Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




গিদিয়োনের সৈন্যবাহিনী !

GIDEON’S ARMY!
(Bengali)

2018 সালের, 24শে জুন, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে প্রচারিত একটি ধর্ম্মোপদেশ
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Evening, June 24, 2018

‘‘পরে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে কহিলেন, তোমার সঙ্গী লোকদের সংখ্যা এত অধিক যে, আমি মিদিয়নীয়দিগকে তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিব না; পাছে ইস্রায়েল আমার প্রতিকূলে গর্ব্ব করিয়া বলে, আমি আপন বাহুবলে নিস্তার পাইলাম’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:2)|


এটা সাধারণ একটা গল্প| কিন্তু গল্পটি খুব গুরুত্বপূর্ণ| গিদিয়োন ছিলেন এক যুবক যিনি মহা ধর্ম্মভ্রষ্টতার সময়ে বাস করতেন| সেটার উচিৎ আমাদের মনোযোগ এখনই আকর্ষণ করা কারণ আমরাও বর্তমানে মহা ধর্ম্মভ্রষ্টতার শেষ-সময়ে বাস করছি|

I. প্রথম, ধর্ম্মভ্রষ্টতা |

ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ইস্রায়েলের লোকরা মন্দ কাজ করেছিলেন| এবং ঈশ্বর তাদের মিদিয়নীয়দের দাসে পরিণত করিয়ে তাদের শাস্তি দিয়েছিলেন| তারা ছিলেন ইস্রায়েলের শত্রু| ইস্রায়েলের লোকরা এই সব অসভ্য মিদিয়নীয়দের থেকে পালিয়ে এসেছিলেন| ঈশ্বরবিহীন এই মিদিয়নিয়দের থেকে পালিয়ে তারা নিজেদেরকে পর্বতের গুহাতে লুকিয়ে রেখেছিলেন| মিদিয়নীয়রা এত শক্তিশালী ছিলেন যে তারা ইস্রায়েলের সব শস্য নষ্ট করে দিয়েছিলেন| তারা ইস্রায়েলীয়দের মেষ এবং ষাঁড় এবং গর্দভ চুরি করে নিয়েছিলেন| ইস্রায়েলকে চূর্ণ ও আশাহীন করে দেওয়া হয়েছিল| তারা সেই সময় ঈশ্বরের কাছে কেঁদে ফেলেছিলেন|

তখন ঈশ্বর গিদিয়োন এর কাছে এসেছিলেন| ঈশ্বর সেই সময় তার কাছে গিয়েছিলেন যখন তিনি মিদিয়নীয়দের থেকে লুকিয়ে ছিলেন| আর ঈশ্বর গিদিয়নকে বলেছিলেন, ‘‘হে বলবান বীর, সদাপ্রভু তোমার সহবর্ত্তী’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 6:12)|

আমি শক্তিশালী নির্ভীক মানুষ ছিলাম না যখন আমি সান ফ্রানসিকো শহরের উত্তর দিকে অবস্থিত এক উদারপন্থী, বাইবেল-অস্বীকারকারী সেমিনারিতে গিয়েছিলাম| আমি ছিলাম এক নম্র, কোমল স্বভাবের ব্যাপটিষ্ট প্রচার বালক| কিন্তু আমি সেই সেমিনারিতে যা দেখেছিলাম সেটা আমাকে আধুনিক সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের প্রতি অত্যন্ত ক্রুদ্ধ করে তুলেছিল| তারা বাইবেলের ঈশ্বরে বিশ্বাস করতেন না| তারা নিয়ন্ত্রিত ছিলেন মিদিয়নীয়দের দ্বারা - সেই মিদিয়নীয় যারা ঈশ্বরকে একটা আঁটো-সাঁটো পোষাকে আবদ্ধ করে রাখতে চেয়েছিলেন - যারা চাইতেন না যে ঈশ্বর তাদের চিন্তাভাবনা বা তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করুন|

আমাদের সময়ে ডঃ ডেভিড এফ. ওয়েলস সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের দুর্নীতি সম্বন্ধে একটা তাৎপর্য্যপূর্ণ বই লিখেছিলেন| বইটির নাম, No Place for Truth: or Whatever Happened to Evangelical Theology? (সত্যের কোন স্থান নেই; অথবা ইভানজেলিকাল তত্ত্বের প্রতি যা কিছু ঘটেছিল?) (এর্ডম্যানস, 1993)| ডঃ ওয়েলস একজন রাগী মানুষ ছিলেন| তিনি বলেছিলেন, ‘‘সুসমাচার সংক্রান্ত জগৎ ইহার নিয়মতান্ত্রিক মতবাদ হারাইয়াছে’’ (পৃ. 295)| সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের মন্ডলীগুলি যুবকদের আর ভিত্তিগত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার অনুপ্রেরণা দেয় না| সেগুলি হয়েছে নম্র, দুর্বল, এবং স্বার্থপর - লোকরা তাদের সম্বন্ধে কি ভাববেন তার ভয়ে প্রচার করতে তারা ভয় পায়| যারা দেখতে চান যে মন্ডলীগুলি পুনঃজাগরিত হয়েছে এবং বর্তমানে বেঁচে রয়েছে সেই সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের প্রতিষ্ঠান যে কারও সঙ্গে লড়াই করবে| ডঃ ওয়েলস বলেছিলেন, ‘‘সুসমাচার সংক্রান্ত জগতে প্রথানুসারি কর্ম বা আচরণ হইতেছে একটি শক্তিশালী ক্ষমতা, এবং ইহা দ্রুত একক ভিন্নমতাবলম্বীদের কন্ঠরোধ করিয়া দেয়’’ (পৃ. 295)|

