Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




বিশ্বজনীন পাপ, নির্দিষ্ট পাপ, এবং পাপের আরোগ্যতা

(ঈশা ৫৩ অধ্যায়ের ৭-ম সংখ্যার উপদেশ)
UNIVERSAL SIN, PARTICULAR SIN,
AND THE CURE FOR SIN
(SERMON NUMBER 7 ON ISAIAH 53)
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২৪-শে মার্চ,২০১৩ সালে লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে সকালের সময়ে সদাপ্রভুর
দিনে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, March 24, 2013

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৬)।


সাউদার্ন ব্যাপটিস্ট কনভেনসনের নাস্তিকবাদ ও ধর্মীয় গ্রন্থাগার কমিশনের সভাপতি হলেন ডাঃ রিচার্ড ল্যান্ড। ডাঃ ল্যান্ড জানেন যে আমরা এমন একটা দেশে বসবাস করছি যেখানে অদ্ভুত ভাবে খ্রীষ্ট ধর্মের ভিত্তি মূলক ঘটনাগুলো এড়িয়ে চলা বা অবজ্ঞা করা হয়। তিনি বলেছেন,

আমেরিকার টাইম ম্যাগাজিনের একটি প্রতিবেদনে ধর্মীয় অভ্যাসের যে ঘাটতি.... সেই বিষয়ে আমি পড়ছিলাম।একটি অনুষ্ঠানে যাবার পরে এক দম্পতি এক (পরিচর্যাকারীর) সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসেন এবং তারা বলেন, “আমাদের কিশোর সন্তান জানতে আগ্রহী যে ক্রুশ চিহ্নযুক্ত দন্ডের উপরে যে ব্যাক্তি রয়েছেন তার নাম কি ছিল”। তারা জানতেন না যে ইহা ছিল যীশুর প্রতিমূর্তি আর তারা এটাও জানতেন না যে সেটা ছিল একটা ক্রুশ (“The Man on the Plus Sign,” World magazine, August 1, 2009, page 24).

ইহা অত্যন্ত ভীতিকর বিষয় কেননা বহু লোকের মধ্যে যীশুর সম্বন্ধে অত্যন্ত সামান্য পরিমাণের জ্ঞান রয়েছে যে তিনি কে এবং তিনি কি করেছেন এই বিষয়ে। এই বিষয়ের প্রতি বেশিরভাগ ত্রুটি সেখানেই কেননা আমাদের বেশীর ভাগ মন্ডলীগুলোতে খ্রীষ্টের নিজের বিষয়ে প্রচার খুব সামান্যই হয়। কিন্তু রবিবার দিনেও তো আপনি মন্ডলীতে এই ভাবে গিয়ে থাকতে পারেন না যেখানে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের পরিবর্তে মৃত্যুবরণ করেছেন বলে প্রচার হয় নই বলে বিবেচনা করা যায় না! যীশু যখন ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করলেন যেন আমাদের তিনি সমস্ত পাপ থেকে পরিষ্কার করেন। স্পারজিউওন বলেছেন, “সেখানে এমন কিছু প্রচারক রয়েছেন যারা যিশু খ্রীষ্টের রক্তের বিষয়ে প্রচার করেন না, আর তাদের বিষয়ে আমার কাছে একটি বিষয় রয়েছে যা আমি বলতে চাই তা হল তাদের কাছে শোণার জন্য আপনি কোন সময় তাদের কাছে যাবেন না। তাদের কথা শুণবেন না! একটি পরিচর্যা কার্য্য যার যীশুর রক্তের সম্বন্ধে কোন কিছু করার নেই তা হলে ইহা হল জীবন হীন এক বিষয় এবং তা সম্পুর্ণ ভাবে মৃত আর তা কারোর কাছে কিছুই সাধন করে না”। (C. H. Spurgeon, “Freedom through Christ’s Blood,” August 2, 1874). খ্রীষ্ট যে আমাদের পাপ সকল বহন করবেন তার যে চিন্তাধারা তা ঈশা ৫৩ অধ্যায়ে পুণঃপুণঃ উল্লেখ করা হয়।

“সত্য আমাদের যাতনা সকল তিনিই তুলিয়া লইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৪)

“কিন্তু তিনি আমাদের অধর্মের নিমিত্ত বিদ্ধ, আমাদের অপরাধের নিমিত্ত চূর্ণ হইলেন” (ঈশা ৫৩:৫)

