Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




শেষ কালে উপহাসকরা

(২য় পিতরের উপর ৬ নং প্রচার)
SCOFFERS IN THE LAST DAYS
(SERMON #6 ON II PETER)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ১৪ই জুন, প্রভুর দিনের সকালবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, June 14, 2015

“শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে, এবং বলিবে, তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?” (২য় পিতর ৩:৩-৪)|

বাইবেল শিক্ষা দেয় যে খ্রীষ্ট মেঘযোগে আসছেন| এটাই হল খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন| কিন্তু উপহাসকরা এই কথা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেন|

দ্বিতীয় পিতরের তৃতীয় অধ্যায়টি আমার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ| যখন এই অধ্যায়টি প্রচারিত হতে শুনেছিলাম তখন আমি মন পরিবর্তন করেছিলাম| সেটা ছিল ১৯৬১ সালের, ২৮শে সেপ্টেম্বর| আমি বাওলা কলেজের (এখন বাওলা বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র ছিলাম| সেই সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে অনেকগুলি চ্যাপেল সেবা দেওয়া হচ্ছিল| সব ছাত্রেরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন| সেই দিনটিতে আমি ডঃ মার্ফি লামের পাশে বসেছিলাম| তিনি টালবট সেমিনারীতে অধ্যয়ণ করছিলেন, যেটা কলেজের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে গেছিল| সেদিনের প্রচারক ছিলেন ডঃ চার্লস উডব্রীজ| মাত্র কয়েক মাস আগে তিনি ফ্যুলার সেমিনারীর কাজ ছেড়ে চলে এসেছিলেন| তিনি অনুভব করেছিলেন যে ফ্যুলার সেমিনারী ক্রমশ ঝুঁকে পড়ছে উদারপন্থী মতবাদের দিকে – অর্থাৎ বাইবেলের অধিকার অস্বীকারকারী এক মতবাদের দিকে| সেই সেমিনারী তাকে গোঁড়া বলে আখ্যা দিয়েছিল, কিন্তু তারা ভুল করেছিল| পরবর্তী কয়েক বছরের ঘটনাবলী দেখিয়ে দিয়েছিল যে তিনি বাস্তবিক সঠিক ছিলেন| সেমিনারীর অন্যান্য কয়েকজন অধ্যাপক তাকে অনুসরণ করেন এবং ফ্যুলার সেমিনারী ত্যাগ করেছিলেন| সেই সমস্ত অধ্যাপকেরা ছিলেন ডঃ গ্লিসন আর্চার, ডঃ উইলবুর এম. স্মিথ এবং ডঃ হ্যারল্ড লিন্ডসেল| এদের মধ্যে সকলেই ছিলেন প্রথম-শ্রেনীর পন্ডিত ব্যক্তি| এরা ডঃ উডব্রীজকে অনুসরণ করেছিলেন যখন আরও পরিষ্কার হয়ে গেছিল যে তিনি বাস্তবিকই সঠিক ছিলেন| সেই সেমিনারী বাইবেলের ভ্রমশূণ্যতার বিশ্বাস থেকে উদারপন্থী মতবাদ ও অবিশ্বাসের দিকে সরে গিয়েছিল|

যখন আমি শুনলাম ডঃ উডব্রীজ এই অধ্যায়ের উপর প্রচার করছেন, তখন সেটা একটা জীবন্ত বিষয় ছিল| প্রত্যেকেই ফ্যুলার সেমিনারীর ধর্ম্মভ্রষ্টতার প্রতি ঘুরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছিলেন| প্রেরিত পিতর এই ব্যাপারটিকে খুব পরিষ্কার করে বলেছেন|

প্রথম পদে, প্রেরিত বলেছেন যে তিনি দ্বিতীয় একটি পত্র লিখছিলেন| সেটা ছিল রোম সাম্রাজ্যের বিভিন্ন অংশে “ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত” আদি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের উদ্দেশ্যে লেখা একটি পত্র (১ম পিতর ১:১)| তিনি এই দ্বিতীয় পত্র (বা চিঠি) লিখেছিলেন তাদের কয়েকটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যে যেগুলি ইতিমধ্যেই তারা জানত| তিনি তাদের সেই শেষ কালের উপহাসকদের বিষয়ে বলেছিলেন| তিনি তাদের সেই সমস্ত মানুষদের বিষয়ে বলেছিলেন যারা খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের বিষয়টিকে বিশ্বাস করত না| তিনি তাদের বর্তমান জগতের সমাপ্তির – এবং নতুন জগতের আগমনের বিষয়টি বলেছিলেন|

