Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




‘‘অনুগ্রহের প্রণালী’’ জর্জ হোয়াইটফিল্ড প্রণীত,
আধুনিক ইংরাজিতে সংক্ষিপ্তকৃত ও অভিযোজিত

“THE METHOD OF GRACE” BY GEORGE WHITEFIELD,
CONDENSED AND ADAPTED TO MODERN ENGLISH
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

2017 সালের, 8ই জানুয়ারী, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলা লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে মিঃ জন্ শ্যমূয়েল কেগানের
দ্বারা এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached by Mr. John Samuel Cagan
at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, January 8, 2017

‘‘আর তাহারা আমার জাতির ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন শান্তি শান্তি বলিয়াছে’’ (যিরমিয় 6:14)|


ভূমিকা : 1714 সালে ইংল্যান্ডের, গ্লুসেস্টার শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন| তিনি একজন পানশালা মালিকের ছেলে ছিলেন| এই পরিবেশে থাকা এক শিশু হিসাবে তার উপরে খুব সামান্যই খ্রীষ্টিয় প্রভাব পড়েছিল, কিন্তু বিদ্যালয় শিক্ষাতে তার এক অস্বাভাবিক ক্ষমতা ছিল| তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করেছিলেন যেখানে তিনি জন্ এবং চার্লস ওয়েস্লীকে বন্ধু হিসাবে পেয়েছিলেন এবং তাদের প্রার্থনার অংশীদার ও বাইবেল অধ্যয়ন দলের সদস্য হয়েছিলেন|

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন তিনি মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন| তার অল্প কিছুকাল পরেই তিনি চার্চ অফ্ ইংল্যান্ড থেকে অভিষিক্ত হন| নবজন্ম প্রাপ্তির শর্তহীন অপরিহার্যতার বিষয়ে তার প্রচারের ফলস্বরূপ চার্চের দরজা তার সামনে বন্ধ করা হয়েছিল, যেহেতু মাংসিক পালকেরা ভয় পেয়েছিলেন এই কারণে যে তার নবজন্মের চরম আবশ্যকতা বিষয়ক প্রচার তাদের যাজক-পল্লীর অধিবাসীদের ক্রোধান্বিত করবে| অতএব, তাকে মন্ডলীর বাইরে যেতে বাধ্য করা হল, খোলা মাঠে প্রচার করার জন্যে, যার ফলে তিনি বিখ্যাত হয়ে গেলেন|

হোয়াটফিল্ড 1738 সালে আমেরিকা ভ্রমনে এসেছিলেন এবং একটি অনাথাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন| পরবর্তীকালে তিনি আমেরিকার কলোনি এবং গ্রেট ব্রিটেনের সর্বত্র ঘুরে ঘুরে প্রচার এবং সেই অনাথাশ্রম চালানোর জন্যে অনুদান সংগ্রহ করতেন| তিনি স্পেন, হল্যান্ড, জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ওয়াল্স, ও স্কটল্যান্ডে প্রচার চালিয়েছিলেন, আর এটলান্টিক পার হয়ে আমেরিকাতে প্রচার করার উদ্দেশ্যে তেরবার ভ্রমণ করেছিলেন|

তিনি বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন, জোনাথান এডওয়ার্ডস এবং জন ওয়েসলীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং ছিলেন সেই একজন মানুষ যিনি, যেমন তিনি করতেন সেইভাবে, খোলা মাঠে প্রচার করতে ওয়েসলীকে প্ররোচিত করেছিলেন| একবার বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন হিসাব করে দেখেন যে হোয়াইটফিল্ড ত্রিশহাজার শ্রোতার সমাবেশের মাঝে প্রচার করছিলেন| তার খোলা জায়গার সভাগুলিতে শ্রোতাদের উপস্থিতি প্রায়ই 25,000 ছাপিয়ে যেত| একবার তিনি ইংল্যান্ডের, গ্লাসগো শহরের কাছাকাছি অনুষ্ঠিত কোন একটি সভাতে উপস্থিত থাকা 100,000 এরও বেশি লোকের সমাবেশে প্রচার করেছিলেন - এমন একট সময়ে যখন মাইক্রোফোন ছিল না! সেই সভাতে দশহাজার লোক স্বীকৃত মন পরিবর্তন করেছিলেন|

বহু ইতিহাসবিদের দ্বারা তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ইংরাজি-বলিয়ে সুসমাচার প্রচারক হিসাবে গ্রাহ্য হয়ে থাকেন| যদিও বিলি গ্রাহাম বৈদ্যুতিন মাইক্রোফোনের সাহায্যে আরও বেশি লোকের সমাবেশে প্রচার করতেন, তাও সংস্কৃতির উপরে হোয়াটফিল্ডের প্রভাব ছিল প্রশ্নাতীতভাবে মহত্তর|

