Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




পুনঃসৃষ্টি – খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর ভালবাসার সহিত সংযুক্ত

REGENERATION - THE LINK TO CHRISTIAN LOVE
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ১৫ই মার্চ, প্রভুর দিনের সকালে লস্ এঞ্জেলসের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচার করেন
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Moring, March 15, 2015

“যে কেহ বিশ্বাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট সে ঈশ্বর হইতে জাত: এবং যে কেহ জন্মদাতাকে প্রেম করে সে তাঁহা হইতে জাত ব্যক্তিকেও প্রেম করে” (১ম যোহন ৫:১)|

আমি মন্ডলীতে বেড়ে উঠিনি| যখন আমি তের বছরের এক বালক ছিলাম তখন থেকেই আমি একটি ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে যাওয়া শুরু করেছিলাম| ঠিক সেই সময়ে আমি একটা বিষয় লক্ষ্য করেছিলাম যে মন্ডলীর যুবকেরা একে অন্যকে ভালবাসত না, তারা আমাকে ভালবাসত না, এবং তারা মন্ডলীর পূর্ণবয়স্ক লোকদের বা পালককেও ভালবাসত না| তারা অনবরত বিশ্রী বা অশ্লীল জোক্স বলত এবং একে অন্যের অসাক্ষাতে পরস্পরের নিন্দা করত| যখন পালক প্রচার করতেন তারা নিজেদের মধ্যে কানে কানে ফিসফিস করে কথা বলত এবং কিছু একটা লেখা কাগজ নিয়ে আদানপ্রদান করত| আমি এটাও আবিষ্কার করেছিলাম যে পূর্ণবয়স্ক লোকদের মধ্যেও একজনের অন্যজনের প্রতি ভালবাসা ছিল না| বাস্তবিকপক্ষে, মনে হত যেন তারা একে অন্যকে অপছন্দ করছে, এবং তাদের মধ্যে অনেকেই অন্যকে অবজ্ঞা বা ঘৃণা করত| খানিকটা অভ্যাসের বশেই তারা অধিকাংশ সময়ে একত্রিত হত| তারা একজায়্গায় জমায়েত হওয়ার অভ্যাসটি অর্জন করেছিল| অভ্যাসবশতঃ তারা রবিবারে কয়েক ঘন্টার জন্য এক জায়্গায় মিলিত হয়ে সময় কাটাতো| মন্ডলীতে আসাটা তাদের রীতি ছিল| কিন্তু তাদের পরস্পরের জন্য কোন ভালবাসা ছিল না| যখন মন্ডলীর প্রকৃত পালক অন্য মন্ডলীতে যেতেন, তখন এই যুবকদের মন্ডলীতে নিয়মমাফিক উপস্থিতির ব্যতিক্রম ঘটত| খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা তিনটি দলে ভাগ হয়ে গিয়ে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে দিত| অনেকে পাকাপাকিভাবে মন্ডলী ছেড়ে দিচ্ছিল| আর সেই যুবকেরা যারা মন্ডলী ছাড়েনি তারা বন্য পশুর মতন হিংস্রভাবে একে অন্যকে আক্রমন করত| রবিবারের সকালে উপাসনা চলাকালীন সময়ে তারা পরস্পরের প্রতি গানের বইগুলি ছুঁড়ে মারত| সেই সভার মধ্যেই তারা একে অন্যকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি বা অভিশাপ দিতে থাকত|

শেষ পর্য্যন্ত সেই সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট দল অন্য একটি মন্ডলী গঠন করার উদ্দেশ্যে ঐ মন্ডলী ছেড়ে দিয়েছিল| আমি তাদের সঙ্গে চলে গিয়েছিলাম| কিন্তু অন্য একটি মন্ডলী চালু করার পর খুব শীগগিরই সেখানেও সেই একই ধরনের ঘটনা ঘটতে শুরু করেছিল! বেশির ভাগ যুবকেরা মন্ডলী ছেড়ে চলে যাচ্ছিল| শেষ পর্যন্ত আমিও সেই মন্ডলী ছেড়ে দিয়েছিলাম এবং একটি চিনা ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে যোগদান করেছিলাম, যেখানে ২৩ বছর ধরে আমি একজন সদস্য হিসাবে ছিলাম| কিন্তু যদিও চিনা লোকেরা অতটা হিংসাত্মক ছিলেন না, তবুও সদস্যদের পরস্পরের প্রতি সামান্য হলেও কিছু ভালবাসা তখনও ছিল যতক্ষণ পর্যন্ত না ঈশ্বর সেখানে উদ্দীপনা পাঠিয়েছিলেন এবং বিষয়গুলি আরও ভালর দিকে পরিবর্তিত হয়েছিল|

