Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




প্রকৃত উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য

(উদ্দীপনা সভার নবম প্রচার)
THE MAIN FEATURES OF TRUE REVIVAL
(SERMON NUMBER 9 ON REVIVAL)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ২৮শে সেপ্টেম্বর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Evening, September 28, 2014


পিতর পঞ্চসপ্তমীর দিনে উঠে দাঁড়ালেন এবং যোয়েলের পুস্তক থেকে উল্লেখ করলেন,

“শেষকালে এইরূপ হইবে, ইহা ঈশ্বর বলিতেছেন, আমি মর্ত্ত্যমাত্রের উপরে আপন আত্মা সেচন করিব: তাহাতে তোমাদের পুত্রগণ ও তোমাদের কন্যাগণ ভাববাণী বলিবে…আবার আমার দাসদের উপরে এবং আমার দাসীদের উপরে সেই সময়ে আমি আমার আত্মা সেচন করিব; আর তাহারা ভাববাণী বলিবে” (প্রেরিত ২:১৭, ১৮)|

ঈশ্বর উদ্দীপনার সময়ে তাঁহা“র” আত্মা সেচন করেন| তিনি বলেন, “সেই সময়ে আমি আমা আত্মা সেচন করিব|” কত অদ্ভূত যে বেশির ভাগ আধুনিক অনুবাদে “র” শব্দটি বাদ দিয়েছে| এটা নিশ্চয়ই গ্রীক পাঠ্যাংশে আছে| গ্রীক ভাষায় арό বা এপো শব্দটি আছে| পুরানো জেনেভা বাইবেলে আছে, “আমার আত্মা|” কিং জেমস্ বাইবেলে আছে, “আমার আত্মা|” কিন্তু শুধুমাত্র আধুনিক NASV অনুবাদে এবং NKJV অনুবাদে এটা আছে| সেই কারণে আমি এটা বিশ্বাস করি না| সেইজন্য আমি আপনাকে বলি কিং জেমস্ বাইবেল সংগ্রহ করুন| আপনি সেটা বিশ্বাস করতে পারেন! ঐ সব পুরানো অনুবাদকরা শব্দগুলিকে বাদ দিত না বা তথাকথিত “শক্তিশালী সমতুল্য” শব্দ দিত| “সেই সময়ে আমি আমা আত্মা সেচন করিব|” উদারপন্থীরা বলেন, “উহাই সত্তরী|” আমি বলি, তুচ্ছ! সেই কথাই ঈশ্বরের আত্মা গ্রীক নতুন নিয়মের পাতায় লিপিবদ্ধ করেছেন – এবং তিনি মিথ্যা বলেন না! যখন ঈশ্বরের আত্মা সত্তরীতে উল্লেখ করেন, যথার্থ গ্রীক শব্দগুলি নতুন নিয়মে অনুপ্রেরণার দ্বারা “নিঃশ্বসিত|” “আমার আত্মা|” এটা কেন গুরুত্বপূর্ণ? আমি আপনাকে বলব কেন গুরুত্বপূর্ণ| ঈশ্বর তাঁর সমস্ত আত্মা সেচন করেন নি| আমাদের যতটা প্রয়োজন ততটাই তিনি পাঠিয়েছেন! ১৮৮২ সালে, জর্জ স্মাটন, বলেছিলেন, “সেখানে ‘আমার আত্মা’ (এপো) এই বাক্যগুলি হারাইয়া যায় নাই আর ইহার অজ্ঞাত অর্থ স্বতন্ত্র করিয়াছে মানুষের আচরনের (দিয়াছি) সহিত (অপরিমেয়) উৎসের উপায়ের পূর্ণতার মধ্যে” (George Smeaton, The Doctrine of the Holy Spirit, 1882; reprinted by the Banner of Truth, 1974; p. 28)| পৈরিতীক মন্ডলী বার বার আত্মার সেচন গ্রহণ করেছিলেন কারন সেখানে সর্ব্বদা বেশি দেওয়া হত! “এপো”(র) এর বিষয়ে, ডঃ এ. টি. রবার্টসন বলেছেন, “তাঁর আত্মা সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের সঙ্গে থাকেন” (Word Pictures in the New Testament, volume 3, Broadman Press, 1930, p. 26; note on Acts 2:17)|

