Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




রুপান্তর করণের মূল আদর্শ

(হারানো পুত্রের উপর প্রথম সংবাদ)
THE ARCHETYPE OF CONVERSION
(SERMON NUMBER 1 ON THE PRODIGAL SON)
(Bengali)

লেখকঃ ডাল আর.এল. হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৩ আলের ২৫-শে আগষ্ট, সদাপ্রভুর দিনে এক সকালে, লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট
ট্যাবারনেকেলে এক সঙ্গাব্দ প্রচারিত হয়
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, August 25, 2013

“কিন্তু সে যখন চেতনা পাইল”(লিউক ১৫:১৭).


হারানো পুত্রের কাহিনী বাইবেলের অনেক কাহিনীর মধ্যে এক ভালোবাসার মত কাহিনী। কিন্তু আজকে ইহাকে প্রায় ক্ষেত্রে ভুল ভাবে তরজমা করা হয়ে থাকে। আজলের রাত্রে আমার সংবাদে, “হারানো পুত্রের ভুল তরজমাকে” আমি সংশোধন করার চেষ্টা করবো। আমি আশা করি ৬:৩০ মিনিটে আপনারা ফিরে আসার চেষ্টা করবেন। তারপরে আপনাদের জন্য রাত্রিভোজ থাকবে, সুতরাং আজকের রাত্রে ফিরে আসুন!

পুরাতন যে সমস্ত ব্যাখ্যামূলক কমেন্ট্রি রয়েছে তা বলে যে হারানো পুত্র হারিয়ে গিয়েছিলেন। তারা বলেন ইহা কেবল মাত্র তার রুপান্তর বর্ণনা করে। কিন্তু বিলি গ্রাহাম ও অন্যরা বলে থাকেন যে ইহা রুপান্তর করণের মূল যে আদর্শ তার চিত্র নয়। সিদ্ধান্তবাদ বলে যে একজন হারিয়ে যাওয়া খ্রীষ্টিয়ানের ইহা হল পুণুৎসর্গীকরণের এক চিত্র। তাহলে কি সমস্ত কমেন্ট্রি বা ব্যাখ্যা মূলক বই ভুল হতে পারে? আসলে, তারা ভুল নয়। ইহা হল আধুনিক তর্জমাকারীদের ভুল। আপনি দেখুন, আধুনিক সময়ের এই প্রচারকেরা এই বিষয়ে পুণউৎসর্গীকরণের প্রয়োজন রয়েছে কেননা তারা আগে এই প্রকার রুপান্তর দেখে নি। আর এই কারণেই এমন কি মহান বাইবেলের শিক্ষাকারীরা যেমন ডাঃ ম্যাকগী ইহাকে ভুলভাবে পেয়েছেন-যার বিষয়ে আজকের সংবাদে পুঙ্খনুপুঙ্খভাবে আমি তা দেখাবো।

এই বিংশতিতম শতাব্দীতে, “সিদ্ধান্তবাদ” সহজলভ্য ভাবে রুপান্তর করণ বা কনভার্সনের আবেদন রেখেছিলেন-কেবলমাত্র হাত তুলুন আর পরিত্রাণ লাভ করুন। কেবলমাত্র পালকের সঙ্গে সত্বর একটা প্রার্থনা তোতার মত করে বলুন আর তাহলেই আপনি উদ্ধার লাভ করতে পারবেন। সুতরাং, বিংশতিতম শতাব্দীতে, হারানো পুত্রের ন্যায় প্রচারকেরা সেই ভাবে রুপান্তরকরণ প্রথা আর প্রচলিত রাখেন নি। “সিদ্ধান্তবাদের” প্রত্যক্ষ ফলাফলের কারণে বিলি গ্রাহাম এবং অন্যান্যরা সেই উপমার বিষয়ে কনভার্সানের থেকে তাকে পুণঃউৎসর্গীকরণ হিসাবে পুণরায় তর্জমা করেন। সেই উপমা নিজে থেকে কথা বলার থেকে, তারা এখন ইহাকে “সিদ্ধান্তবাদের” “আতসকাঁচের” মধ্য দিয়ে পড়তে থাকেন। এমন কি ডাঃ ম্যাকগীর মতো মহান বাইবেলের শিক্ষকও সিদ্ধান্তবাদের বিষয়ে স্বীকার করেন। তাই তিনি বলেন, “এটা এমন চিত্র নয় যে একজন পাপী পরিত্রান লাভ করছে... তাই এই উপমা বা কাহিনী বাস্তবে কি তা বোঝার চেষ্টা করি। এই উপমা এমন নয় যে কিভাবে পাপী উদ্ধার লাভ করছে; ইহা পিতার হৃদয়কে প্রকাশ করছে যিনি কেবলমাত্র একজন পাপীকে উদ্ধার করছেন তাই নয় কিন্তু একজন পুত্রকে ফিরিয়েও দিচ্ছেন যিনি পাপ করেছেন” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson Publishers, 1983, volume IV, p. 314; notes on Luke 15:14).

