Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




ভিড়ের মধ্যে সেই মহিলা

THE WOMAN IN THE CROWD
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

এক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে
সদা প্রভুর দিনে এক সকালে, মার্চ ২ তারিখে, ২০১৪ সালে
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, March 2, 2014

“তখন তিনি তাহাকে কহিলেন, হে কন্যা, তোমার বিশ্বাস তোমাকে রক্ষা করিল; শান্তিতে চলিয়া যাও, এবং তোমার রোগ হইতে মুক্ত থাক” (মার্ক ৫:৩৪)|


যীশু মন্দ আত্মা বার করে দিয়েছিলেন এক উন্মাদের শরীর থেকে যে গালীল সমুদ্রের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলে বসবাস করছিল। সেখানের লোকেরা যীশুকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিল। যেখানে তাঁকে প্রয়োজন হয় নি সেখানে তিনি কোন মতেই থাকেন নি, আর তাই তিনি তাদের ত্যাগ করেন, সমুদ্র পার করেন, ফিরে যান পশ্চিমের উপকূলে। খুব শিগগীরই বহুলোক তাঁর চারপাশে হাজির হয়। তখনই একটি উন্মত্ত লোক ছুটে লোকেদের ভিড় ঠেলে তাঁর কাছে আসে। সে যীশুর কাছে এসে সেই পরিত্রাতার চরণ তলে পড়ে তাঁকে বললেন যে তার ছোট মেয়েটি মারা যেতে বসেছে। সে যীশুর কাছে বিনতি করে তার সঙ্গে গিয়ে যেন কন্যার মাথায় তাঁর হাত রাখেন “যাতে সেই কন্যা সুস্থ হয়ে ওঠে...এবং জীবিত থাকে।” যীশু সেই ব্যাক্তির সাথে গেলেন, আর লোকেরাও তাঁর অনুসরণ করে থাকে এবং চারিদিক দিয়ে ঘিরে ধরে, নিজেদের যীশুর সাথে গায়ে গা লাগিয়ে যীশু যখন যাচ্ছিলেন।

সেই ভিড়ের মধ্যেই এক অসুস্থ মহিলা ছিলেন। তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল, আর দীর্ঘ বারো বৎসর ধরে তিনি রক্তক্ষরণের যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছিলেন। সে অনেক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল, তার সমস্ত অর্থ ব্যয় করেছিল, কিন্তু তার অবস্থার কোন উন্নতি হয় নি। সে শুনেছিল যীশু হচ্ছেন এক রোগমুক্তির মানুষ। তাই সে লোকেদের ভিড় ঠেলে তাঁর বস্ত্রকে স্পর্শ করলেন। আর সেই মূহুর্তে তার সেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যায় আর সে শারিরীকভাবে রোগ থেকে সম্পূর্ণ মুক্তিলাভ করে। সে যখন তাঁকে স্পর্শ করে সুস্থ হয় যীশু তখন অনুভব করলেন তাঁর শরীর থেকে শক্তি নির্গত হল। যীশু বললেন, “কে আমার বস্ত্র স্পর্শ করিল?” তখন শিষ্যরা তাঁকে বললেন এই ভিড়ের মধ্যে অনেক লোকই তাঁকে স্পর্শ করছে।

“তাহাতে সেই স্ত্রীলোকটি ভয়ে কাঁপিতে কাঁপিতে, তাহার প্রতি কি করা হইয়াছে জানাইতে, তাঁহার সম্মুখে আসিয়া প্রণিপাত করিল, আর সমস্ত সত্য বৃত্তান্ত তাঁহাকে বলিল” (মার্ক ৫:৩৩)|

আর যীশু তাকে বললেন, “কন্যা, তোমার বিশ্বাস তোমাকে রক্ষা করিল।”

যীশু যত রোগমুক্তি করেছেন তা আমাদের কাছে প্রাথমিক ভাবে এটাই দেখায় যে আমাদের রূপান্তরের সময় কি ভাবে আমাদের প্রাণকে তিনি উদ্ধার করেন। আপনি যদি অপরিত্রাণপ্রাপ্ত তবে আজকের সকালে আমি চাই আপনি এক সতর্ক মনোনিবেশ করুন সেই মহিলার আরোগ্যতা ও রূপান্তরের প্রতি। রূপান্তরকরণের উপরে আমি চারটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠ নির্দেশ করতে যাচ্ছি তাঁর জীবন থেকে যাকে আপনি যদি সতর্কতার সঙ্গে শোনেন তবে ঈশ্বর আপনার রূপান্তর করতেও তা ব্যবহার করতে পারেন - যদি আপনি মনোযোগ দিয়ে শোনেন!

