Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




শিষ্য প্রস্তুত করিতে খ্রীষ্টের প্রণালী

CHRIST’S METHOD OF MAKING DISCIPLES
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

2018 সালের, 15ই জুলাই, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে প্রচারিত একটি ধর্ম্মোপদেশ
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, July 15, 2018


অনুগ্রহ করে বাইবেলে মথি 10:1 পদটি দেখুন| এটা স্কোফিল্ড স্টাডি বাইবেল এর 1008 নম্বর পাতায় আছে| 1 নং পদের প্রথম অংশটি দেখুন|

‘‘পরে তিনি আপনার বারো জন শিষ্যকে নিকটে ডাকিলেন...’’

গ্রীক শব্দ “mathétés” থেকে “disciple” (শিষ্য) শব্দটি অনুবাদিত হয়েছে| নতুন নিয়মে ঐ শব্দটি একজন ব্যক্তির উল্লেখ করছে যিনি একজন শিক্ষকের থেকে শিক্ষালাভ করেন এবং এবং সেই শিক্ষককে অনুসরণ করেন| এটা সেই বারোজনের প্রতি প্রয়োগ করা হয়েছে যারা যীশুকে অনুসরণ করেছিলেন|

এটা আমার উদ্দেশ্য আপনাকে দেখানো যে কিভাবে খ্রীষ্ট এই বারোজনকে কাছে ডেকেছিলেন, এবং তারা নতুন জন্মলাভ করার আগে তিনি কিভাবে তাদের প্রশিক্ষিত করেছিলেন| এটা সেই উপায়ে নয় যেভাবে বর্তমানে আমাদের বেশীর ভাগ মন্ডলীতে করা হচ্ছে| পরভাষায় কথা বলা পেন্টিকোস্টাল থেকে বুনিয়াদী বাইবেল শিক্ষকগণ - আমার জানা সকলেই একটু এদিক ওদিক করে এই একই বিষয় করে থাকেন| তারা সাধারণত কোন এক নতুন ব্যক্তিকে কোনঠাসা করেন এবং এই ধরণের কিছু একটা বলেন, "আপনি কি স্বর্গে যেতে চান?" তারা নতুন লোকদের চাপ দিতে শুরু করেন যতক্ষণে তাদের বেশীর ভাগ লোক বলছেন, "হ্যাঁ, আমি চাই|" তখন আত্মা-জয়কারী বলেন, "আমার সঙ্গে এই শব্দগুলি প্রার্থনা করুন|" সেই হতবুদ্ধি নতুন ব্যক্তি আত্মা-জয়কারীর সঙ্গে একই শব্দ উচ্চারণ করেন - যারা তখন সেরকম একটা কিছু বলেন যেমন নাকি যোয়েল অস্টিন তার প্রচারের শেষে বলতেন, "আমরা বিশ্বাস করি, যদি আপনি ঐ প্রার্থনা করেছেন, আপনি ঠিক নতুন জন্ম পাবেন|" অপেক্ষাকৃত উন্নত মন্ডলীতে তারা যার সঙ্গে প্রার্থনা করতেন তার নাম ও ফোন নম্বর লিখে রাখতেন - আর তারপর, কয়েকদিন পরে, তারা সেই তথাকথিত মন পরিবর্তিত ব্যক্তির "ফলো-আপ" করতে কাউকে পাঠাতেন| আমার অভিজ্ঞতায় এটা এখনও পর্যন্ত খুব কমই প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী উৎপন্ন করেছে! যার সঙ্গে তারা প্রার্থনা করতেন সাধারণত সেই ব্যক্তি মন পরিবর্তনকারী নন! তারা প্রায়ই "আত্মা-জয়কারী" থেকে হয় লুকিয়ে থাকেন বা তার প্রতি "দূর হও" বলে চিৎকার করেন! যখন আপনি তাদের "ফলো-আপ"-এর চেষ্টা করেন তারা ভালভাবে সাড়া দেন না!

এই প্রণালীর মধ্যে ভুলটা কোথায়? এটা সাধারণত কাজ করে না! আসলে এটা খুব কমই কাজ করে| আমি ষাট বছর ধরে একজন ব্যাপটিস্ট প্রচারক হিসাবে আছি এবং এটা আমার অভিজ্ঞতা| কেন এটা "কাজ" করে না? কেন এটা শিষ্য তৈরী করে না? এর কারণ এই যে কিভাবে যীশু শিষ্য তৈরী করতেন সেই বিষয়ে আমাদের বেশীর ভাগই যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করি না! সেটাই কারণ!