কিন্তু উদ্দীপনা শুরু হওয়ার পরে পরেই আমি সেমিনারীতে চলে গিয়েছিলাম| সেখানে সেমিনারীর কাছে আমি একটা মন্ডলী শুরু করেছিলাম| কিছুদিনের জন্য সবই ভালভাবে চলছিল| এরপর আবার একই জিনিষ শুরু হয়ে গেছিল| সেখানে আবার শুরু হয়েছিল সেই উচ্চ কন্ঠে ঝগড়া আর তর্কবিতর্ক এবং লোকেদের মন্ডলী ছেড়ে চলে যাওয়া| একটা লন্ডভন্ড অবস্থা এসে দাঁড়িয়েছিল| আমি ছেড়ে দিলাম এবং লস্ এঞ্জেল্সে ফিরে এলাম|

চল্লিশ বছর আগে আমি এখানে একটা মন্ডলী শুরু করেছিলাম, যেটা শেষ পর্য্যন্ত আজকের এই মন্ডলীতে পরিনত হয়েছে যেখানে আমরা এখন বসে আছি| কিন্তু এই মন্ডলী অনেক দুর্বিপাক, লড়াই এবং ভয়ঙ্কর রকমের মন্ডলীর দলাদলির মধ্যে দিয়ে গিয়েছে| সেই সবকিছু শান্ত হতে এবং আজকে যেমন দেখছেন সেইরকম তৈরী হতে প্রায় পঁচিশ বছর সময় লেগেছে|

এখন, এটা হল আমার অভিজ্ঞতা| আপনি শুনলে হয়ত আশ্চর্য্য হবেন যে কিভাবে আমি সেই পাগলামীর গোলকধাঁধার মধ্য থেকে মন্ডলীকে বের করে এনেছিলাম| এই বিষয়ে আমি নিজেও প্রায়ই আশ্চর্য্যান্বিত হয়ে যাই| আমি শুধু এইটুকুই বলতে পারি যে, এইসবের মধ্যে দিয়ে, আমি জেনেছি সেখানে এক ঈশ্বর আছেন এবং আমি জেনেছি যে বাইবেল হচ্ছে ঈশ্বরের বাক্য| আমি এমনি এমনি ঐ বিষয়গুলি বিশ্বাস করিনি| আমার আত্মার গভীরে, আমি সেগুলি অনুভব করতাম| আমি ঐগুলি জেনেছিলাম, “কৃত ধর্ম্মকর্মহেতু নয়…কিন্তু আপনার দয়ানুসারে” (তীত ৩:৫)|

আমার এই অভিজ্ঞতা অস্বাভাবিক কিছু নয়| বেশির ভাগ, যদি না সকলেই, নবীন সুসমাচার প্রচারকেরা এই একই রকমের অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন| যা আমার অভিজ্ঞতাকে কিছুটা অস্বাভাবিক করেছে তা হল এই যে আমি এর মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলাম এবং এমনকী ঈশ্বর ও বাইবেলে আগের চেয়েও বেশি বিশ্বাস রেখে আমি এর থেকে বেড়িয়ে আসতে পেরেছিলাম!

কিন্তু এই বিষয়ে যাওয়ার আগে আমি The Fall of the Evangelical Nation: The Surprising Crisis Inside the Church (HarperOne, 2008) বইটির লেখিকা, খ্রীষ্টিনি উইকারের মন্তব্য উল্লেখ করছি| তিনি বলেছেন,

আমেরিকাতে সুসমাচার প্রচারমূলক খ্রীষ্ট বিশ্বাস মৄতপ্রায় হইয়াছে| আজকের মহান সুসমাচার প্রচারমূলক আন্দোলন সর্বাগ্রভাগে [প্রথম সারিতে] নাই| তাহারা যৎসামান্য অবশিষ্ট, শেষপ্রান্তে স্পষ্ট হইতেছে| আপনার যেইভাবে পছন্দ সেইভাবেই ইহার প্রতি দেখুন: মনপরিবর্তন| ব্যাপ্তিষ্ম| সদস্যতা…দান…উপস্থিতি…সমস্তই নিম্নমূখী এবং পতিত (ibid., introduction, p. ix)|

আর তিনি এই বিবৃতিকে সত্য ঘটনা এবং পরিসংখ্যান দ্বারা প্রতিষ্ঠিত করেছেন যা ভুল প্রমাণ করা অসম্ভব| যখন আমি বইটি পড়েছি তখন বাধ্য হয়েছি তার মৌলিক তত্ত্বের সঙ্গে একমত হতে: আমাদের মন্ডলীগুলি এক গভীর সমস্যার মধ্যে রয়েছে|

কিন্তু এটা কোন নতুন কথা নয়| ষাট বছর আগেই ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার, পরপর অনেকবার করে, আমাদের মন্ডলীর সমস্যাগুলির বিষয়ে লিখে গেছেন| উদাহরনস্বরূপ, ডঃ টোজার বলেছেন,

