল? আমি যা করেছি তার তুলনায় এরা আর বেশী কি করেছে?” তারপরে তিনি চিন্তায় যোগ করলেন, “আমি পরজাতিদের মন পরিবর্তন করতে এসেছি| আহা, কিন্তু আমার মন পরিবর্তন কে করাবে?”

ঈশ্বরের তত্ত্বাবধানে, জাহাজটি নিরাপদে ইংল্যান্ডে ফিরেছিল| ওয়ে‌স্‌লী লন্ডন গেলেন এবং অল্ডার্সগেট স্ট্রীটে একটি ছোট চ্যাপেল দেখতে পেলেন| সেখানে তিনি শুনলেন একজন মানুষ একটি ধর্ম্মোপদেশ পাঠ করছেন যেটা দুই শতাব্দী আগে মার্টিন লুথার এর রচনা, যার শিরোনাম “লুথার’স প্রিফেস টু দ্য বুক অফ্‌ রোমানস|” প্রকৃত বিশ্বাস কি জিনিষ তা এই ধর্ম্মোপদেশে ব্যাখ্যা করা ছিল| এটা হল পরিত্রাণের জন্য একমাত্র যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন – এবং আমাদের নিজেদের ভাল কাজের উপরে নয়|

হঠাৎ করে ওয়েস্‌লী উপলব্ধি করলেন যে তার সারা জীবনে তিনি ভুল পথে চলে আসছেন| সেই রাত্রে তিনি এই বাক্যগুলি তার জার্নালে লিখেছিলেন: “রাত্রি প্রায় পৌনে নয়টার সময়, খ্রীষ্টে স্থাপিত বিশ্বাসের মাধ্যমে যে কাজ ঈশ্বর হৃদয়ে করেন সেই পরিবর্তন বিষয়ে সেই মানুষটির ব্যাখ্যা করাকালে, আমি আমার হৃদয়ে আশ্চর্যজনকভাবে উষ্ণতা অনুভব করিলাম| আমি অনুভব করিলাম আমি খ্রীষ্টে বিশ্বাস করিয়াছি, একমাত্র খ্রীষ্টে, পরিত্রাণের জন্য; এবং আমাকে একটি নিশ্চয়তা দেওয়া হইয়াছে যে তিনি আমার পাপসকল দূর করিয়াছেন, এমনকী আমার, এবং পাপের ও মৃত্যুর ফাঁদ হইতে আমাকে উদ্ধার করিয়াছেন|”

সেরকমটাই হয়| সেটাই হল পরিত্রাণের বিশ্বাস| তার পাপের অনুতাপ, তিনি একমাত্র যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করেছিলেন পরিত্রাণের জন্য| এখন, আপনি কি বলবেন যে এই রাত্রির আগে কি ওয়েস্‌লী যীশুতে বিশ্বাস করেননি? অবশ্যই, করেছিলেন| তিনি বাইবেলের পন্ডিত ছিলেন এবং ইংরাজি, ল্যাটিন, গ্রীক, এবং হিব্রু ভাষায় খ্রীষ্টের বিষয়ে তিনি অধ্যয়ন করেছিলেন| এই সমস্ত ভাষায় তিনি খ্রীষ্টের উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন| কিন্তু তিনি তার পরিত্রাণের জন্য জন ওয়েস্‌লীতে বিশ্বাস করেছিলেন|

এর পরে, তিনি অষ্টাদশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রচারক-এ পরিণত হন| কিন্তু এগুলি সবই আরম্ভ হয়েছিল যখন তিনি তার মুক্তির জন্য একমাত্র খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করেছিলেন এবং তার প্রভু বলে তাঁকে গ্রহণ করেছিলেন| (ডঃ ডি. জেমস কেনেডি, ইভাঞ্জেলিজ্‌ম এক্সপ্লোশন, চতুর্থ সংস্করণ, টিন্ডেল হাউস পাবলিশার্স, 1996, পিপি. 183-184)|

