Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




প্রহরী, রাত্রি কত?

WATCHMAN, WHAT OF THE NIGHT?
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

এক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে
সদাপ্রভুর দিনে এক সকালে,১০ই নভেম্বর,২০১৩ সালে
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, November 10, 2013

“দুমার বোঝা। কেহ সেয়ির হইতে আমাকে ডাকিয়া কহিতেছে, প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী বলিল,প্রাতঃকাল আসিতেছে, এবং রাত্রিওঃ যদি জিজ্ঞাসা করিবে, তবে জিজ্ঞাসা করিওঃ ফিরিয়া, আসিও” (ঈশা ২১:১১,১২).


“দুমা” শব্দটি আসছে ইডম থেকে। ইডমের লোকেরা সমস্যা ও ভয়ের দ্বারা বোঝাগ্রস্ত ছিল। তারা ভাববাদী ঈশার কাছে চিৎকার করে কাঁদতে থাকে, “প্রহরী, এখন রাত্রি কত? প্রহরী, এখন রাত্রি কত?” ডব্লুঊ.ই. ভাইন বলেন যে, “প্রহরী হলেন সেই ব্যাক্তি যিনি ঈশ্বরের পরামর্শের জন্য দাঁড়ান, তিনি জানেন কি আসতে চলেছে আর সেই ঘটনার প্রতি তাকিয়ে থাকেন...ঈশ্বরের সঙ্গে সহভাগীতা করার মধ্য দিয়ে তিনি পর্যবেক্ষণকারী-চূড়াতে দাঁড়িয়ে থাকেন” (Isaiah: Prophecies, Promises, Warnings, page 14).

আমাদের একটা সমস্যা হল এটাই আজকে কেবলমাত্র খুব সামান্য মাত্রায় “প্রহরী” রয়েছে। আমি এক নামকরা “দক্ষ ভাববাদী,” হাল লিণ্ডসে, দেখেছিলাম টেলিভিশানে বেশ কিছু দিন আগে। তার সভাতে একজন অতিথি বলেছিলেন আজকে আমাদের সমস্যা বুঝে ওঠার জন্য রোমিয় বইয়ের পরিবর্তে আমাদের প্রয়োজন প্রকাশিত বাক্য বইটিকে পড়ার। হাল লিণ্ডসে তার সঙ্গে সম্মতি প্রকাশ করেন। আমার কাছে আমাদের মন্ডলীতে, যে সমস্যা রয়েছে ও আমাদের সংস্কৃতির মধ্যে যে সমস্যা রয়েছে সেই ক্ষেত্রে ইহা অত্যন্ত ভাসা ভাসা ও অসত্য প্রকাশ। এর যথাযথ উলটো দিকটা একেবারে সত্য। প্রকাশিত বাক্য বইটি একটা গুরুত্বপূর্ণ বই হলেও, এই সময়ের জন্য রোমিয় বইটি বাইবেলের প্রধান ও মুখ্য বই হওয়া দরকার! অবর্ণনীয় ভাবে বহু হাজার সংখ্যক,এমন কি বহু লক্ষাধিক‌,অপরিত্রান প্রাপ্ত লোকেরা আমাদের মন্ডলীতে রয়েছে-তাদের প্রতি আমাদের সেই রোমান বইয়ের, প্রতি আলোকপাত করা দরকার আর তা নাহলে আমরা বুঝতেই পারবো না যে কিভাবে প্রকৃত পরিত্রাণ লাভ করতে হয়! বহু “দক্ষ ভবিষ্যবাদী” ব্যাক্তিরা সত্য সত্যই “প্রহরী” হয়ে ওঠা থেকে অকেজো হয়ে পড়ছে-তারা অকেজো এই জন্য কেননা “সিদ্ধান্তবাদীদের” দ্বারা শয়তানের যে মতবাদ মন্ডলীতে নিয়ে আনা হয়েছে সেখানে যে ধ্বংস ও উচ্ছিন্নতা নিয়ে আসা হয়েছে সেই বিষয়ে তারা সচেতন নয়।

কিন্তু ইডমের নেতারা আজকের দিনে বহু খ্রীষ্টিয়ানদের থেকে বিজ্ঞ। তারা অত্যন্তভাবে “ভারগ্রস্ত” তাদের পাপের দরুন। বিচার যে পতিত হবে তা তারা অনুভব করেছিল। সুতরাং তারা প্রকৃত ভাববাদী ও প্রহরী, ঈশাকে আহবান করে। তারা চিৎকার করতে থাকে,

“প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী,রাত্রি কত ?” (ঈশা ২১:১১).