আমি তিনটি উদ্দীপনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসাবে লক্ষণীয়ভাবে আশীর্ব্বাদ পেয়েছিলাম| আমি সম্পূর্ণভাবে ইয়ান এইচ. ম্যূরের সঙ্গে একমত, যিনি বলেছিলেন, “উদ্দীপনার প্রতি প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য অপরিবর্তনীয়ভাবে কিছু দেওয়ার বিষয়ে বলে যাহা আগে ঘটে নাই” (Iain H. Murray, Pentecost Today? The Biblical Basis for Understanding Revival, The Banner of Truth Trust, 1998, p. 22)| ১৮৫৯ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের, আলস্টারে উদ্দীপনার একজন প্রত্যক্ষ সাক্ষী বলেছিলেন, “মানুষ অনুভব করিয়াছিলেন যেন প্রভু তাহাদের উপর নিঃশ্বাস ফেলিলেন| তাহারা প্রথমে বিস্ময়ে ও ভয়ে প্রভাবিত হইয়াছিলেন – তাহার পর তাহারা অশ্রুজলে স্নান করিয়াছিলেন – ইহার পর তাহারা অনির্বচনীয় আনন্দে পরিপূর্ণ হইয়াছিলেন” (William Gibson, The Year of Grace, a History of the Ulster Revival of 1859, Elliott, 1860, p. 432)| ২৯শে ফেব্রুয়ারী, ১৮৬০ সালে রেভাঃ ডি. সি. জোনস্ বলেন, “আমরা স্বাভাবিকের তুলনায় অধিক পরিমানে আত্মার প্রভাব পরিদর্শন করিয়াছিলাম| ইহা ‘প্রচন্ড বায়ুর বেগের ন্যায়,’ আসিয়াছিল এবং…যখন মন্ডলীগুলি ইহার অল্প আশা করিয়াছিল” (Murray, ibid., p. 25)| এইভাবেই প্রথম ও তৃতীয় উদ্দীপনা এসেছিল যা আমি দেখেছিলাম| পবিত্র আত্মা এমনই হঠাৎ করে এবং অপ্রত্যাশিতভাবে এসেছিলেন যা আমি জীবনে কখনও ভুলব না!

এখন, প্রকৃত উদ্দীপনাতে, কিছু নিশ্চিত ঘটনাবলী আছে যেগুলি পরোক্ষ, কিন্তু মূল নয়| এই সমস্ত ঘটনাগুলির কয়েকটি উদ্দীপনার সময়ে ঘটে, কিন্তু প্রত্যেক উদ্দীপনাতে এগুলোই উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য নয়| আমি তার মধ্যে কয়েকটির নাম উল্লেখ করব| এই পয়েন্টগুলি বা তালিকাভূক্ত বক্তব্যগুলি ডঃ মার্টিন লয়েড-জোনসের লেখা, উদ্দীপনা (Crossway Books, 1987) নামের বইয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে এবং আমার অভিজ্ঞতা ও আমার দেখা উদ্দীপনার পর্যবেক্ষণ থেকে নেওয়া হয়েছে|