আপনি হয়তো ভাবছেন আমি "প্রভুত্বের পরিত্রাণ"-এর শিক্ষা দিচ্ছি, কিন্তু আমি সেটা করছি না| জন ম্যাকআর্থার এবং পল ওয়াশার যে শিক্ষা দিয়েছেন, আমি সেই শিক্ষা দিচ্ছি না| কেন আমি "প্রভুত্বের পরিত্রাণ" প্রত্যাখ্যান করছি তা জানতে হলে অনুগ্রহ করে আমাদের Preaching to a Dying Nation, (প্রিচিং টু এ ডাইং নেশন) বইটির 117-119 পাতায় আমি এই সম্বন্ধে কি বলেছি সেটা পড়ুন| সম্পূর্ণ বইটি বিনামূল্যে আমাদের ওয়েবসাইট www.sermonsfortheworld.com থেকে পড়া যাবে| যীশুকে বিশ্বাসের দ্বারা এবং তাঁর রক্তে শুচিকৃত হয়ে পরিত্রাণ পাওয়া যায়|

কিন্তু চারটি সুসমাচারের মধ্যে কোন একটি জায়গা আমাকে দেখান যেখানে যীশু তাঁর শিষ্যদের "পাপীর প্রার্থনা" বলতে চালিত করেছেন, এবং তারপরে তাদের অনুসরণ করেছেন| আপনি আমাকে এমনকী একটা জায়গাও দেখাতে পারবেন না যেখানে যীশু ঐরকম করেছেন! তিনি সবসময় প্রথমে "ফলো-আপ" করেছেন| তিনি চাইতেন তারা প্রথমে জানুক যে তারা কি পাচ্ছেন!

সেই উপায়েই যীশু তাঁর লোকদের মন পরিবর্তন করাতেন! তিনি জানতেন যে তাঁকে প্রকৃতভাবে বিশ্বাস করা এবং পরিত্রাণ পাওয়ার আগে - তাদের প্রথমে শিষ্যত্বের কঠিন সত্যটি শোনার প্রয়োজন ছিল!

"কিন্তু," কেউ হয়তো বলতে পারেন, "কঠিন সত্যগুলি তাদের ভীত করবে|" সত্যিই! কঠিন সত্য তাদের বেশীর ভাগকেই ভয় দেখিয়ে দূরে সরিয়ে দেবে! খ্রীষ্টের শিষ্যদের মধ্যে অনেকে তাঁকে ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন| তিনি তাদের থাকার জন্য অনুরোধ করেননি| তিনি সেই বারোজনকে বলেছিলেন, "তোমরাও কি চলিয়া যাইতে ইচ্ছা করিতেছ?" (যোহন 6:67)| সকলে চলে যাবেন না! যিনি থেকে যাবেন ও শিক্ষা নেবেন সেই একজন খ্রীষ্টের কঠিন শিলা তুল্য শিষ্য, এবং ক্রুশের সৈনিকে পরিণত হবেন!

ডঃ আইজ্যাক ওয়াটস 18তম শতাব্দীতে অন্য ধরণের সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারকদের উপদেশ দিতেন। আইজ্যাক ওয়াটস বলেছিলেন,

আমি কি ক্রুশের এক সৈন্য, মেষশাবকের এক অনুসরণকারী,
আমি কি তাঁর উদ্দেশ্য জানতে ভয় পাই, অথবা তাঁর নাম বলতে অপ্রতিভ হই?