তারা চিৎকার করতে থাকে ঠিক আঘাত প্রাপ্ত এবং অসুস্ত ব্যাক্তির ন্যায়। রাত্রি থেকে ভোরের আলো উদয় হওয়ার বহু আগে থেকেই, সেই দুঃখার্ত রোগী আহবান জানাতে থাকে,“রাত্রি আর কতটা বাকী? রাত্রি আর কতোটা আছে ?”(NIV).ভাববাদী-প্রহরী উত্তর প্রদান করেন, “প্রভাত আসিতেছে, আর রাত্রির সঙ্গে সঙ্গে।”

তারা কেন ঈশার কাছে এসেছিলেন? সেখানে কি কোন ভবিষ্য- বক্তা, জ্যোতিষী এবং জাদুকর ইডমে ছিল না ? কেন তারা যন্ত্রণ দায়ক কান্না নিয়ে জেরুজালেমে এসেছিলেন ? যখন সব কিছু ঠিক ঠাক চলে তখন লোকেরা ভবিষ্য-বক্তার কাছে য়ায়। কিন্তু যখন যাতনা ও মৃত্যু আমাদের কাছে আসে, তখন কে ভবিষ্য-বক্তাকে, জ্যোতিষীকে বা জাদুকরকে চায় ? মৃত্যুর মুখে, কে এই জগতের জ্ঞান পছন্দ করে ? ঈশ্বর কি বলেন তা আমরা জানতে চাই। যখন সব কিছু ঠিক ঠাক ভাবে চলে তখন ভবিষ্য-বক্তারা বা জ্যোতিষীরা হয়তো চিত্তাকর্ষক কথা বলতে পারে। কিন্তু ভয়ের সময়ে যাতনার সময়ে, লোকেরা প্রায় সময়ে ঈশ্বরের লোকেদেরই খোঁজেন। আর তারা চিৎকার করে বলে,

“প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী,রাত্রি কত ?” (ঈশা ২১:১১).

আজকের সকালে ইহা আমাদের কি বলে তা একটু ভাবুন!

১. প্রথম, এই পাঠ্যাংশ সেই জাতির জন্য প্রযোজ্য।

১৯১৪ সালে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ যখন শুরু হয়, তখন লর্ড এডোয়ার্ড গ্রে মন্ত্রী সারা-রাত্রিব্যাপী পরিষদীয় সভা থেকে বাইরে চলে আসেন। তিনি ছিলেন গ্রেট ব্রিটেনের বৈদেশিক মন্ত্রী। সেই দিন খুব সকালে, আরো এক মন্ত্রী পরিষদীয় সদস্যের সঙ্গে লর্ড এডয়ার্ড সেই সভা ছেড়ে বাইরে চলে আসেন। সারা রাত্রি তারা যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা করেন। সেই সময় তখনও পর্যন্ত রাস্তায় বিজলির স্ট্রীট লাইট ছিল না, কেবলমাত্র গ্যাসের বাতি। লর্ড এ্যডোয়ার্ড সেই অট্টালিকা থেকে যখন বাইরে আসেন তখন এক বাতিবাহক এক থাম থেকে অন্য থামে যাচ্ছিলেন বাতিগুলোকে নেভাবার জন্য। তখন লর্ড এ্যডোয়ার্ড তার বন্ধুর প্রতি ফিরে বলেন, “এই বাতি গুলো ইউরোপের সব জায়গাতেই নিভতে চলেছে। তাদের আমরা আমাদের জীবনকালে আর তাদের জ্বলতে দেখবো না।” তিনি কতোটাই না সঠিক ছিলেন! পরবর্তী সময়ে রাশিয়া সাম্যবাদীদের হাতে পতিত হয়, জার্মানও অবসাদের মধ্যে পঙ্গু হয়ে জয়ায় ও হিটলারের হাতে পতিত হয়, ইতালী পতিত হয় মুসোলিনির হাতে, আরা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারা, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড প্রচন্ড ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে যার ফলে তার আরা আগের মতো গৌরবে উত্থিত হতে পারে নি। ইউরোপের পুরাতন জগত যেন মৃত্যু মুখে পতিত হয়েছিল, যেখান থেকে তারা আর প্রাচীন মহিমায় উন্নত হতে পারে নি।