আমি বিশ্বাস করি ডাঃ ম্যাকগী সম্ভবত লুইস স্প্যারি-চাফারের দ্বারা, এই বিষয়ে বিভ্রান্ত যিনি কিনা ডালাস থিওলজিক্যাল সেমিনারীর প্রতিষ্ঠাতা। ডাঃ চ্যাফার পুরাতন-রীতির সংকটকালের মুহুর্তে রুপান্তকরণ বা কনভার্সনের বিরোধিতা করেন। তিনি স্যান্ডিম্যানিজম আকারে শিক্ষা দেন- যার চিন্তাধারা হল বাইবেল খ্রীষ্ট সম্বন্ধে যা বলে আমরা তাতে কেবলমাত্র বিশ্বাস করার দ্বারাই পরিত্রাণ লাভ করি। মনে হয় এখানে লুইস স্প্যারি চ্যাফারের কাছ থেকে ডাঃ ম্যাকগী হারানো পুত্রের মধ্য এ “পুণঃউৎসর্গীকরণের” চিন্তাধারা লাভ করেন। যদি কোন একজন এই উপদেশ পড়ছেন তবে ডাঃ চ্যাফার হারানো পুত্রের বিষয়ে যা বলেছেন সেই বিষয়ে গবেষণা করবেন, আর তার উৎস আমাকে পাঠিয়ে দিলে, আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। এই ভ্রান্ত চিন্তা ধারা বিংশতিতম শতাব্দীতে বিস্তারিত ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এক হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তি যিনি ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসেন সেই হারানো ব্যাক্তির বিষয়ে বিলি গ্রাহাম বলেন। তিনি বলেন, “আমি আপনাকে বলছি আপনার অনুমোদনকে পুণঃ অনুমোদন জানিয়ে তা নিশ্চিত করুন। আমি আপনাকে বলছি আজকের রাত্রে আপনি ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসুন।” যতবার তিনি তার বৃহত্তর সুসমাচার অভিযানে হারানো পুত্রের বিষয়ে বলেন তখন তিনি এই প্রকার বিষয় সব সময়ে বলে থাকেন, যা প্রায় পঞ্চাশ সাল যাবৎ প্রাইম টাইল টেলিভিশানের দ্বারা সমুদয় আমেরিকার মধ্য এপ্রচারিত হয়েছিল। আর তাই আজকে আমেরিকার প্রায় ইভাঞ্জেলিক্যাল হারানো পুত্রের বিষয়ে চিন্তা করেন। কিন্তু বিষয়টা অত্যন্ত ভাবে গুলিয়ে ফেলার মতো! কেন? কেননা হারানো পুত্রের উপমা পুণঃউৎসর্গীকরণের বিষয় বলছে না! ইহা প্রকৃত ভাবে রুপান্তরীকরণের বিষয়ে বলছে –আর তাই এই দুটি বিষয় এক নয়! রুপান্তরকরণ হল এমন এক বিষয় যা ঈশ্বর করে আপনার প্রতি। পুণঃউৎসর্গীকরণ হল এমন কিছু যা আপনি করেন। রুপান্তরকরণে, ঈশ্বরের আত্মা পাপীকে জাগরিত করে তোলে এবং শূয়োরের খোয়াড় ত্যাগ করে, খ্রীষ্টের কাছে এগিয়ে আসার জন্য অনুপ্রাণিত করে। যদি সেই ব্যাক্তি তার জীবনকে কেবলমাত্র পুণরায় উৎসর্গ করে তবে তিনি নরকে যাবেন। কেন? কেননা অনুগ্রহ কেবলমাত্র অনুগ্রহের দ্বারা এবং পুণঃউৎসর্গীকরণ কর্মের দ্বারা। আর কেবল কর্ম কাউকে উদ্ধার করতে পারে না!

সিদ্ধান্তবাদের আগে যত পুরাতন কমেণ্ট্রি বা ব্যাখ্যা লেখা হয়েছে, সেখানে বলা হয়েছে যে হারানো পুত্র ছিল খোয়া যাওয়া পুত্র। দৃষ্টান্ত অনুযায়ী, ম্যাথিউ হেনরীর কমেন্ট্রি বলে যে “পুত্র” নামে যে শব্দ তার অর্থ এমন নয় যে সে উদ্ধার লাভ করেছিল, কিন্তু “ঈশ্বরকে সর্বসাধারণের পিতা হিসাবে মনুষ্য সমাজের কাছে তুলে ধরেছিল।” হেনরী আবার বলেন যে সেই উপমা দেওয়া হয়েছিল “এটাই দেখাবার জন্য যে একজন পাপীর মন পরিবর্তন ঈশ্বরের কাছে কতোটাই না সন্তুষ্টকারী বিষয়” (Hendrickson Publishers, 1996 edition, volume 5, p. 598; notes on Luke 15:11-32). বিংশতিতম শতাব্দীর আগে সিদ্ধান্তবাদ, সেই একই ভাবে উৎকৃষ্টমূলক সমস্ত কমেণ্ট্রী এই উপমাকে, যে ভাবে ব্যাখ্যা করেছে তা করে থাকে।