১. প্রথম, সেই মেয়েটি সত্য সত্যই আরোগ্য লাভ করতে চেয়েছিল।

মেয়েটি চারপাশের লোকেদের বোকা বানাতে চাইছিল না। যে লোকেরা উদ্ধার লাভ করার ক্ষেত্রে গম্ভীরতার ভান করে তারা সাধারণত “হাল্কা মনেরই” হয়। আর ওল্ড-স্কুল ইভ্যাঞ্জিলিক্যালরা লোকেদের বলতেন যে তারা কেবলই চারপাশে বোকার মত কাজ করে চলেছে, তারা খেলা করছে আর বোকার মত প্রশ্ন করছে। বোকারা “হাল্কা কথা” দ্বারা এই ভাবে কখনই কোন জায়গাতে পৌঁছাতে পারতো না। তারা হলেন সেই লোকটির ন্যায় যে যীশুকে জিজ্ঞাসা করে, “আর কিছু কি আছে যাদের বাঁচানো যাবে?” (লিউক ১৩:২৩)। এটা একটা নির্বোধ প্রশ্ন - হেলাফেলা মূলক, তাৎপর্যহীন। সে কেবল নিজের ঔৎসুক্যে তা জানতে চায়। তাঁর কাছে এটা সত্য সত্যই গুরুত্বপূর্ন ছিল না। সে কেবল ছিল এক “হাল্কা মনের” লোক|

এই ভাবেই অনেক লোক সেই অনুসন্ধান কক্ষে আসেন আমাদের সঙ্গে দেখা করতে। তারা আমাদের কাছে কিছু প্রশ্ন করেন। তারা কিছু কথাও বলেন। কিন্তু পরিত্রাণ লাভ করার বিষয়ে তারা কোন ভাবেই ঐকান্তিক নয়। আপনি বলতেই পারেন তারা ঐকান্তিক নয় কেননা অনুসন্ধান কক্ষের কাজ মিটে যাওয়ার পরে কয়েক মুহুর্তের মধ্যেই তারা হাসি ঠাট্টা করতে থাকে। উদ্ধারের বিষয়ে তারা কোনমতেই ঐকান্তিক নয়। তারা কেবল চারপাশে অনর্থক ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা কেবল বিষয়টিকে “হেলাফেলা” করে দেখে। এই কারণেই বাইবেল বলে যে তারা,

“সর্বদা যারা শিখে, তারা সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পহুঁছিতে পারে না” (২য় টিমোথি ৩:৭)|

তারা কখনই যীশুকে পায় না কেননা তারা আন্তরিকতার সাথে তাঁর অনুসরণ করে না। তারা কোন ভাবেই আবেগপূর্ণভাবে, উদ্যমশীলতা সহকারে, ও আকুল ভাবে খ্রীষ্টের অন্বেষণ করেন না। তারা উত্তেজিত নয়, খ্রীষ্টকে লাভ করার জন্য তারা উৎসুক নয়। তারা কেবল মাত্র অনুরাগহীন, কমগরম, নির্বিকার “হেলাফেলাকর” - যারা “সকল সময়ের শিক্ষার্থী, আর কোনমতেই সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্যন্ত পৌঁছাতে পারছে না।” পাঁচ মিনিটের কম সময়ের মধ্যে সেই অনুসন্ধান কক্ষ ত্যাগ করার পরই আপনি দেখতে পাবেন যে খ্রীষ্টকে খুঁজে পাবার বিষয়ে তারা উৎসুক নয়। তারা কেবলই সময়ের অপব্যয় করে চলেছে। তারা শুধু আবেগহীন “হেলাফেলা” ব্যক্তি। যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নরকের যন্ত্রণা দেখতে নিজেদের চোখকে ওপরে ওঠাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা রূপান্তরকরণ ও উদ্ধারের বিষয়ে ঐকান্তিক প্রিয় হবে না। কিন্তু তখন হয়তো অনেকটা দেরী হয়ে যাবে! অনন্ত কালের জন্য যতক্ষণ না তারা সমস্ত কিছুকে হারাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা বিষয়টাকে কেবল হেলাফেলা ভাবেই দেখবে।