সেই সমস্ত আলো গুলি সম্পুর্ণ ভাবেই নির্বাপিত হয়ে গেছে মুসলমান যাযাবর উপজাতিদের উত্থানের ফলে। আমেরিকাও ধীরে ধীরে মৃত্যুমুখে। হোয়াইট হাঊসের সেই মন্দ লোকটি মনে হচ্ছে যেন সম্পূর্নভাবে নিজের দিশাকে হারিয়ে ফেলেছে। ঠিক সেই ভাবে প্রজাতন্ত্রীরাও। গত সপ্তাহে আমি ও আমার স্ত্রী এ্যান কাউল্টারকে নিক্সন লাইব্রেরী ও বেথলহেমে বলতে শুণলাম। সে সমাবেশে সেই দিন তার ভাষণ শুণতে যারা এসেছিলেন তাদের বেশির ভাগকে দেখতে উডষ্টকের হিপ্পি সেনাদের মতো না’কি নিক্সনের “নির্বাক সংখ্যাগরিষ্ঠের ন্যায়।” আমি আমার স্ত্রী বললাম, “এরা যদি সেই রক্ষণশীল হয়, তবে ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন!”

আপনি কি মনে করেন আমেরিকা সমৃদ্ধশালী ও প্রাণবন্ত ও সজীব হয়ে উঠবে? জাতীয় গণতান্ত্রিক সম্মেলনে ২০১২ সালে, আমি সেখানে আমাদের জন্য কোন আশাই দেখতে পাচ্ছি না! বিশৃঙ্খলতা এবং বিলি গ্রাহামের নিস্ফলা সংবাদ, “আমার আশা”র সম্প্রসারন গত সপ্তাহে শোনার পরে, আমাদের জন্য যে কোন আশা রয়েছে তা আমি দেখতে পাচ্ছি না। তিনি বৃদ্ধ হয়েছেন সে জন্য তা নয়। ইহা কেবলমাত্র তার সংবাদটি ছিল অত্যন্ত মিশ্রণ যুক্ত যা এক মৃতপ্রায় জাতিকে আত্মিক বিভ্রান্তি থেকে তুলে আনার প্রতি কতটা সাহায্য করবে। বেশ কিছু বৎসর আগে তার সংবাদ অত্যন্ত পরিষ্কার ছিল। সেই সময়ে মিঃ গ্রাহাম বলেছিলেন, “ঈশ্বর আমেরিকার বিচার না করেন তবে তাঁকে সদোম ও গমোরাহ দেশের কাছেও কৈফিয়ৎ দিতে হবে।” বাইবেল বলে,

“দুষ্টেরা পাতালে ফিরিয়া যাইবে, যে জাতি ঈশ্বরকে ভুলিয়া য়ায় সেও যাইবে” (গীতসংহিতা ৯:১৭).