আমি যে সেমিনারিতে ছিলাম সেখানে তারা বেপরোয়াভাবে চেষ্টা করেছিলেন তাদের অবিশ্বাসের সঙ্গে আমাকে খাপ খাওয়াতে| তারা আমাকে বলেছিলেন যে যদি আমি বাইবেল সমর্থন করতেই থাকি আমি কখনও একটা সাউদার্ন ব্যাপটিষ্ট মন্ডলী পাব না| আমি তাদের বলেছিলাম, ‘‘সেটাই যদি এর মূল্য হয়, তবে আমার তা চাই না|’’

ঐ বিষয়ে স্থির থাকার জন্য আমি সবকিছু হারিয়েছিলাম| আমাকে কি কি হারাতে হয়েছিল? আমি সবকিছু হারিয়েছিলাম যা যা ইতিমধ্যেই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল| আমি যা চাইতাম সাউদার্ন ব্যাপটিষ্টের কাছে সেগুলি কিছুই আর ছিল না| আমি সেই সম্প্রদায়কে ঘৃণা করতে আরম্ভ করেছিলাম| আমি সেই সেমিনারিকে ঘৃণা করতাম| আমাকে সহায়তা না করার জন্য আমি আমার মন্ডলীকে ঘৃণা করেছি| আমি নিজের জীবনকে ঘৃণা করেছি| যীশু ও বাইবেল ছাড়া আমি সব কিছু ঘৃণা করতাম| আমি রাত্রে একাকী ঘুরে বেড়াতাম| আমাকে ঘুরতেই হত নয়ত আমার মনে হত যেন আমি আমার মনকেই হারিয়ে ফেলব|

একদিন রাত্রে অবশেষে আমি আমার ডর্মিটরিতে ঘুমিয়ে ছিলাম| ঈশ্বর স্বয়ং আমাকে জাগালেন| ডর্মিটরি ছিল শান্ত| একটাও শব্দ ছিল না| সেই রাত্রে আমি বের হয়ে এসেছিলাম| সেমিনারির পাশের পাহাড়ে যেমন আমি গিয়ে দাঁড়ালাম উপসাগরের জলের উপর দিয়ে আমি দূরে সানফ্রানসিসকো শহরের আলোগুলি দেখতে পেলাম| আমার পোষাক ও মাথার চুলের মধ্যে বাতাস বয়ে যাচ্ছিল| ঠান্ডায় আমার হাড় অবধি কেঁপে উঠছিল| এবং সেই বাতাসের মধ্যে দিয়ে ঈশ্বর আমাকে তখন বলেছিলেন, ‘‘এই রাত্রির কথা তুমি কখনও ভুলবে না| এখন থেকে তুমি খালি আমাকে সন্তুষ্ট করতে প্রচার করবে| এখন তুমি ভয় না পাওয়ার শিক্ষা গ্রহণ করবে| এখন থেকে তুমি শুধু আমার পক্ষে কথা বলবে| আমি তোমার সঙ্গে থাকব|’’

এখন আমি বুঝতে পারি যে সেটা ছিল আমার প্রতি প্রচারের আহ্বান| তার আগে আমি ছিলাম এক স্বেচ্ছাসেবক মাত্র| এখন আমি হয়েছিলাম ঈশ্বর-আহুত প্রচারক| আমি বিশ্বাস করি যে প্রত্যেক নির্ভীক প্রচারককে এমন একটি সন্ধিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ঈশ্বর তাকে বিশ্বাস করতে পারার আগে যে তিনি সত্যিকথা বলবেন| সেখানে কোন আবেগ ছিল না| ছিল একমাত্র এই, ‘‘তুমি যদি ইহা না বল আর কেহই বলিবে না, এবং ইহা বেপরোয়াভাবে বলিবার প্রয়োজন আছে - এবং অন্যেরা ইহা বলিতে ভীত হন, সেইজন্য তুমি যদি ইহা না বল, কেহই বলিবে না, অথবা তাহারা অন্ততঃ ইহা ভাল করিয়া বলিবে না|’’ চিরকালের জন্য আমার মনে গেঁথে থাকা এই ভাবনা নিয়ে আমি চলছি| ডঃ ডব্লিউ. এ. টোজার, “The Gift of Prophetic Insight” (ভাববাদীয় অন্তর্দৃষ্টির উপহার), নামের এক রচনাতে এরকম বলেছিলেন: ‘‘তিনি বিসদৃশ্য হইবেন, প্রকাশ্যে অভিযোগ করিবেন এবং ঈশ্বরের নামের প্রতিবাদ করিবেন এবং খ্রীষ্টিয় রাজ্যের এক বৃহৎ অংশের ঘৃণা ও বিরোধিতা অর্জন করিবেন...কিন্তু তিনি কোন কিছুতেই ভয় করিবেন না যাহা মরণশীল শ্বাসের সহিত শ্বাস লইতেছে|’’ সম্ভবত সেটাই কারণ যে ডঃ বব জোনস III বলেছিলেন আমি হলাম ‘‘আচার-আচরণ ও আত্মায় পুরাতন নিয়মের ভাববাদী সদৃশ|’’ এই সবের আরও ব্যাখ্যা পেতে হলে, পড়ুন আমার আত্মজীবনী, “Against All Fears” (সমস্ত ভয়ের বিরুদ্ধে)|