একটি সুতীব্র উদ্দীপনা যা 18 শতকের মাঝামাঝি সময়ে আমেরিকার চরিত্রের একটা আকার দান করেছিল, সেই প্রথম মহা জাগরণের সময়ে হোয়াটফিল্ড ছিলেন একজন খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব| যখন তিনি প্রচার করতেন তখন আমাদের দেশের কলোনিগুলি উদ্দীপনার আগুনে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকত| 1740 সালে হোয়াইটফিল্ডের ছয় সপ্তাহ ব্যাপী নিউ ইংল্যান্ড সফরকালে এই উদ্দীপনা তার উচ্চতা অর্জন করেছিল| ঠিক পয়তাল্লিশ দিনের মাথায় প্রায় দশহাজারেরও বেশি লোকের কাছে তিনি একশপচাত্তরটি ধর্ম্মোপদেশ প্রচার সম্পূর্ণ করেছিলেন, যা সেই অঞ্চলকে এক মহা আধ্যাত্মিক উতরোলের মধ্যে স্থাপন করে, যা ছিল আমেরিকার খ্রীষ্টধর্মের একটি সর্বাপেক্ষা স্মরণীয় পর্য্যায়|

তার মৃত্যুর পূর্ব অবধি তিনি সমগ্র ইংরাজি-ভাষী জগতের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন ও তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন| তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়, ডার্টমাউথ কলেজ, এবং পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতে সহায়কের ভূমিকা পালন করেছিলেন| আমেরিকা বিপ্লবের ছয় বছর আগে, 1770 সালে, ম্যাসাচুসেটস এর নিউব্যুরিপোর্ট শহরে প্রচার করার অল্প কিছুকাল পরে, তিনি মারা যান| জর্জ ওয়াশিংটন আমাদের দেশের পিতা ছিলেন, কিন্তু জর্জ হোয়াইটফিল্ড ছিলেন এর পিতামহ|

হোয়াইটফিল্ড রচিত নিম্নোক্ত ধর্ম্মোপদেশটি আধুনিক ইংরাজিতে দেওয়া হল| এটা হচ্ছে তার একটি যথাযথ ধর্ম্মোপদেশ, কিন্তু আমি আমাদের সময়ে এটা আরও বেশি বোধগম্য করার জন্যে এর বাক্যগুলির সামান্য রদবদল করেছি|

‘‘আর তাহারা আমার জাতির ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন শান্তি শান্তি বলিয়াছে’’ (যিরমিয় 6:14)|

ধর্ম্মোপদেশ : একটি জাতিকে ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ যে আর্শীর্ব্বাদ পাঠাতে পারেন তা হল উত্তম এবং বিশ্বাসী প্রচারক| কিন্তু কেবল অর্থ উপার্জনে মনোযোগী এমন দিশাহারা প্রচারকদের দ্বারা মন্ডলী পরিচালনার অনুমোদন দান করে ঈশ্বর সর্বশ্রেষ্ঠ অভিশাপ কোন জাতিকে পাঠাতে পারেন| যদিও প্রত্যেক যুগে ভ্রান্ত প্রচারকরা থাকেন যারা শীতল ধর্ম্মোপদেশ দিয়ে থাকেন| সেখানে অনেক এই ধরনের কার্যকারী আছেন যারা লোকদের প্রতারিত করার জন্যে বাইবেল কলুষিত ও বিকৃত করেন|

যিরমিয়ের সময়ে এইভাবেই সেটা চলত| আর ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বস্ত বাধ্যতা থেকে যিরমিয় তাদের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিলেন| তিনি নিজের মুখ খুলেছিলেন এবং ঐ সব মাংসিক প্রচারকদের বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়েছিলেন| আপনি যদি তার লেখা বই পড়েন, তবে দেখবেন যে যিরমিয় ব্যাতীত অন্য আর কেউই ভ্রান্ত প্রচারকদের বিরুদ্ধে এমন জোরালো বক্তব্য কখনও রাখেননি| তিনি তাদের বিরুদ্ধে গুরুতরভাবে বলেছিলেন এই অধ্যায়ে যা আমাদের পাঠ্যাংশটির অন্তর্ভূক্ত|

‘‘আর তাহারা আমার জাতির ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন শান্তি শান্তি বলিয়াছে’’ (যিরমিয় 6:14)|

যিরমিয় বলেছিলেন যে তারা কেবল অর্থের জন্যে প্রচার করে| তের নম্বর পদে, যিরমিয় বলেছিলেন,

‘‘কেননা তাহারা ক্ষুদ্র ও মহান সকলেই লোভে লুব্ধ; ভাববাদী ও যাজক সকলেই কপটাচার করে’’ (যিরমিয় 6:13)|

তারা সকলেই লোভী এবং ভ্রান্তভাবে প্রচার করে|

আমাদের পাঠ্যাংশে, যিরমিয় সেই পথগুলির একটি দেখিয়েছেন যে পথে তারা ভ্রান্ত প্রচার করত| সেই ভাববাদী একটি প্রতারণাপূর্ণ পথ দেখাচ্ছেন যা অবলম্বন করে তারা হারানো আত্মাদের পরিচালনা করতেন:

‘‘আর তাহারা আমার জাতির ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন শান্তি শান্তি বলিয়াছে’’ (যিরমিয় 6:14)|

ঈশ্বর যিরমিয়কে আসন্ন একটি যুদ্ধের জন্য লোকদের সতর্ক করতে বলেছিলেন| ঈশ্বর চেয়েছিলেন যে যিরমিয় তাদের যেন বলেন যে তাদের ঘরবাড়ি সব ধ্বংস হয়ে যাবে - সেই যুদ্ধ আসছে (দেখুন যিরমিয় 6:11-12)|