গত সপ্তাহে কানসাস থেকে এক ব্যাক্তি আমায় ফোন করেন যেন মুমুর্ষূ জাতির প্রচার নামক আমার বইটির,অর্ডার করতে পারে। তিনি বলেন,“আপনি ঠিকই। আমাদের জাতি মুমুর্ষু হয়ে পড়ছে।” তিনি আমাকে বলেন তিনি ছোট কানসাস শহরে বাস করেন যেখানে কেবল ২৫০টি মানুষ রয়েছে। ইহা এতটাই ছোট যে সেখানে কোন পুলিশ বাহিনী নেই, কেননা তা এতো ছোট। কিন্তু তিনি বলেন ১০ বৎসর আগে পর্যন্ত নিকটের বড় শহর থেকে পুলিশেরা বৎসরে ২ বা ৩ বার এসেছিল। কিন্তু “এখন,” তিনি বলেন যে, “তারা দিনে ২ বা ৩ বার আসে!” আর তিনি আমাকে এই কথাও বলেন সেই শহরে কতোজন মণ্ডলীর সদস্য মদে আসক্ত এবং ড্রাগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়ছে। তিনি আরো বলেন তাদের মধ্যে একজন যার উদ্ধার লাভের প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন সেই ব্যাক্তি তার দিকে তাকিয়ে গর্জন করে বলতে থাকে,“আমি উদ্ধার লাভ করেছি!” তিনি বলেন তার সেই ড্রাগে-আসক্ত চোখ দুটো থেকে মনে হচ্ছিল যেন দিয়াবল গর্জন করছে আর তিনি হলেন ইভানজিলিক্যাল মন্ডলীর এক সদস্য! সেই প্রকার ইভানজিলিক্যাল সদস্য তাদের মন্ডলীতে একটা উপকুল থেকে অন্য উপকুল পর্যন্ত পরিপূর্ণ হয়ে রেয়েছে,আমেরিকার দিন এখন হাতে গোণা! ঠিক দ্যানিয়েলের সময়ে যেমন ছিল ঠিক তেমনই,

“ঈশ্বর আপনার রাজত্বের দিন, নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন এবং শেষ করেছেন। আপনাকে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করা হয়েছে, এবং আপনি কম পড়েছেন।” (ড্যানিয়েল ৫:২৬,২৭).

সেই প্রকার একটি জাতির মধ্যে বসবাস করাটা কেমন মনে হয় যা ঈশ্বরের ক্রোধের দ্বারা বিচারিত হতে চলেছে? ইহা এইমতো অনুভব হয়! এক বিপর্যস্ত বিভীষিকাময় দেশে বসবাস করার অনুভব এইপ্রকার! আপনি দেখছেন যে লোকেরা মদ্যপান ও নৃত্য করছে-ঠিক টাইটানিকের মতো,হিমশৈলে ধাক্কা মারার ঠিক পূর্বে তেমনি! ওবামার রাজ্যেও দেশে মানুষজন ঠিক সেই প্রকার বিভীষীকারময় নিদারুণ ঘুমের মধ্যে রয়েছে!

প্রতি রবিবার দিনে মন্ডলীর জন্য কারোরই সময় নেই। কেউই পাপের জন্য দন্ডিত নয়। কেউই সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে খ্রীষ্টের অণ্বেষণ করছে না। কেউই ঈশ্বরকে ভয় করে না। বাইবেল বলে, “ঈশ্বর ভয় তাহাদের চক্ষূর অগোচর”(রোমিয় ৩:১৮)। বাইবেল বলে, “বুঝি এমন কেউই নাই যিনি ঈশ্বরের অণ্বেষণ করেন” (রোমিয় ৩:১১)।

“প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী,রাত্রি কত ?” (ঈশা ২১:১১).

“লোকে যখন বলে, শান্তি এবং অভয়; তখনই তাহাদের কাছে আকস্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়...আর তাহারা কোন ক্রমে এড়াইতে পারিবে না” (১ম থেসালনিয়ানস ৫:৩).

আমেরিকা বিপর্যস্ত, আর আজকে সকালে আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইহার বিনাশ এবং জঘন্য আবর্জনা দেখতে পাবেন! কবি জেমস রাসেল লোয়েল (১৮১৯-১৮৯১) বলেছেন,

একজন মানুষ ও জাতির প্রতি একবারই
   সিদ্ধান্ত নেওয়ার এক মুহুর্ত উপস্থিত হয়,
সত্যের প্রতিদ্বন্দ্ব ও ভ্রান্তবাদের সঙ্গে
   ভাল বা মন্দ উভয়ের একটি পক্ষ নিতে হয়।
(“Once to Every Man and Nation” by James Russell Lowell, 1819-1891).