নিশ্চয়ই আমি যুদ্ধ করব, যদি আমি রাজত্ব করি; প্রভু, আমার সাহস বৃদ্ধি কর|
আমি কঠোর পরিশ্রম করব, যন্ত্রণা সহ্য করব, তোমার বাক্যের সহায়তায়|
   (“Am I a Soldier of the Cross?”, Dr. Isaac Watts, 1674-1748) |

আমরা আশা করতে পারি না যে নতুন লোকরা খ্রীষ্টের জন্য রক্তাক্ত সংগ্রামে প্রথমেই মাথা গলিয়ে দেবেন| যদি তারা সেটা করতেন তো এটা অপেক্ষাকৃত সহজ হত| কিন্তু আমি সেই উপায়ে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিণত হইনি| আমাকে প্রথমে শিখতে হয়েছিল যে ক্রুশ-বহনকারী খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরাই ছিলেন প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী| আমি যীশুকে বিশ্বাস করার আগে, ক্রুশের সৈনিকে পরিণত হওয়ার আগে আমাকে কয়েকটি কঠিন শিষ্যত্বের শিক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল| এবং সেরকম আপনাকেও করতে হবে!

আমি ঠিক যা বললাম সেটা বর্তমানে আমাদের মন্ডলীগুলির বেশীর ভাগই অনুশীলন করে না! তা সত্ত্বেও, এটা সত্য| "নিশ্চয়ই আমি যুদ্ধ করব, যদি আমি রাজত্ব করি; প্রভু, আমার সাহস বৃদ্ধি কর|" এটাই 18তম শতাব্দীর সর্বশ্রেষ্ঠ ইভাঞ্জেলিকাল সঙ্গীত রচনাকারী লিখে গিয়েছেন| এবং এটাই সেই যা দশ হাজার লোক তাদের গোড়ালি পর্যন্ত ডুবে যাওয়া বরফের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে জর্জ হোয়াইটফিল্ড বা জন ওয়েসলী-এর প্রচারসভায় গাইতেন! কিন্তু আজকের দিনে খুব বেশী সেবাকাজে ঐ গানটি গাওয়া হচ্ছে বলে আপনি শুনবেন না! আমি মনে করি যে হতে পারে আজকাল আমাদের ব্যবহার করা গানের বইতে "খ্রীষ্টিয় সংগ্রাম"-এর উপর লেখা গান কেন সাধারণত এত কম থাকে তার কারণ এই| যে সময়ে আইজ্যাক ওয়াটস “Am I a Soldier of the Cross?” (আমি কি ক্রুশের এক সৈনিক?) গানটি লিখেছিলেন সেই 18তম শতাব্দীতে সেগুলি যেমন জনপ্রিয় ছিল তার তুলনায় খ্রীষ্টিয় সংগ্রামের আহ্বান জানিয়ে লেখা গান এবং আন্তরিক শিষ্যত্ব বর্তমানে অনেক কম জনপ্রিয়|

এটা আমাদের সুসমাচার বার্তা স্বয়ং-এর দিকে নিয়ে আসে| কখন যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রতি সুসমাচার প্রচার শুরু করেছিলেন? I করিন্থীয় 15:3, 4 পদদুটি সুসমাচারের মূল সত্যটি প্রকাশ করছে:

‘‘ফলতঃ প্রথম স্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পণ করিয়াছি, এবং ইহা আপনিও পাইয়াছি যে, শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন, ও কবর প্রাপ্ত হইলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন’’ (I করিন্থীয় 15:3, 4)|

যীশুর শিষ্যেরা তাঁকে অনুসরণ করার প্রায় এক বছর পরে তিনি তাদের প্রতি সুসমাচার প্রচার করা শুরু করেছিলেন| এটা মথি 16:21, 22 পদে লিপিবদ্ধ হয়েছে,

‘‘সেই সময় অবধি যীশু আপন শিষ্যদিগকে স্পষ্টই বলিতে লাগিলেন যে, তাঁহাকে যিরূশালেমে যাইতে হইবে, এবং প্রাচীনবর্গের, প্রধান যাজকদের ও অধ্যাপকদের হইতে অনেক দুঃখ ভোগ করিতে হইবে, ও হত হইতে হইবে, আর তৃতীয় দিবসে উঠিতে হইবে| ইহাতে পিতর তাঁহাকে কাছে লইয়া অনুযোগ করিতে লাগিলেন, বলিলেন, প্রভু, ইহা আপনা হইতে দূরে থাকুক, ইহা আপনার প্রতি কখনও ঘটিবে না’’ (মথি 16:21, 22)|