১| ভাষা| পঞ্চসপ্তমীতে, প্রথম উদ্দীপনায়, আমাদের বলা হয়েছে যে তারা “আত্মা তাহাদিগকে যেরূপ বক্তৃতা দান করিলেন, তদনুসারে অন্য অন্য ভাষায় কথা কহিতে লাগিলেন” প্রেরিত ২:৪)| আমাদের পঞ্চসপ্তমীর বন্ধুদের অনেকেই শিক্ষা দেন যে এটা এক মূল বৈশিষ্ট্য, যা প্রত্যেক উদ্দীপনার সঙ্গে অবশ্যই যুক্ত| কিন্তু এই দাবীকে অস্বীকার করার দু’টি প্রধান কারন আছে: (১) প্রেরিত ২ অধ্যায়ের “ভাষা” পরমানন্দদায়্ক উচ্চারণের ছিল না| সেগুলো আসলে ছিল যথার্থ বিদেশী ভাষা| প্রেরিত ২:৬-১১ পদে এটা খুব পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা আছে| “প্রত্যেকজন আপন আপন ভাষায় তাহাদিগকে কথা কহিতে শুনিতেছিল” (প্রেরিত ২:৬)| “তবে আমরা কেমন করিয়া, নিজ নিজ জন্মদেশীয় ভাষায় কথা শুনিতেছি?” (প্রেরিত ২:৮)| তারপর বিভিন্ন ভাষার একটা দীর্ঘ তালিকা লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল, এবং এই শব্দগুলির সঙ্গে শেষ হয়েছিল, “আমাদের নিজ নিজ ভাষায় উহাদিগকে ঈশ্বরের মহৎ মহৎ কর্মের কথা বলিতে শুনিতেছি” (প্রেরিত ২:১১)| সুতরাং এটা পরিষ্কার যে তারা পরমানন্দদায়ক উচ্চারণের সঙ্গে ভাষা বলেন নি, যেমন আধুনিক পঞ্চসপ্তমীর এবং আধ্যাত্মিক শক্তি অনুসারে বলেন| আমি জানি এটা অনুশীলন করার জন্য তারা অন্য শাস্ত্রাংশের প্রতি সনির্বন্ধ আবেদন করে| আমি এখানে এই বিষয়ের চর্চা করছি না| আমি শুধু বলছি যে তারা পঞ্চসপ্তমীতে বিদেশী ভাষায় কথা বলেছিলেন, “আত্মা তাহাদিগকে যেরূপ বক্তৃতা দান করিলেন” (প্রেরিত ২:৪)| আমার কোন সন্দেহ নাই যে তা আশ্চর্য কাজ ছিল| কিন্তু এটা উদ্দীপনার মূল অংশ ছিল না, কারন প্রেরিত পুস্তকে উল্লেখিত অন্যান্য উদ্দীপনায় এইরকম ঘটনা ঘটে নি| (২) বিংশশতাব্দীর অনুকৃত উদ্দীপনার আগে পঞ্চসপ্তমীর উদ্দীপনায় পরমানন্দদায়ক উচ্চারণ উপস্থিত হয় নি, এমনকি ফিনের মাত্রাধিক্যের মধ্যেও হয় নি| অনুগ্রহ করে শোনা বন্ধ করবেন না| আপনি হয়তো দেখবেন যে এই বিষয়ের সঙ্গে আপনি সহমত হয়েছেন যদি আপনি আমি যা বলছি তার বাকি অংশটা শোনেন| শুধুমাত্র পঞ্চসপ্তমীমূলক মতবাদ ও আধ্যাত্মিক প্রেরণামূলক আন্দোলন নয়, অনুকৃত উদ্দীপনাগুলি অন্তর্ভুক্ত করে সমস্ত রকমের “সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ,” যা ছিল আমাদের সময়ের ভ্রান্ত “উদ্দীপনার” একটি অংশমাত্র| আধুনিক যুগে অনুকৃত উদ্দীপনাগুলির উৎস বিভিন্ন আকারে “সিদ্ধান্তমূলক মতবাদের” মধ্যে রয়েছে| তাছাড়া, আমি এটাও ভাল করে জানি যে কিছু পঞ্চসপ্তমীমূলক এবং আধ্যাত্মিক প্রেরণামূলক দল পরিত্রাণ পেয়েছে| কিন্তু বিংশশতাব্দীর আগে ভাষা কখনই প্রোটেস্টান্ট উদ্দীপনার ইতিহাসের অংশ ছিল না, যেমন পঞ্চসপ্তমীর পন্ডিতগণ স্বীকার করেন|

২| “অংশ অংশ হইয়া পড়িতেছে এমন অনেক অগ্নিবৎ জিহ্বা” (২:৩)| সেটা ছিল এক রকমের একবারের ঘটনা| প্রেরিত পুস্তকে উল্লেখিত অন্যান্য উদ্দীপনায়, অথবা খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর ইতিহাসেও সেটা আর কখনও স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় নি|