সমস্ত সুসমাচার প্রচারমূলক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ অধিক মাত্রায় আধ্যাত্মিক উন্নতিসাধক খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের নিকট প্রতিকূল| এবং আমি কোনভাবেই আধুনিকতার [উদারতাবাদ] বিষয়ে চিন্তা করিতেছি না| আমি বরং বুঝাইতে চাই যে বাইবেল বিশ্বাসী জনসাধারন অধিকতর ইচ্ছুক হইয়া গোঁড়ামী বহন করে…আমরা মনপরিবর্তন করি দূর্বল [নিষ্ফল, জরাজীর্ণ] ধরনের খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের যাহারা সামান্য পরিমানে নতুন নিয়মের সাদৃশ্য বহন করে…স্পষ্টতই আমরা যেন অবশ্যই উত্তম খ্রীষ্টবিশ্বাসী উৎপন্ন করি (Of God and Men, Christian Publications, 1960, pp. 12, 13)|

তার নিজের জীবিতকালে, ডঃ টোজারকে একজন ভাববাদী বলা হত!

এত বেশি বিভ্রান্তি এবং ধর্ম্মভ্রষ্টতার মধ্যে আমরা কিভাবে একটা প্রেমপূর্ণ মন্ডলী পেতে পারি? আমাদের অবশ্যই শুরু করতে হবে সেইখান থেকে যেখান থেকে বাইবেল শুরু করেছে – মন পরিবর্তনের সঙ্গে থেকে| অপরিত্রাণপ্রাপ্ত লোকেদের দ্বারা গঠিত কোন প্রেমপূর্ণ মন্ডলী আপনি কখনই পেতে পারেন না! প্রকৃত মন পরিবর্তন হচ্ছে একটা মৌলিক ঘটনা| বিখ্যাত ব্রিটিশ প্রচারক, ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স, বলেছিলেন,

খ্রীষ্টবিশ্বাসীতে পরিনত হওয়া হইতেছে একটি সন্ধিক্ষণ, একটি সংকটকালীন ঘটনা…যাহাকে নূতন নিয়মে এমন ভাষায় বর্ণনা করা হইয়াছে যেন এক নতুনজন্ম, বা নতুন সৃষ্টি, অথবা এক নতুন আরম্ভ| তাহা অপেক্ষাও বেশি হইল যে, ইহা সেস্থানে বর্ণনা করা হইয়াছিল যেন উহা ছিল একটি অতিপ্রাকৃত কার্য্য যাহা ঈশ্বর নিজে গঠন করিয়াছিলেন, তুলনামূলকভাবে যেন মৃত আত্মাকে জীবিত করা হইয়াছে…তাঁহার পুত্র যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে এবং মাধ্যমে (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Evangelistic Sermons, The Banner of Truth Trust, 1990, p. 166)|

এবং এটা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আমাদের পাঠ্যাংশে|

“যে কেহ বিশ্বাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট সে ঈশ্বর হইতে জাত: এবং যে কেহ জন্মদাতাকে প্রেম করে সে তাঁহা হইতে জাত ব্যক্তিকেও প্রেম করে” (১ম যোহন ৫:১)|

১| প্রথম, পাঠ্যাংশে “বিশ্বাসণীয়” শব্দের অর্থ কি |

“যে কেহ বিশ্বাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট…” (১ম যোহন ৫:১)|

গ্রীক শব্দ “pisteuōn” এর অনুবাদ হল “বিশ্বাস করা|” ডঃ এ. টি. রবার্টসন বলেছেন যে এটা হল “কেবলমাত্র বুদ্ধিগত দৃঢ়বিশ্বাস নয়, কিন্তু যীশু খ্রীষ্টের নিকটে পূর্ণ সমর্পণ…পূর্ণ অনুভূতিতে pisteuōn” (A. T. Robertson, Litt.D., Word Pictures in the New Testament, volume VI, Broadman Press, 1953, p. 237; note on I John 5:1)|

স্ট্রং বলছেন যে “pisteuōn” এর মানে হচ্ছে “একজন ব্যক্তির…উপরে, মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করা” (#৪১০০)| স্পারজিয়ন বলেছেন, “আপনি পছন্দ করেন এমন যে কোন গ্রীক শব্দকোষের মধ্যে দেখুন, এবং আপনি দেখবেন যে pisteuōn শব্দটি শুধুমাত্র বিশ্বাস করা বোঝায় না, পরন্তু বোঝায় আস্থা স্থাপন করা…বিশ্বাসের অর্থ হচ্ছে যীশু খ্রীষ্টের উপর আস্থা স্থাপন, নির্ভরতা, [নয়]…কোন ধারনাগত বিশ্বাস…[যা] আপনার আত্মাকে উদ্ধার করতে পারে না” (“Faith and Regeneration,” Metropolitan Tabernacle Pulpit, number 979, p. 138; note on I John 5:1)|