এখন আমাদের পাঠ্যাংশের সেই মহিলার সঙ্গে এই “হেলাফেলা” বিষয়ের তুলনা করি। মেয়েটি সেই রক্তক্ষয়ী অসুখ থেকে আরোগ্য লাভ করার বিষয়ে অত্যন্ত ভাবেই উদ্বিগ্ন ছিল। সে আরোগ্য লাভের আশায় অত্যন্ত আগ্রহী ছিল। সে ছিল এমন লোকেদের মতো যারা যীশুর আজ্ঞা পালন করতো, “সংকীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশ কর” (লিউক ১৩:২৪)। “প্রাণপণ” যে শব্দ তা গ্রীক শব্দ অ্যাগোনিযোমাই শব্দ থেকে এসেছে। আর এই শব্দ থেকেই আমরা “মর্মবেদনা” শব্দটা পাই। এখন, এটা কি সেই মহিলার রক্ত স্রোতের যে বিষয় সেই বিষয়ে কিছু বর্ণনা করে না? সে কি আরোগ্যতা লাভের জন্য প্রাণপণ করে নি? এই রোগের হাত থেকে আরোগ্যতার জন্য সে কি বেদনার মধ্য দিয়ে যায় নি? একের পর এক চিকিৎসকের কাছে সে গিয়েছিল এই বেদনার হাত থেকে আরোগ্য লাভের জন্য। সে “বহু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বহু বিষয়ে কষ্ট ভোগ করেছে।” তারা নিঃসন্দেহে তার ওপর যন্ত্রণাদায়ক অস্ত্রোপচার করেছে - অত্যন্ত কষ্টদায়ক। যেহেতু সেই সময় কোন ক্লোরফর্মের ব্যবস্থা ছিল না, তখন তাকে চেতনা থাকা অবস্থাতেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল! তারা তাকে এমন ঔষধ সেবন করার জন্য দিয়েছিল যা তাকে সুস্থ করার থেকে বরং বিষাক্ত করে তুলেছিল! এই ভাবে “ঔষধের” পিছনে অফুরন্ত অর্থ ব্যয় করার ফলে সে তার সমস্ত অর্থ আর জমাপুঁজিকে শেষ করে ফেলেছিল।

ওই দিনে সে যে রূপান্তরিত হয়েছিল সে বিষয়ে আশ্চর্য্য হবার কিছু নেই! সে এ ব্যাপারে খুবই মনোযোগী ছিল। সে অনুভব করেছিল তাকে যে ভাবেই হোক বাঁচতেই হবে! এই প্রকার মনোভাবসম্পন্ন ব্যাক্তিরাই পরিত্রাণ লাভ করে, আপনি জানেন। যারা “হেলাফেলা” করে তারা হারিয়ে যাওয়ার অবস্থায় পৌঁছে যায়। কিন্তু যারা নিজেদের হারিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে উদ্বেগপ্রবণ ও একান্ত তারাই বরং অতিশীঘ্র যীশুকে খুঁজে পান। হ্যাঁ - সবসময়েই! “তোমরা আমাকে খুঁজিয়া পাইবে!”

“আর তোমরা অন্বেষণ করিবে আমার, আমাকে পাইবে তখন, যখন তোমরা সর্ব্বান্তঃকরণে আমার অণ্বেষণ করিবে” (জেরেমিয়া ২৯:১৩)|

আপনি উদ্ধারকর্তাকে পাবেন! আপনি পাবেন! আপনি পাবেন! কিন্তু যখন কেবল “অন্তঃকরণের সাথে খুঁজবেন” তখনই আপনি পাবেন - ঠিক সেই মহিলার মতো যার শরীরের রক্তের স্রোত প্রবাহিত হচ্ছিল!!! সে সত্য সত্যই আরোগ্য লাভ করতে চেয়েছিল! সে সবসময়েই এই বিষয়ে চিন্তা করেছিল! এই বিষয়ে আপনি কি সব সময়ে চিন্তা করেন? হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কি আপনাকে বিরক্ত করে তোলে? এর বিষয়ে আপনি কি ক্রমাগতভাবে উদ্বিগ্ন? আপনার উদ্বিগ্ন হওয়া দরকার!

২. দ্বিতীয়, যে চিকিৎসকদের তিনি দেখিয়েছিলেন তাদের দ্বারা তিনি সাহায্য পাননি।

ইতিমধ্যেই আমি এই চিকিৎসকদের কথা উল্লেখ করেছি। কিন্তু তাদের বিষয়ে আমার কিছু কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। এর মুখ্য বিষয় হল এটাই – যে তাদের মধ্যে কেউই তাকে সুস্থ করতে পারেন নি! তারা তাকে কোনমতেই সাহায্য করতে পারেন নি - কিন্তু তাকে অধিকতর খারাপ করে তুলেছিল।

কোন এক সময়ে আমাদের মন্ডলীতে এক যুবক ব্যাক্তি আসে ও নিজেদের আত্মার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। তারা তাদের পাপের, ও অনন্তকালের বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। কিন্তু তারা তাদেরই হারানো বন্ধুদের কাছে এই বিষয়ে বলতে লাগল যে তারা কি ভাবে এই বিষয়ে। নিশ্চিত ভাবেই, তাদের হারানো অ-খ্রীষ্টিয়ান বন্ধুরা তাদের বলতে শুরু করলো যে তারা তো ঠিকই আছে, এবং তাদের বলতে লাগলো যেন তারা মন্ডলীতে আসা বন্ধ করে দেয়। অতএব, সেই অপরিত্রানপ্রাপ্ত বন্ধুরা সেই প্রকার চিকিৎসকদের মতোই ছিল যারা সেই মহিলার প্রদর রোগের রক্তের স্রোতকে বন্ধ করাতে অসমর্থ ছিল। তারা যেটা করেছিল তা ছিল মহিলার রোগবৃদ্ধি করে শোচনীয় অবস্থা করা আর তাঁর সমস্ত অর্থকে নিয়ে নেওয়া!