ঈশ্বরের সঙ্গে মধ্যরাতের সেই অভিজ্ঞতা আমাকে গিদিয়োনের মত একজন মানুষকে বুঝতে সক্ষম করেছিল| ঈশ্বর তাকে বলেছিলেন, ‘‘হে বলবান বীর, সদাপ্রভু তোমার সহবর্ত্তী|’’ যদিও আমি নিশ্চিতভাবে গিদিয়োন নই, আমি অন্ততপক্ষে এখন তাকে বুঝতে পারছি| গিদিয়োন বলেছিলেন, ‘‘কিন্তু সম্প্রতি সদাপ্রভু আমাদিগকে ত্যাগ করিয়াছেন, মিদিয়নের হস্তে সমর্পণ করিয়াছেন’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 6:13)|

গিদিয়োন এই কাজ করতে নিজেকে অযোগ্য ও অক্ষম অনুভব করেছিলেন| মোশির মতন, গিদিয়োনও অজুহাত দিয়েছিলেন| আমার বন্ধুগণ, আমরা এখানে, শেষের দিনের সেই মহা ধর্ম্মভ্রষ্টতার মধ্যে বসবাস করছি| নব্য-সুসমাচার সংক্রান্ত মিদিয়নীয়দের ভ্রান্ত ধর্ম্মের প্রচার এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা নিজেদের অযোগ্য ও অক্ষম অনুভব করছি| সেই ধর্ম্মভ্রষ্টতা অতি গভীর| সুসমাচার সংক্রান্ত মিদিয়নীয়দের ক্ষমতা খুবই বিশাল| এই সমস্ত ধর্ম্মত্যাগীদের কবল থেকে আমরা বাইবেল এবং বাইবেলের ঈশ্বরকে রক্ষা করার জন্য কিছুই করতে পারছি না|

II. দ্বিতীয়, বাইবেলের ঈশ্বর এখনও জীবিত !

ঈশ্বর বলেছিলেন, ‘‘কারণ আমি সদাপ্রভু, আমার পরিবর্ত্তন নাই’’! (মালাখি 3:6)| তখন ঈশ্বরের আত্মা গিদিয়োনের উপর নেমে এসেছিলেন| তিনি দূত প্রেরণ করেছিলেন যারা ইস্রায়েলীয় জনগণকে একত্রে সংগ্রহ করেছিলেন মিদিয়নীয়দের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য|

‘‘পরে যিরুব্বাল অর্থাৎ গিদিয়োন ও তাঁহার সঙ্গী সমস্ত লোক প্রত্যূষে উঠিয়া হারোদ নামক উনুইর নিকটে শিবির স্থাপন করিলেন; তখন মিদিয়নের শিবির তাঁহাদের উত্তরদিকে মোরি পর্ব্বতের নিকটে তলভূমিতে ছিল| পরে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে কহিলেন, তোমার সঙ্গী লোকদের সংখ্যা এত অধিক যে, আমি মিদিয়নীয়দিগকে তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিব না; পাছে ইস্রায়েল আমার প্রতিকূলে গর্ব্ব করিয়া বলে, আমি আপন বাহুবলে নিস্তার পাইলাম| তুমি এক্ষণে লোকদের কর্ণগোচরে এই কথা ঘোষণা কর, যে কেহ ভীত ও ত্রাসযুক্ত, সে ফিরিয়া গিলিয়দ পর্ব্বত হইতে প্রস্থান করুক| তাহাতে লোকদের মধ্য হইতে বাইশ সহস্র লোক ফিরিয়া গেল, দশ সহস্র অবশিষ্ট থাকিল’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:1-3)|

ঈশ্বর গিদিয়োনকে বলেছিলেন, ‘‘তোমার সঙ্গী লোকদের সংখ্যা এত অধিক|’’ যাও এবং বল, ‘‘যে কেহ ভীত ও ত্রাসযুক্ত, সে ফিরিয়া গিলিয়দ পর্ব্বত হইতে প্রস্থান করুক’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:3)|