জ্ঞানতত্ত্ব হল দর্শনশাস্ত্রের একটি শাখা যা এই প্রশ্ন নিয়ে চর্চা করে যে – কিভাবে আমরা জানি? ঈশ্বর সম্বন্ধে লোকেরা কি ভাবছেন তার উত্তর তারা দুইরকম উপায়ে দিয়ে থাকেন|

1. যুক্তিবাদ দ্বারা| যুক্তিবাদের ব্যবহার মানবজাতিকে একটা অচেনা এবং অদ্ভুত ধর্ম্মের পথে চালিত করে|

2. প্রকাশ| বর্তমানে, খ্রীষ্টিয় মন্ডলী সর্বদা ধরে নিয়েছে যে ঈশ্বর বাইবেল, এবং প্রাক-বিশিষ্টভাবে তাঁর পুত্র, যীশুর খ্রীষ্টের মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করেছেন| সেইজন্যে এখন আমাদের মধ্যে কে কি চিন্তা করছেন সেটা প্রশ্ন নয়| এখন প্রশ্ন হল, “ঈশ্বর বাইবেলে এবং তাঁর পুত্র, যীশু খ্রীষ্টের মাধ্যমে কি বলেছেন?”

4. পরজাতিরা কি হারিয়েছে?

বলুন, “একটা ঈশ্বরতত্ত্ববাদ বিতর্ক স্থির করার তুলনায় আমরা এখানে যা করছি এবং এখন সেটা করা খুব বেশী জরুরী|”

আপনি বলতে পারেন, “বব, সেটা খুব ভাল একটা প্রশ্ন, কিন্তু আমি বিশ্বাস করি আমরা প্রকৃতই আফ্রিকার সেই পরজাতিদের ছেড়ে দিতে পারি ঈশ্বরের হাতে, যিনি সীমাহীনভাবে মহৎ এবং সীমাহীনভাবে দয়াময়| আজকে আমি চাই আপনি নিশ্চয়তার সাথে জানুন যে আপনার অনন্তকালীন জীবন রয়েছে| যারা কখনও সুসমাচার শোনেননি তাদের বিষয়ে ঈশ্বর যা বলেছেন সম্ভবত পরে আমরা তার সবই দেখতে পারি…সমস্যাটি সেই প্রশ্নের চতুর্দিকে আবর্তিত হয় যে ‘যার বিষয়ে পরজাতিরা কখনও শোনেনি, সেই একজন খ্রীষ্টে বিশ্বাস না করার জন্যে ঈশ্বর কি পরজাতিদের সাধারণভাবে নরকে পাঠাবেন?’

বাইবেল শিক্ষা দেয় যে যারা ইতিমধ্যেই দোষী হয়ে রয়েছেন তাদের দোষী সাব্যস্ত করতে খ্রীষ্ট আসেননি| মানুষ দোষী সাব্যস্ত হয় একমাত্র একটি জিনিসের জন্য – তাদের সমস্ত পাপ|”

5. মৃত্যুর পরে জীবনে আমি বিশ্বাস করি না|

(1) প্লেটো| প্রাচীন দার্শনিক প্লেটো দেখিয়েছেন যে একটা বীজকে সুস্বাদু ফলসহ একটি গাছে পরিণত হতে হলে প্রথমে একে বিভাজন ও মৃত্যুর প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়| প্লেটো সিদ্ধান্তে এসেছিলেন যে অন্য জগৎ এবং অন্য জীবনে পুনঃপ্রকাশিত হওয়ার আগে মানুষের শরীরকেও অবশ্যই মৃত হতে হবে|
     খ্রীষ্টের পূর্বে চতুর্থ শতকে প্লেট ও প্রেরিত পৌল বসবাস করতেন| তা সত্ত্বেও মৃত্যুর পরে জীবন সম্বন্ধে তিনি সেই একই প্রমাণের শিক্ষা দিয়েছেন যা পৌল এবং খ্রীষ্ট I করিন্থীয় 15:35-36 এবং যোহন 12:24 পদে নির্দেশ করেছেন|