যিরমিয় একটি চোখ ঝলসানো বার্ত্তা দিয়েছিলেন| বহু লোককে আতঙ্কিত করা এবং তাদেরকে অনুশোচনার প্রান্তবিন্দুতে এনে ফেলা এই বার্ত্তাটির উচিৎ ছিল| কিন্তু মাংসিক প্রচারক ও যাজকরা চারিদিকে ভ্রমণ করে লোকদের মিথ্যা সান্তনা দিয়েছিলেন| তারা বলেছিলেন যে যিরমিয় হলেন কেবলমাত্র একজন গোঁড়া ধর্মান্ধ ব্যক্তি| তারা বলেছিলেন যে কোন যুদ্ধ হবে না| তারা লোকদের বুঝিয়েছিলেন যে সেখানে শান্তি বিরাজ করবে, যখন যিরমিয় বলেছিলেন যে সেখানে শান্তি থাকবে না |

‘‘আর তাহারা আমার জাতির ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন শান্তি শান্তি বলিয়াছে’’ (যিরমিয় 6:14)|

পাঠ্যাংশের বাক্যগুলি প্রাথমিকভাবে বাহ্যিক শান্তির কথাই উল্লেখ করছে| কিন্তু আত্মার সঙ্গে তাদের আরও একটা সম্পর্ক রয়েছে| আমিও বিশ্বাস করি যে তারা সেই ভ্রান্ত প্রচারকদের কথা উল্লেখ করছে যারা লোকদের বলে বেড়ায় যে তারা যথেষ্ট ভাল, এমনকী যদিও তাদের মধ্যে অনেকেই তখনও পুনর্জন্ম পাননি| অপরিত্রাণপ্রাপ্ত লোকেরা এই ধরনের প্রচার করতে ভালবাসেন| মানুষের হৃদয় এতটাই দুষ্ট এবং প্রতারণাপূর্ণ| মানুষের হৃদয় যে কতটা অবিশ্বাসী তা ঈশ্বর জানেন|

আপনাদের মধ্যে অনেকেই বলেন ঈশ্বরের সান্নিধ্যে তিনি শান্তিতে আছেন, যখন সেখানে প্রকৃতপক্ষে কোন শান্তি নেই! আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভাবেন যে আপনি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী, কিন্তু আপনি তা নন| দিয়াবল হল সেই ব্যক্তি যে আপনাকে একটা মিথ্যা শান্তি প্রদান করেছে| ঈশ্বর আপনাকে এই ‘‘শান্তি’’ দেননি | এটা সেই শান্তি নয় যা মানবিক বোধগম্যতা অতিক্রম করে| এ হল একটা মিথ্যা শান্তি যা আপনি পেয়েছেন|

ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আপনার মধ্যে প্রকৃত শান্তি রয়েছে কি না তা জানা আপনার জন্যে খুব গুরুত্বপূর্ণ| প্রত্যেকেই শান্তি চায়| শান্তি হল একটা মহান আশীর্ব্বাদ| কাজেই আমি আপনাদের কাছে অবশ্যই বলবো যে কিভাবে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে প্রকৃত শান্তি খুঁজে পাওয়া যায়| আপনার রক্ত থেকে আমাকে অবশ্যই মুক্ত থাকতে হবে| ঈশ্বরের সব পরামর্শ আমি অবশ্যই আপনাদের কাছে প্রকাশ করব| পাঠ্যাংশের বাক্যগুলি থেকে, আমি চেষ্টা করব আপনাদের দেখাতে যে আপনার প্রতি সত্যিই কি ঘটছে, এবং ঈশ্বরের সান্নিধ্যে আপনি প্রকৃত শান্তি চাইলে আপনার মধ্যে কোন জিনিষটির অবশ্যই পরিবর্তন ঘটাতে হবে|

I. প্রথমত, আপনি ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, অবশ্যই ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপনার কৃত প্রকৃত পাপগুলি, আপনাকে দেখতে, অনুভব করতে, এর জন্যে কাঁদতে, এবং অনুশোচনা করতে হবে |

বাইবেল বলছে, ‘‘যে প্রাণী পাপ করে, সেই মরিবে’’ (যিহিষ্কেল 18:4)| ঈশ্বরের ব্যবস্থাতে যা লেখা আছে তার সমস্ত বিষয়গুলি যারা ক্রমাগত পালন করে চলেন না তারাই অভিশাপগ্রস্ত হন|

আপনার অবশ্যই শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় মানলেই চলে না, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সমস্ত বিষয় মানতে হয় নচেৎ আপনি অভিশাপগ্রস্ত হয়ে পড়েন:

‘‘কারণ লেখা আছে, যে কেহ ব্যবস্থাগ্রন্থে লিখিত সমস্ত কথা পালন করিবার জন্য তাহাতে স্থির না থাকে, সে শাপগ্রস্ত’’ (গালাতীয় 3:10)|