কখনো কখনো যুবক ব্যাক্তিরা যখন তাদের পাপের প্রতি চেতনা লাভ করে তখন তারা অন্য পালকের কাছে যাবে, তারা তাদের প্রতি ভ্রান্ত সান্ত্বনা দেবে। আমি আশা রাখি এটা যেন তেমন না হয়, কিন্তু আজকাল সেখানে অনেক মন্দ প্রচারকেরাও রয়েছে, যারা আমাদের এই অনুচ্ছেদের ঠিক সেই মন্দ চিকিৎসকদের মতোই। তারা আনন্দের সঙ্গে আপনার দানকে গ্রহণ করে - আপনার অর্থ ও টাকা পয়সা! কিন্তু তারা আপনার পাপে-জর্জরিত আত্মাকে সুস্থ করতে পারে না!

প্রায় বহু বছর আগে আমি এক জায়গায় প্রচার করছিলাম। আমার প্রচারের পরে তিন জন অল্পবয়স্ক ছেলেমেয়ে ব্যক্তিগতভাবে আমার কাছে আসে, একটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। তারা আমাকে এমন কিছু বলে যাতে তারা হারিয়ে গিয়েছে এটাই স্বচ্ছ হয়ে ওঠে। তারা পরিত্রাণ লাভ করতে পারছিল না। তারা কাঁদছিল, এক দৃঢ় প্রত্যয়ের সাথেই। আমি বেশ কিছু সময় ধরে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি আমার প্রচারের পরেও, যতক্ষণ পর্যন্ত না এই তিনজন মোটামুটি স্থিরভাবে বোঝা যায় যে তারা উদ্ধার লাভ করছে ততক্ষণ পর্যন্ত। তারা আনন্দের সঙ্গে বাড়ি গিয়ে তাদের পরিচর্যাকারী পালককে বলেছিল যেখানে আমি প্রচার করেছি সেখানে তারা পরিত্রাণ লাভ করেছে। সেই পরিচর্যাকারী পালক ফোনে পরের দিন সকালে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আমার সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় তিনি যেন বার বার বিক্ষিপ্ত হয়ে চিৎকার করছিলেন যে - “আমি আপনাকে অস্বীকার করি! আমি আপনাকে অস্বীকার করি! আমি আপনাকে অস্বীকার করি!” (“অস্বীকার” শব্দের অর্থ হল “আমি আপনাকে প্রত্যাখান করি!” “আমি আপনাকে দোষারোপ করি!”)। পরে কোন একজন আমাকে বলেন যে তিনি আমার প্রতি ঈর্ষা করেন কেননা তিনি দাবি করতে চাইছিলেন যে তিনি তাদের উদ্ধার প্রদান করিয়েছেন! সেই হতভাগ্য, দুর্বলচিত্ত পরিচর্যাকারী আমাকে “অস্বীকার” করতে চাইছিলেন সেই তিনজন অল্প বয়স্ক ব্যক্তিদের নরকের অগ্নির হাত থেকে উদ্ধার প্রদান করার জন্য! এরপরে আত্ম-ধার্মিক আত্মিক ভাবে মূঢ় সেই ব্যক্তি যতক্ষণ পর্যন্ত না সভা বন্ধ হয় ততক্ষণ পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রকাশ করতেই থাকেন। যখন শেষ বিচার উপস্থিত হবে তখন ঈশ্বরের সামনে তাকে জবাবদিহি করতে হবে! ইহা বেমা দন্ড নয়, কিন্তু শেষ দন্ড! যিনি এই কাজ করেছিলেন যদিও সেই পরিচর্যাকারী প্রোটেসট্যান্ট ছিলেন, তিনি ততটাই খারাপ ছিলেন, যদি না খারাপতর বলা হয়, এক রোমান ক্যাথলিক যাজকদের থেকে! আজকে তাঁর মতো সেখানে অনেকেই রয়েছে। ঈশ্বর যেন আপনাকে সেই প্রকার ভাববাদীদের হাত থেকে রক্ষা করেন! ঈশ্বর সেই প্রচারকদের উদ্দেশ্যে বলেন,

“আমি তাহাদিগকে পাঠাই নাই, তাহাদিগকে আজ্ঞা দিই নাই: তাহারা এই লোকেদের কিছুমাত্র উপকারী হইতে পারে না, ইহা সদাপ্রভু কহেন” (জেরেমিয়া ২৩:৩২)|