যীশুর উপরে দিয়াবলের এক “ধারনাগত” বিশ্বাস আছে| নতুন নিয়মের অনেকখানি আপনাকে পড়তে হবে না যখনই আপনি লূকের সেই ৪:৪১ পদটির অনুরূপ কোন পদ পাবেন,

“আর অনেক লোক হইতে ভূতও [শয়তান] বাহির হইল, তাহারা চিৎকার করিয়া, কহিল, আপনি ঈশ্বরের পুত্র…কারন তাহারা জানিত যে তিনিই সেই খ্রীষ্ট” (লূক ৪:৪১)|

এই দিয়াবলেরা বুঝতে পেরেছিল যে যীশুই হলেন সেই খ্রীষ্ট| কিন্তু তারা তাঁকে বিশ্বাস করেনি| যোহন আমাদের এই কথা বলছেন না যে শুধু এই সত্যে বিশ্বাস কর যে যীশুই হলেন সেই খ্রীষ্ট, সেই মশীহ| তিনি আমাদের খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন করতে বলছেন – pisteuōn - “যীশুকে এবং তাঁহার উপরে বিশ্বাস করুন, তাঁহার উপর নির্ভর করুন|”

স্পারজিয়ন পিত্তলের সাপের বিষয়ে আরও কিছু বলে গেছেন| সাপেরা সব ইস্রায়েলীয়দের দংশন করছিল, এবং তাদের মেরে ফেলছিল| ঈশ্বর মোশিকে বলেছিলেন পিত্তলের একটি সাপ প্রস্তুত করতে এবং সেটাকে একটা স্তম্ভের উপরে ঝোলাতে| যারা সাপেদের দ্বারা দংশিত হয়েছিল এবং মারা যেতে বসেছিল শুধু তাদেরই পিত্তলের সাপের প্রতি দৃষ্টিপাত করতে হয়েছিল আরোগ্যলাভ করা এবং বেঁচে থাকার জন্য| আমরা কিভাবে পরিত্রাণ পেয়েছি তা ব্যাখ্যা করার জন্য যোহন ৩:১৪,১৫ পদে যীশু সেই গল্পটি ব্যবহার করেছিলেন| স্পারজিয়ন বলেছেন, “যীশুতে বিশ্বাস করা হল [কেবলমাত্র] বিশ্বাসের চোখে তাঁর প্রতি তাকান, এবং আত্মায় তাঁর উপর নির্ভর করা|” (ibid., p. 140)| আপনার বিশ্বাস কত কম সেটা কোন ব্যাপার না, আপনি যদি যীশুর প্রতি তাকান এবং কেবল তাঁকেই বিশ্বাস করেন, তবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আপনার বিশ্বাস দেখায় যে আপনি পুনঃজন্মপ্রাপ্ত|

“যে কেহ বিশ্বাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট…” (১ম যোহন ৫:১)|

২| দ্বিতীয়, যে কেউ যীশুকে বিশ্বাস করে সে নতুন জন্মপ্রাপ্ত, ঈশ্বর থেকে জাত |

এখন, যারা যীশুকে বিশ্বাস করেন না এমন অনেকে বলেন যে তারা নতুন জন্মপ্রাপ্ত| তারা অন্য কিছুর উপরে বিশ্বাস করেন| এলিনা এবং আমার সঙ্গে ডঃ কেগান একবার সানদিয়াগোর কাছে একটি সমাধি সভায় গিয়েছিলেন| ফিরে আসার পথে আমরা ক্যালিফোর্নিয়ার বৃহত্তম সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীতে দাঁড়িয়ে ছিলাম| তখন শনিবারের সান্ধ্য সভা সবেমাত্র শেষ হচ্ছিল| যখন আমরা বেড়িয়ে আসছিলাম আমি একটি যুবতী মেয়েকে দেখলাম যিনি সেখানকার একজন প্রহরী ছিলেন| আমি তাকে প্রশ্ন করেছিলাম যে তিনি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী কিনা| উত্তরে তিনি বলেছিলেন, “হ্যাঁ, আমি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী|” আমি তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, “আপনি কিভাবে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হলেন?” তিনি বললেন, “আমি সারা জীবন ধরে এই মন্ডলীর একজন সদস্য হয়ে আছি|” আমি বললাম, “আমার মনে হয় না যে আপনি আমার প্রশ্নটি বুঝতে পেরেছেন| আমি জিজ্ঞাসা করেছি ‘আপনি কিভাবে একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিনত হলেন?’” তিনি এবার বললেন, “আমি ব্যাপ্তিস্ম নিয়েছি|” আমি, আবার তাকে বললাম, “কিন্তু কিভাবে আপনি একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিনত হলেন?” তিনি বলেছিলেন, “প্রতি সপ্তাহে আমি মন্ডলীতে আসি|” আমি দুঃখিত মনে চলে এসেছিলাম| সেই হতভাগ্য যুবতী মহিলাকে দিয়ে যীশুর সম্বন্ধে এমনকী একটি শব্দও বলানো গেল না! সমস্ত পৃথিবীব্যাপী লোক সেই বিশাল ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীর পালককে চেনেন| সেই যুবতীটি সেই পালকের প্রচার সারা জীবনভর শুনে আসছে| তবুও তিনি নতুন জন্মের বিষয়ে নীকদীমের মতনই অজ্ঞ ছিলেন, যিনি যীশুকে বলেছিলেন, “এই সকল কী প্রকারে হইতে পারে?” (যোহন ৩:৯)|

ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন! আশ্চর্য্যের কিছু নেই যে খ্রীষ্টিনি উইকার বলেছেন, “আমেরিকাতে সুসমাচার প্রচারমূলক খ্রীষ্ট বিশ্বাস মৄতপ্রায় হইয়াছে|” কোন আশ্চর্য্য নয় যে ডঃ টোজার বলেছেন, “সমস্ত সুসমাচার প্রচারমূলক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীগণ অধিক মাত্রায় আধ্যাত্মিক উন্নতিসাধক খ্রীষ্টবিশ্বাসীদের নিকট প্রতিকূল|” যীশুর প্রতি বিশ্বাস ব্যতিত আপনি সেই হতভাগ্য যুবতী মহিলার মতনই হারানো মানুষ, যিনি আজীবনকাল ধরে সেই বিশাল সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীর সদস্যা ছিলেন| ওহ, মন্ডলীর সদস্যপদে বিশ্বাস করবেন না! ব্যাপ্তিস্ম বিশ্বাস করবেন না! আপনার নিজের ভালটায় বিশ্বাস করবেন না! এবং আপনি যাই করুন না কেন, আপনার আবেগভরা অনুভূতিতে বিশ্বাস করবেন না! যীশুকে বিশ্বাস করুন! ক্রুশের উপর খ্রীষ্ট যে রক্ত প্রবাহিত করেছেন তার দ্বারা নিজের সমস্ত পাপ ধুয়ে দিয়ে শুচি হয়ে যান! যেমন স্পারজিয়ন প্রায়ই বলতেন, “খ্রীষ্টের উপর সোজাভাবে শুয়ে পড়ুন|” খ্রীষ্টের প্রতি তাকান| খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করুন| খ্রীষ্টের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন! এটা কোন কঠিন কাজ নয়! যেমনভাবে ইস্রায়েলীয়েরা পিত্তলের সাপের প্রতি দৃষ্টিপাত করেছিলেন আর আরোগ্যপ্রাপ্ত হয়েছিলেন তেমনভাবেই আপনি খ্রীষ্টের প্রতি দৃষ্টিপাত করুন!

দেখ এবং জীবিত হও, আমার ভ্রাতা, জীবিত হও!
   এখন যীশুর প্রতি দেখ এবং জীবিত হও,
ইহা তাঁহার বাক্যে লিপিবদ্ধ, হাল্লেলূইয়া!
   ইহা শুধুমাত্র যে আপনি দেখুন এবং জীবিত হন!
(“Look and Live” by William A. Ogden, 1841-1897)|

৩| তৃতীয়, নতুন জন্মে কি প্রবাহিত হয় |

“যে কেহ বিশ্বাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট সে ঈশ্বর হইতে জাত: এবং যে কেহ জন্মদাতাকে প্রেম করে সে তাঁহা হইতে জাত ব্যক্তিকেও প্রেম করে” (১ম যোহন ৫:১)|

পাঠ্যাংশের দ্বিতীয়ার্দ্ধের দিকে লক্ষ্য করুন, “…এবং যে কেহ জন্মদাতাকে প্রেম করে সে তাঁহা হইতে জাত ব্যক্তিকেও প্রেম করে” (১ম যোহন ৫:১)| মন্ডলীর ভাই ও বোনদেরকে ভালবাসাই হচ্ছে নতুন জন্মের বহিঃপ্রকাশ| তাহলে, প্রকৃত মন পরিবর্তনের পরীক্ষা এটাই হল যে, আমরা তাদেরকেও ভালবাসব যারা প্রকৃতভাবে মন পরিবর্তন করেছেন| ডঃ জে. ভার্নন ম্যাকগী বলেছেন যে, “যখন আপনি প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করেন আপনার নতুন জন্মপ্রাপ্তি ঘটে…এবং তার প্রমাণ হল যে আপনি ঈশ্বরকে ভালবাসেন| আপনি ভালবাসেন আপনার পিতাকে [ঈশ্বর] – তিনি আপনাকে জন্ম দিয়েছেন – এবং আপনি তাঁর অন্যান্য সন্তান সন্ততিদেরও ভালবাসতে যাচ্ছেন কারণ তারা আপনারই ভাই এবং বোন” (Thru the Bible, Thomas Nelson, 1983; note on I John 5:1)|

আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী যে এটাই হল প্রধান কারণ যে আমাদের মন্ডলীগুলির মধ্যে এত বেশি ঝগড়া হচ্ছে, এত বেশি ভাঙ্গন ধরছে, এত বেশি মন্ডলী ত্যাগের ঘটনা ঘটছে, বিশেষ করে যুবকদের মধ্যে| ডঃ তিমথী লিন অনেক বছর ধরে পালক ছিলেন| তিনি একটি মন্ডলী সম্বন্ধে লিখেছিলেন যেটা বহু সমস্যার সন্মুখীন হয়েছিল,

অনেকেই সেই [নির্দ্দিষ্ট] ধর্মসভায় নিজেকে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলে দাবী করতেন কিন্তু তাদের কোন অনন্তজীবন ছিল না; তারা সুযোগসুবিধা আদায়ের জন্য লড়াই করেছেন কিন্তু দায়িত্বপালন থেকে সরে এসেছিলেন| সেই ধরনের সদস্যেরা মন্ডলীর সেবাকাজ পরিচালনার পক্ষে অনুপযুক্ত…দূর্ভাগ্যবশতঃ, লোকেরা প্রায়ই পচনশীল জীবনকোষগুলিকে [অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি] খৃষ্টের দেহের মধ্যে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছিল| এটাই হল কারণ যে কেন…আজকের মন্ডলীগুলি প্রান্তিক রোগে ভুগছে (Timothy Lin, Ph.D., The Secret of Church Growth, FCBC, 1992, pp. 38-40)|

ডঃ লয়েড-জোন্সও এই সমস্যা উপলব্ধি করেছিলেন| তিনি বলেছিলেন,

যেহেতু লোকেরা মন্ডলীর সদস্য এবং তাহারা নিয়মিতভাবে মন্ডলীতে উপস্থিত থাকেন সেহেতু তাহারা নিশ্চয়ই খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হইবেন এইরকমের একটি ধারনা সর্বাপেক্ষা মারাত্মক এক স্বতঃসিদ্ধ, এবং আমি এই ইঙ্গিত দিতেছি যে ইহা হইল প্রধানতঃ আজকের দিনের মন্ডলীর [মন্দ] অবস্থার বিবরণ (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Preaching and Preachers, Zondervan Publishing House, 1981 edition, p. 149)|

কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা ছাড়াই হারানো লোকেরা প্রায় সমস্ত ব্যাপটিষ্ট এবং সুসমাচার প্রচারমূলক মন্ডলীর সদস্য হয়ে যেতে পারেন| তাদের অবিলম্বে গ্রহণ করা হয়| তাদের বেশির ভাগই প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হয়ে ওঠেননি| যেমন ডঃ লিন এইভাবে দেখিয়েছেন, তারা “খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলিয়া দাবি করে কিন্তু তাহাদের অনন্ত জীবন নাই|” অবশ্যই তিনি বোঝাতে চেয়েছিলেন যে তাদের কোন zōē aiōnio ছিল না – তাদের মধ্যে ঈশ্বরের কোন জীবন ছিল না| ঈশ্বরের জীবন মানুষের মধ্যে তখনই আসে যখন তারা মন পরিবর্তন করে| যেমন আমাদের পাঠ্যাংশে বলা হয়েছে, তারা “ঈশ্বর হইতে জাত,” “ঈশ্বর হইতে একজাত|” মহান প্রচারক জর্জ হোয়াইটফিল্ড (১৭১৪-১৭৭০) পরিত্রাণ পেয়েছিলেন হেনরী স্কাওগেলের লেখা “দ্য লাইফ অফ গড উইদিন দ্য সোল অফ গড” নামের বইটি পড়ার পর| ঈশ্বরের জীবন লোকেদের পুনঃজন্ম প্রাপ্ত করায় যে মুহূর্ত্তে তারা যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করে| তারা হয়ত কোন কিছু “অনুভব” করতেন না, কিন্তু অভিজ্ঞ খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা চিনতে পারবেন যে নূতন মন পরিবর্তনকারীদের বিষয়ে কিছু একটা পার্থক্য আছে| প্রধান পার্থক্যগুলির মধ্যে একটা হল এই যে তারা গভীরভাবে মন্ডলীর অন্যান্য সদস্যদের ভালবাসে যারা “ঈশ্বর হইতে একজাত,” যারা “ঈশ্বর হইতে জাত|” তারা অনুভব করতে পারে তাদেরকে যাদের মধ্যে ঈশ্বরের জীবন আছে| তাদের মধ্যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর প্রতি ভালবাসা থাকবে, সেই ভালবাসা যা হারানো জগৎ, বা হারানো মন্ডলীর সদস্যেরা, বুঝতে পারে না| ডঃ লয়েড-জোন্স বলেছিলেন, “একে অপরকে প্রকৃত ভালবাসার পূর্বে আমাদের প্রয়োজন আমাদের মধ্যে সেই ঐশ্বরিক স্বভাবটির” (The Love of God, Crossway, 1994, p. 45)| যেমন প্রেরিত যোহন এই পত্রের গোড়াতেই বলেছেন,