বিংশতিতম শতাব্দীর ভাসা ভাসা জ্ঞানের সিদ্ধান্তবাদকে পিছনে ফেলে রেখে, আসুন আমরা সেই উপমার যে অর্থ সেই বিষয়ে চিন্তা করি। যীশু ফরিশিদের যে উপমা দিয়েছিলেন ইহা হল সেই তালিকার তৃতীয়। তারা যীশুর প্রতি বিদ্রুপ করছিলেন কেননা তিনি “পাপীদের গ্রহণ,এবং তাদের সঙ্গে আহার করছিলেন”(লিউক ১৫:২)। কেন তিনি তাদের সঙ্গে আহার ও তাদের গ্রহণ করেছিলেন, তা ব্যাখ্যা করার জন্য যীশু তিনটি উপমা ব্যাবহার করেন-তিনটি ছোট্ট কাহিনী যার মধ্যে ছিল এক শিক্ষণীয় পাঠ। প্রথমে, তিনি হারানো মেষের উপমা দেন (লিউক ১৫:৩-৭)। দ্বিতীয়, তিনি হারানো সিকির উপমা দেন(লিউক ১৫:৮-১০)। তৃতীয়, তিনি তাদের কাছে হারিয়ে যাওয়া পুত্রের উপমা দেন-যাকে আমরা প্রায় সময়ে বলে থাকি “হারানো পুত্র”(লিউক ১৫:১১-৩২)। এই তিনটি উপমাই হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির পরিত্রাণের বিষয় তুলে ধরে। এখানে প্রত্যেকেই সম্মতি প্রকাশ করেন যে প্রথম দুটি উপমা হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির উদ্ধার সম্বন্ধে। বিংশতিতম শতাব্দীর আগে প্রত্যেক ব্যাখ্যাকারী বলেন যে তৃতীয় এই যে উপমা তা হারিয়ে যাওয়া ব্যাক্তির পরিত্রাণ লাভ করার বিষয় জ্ঞাত করে! স্কোফিল্ড মন্তব্য বলে “হারানো পুত্রের উপমা/কাহিনী” (The Scofield Study Bible, 1917 edition). আর ইহাই সম্ভবত সঠিক বিষয়। লিউক ১৫:২৪ পদে বালকের নিজের পিতা বলেন সে আত্মিক ভাবে মৃত ছিল, আর সে হারিয়ে গিয়েছিল!

“কারণ আমার এই পুত্র মরিয়া গিয়াছিল, এখন বাঁচিল [নতুন জন্ম]; সে হারাইয়া গিয়াছিল, এখন পাওয়া গেল...” (লিউক ১৫:২৪).

হারানো পুত্রের দ্রৃষ্টান্ত এক ঐতিহাসিক দস্তাবেজ হিসেবে খ্রীষ্টের দ্বারা প্রদান করা হয়েছেযা হল প্রকৃত রুপান্তরকরণের, এক আদর্শ। পলের কথোপকনে এই আদর্শ বহন করা হয়। আর হারানো পুত্রের কথোপকনে যে উদাহরণ তা বিংশতিতম শতাব্দী পর্যন্ত সমস্ত মহান প্রচারকের দ্বারা অনুভব করা হয়েছে – এমন কি বিরুদ্ধ মত পোষণকারী পেলাজিয়ান হেরেটিক ফিনিও ব্যাতিক্রম নয়। খ্রীষ্টিয়ান ইতিহাসের সামান্য কিছু পড়ুন আর তাহলেই আপনি দেখতে সক্ষম হবেন যে কি ভাবে এই সমস্ত খ্রীষ্টিয়ান নেতারা পর্যন্ত হারানো পুত্রের আদর্শ ভিত্তিক কথোপকথনে লিপ্ত ছিলেন। অগাস্টিনের রুপান্তরকরণেও এই একই আদর্শ অনুসরণ করা হয়। আর সেই একই ভাবে লুথার, বুনিয়ান,হোয়াইটফিল্ড, ওয়েলেসলির দুই ভাইয়েরও,যা প্রথম ও দ্বিতীয় জাগরণের সময়ে (১৭৩০-১৮৪০),রুপান্তর সাধিত হয়,আর সেই সঙ্গে সি.এইচ.স্পারজিউওনের রুপান্তরও তেমনি, আর.এ.টোরি, এবং সমস্ত কালের মহান প্রচারকদের মধ্যে চীনের ডাঃ সুং এক বিখ্যাত সুসমাচার প্রচারকও, তাদের মধ্যে অন্যতম। তারা যখন হারানো পুত্রের আদর্শ অনুভব করেন তখন তাদের সকলেই তার বাস্তবতায় রুপান্তরিত হন।

যাই হোক না কেন, আমার মনে হয় সেটাই হল একটা কারণ যার জন্য খ্রীষ্ট হারানো পুত্রের দৃষ্টান্ত দিয়েছেন-যেন আমাদের কাছে রুপান্তরকরণের এক চিত্র তুলে ধরেন। চারটি সুসমাচারের মধ্যে কোন জায়গাতেই খ্রীষ্ট এই ভাবে পুঙ্খানুপুংখভাবে বর্ণনা দেন নি যে রুপান্তরকরণ কেমন ভাবে ঘটে। হ্যাঁ, প্রেরিত বইয়ের মধ্যে পলের সাক্ষ্য তিন বার নথিভুক্ত হয়েছে-কিন্তু আমি সূচিত করতে পারি যে পলের মন পরিবর্তন সেই ভাবধারকেই অনুসরণ করে, যা খ্রীষ্টের দ্বারা বহু বৎসর আগে প্রদান করা হয়েছে, পলের মন পরিবর্তন বা রুপান্তর সাধনের অনেক আগে,যখন প্রভু এই হারানো পুত্রের দৃষ্টান্ত আমাদের কাছে দিয়ে গিয়েছেন।