এমনকি সেখানে এমন ব্যাপটিস্ট প্রচারকেরাও রয়েছেন যারা আপনাকে ভ্রান্ত পরামর্শ প্রদান করে - যেন আপনি সেই মন্ডলী ত্যাগ করেন আর তাদের মন্ডলীতে যেতে পারেন - যাতে তারা আপনার অর্থের দান লাভ করতে পারে! আপনার অর্থ! সেই প্রকার প্রচারকদের আমি “মেষ চোর” এবং ভ্রান্ত ভাববাদী বলেই বিবেচনা করি! তাদের বিষয়ে যখন আমি চিন্তা করি তখন যেন আমার পেটের অসুখ হয়ে যায়! তারা সেই প্রকার চিকিৎসকদের মতো যারা ওই মহিলাকে সুস্থ করতে পারেন নি যিনি প্রদর রোগে ভুগছিলেন!

৩. তৃতীয়, তিনি যখন যীশুর কাপড় স্পর্শ করেন তখন তার শরীর সুস্থ হল।

সেই মেয়েটি পরিত্রাতার চারপাশে জমায়েত লোকেদের ভিড় ঠেলে তাঁর কাছে আসে। যেহেতু তারা বহু সংখ্যায় তাই তাদের শরীর একে অপরের সঙ্গে ঠেকেছিল - ঘন জমায়েতের ভিড় ছিল - যীশুর অলৌকিক কার্য্য দেখার জন্য! যদিও তাদের অনেকেই যীশুকে স্পর্শ করেছিল, কিন্তু কেবলমাত্র সেই মহিলাই তাঁর শরীরের বস্ত্র ছুঁয়ে যীশুর আরোগ্য শক্তিকে গ্রহণ করেছিলেন। অন্য একটা সময়ে “যতজন লোক স্পর্শ করেছিল সকলেই সুস্থ হয়েছিল” (মার্ক ৬:৫৬)। কিন্তু এই সময়ে একমাত্র সেই মহিলাটিই আরোগ্য লাভ করলো। কেন এই ভাবে হল তা আমরা বলতে পারি না। হতে পারে অন্যদের মধ্যে কেউই “পিতা ঈশ্বরের পূর্ব জ্ঞান অনুসারে মনোনীত” ছিল না (১ম পিটার ১:২)।

আমি বিশ্বাস করি যে তাঁর শারিরীক আরোগ্যতার যে সচেতন বোধ ছিল তাঁর জন্যই তা আদান প্রদান হয়েছিল। ঠিক অন্যান্য পাপীদের মতোই, তিনিও “আপন অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলেন” (এফেসিয়ানস ২:১)। যারা পাপে মৃত তাদের সকলকেই যীশুর কাছে আসার আগে থেকে সেই শক্তি অর্জন করতে হবে। কেউ কেউ এটাকে “নবজন্ম লাভ” বলে থাকেন। সেটা কিন্তু একটা ভুল। আমি এটাকে “জাগরণ” বলতেই অভ্যস্ত। তাই প্রেরিত পৌল যখন এই কথা বলেন তখন তিনি বলেন যে এটা হল,

জাগ্রত হও হে নিদ্রাগত ব্যাক্তি, এবং মৃতগণের মধ্য হইতে উঠ, খ্রীষ্ট তোমাদের আলোক দেখাইবেন” (এফেসিয়ানস ৫:১৪)|

আপনি যখন পবিত্র আত্মার দ্বারা জাগ্রত হন, তখন আপনি পাপের বিষয়ে চেতনা লাভ করেন। আপনি অনুভব করতে পারবেন যে আপনি পাপের দাসত্বে আশাহীন এক ব্যক্তি। আপনি এটা অনুভব করতে সক্ষম হবেন যে আপনি “পাপে মৃত ছিলেন” (এফেসিয়ানস ২:৫)। ডঃ মার্টিন লয়েড-জোনস বলেছেন, “আত্মিক জীবনের প্রথম চিহ্ন হল আপনি অনুভব করবেন যে আপনি মৃত” (The Law: Its Functions and Limits, The Banner of Truth Trust, 1975, p. 145)|

অন্য একটা সময়ে, ডাঃ লয়েড-জোনস বলেছেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি নত নম্র হচ্ছেন ততক্ষণ আপনি খ্রীষ্টিয়ান হতে পারেন না” (Authentic Christianity, Volume I, The Banner of Truth Trust, 1999, p. 114).