এই অধ্যায়ের দ্বারা আমি আকর্ষিত হয়েছিলাম| এবং ডঃ উডব্রীজ এটাকে খুব ভালভাবে প্রচার করেছিলেন! তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত পন্ডিত, ও প্রিন্সটন থিওলজিক্যাল সেমিনারীর স্নাতক| কিন্তু তিনি বাইবেলের এক শ্রোতা সন্মোহক ব্যাখ্যাকারীও বটে| আমি মনে করি না এর চাইতে ভাল কিছু সেইদিন অবধি শুনেছিলাম| এমনকী যদিও তার সেই প্রচার আমি প্রায় ৫৫ বছর আগে শুনেছিলাম, তাও আমার বিশদভাবে স্মরণে আছে যে সেই প্রচার কিভাবে সেই সপ্তাহে আমার অন্তর স্পর্শ করেছিল| সেখানে আরও একজন প্রচারক বন্ধু উপস্থিত ছিলেন| তার নাম হল ডঃ রাসেল গর্ডন, যিনি ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়ার, রিভারসাইডের একজন পালক| খুব বেশিদিন আগের কথা নয় আমি তার সঙ্গে এই বিষয়ে টেলিফোনের মাধ্যমে কথা বলেছিলাম| এমনকী ডঃ উডব্রীজ সেদিন যা বলেছিলেন তার থেকে কয়েকটি বাক্যের উদ্ধৃতিও ডঃ গর্ডন দিতে পেরেছিলেন| সেটা ছিল এক অস্বাভাবিক প্রচার, এক জীবন পরিবর্তনকারী প্রচার| আর সেইদিনে আমার জীবনের সমগ্র গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছিল – কারণ সেটাই ছিল সেই বিশেষ দিন যেদিন আমার মন পরিবর্তন হয়েছিল!

পিতর সেই আদি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বলেছিলেন যে তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছেন সেই সব বিষয় যা ইতিপূর্বেই তাদের জানা ছিল| আমাদের সকলকেই এই সব বিষয়ে, বারে বারে মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে| প্রেরিত তাদের বলেছিলেন পুরানো নিয়মে এই বিষয়গুলি আদি বিশ্বাসীদের সম্বন্ধে ভাববাদীদের দ্বারা বলা হয়েছিল| তিনি বলেছিলেন যে অনেক বিষয় ছিল যেগুলি অন্যান্য প্রচারকেরা প্রচার করেছিলেন| এইগুলি কোন নতুন মতবাদ ছিল না| সেগুলো ছিল সমস্ত পুরানো মতবাদ যা তাদেরকে আবার স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল|

প্রথমত, পিতর তাদের বলেছিলেন, “শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরাও উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে” (২য় পিতর ৩:৩)| এরা হলেন সেই সব “ভ্রান্ত শিক্ষক” এবং ভ্রান্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী যাদের সম্পর্কে তিনি দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছেন, “সেই প্রকারে তোমাদের মধ্যেও ভাক্ত গুরুরা উপস্থিত হইবে” (২য় পিতর ২:১)| আমি মনে করি যে এইরকম চিন্তা করা ভুল যে এই সমস্ত “ভাক্ত গুরুগণ” সকলেই মহাবিদ্যালয় বা সেমিনারীর অধ্যাপক, যদিও এটা তাদেরকেও অন্তর্ভূক্ত করছে|

কিন্তু আপনি কী লক্ষ্য করেছেন যে ধর্ম্মের বিষয়ে সকলেই দক্ষ? প্রত্যেকেই মনে করত যে তিনি ধর্ম্মের বিষয়ে সব কিছু জানেন| আপনি তাদেরকে কোন কিছুই বলতে পারেন না| তাদের সঙ্গে রাস্তাঘাটে আপনার সাক্ষাৎ হচ্ছে| তাদের সঙ্গে মন্ডলীতে আপনার দেখাসাক্ষাৎ হচ্ছে| তারা সকলেই বিশেষজ্ঞ! ধর্ম্ম ছিল একমাত্র এমনই একটা বিষয় যে আপনি কোন রকমের অধ্যয়ণ ছাড়াই এই বিষয়টিতে অভিজ্ঞ হয়ে যেতে পারতেন! আমাদের পাঠ্যাংশ আমাদেরকে শিক্ষা দিচ্ছে যে “শেষ কালে” সেখানে আরও বেশি বেশি করে এই ধরনের মানুষেরা উপস্থিত হবে| তারা হলেন উপহাসক|

“শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে” (২য় পিতর ৩:৩)|

এই “শেষ কাল” বলতে কী বোঝান হচ্ছে? ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাক্গী বলেছেন,

‘সেই শেষ কাল’ হইতেছে নতুন নিয়মে ব্যবহৃত একটি পারিভাষিক শব্দ; ইহা মন্ডলীর অন্তিম দিনগুলির বিষয়ে বলিতেছে (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, volume 5, Thomas Nelson Publishers, 1983, p. 469; note on II Peter 3:1)|

কোন কোন সময়ে এটা সমস্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের নিয়ম শৃঙ্খলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত হয়| আপনাকে প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে শব্দটি পড়তে হবে| ২য় পিতরের তৃতীয় অধ্যায়ের বিষয়টি অবশ্যই হল খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন এবং জগতের সমাপ্তি| সেইজন্যে “সেই শেষ কাল” বর্তমান যুগের শেষ অধ্যায়ের সঙ্গে, খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের ঠিক আগের বছরগুলির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত|

এরপরে পিতর বলেছেন, “শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে|” “উপহাসকেরা” অর্থ হচ্ছে “বিদ্রুপকারীগণ|” তারা খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনকে অস্বীকার করে এবং এই বিষয় নিয়ে রঙ্গ-রসিকতা ও হাসা-হাসি করে| “হা, হা! আপনি কী চিন্তা করিতেছেন যে খ্রীষ্ট পুনরায় ফিরিয়া আসিতেছেন! কী অসামান্য রসিকতা!” এই হচ্ছে বক্তব্য| এরপরে প্রেরিত আমাদের বলছেন যে কেন তারা বিদ্রুপ করছে| এই সমস্ত উপহাসকেরা “আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলে|” যার মানে হল যে “তাহাদের নিজেদের পাপপূর্ণ ইচ্ছাকে অনুসরণ করে|” তারা সবাই খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করে কারণ তারা সকলেই স্বার্থপর এবং পাপপূর্ণ জীবন অতিবাহিত করতে চায়| তাদের উপহাসকে পিতর এই হিসাবে দেখিয়েছেন যে এটা একটা “প্রমান যে শেষের সেই দিনগুলি উপস্থিত হইয়াছে” (The Reformation Study Bible; note on II Peter 3:4)|

এই সব উপহাসকদের ব্যাপারটি কী? প্রথমত, তারা সবাই হচ্ছেন জড়বাদী| এই বিশ্বের সমস্ত জিনিষ পেয়েই তারা পরিতৃপ্ত| খ্রীষ্ট তাদের বিচার করতে আসছেন এটা তারা বিশ্বাস করতে চায় না| পিতর তাদেরকে নোহের সময়ের লোকেদের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন (২য় পিতর ২:৫)| ঈশ্বর “পুরাতন জগতের প্রতি মমতা করেন নাই, কিন্তু ভক্তিহীনদের জগতে জলপ্লাবন আনিলেন, আর ধার্ম্মিকতার এক প্রচারক…নোহকে রক্ষা করিলেন|” আগত বিচারের বিষয়ে নোহ প্রচার করেছিলেন| কিন্তু লোকেরা সেটা শুনতো না! খ্রীষ্ট তাদের সম্বন্ধে বলেছেন যে তারা জড়বাদী – কেবলমাত্র খাওয়াদাওয়া ও মদ্যপান, এবং আনন্দ-উৎসবে উপস্থিত থাকতে আগ্রহান্বিত ছিল, “যে পর্যন্ত না, নোহ জাহাজে প্রবেশ করিলেন, আর জলপ্লাবন আসিয়া, সকলকে বিনষ্ট করিল” (লূক ১৭:২৭)| পিতর সদোম এবং ঘমোরার বিচারের বিষয়ে বলেছিলেন – “আর সদোম এবং ঘমোরা নগর ভস্মীভূত করিয়া উৎপাটনরূপ দন্ড দিলেন” (২য় পিতর ২:৬)| আবার, তাদের প্রধান পাপ ছিল জড়বাদীতা| খ্রীষ্ট বলেছিলেন, “সেইরূপ লোটের সময়ে যেমন হইয়াছিল; লোকে ভোজন, পান, ক্রয়, বিক্রয়, বৃক্ষ রোপন, ও গৃহ নির্ম্মাণ করিত; কিন্তু যে দিন লোট সদোম হইতে বাহির হইলেন, সেই দিন আকাশ হইতে অগ্নি ও গন্ধক বর্ষিয়া সকলকে বিনষ্ট করিল” (লূক ১৭:২৮-২৯)| আর এরপরে খ্রীষ্ট বলেছিলেন,