(2) দার্শনিক ইম্যানুয়েল কান্ট লক্ষ্য করেছিলেন যে সমস্ত মানবজাতি ভুল ও ঠিক, একটা নৈতিক কর্তব্যের সংবেদন বিষয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন| তিনি বলেছিলেন, “কেন সঠিকটি করিতেছেন যদি ন্যায়বিচার না হয়?” অন্য কথায়, তিনি কারণ দেখিয়েছেন যে একটি কর্তব্যের অনুভূতি অর্থবহ হওয়ার জন্য, সেখানে অবশ্যই ন্যায়বিচার থাকতে হবে, সেইজন্যেই কেন সঠিকটি করেন যদি ন্যায়বিচার না হয়? তিনি কারণ দিয়েছেন যে যেহেতু এই জীবনে ন্যায়বিচার বিরাজমান নয়, সেখানে অবশ্যই আর একটি স্থান আছে যেখানে এটা বিরাজ করবে| অন্য কথায়, দার্শনিক কান্ট কারণ দর্শিয়েছেন যে ন্যায়বিচার মৃত্যুর পরে জীবনের দাবী করে| এটা শুনতে বাইবেলে দেওয়া ইব্রীয় 9:27 পদের মতনই|
     অতএব ইম্যানুয়েল কান্টের মতে, ব্যবহারিক নীতির দরকার মৃত্যুর পরে জীবন এবং একজন বিচারকের, যিনি বাইবেলের ঈশ্বরের খুবই অনুরূপ|

(3) তাপগতিবিদ্যার প্রথম সূত্রটি, আইনস্টাইন দ্বারা ব্যাখ্যা করা হয়েছে| এতে বলছে যে শক্তি এবং পদার্থ সৃষ্টি বা ধ্বংস করা যায় না| যদি মানুষের অস্তিত্ব বিদ্যমান না হয়, তবে সে তখন শুধুমাত্র বিশ্বের একটি পদার্থে পরিণত হবে যা বিদ্যমান| কিভাবে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর দেহ স্থায়ী হবে সেই বিষয়ে I করিন্থীয় 15:49-51 পদে বাইবেল ব্যাখ্যা দেয়| কাজেই আইনস্টাইন একজন নাস্তিক ছিলেন না|

(4) মৃত্যুপথযাত্রী ব্যক্তির শেষ বাক্য|
     নাস্তিক গিব্‌বন, তার মৃত্যু শয্যায়, আর্তনাদ করে উঠেছিলেন, “সকলই অন্ধকার|” আদম নামের অন্য একজন নাস্তিক মারা যাওয়ার সময়ে চিৎকার করেছিলেন, “এই ঘরে দিয়াবলেরা রয়েছে, আর তারা আমাকে টেনে নিচে নামাতে চাইছে|”
     এর বিপরীতে, খ্রীষ্ট বিশ্বাসী সঙ্গীত লেখক টপলেডি উচ্চস্বরে বলেছিলেন, “সবই আলোকিত, উজ্জ্বল, উজ্জ্বল!” এভারেট, মারা যাওয়ার আগে তিনি 25 মিনিট ধরে, বলে চলেছিলেন, “গৌরব, গৌরব, গৌরব|” সহ্স্রাধিক লোককে সামনে কি আসতে চলেছে, যে জীবনের মধ্যে এসেছেন তা দেখতে দেওয়া হয়েছিল|

6. পুনরুজ্জীবিত লোকদের অনুস্মরণ|

এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে সম্প্রতি বিজ্ঞান জগতে বেশ কিছু বিজ্ঞানী একটা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যে তাদের অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত তাদের বিশ্বাস করিয়েছে যে কবরের পরেও জীবন চলতে থাকে| আমি বিখ্যাত এক বিজ্ঞানীর বিষয়ে শুনেছি যার আগে থেকেই হয় স্বর্গ বা নরক উপভোগের একটা অভিজ্ঞতা আছে| এই অভিজ্ঞতা উত্তর দেওয়ার মতন বেশ কিছু প্রশ্ন সামনে নিয়ে আসে| কিন্তু তারা অবশ্যই আকর্ষণীয় সাক্ষ্যের জোগান দেয়|