৩| অশুচি আত্মাবিশিষ্ট লোকেদের থেকে দিয়াবল উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে বের হয়ে আসল (প্রেরিত ৮:৭) এবং অনেকে সুস্থ হল (৮:৭)| এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যগুলির কোনটাই পঞ্চসপ্তমীর উদ্দীপনায় দৃষ্টিগোচর হয় নি! সুতরাং, আবার বলি, এটা উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য নয়| প্রেরিত পুস্তকে উল্লেখিত অন্য কোন উদ্দীপনায় এর বিবরণ নাই| আমি জানি যে “হাস্যকর উদ্দীপনা” (তথাকথিত) এই বিষয়গুলিকে কেন্দ্রীয় করে তোলে, কিন্তু সেটা ভ্রান্ত| খ্রীষ্টিয় মন্ডলীর ইতিহাসে শতাধিক উদ্দীপনার কথা প্রতীয়মান হয়েছে এবং প্রেরিত পুস্তকেও অনেক উদ্দীপনার উল্লেখ আছে – কিন্তু কোথাও এই রকমের ঘটনা ঘটে নি|

৪| প্রেরিত বইয়ের ৪:১-৪ পদের বিবরণে উল্লেখ আছে যে মহা উদ্দীপনায় প্রচারের পর প্রেরিতবর্গকে কারাগারে বদ্ধ করা হয়েছিল| কিন্তু প্রেরিত বইয়ে উল্লেখিত উদ্দীপনায় কারারুদ্ধের বিষয়টা ছিল না| কখনও কখনও মন্ডলীর ইতিহাসে এইরকম ঘটেছিল, কিন্তু সবসময়ে নয়| সুতরাং, আমরা উপসংহারে বলি যে প্রচারের জন্য কারারূদ্ধ হওয়াটা উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য নয়|

৫| প্রেরিত ৪:৩১ পদ অনুসারে বাড়িঘরের কম্পন হয়েছিল| আমি জানি ১৯৪০ সালের শেষের দিকে ল্যুইস দ্বীপে, যেখানে ডানকান ক্যাম্পবেল প্রচার করছিলেন সেখানে উদ্দীপনার শুরুতে এইরকম ঘটেছিল| কিন্তু প্রেরিত বইয়ের অন্য কোথাও এরকম ঘটনা ঘটে নি, এবং উদ্দীপনার ইতিহাসে সেইরকম কোন বিবরণ নাই| সেইজন্য উপসংহারে আমরা বলছি যে বাড়িঘরের কম্পন উদ্দীপনার মূল বিষয় নয়|

৬| প্রেরিত ১৯:১৯, ২০ পদে আমরা দেখতে পাই যে ইফিষীয়তে লোকেরা বই পুড়িয়েছিল| হ্যাঁ, ইফিষীয়তে, সেখানে এক উদ্দীপনার সময়ে, লোকেরা জাদুক্রিয়ার বই এনেছিল আর সেগুলি পুড়িয়ে দিয়েছিল, “এইরূপে সপরাক্রমে প্রভুর বাক্য বৃদ্ধি পাইতে এবং প্রবল হইতে লাগিল” (১৯:২০)| ভার্জিনিয়ার বুনিয়াদি ব্যপটিষ্ট মন্ডলীতে উদ্দীপনার সময় এটা ঘটতে আমি দেখেছি| কিন্তু প্রথম চীনা ব্যপটিষ্ট মন্ডলীতে উদ্দীপনার সময়ে আমি দেখেছি যে তারা বই পোড়ায় নি| প্রেরিত বইয়ের বিবরণ অনুযায়ী অন্য উদ্দীপনার সময়ে এইরকম ঘটে নি| সুতরাং, উপসংহারে আমি বলছি যে এটাও একটি পরোক্ষ আকস্মিক ঘটনা, উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য নয়|