“মনুষ্যপুত্র যে দিন প্রকাশিত হইবেন সে দিনেও সেইরূপ হইবে” (লূক ১৭:৩০)|

তারা যে পাপগুলি করেছিল সেগুলি লক্ষ্য করুন| নোহের দিনে এবং লোটের দিনে – উভয় ক্ষেত্রেই – খ্রীষ্ট কোন লিঙ্গজাত পাপের উপরে আলোকপাত করেননি| এমনকী তিনি যৌনতা প্রসূত পাপের উল্লেখ পর্যন্ত্য করেননি! কেন উল্লেখ করেননি? কারণ তাদের পাপগুলির শিকড় জড়বাদীতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ছিল – কেবলমাত্র এই জগতের জন্য বেঁচে থাকা – কেবলমাত্র মজা করার জন্যে বেঁচে থাকা – কেবল খাওয়ার জন্যে বেঁচে থাকা! ঠিক বস্তুজাত অভিলাষ পূরণের জন্যে বেঁচে থাকা| অনেক চীনা মানুষেরা এই ধরনের হয়ে থাকেন| ডঃ চার্লস সি. রেইরী বলেছিলেন যে যেসব কার্যকলাপগুলির উল্লেখ করা হয়েছে সেগুলি তাদের কাছে পাপজনক ছিল না| কিন্তু “লোকেরা অপ্রস্তুত ছিল|” যখন “খ্রীষ্ট ফিরিয়া আসিবেন তখন অনেক লোক থাকিবেন…নিশ্চিন্ত এবং অপ্রস্তুত অবস্থায় (নোহ এবং লোটের দিনগুলির অনুরূপ)” (Ryrie Study Bible; notes on Luke 17:26-30)|

একজন লোক রবিবারে লা ভেগাসে ছুটে যেতেন| তিনি মন্ডলীতে অনুপস্থিত থাকতেন এবং লা ভেগাসের আলো দেখতেন| তিনি রবিবারে সান ফ্রানসিস্কোতে ছুটে চলে যেতেন| অন্য কোন একজন লোক ভিডিও গেম খেলে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দেয়, কিন্তু বাইবেল পড়ার জন্যে তার কাছে কোন সময় থাকে না| অনেকে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে পর্ণোগ্রাফি দেখে চলে, কিন্তু প্রার্থনা করার জন্যে তাদের কাছে কোন সময় থাকে না| কিছু লোক তাদের জীবনকে অর্থের উপর কেন্দ্র করে গড়ে তোলে, কিন্তু তারা স্বর্গে তাদের জন্যে ধন সঞ্চয় করেন না| জড়বাদীতা আপনার আধ্যাতিক জীবন ধ্বংস করে দেয়| আপনি ঈশ্বরকে জানেন না| আপনি খ্রীষ্টকে পান না| যা আপনার কাছে থাকে তা হল শুধু এই জগতের তুচ্ছ উপহার সামগ্রী| প্রেরিত যোহন বলেছেন,

“কেননা জগতে যে কিছু আছে, মাংসের অভিলাষ, চক্ষুর অভিলাষ, ও জীবিকার দর্প, এ সকল পিতা হইতে নয়, কিন্তু জগত হইতে হইয়াছে| আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৬-১৭)|