ঈশ্বরের যে কোন ব্যবস্থার লঙ্ঘন, চিন্তাতেই হোক, বা বাক্যে হোক, বা কাজকর্মের মাধ্যমে, যেভাবেই হোক না কেন, ঈশ্বরের ব্যবস্থা অনুসারে তা আপনাকে চিরন্তন শাস্তির যোগ্য হতে বাধ্য করে| আর যদি একটা মন্দ চিন্তা, যদি একটা মন্দ বাক্য, যদি একটা মন্দ ক্রিয়া অনন্তকালীন নরকভোগের যোগ্য হয়, তাহলে কিভাবে আপনি নরক থেকে পালাতে পারেন? আপনার অন্তরে কখনও প্রকৃত শান্তি লাভ করার আগে, আপনাকে অবশ্যই দেখতে বাধ্য করাতে হবে যে ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গিয়ে পাপ করা কি ভয়ঙ্কর হতে পারে|

আপনার অন্তর পরীক্ষা করে দেখুন| আর আমাকে অনুমতি দিন আপনাকে জিজ্ঞাসা করার যে - সেখানে কি একটা সময় কখনো ছিল যখন আপনার কৃত পাপের স্মরণ আপনার কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়েছিল? সেখানে কি একটা সময় কখনো ছিল যখন আপনার কৃত পাপের বোঝা অসহনীয় হয়েছিল? আপনি কি কখনও অনুভব করেন যে ঈশ্বরের ব্যবস্থা আপনি লঙ্ঘন করার কারণে, তাঁর ক্রোধ হয়তো সঠিকভাবে আপনার উপরে আপতিত হতে পারে? আপনি কি কখনও আপনার কৃত পাপের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত হয়েছেন? আপনি কি কখনও বলতে পেরেছেন, ‘‘আমার বহন করার পক্ষে আমার পাপ খুবই ভারী?’’ আপনি কি কখনও এইরকম কিছু অনুভব করেছেন? যদি না করে থাকেন, তাহলে নিজেকে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলে জাহির করবেন না ! আপনি হয়তো বলতে পারেন যে আপনার মনে শান্তি রয়েছে, কিন্তু সেখানে আপনার জন্যে কোন প্রকৃত শান্তি নেই| প্রভু আপনাকে জাগরিত করুন! প্রভু আপনার মন পরিবর্তন করুন!

II. দ্বিতীয়ত, আপনি ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, আপনার পাপের চেতনা অবশ্যই আরও গভীরে যেতে হবে; আপনাকে অবশ্যই আপনার পাপপূর্ণ স্বভাব, আপনার আত্মার সামগ্রিক মন্দতা সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে হবে |

আপনার প্রকৃত পাপগুলির সম্বন্ধে আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত হতে হবে| সেগুলির জন্য আপনাকে অবশ্যই ভীত করাতে হবে| কিন্তু পাপের চেতনা এমনকী এর তুলনায় আরও গভীর হতে হবে| ঈশ্বরের ব্যবস্থার প্রকৃতভাবে লঙ্ঘন করার জন্যে আপনাকে অবশ্যই দোষী হতে হবে| তার চেয়ে আরও বেশি হল এই যে আপনাকে অবশ্যই, আপনার হৃদয়ে অন্তর্জাত, নিজের আদি পাপ অনুভব করতে হবে, যা আপনাকে নরকে পাঠাবে|

যারা নিজেদের বুদ্ধিমান বলে মনে করেন এমন বহু লোক বলেন যে সেখানে আদি পাপ বলে কোন বিষয় নেই| তারা মনে করেন যে তাদের নরকে পাঠিয়ে ঈশ্বর অন্যায্য কাজ করছেন কারণ তারা উত্তরাধিকার সূত্রে আদমের পাপ পেয়েছেন| তারা বলছেন যে আমরা পাপের মঝে জন্মগ্রহণ করিনি| তারা বলেন যে আপনার আবার জন্ম নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই| তা সত্ত্বেও আপনার চতুর্দিকের জগতের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন| এটা কি মানবজাতির প্রতি ঈশ্বর প্রতিশ্রুত পরমদেশ? না! বিশ্বের প্রত্যেকটি জিনিষ বিকল হয়ে আছে! এর কারণ হল যে সেখানে মানবজাতির মধ্যে কিছু ত্রুটি আছে| এ হল সেই আদি পাপ যা জগৎকে ধ্বংস করছে|

কত জোরালোভাবে আপনি হয়তো এটা অস্বীকার করেন সেটা কোন বিষয় নয়, যখন আপনি জাগরিত হয়েছেন, তখন আপনি দেখবেন যে আপনার জীবনে পাপ এসেছে আপনার নিজের কলুষিত অন্তর থেকে - এমন এক হৃদয় যা আদি পাপের দ্বারা বিষাক্ত হয়েছে|

যখন কোন অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি প্রথমবার জাগরিত হন, তিনি বিস্মিত হতে শুরু করেন এই ভেবে যে, ‘‘কিভাবে আমি এতটা মন্দ হয়েছিলাম?’’ ঈশ্বরের আত্মা তখন তাকে দেখিয়ে দেন যে তার স্বভাবের মধ্যে কোন ভালো জিনিষ নেই| তখন তিনি অনুভব করেন যে তিনি সম্পূর্ণভাবে পাপপূর্ণ| তারপরে সেই ব্যক্তি চূড়ান্তভাবে অনুভব করেন যে তাকে অভিশাপ দিয়ে ঈশ্বর সঠিক কাজ করবেন| তিনি দেখেন যে তার নিজস্ব স্বভাবে তিনি এতটাই বিষাক্ত ও বিদ্রোহী যে ঈশ্বরের পক্ষে ঠিক কাজ হবে তাকে অভিশাপ দেওয়া, এমনকী যদি তিনি তার গোটা জীবনে একটাও বাহ্যিক পাপ না করে থাকেন তবুও|