(আমার সংবাদের শিরোনাম পড়বার জন্য এখানে ক্লিক করুন, “হারানো পুত্রের অপব্যাখ্যা।” এই সংবাদের সংগে আপনাকে সেই অংশটিও পড়ার প্রয়োজন)।

শুরুতেই আমি যে ভাবে বলেছি, হারানো পুত্রের দৃষ্টান্ত বাইবেলের মধ্যে পড়ার জন্য সব থেকে ভালবাসার এক অনুচ্ছেদ। এর কারণ হল ইহা হারিয়ে যাওয়া পাপীদের প্রতি এক ভাবধারাকে তুলে ধরছে যেন সে উদ্ধার লাভ করার আগে তা অনুভব করতে পারে। আর তাই সেই বিরাট পরিচিতির সঙ্গে, আমরা সেই উপদেশের একটা বিশেষ জায়গাতে আসি। আর সেই পাঠাংশ খুবই সরল,

“কিন্তু সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

এখন আমি বলতে চাই হারানো পুত্রের রুপান্তর সাধন হল এক মূল আদর্শ কেননা যখন কোন ব্যাক্তি সত্য সত্যই রুপান্তরিত হয় তখন তার সমস্ত উপাদানগুলি সেখানে ঘটে। আর তাই এখানে আমাদের পাঠ্যাংশ খুবই সরল,

“কিন্তু সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

রূপন্তরকরণে সেখানে বিভিন্ন অবস্থা রয়েছে, আর সেগুলোকে আমরা হারানো পুত্রের অভিজ্ঞতায় দেখতে পাই। প্রথমত, সেখানে এমন এক অবস্থান আসে যেখানে এই যুবক ব্যাক্তি তার পিতার কাছ থেকে স্বাধীন হওয়ার চেষ্টা করে। সে চায় নি যেন তার পিতা তাকে আর নিয়ন্ত্রন করে। সে “স্বাধীন” হতে চাইছিল। হারানো পুত্র কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্বকে অস্বীকার কর নি। সে তার পিতা মাতার সঙ্গে ধর্মীয় সভাতে যোগদান করেছে। কিন্তু তার মনের গভীরে এক ইচ্ছা থেকে গিয়েছে “স্বাধীন” হওয়ার সত্ত্বা। সে তার পিতার সমস্ত নিয়ম কানুনকে ছুঁড়ে ফেলে দিতে চেয়েছিল। সেখানে হয় তো আনন্দ দায়ক কিছু রয়েছে যা সে কোন দিন অনুভব কুরতে পারে নি। নিষিদ্ধ জগতের যে আস্বাদ কোন দিন অনুভব করে নি তার আস্বাদ সে গ্রহণ করতে চাইছিল। সে মনে করেছিল সে এখন পূর্ণ ব্যাক্তি হয়েছে, সে নিজেকে পরিবর্তিত করতে চায়, তার নিজস্ব নিয়ম বানাতে চায়, যা কিনা পিতার নিয়মের কড়াকড়ি ও নর্দেশিত হওয়ার থেকে এক্কেবারে আলাদা। আপনি যদি এইভাবে চিন্তা করছেন তবে আপনি এখনই “নিজের মধ্যে” ফিরে আসুন, আর আপনি যদি এই প্রকার বিরুদ্ধচারী চিন্তা নিয়ে এগিয়ে চলেছেন তবে ধ্বংস হয়ে যাওয়ার আগেই ফিরে আসার মনোনয়ন নিন।

কিন্তু অতি শীঘ্র সে হারানো পুত্র আরো একটি অধ্যায়ে উপস্থিত হলো। সে তার উত্তরাধিকার সময়ের পূর্বেই গ্রহণ করলো, এমন কি তা পিতার মৃত্যুর আগেই। সে সমস্ত অর্থ আর সম্পদ নিয়ে বহু দূর দেশে চলে গেল। এখন সে সমস্ত কিছুই করতে পারে যার বিষয়ে আগে সে কল্পনা করেছে। সে দিন ও রাত “পাপজাত ক্ষণিকের সুখভোগে” মেতে উঠলো (হিব্রুজ ১১:২৫)।

তৃতীয় অবস্থায় পৌঁছাতে তার আর বেশি সময় লাগলো না, যেখানে সে সমস্ত কিছুই “উড়িয়ে/নষ্ট” করে ফেললো। এখন তার ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য তার কাছে আর কিছুই নেই। তার সমস্ত পাপ এখন পর্যন্ত তাকে কোন পরিতৃপ্তি দিতে পারে নি। আর ইহা কেবল মাত্র সেই সাংঘাতিক অবস্থার মধ্য দিয়ে সে চতুর্থ অবস্থায় পৌঁছে যায়-“যেখানে সে নিজের চেতনায় ফিরে আসে”(লিউক ১৫:১৭)-বা বর্তমান সময়ের অনুবাদ ইহাকে এই ভাবে উল্লেখ করে,“সে তার বোধশক্তি/ চেতনার মধ্যে ফিরে আসে।”