বাইশ হাজার লোক ফিরে গিয়েছিলেন| দশ হাজার গিদিয়োনের সঙ্গে থেকে গিয়েছিলেন| সেটা আমাদের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল| আমাদের মন্ডলী যখন লা-ক্যান্টা জুনিয়র স্কুলে মিলিত হত আমাদের লোকসংখ্যা 1,100 পর্যন্ত উঠেছিল| কিন্তু তাদের বেশীর ভাগ লোক যীশুর জন্য নিজের জীবনের ঝুঁকি নিতে ভীত ছিলেন| অন্যরা আমাদের মন্ডলী ত্যাগ করেছিলেন ‘‘হইহুল্লোড়’’ - বা যৌনতা -বা ড্রাগের জন্য| যারা ছেড়ে চলে গেছিলেন তাদের বিবরণ যীশুর বীজ বপনের দৃষ্টান্তে দেখানো হয়েছে| লূক 8:10-15 পদগুলিতে সেই দৃষ্টান্ত ব্যাখ্যা করা হয়েছে| প্রথম ধরণের লোকরা হলেন তারা যারা ঈশ্বরের বাক্য শোনেন, এবং এরপরে দিয়াবল আসে এবং তাদের অন্তর থেকে সেই বাক্য হরণ করে ‘‘যেন তাহারা বিশ্বাস করিয়া পরিত্রাণ না পায়’’ (লূক 8:12)| আমরা প্রায় প্রতি সপ্তাহে এরকম দেখছি| তারা আসেন এবং ধর্ম্মোপদেশ শোনার পরিবর্তে নিজেদের আই-প্যাডের দিকে তাকিয়ে থাকেন| অথবা তারা চোখ বন্ধ করে থাকেন এবং মনে মনে অন্য কিছু ভাবেন| ঈশ্বরের বাক্য তাদের মোটেও কিছু ভাল করে না, কারণ তারা দিয়াবলকে সেই বাক্য তাদের অন্তর থেকে হরণ করে নিতে দিয়েছেন|

দ্বিতীয় ধরণের লোকরা হলেন তারা যারা আনন্দের সঙ্গে সেই বাক্য শোনেন| কিন্তু খ্রীষ্টের মধ্যে তাদের শিকড় প্রোথিত নেই| সেইজন্যে তারা কিছুক্ষণের জন্য বিশ্বাস করেন বলে মনে হয়| কিন্তু যখন তাদের প্রলোভিত করা হয় তারা পতিত হন|

তৃতীয় ধরণের লোকরা হলেন তারা যারা সেইসব বাক্য শোনেন এবং তারপরে নিজের কাজে চলে যান| আর তারপরে পরিচর্যা এবং সম্পদ এবং জীবনের সুখ স্বাচ্ছ্যন্দের দ্বারা তারা শ্বাসরুদ্ধ হন, ‘‘এবং কোন উত্তম ফল আনতে পারেন না|’’ ডঃ জে. ভারনন ম্যাকগী সঠিক ছিলেন যখন তিনি বলেছিলেন যে এই তিন ধরণের লোক কখনও পরিত্রাণ লাভ করেন না| এরা হলেন সেই সমস্ত লোকের প্রতিচ্ছবি অতীতে যারা আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন| তাদের জীবন আমাদের দেখায় যে তাদের একজনও প্রকৃতভাবে মন পরিবর্তন করেননি| তারা শুধুমাত্র সহভাগিতার জন্য ও আমাদের মন্ডলীতে মজা নিতে এসেছিলেন| কিন্তু যখন তাদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল তারা ছেড়ে গিয়েছিলেন কারণ তারা কখনও অনুতাপিত হন নি এবং কখনও নতুন জন্ম লাভ করেননি| তারা সেই বাইশ হাজার লোকের প্রতিচ্ছবি যারা গিদিয়োনকে সাহায্য করতে এসেছিলেন কিন্তু সেই কাজে আটকে থাকতে এবং ঈশ্বরের সৈন্যদলে পরিণত হতে অতি ভীত ছিলেন! এবং ক্রুশের সৈন্যদল!

‘‘পরে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে কহিলেন, তোমার সঙ্গী লোকদের সংখ্যা এত অধিক যে, আমি মিদিয়নীয়দিগকে তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিব না; পাছে ইস্রায়েল আমার প্রতিকূলে গর্ব্ব করিয়া বলে, আমি আপন বাহুবলে নিস্তার পাইলাম’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:2)|