এলিজাবেথ ক্যুবলার-রস আপাতভাবে একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ছিলেন না, কিন্তু এটা ছিল তার বিবৃতি, “সেই প্রমাণ এখন সিদ্ধান্তমূলক| মৃত্যুর পরে সেখানে জীবন আছে|” ডাঃ ক্যুবলার রস বলেছেন যে এই সমস্ত মৃত্যু-সন্নিকট অভিজ্ঞতা বৈজ্ঞানিকভাবে যাচাই করা হয়েছে| “আমরা এর বিষয়ে কথা বলতে শুধু ভয় পাই,” তিনি বলেছেন|

ডঃ রেমন্ড মুডি বলেছিলেন, “মৃত্যুর মুহূর্তে একটা গুঞ্জন বা ঘন্টাধ্বনি হয়|” তারা সকলেই তাদের শরীর থেকে বের হয়ে ভাসমান অবস্থার বিষয়ে এবং নিচে তাকিয়ে পুনরুজ্জীবন কক্ষের সব ডাক্তারদের দেখতে পাওয়ার বিষয়ে জানিয়েছেন| এইগুলি অল্প কয়েকটি সংখ্যা নয়, সারা পৃথিবী থেকে নিলে কিন্তু সংখ্যাটা পাঁচশ লোকেরও বেশী হবে| এই সমস্ত লোকদের প্রত্যেকেই ধর্মীয় চরিত্র হিসাবে তাদের বর্ণিত একজন ব্যক্তিকে দেখে এসব জানিয়েছেন| নাস্তিকদের সম্বন্ধে এটা বিশেষভাবে সত্য ছিল|

ডাঃ ক্যুবলার-রস শতাধিক মেডিকাল ডাক্তারদের প্রতি বলেছিলেন যারা তাকে বলতে শুনেছিলেন, “আমি বলতাম, ‘মৃত্যুর পরে জীবনে আমি বিশ্বাস করি|’ কিন্তু এখন আমি জানি|”

এই ডাক্তার যখন তার বক্তৃতা শেষ করতেন তার নামে জয়ধ্বনি দিতে চিকিৎসা পেশায় যুক্ত এক হাজার ব্যক্তি এবং পণ্ডিতগণ উঠে দাঁড়াতেন|

7. পুনর্জন্মের বিষয়টি কি?

এটা হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্ম্মের একটি বিশ্বাস, কিন্তু খ্রীষ্ট ধর্ম্মের নয়! আমি উত্তরে বলব, “বাইবেল বলছে, ‘মনুষ্যের নিমিত্ত একবার মৃত্যু, তৎপর বিচার নিরূপিত আছে’” (ইব্রীয় 9:27)|

এই সমস্ত ধারণাগুলির সব কয়টি যীশু খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্ত এবং তাঁর পবিত্র ধার্মিকতার বিষয়টিকে অবজ্ঞা করে| ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যুর দ্বারা তিনি, একবার এবং সকলের জন্য, আমাদের সমস্ত পাপ গ্রহণ করে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন| সেইজন্যে যখন আমরা যীশুতে বিশ্বাস করি, তখন ক্রুশের উপরে ঝরানো তাঁর রক্তের দ্বারা আমরা শুচি হই!

8. নরক বাস্তব নয়|

কোন কোন সময়ে আমরা এরকম বলা সহায়ক মনে করি, “আপনি জানেন, এটা মনস্তত্ত্বের একটা সত্য যে আমরা অতি মাত্রায় সেই বিষয়গুলি অস্বীকার করি যেসবে আমরা ভয় করি| আমি আশ্চর্যান্বিত যে নরকে আপনার বিশ্বাস না করার কারণটি আপনার মনের অতল গভীরে আছে কিনা যাতে আপনি ভয় পান যে যদি এরকম একটি স্থান থাকে সেখানে আপনাকে হয়তো যেতে হতে পারে|” প্রায়ই এর উত্তর হয়ে থাকে, “আমি মনে করি আপনি সঠিক|”