কতোটাই না বেকুব ব্যাক্তি ছিল সে! সে যেন ঠিক উন্মত্ত ব্যাক্তির মতো, একটা পাপ থেকে অপর পাপের প্রতি অগ্রসর হচ্ছিল। যুবক ব্যাক্তিদের জঘন্য ও অদ্ভুত, ও ভয়ঙ্কর কয়াজ আমরা করতে দেখেছি। যুবক ব্যাক্তিদের পাপ করতে করতে আমরা তাদের এতদূর পর্যন্ত যেতে দেখেছি যারা পরিশেষে আমাদের মণ্ডলীকেই ত্যাগ করেছে। এমন কি তাদের আমরা আরো কতই না গভীর পাপে জড়িত থাকতে দেখেছি। এখন তাদের আর কেউই থামাতে পারে না। তারা যে পাপের এতটা অতলে নেমে যাবে তা তারা ভাবতেই পারে নি। তারা হয়তো ব্যবসায়ে বা বাহ্যিক ভাবে ভাল কার্যরত বলে মনে হচ্ছে, কিন্তু ঈশ্বরের বিষয়বস্তু গুলোতে তারা যেন পশুর ন্যায় হয়ে ঊঠেছে, তাদের হৃদয়ের মধ্যে নেই কোন শান্তি, আর এই জগতে তারা আশাহীন অবস্থায় রয়েছে।

“কিন্তু সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

হারিয়ে যাওয়া পাপীর মধ্য এ সেটাই হল প্রথম অনুগ্রহের কার্য। কেবলমাত্র পবিত্র আত্মাই একজন পাপীকে তার চেতনার মধ্যে ফিরে আসতে সাহায্য করে, আর তার জীবনের বিষয়ে বিজ্ঞতা সহকারে ও তার চিরকালীন স্থানের প্রতি চিন্তা করতে সাহায্য করে। আর ঠিক হারানো পুত্রের মতো সে যদি বলে আপনি সব সময়ই ফিরে আসতে পারেন, তখন দিয়াবলের কথায় কর্ণপাত করবেন না। ইহাকে সে ভাবে গুণবেন না! ঈশ্বর যদি আহবান জানাচ্ছেন, তবে তখনই আপনি আসতে পারেন আর আপনি ইচ্ছা করে পাপে পতিত হলে সেখান থেকে তিনি আপনাকে ফিরিয়ে আনবেন বলে এমন কোন নিশ্চয়তা তিনি দিচ্ছেন না বা দেবেন না! তিনি হয়তো বলবেন, “এফ্রেইম প্রতিমা গণে আসক্তঃ তাহাকে থাকিতে দাও” (হোসিয়া ৪:১৭)। কি ভাবে হারিয়ে যাওয়া পাপীর প্রতি হারানো পুত্রত দৃষ্টান্ত সেই বিষোয়ে ব্যাক্ত করছে আসুন সেই বিষয়ে কিছু সময় দেখি।

১. প্রথম, হারিয়ে যাওয়া পাপী নিজের চেতনায় ফিরে আসে।

“সে যখন চেতনা লাভ করে”- সে যখন তার নিজের বোধগম্যতার মধ্যে ফিরে আসে। ঈশ্বরের অনুগ্রহ যা আপনার জীবনে কাজ করছে এটাই হল তার প্রথম চিহ্ন।

কোন কোন সময়ে মনের এই পরিবর্তন হঠাৎ করেই স্থান নেয়। মিঃ গ্রীফিথের জীবনেও ঠিক এমন ভাবেই ঘটেছিল, যিনি তার কিছু মুহুর্ত আগেই গাইছিলেন, “প্রভু, আমি বাড়ি ফিরে আসছি।” তিনি পুরাতন প্রথা অনুযায়ী, হঠাৎ করেই রুপান্তর অনুভব করেছিলেন। তিনি এক বন্ধুর সঙ্গে মণ্ডলীতে যোগদান করতে এসেছিলেন। পাপ ও বিচারের বিষয়ে আমি যা বলেছিলাম তা তিনি শুণেছিলেন। বন্ধুটি বলেছিল, “চল এখান থেকে চলে যাই।” এই রকমই কিছু একটা। গ্রীফিথ বলেছিলেন, “ অপেক্ষা কর, আমি ইহা শুণতে চাই।” বন্ধুটি পালিয়ে গিয়েছিল, বস্তুত আমার আওয়াজ শুণে সে ছুটে পালিয়ে গিয়েছিল। গ্রীফিথ থেকে গিয়েছিল। তিনি পাপের চেতনা উপলব্ধি করেছিলেন। “তিনি নিজের চেতনায় ফিরে আসেন।” তিনি ভেবে দেখলেন, “এই প্রচার সত্য। আমি একজন পাপী।” ঠিক তখনই, সেই জায়গাতে তিনি যীশুতে নির্ভর করে পরিত্রাণ লাভ করে ছিলেন। ইহার বিষয়ে আমি যখন শুণলাম তখন অত্যন্ত ভাবেই আনন্দিত হয়েছিলাম! ঠিক যেমন তিনি এক সময়ে পাপের বিষয় গুলোতে ইচ্ছা রাখতেন ঠিক সেই ভাবেই তিনি ঈশ্বরের বিষয়গুলিতে ইচ্ছা প্রকাশ করতে শুরু করলেন। যারা তাকে জানে তারা সকলেই বলতে পারে যে তার হৃদয়ের যে পরিবর্তন তা ছিল বাস্তব, যদিও তিনি হঠাৎ করেই এখানে প্রথমবার এসেছিলেন আর সুসমাচারকে শুণেছিলেন। ঠিক সেই একই ভাবে ডাঃ চ্যান’ও রুপান্তরিত হয়েছিলেন। এই একই ভাবে আমার স্ত্রী’ও রুপান্তরিত হোন। ঠিক এই ভাবেই মেলিসা স্যান্ডার্স রুপান্তরিত হয়েছিলেন। আর সেই একই পন্থায় শ্রীমতী কাগান,এবং আমাদের মন্ডলীর আরো অন্যান্যরা রুপান্তরিত হয়েছিলেন। হঠাৎ করেই তারা তাদের বোধশক্তির মধ্যে ফিরে আসেন-আর তারা যীশুর প্রতি হঠাৎ করেই নির্ভর করেন। প্রথমবারেই তারা যখন আমার প্রচার শুণেছিল তখন তারা পরিত্রাণ লাভ করেছিল!