পিতর প্রায় এক বছর যাবৎ যীশুকে অনুসরণ করে আসছিলেন| তাও পিতর যীশুকে ঐরকম কথা যে তাঁকে "হত হইতে হইবে, আর তৃতীয় দিবসে উঠিতে হইবে" (মথি 16:21) বলার জন্য তিরষ্কার করেছিলেন| এটা খুব স্পষ্ট যে যীশুর শিষ্য হওয়ার কমপক্ষে এক বছর পরে তখনও পিতর সুসমাচার বুঝতে পারেননি|

এর পরে সেই বছরই যীশু শিষ্যদের সুসমাচার দান করেছিলেন,

‘‘গালীলে তাঁহাদের একত্র হইবার সময়ে যীশু তাঁহাদিগকে কহিলেন, সম্প্রতি মনুষ্যপুত্ত্র মনুষ্যদের হস্তে সমর্পিত হইবেন; এবং তাহারা তাঁহাকে বধ করিবে, আর তৃতীয় দিবসে তিনি উঠিবেন| ইহাতে তাঁহারা অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন’’ (মথি 17:22, 23)|

লক্ষ করুন যে তারা ইতিমধ্যেই যীশুর রূপান্তর দেখেছিলেন| যীশু রূপান্তরিত হয়েছেন তা দেখার পরে শিষ্যেরা এক যুবকের শরীর থেকে অসুস্থ আত্মাকে বের করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন| যখন তারা যীশুকে প্রশ্ন করেছিলেন যে কেন তারা অসুস্থ আত্মা বের করতে সমর্থ হলেন না, যীশু বলেছিলেন, "কারণ তোমাদের অবিশ্বাস" (মথি 17:20)| তখন যীশু আবার তাদের সুসমাচার দিয়েছিলেন, "তাহারা তাঁহাকে [যীশুকে] বধ করিবে, আর তৃতীয় দিবসে তিনি [যীশু] উঠিবেন| ইহাতে তাঁহারা [শিষ্যেরা] অত্যন্ত দুঃখিত হইলেন" (মথি 17:23 NKJV)| শিষ্যেরা তখনও সুসমাচার বোঝেননি!

তৃতীয়বার যীশু শিষ্যদের যে সুসমাচার দান করেছিলেন সেটা মথি 20:17-19 এর মধ্যে রয়েছে| এর সমান্তরাল অধ্যায়টি হল লূক 18:31-34 |

‘‘পরে তিনি সেই বারোজনকে কাছে লইয়া তাঁহাদিগকে কহিলেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাইতেছি; আর ভাববাদিগণ দ্বারা যাহা যাহা লিখিত হইয়াছে, সে সমস্ত মনুষ্যপুত্ত্রে সিদ্ধ হইবে| কারণ তিনি পরজাতীয়দের হস্তে সমর্পিত হইবেন, এবং লোকেরা তাঁহাকে বিদ্রূপ করিবে, তাঁহার অপমান করিবে, তাঁহার গায়ে থুথু দিবে; এবং কোড়া প্রহার করিয়া তাঁহাকে বধ করিবে; পরে তৃতীয় দিবসে তিনি পুনরায় উঠিবেন| এই সকলের কিছুই তাঁহারা বুঝিলেন না, এই কথা তাঁহাদের হইতে গুপ্ত রহিল, এবং কি কি বলা যাইতেছে, তাহা তাঁহারা বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না’’ (লূক 18:31-34)|

দুই বছর ধরে যীশু তাঁর শিষ্যদের শিক্ষা দেওয়ার পরেও শিষ্যেরা তখনও সুসমাচার বুঝতে পারেননি,

‘‘এই সকলের কিছুই তাঁহারা বুঝিলেন না, এই কথা তাঁহাদের হইতে গুপ্ত রহিল, এবং কি কি বলা যাইতেছে, তাহা তাঁহারা বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না’’ (লূক 18:34)|

এমনকী একাধিক বার সুসমাচার শোনার পরেও, শিষ্যেরা তখনও বোঝেননি যে যীশু কি বিষয়ে কথা বলছেন!