আমেরিকা একবার মন্দতার পক্ষ অবলম্বন করে আমাদের স্কুল গুলোতে প্রার্থনা বন্ধ করে দিয়েছে। আমেরিকা মন্দতার পক্ষ অবলম্বন করে স্কুল থেকে বাইবেল পাঠকে বন্ধ করে দেয়। আমেরিকা মন্দতার পক্ষ অবলম্বন করে আমাদের নাট্যশালায় অবৈধ চলচ্চিত্রের প্রদর্শন করে। আমেরিকা একবার মন্দতার পক্ষ অবলম্বন করে লক্ষ লক্ষ শিশুর প্রাণকে ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে নয় মাস গর্ভবতী মায়েদের শিশুদের হত্যা করে লবণ জলে চাসিয়ে দিয়েছে। ইহাকে হয়তো এক বা দুই বৎসরে বন্ধ করে দেওয়া যেতো-কিন্তু আমেরিকা মনোনয়ন নিলো যেন ইহা ক্রমাগত ভাবে এগিয়ে চলে। এখন এই জাতি রক্তে সিক্ত-শিশুদের রক্তে সিক্ত। টিভিতে কেন রক্তচোষা আর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া মৃতদেহ ও বিকলাঙ্গদের দেখে আপনি কি কোন সময়ে বিস্মিত হয়েছেন ? আপনি কোন সময়ে বিস্মিত হয়েছে কেন এইভাবে মৃত্যুর স্তুপ এগিয়ে চলেছে? ইহা বন্দুকের দ্বারা মৃত্যু নয়! না! ইহা হল ব্যাক্তিবর্গ–সেই আমেরিকান মানুষের সমষ্টি-যারা ড্রাগে সিক্ত, মদ ও সুরা, ভিডিও গেমের অসাড়তায় এবং অশিষ্ট চলচিত্রে সিক্ত। আর সেই কারণেই আজকে লোকেরা হ্যালোউইনকে পূজো করে এবং পবিত্রস্থানে যোগদান ও রবিবার দিনে মণ্ডলীতে যোগদান বাদ দিয়ে দিয়েছে! ফ্রেঞ্চ দার্শনিক ব্লেইসে পাস্কাল বলেন, “বিশ্ব জগতের এই নীরবতা আমাকে আতঙ্কিত করে তোলে।” তাহলে ঈশ্বর যখন তাঁর নিজের শ্রী মুখকে ঘুরিয়ে নেবেন, এবং দেশ ও তার লোকেরা যখন মরতে বসে তখন আমরা আরো কতোটাই না আতঙ্কিত হয়ে উঠবো ?

“প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী,রাত্রি কত ?” (ঈশা ২১:১১).

২. দ্বিতীয়, সেই পাঠ্যাংশ মৃত্যু ও নরকের প্রতি প্রয়োগ-হারানো আত্মার অনন্তকালীন দুঃস্বপ্ন।

মৃত্যুর দুঃস্বপ্ন এবং নরক আগত প্রায়। বাইবেল বলে,“তোমরা ভুল কোর না; ঈশ্বরের সঙ্গে তামাশা চলে নাঃ কারণ যে যা বোনে, সে তাই কাটবে” (গালিতিয় ৬:৭)। বাইবেল আরো বলে, “জীবন্ত ঈশ্বরের হস্তে পতিত হওয়া ভয়ানক বিষয়। কেননা আমাদের ঈশ্বর গ্রাসকারী অগ্নি স্বরুপ।” (হিব্রুজ ১০:৩১;১২:২৯)।

মৃত্যুর এই দুঃস্বপ্ন এবং নরক সমস্ত নর ও নারীর প্রতি প্রতিক্ষা করছে যারা ঈশ্বর থেকে দূরে পলায়ন করছে, মণ্ডলী, ও পরিত্রাতা থেকে পলায়ন করছে! পরিত্রাতা যীশু খ্রীষ্ট ছাড়া আপনি আপনার পাপে মৃত, এবং তিনি আপনাকে এই কথা বলবেন, “আমার কাছ থেকে দূর হও...আমি তোমাকে কখনও জানতাম না” (ম্যাথুজ ৭:২৩)। আর তাদের “হাত পা বেঁধে বাইরে অন্ধকারে ফেলে দেওয়া হবে।”(ম্যাথুজ ৮:১২;২২:১৩; ২৫:৩০)।