আপনি কি কখনও এটা অনুভব করেছেন? আপনি কি কখনও এই অনুভব করেছেন - যে এটা উচিৎ কাজ এবং আপনাকে অভিশাপগ্রস্ত করা ঈশ্বরের পক্ষে যথার্থ হবে? আপনি কি কখনও সহমত পোষন করেছেন যে আপনার নিজস্ব স্বভাবতঃ আপনি হলেন ক্রোধের সন্তান? (ইফিষীয় 2:3)|

যদি আপনি কখনও প্রকৃতভাবে পুনর্জন্ম লাভ করেছিলেন, আপনি এইগুলি অনুভব করতে পারতেন| আর আপনি যদি কখনও আদি পাপের ভার অনুভব না করে থাকেন, নিজেকে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলবেন না! একজন প্রকৃত মন পরিবর্তনকারীর জন্যে আদি পাপ হল সবার চাইতে বড় এক বোঝা| যে মানুষ প্রকৃতভাবে নতুন জন্মপ্রাপ্ত সে তার আদি পাপ ও বিষাক্ত স্বভাবের জন্যে নিদারুন দুঃখ পায়| একজন প্রকৃত পরিত্রাণপ্রাপ্ত মানুষ প্রায়ই আর্তস্বরে বলে ওঠেন, ‘‘দুর্ভাগ্য মনুষ্য আমি! এই মৃত্যুর দেহ হইতে কে আমাকে নিস্তার করিবে?’’ (দ্র: রোমীয় 7:24)| একজন জাগরিত ব্যক্তিকে সবচেয়ে বেশি যা বিরক্ত করে তা হল - তার অন্তর্মূখী পাপের হৃদয়| যদি আপনি আপনার স্বভাবের এই অন্তর্মূখী দুরাচার সম্বন্ধে সচেতন না হন, তাহলে সেখানে আপনার নিজের হৃদয়ে সত্যিকারের শান্তি খুঁজে পাওয়ার আর কোন পথ নেই|

III. তৃতীয়ত, ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, আপনি যে শুধুমাত্র আপনার নিজের জীবনের পাপের দ্বারা, এবং আপনার স্বভাবে স্থিত পাপের দ্বারা অস্থির হয়েছিলেন তাই নয়, কিন্তু তা ছাড়াও আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত, অঙ্গীকার, এবং তথাকথিত ‘‘খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর জীবন’’ এর মধ্যে স্থিত পাপের দ্বারাও অস্থির হয়েছিলেন |

আমার বন্ধু, সেখানে আপনার ধর্ম্মের মধ্যে এমন কি আছে যা আপনাকে ঈশ্বরের কাছে অনুমোদন দিয়েছিল? আপনার নিজস্ব স্বভাবের দ্বারাই আপনি অসমর্থনযোগ্য এবং অপরিত্রাণপ্রাপ্ত| আপনার বাহ্যিক পাপের জন্যেই আপনি দশগুণেরও বেশি নরকভোগের যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন| আপনার ধর্ম্মীয় বিশ্বাস আপনার কি উপকার করবে? পরিত্রাণপ্রাপ্ত না হয়ে আপনি কোন ভাল কাজ করতে পারেন না|

‘‘আর যাহারা মাংসের অধীনে থাকে, তাহারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিতে পারে না’’ (রোমীয় 8:8)|

ঈশ্বরের গৌরবের জন্য কোন কিছু করা একজন অপরিত্রাণপ্রাপ্ত লোকের পক্ষে অসম্ভব|

এমনকী আমরা পরিত্রাণ পেয়েছি, তা সত্ত্বেও আমরা কেবলমাত্র আংশিক নবজীবন প্রাপ্ত হয়েছি| অন্তরে বসবাসকারী পাপ আমাদের মধ্যে থেকেই গেছে| আমাদের কর্তব্যের মধ্যে সব কিছুতেই এখনও একটা দুর্নীতির মিশ্রন থেকে গেছে| কাজেই, আমরা পরিত্রাণ প্রাপ্ত হওয়ার পরে, আমাদের ‘‘উত্তম’’ কাজ অনুসারে যদি যীশু খ্রীষ্ট আমাদের গ্রহণ করেন, তাও আমাদের উত্তম কাজটিই আমাদেরকে অভিশাপগ্রস্ত করাবে| এমনকী কিছু পাপ, কিছু স্বার্থপরতা, আলসেমি, এক ধরনের নৈতিক অসম্পূর্ণতা ছাড়া আমরা আমাদের প্রার্থনা করতে পারি না| আমি জানি না আপনি কি ভাববেন, কিন্তু পাপ না করে আমি প্রার্থনা করতে পারি না| পাপ না করে আমি আপনাদের সামনে প্রচার করতে পারি না| পাপ ছাড়া আমি কিছুই করতে পারি না| আমার অনুতাপের প্রয়োজন অনুতপ্ত হওয়া, এবং আমার পরিত্রাতা, যীশু খ্রীষ্টের বহুমূল্য রক্তের দ্বারা আমার চোখের জল ধুয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে!