কিন্তু যীশু আবার শিষ্যদের বলেছিলেন, "তোমরা জান, দুই দিন পরে নিস্তারপর্ব্ব আসিতেছে, আর মনুষ্যপুত্ত্র [যীশু] ক্রুশে বিদ্ধ হইবার জন্য সমর্পিত হইতেছেন" (মথি 26:2)|

এখন, বার বার সুসমাচার শোনার পরে, শিষ্যদের মধ্যে একজন, যিহূদা, প্রধান যাজকদের হাতে যীশুকে সমর্পন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন! (মথি 26:14, 15)|

আরও একবার যীশু শিষ্যদের সুসমাচার দিলেন (মথি 26:31, 32)| গেৎশিমানি বাগানে পিতর এবং অন্য শিষ্যেরা ঘুমাতে গিয়েছিলেন| যখন সৈন্যেরা যীশুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যেতে এসেছিল, পিতর তার তলোয়ার খাপ থেকে টেনে বের করেছিলেন এবং সৈন্যদের হত্যা করতে সচেষ্ট হয়েছিলেন| "তখন শিষ্যেরা সকলে তাঁহাকে [যীশুকে] ছাড়িয়া পলাইয়া গেলেন" (মথি 26:56)|

পরিশেষে, এখন আমরা আসছি, নতুন জন্মের প্রতি, সেই এগারো জন শিষ্যের মন পরিবর্তন-এর কথায়| যিহূদা ইতিমধ্যেই নিজের গলায় দড়ি দিয়েছিলেন এবং কখনও নতুন জন্মের অভিজ্ঞতা পাননি| পুনরুত্থিত যীশু অন্য শিষ্যদের সঙ্গে দেখা করেছিলেন| তিনি তাঁর ক্ষতগুলি তাদের দেখিয়েছিলেন,

‘‘তখন তিনি তাঁহাদের বুদ্ধিদ্বার খুলিয়া দিলেন, যেন তাঁহারা শাস্ত্র বুঝিতে পারেন’’ (লূক 24:45)|

তাদের নতুন জন্মের সূচনা এখান থেকেই হয়েছিল, যখন যীশু ‘‘তাঁহাদের বুদ্ধিদ্বার খুলিয়া দিলেন, যেন তাঁহারা শাস্ত্র বুঝিতে পারেন’’ সুসমাচারের সম্বন্ধে (লূক 24:46)|

এবার যোহন 20:21-22 পদগুলি দেখুন| এই হল শিষ্যদের নতুন জন্ম| উত্থিত যীশু তাদের কাছে এসেছিলেন,

‘‘তখন যীশু আবার তাঁহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের শান্তি হউক; পিতা যেমন আমাকে প্রেরণ করিয়াছেন, তদ্রূপ আমিও তোমাদিগকে পাঠাই| ইহা বলিয়া তিনি তাঁহাদের উপরে ফুঁ দিলেন, আর তাঁহাদিগকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা গ্রহণ কর’’ (যোহন 20:21-22)|

শিষ্যেরা পবিত্র আত্মা গ্রহণ করেছিলেন, এবং সবশেষে তাঁরা আবার জন্ম লাভ করেছিলেন!

প্রাচীনকালের বর্ণনাকারীরা এর সঙ্গে একমত হন| লূক 24:45 পদের উপরে ম্যাথিউ হেনরী, আর বিশেষ করে জন চার্লস এলিকট-এর লেখা অবশ্যই কারও পড়া উচিৎ| ডঃ জে. ভারন্‌ন ম্যাকগী বলেছিলেন, "আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে যেই মুহূর্তে প্রভু তাহাদের উপর ফুঁ দিয়াছিলেন এবং বলিয়াছিলেন, ʼপবিত্র আত্মা গ্রহণ কর,ʼ এই সমস্ত ব্যক্তিগণ পুনর্জাত হইয়াছিলেন [নতুন জন্ম লাভ করিয়াছিলেন]| ইহার পূর্বে তাহাদের মধ্যে ঈশ্বরের আত্মা বাস করিতেন না... যীশু খ্রীষ্ট এই সমস্ত মানুষদের উপর ফুঁ দিয়া তাহাদের অনন্ত জীবন দান করিয়াছিলেন" (জে. ভারন্‌ন ম্যাকগী, থ্রু দ্য বাইবেল, যোহন 20:22 পদের টীকা)|