কিন্তু সেখানে তখনও অনেক লোক ছিলেন| ঈশ্বর গিদিয়োনকে বলেছিলেন, ‘‘লোক এখনও অধিক আছে; তুমি তাহাদিগকে লইয়া ঐ জলের কাছে নামিয়া যাও; সেখানে আমি তোমার জন্য তাহাদের পরীক্ষা লইব’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:4)| সেই স্থানটি খুব গরম ছিল ‘‘মোরি পর্ব্বতের নিকটে তলভূমিতে ছিল’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:1)| ইস্রায়েলীয়েরা খুব তৃষ্ণার্ত হয়েছিলেন| গিদিয়োনের বেশীর ভাগ লোক জলের দিকে ছুটলেন, নতজানু হয়ে মাথা নিচু করে জলের মধ্যে হাত ডুবিয়ে দিলেন, এবং নিচু হয়ে সেই জল চেটে খেলেন| ‘‘তাহাতে সংখ্যায় তিন শত লোক মুখে অঞ্জলী তুলিয়া জল চাটিয়া খাইল’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:6)| বেশীর ভাগ লোক মাথা নিচু করে জলে হাত ডুবিয়ে দিয়েছিলেন কারণ তারা অত্যন্ত তৃষ্ণার্ত ছিলেন| কিন্তু মাত্র তিনশ লোক অঞ্জলী ভরে জল তুলে নিয়েছিলেন এবং হাত থেকে সেই জল পান করেছিলেন| তারা জানতেন যে মিদিয়নীয়দের প্রতি নজর রাখতে, তাদের নিজেদের মাথা উঁচু করে রাখতে হবে|

‘‘তখন সদাপ্রভু গিদিয়োনকে কহিলেন, এই যে তিন শত লোক জল চাটিয়া খাইল, ইহাদের দ্বারা আমি তোমাদিগকে নিস্তার করিব, ও মিদিয়নীয়দিগকে তোমার হস্তে সমর্পণ করিব; অন্য সমস্ত লোক স্বস্থানে গমন করুক’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:7)|

আজ রাত্রে আমরা গিদিয়োনের এই তিনশ সৈন্যের সঙ্গে যতদূর যেতে পারি তার বিবরণ দেব| মিদিয়নীয়রা তখন সেখানে উপত্যকাতে, ‘‘পঙ্গপালের ন্যায় তলভূমিতে পড়িয়াছিল, এবং তাহাদের উষ্ট্রও বাহুল্য প্রযুক্ত সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় অসংখ্য ছিল’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:12)| সেই রাত্রে ঈশ্বর মিদিয়নীয়দের শক্তিশালী সৈন্যবাহিনীকে গিদিয়োনের তিনশ লোকের হাতে সমর্পণ করেছিলেন| মিদিয়নীয়রা ভয়ে প্রাণ নিয়ে ছুটে পালিয়েছিলেন| এবং ইস্রায়েলীয়রা, ওরেব ও সেব নামের মিদিয়নীয়দের দুই অধ্যক্ষকে ধরেছিলেন, এবং তাদের শিরশ্ছেদ করে মুন্ডু দুটি গিদিয়োনের কাছে নিয়ে এসেছিলেন (দেখুন বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:25)| মাত্র তিনশ সৈন্যের একটা ছোট্ট দলের সাহায্যে ঈশ্বর বিজয় লাভ করেছিলেন!

আজ রাত্রে আমাদের জন্য একটি শিক্ষা রয়েছে| আজকের দিনে বেশীর ভাগ মন্ডলী সেই সব লোকদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে যাদের আগ্রহ শুধু সংখ্যার প্রতি থাকে| এরা হলেন সুসমাচার সংক্রান্ত মিদিয়নীয়| তারা মনে করেন যে শতাধিক লোকের উপস্থিতি থাকাটা দরকার| এবং তবুও তারা ক্ষমতাহীন হয়ে থাকেন| গিদিয়োন ও তার সেই ছোট্ট বিশ্বস্ত সৈন্যদলের কথা ভাবলে ঐসব প্রচারকদের জন্য সেটা খুব উপকারী হবে|

জোনাথান এস. ডিকারসন একটা বিখ্যাত বই লিখেছিলেন যার শিরোনাম হল The Great Evangelical Recession (দ্য গ্রেট ইভাঞ্জেলিকাল রিসেসন) (বেকার বুক্স)| তিনি সেই পরিসংখ্যান দিয়েছিলেন| বর্তমানে আমাদের যুবকদের মধ্যে মাত্র 7% যুবক সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারক হয়েছেন বলে দাবী করেন| পরবর্তী কুড়ি বছরে পঁয়তাল্লিশ শতাংশ সুসমাচার সংক্রান্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী মারা যাবেন| এর মানে সুসমাচার সংক্রান্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী যুবকদের সংখ্যা খুব তাড়াতাড়ি 7% থেকে কমে এসে প্রায় মাত্র ‘‘4 শতাংশ বা তার কম হবে - যদি না নতুন করে শিষ্য তৈরী করা যায়’’ (আইবিড., পৃ. 144)|