আমাদের সর্বোত্তম সমাধান, আমাদের সর্বোত্তম দায়িত্ব, আমাদের সর্বোত্তম ধর্ম্ম, আমাদের সর্বোত্তম সিদ্ধান্ত, হল শুধুমাত্র এতগুলি পাপ| আমাদের ধর্ম্মীয় দায়িত্ব পাপে পরিপূর্ণ| আপনার হৃদয়ে শান্তি লাভ করতে পারার আগে আপনি শুধুমাত্র যেন আপনার আদি পাপ ও আপনার বহির্মূখী পাপে অসুস্থ হবেন না, কিন্তু আপনি অবশ্যই আপনার নিজের ধার্ম্মিকতা, দায়িত্ব এবং ধর্ম্মভাবের জন্যেও অসুস্থ হবেন| আপনার আত্ম-ধার্ম্মিকতার মধ্যে থেকে আপনাকে বাইরে বের করতে পারার আগে সেখানে পাপের গভীর চেতনা অবশ্যই হবে| যদি আপনি কখনও অনুভব না করে থাকেন যে আপনার নিজস্ব কোন ধার্ম্মিকতা নেই, তবে যীশু খ্রীষ্টের দ্বারা আপনি উদ্ধার লাভ করবেন না | আপনি তখনও অপরিত্রাণপ্রাপ্ত হয়ে থাকবেন |

কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন, ‘‘ঠিক আছে, আমি এই সবই বিশ্বাস করছি|’’ কিন্তু ‘‘বিশ্বাস করা’’ আর ‘‘অনুভব করা’’ এই দুইয়ের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য আছে| আপনি কি কখনও নিজের ভিতরে খ্রীষ্টের অভাব অনুভব করেছেন? আপনি কি এ পর্য্যন্ত কখনও অনুভব করেছেন যে খ্রীষ্টের প্রয়োজন আপনার ছিল কারণ আপনার নিজের বলতে কোন ধার্ম্মিকতা নেই? আর আপনি কি এখন বলতে পারেন, ‘‘প্রভু, যা আমি করতে পেরেছি সেই সর্বোৎকৃষ্ট ধর্ম্মীয় কাজের জন্যে আপনি আমাকে দন্ড দিতে পারেন|’’ আপনাকে যদি এইভাবে আপনার স্বয়ং থেকে বের করা না যায়, তাহলে সেখানে ঈশ্বরের সান্নিধ্যে কোন প্রকৃত শান্তি হতে পারে না|

IV. চতুর্থত, ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, সেখানে একটি নির্দ্দিষ্ট পাপ থাকে যার বিষয়ে আপনি হয়ত অবশ্যই সর্বাধিকভাবে অস্থির হয়েছিলেন | এবং তা সত্ত্বেও আমি ভয় পাই যে আপনাদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজন সেই বিষয়ে চিন্তা করবেন | এ হল বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক পাপ, আর তবুও জগৎ একে পাপ হিসাবে চিন্তা করে না | আপনি প্রশ্ন করুন, ‘‘কি সেই পাপ?’’ এ হল সেই পাপে আপনি দোষী বলে আপনাদের অধিকাংশই বিশ্বাস করেন না - আর তা হল সেই অবিশ্বাসের পাপ |

আপনি শান্তি লাভ করতে পারার আগে, আপনি নিশ্চয়ই আপনার হৃদয়স্থিত এই অবিশ্বাসের দ্বারা অস্থির হয়েছিলেন যে, প্রভু যীশু খ্রীষ্টে আপনি সত্যি সত্যিই বিশ্বাস করেন না|

আপনার নিজের হৃদয়ের কাছে আমি আবেদন রাখছি| আমি ভয় পাচ্ছি যে যীশু খ্রীষ্টের প্রতি স্বয়ং দিয়াবলের বিশ্বাসের তুলনায় বেশি বিশ্বাস আপনার নেই| আমার মনে হয় দিয়াবল আপনার চাইতে বাইবেলে অধিক বিশ্বাস রাখেন| সে যীশু খ্রীষ্টের ধর্ম্মীয় তত্ত্বে বিশ্বাস করে| সে বিশ্বাস করে আর কম্পিত হয়| যারা নিজেদের খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলেন সেরকম হাজারেরও বেশি লোকের তুলনায় সে অধিক কম্পিত হয়|

আপনি মনে করেন যে আপনি বিশ্বাস করেন তার কারণ আপনি বাইবেল বিশ্বাস করছেন, অথবা তার কারণ আপনি মন্ডলীতে উপস্থিত থাকেন| খ্রীষ্টের প্রতি প্রকৃত বিশ্বাস না স্থাপন করেও এই কাজগুলির সবই আপনি করতে পারেন| সেখানে সিজার বা আলেক্সান্ডার দ্য গ্রেট এর মতন ব্যক্তি ছিলেন তা বিশ্বাস করার তুলনায়, সেখানে খ্রীষ্ট নামে এমন এক ব্যক্তি ছিলেন শুধুমাত্র এই বিশ্বাস করলে আপনার বেশি কিছু উপকার হয় না| বাইবেল হল ঈশ্বরের বাক্য| আমরা এর জন্যে ধন্যবাদ জানাই| কিন্তু আপনি হয়তো এতে বিশ্বাস করতে পারেন, আর তা সত্ত্বেও প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করছেন না|