এছাড়া ডঃ থমাস হ্যালিও এটা খুব স্পষ্ট করে দিয়েছেন, "পবিত্র আত্মা দান করার বিষয়টি শিষ্যদের জীবনে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা| কারণ ইহাই হইতেছে সেই সময় যখন তাহারা পুনরায় জন্মলাভ করিয়াছেন... ইহাই হইতেছে যখন তাহারা প্রকৃত এবং সম্পূর্ণ বিশ্বাস অর্জন করিয়াছেন| ইহাই হইতেছে যখন তাহারা আত্মিক জীবন অর্জন করিয়াছেন" (থমাস হ্যালে, এম. ডি., দ্য এ্যাপ্লায়েড নিউ টেস্টামেন্ট কমেন্টারি, যোহন 20:22 পদের টীকা, পৃষ্ঠা 448)|

বেশ কয়েকটি কারণে আমি আপনাদের খ্রীষ্টের শিষ্যদের নতুন জন্ম লাভ বিষয়ক এই অধ্যয়নটি দিয়েছি|

1. প্রথমে এটা নতুন জন্ম বিষয়ক আধুনিক ধারণাকে সঠিক করে, এরপরে শিষ্যত্ব| এই হল সেই মতবাদ যা আজকের দিনে আমাদের মন্ডলীগুলির সবকটিই বাস্তবিকপক্ষে ধরে রেখেছে|

2. এটা আমাদের খ্রীষ্টের শিষ্য তৈরী করার পদ্ধতির বিষয়ে বলে: প্রথমে আপনি তাদের শিক্ষা দিন, এবং তারপরে তাদের মন পরিবর্তনের জন্য কাজ করুন| এটা ঠিক তার বিপরীত যা নেভিগেটর্স-এর লেখা, দ্য লস্ট আর্ট অফ ডিসাইপল মেকিং বইতে বলা হয়েছে| আমার মতে এই বইটি ভুল| শিষ্যেরা নতুন জন্ম লাভ করার আগে যীশু তাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন|

তাঁর মহান আজ্ঞায় খ্রীষ্ট আমাদের আদেশ করেছেন "শিষ্য কর" (মথি 28:19, 20, NASB)|

‘‘অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্ত্রের পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সে সমস্ত পালণ করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও| আর দেখ, আমিই যুগান্ত পর্য্যন্ত প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে আছি| আমেন’’ (মথি 28:19, 20)|

আমার পন্ডিতসুলভ পালক, ডঃ তীমথি লিন বলেছিলেন,

‘‘একমাত্র এই ʼশিষ্য করʼ ক্রিয়াপদটি হইল অনুজ্ঞাসূচক... অন্য শব্দ ʼযাওʼ কোন আদেশ নয় [এখানে], কিন্তু ʼশিষ্য করʼ হইতেছে আদেশ| ইহাই হইতেছে মাহান আজ্ঞার মূল বিষয়’’ (দ্য সিক্রেট অফ চার্চ গ্রোথ, পৃষ্ঠা 57)|

খ্রীষ্ট আমাদের আদেশ করেছেন যে "সমুদয় জাতিকে শিক্ষা দাও" - আরও বেশী আক্ষরিকভাবে অনূদিত হয়েছে "শিষ্য তৈরী কর" - ডব্লিউ. এ. ক্রিস্‌ওয়েল| আসলে নিউ আমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড বাইবেল একে ঐভাবে অনুবাদ করেছে, "শিষ্য তৈরী কর|"

প্রথম তিনশ বছর ধরে এটা শ্রেণীতে করা হত, যেখানে নতুন লোকদের তাদের ব্যাপ্তিস্মের আগে শিষ্যত্বের শিক্ষা দেওয়া হত| ডঃ ফিলিপ শ্যাফ, খ্রীষ্টান ঐতিহাসিক, বলেছিলেন, "এই শিক্ষাদান [শিক্ষাদানের স্থায়িত্ব] কোন সময় দুই বৎসর, কোন সময়ে তিন বৎসর ধরিয়া চলিবে বলিয়া স্থির করা হইত|" হিপ্পোলাইটাস 217 A.D. থেকে 235 A.D. অবধি রোমের বিশপ ছিলেন| হিপ্পোলাইটাস বলেছিলেন, "[তাহারা] প্রত্যেকে বাক্যের শ্রোতা হইয়া তিন বৎসর অতিবাহিত করুক" (দ্য এপোস্টলিক ট্র্যাডিশন অফ হিপ্পোলাইটাস, ভাগ II)|