৭| সরাসরি পাপ স্বীকার| হ্যাঁ, কোন কোন উদ্দীপনায় লোকেরা জনগনের সামনে সরাসরি পাপ স্বীকার করেন| সেটা কোনসময়ে ঘটেছিল – যেমন ১৯০৪ সালে ওয়ালস্ এর উদ্দীপনায়, ১৯৬০ সালে কেনটাকী শহরের এসব্যুরি কলেজে, প্রথম চীনা ব্যপটিষ্ট মন্ডলীতে, এবং অন্য কোনখানে| কিন্তু তারা পঞ্চসপ্তমীর দিনে এরকম করেনি, প্রথম মহা জাগরণের সময়, অথবা অন্য অনেক উদ্দীপনাতেও এরকম করে নি| সুতরাং, আমরা অবশ্যই উপসংহারে বলতে পারি যে মন্ডলীর সামনে, সরাসরি পাপ স্বীকার করাটাও, হল এক পরোক্ষ ঘটনা, উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য নয়|

৮| তীক্ষ্ণ আর্তনাদ করা এবং মাটিতে পড়ে যাওয়া| হ্যাঁ, এইরকম কয়েকবার ঘটেছিল নরদাম্পটনে, জোনাথান এডোয়ার্ড’র মন্ডলীতে উদ্দীপনার সময়ে, এবং দ্বিতীয় মহা জাগরণের সময় ডঃ এসহেল নেটলিটন দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি সভায়| কিন্তু সাধারনত জর্জ হোয়াইটফিল্ডের সেবাকাজে এইরকম ঘটেনি, যদিও সেরকম হয়েছিল স্কটল্যান্ডের ক্যামবাসল্যাং এর মহা উদ্দীপনার কয়েকটি সভায়, যেখানে তিনি প্রচার করেছিলেন| লন্ডনে সি. এইচ. সুপারজিয়নের দ্বারা তৃতীয় মহা জাগরণের মূল বৈশিষ্ট্য এটা ছিল না| আমি যতদূর সম্ভব বাইবেল থেকে বলতে পারি যে এটা পঞ্চসপ্তমীর দিনে ঘটে নি| সুতরাং, নিদারূন আর্তস্বর এবং মাটিতে পড়ে যাওয়া উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য নয়| এইরকম হয়্ত ঘটে, কিন্তু উদ্দীপনায় এইরকম যে ঘটবেই এমন নয়| এবং লোকেদের “আত্মার বধ” হয় যখন একজন সুসমাচার প্রচারক তাদের কপালে স্পর্শ করে, এটা আমার দেখা উদ্দীপনায় ঘটেনি অথবা এইরকম ঘটেনি বেশির ভাগ উদ্দীপনার ইতিহাসে (দেখুন ইয়ান এইচ. ম্যুরের লেখা আজকের পঞ্চসপ্তমী বইটির ষষ্ঠ অধ্যায়, বা Pentecost Today? The Biblical Basis for Understanding Revival, Banner of Truth, 1998, pp. 134-169)|


আমি বলছি না যে এই জিনিষগুলি কখনওই ঘটে না, কিন্তু সেগুলো নিশ্চিতভাবেই মূল বিষয় নয়, এবং শতাব্দীর প্রত্যেকটি উদ্দীপনার জন্য সত্য নয়| যদি আমরা এই বিষয়ের প্রতি দৃষ্টি দিই, আমরা সাধারনত দেখব যে আমরা হয় অন্ধ গোঁড়ামির দ্বারা, অথবা দিয়াবলের দ্বারা প্রতারিত হয়ে আসছি! ডঃ মার্টিন লয়েড-জোনস্ বলেছেন, “তোমরা অবশ্যই উচ্ছসিত হইও না মৌলিকের প্রতি এবং মূল বস্তুর অবস্থানের প্রতি যাহা চৌহদ্দির অধিকারভূক্ত” (Revival, Crossway Books, 1987, p. 60)| আমার জীবনের জঘণ্যতম সভাগুলির মধ্যে আমি ফ্লোরিডার একটি তথাকথিত “হাস্যকর উদ্দীপনা” সভায় যোগদান করেছিলাম, যেখানে অট্টহাসিকে মনে করা হত উদ্দীপনার এক মূল বৈশিষ্ট্য! আর্থার বি. হউক এবং আমি ক্যালিফোরনিয়ার, পাসাডিনাতে এক রাত্রে আর একটা ভয়ঙ্করভাবে উচ্ছৃঙ্খল “উদ্দীপনা” দেখেছিলাম, যেখানে লোকেরা সিংহের মতন গর্জন করছিল এবং বাঁদরের মতন তীক্ষ্ণ আর্তনাদ করছিল! এমনকি আমি এই বিষয়ে খুব নিশ্চিত ছিলাম না যে কেন তারা চিন্তা করছিল যে ঐরকম করাটা তাদের সাহায্য করবে! এটা মনে হচ্ছিল আর কিছুই নয় কিন্তু পুঞ্জীভূত মৃগীরোগের নীচতম বিন্যাস! এইসবের মধ্যে খ্রীষ্টের স্থান কোথায়?