যদি আমি আপনাকে জিজ্ঞাসা করি যে কতদিন হলো আপনি যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন, আপনাদের অনেকেই আমাকে বলবেন যে আপনারা সর্বদা তাঁর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করে এসেছেন| আপনি এর চেয়ে আরও বড় কোন প্রমাণ আমাকে দেখাতে পারবেন না যে আপনি আজ পর্যন্ত কখনও যীশুকে বিশ্বাস করেননি| যারা সত্যি সত্যিই যীশুকে বিশ্বাস করেন তারা জানেন সেখানে একটা সময় ছিল যখন তারা তাঁকে বিশ্বাস করতেন না|

আমার অবশ্যই এই বিষয়ের উপরে আর বেশি করে বলা উচিৎ, কারণ এটা সবচেয়ে বেশি প্রতারণাপূর্ণ একটি মোহ| অনেকেই এই ধারণা নিয়ে চলে গেছেন - এই ভেবে যে তারা ইতিমধ্যেই যীশুকে বিশ্বাস করে ফেলেছেন| একজন লোক এইরকম বলেছিলেন যে দশম আজ্ঞার অধীনস্থ তার সব পাপের তালিকা তিনি তৈরী করেছিলেন, এবং তারপরে একজন পালকের কাছে গিয়েছিলেন আর জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে তিনি কেন শান্তি লাভ করতে পারছেন না| পালক তার তালিকার দিকে দেখলেন এবং বললেন, ‘‘দূর হও! তোমার তালিকাতে আমি অবিশ্বাসের পাপ সম্পর্কিত একটাও শব্দ দেখছি না|’’ এটা হল ঈশ্বরের আত্মার কাজ আপনার অবিশ্বাস সম্পর্কে আপনাকে সচেতন করা - যে আপনার মধ্যে বিশ্বাস নেই| পবিত্র আত্মার সম্বন্ধে যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন:

‘‘...জগৎকে দোষী করিবেন| পাপের সম্বন্ধে, কারণ তাহারা আমাতে বিশ্বাস করে না’’ (যোহন 16:8-9)|

এখন, আমার প্রিয় বন্ধুরা, ঈশ্বর কি কখনও আপনাকে দেখিয়েছেন যে যীশুতে আপনার প্রকৃত বিশ্বাস ছিল না? আপনি কি কখনও আপনার অবিশ্বাসের কঠিন হৃদয়ের দু:খে শোক প্রকাশ করেছেন? আপনি কি কখনও প্রার্থনা করেন, ‘‘প্রভু, যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করতে আমাকে সাহায্য করুন?’’ ঈশ্বর কি কখনও আপনার খ্রীষ্টের কাছে আসার অক্ষমতা সম্বন্ধে চেতনা দিয়েছেন এবং খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপনের জন্যে আপনাকে প্রার্থনায় আর্তনাদ করে কাঁদতে বাধ্য করেছেন? যদি তিনি না করে থাকেন, তবে আপনি আপনার অন্তরে শান্তি খুঁজে পাবেন না| আপনি মারা যাওয়ার ও আর সুযোগ না পাওয়ার আগেই, ঈশ্বর আপনাকে জাগ্রত করুন, এবং যীশুতে বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারা আপনাকে প্রকৃত শান্তি দিন|

V. পঞ্চমত, ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, আপনাকে অবশ্যই খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতাতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে |

আপনাকে কেবলমাত্র আপনার প্রকৃত ও আদি পাপ, আপনার নিজস্ব ধার্ম্মিকতার পাপ, এবং অবিশ্বাসের পাপের বিষয়ে চেতনা দিলেই হবে না, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই প্রভু যীশু খ্রীষ্টের প্রকৃত ধার্ম্মিকতায় বিশ্বাস স্থাপনে সক্ষম করাতে হবে| আপনাকে অবশ্যই খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতা ধরে রাখতে হবে| তখন আপনি শান্তি লাভ করবেন| যীশু বলেছিলেন:

‘‘হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব’’ (মথি 11:28)|

এই পদটি তাদের সকলকে উৎসাহ দেয় যারা পরিশ্রান্ত এবং অতি ভারাক্রান্ত, কিন্তু অন্য কাউকে নয়| এছাড়া বিশ্রাম দেওয়ার প্রতিশ্রুতি একমাত্র তাদেরই দেওয়া হয়েছে যারা যীশু খ্রীষ্টের কাছে আসেন ও তাঁর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেন| ঈশ্বরের সান্নিধ্যে কখনও শান্তি লাভ করতে পারার আগে আপনাকে অবশ্যই আমাদের প্রভু যীশু খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারা ন্যায্যতা প্রতিপাদন করতে হবে| আপনাকে অবশ্যই স্বয়ং খ্রীষ্টকে পেতে হবে, যাতে তাঁর ধার্ম্মিকতাকে আপনার ধার্ম্মিকতায় পরিণত করান যায়|

আমার প্রিয় বন্ধুরা, আপনারা কি কখনও খ্রীষ্টের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন? যীশু খ্রীষ্ট কি কখনও নিজেকে স্বয়ং আপনার কাছে সমর্পণ করেছেন? এক জীবন্ত বিশ্বাস সমেত আপনি কি কখনও যীশুর কাছে এসেছেন? আমি প্রার্থনা করি যে খ্রীষ্টের সেই ঈশ্বর যেন আসেন এবং আপনাদের শান্তির কথা বলেন| নতুন জন্ম লাভ করার জন্যে আপনাকে অবশ্যই এইসব বিষয়গুলির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হবে|