মন্ডলীতে যুবকদের সংখ্যায় এরকম একটা হ্রাস হচ্ছে কেন? আমি দৃঢ়নিশ্চিত যে এর কারণ জীবন্ত খ্রীষ্টধর্ম্ম তাদের কখনও প্রতিযোগিতায় আহ্বান করেনি| আমাদের লক্ষ্য কি? এই মন্ডলীতে আমাদের লক্ষ্য হল যুবকদের খ্রীষ্টে তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় পৌঁছাতে সাহায্য করা| আমরা এখানে গিদিয়োনের সৈন্যদলের মতন যুবকদের একটি দল গঠনের জন্য রয়েছি| এই মন্ডলীতে আসতে যুবকদের সাহায্য করতে এবং তাদেরকে যীশু খ্রীষ্টের শিষ্যে পরিণত করাতে আমরা এই মন্ডলীতে রয়েছি| যে ব্যক্তিদের আমরা খ্রীষ্টের সৈন্যদলে নথিভূক্ত করতে চাইছি তারা হলেন যুবক| তারা হলেন সেই যুবক যারা নতুন এবং প্রতিদ্বন্দিতামূলক কিছু একটা করতে প্রস্তুত হয়ে আছেন| যীশু বলেছিলেন,

‘‘কেহ যদি আমার পশ্চাৎ আসিতে ইচ্ছা করে, সে আপনাকে অস্বীকার করুক, আপন ক্রুশ তুলিয়া লউক, এবং আমার পশ্চাদগামী হউক’’ (মার্ক 8:34)|

যারা যীশুকে অনুসরণ করতে আগ্রহী হন না, তাদের আগাছার মত উপড়ে বাইরে ফেলে দেওয়া উচিৎ, এর মূল্য যাই দিতে হোক না কেন সেটা কোন ব্যাপার না| যারা শিশুদের মত পরিচর্যা পেতে চাইছেন তাদের আমি বলি ‘‘গ্রহণকারী|’’ যারা ‘‘গ্রহণকারী’’ তারা কখনও নিজেদের অস্বীকার করতে পারেন না| তারা যীশুকে কোন কিছুই দিতে চান না| যদি চিরকালের জন্য আপনি পরিচর্যা পেতে চাইছেন, তাহলে এই মন্ডলী আপনার জন্য নয়|

আমার স্ত্রী এলিনা এই মন্ডলীতে এসেছিলেন যখন তার বয়স ছিল মাত্র ষোল বছর| তিন সপ্তাহের মধ্যে তিনি মন্ডলীতে আসার জন্য নিজের ব্যবস্থা নিজেই করে নিয়েছিলেন| মাত্র তিন সপ্তাহ পরে তাকে আর ‘‘তুলে আনার’’ দরকার পড়তো না| তখন থেকেই তিনি আমাদের মন্ডলীর একজন কর্মীতে পরিণত হয়েছিলেন| যখন তিনি 17 বছরের ছিলেন তিনি মন্ডলীর ফোনার হয়েছিলেন| তার মাত্র 19 বছর বয়সে তিনি আমাকে বিয়ে করেছিলেন| আমাদের যমজ ছেলে জন্মানোর পরের প্রথম রবিবারটিতেই তিনি তাদের নিয়ে মন্ডলীতে এসেছিলেন| আমার ছেলে লেসলী যেদিন জন্ম নেয় তারপর থেকে কখনো রবিবারে মন্ডলীতে আসতে ভোলেনি| ওয়েসলী তার গোটা জীবনে মাত্র একবার একটা রবিবারে আসতে পারেনি তার অসুস্থতার কারণে| অন্যান্য বেশ কয়েকজন মহিলা বলেন এটা খুব বাড়াবাড়ি| তারা তাদের সন্তানকে বাড়িতে রেখে দিতেন যখনই তাদের সামান্য একটু হাঁচি হত| কিন্তু আমার স্ত্রী ঠিক করেছেন এবং অন্যেরা ভুল করতেন| তাদের প্রায় সব সন্তানই একটা স্বার্থপরের জীবন অতিবাহিত করতে মন্ডলী ছেড়ে চলে গেছেন| আমার দুই ছেলেই এখানে প্রত্যেকটি সেবাকাজের মধ্যে আজ অবধি আছে| আমার স্ত্রী খ্রীষ্টের শিষ্যা হওয়ার কারণেই তারা এখানে আছে| ডঃ ক্রেইগটন এল. চান, যাকে আমরা আর কয়েক মিনিটের মধ্যে তার ষাটতম জন্মদিন উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা জানাবো, মিসেস হেইমার্স সম্বন্ধে বলেছেন, ‘‘আমি তাকে তখন থেকে জানি যখন তিনি প্রথম আমাদের মন্ডলীতে এসেছিলেন| তার তখন ছিল, খ্রীষ্টের জন্য গভীর ভালবাসা এবং হারানো আত্মার জন্য আবেগ, এবং এখনও তিনি তা বজায় রেখেছেন| একজন [কিশোরী] হিসাবে তিনি তার জীবন আমাদের মন্ডলীর সেবাকাজে সমর্পণ করেছিলেন এবং কোন কিছুই পিছনে ধরে রাখেননি...যুবকগণ, মিসেস হেইমারস হোক আপনাদের আদর্শ| যদি আপনারা তার উদাহরণ অনুসরণ করেন, আমাদের মন্ডলী একটা উজ্জ্বল ও গৌরবময় ভবিষ্যৎ অর্জন করবে|’’