৯| উদ্দীপনা আসুক এমন অবস্থা “তৈয়ারী” করতে তোমরা পার না| এটা “সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ” থেকে আসে| এমনকি উপবাস ও প্রার্থনাও উদ্দীপনার সিদ্ধান্ত হতে পারে না| চার্লস জি. ফিনের (১৭৯২-১৮৭৫) শিক্ষা হল যে খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর কাজের উপর উদ্দীপনা নির্ভর করে| এই ধারনা বড়ই ক্ষতিসাধন করেছে কারন এটা লোকদের চিন্তা করতে সাহায্য করেছিল যে উদ্দীপনা ঈশ্বরের পরিবর্তে তাদের উপর নির্ভর করে| ঈশ্বর একাই সিদ্ধান্ত নেন যে কখন তিনি উদ্দীপনা পাঠাবেন| আমরা পারি উদ্দীপনার জন্য প্রার্থনা করতে এবং আমাদের তা করা উচিৎ| কিন্তু ঈশ্বর কেবল একাই সিদ্ধান্ত নেবেন যে তিনি কখন আমাদের একটি উদ্দীপনা পাঠাবেন| উদ্দীপনার জন্য আমরা কোন সিদ্ধান্তই নিতে পারি না| এটা সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের হাতে| “পরাক্রম ঈশ্বরেরই,” গীতসংহিতা ৬২:১১ (দেখুন ইয়ান এইচ. ম্যুরের লেখা আজকের পঞ্চসপ্তমী বইটি বা Pentecost Today? , The Banner of Truth Trust, 1998, pp. 8-16)|


তাহলে, কী ঘটবে, প্রকৃত উদ্দীপনায়? প্রকৃত উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্যগুলি কী কী? ডঃ লয়েড-জোনস্ কয়েকটি বিষয়ের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন যা প্রকৃত উদ্দীপনার সঙ্গে সংযুক্ত| তিনি পঞ্চসপ্তমীর দিনের বিষয়ে অধ্যয়ণ করে, এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলির উপর ভিত্তি করেই লিখেছেন, তার মহান বই, উদ্দীপনা (ibid., pp. 204-211)|

১| ঈশ্বর তাদের মধ্যে নেমে এসেছিলেন| প্রত্যেকেই তাঁর উপস্থিতি, এবং তাঁর গৌরব, ও তাঁর ক্ষমতার বিষয়ে সচেতন ছিলেন| সেটাই ঘটেছে, কিছু পরিমানে, এবং কিছু সীমাদি পর্যন্ত, প্রত্যেক উদ্দীপনায় যা মন্ডলী বহূল পরিমানে জানে| (আপনাকে বলার প্রয়োজন নাই যে ঈশ্বর সেখানে আছেন| আপনি জানেন যে তিনি সেখানে আছেন! সেটাই ছিল উদ্দীপনায় আমার দেখা নিজের অভিজ্ঞতা| সশ্রদ্ধ ভয় এবং বিস্ময়ের এক অনুভূতি ঐ সভায় ছিল| লোকেরা পবিত্র ঈশ্বরের উপস্থিতিতে, যথার্থ সন্ত্রস্ত ছিল)|