আমি আপনাদের এই কথা এক ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে বলছি। পরিত্রাণ লাভ করার জন্য আমি আপনার জন্য প্রার্থনা করছি। কিন্তু আমি এটাও জানি আপনি যদি অনুতপ্ত হয়ে মন পরিবর্তন না করেন, এবং সম্পূর্ণ হৃদয়ে যীশুর প্রতি না ফিরেন,তবে আপনার জন্য কোন আশা আর নেই-কেবলমাত্র বাইরে অন্ধকারে ও অনন্তকালীন অগ্নিতে ফেলে দেওয়া হবে।

আপনি হয়তো বলবেন, “প্যাস্টর, ঈশ্বর কি আমাকে ভালবাসেন না?” হ্যাঁ, নিশ্চয় তিনি প্রেম করেন। কি ভাবে তিনি আপনার পাপের ক্ষমা করবেন, কি ভাবে তিনি আপনার আত্মাকে উদ্ধার করবেন- কিন্তু কি ভাবে তিনি আপনাকে সাহায্য করবেন যদি আপনি আপনার নিজের পথে চলেন- মন পরিবর্তন না করেন, খ্রীষ্টের অনুগ্রহশীল সিংহাসনের সম্মুখে আপনি নিজেকে নিয়োজিত না করেন? বাইবেল বলে,

“কারণ ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করলেন, যে তিনি তাঁর একজাত পুত্রকে দান করলেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে সে বিনষ্ট হয় না, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়” (জোহান ৩:১৬).

সেটাই হল উত্তর! যীশুকে আপনার সমুদয় হৃদয় দিয়ে বিশ্বাস করুন! আর যতবার মন্ডলীর দরজা খোলা হয় মণ্ডলীতে প্রবেশ করুন! তাঁর অনুগ্রহের উপরে নিজেকে উজার করে দিন! আপনার অন্তরে যা আছে সমস্ত অন্তঃকরনের সঙ্গে তাঁর প্রতি ফিরুন! সেটাই হল পরিত্রাণ লাভ করার পন্থা-আর সেটাই হল একমাত্র পথ! পাঠ্যাংশের বিষয়ে শেষবারের মতো আরো একবার চিন্তা করুন। বিশেষ করে শেষ দুটো শব্দ বিবেচনা করুন, “ফিরে আসুন, অগ্রসর হোন।”

“দুমার বোঝা। তিনি সেয়ির হইতে আমাকে ডাকিয়া কহিতেছে, প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী বলিল,প্রাতঃকাল আসিতেছে, এবং রাত্রিওঃ যদি জিজ্ঞাসা করিবে, তবে জিজ্ঞাসা করিওঃ ফিরিয়া,আসিও” (ঈশা ২১:১১,১২).

এই পাঠ্যাংশ শেষ হচ্ছে এই বাক্যের সঙ্গে, “ফিরে আসুন, অগ্রসর হোন” (ঈশা ২১:১২)। খ্রীষ্টের প্রতি ফিরে আসুন! যীশুর কাছে আসুন! যে রক্ত তিনি ক্রুশেরু উপর দিয়েছেন তার দ্বারা ধৌত ও পবিত্র হোন! সব থেকে পুরানো যে সঙ্গীত রয়েছে তা এই ভাবে গাওয়া হয়,

কি মোর পাপ পারে ধুতে?
   কেবল মাত্র যীশুর রক্ত।
কি পারে নির্মল করতে?
   কেবল মাত্র যীশুর রক্ত।
ওহ! অমূল্য ধারা এই
   যাতে আমি শুভ্র হোই;
আর অন্য ধারা নাই,
   কেবল মাত্র যীশুর রক্ত।
(“Nothing But the Blood” by Robert Lowry, 1826-1899).

এই কথা না বলে আমি নিশ্চিতভাবে এই সংবাদকে বন্ধ করবো না যে ঢিলেঢালার মতোই সমর্থনীয় বিবৃতির উপরে আধারিত যা প্রদান করা হয়েছিল এক লৌকিক পালকের দ্বারা,ডাঃ এ. ক্রিসোয়েল। (W. A. Criswell, Ph.D., Isaiah: An Exposition, Zondervan Publishing House, 1977, pp. 129-134).