আমি এলিজাবেথ স্ট্রীটে আমার কাকা ও কাকীমার সাথে একসঙ্গে বসবাস করতাম যখন আমি বয়সে তরুন ছিলাম| সেই একই রাস্তার উপরে অনেক বাড়িতে সেইসময়ে বহু যুবক ব্যক্তি বসবাস করতেন| তাদের মধ্যে কেউ কেউ বিয়ার নিয়ে এসে তা একটা ছাউনির তলায় বসে পান করতেন| তাদের মধ্যে কেউ কেউ যন্ত্রপাতি নিয়ে খেলা করতেন, এবং গাড়ির যত্ন করার পিছনে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটিয়ে দিতেন| আবার তাদের মধ্যে কেউ কেউ তিজুয়ানায় গিয়ে এক গণিকাগৃহে চলে যেতেন| তাদের সকলেই ভাবতো যে তারা সবাই আমার চাইতে বেশি চালাক-চতুর ছিল| তারা আমাকে নিয়ে মজা করত আর আমাকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করত| তারা বলত, “রবার্ট হচ্ছে ধার্ম্মিক ব্যক্তি” – যেন তাকে বাস্তবিকভাবেই ঈশ্বরের বিষয়ে আন্তরিক করে গড়ে তোলা হয়েছে| পরবর্তীতে আমি একজন পালক হয়েছিলাম| এক এক করে তারা মারা গিয়েছিল| তাদের আত্মীয়-স্বজনেরা আমাকে ফোন করতেন এবং আমাকে তাদের অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া সম্পাদন করতে বলতেন| কিন্তু আমি সেই সমস্ত ভয়াবহ অন্ত্যোষ্টিক্রিয়াতে কখনো একটিও আশাব্যঞ্জক শব্দ উচ্চারণ করতে পারিনি| একটিও আশাজনক শব্দ নয়! আমি কেবল যা করতে পেরেছিলাম তা হল যারা জীবিত ছিলেন তাদের কাছে সুসমাচারের ব্যাখ্যা করেছিলাম| প্রত্যেকেই জানতেন যে সেই ছেলেগুলির জন্যে কোন আশা ছিল না যারা কেবল মদ্যপান ও গাড়ি নিয়ে খেলা করার জন্যে এবং গণিকালয়ে যাওয়ার জন্যে বেঁচে ছিল| প্রত্যেকেই জানতেন যে তাদের জন্যে আদৌ কোন আশা ছিল না! ঈশ্বরের অনুগ্রহে আমি তাদের জীবনযাত্রাকে এড়িয়ে যেতে পেরেছিলাম| ঈশ্বরের অসীম অনুগ্রহের দ্বারা আমি আমার এতদিন আগে থেকে জানা সেই সব হতভাগ্য, হারিয়ে যাওয়া তরুনদের পাওয়া আনন্দ থেকে অনেক বেশি আনন্দ আমার জীবন থেকে সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম|

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৭)|

আপনি কী শুধুমাত্র এই জগতের জন্যে বেঁচে আছেন? আপনি কী কখনও সেই অনন্তকালীন জগতের বিষয়ে চিন্তা করেছেন? আপনি কী বিচারের সন্মুখীন হ্ওয়ার জন্যে প্রস্তুত আছেন?

“প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও যে, শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে” (২য় পিতর ৩:৩)|

তাদের ব্যাপারটি কী? প্রথমত, তারা হলেন জড়বাদী| কিন্তু দ্বিতীয়ত, তারা হলেন আধ্যাত্মিকভাবে অন্ধ| দ্বিতীয় অধ্যায়ে প্রেরিত পিতর সেই বিষয়টি বলেছিলেন| তিনি বলেছিলেন,

“ইহারা, বুদ্ধিবিহীন প্রাণীমাত্র পশুদের ন্যায়…যাহা না বুঝে তাহার নিন্দা করিতে করিতে; আপনাদের ক্ষয়ে ক্ষয় পাইবে” (২য় পিতর ২:১২)|

তারা সকলেই হলেন পশুদের মতন আধ্যাত্মিকভাবে অন্ধ – তারা হলেন “বুদ্ধিবিহীন প্রাণীমাত্র পশুদের” মতন| তারা খ্রীষ্টের বিরুদ্ধে, তাঁর দ্বিতীয় আগমনের বিরুদ্ধে, এমনকী ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যুর বিরুদ্ধেও বিরূপ কথাবার্ত্তা বলে থাকে| মৃত্যু থেকে তাঁর পুনরুত্থানের বিষয়েও তারা বিদ্রুপসহ হাসা-হাসি করে|