২| এর ফলস্বরূপ, মন্ডলীকে দেওয়া হয়েছে, সত্য সম্পর্কে মহা নিশ্চয়তা| লোকেরা শর্তহীন নিশ্চয়তা এবং বাইবেলের সত্যের প্রতি আত্মবিশ্বাস পায়| এটা হল উদ্দীপনার সময়ের এক সর্বজনীন অভিজ্ঞতা|

৩| মন্ডলী পরিপূর্ণ হল বড়ই আনন্দে এবং প্রশংসার অনুভূতিতে| লোকেরা হঠাৎ করে জানতে পারল যে প্রভু তাদের মধ্যে নেমে এসেছেন| “তাহাদের মুখেই ইহা প্রকাশ পাইয়াছিল| তাহারা রূপান্তরিত হইয়াছিলেন| সেখানে স্বর্গীয় একটি চেহারা তাহাদের মুখে প্রকাশ পাইয়াছিল, যাহা এই আনন্দ ও প্রশংসার অভিব্যক্তি…আত্মার সমস্ত ব্যক্তিত্বকে আলোকিত করে, এবং আনন্দ দেয় যাহা ‘অনির্বচনীয়, এবং গৌরবপূর্ণ’” (Lloyd-Jones, ibid., p. 206)|

৪| যখন উদ্দীপনা আসবে তখন লোকেদের মন্ডলীতে এসে আরাধনা করার জন্য এবং ঈশ্বরের বাণী শোনার জন্য আপনার তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করার দরকার নাই| তারা নিজেরাই আসার জন্য অনুপ্রাণিত হবে| তারা রাতের পর রাত আসবে, এবং ঘন্টাধিক ধরে থাকবে, যেমন তারা পঞ্চসপ্তমীর দিনে করেছিলেন|

৫| প্রচারে এক নতুন ক্ষমতা এবং সাহসিকতা দেওয়া হয়েছিল| ক্ষমতাপন্ন সুসমাচার প্রচার সমস্ত প্রকৃত উদ্দীপনার মূল বৈশিষ্ট্য| প্রচারে এক নতুন ক্ষমতার অভিজ্ঞতা হয়েছিল| লোকেরা শুনছিল যেন তাদের জীবন তার উপরেই নির্ভরশীল| যখন উদ্দীপনা আসবে তখন প্রচার নিজেই জনসমাগমকে আকর্ষণ করবে|

৬| যখন উদ্দীপনা আসে তখন লোকেরা পাপের চেতনার মধ্যে আসে| হারানো লোকেরা পাপ সম্বন্ধে এতই চেতনাগ্রস্ত হয় যে তারা নিদারুন মানসিক যন্ত্রনার মধ্যে থাকে| আমি মনে করি এটাই সম্ভবত সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে ঈশ্বর মন্ডলীতে উদ্দীপনা পাঠিয়েছেন| যে সব লোক শীতল এবং গতানুগতিক তাদেরকে প্রস্তুত করা হয় এমন অনুভব করতে যেন তারা নিজেদের পাপের জন্য “শঙ্কিত এবং আতঙ্কিত” (Lloyd-Jones, ibid., p. 209)| এটাই হল প্রমাণ যে পবিত্র আত্মা নেমে এসেছেন তাদের “পাপের সম্বন্ধে, এবং ধার্মিকতার সম্বন্ধে, এবং বিচারের সম্বন্ধে” চেতনা দিতে (যোহন ১৬:৮)| পঞ্চসপ্তমীর দিনে তারা পাপের সম্বন্ধে এতটাই চেতনাগ্রস্ত হয়েছিল যে তারা উচ্চস্বরে আর্তনাদ করে বলেছিল, “লোকেরা এবং ভ্রাতৃগণ, আমরা কী করিব?” (প্রেরিত ২:৩৭)| প্রত্যেকটি প্রকৃত উদ্দীপনায় এইরকমই ঘটে থাকে| যেখানে পাপের চেতনার অভাব থাকে, সেখানে উদ্দীপনা হল কৃত্রিম| সেখানে অবশ্যই গভীর পাপের চেতনা হবে, যা হল সত্য সমস্ত প্রকৃত উদ্দীপনায়| (Lloyd-Jones, ibid., p. 209)|