আপনি যখন জেগে আছেন, তখন আপনি অনুভব করবেন যে নিজে থেকে আপনার কোন শক্তিই নেই, আপনি যেন একটু আশাহীন এবং পাপে মৃত। তাই আপনি যখন নত হন, তখন হয়তো আপনি পরিত্রাতার কাছে আসার জন্য প্রস্তুত হন। তখন আপনি স্বীকার করবেন যে আপনি কিছুই শিখতে পারেন নি যা আপনাকে সাহায্য করে। আর তখন আপনি নিজের কাছে স্বীকার করবেন যে কেউই নয় কিন্তু কেবল মাত্র প্রভু যীশু আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন।

আপনি যখন জেগে থাকেন তখন আপনি অনুভব করতে পারেন খ্রীষ্টের ব্যাপার নিছক মতবাদ যা আপনার জন্য কোন মঙ্গল করতে পারে না। আপনি অনুভব করতে পারবেন কেবল মাত্র যীশুই নিজে আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন। ডঃ লয়েড-জোনস কোন একটি অনুচ্ছেদে এটাকে অত্যন্ত পরিষ্কার করে দিয়েছেন তাঁর বইয়ে, যার নাম পুনঃজাগরণ | সেই অনুচ্ছেদের একেবারে শেষে তিনি বলেছেন, “এমনকি প্রকৃত মতবাদের বিকল্পকরণ একটা ভীষন বিষয় একজন ব্যাক্তির জীবন্ত উপলব্ধির জন্য।” (Revival, Crossway Books, 1987, p.58)| আপনি যখন জেগে থাকেন, তখন কেবলমাত্র যীশু সম্বন্ধীয় বিষয়গুলি জানাটাই আপনাকে পরিতৃপ্ত করবে না! আপনি তখন যীশুকে চাইবেন! তখন আপনি অনুভব করবেন কেবলমাত্র যীশু নিজেই আপনাকে উদ্ধার করবেন! যীশু কে হন তা মন্দ আত্মারা জানে। কেপারনাঊমে সেই মন্দ আত্মা চিৎকার করে বলেছিল, “আপনি ঈশ্বরের পুত্র...কারণ তাহারা জানিত যে তিনিই খ্রীষ্ট” (লিউক ৪:৪১)। এই দিয়াবলও ঈশ্বরের শিক্ষাকে জানতো। তারা জানতো যে তিনি সেই খ্রীষ্ট (সেই মসিহা)। তারা জানতো যে তিনি ঈশ্বরের পুত্র। খ্রীষ্টের সেই সমস্ত শিক্ষার বিষয়ে তারা জানতো, কিন্তু তারা তাঁকে ব্যাক্তিগত ভাবে জানতো না। তারা কেবল যীশুর কিছু শিক্ষা সম্বন্ধে জানতো। আপনি যখন জেগে থাকেন, তখন কেবলমাত্র যীশুর বিষয়ে জানাটা আপনার কাছে যথেষ্ঠ হবে না। আপনি চাইবেন স্বয়ং যীশুকে! আপনি যখন আপনার হারিয়ে যাওয়া পাপময় দুর্দশা থেকে সত্য সত্যই জেগে ওঠেন, তখন আপনি কেবলমাত্র বাইবেলের পদে বিশ্বাস করাটাতেই পরিতৃপ্ত থাকবেন না। আপনি জানতে সক্ষম হবেন যে মানুষ যীশু কেবল আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন,

“কারণ সেখানে...একমাত্র মধ্যস্থও আছেন ঈশ্বর ও মনুষ্যদের মধ্যে, মনুষ্যরূপী যীশুখ্রীষ্ট” (১ম টিমোথী ২: ৫)|

আর আপনাকে অতি অবশ্যই “সেই মনুষ্য খ্রীষ্ট যীশুতে নির্ভর করতে হবে” যার দ্বারা আপনি উদ্ধার লাভ করবেন।

“আর ইহাই অনন্ত জীবন, এটা তাহারা জানিত যে একমাত্র তিনিই সত্যময় ঈশ্বর, এবং তিনি যীশু খ্রীষ্ট, যাহাকে তুমি পাঠাইয়াছ” (জন ১৭:৩)|

আপনাকে কেবল ঈশ্বরের বিষয় জানলে হবে না। আপনাকে জানতে হবে ঈশ্বরকে। আপনাকে যীশুর সম্বন্ধে যে বিষয় গুলো রয়েছে তা জানলে হবে না। আপনাকে অতি অবশ্যই যীশু খ্রীষ্টকে জানতে হবে! অনন্ত জীবন লাভ করার একমাত্র পথ হল সেটাই! উদ্ধার লাভ করার একমাত্র পথ হল কেবল সেটাই! আপনাকে অতি অবশ্য যীশু খ্রীষ্টকেই জানতে হবে!