“আমরা জানি যে আমরা মৃত্যু হইতে জীবনে উত্তীর্ণ হইয়াছি, কারণ আমরা ভ্রাতৃগণকে প্রেম করি| যে কেহ প্রেম না করে সে মৃত্যু মধ্যে থাকে” (১ম যোহন ৩:১৪)|

সেই ব্যক্তি আত্মিকভাবে মৃত অবস্থায় অবস্থান করছে| আমরা প্রার্থনা করি যেন আজ সকালে আপনি মৃত্যু থেকে জীবনের প্রতি উত্তীর্ণ হন| যীশুর উপরে বিশ্বাস করুন| যীশুতে নির্ভর করুন| আস্থার সাথে সম্পূর্ণভাবে যীশুর উপরে নির্ভর করুন| তাঁর রক্ত আপনাকে সব পাপ থেকে শুচী করবে| মৃত্যু থেকে তাঁর পুনরুত্থান আপনাকে জীবন দান করবে| যে মুহূর্ত্তে আপনি যীশুর প্রতি ফিরে তাকাবেন এবং শুধুমাত্র তাঁকেই বিশ্বাস করবেন – আপনি মৃত্যু থেকে জীবনে প্রবেশ করবেন| আমাদের মধ্যে যারা যীশুকে বিশ্বাস করেছিলেন তাদের সঙ্গে আপনি পবিত্র প্রেমের দ্বারা আত্মিকভাবে সংযুক্ত হবেন|

“এবং তারা জানবে আমরা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী আমাদের প্রেমের দ্বারা, আমাদের প্রেমের দ্বারা,
হ্যাঁ, তারা জানবে আমরা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী আমাদের প্রেমের দ্বারা|”
      (Chorus by Peter R. Scholtes, 1938-2009)|

আমি প্রার্থনা করি যেন খুব দ্রুত সেইরকমটাই আপনার অভিজ্ঞতা হয়! যীশুকে বিশ্বাস করুন| ক্রুশের উপর যে রক্ত তিনি প্রবাহিত করেছেন তার দ্বারা তিনি আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে শুচী করবেন| তিনি আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে উদ্ধার করবেন এবং আপনাকে অনন্ত জীবন দান করবেন – এমনকী ঈশ্বরের জীবনও দান করবেন! আপনি পুনঃজন্ম পাবেন, উর্দ্ধলোক থেকে জন্মপ্রাপ্ত হবেন!

“অলিভার ট্যুইষ্ট” নাটকের একটি দৃশ্যের কথা আপনাদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে এই প্রচার আমাকে শেষ করতে দিন| অলিভার হল ৯ বা ১০ বছর বয়সের ছোট্ট এক শীর্ণ অনাথ বালক| তাকে জন্ম দেওয়ার পর তার মা মারা গিয়েছিল এবং তার আর অন্য কোন আত্মীয়স্বজন ছিল না| সে হল একজন অনাথ বালক – গোটা পৃথিবীতে একেবারে একা| উনবিংশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডের এক অনাথ আশ্রমে সে থাকত| সে আধপেটা খেয়ে বেঁচে ছিল| আশ্রমের লোকেরা তাকে রাতের খাবার হিসাবে একটা ছোট বাটিতে করে জলের মত পাতলা জইয়ের তৈরী খাবার প্রতি রাত্রে খেতে দিত| অলিভারের খাবার টেবিলের অন্য ছেলেরা ফিসফিস করে তাকে বলত, “যাও এবং আরও বেশি করে খাবার চাও|” শেষ অবধি, একদিন খিদের জ্বালায় মরিয়া হয়ে, সেই ছোট বালকটি তার বাটি নিয়ে উঠে দাঁড়াল, এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সেই বিশাল চেহারার মোটা লোকটির কাছে গেল| মোটা লোকটি নিচু হয়ে তার দিকে তাকাল আর জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি চাও?” ভীত ও মৃদু গলায়, অলিভার বলল, “মহাশয়, অনুগ্রহ করুন, আমি আর একটু বেশি খাবার চাই|” মোটা লোকটি বলল, “কী?” সেই ছোট্ট বালকটি বলেছিল, “মহাশয়, অনুগ্রহ করুন, আমি আর একটু বেশি খাবার চাই|” মোটা লোকটি তীক্ষ্ণস্বরে বলে উঠল, “কী? তুমি আরও বেশি চাও? আরো বেশি! তুমি আরও বেশি চাও!” অলিভারকে এর জন্যে চাবুক দিয়ে মারা হল এবং ছোট্ট একটি ঘরে আটকে রাখা হল| তারা অলিভারের থেকে মুক্তি পেল| কয়েকদিনের মধ্যেই তাকে ঠিকাদারের জন্য কাজ করতে বাইরে পাঠান হল, যে ঠিকাদার তাকে একটা অন্ধকার ঘরে, কফিনের মধ্যে ঘুমাতে বাধ্য করেছিল|