এই শিষ্যত্বের পর্যায় ব্যাপ্তিস্মের আগে আসে| প্রেরিতর পুস্তক-এ কমপক্ষে সেখানে দুটি উদাহরণ রয়েছে যে প্রেরিত খ্রীষ্টধর্মের শিক্ষাগ্রহণকারীদের শিক্ষা দিচ্ছেন| বার্নাবাস পৌলকে আন্তিয়খিয়াতে এনেছিলেন|

‘‘আর তাহারা সম্পূর্ণ এক বৎসর কাল মন্ডলীতে একত্র হইতেন, এবং অনেক লোককে উপদেশ দিতেন’’ (প্রেরিত 11:26)|

লুস্ত্রা, ইকোনিয়ে, এবং আবার, আন্তিয়খিয়ায়, পৌল ঐ একই কাজ করেছিলেন,

‘‘যেন তাহারা বিশ্বাসে স্থির থাকে আর কহিলেন, অনেক ক্লেশের মধ্য দিয়া আমাদিগকে ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করিতে হইবে’’ (প্রেরিত 14:22)|

ডঃ শ্যাফ বলেছিলেন, "মন্ডলীটি পরজাতি জগতের মধ্যস্থলে অবস্থিত ছিল... বিশেষ শিক্ষক দ্বারা বাপ্তাইজিত করিবার জন্য [লোকদের] প্রস্তুত করিবার প্রয়োজনীয়তা ইহা উপলব্ধি করিয়াছিল... [শ্রেণীসমূহ] ছিল... শিক্ষানবিসদের পরিপক্কতার দিকে চালিত করিবার নিমিত্ত... জগত হইতে মন্ডলীর প্রতি একটি সেতু| তাহারা [শিক্ষার্থী] অবিশ্বাসী বলিয়া নয়, কিন্তু অর্দ্ধ-খ্রীষ্টবিশ্বাসী [এখনও শিষ্য নয়] বলিয়া বিবেচিত হইতেন| (হিস্ট্রি অফ দ্য খ্রীষ্টিয়ান চার্চ, ভলিউম 2, পৃষ্ঠা 256)| ডঃ শ্যাফ বলেছিলেন এই পদ্ধতি "এখনও পর্য্যন্ত ঘটনা" মিশনারিদের স্থানগুলিতে (আইবিড., পৃষ্ঠা 255)|

আমাদের সকালের সেবাকাজ পরিবর্তিত করে আমরা তাকে শিষ্যত্বের ক্লাস-এ পরিণত করতে চলেছি| আমি বিশ্বাস করি আমাদের নিজেদের সন্তানদের ধরে রাখতে আমাদের মন্ডলীর ব্যর্থতা, এবং জগৎ থেকে যুবকদের নথিভুক্ত করতে আমাদের ব্যর্থতা, সেই সত্যের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যেতে পারে যে মন্ডলীগুলি উপলব্ধি করছে না যে বর্তমানে যুবকরা হলেন পরজাতি, পৌত্তলিক, নতুন জন্মের অভিজ্ঞতা লাভ এবং খ্রীষ্টিয় জীবন অতিবাহিত করার আগে যাদের অবশ্যই শিষ্যত্ব দিতে হবে| সাউদার্ন ব্যাপটিষ্ট প্রত্যেক বছর 200,000 সদস্য হারাচ্ছে যারা কেবলমাত্র "অর্দ্ধ-খ্রীষ্টিয়" - কখনও শিষ্যত্ব নেননি! জন এস. ডিকারসন বলেছিলেন যে যুবক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের ইভাঞ্জেলিকাল জনসংখ্যা "বর্তমান আমেরিকানদের প্রায় 7 শতাংশ থেকে নেমে প্রায় 4 শতাংশ বা তারও কম হবে - যদি না নতুন করে শিষ্য তৈরী করা যায়" (দ্য গ্রেট ইভাঞ্জেলিকাল রিসেসন, পৃ. 314)|

সেটাই আমাদের লক্ষ্য| যুবকদের খ্রীষ্টে তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় পৌঁছাতে সাহায্য করাই আমাদের লক্ষ্য| আমরা এখানে এসেছি যুবকদের সাহায্য করতে যেন তারা আমাদের মন্ডলীতে আসেন, যীশুর শিষ্য হন, আবার জন্ম নেন, এবং যীশুর কাছে শিক্ষা লাভের জন্য অন্যদের আমাদের মন্ডলীতে নিয়ে আসার কাজ করেন, তাঁকে বিশ্বাস করেন এবং আবার জন্মলাভ করেন!