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭). .

অন্য দিক থেকে, কোন কোন সময়ে এই পরিবর্তন আসে ধীরে ধীরে, আস্তে আস্তে। সেই একই ভাবে মিঃ সং রুপান্তরিত হয়েছিলেন। তিনি মণ্ডলীতে এসে উপদেশ শোণার পরে অনুসন্ধান গৃহে গিয়েছিলেন। তিনি বার বার এসেছিলেন। তিনি তার মতো করে ভেবে দেখবার চেষ্টা করতেন। আমরা তার কাছে খ্রীষ্টের বিষয়ে প্রকাশ করতে থাকলে তিনি আমাদের কাছে যুক্তি প্রদর্শন করতেন। একদিন তিনি আমার সঙ্গে ভীষণ অস্থির ভাবেই বিতর্ক করলে আমি তাকে ধমক দিই। তিনি আমাদের মণ্ডলী ত্যাগ করে অন্য এক ক্লার্গিম্যান খোঁজার চেষ্টা করেন যিনি তার কাছে এই রুপান্তর কাজটাকে সরল করে তুলবেন। আমার যতটা মনে পড়ে, তিনি আবার ক্যাথলিক সাধুর কাছেও গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ব্যাক্তিও তাকে সাহায্য করতে পারে নি। এরপরে তিনি একজন খোলা মনের প্রোট্যাস্ট্যন্ট মিনিস্টারের কাছেও যান, কিন্তু তিনিও কোন সাহায্য করে উঠতে পারেন নি। পরিশেষে তিনি টিভি খুলে যীশুর বিষয়ে যে চলচ্চিত্র চলে তার একটা অংশ দেখেন। কোন রকম ভাবে ঈশ্বর শেষ পর্যন্ত তার অন্তরে কথা বললে, তার চোখ দিয়ে জল ঝরতে থাকে। পরের রবিবারেই আমি তাকে মণ্ডলীতে ফিরে আসতে দেখি, যা দেখে আমি খুব আনন্দিত হই! সেই সভার পরে তিনি যখন অনুসন্ধান গৃহে আসেন, তখন তার গর্ব খর্ব হয়ে য়ায়। তিনি যীশুতে নির্ভর করেন। তিনি সম্পূর্ণ ভাবে রুপান্তরিত হলেন,

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

আমাদের যুবকদের মধ্যে একজন আমাদের মণ্ডলীতেই বড় হয়। সে ছিল চাইনিজ বালক। সে তো প্রায় সময়ে দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। পাপের ক্ষমা চাওয়ার পরিবর্তে সে যীশুর প্রতিরোধ করছিল- অনুভুতি লাভের আশায়, নাকি ক্ষমা লাভ করা থেকে। একদিন সকালে আমি তার চোখে কান্নার জল দেখতে পেলাম। যে দ্বন্দ্বের মধ্য এদিয়ে সে যাচ্ছিল সেই দ্বন্দ্ব সে কাটিয়ে ঊঠেছিল। ঠিক তার মায়ের পাশেই তাকে আমি নতজানু হতে দেখলাম, আর সে যীশুতে নির্ভর করেছিল। সেও রুপান্তরিত হয়েছিল,

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

আরো একজন যুবক ব্যাক্তি বার বার অনুসন্ধান কক্ষে আসছিল। সে এক দৃঢ় অপরাধে অপরাধী থাকার জন্য,কেবলমাত্র এক সরল বিশ্বাসে যীশুর কাছে আসা থেকে নিজেকে দূরে রাখতো। যতবার সে অনুসন্ধান কক্ষে এসেছে, তখনই সে কেঁদেছে কিন্তু সে উদ্ধার লাভ করে নি। পরিশেষে কাঁদতে কাঁদতে এতটাই আর্তনাদ করছিল আমি ভাবলাম তার মধ্য এ আলোড়ন এসেছে। আমি তাকে বিশ্রাম কক্ষে নিয়ে গিয়ে নিজের হাত মুখ ধুতে বললাম। সে যখন ফিরে এল, আমি তার কাছে সব থেকে পুরাতন-স্টাইলের একটা গানের স্তবক উক্তি করে শোণালাম,

আমার উদ্দীপনা কোন বিরাম জানবে না,
   আমার চোখের জল কি চিরকালই প্রবাহিত হবে,
সমস্ত পাপের জন্য যা প্রায়শ্চিত্ত করতে পারি নি;
   কেবল তুমিই, তুমিই উদ্ধার করবে।
চিরকালীন প্রস্তরের, জন্য আমার কাছে ফাটল,
   আমাকে তোমার মধ্যেই লুকোতে দাও।
(“Rock of Ages, Cleft For Me” by Augustus M. Toplady, 1740-1778).