যেহেতু আজ রাত্রে আমরা ডঃ চেন এর ষাটতম জন্মদিন উদ্যাপন করছি আমার বলা উচিৎ যে তিনিও হলেন খ্রীষ্টের শিষ্যের এক উজ্জ্বল উদাহরণ| তিনি আমাদের মন্ডলীর একজন অভিষিক্ত পালক| তিনি বাচ্চাদের মতন খুব রুগ্ন ছিলেন| তিনি এত অসুস্থ থাকতেন যে তার শৈশবের বেশীর ভাগ দিনই তাকে হাসপাতালে একটা কাঁচের খাঁচার মধ্যে রাখতে হত| এক কিশোর হিসাবে তিনি আমাদের মন্ডলীতে মেডিকাল ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছায় পড়াশোনা করছিলেন| অন্য ডাক্তাররা তাকে বলতেন তিনি তিরিশ বছরের বেশী বাঁচবেন না| তিনি একজন দুর্বল ক্ষুদ্র মানুষে পরিণত হতে পারতেন যার পরিচর্যা মন্ডলীকেই করে যেতে হত| কিন্তু না! তিনি নিজেকে মন্ডলীর কাজকর্মে যুক্ত করেছিলেন এবং নিজেকে খ্রীষ্টের শিষ্যে পরিণত করেছিলেন| ডাক্তাররা তাকে বলতেন খুব বেশী পরিশ্রম না করতে নয়তো তিনি তিরিশ বছরের বেশী বাঁচবেন না| কিন্তু প্রকৃতপক্ষে খ্রীষ্টের কাজই ডঃ চানকে শক্তিশালী করে তুলেছিল| একটা সুন্দর, সুস্থ জীবন নিয়ে তিনি প্রত্যাশার চাইতেও তিরিশ বছরের বেশীদিন ধরে জীবন অতিবাহিত করে চলেছেন| তিনি তার ক্রুশ তুলে নিয়েছিলেন এবং খ্রীষ্টকে অনুসরণ করেছিলেন| এবং এখন এই ষাট বছর বয়সে তিনি মঞ্চে ঈশ্বরের এক শক্তিশালী মানুষ হিসাবে বসে রয়েছেন!

আমি আরও যেতে পারি এবং আপনাদের বলতে পারি মিঃ মেনসিয়া, এবং মিসেস সালাৎজার, এবং মিঃ বেন গ্রিফিথ এর সম্পর্কে, যিনি আজ রাত্রে তার স্ত্রীকে নিয়ে ছুটি কাটাতে গেছেন| মিঃ এবং মিসেস ভিরগেল নিক্কেল, আমি আপনাদের এদের সম্পর্কে বলতে পারি যিনি এই বাড়িটি কেনার জন্য বেশীর ভাগ টাকা ধার দিয়েছিলেন| মিঃ নিক্কেল ডায়াবেটিস রোগ নিয়ে বেঁচে থাকা এক 75 বছরের বৃদ্ধ - তা সত্বেও তিনি যাতায়াত উভয় দিকেই এক ঘন্টারও বেশী সময় ধরে নিজে গাড়ি চালিয়ে প্রতি বুধবার রাত্রে, প্রতি ব্রবিবার সকালে এবং প্রতি রবিবার রাত্রে, এই মন্ডলীতে উপস্থিত হতে আসেন| অথবা আমি আপনাদের এই বিস্ময়কর যুবক, রেভারেন্ড জন শমূয়েল কেগানের সম্পর্কে বলতে পারি যিনি খুব শীঘ্র আমার বদলে এই মন্ডলীর পালক হতে চলেছেন| এইসমস্ত লোকদের সবাই খ্রীষ্টের শিষ্য, এবং ক্রুশের সৈন্যে পরিণত হয়েছেন|

আমার পালক ডঃ তীমথি লীন বলেছিলেন, ‘‘অধিক এর তুলনায় অল্প উত্তম...সংরক্ষিত প্রতিটি বসার স্থান রবিবার হয়ত পূর্ণ হইতে পারে, কিন্তু সত্য ঘটনা যাহা তাহা হইল যে প্রার্থনা সভায় কতিপয় মুষ্টিমেয় ব্যক্তি উপস্থিত থাকেন...আমরা বলিতে পারি না যে উহা স্বাস্থ্যকর’’ (The Secret of Church Growth, পৃ. 39)|

বাইবেল এর মধ্য দিয়ে দেখুন| আপনি বারে বারে দেখবেন যে ‘‘অধিক এর তুলনায় অল্প উত্তম|’’ যীশু 11 জন লোক সঙ্গে নিয়েছিলেন এবং জগৎ পরিবর্তন করেছিলেন কারণ তাঁর লোকরা তাঁর জন্য এবং তাঁর কারণে মারা যেতেও রাজি ছিলেন| মন্ডলীর ইতিহাসেও আমরা একই শিক্ষা দেখতে পাই| পঞ্চসপ্তমীতে মাত্র 120 জন লোক উপস্থিত ছিলেন| কেবলমাত্র সামান্য কয়েকজন মোরাভিয়ান খ্রীষ্ট বিশ্বাসী আধুনিক মিশন আন্দোলন প্রজ্জ্বলিত করেছিলেন| সামান্য কয়েকজন মেথডিস্ট, মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন, মহা উদ্দীপনা প্রজ্জ্বলিত করেছিলেন| চীন দেশে সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের জন্য মাত্র কয়েকজন জেমস হাডসন টেইলারকে অনুসরণ করেছিলেন|