এ সমস্ত কিছুর পর, যীশু খ্রীষ্ট কি করছেন আপনাকে উদ্ধার করার প্রতি তা চিন্তা করুন! যতক্ষণ পর্যন্ত না সেই গ্যেৎশিমানির বাগানে তাঁর গায়ের ঘাম রক্তের ন্যায় ঝরে পরে আপনাকে উদ্ধার করেছে কিভাবে তিনি যাতনাগ্রস্ত হয়েছিলেন তা চিন্তা করুন। আপনি শুনেছেন কী কতোবার এটা আপনার কাছে অর্থহীন মনে হয়েছিল? আপনার মনের মধ্যে এটাকে কি হাল্কাভাবে নিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন? ক্রুশের উপরে তাঁর নিদারুণ যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যুর বিষয়ে চিন্তা করুন - আপনার বদলে তিনি তা করেছেন, আপনার জায়গায়, আপনার পাপের মূল্য মেটাবার জন্য তিনি শারিরীকভাবে যন্ত্রণা ভোগ করেছেন এবং মৃত হয়েছেন। বহুবার এটা যে আপনার কাছে কিছুই নয় এই বিষয়ে আপনি কি শুনেছেন? আপনার মনের মধ্যে এটাকে কি দ্রুত এড়িয়ে গিয়েছেন? আপনি যদি তা করেছেন তবে আপনার কোন আশা নেই! কোনমতেই নয়!

একজন বৃদ্ধ লোক এক পালকের সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছিলেন। তিনি একাকী ছিলেন, আর পালক তাকে মন্ডলীর একটা ছোট ঘরের মধ্যে থাকতে দিয়েছিলেন। তাঁর গাল বেয়ে ঝরে পড়া কান্নার মধ্য দিয়ে তিনি সুসমাচারমূলক একটা গান লিখেছিলেন। আমি যখন সেই মন্ডলী পরিদর্শন করি তার অনেক বছর আগে তিনি মারা গিয়েছেন। কিন্তু তখনও লোকেরা আমাকে তাঁর থাকার ঘরটি দেখালেন। আর তারা যখন তাঁর লেখা গানটি গায় এখনো তারা কাঁদতে থাকে।

যীশুর বিষয়ে আমি যে কি চিন্তা করি তা বলতে আনন্দ পাই
   কেননা তাঁর মধ্যে আমি পেয়েছি এক বন্ধুকে যে শক্তিশালী ও সৎ;
আমি বলবো কি ভাবে তিনি আমার জীবন সম্পুর্ণ বদলে দিয়েছেন,
   তিনি এমন কিছু করেছেন যা অন্য বন্ধুরা করতে পারে নি।
যীশুর মতো কেউ আমার খেয়াল রাখে নি,
   তাঁর মতো দয়ালু অন্য আর কোন বন্ধু নেই;
অন্য কেউ আর আমার জীবন থেকে অন্ধকার ও পাপকে নিতে পারে না,
   ওহ কতোটাই না তিনি আমার খেয়াল রাখেন!
(“No One Ever Cared For Me Like Jesus” by Charles F. Weigle, 1871-1966).

কিন্তু প্রদর রোগে আক্রান্ত মহিলার ক্ষেত্রে সেরকম ছিল না, যেটা আমাদের শেষ বিষয়বস্তুর দিকে নিয়ে যায়।

৪. চতুর্থ, সেই মেয়েটি যখন যীশুর কাছে আসে তখন সে রূপান্তরিত হয়।

আমি বলছি তিনি অনুভব করতে পারেন নি যে যীশু তখন পর্যন্ত তার বন্ধু হয়েছেন। বাইবেল বলে, যীশু যখন তাঁর প্রতি দৃষ্টিপাত করতে চাইছিলেন,

“সেই স্ত্রী লোকটি ভয়ে কাঁপিতে কাঁপিতে...সম্মুখে আসিয়া প্রণিপাত করিল, আর সমস্ত বৃত্তান্ত তাঁহাকে কহিল” (মার্ক ৫:৩৩)|

মেয়েটি তখন পর্যন্ত তাঁকে ভয় পাচ্ছিলেন। এটা আমাকে বিশ্বাস করার প্রতি পরিচালিত করে যে সে তখন পর্যন্ত উদ্ধার লাভ করে নি। মেয়েটি জাগরিত ছিল, কিন্তু তখন পর্যন্ত রূপান্তরিত নয়।

কিন্তু এমনকি তিনি ভয়ে কম্পমান হলেও, তিনি তাঁর কাছে এলেন। “সম্মুখে আসিয়া তিনি প্রণিপাত করিলেন।” তার ভয় দেখিয়ে দেয় যে তিনি তাঁকে জানতেন না। কিন্তু যাই হোক না কেন তাঁর কাছে তিনি এলেন। প্রচন্ড ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে, তিনি এলেন। তাঁর মধ্যে বিরাট একটা বিশ্বাস ছিল না। তিনি ছিলেন এক দরিদ্র মহিলা যিনি বেশী কিছু জানতেন না। কিন্তু যীশু যে তাকে সুস্থ করেছেন তা তিনি জানতেন। তাঁর অনুগ্রহের দ্বারা তিনি জাগরিত হয়েছিলেন, কিন্তু তাঁর প্রেম সম্বন্ধে তিনি জানতেন না। তবুও তিনি কোনভাবে তাঁর কাছে এসেছিলেন!