সে যীশুতে নির্ভর করে উদ্ধার লাভ করেছিল,

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

মিঃ লী মণ্ডলীতে এসেছিলেন এবং মনে হয় তিনি যীশুতে নির্ভর করেছেন। কিন্তু ইহা ছিল কেবল এক অতিপ্রাকৃতিক সিদ্ধান্ত। এর কিছু পরেই তার কাছে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে খ্রীষ্ট ছারাতার কাছে আর অন্য জীবন নেই। আর তা বলতে কি তিনি “চেয়ার ছেড়ে উঠে গেলেন,” আর তিনি অনুসন্ধান কক্ষে ফিরে এলেন। অনুতাপ ও আক্ষেপ করতে করতে চোখের জলের মধ্যে তিনি পরিত্রাতার কাছে ফিরে এলেন। তিনি অতি শীঘ্র রুপান্তরিত হয়ে উঠলেন,

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

এখন প্রায় অনেক বৎসর ধরে এক উদ্দীপনা ও প্রেমের সঙ্গে তিনি জন সম্মুখে প্রার্থনা করতে সক্ষম আর সেই মানুষই ১৯০৭ সালে কোরিয়ার পুণর্গঠনের সময়ে ১৮ ও ১৯ শতাব্দীতে এক বিরাট গণ জাগরণ এনেছিলেন। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ! তিনি যথার্থই রুপান্তরিত হয়েছিলেন,

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

জন কাগান তো মণ্ডলীকে ঘৃণা করতেন, আর প্রতি রবিবার তার বাবা তাকে মণ্ডলীতে আনতেন বলে তাকেও ঘৃণা করতেন। একদিন সকালে পবিত্র আত্মা তার হৃদয়কে খুলে দিলেন। আর তিনি চোখের জলে, হাঁটুতে ভর দিয়ে হাত দিয়ে হামাগুড়ি দিয়ে বেদীর কাছে এলেন। ঠিক পুরাতন সময়কার মেথডিস্টদের মতোই তিনি উদ্ধার লাভ করেছিলেন! ওহ, ঈশ্বরকে ধন্যবাদ! তিনি রপান্তরিত হয়েছিলেন,

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

এই মুহুর্তে আমি একটি মেয়ের কথা ভাবছি। সে তো অত্যন্ত ভাবেই ধার্মিক মনোভাবাপন্ন ছিল! কিন্তু সমস্ত দিক দিয়ে যেন নিজের মধ্যে বন্ধন অবস্থায় ছিল। যীশুর কাছে কি ভাবে আসতে হবে তা সে ভালো ভাবে বুঝে উঠতে পারছিল না। সে নিজের কাছে আশাহীন অবস্থার মধ্যে ছিল। তার মধ্য এ যেন কোন আশাই ছিল না। অন্য সমস্ত আশা যখন মাটিতে চূরমার হয়ে গেলো, ঠিক যেন ভাঙা কাঁচের মতো টুকরো হয়ে পড়লো, তখন সে অত্যন্ত ধীর ভাবে যীশুর কাছে এলো, এবং সে পরিত্রান লাভ করলো,

“আর যখন [সে] তার [নিজের] মধ্যে এলো” (লিউক ১৫:১৭).

২. দ্বিতীয়, সত্বর এক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি কি আপনাকে আসতে দিব না ?

নিশ্চয়ই আমি তা করতে পারি! আমি আপনাকে আসতে দিতে পারতাম, এবং “পাপীর প্রার্থনা” বলে যে প্রার্থনা আমরা করে থাকি তার পুণরুক্তি করতে পারতাম। আপনি সুখী হতেন-কিন্তু কেবলমাত্র কয়েক মুহুর্তের জন্য। কিন্তু আপনি যখন চিন্তা করতেস শুরু করবেন, “ইহার মধ্য এটাই কি সমস্ত কিছু? এখন আমার কাছে ইহা কোন মতেই সত্য বলে মনে হচ্ছে না।” আর আপনার মনের মধ্যে হয়তো আবার হারানো পুত্রের দৃষ্টান্ত চলে আসতো। আপনি হয়তো পুণরায় চিন্তা করতেন, “হতে পারে জগতের মধ্যে কিছু একটা রয়েছে যা আমি খুঁজে পাচ্ছি না।” “হতে পারে এতা হয়তো আদৌ সত্য নয়!” “হতে পারে সেখানে আমি কোন আসল আনন্দকে হারাচ্ছি।” আমি ইহাকে দেখেছি! আমি ইহাকে দেখেছি! বাইবেল বলে, “তাহাদের প্রথম দশা অপেক্ষা শেষের দশা আরো কঠিন হবে”(২-য় পীটার ২:২০)। তাই এখনই ভালো হওয়া প্রয়োজন! এখনই ভালো হোন! আপনি যদি ঠিক না হোন, “তবে শেষ দশার সমাপ্তি” আপনার কাছে “প্রথম দশার থেকেও অত্যন্ত খারাপ” হবে। আর তাহলে আপনার হৃদয় এতটাই কঠিনিভুত হয়ে পড়বে ও এততাই বন্ধ হয়ে পড়বে যা ঈশ্বরের বাক্য থেকে আপনি যতই শুণুন না কেন তা আপনাকে উদ্বেলিত করতে পারবে না! “যে সমস্ত বিষয়গুলি সুবিধাজনক নয়, সেখানে নীতি ভ্রষ্ট হয়ে দূরে থাকার থেকে” বরং এখনই দ্বন্দ্বের মধ্য থেকে বেরিয়ে এসে কাঁদতে থাকুন (রোমিয় ১:২৮)। “এ তোমার সর্বনাশ” (হোসিয়া ১৩:৯). এই ভাবে সেই কথা শোণার থেকে এখনই দ্বন্দ্ব করতে করতে, ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদা ভালো। তিক্ততার ক্রন্দন, ও অশ্রুসজল হৃদয় এখন, ভালো ও সাথে থাকুক যাতে কোন দিন খ্রীষ্টের মুখে না শুণতে হয়,