যারা নিজেদের শ্রেষ্ঠটি খ্রীষ্টকে দিতে ইচ্ছুক নন তাদের আগাছার মত উপড়ে ফেলে দেওয়া উচিৎ| যারা চিরকাল শিশুদের মত পরিচর্যা পেতে চান তাদের আগাছার মতন উপড়ে ফেলে দেওয়া উচিৎ| যারা নিজেদের আরামের জায়গা থেকে নড়তে চান না তাদের আগাছার মতন তুলে ফেলে দেওয়া উচিৎ| তারা হলেন চিরকালের ‘‘গ্রহণকারী’’ যারা কখনও খ্রীষ্টকে কিছু প্রদান করেন না| যদি আমরা শিষ্যদের নিয়ে একটা মন্ডলী গড়তে চাই তো আমাদের অবশ্যই ‘‘গ্রহণকারী’’দের চলে যেতে দিতে হবে, যাতে আমরা সেই যুবকদের পেতে পারি যারা কোমল নব্য-সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারের মিদিয়নীয়দের প্রতিদ্বন্দীতায় আহ্বান করতে, এবং পরিবর্তন করতে চান| আমাদের অবশ্যই তাদেরকে উৎসাহ জোগাতে হবে যারা খ্রীষ্টের জন্য নিজেদের জীবনকে গণ্য করাতে চান| এবং আমাদের অবশ্যই তাদের উৎসাহ দেব না যারা চান আমরা তাদের পরিচর্যা করে চলি সেই শিশুদের পরিচর্যা করার মতন যারা কখনও বড় হয় না! আমরা অবশ্যই তাদের উৎসাহ দেব যারা যীশুর শিষ্য হতে চান এবং অবশ্যই বাকিদের বাড়ি যেতে দিব, যেমন গিদিয়োন করেছিলেন!

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান এবং আপনার গানের পাতার 1 নম্বর গানটি করুন, ‘‘অগ্রসর হও, আজি খ্রীষ্ট সেনা সব|’’ গানটি করুন!

অগ্রসর হও, আজি খ্রীষ্ট সেনা সব,
   সবে মিলে আইস করি বিজয় রব:
কর খ্রীষ্টের নামে গৌরব সংঘোষন;
   দূত ও নরে, সবে মিলে কর সংকীর্ত্তন!
অগ্রসর হও, আজি খ্রীষ্ট সেনা সব,
   সবে মিলে আইস, করি বিজয় রব|

প্রবল সেনা তুল্য খ্রীষ্টের মন্ডলী;
   ত্রাতার পদচিহ্নে, সকলে চলি;
কেহ পৃথক নহি, একাঙ্গ সকল,
   একই আশা, একই সত্য, একই প্রেম সম্বল|
অগ্রসর হও, আজি খ্রীষ্ট সেনা সব,
   সবে মিলে আইস করি বিজয় রব|

রাজ্য, সম্রাট কিরীট কত আসে যায়,
   খ্রীষ্টের মন্ডলী চির বৃদ্ধি পায়;
নরক দ্বার না পারে পরাজিতে তায়;
   খ্রীষ্টের এ প্রতিজ্ঞা, দেখ মানে না বাধায়|
অগ্রসর হও, আজি খ্রীষ্ট সেনা সব,
   সবে মিলে আইস করি বিজয় রব|
(“Onward, Christian Soldiers,” Sabine Baring-Gould, 1834-1924)|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

প্রচারের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ নোহ সং:
(“Onward, Christian Soldiers,” Sabine Baring-Gould, 1834-1924)|


খসড়া চিত্র

গিদিয়োনের সৈন্যবাহিনী !

GIDEON’S ARMY!

ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র

‘‘পরে সদাপ্রভু গিদিয়োনকে কহিলেন, তোমার সঙ্গী লোকদের সংখ্যা এত অধিক যে, আমি মিদিয়নীয়দিগকে তাহাদের হস্তে সমর্পণ করিব না; পাছে ইস্রায়েল আমার প্রতিকূলে গর্ব্ব করিয়া বলে, আমি আপন বাহুবলে নিস্তার পাইলাম’’ (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:2)|

I.   প্রথম, ধর্ম্মভ্রষ্টতা, বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 6:12, 13 |

II.  দ্বিতীয়, বাইবেলের ঈশ্বর এখনও জীবিত! মালাখি 3:6;
বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:1-3; লূক 8:12;
বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ 7:4, 1, 6, 7, 12; মার্ক 8:34 |