যারা মনোনীত, সেই যুবকগণ, কঠিন এবং প্রতিদ্বন্দীতামূলক কোন কিছুর জন্য প্রস্তুত থাকেন| যারা প্রকৃত খ্রীষ্টধর্ম্মের প্রতিদ্বন্দীতায় আগ্রহী নন তারা নিজেদের আগাছার মত বাইরে ফেলে দেবেন| আমরা চাই তারা সেটা করবেন না, কিন্তু আমাদের অভিজ্ঞতায় আমরা জানি যে তারা সেটাই করবেন! যখন তারা চলে যাবেন আপনার হৃদয় উদ্বিগ্ন হতে দেবেন না| মনে রাখবেন যে যীশু বলেছিলেন, "অনেকে আহুত, কিন্তু অল্পই মনোনীত|" কেবলমাত্র প্রকৃত শিষ্যরা যারা পুনর্জন্ম লাভ করেছেন তারাই থেকে যাবেন!

আসুন আমরা একসঙ্গে এগিয়ে যাই এবং জগতের কাছে প্রমাণ করি যে আমাদের ঈশ্বর এখনও জীবন্ত এবং শক্তিমান| অতীতে আমরা ভুল করেছি| কিন্তু আমাদের সব ভুল এবং অভিজ্ঞতাগুলি থেকে আমরা লাভ করেছি| আমাদের ব্যর্থতাগুলিকে আমরা সাফল্যে পরিণত করেছি| যখন আমরা বর্তমানের ধর্ম্মভ্রষ্টতার দুর্বলতার মধ্যেও একটা শক্তিশালী শিষ্যদের মন্ডলী গঠনের জন্য পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব আমরা আরও বেশী এবং আরও বড় সাফল্যের মুখ দেখব| মনে রাখবেন, আমরা কখনও থামব না, কখনও পিছিয়ে আসব না, এবং কখন ছেড়ে দেব না| আমরা কখনও থামব না যতক্ষণে আমাদের উত্তম মন্ডলী পরিণত হচ্ছে আরও বিখ্যাত একটা মন্ডলীতে - যা যুবকদের প্রতিদ্বন্দীতায় আহ্বান করবে এবং তাদের মধ্যে সেই শিষ্যদের একটা শক্তিশালী বাহিনী সৃষ্টি করবে যারা পুনর্জন্ম লাভ করেছেন! উঠে দাঁড়ান এবং আপনার গানের পাতার ছয় নম্বর গানটি করুন, "আমি কি ক্রুশের এক সৈনিক?" যেটা ডঃ ওয়াটস (1674-1748) এর লেখা একটি গান|

আমি কি ক্রুশের এক সৈনিক, মেষশাবকের এক অনুসরণকারী,
আমি তাঁর উদ্দেশ্য জানতে ভয় পাই, অথবা তাঁর নাম বলতে অপ্রতিভ হই?

আমি অবশ্যই পুস্পময় শান্তি শয্যায় আকাশে পৌছাব,
যখন অন্যেরা পুরস্কারের জন্য যুদ্ধ করছিল, এবং রক্তাক্ত সাগরে পাল তুলেছিল?

সাক্ষাতের জন্য আমার কি কোন শত্রু নাই? আমি কি প্লাবনের মূল ধারায় বইব না?
তারা কি অনুগ্রহের প্রতি জঘণ্য জগতের বন্ধু, ঈশ্বরের প্রতি আমাকে সাহায্য করুন?

নিশ্চয় আমি যুদ্ধ করব, যদি আমি রাজত্ব করি; প্রভু, আমার সাহস বৃদ্ধি কর|
আমি কঠোর পরিশ্রম করব, যন্ত্রণা সহ্য করব, তোমার বাক্যের সহায়তায়|
   (“Am I a Soldier of the Cross?”, Dr. Isaac Watts, 1674-1748) |


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

প্রচারের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন্কেড গ্রিফিথ:
     (“Am I a Soldier of the Cross?” by Dr. Isaac Watts, 1674-1748) |