যদি আপনি কখনও ডিকেন্সের লেখা বই পড়ে থাকেন, অথবা যদি কখনও ১৯৪৮ সালে তৈরী সেই চলচ্চিত্রটি দেখে থাকেন, তাহলে আপনি কখনও সেই দৃশ্যটির কথা ভুলবেন না – যেখানে সেই বিশাল, মোটা “চৌকিদার” এই ছোট্ট ক্ষুধার্ত বালকটিকে আর এক হাতা জলের মত পাতলা জইয়ের খাবার দিতে অস্বীকার করেছিল| আমি ভয় পাচ্ছি যে আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ এইভাবে খ্রীষ্টের বিষয়ে চিন্তা করেছেন| আপনি ভাবছেন তিনি হীনচেতা এবং নির্মম| আপনি চিন্তা করছেন যে তিনি আপনাকে পরিত্রাণ দিতে চাইছেন না| আপনি কতটাই না ভুল ভাবছেন! খ্রীষ্ট আপনাকে প্রেম করেন! আপনি যা চান তার সবটাই খ্রীষ্ট আপনাকে দিতে – এবং আরও বেশি করে দিতে প্রস্তুত আছেন! যীশু বলছেন, “আমার নিকট আইস…এবং আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব” (মথি ১১:২৮)| যীশু বলছেন, “আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই” (যোহন ১০:২৮)| যীশু বলছেন, “আমি তাহাদিগকে জীবন জলের উনুই হইতে বিনামূল্যে জল দিব” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৬)|

যীশু আপনাকে বিনামূল্যে পরিত্রাণ দিবেন| তিনি আপনাকে জীবন এবং শান্তি দিবেন| তিনি আপনাকে পাপ থেকে পরিত্রাণ দিবেন| তিনি আপনাকে অনন্ত জীবন দিবেন| আপনার যেটা করা প্রয়োজন তা হল তাঁর উপর বিশ্বাস স্থাপন করুন, তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করুন এবং পরিত্রাত হন|

দেখ এবং জীবিত হও, আমার ভ্রাতা, জীবিত হও!
   এখন যীশুর প্রতি দেখ এবং জীবিত হও,
ইহা তাঁহার বাক্যে লিপিবদ্ধ, হাল্লেলূইয়া!
   ইহা শুধুমাত্র তুমি দেখ এবং জীবিত হও!

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: ১ম যোহন ৪:৭-১১; ৩:১১-১৪|
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Blest Be the Tie” (by John Fawcett, 1740-1817)/
“They’ll Know we are Christians by our Love” (by Peter R. Scholtes, 1938-2009)|


খসড়া চিত্র

পুনঃসৃষ্টি – খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর ভালবাসার সহিত সংযুক্ত

REGENERATION - THE LINK TO CHRISTIAN LOVE

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।

“যে কেহ বিশ্বাস করে যে যীশুই সেই খ্রীষ্ট সে ঈশ্বর হইতে জাত: এবং যে কেহ জন্মদাতাকে প্রেম করে সে তাঁহা হইতে জাত ব্যক্তিকেও প্রেম করে” (১ম যোহন ৫:১)|

(তীত ৩:৫)

১| প্রথম, পাঠ্যাংশে “বিশ্বাসণীয়” শব্দের অর্থ কি, ১ম যোহন ৫:১ক; লূক ৪:৪১ |

২| দ্বিতীয়, যে কেউ যীশুকে বিশ্বাস করে সে নতুন জন্মপ্রাপ্ত, ঈশ্বর থেকে জাত,
যোহন ৩:৯ |

৩| তৃতীয়, নতুন জন্মে কি প্রবাহিত হয়, ১ম যোহন ৫:১খ; ৩:১৪; মথি ১১:২৮;
যোহন ১০:২৮; প্রকাশিত বাক্য ২১:৬ |