আপনি সবসময়ে এই ধরনের যুবকদের দেখছেন| তারা কেবলমাত্র যীশুর নাম ব্যবহার করে একটি শপথ বাক্য হিসাবে – “যীশু খ্রীষ্ট!” আপনি যখন তাদের মন্ডলীতে আনানোর জন্যে চেষ্টা করবেন, তারা আপনার কথার নূন্যতম পরোয়া করবে| আর যখন আপনি এই মন্ডলীতে আসেন তারা আপনাকে নিয়ে হাসা-হাসি করবে এবং আপনাকে টিটকারী দেবে এবং আপনাকে বিদ্রুপ করবে| আমি এক যুবককে চিনি যিনি তার মা এবং বোনের বসবাস করার জন্যে বাড়িভাড়া প্রদান করেন| তবুও তার প্রতি তারা এইভাবে চিৎকার করত যে, “তুমি সেই মন্ডলীতে যাতায়াত চালিয়ে যাচ্ছ কেন?” আসল ঘটনা হচ্ছে, যদি যুবকটি এই মন্ডলীতে না আসতেন তবে তাদের বসবাস করার জন্যে সম্ভবত কোন বাসা পাওয়া যেত না| তিনি অন্য কোন জায়গায় ঘুরে ঘুরে বেড়াতেন, আর তার মা এবং বোনেদের রাস্তাতে বসবাস করতে হত! মা এবং বোনেরা “যা বুঝতো না সেই বিষয়েই নিন্দা-মন্দ করত|” এরাই হলেন আধ্যাত্মিকভাবে অন্ধ|

বাইবেল শিক্ষা দান করে যে আমরা সকলেই পাপের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছি| আমাদের আদি পিতামাতা পাপ করেছিলেন – এবং আমরা উত্তরাধিকারসূত্রে একটি পাপপূর্ণ স্বভাব আহরণ করেছি| আমরা সকলেই স্বভাবগতভাবেই তাদের কাছ থেকে পাপ গ্রহণ করেছি| যতক্ষণ না আমাদের মন পরিবর্তিত হচ্ছে ততক্ষণ আমরা হলাম “প্রাণিক” পুরুষ এবং “প্রাণিক” নারী| বাইবেল বলছে,

“কিন্তু প্রাণিক মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না: কেননা তাহার কাছে সে সকল মূর্খতা: আর সে সকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়” (১ম করিন্থীয় ২:১৪)|

আপনি খুব বুদ্ধিমান হতে পারেন, কিন্তু আপনার যদি মন পরিবর্তন না করান হয়ে থাকে তবে আপনি হচ্ছেন কেবলমাত্র “প্রাণিক” এক পুরুষ বা নারী| ১ম করিন্থীয় ২:১৩-১৪ পদের উপরে স্কোফিল্ডের টিকা বলছে: “ঈশ্বরের অদেখা বিষয়গুলি প্রাণিক মনুষ্যের দ্বারা অনাবিষ্কৃত থাকিয়া যায়|” ঈশ্বরকে খুঁজে পেতে কখনও সক্ষম হওয়ার পরিবর্তে তারা অন্ধকারে অন্ধের মতন হাতড়ে বেড়ায়|

লর্ড বারট্রান্ড রাসেল বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত একজন ব্রিটিশ গণিতবিদ্ এবং দার্শনিক ছিলেন| যখন আমি যুবক ছিলাম তখন তিনি ছিলেন ভয় করার মতন একজন প্রধান অনিশ্বরবাদী, উত্তর দানের পক্ষে অতি বুদ্ধিমান এক ব্যক্তি| তাকে যে সমস্ত প্রশংসা ও সন্মান জানানো হয়েছিল, আপনি হয়তো ভাবতে পারেন যে সেগুলি নিয়ে তিনি একজন খুব সুখী মানুষ ছিলেন| তা সত্ত্বেও তিনি জীবনের প্রতি এক আশাহীন মনোভাব পোষন করতেন| মৃত্যুর আগে, বারট্রান্ড রাসেল লিখেছিলেন,

কোনরূপ আগুন, কোনরূপ বীরত্ব, চিন্তার কোনরূপ গভীর আবেগ এবং অনুভূতি, কবরের উর্দ্ধে উঠিয়া ব্যক্তিগত জীবনকে সংরক্ষিত করিতে পারে না…[সমস্তই] হইতেছে সৌর প্রণালীর সীমাহীন মৃত্যুতে নির্বাপনের প্রতি পূর্ব নির্দ্দিষ্ট, এবং পূর্ণরূপে সম্পাদিত মনুষ্য কার্য্যের সমগ্র মন্দির বাধ্যতামূলকভাবে অনিবার্যরূপে সমাধিত হইবে এক ধ্বংসপ্রাপ্ত বিশ্বের ভগ্নাবশেষের অভ্যন্তরে (Lord Bertrand Russell, A Free Man’s Worship)|

তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর সর্বাপেক্ষা মেধাবী মানুষদের মধ্যে একজন – কিন্তু তাকে সর্বদা সামগ্রিকভাবে তাকিয়ে থাকতে হয়েছিল “এক ধ্বংসপ্রাপ্ত বিশ্বের” প্রতি| এটাই হল সেই জায়গা যেখানে একজন “প্রাণিক মনুষ্য” তার নিজের জীবনের সমাপ্তি ঘটায় – আশাহীনতার মধ্যে, শান্তিহীনতার মধ্যে, ভবিষ্যৎহীনতা, এবং ঈশ্বরহীনতার মধ্যে| এরা হলেন সেই উপহাসকেরা, যারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলে, এই কথা বলতে বলতে যে, “তাঁহার আগমনের প্রতিজ্ঞা কোথায়?”

বিংশ শতাব্দীর আর একজন বিখ্যাত মানুষ ছিলেন এইচ. জি. ওয়েলস| তিনি The Time Machine, The war of the Worlds, এবং The Outline of History বইগুলি লিখেছিলেন| মিঃ ওয়েলস্ ছিলেন একজন দার্শনিক, ঐতিহাসিক, এবং কল্পবিজ্ঞান লেখক| তিনি খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের আক্রমণ করেই নিজের জীবন কাটিয়ে দিয়েছিলেন| কিন্তু যখন বৃদ্ধ বয়সে তিনি বলেছিলেন, “আমার পয়ষট্টি বছর বয়সে আমি এখনও শান্তির খোঁজ করিয়া চলিতেছি| শান্তি হইতেছে ঠিক যেন এক আশাহত স্বপ্ন|” জীবনের শেষপ্রান্তে এসে মিঃ ওয়েলস বলেছিলেন যে মানবজাতি দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছে “পদমর্যাদা, দুখঃভোগ এবং মৃত্যুতে|”

এই জগতের বিদ্রুপকারী এবং উপহাসকদের অনুসরণের দ্বারা আপনি কখনও খ্রীষ্টকে খুঁজে পাবেন না| কিভাবে পরিত্রাণ পাবেন সেই বিষয়ে “চিন্তা করার” চেষ্টা করে আপনি কখনও খ্রীষ্টকে দেখতে পাবেন না| আপনি অবশ্যই নিজেকে বিশ্বাস করবেন না, কারণ

“অন্তঃকরণ সর্ব্বাপেক্ষা বঞ্চক, তাহার রোগ অপ্রতিকার্য্য” (যিরমিয় ১৭:৯)|

যদি আপনি “নিখিল সৃষ্টির ধ্বংসাবশেষ” থেকে মুক্তি পেতে চান তাহলে আপনাকে শিশুসুলভ সরল বিশ্বাসে যীশুকে বিশ্বাস করতে হবে| মিঃ গ্রিফিতের গাওয়া গানের কথাগুলির সঙ্গে মিলিয়ে, আপনাকেও অন্তর থেকে অবশ্যই বলতে হবে,

প্রভু যীশু, স্বর্গে স্থিত তোমার সিংহাসন হইতে নিচে দেখ,
   আর পূর্ণ উৎসর্গ করিতে আমায় সাহায্য কর;
আমি নিজেকে এবং যাহা কিছু আমি জানি তাহার সকলই প্রদান করিব;
   এখন আমাকে ধৌত কর এবং আমি তুষার অপেক্ষা শুভ্র হইব|
তুষার অপেক্ষা শুভ্র, হ্যাঁ, তুষার অপেক্ষা শুভ্র;
   এখন আমাকে ধৌত কর, এবং আমি তুষার অপেক্ষা শুভ্র হইব|
(“Whiter Than Snow” by James Nicholson, 1828-1876) |

তখন আপনি সক্ষম হবেন যীশুর বিষয়ে বলতে, যিনি “নিজের রক্তের দ্বারা আমাদের পাপ হইতে আমাদেরকে ধৌত করিয়াছেন|” আমি প্রার্থনা করছি যে আপনি শীঘ্রই যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করবেন| আমেন|

যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে অনুগ্রহ করে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে বলুন – www.realconversion.com (এখানে ক্লিক করুন)| আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: ২য় পিতর ৩:১-৪ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Whiter Than Snow” (by James Nicholson, 1828-1876) |