“আমি কখনও তোমাকে জানি নাইঃ হে অধর্মী আমার নিকট হইতে দূর হও” (ম্যাথুজ ৭:২৩).

“সেই স্থানে রোদন ও দন্ত ঘর্ষণ হইবে, তখন তোমরা দেখিবে [এরাই হলেন তারা যাদের রুপান্তরের কথা আমি আজকের সকালে আপনাদের কাছে করেছি] তারা ঈশ্বরের রাজ্যে, আর তুমি সেখান থেকে বিরে চলে যাবে” (লিউক ১৩:২৮).

আর আপনি খ্রীষ্টকে বলতে শুণবেন,

“আর... তোমরা ওই অনুপযোগী দাসকে বাহিরের অন্ধকারে ফেলিয়া দাওঃ সেই স্থানে রোদন ও দন্ত ঘর্ষণ হইবে” (ম্যাথুজ ২৫:৩০).

ওহ! ওহ! আমি আপনাকে অনুনয় করছি, এখনই ভাবুন! এখনই ভাবুন! এখনই ভাবুন! “যখন সে এই দৃষ্যের মধ্যে ফিরে এল।” ওহ, আপনারা কি আজকে আপনাদের মধ্যে ফিরে আসবেন! আর ইহা যেন আপনার জন্যই বলা যেতে পারে,

“আর সে চেতনা পাইলে পর” (লিউক ১৫:১৭).

সে তার হৃদয়ের মধ্যে বলতে থাকলো, “আমি এখনই উঠে যীশুর কাছে যাব”-

তোমার বহুমূল্য রক্তে রয়েছে পবিত্রতা
যা কালভেরীতে প্রবাহিত হয়েছিল।
প্রভু আমি আসছি! এখনই তোমার কাছে আসছি!
সেই রক্তের মধ্য এ আমাকে ধৌত কর, পবিত্র কর
যা কালভেরীতে প্রবাহিত হয়েছিল।
   (“I Am Coming, Lord” by Lewis Hartsough, 1828-1919).

আপনি যদি খ্রীষ্টিয়ান হতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আপনার বসার জায়গা এক্ষুণি ত্যাগ করুন, আর এই অডিটরিয়ামের পিছনে চলে যান। প্রার্থনার জন্য ডাঃ কাগান আপনাদের একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যাবেন। ডাঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে কোন একজনের জন্য প্রার্থনা করুন যেন তারা নিজেদের মধ্যে ফিরে এসে এখনই যীশুতে নির্ভর করতে পারে। আমেন।

সংবাদের পরিসমাপ্তি
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net
অথবা আপনি তাকে পত্র লিখতে পারেনঃ পোস্ট বক্স ১৫৩০৮, লস এঞ্জেলেস, সিএ ৯০০০১৫,
এই ঠিকানায় অথবা আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (৮১৮)৩৫২-০৪৫২

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মে: লিউক ১৫:১১-১৯.
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“Lord, I’m Coming Home” (by William J. Kirkpatrick, 1838-1921).


খসড়া চিত্র

রুপান্তর করণের মূল আদর্শ

(হারানো পুত্রের উপর প্রথম সংবাদ)
THE ARCHETYPE OF CONVERSION
(SERMON NUMBER 1 ON THE PRODIGAL SON)

লেখকঃ ডাল আর.এল. হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

“কিন্তু সে যখন চেতনা পাইল”(লিউক ১৫:১৭).

(লিউক ১৫:২,২৪; হিব্রুজ ১১:২৫; হোসিয়া ৪:১৭)

১. প্রথম, হারিয়ে যাওয়া পাপী নিজের চেতনায় ফিরে আসে,
লিউক ১৫:১৭.

২. দ্বিতীয়, সত্বর এক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আমি কি আপনাকে আসতে দিব না?
২-য় পীটার ২:২০; রোমিয় ১:২৮; হোসিয়া ১৩:৯; ম্যাথুজ ৭:২৩;
লিউক ১৩:২৮; ম্যাথুজ ২৫:৩০.