কিন্তু আপনি অবশ্যই যান এবং আপনার প্রত্যাশা জানান, “আমি চাই না আপনি নরক-এ বিশ্বাস করুন| নিশ্চিতভাবে আপনি জেনে নিন যে আপনি নরকে যাচ্ছেন না| সেই কারণে সুসমাচারই হল সব| আমি নরকে বিশ্বাস করি, কিন্তু আমি জানি ঈশ্বরের প্রতিশ্রুতির কারণে আমি সেখানে যাচ্ছি না| সেটা অনেক ভাল এইরকম বলার তুলনায় যে, ‘আমি জানি আমি নরকে যাচ্ছি না কারণ আমি বিশ্বাস করি না সেরকম একটি স্থান আছে|’”

9. এই জগতেই আমাদের নরক আছে|

আপনি জানেন, আপনি আংশিকভাবে সঠিক| আমার জানা মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা আছেন যারা এই পৃথিবীতেই একটি জীবন্ত নরকের মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন| আমার জানা মদ্যপরা আছেন যারা মদের দ্বারা ক্রীতদাস হয়েছিলেন|

পালক মার্ক বাক্‌লে মাদকের ব্যবহার করার এবং পরিণতিতে একটি মানসিক হাসপাতালে যাওয়ার কথা বলে গেছেন| যীশুতে বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারা পালক বাক্‌লে পৃথিবীতে থাকা নরক থেকে পালিয়েছিলেন| মাদকাসক্ত হয়ে পড়া থেকে – পৃথিবীতে একটি নরক থেকে রেভারেন্ড বাক্‌লেকে যীশু রক্ষা করেছিলেন| যীশুর প্রতি তার বিস্ময়কর মন পরিবর্তন – যীশু খ্রীষ্টে তার জীবন-পরিবর্তনকারী পরিত্রাণ লাভের একটা কপি আপনি চাইলে কেনার অর্ডার করতে পারেন| Amazon.com ওয়েবসাইটে যান এবং মার্ক-এর বই অর্ডার করুন| বইটির শিরোনাম, “ফ্রম ডার্কনেস টু লাইট: মাই জার্নি” যার লেখক হলেন পালক মার্ক বাক্‌লে| যদি আপনি এর প্রথম কয়েকটি পাতা পড়েন, আপনি গোটা বইটাই পড়ে ফেলবেন| আমি নিজে এটা শুধু দুইবার পড়েছি|

আমরা স্যাবাথিয় নই, কিন্তু আমরা পালক বাক্‌লের সাথে সহমত, যিনি বলেছিলেন,

“যখন আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি এবং বিশ্রাম করি, তিনি আমাদের অন্তর্দৃষ্টি এবং বোধশক্তি দান করিতে পারেন যাহা শেষ পর্য্যন্ত আমাদের আরও অধিক ফলপ্রসূ করিয়া তোলে…আমি আত্মিক বৈধতার পক্ষে ওকালতি করিতেছি না| আমি আপনাকে বিশ্রামের একটি সময় পার্শ্বে সরাইয়া রাখিতে উৎসাহিত করিতেছি যাহাতে আপনি স্বাস্থ্যবান হইতে পারেন” (ফ্রম ডার্কনেস টু লাইট: মাই জার্নি, লেখক মার্ক বাক্‌লে) |

উঠে দাঁড়ান এবং আমাদের গানটি করুন!

সহস্র জিহ্বা যদি হয়
   গাই মম ত্রাতার স্তব,
স্বর্গীয় রাজার মহিমা,
   প্রাসাদের বিজয় রব|

হে ঈশ্বর মম কৃপাময়,
   দাও শক্তি দাসেরে,
তোমারই গৌরব ঘোষিতে,
   এ মর্ত্য মাঝারে|

যীশু! নাম কি মনোহর,
   দূর করে শোক ও ভয়;
পাতকীর কর্ণে সুমধুর,
   হয় জীবন, শান্তিময়|

নাশ করি যীশু পাপের বল,
   দেন মুক্তি পাপীর;
পাপ কলঙ্ক সব মোচন হয়;
   তাঁর পূণ্য রুধিরে|
(“সহস্র জিহ্বা যদি হয়” রচয়িতা চার্লস ওয়েসলী, 1707-1788)|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।