আমি এখন অন্য জগতের অদৃশ্য বাস্তবতা, অন্তর্মূখী খ্রীষ্ট ধর্ম্ম, পাপীর হৃদয়ে ঈশ্বরের কাজের বিষয়ে বলছি| আপনার কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির সম্পর্কে আমি এখন বলছি| আপনি এই বিষয়গুলি সম্পর্কে নিশ্চয়ই খুব উদ্বিগ্ন থাকেন| আপনার আত্মা এর সঙ্গে জড়িত আছে| আপনার অনন্তকালীন পরিত্রাণ এর উপরে নির্ভরশীল|

আপনি হয়তো খ্রীষ্ট ছাড়াই শান্তি অনুভব করতে পারেন| দিয়াবল আপনাকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে এবং আপনাকে মিথ্যা নিশ্চয়তা দিয়েছে| সে আপনাকে নরকে না পাঠানো পর্য্যন্ত চেষ্টা করে যাবে আপনাকে ঘুমন্ত রাখতে| সেখানে পৌঁছে আপনাকে জাগানো হবে, কিন্তু নিজেকে অগ্নিশিখার মধ্যে আবিষ্কার করে সেটা হবে একটা ভয়ঙ্কর জাগরণ যখন পরিত্রাণ লাভের পক্ষে সেখানে খুবই দেরী হয়ে গেছে| নরকে গিয়ে নিজের জিহ্বা শীতল করতে এক ফোঁটা জলের জন্যে আপনি অনন্তকাল ধরে আর্তনাদ করে চলবেন, আর আপনাকে একটুও জল দেওয়া হবে না|

যীশু খ্রীষ্টে বিশ্রাম না নেওয়া অবধি আপনি আপনার আত্মায় শান্তি যেন খুঁজে না পান! দিশাহারা পাপীদের পরিত্রাতার সামনে এনে দেওয়াই হল আমার উদ্দেশ্য| ওহঃ ঈশ্বর যেন আপনাকে যীশুর সামনে নিয়ে আসেন| যা পাপপূর্ণ তার সম্বন্ধে পবিত্র আত্মা আপনাকে চেতনা দান করুন, এবং আপনার মন্দ পথ থেকে আপনাকে যীশু খ্রীষ্টের প্রতি ফিরিয়ে আনুন| আমেন|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে প্রার্থনা করেছেন: মিঃ নোহ সং |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“O Lord, How Vile Am I” (by John Newton, 1725-1807) |


খসড়া চিত্র

‘‘অনুগ্রহের প্রণালী’’ জর্জ হোয়াইটফিল্ড প্রণীত,
আধুনিক ইংরাজিতে সংক্ষিপ্তকৃত ও অভিযোজিত

“THE METHOD OF GRACE” BY GEORGE WHITEFIELD,
CONDENSED AND ADAPTED TO MODERN ENGLISH

ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র দ্বারা লিখিত এবং
মিঃ জন্ শ্যমূয়েল কেগান দ্বারা প্রচারিত একটি ধর্ম্মোপদেশ

‘‘আর তাহারা আমার জাতির ক্ষত কেবল একটুমাত্র সুস্থ করিয়াছে; যখন শান্তি নাই, তখন শান্তি শান্তি বলিয়াছে’’ (যিরমিয় 6:14)|

(যিরমিয় 6:13)

I.    প্রথমত, আপনি ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে,
অবশ্যই ঈশ্বরের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপনার কৃত প্রকৃত পাপগুলি,
আপনাকে দেখতে, অনুভব করতে, এর জন্যে কাঁদতে, এবং
অনুশোচনা করতে বাধ্য করাতে হবে, যিহিষ্কেল 18:4; গালাতীয় 3:10 |

II.   দ্বিতীয়ত, আপনি ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে,
আপনার পাপের চেতনা অবশ্যই আরও গভীরে যেতে হবে; আপনাকে
অবশ্যই আপনার পাপপূর্ণ স্বভাব, আপনার আত্মার সামগ্রিক মন্দতা
সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে হবে, ইফিষীয় 2:3; রোমীয় 7:24 |

III.  তৃতীয়ত, ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, আপনি যে
শুধুমাত্র আপনার নিজের জীবনের পাপের দ্বারা, এবং আপনার স্বভাবে
স্থিত পাপের দ্বারা অস্থির হয়েছিলেন তাই নয়, কিন্তু তা ছাড়াও
আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত, অঙ্গীকার, এবং তথাকথিত ‘‘খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর
জীবন’’ এর মধ্যে স্থিত পাপের দ্বারাও অস্থির হয়েছিলেন, রোমীয় 8:8 |

IV.  চতুর্থত, ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, আপনাকে
অবশ্যই যীশুকে অবিশ্বাসের সেই মারাত্মক পাপের সম্বন্ধে অস্থির
হতে হবে, যোহন 16:8-9 |

V.   পঞ্চমত, ঈশ্বরের সান্নিধ্যে শান্তি লাভ করতে পারার আগে, আপনাকে
অবশ্যই খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতাতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করতে হবে,
মথি 11:28 |