অন্য এক সংবাদে , ডাঃ ক্রিস ওয়েল বলেনঃ

ডাঃ জর্জ ডাব্লুউ ট্রুয়েট,আমার পূর্বসূরী প্রথম ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে,ডালাসে,তার নিজের একটি সংবাদের ছোট অনুচ্ছেদে [বলেছেন] তার কথাঃ “একদিন রাত্রে আমি শ্রোতাদের সঙ্গে বসেছিলাম এবং প্রচারকের কথা শুণছিলাম যেখানে তিনি বলছিলেন খ্রীষ্টের নিজের হয়তো একটা পন্থা রয়েছে যেন একজন আত্মাকে পরিত্রাণ করেন। আমি বললাম, ‘প্রভু যীশু, এখন ইহার সমস্ত কিছুই অন্ধকারময়; আমি বুঝতে পারছি না, কিন্তু অন্ধকার ও আলো, জীবন ও মৃত্যু, যে কোন কিছুই আমার সম্মুখে আসুক না কেন, এখন আমি নিজেকে তোমার কাছে সমর্পণ করি।’ [আর ডাঃ ট্রুয়েট বলেন] আর তখন তিনি আমাকে উদ্ধার করলেন।” (Criswell, ibid., p. 217).

আর এইভাবেই ব্যাপকভাবে পরিচিত ডাঃ ট্রুয়েট উদ্ধার লাভ করেন। আর সেই ভাবেই আপনাকে পরিত্রাণ লাভ করতে হবে। আপনাকে অতি অবশ্যই যীশুর কাছে এসে আপনার হৃদয়ে বলতে হবে, “অন্ধকার বা আলো, জীবন ও মৃত্যু, যাই আসুক না, আমি এখন নিজেকে তোমার কাছে অর্পন করলাম।” আপনার পাপ স্বীকার করে নিজেকে ঈশ্বরের অনুগ্রহের সিংহাসনে তুলে ধরুন। সেই পবিত্র রক্ত যা তিনি কালভেরী ক্রুশে ঝরিয়েছেন তার দ্বারা আপনি পবিত্র ও শুদ্ধ হোন!

কি মোর পাপ পারে ধুতে?
   কেবলমাত্র যীশুর রক্ত।
কি পারে নির্মল করতে ?
   কেবলমাত্র যীশুর রক্ত।

যীশুর রক্তের দ্বারা আপনার পাপ থেকে ধৌত হয়ে পরিষ্কার হওয়ার জন্য আপনি যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আপনার স্থান ত্যাগ করে এই অডিটরিয়ামের পিছনে চলে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে আরো একটা কক্ষে নিয়ে যাবেন যেখানে আপনি কথা বলতে ও প্রার্থনায় সময় কাটাতে পারবেন। এখনই যান। ডাঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে এখন প্রার্থনা করুন কোন একজন যেন যীশুর উপরে নির্ভর করতে পারেন। আমেন।

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মে ঈশা ২১:১১-১২.
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“Jesus, Only Jesus” (by Dr. John R. Rice, 1895-1980).


খসড়া চিত্র

প্রহরী, রাত্রি কত?

WATCHMAN, WHAT OF THE NIGHT?

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr

“দুমার বোঝা। কেহ সেয়ির হইতে আমাকে ডাকিয়া কহিতেছে, প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী,রাত্রি কত ? প্রহরী বলিল,প্রাতঃকাল আসিতেছে, এবং রাত্রিওঃ যদি জিজ্ঞাসা করিবে, তবে জিজ্ঞাসা করিওঃ ফিরিয়া, আসিও” (ঈশা ২১:১১,১২).

১. প্রথম, এই পাঠ্যাংশ সেই জাতির জন্য প্রযোজ্য, গীত সংহিতা ৯:১৭;
ড্যানিয়েল ৫:২৬,২৭; রোমানস ৩: ১৮,১১; ১ম থিসালনিয়ানস ৫:৩.

২. দ্বিতীয়, সেই পাঠ্যাংশ মৃত্যু ও নরকের প্রতি প্রয়োগ-হারানো আত্মার অনন্তকালীন দুঃস্বপ্ন, গালিতিয় ৬:৭; হিব্রুজ ১০:৩১; হিব্রুজ ১২:২৯; ম্যাথুজ ৭:২৩;৮:১২;২২:১৩;২৫:৩০; যোহান ৩:১৬.