৭| লোকেরা খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করবে এবং পাপের ক্ষমার অন্বেষণ করবে| তারা হঠাৎ করে অনুভব করবে যে তাদের পরিত্রাণের আশা একমাত্র যীশুতে| তারা সঠিক “সিদ্ধান্তে উপনীত” হবে না| পরিবর্তে তারা যীশুর প্রতি উড়ে আসবে এবং এক নতুন জীবন “গ্রহণ” করবে, আর তারা পুরানো জীবন ত্যাগ করবে কারন তারা যীশুর দ্বারা পরিত্রাণ পেয়ে গেছে| তারা বেশি করে খ্রীষ্টের প্রেমের বিষয়ে এবং খ্রীষ্টের রক্তের বিষয়ে কথা বলবে| খ্রীষ্টের বলিকৃত রক্তই হল সমস্ত প্রকৃত উদ্দীপনার কেন্দ্রবিন্দু|

৮| মন পরিবর্তনকারীরা মন্ডলীতে যোগদান করেন| তারা “মন্ডলীতে সংযুক্ত হয়” (প্রেরিত ২:৪৭)| উদ্দীপনায় কোন “অন্বেষণের” প্রয়োজন নাই| মন পরিবর্তনকারীরা স্বইচ্ছায় মন্ডলীতে যোগদান করবেন – এবং আপনি কোনভাবেই তাদের মন্ডলীর সভা থেকে দূরে রাখতে পারেন না! আমি দেখেছি যে প্রথম উদ্দীপনা, যা আমি প্রত্যক্ষ করেছি তাতে এবং অন্যান্য আরও উদ্দীপনায় এইরকমই ঘটেছে| আপনাকে মন পরিবর্তনকারীদের পিছনে ছুটতে হবে না| তারা ঈশ্বরের শক্তির দ্বারা মন্ডলীর আরাধনায় আকর্ষিত হবে| ডঃ লয়েড-জোনস্ বলেছেন, “যখন পবিত্র আত্মা আপন ক্ষমতায় আসিবেন তখন আরও অধিক ঘটিবে আর যাহা বিগত পঞ্চাশ অথবা একশত বৎসরে ঘটে নাই তাহা এক ঘন্টার মধ্যেই ঘটিবে আপনার ও আমার প্রচেষ্টার [কাজের] ফলস্বরূপ…ঈশ্বরের নিকট প্রার্থনা করুন তাঁর দয়ার জন্য, এবং তাঁর অনুগ্রহের জন্য, এবং পুনরায় আমাদিগের মধ্যে পবিত্র আত্মা বর্ষণের জন্য” (Lloyd-Jones, ibid., pp. 210, 211)|


প্রিয় বন্ধুগণ, এখন আমরা আমাদের মন্ডলীতে উদ্দীপনার সময়ে নেই, কিন্তু আজও পবিত্র আত্মা কিছু কিছু লোককে যীশুর কাছে আকর্ষণ করছেন| আমি কিভাবে প্রার্থনা করব যাতে আপনি তাড়াতাড়ি যীশুর উপরে বিশ্বাস করবেন| আপনাকে পাপ থেকে রক্ষা করতে যীশু ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করেছেন| তিনি তাঁর অনন্তকালীন রক্ত ঝরিয়েছেন আপনাকে সমস্ত পাপ থেকে শুদ্ধ করার জন্য| আপনাকে অনন্তজীবন দেওয়ার জন্য তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন| আমি আপনার সঙ্গে একসাথে বিনতি করি যে এখনই যীশুতে বিশ্বাস করার জন্য, এমনকি উদ্দীপনার আগমনের আগেই| ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন| আমেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: প্রেরিত ৮:৫-৮ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“O Breath of Life” (by Bessie P. Head, 1850-1936).