আমি পছন্দ করি আন্না ডাব্লু ওয়াটারম্যানের গানটি, যেটি আমার এই সংবাদ প্রচারের আগে মিঃ গ্রিফিথ গাইলেন। আমি সেটা পছন্দ করি কেননা তাই সত্যি। ওটা আমার জীবনে সত্য আর আপনার জীবনেও সত্য হবে, যদি আপনি যীশুর কাছে এসেছেন।

আর আমি জানি, হ্যাঁ, আমি জানি,
   যীশুর রক্ত নীচ পাপীকেও পরিষ্কার করতে পারে।
আর আমি জানি, হ্যাঁ, আমি জানি,
   যীশুর রক্ত নীচ পাপীকেও পরিষ্কার করতে পারে।
(“Yes, I Know!” by Anna W. Waterman, 1920).

আপনি যদি পরিত্রাতার কাছে আসেন, তবে তিনি আজকের এই সকালে আপনাকে পরিত্রাণ দেবেন। তাঁর পবিত্র মহামূল্য রক্তের দ্বারা তিনি আপনার পাপকে ধুয়ে দেবেন - আর যেমন ভাবে তিনি প্রদর রোগে আক্রান্ত রক্তে জর্জরিত সেই মেয়েটির সঙ্গে কথা বলেছিলেন তেমনি তিনি আপনার সঙ্গেও কথা বলবেন,

“তখন তিনি তাহাকে কহিলেন, হে কন্যা, তোমার বিশ্বাস তোমাকে রক্ষা করিল; শান্তিতে চলিয়া যাও, এবং তোমার রোগ হইতে মুক্ত থাক” (মার্ক ৫:৩৪)|

যদি আজ সকালে আপনি যীশুর কাছে এসেছেন তবে তিনি আপনাকে পাপ মুক্ত করবেন, আর আপনাকে বিকেলে ঘরে ফেরত পাঠাবেন ঠিক সেই রকম আশীর্বাদের সাথে যেমনটি তিনি সেই মেয়েটিকে দিয়েছিলেন,

“তোমার বিশ্বাস তোমাকে রক্ষা করিল; শান্তিতে চলিয়া যাও, এবং তোমার রোগ হইতে মুক্ত থাক”

যদি আপনি আমাদের সাথে কথা বলতে চান কি ভাবে যীশুর সাহায্যে আপনারা পাপ থেকে পরিত্রানপ্রাপ্ত হবেন, তাহলে দয়া করে আপনার আসন ত্যাগ করে পিছনে অডিটরিয়ামে চলে যান। ডঃ কাগান আপনাকে আরো একটা ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে আমরা প্রার্থনা ও কথা বলতে পারব। এখনই যান। ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন আজকের সকালে কেউ একজন পরিত্রাণ লাভ করতে পারেন। আমেন।

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: মার্ক ৫:২৫-৩৪ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মি. বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Yes, I Know!” (by Anna W. Waterman, 1920).


খসড়া চিত্র

ভিড়ের মধ্যে সেই মহিলা

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.

“তখন তিনি তাহাকে কহিলেন, হে কন্যা, তোমার বিশ্বাস তোমাকে রক্ষা করিল; শান্তিতে চলিয়া যাও, এবং তোমার রোগ হইতে মুক্ত থাক” (মার্ক ৫:৩৪)|

(মার্ক ৫:৩৩)

১. প্রথম, সেই মেয়েটি সত্য সত্যই আরোগ্য লাভ করতে চেয়েছিল, লিউক ১৩:২৩;
২য় টিমোথি ৩:৭; জেরেমিয়া ২৯:১৩ |

২. দ্বিতীয়, যে চিকিৎসকদের তিনি দেখিয়েছিলেন তাদের দ্বারা তিনি সাহায্য পাননি,
জেরেমিয়া ২৩:৩২ |

৩. তৃতীয়, তিনি যখন যীশুর কাপড় স্পর্শ করেন তখন তাঁর শরীর সুস্থ হল, মার্ক ৬:৫৬;
১ম পীটার ১:২; এফেসিয়ানস ২:১; ৫:১৪; ২:৫; লিউক ৪:৪১; ১ম টিমোথী ২:৫;
জন ১৭:৩ |

৪. চতুর্থ, সেই মেয়েটি যখন যীশুর কাছে আসে তখন সে রূপান্তরিত হয়, মার্ক ৫:৩৩ |