“আমাদের শান্তিজনক শাস্তি তাঁহার উপরে বর্তিল” (ঈশা ৫৩:৫)

“তাঁহার ক্ষত সকল দ্বারা আমাদের আরোগ্য হইল” (ঈশা ৫৩:৫)

“আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার আপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৬)

“আমাদের জাতির অধর্ম প্রযুক্তই তাঁহার উপরে আঘাত পড়িল” (ঈশা ৫৩:৮)

“তথাপি তাঁহাকে চূর্ণ করিতে সদাপ্রভুরই মনোরথ ছিল;তিনি তাঁহাকে যাতনাগ্রস্থ করিলেন” (ঈশা ৫৩:১০)

“তিনিই তাহাদের অপরাধ সকল বহন করিবেন” (ঈশা ৫৩:১১)

“তিনি অনেকের পাপভার তুলিয়া লইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:১২)

ঈশা ৫৩ অধ্যায়ে আমাদের বারংবার বলা হয়েছে আমাদের পাপের পরিবর্তে খ্রীষ্ট নিজের উপরে আমাদের সমস্ত দোষ ও যাতনা সকল বহন করবেন যেন তাদের জন্য সমস্ত মূল্য মিটিয়ে দেন।

কিন্তু এখন, এই মুহুর্তে আমাদের পাঠ্যাংশে এক নতুন ধারণা প্রদান করা হয়েছে। এখানে আমাদের যুক্তি প্রদর্শন করা হয়েছে যে খ্রীষ্টকে কেন দুঃখভোগ করতে হবে, কেন খ্রীষ্ট, যিনি নিজেই নিরপরাধ তাঁকেই মানুষের অপরাধ সকল বহন করতে হল।

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভুর আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৬)।

এই পাঠ্যাংশ স্বভাবত তিনটি বিচার্য বিষয়ে বিভক্ত করা হয়েছে।

১. প্রথম, সমুদয় মানুষের যে পাপ তার স্বাভাবিক স্বীকার উক্তি।

ভাববাদী বলেছেন,

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি” (ঈশা ৫৩:৬)

সমস্ত মনুষ্যজাতির বিষয়ে বিশ্বজনীন যে পাপ সেই বিষয়ে আমাদের কাছে অতি স্বচ্ছ এক বিবৃতি রয়েছে। “আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হয়েছি”। প্রেরিত পৌল যখন এই কথা বলেন তখন তিনি ইহাকে আরো পরিষ্কার করে দেন,

“কারণ আমরা ইতিপূর্বে যিহুদি ও গ্রীক উভয়ের বিরুদ্ধে দোষ দিয়াছি যে, সকলেই পাপের অধীন। যেমন, লিখিত আছে, ধার্মিক কেহই নাই একজনও নাই, বুঝে এমন কেহই নাই, ঈশ্বরের অণ্বেষন করে এমন কেহই নাই” (রোমিয় ৩:৯-১১)।

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি,” আমরা সকলেই ভ্রান্ত হয়েছি!

ঠিক মেষের মতোই যারা ঈশ্বরের নিয়মের ন্যায় যে বেরাকে ভেঙে ফেলে সেই মতো আমরা সকলেই বিপথগামী হয়েছি, আমরা সকলেই ঈশ্বর থেকে বিস্মৃত হয়ে পড়েছি। প্রেরিত পীটার বলেছেন,

“কেননা তোমরা মেষের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছিলে” (১-ম পীটার ২:২৫)

এখানে পীটার মুখ্যতঁ গ্রীক যে শব্দ প্রয়োগ করেছেন তার অর্থ হল নিরাপত্তা ও সত্যতা থেকে আমরা বিস্মৃত হয়েছি, প্রবঞ্চিত হওয়া (কঠিন অর্থে)। পবিত্র শাস্ত্রের মধ্যে মনুষ্য জাতির জন্য সেটাই হল বিশ্বজনীন এক বর্ণনা।

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি” (ঈশা ৫৩:৬)

মানুষকে পশুর সঙ্গে তুলনা করা হয় কেননা পাপ স্বভাব তাকে পদচ্যুত করেছে তাকে নীচে নামিয়ে দিয়েছে আর এই ভাবে সে পশুর ন্যায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু আমাদের বুদ্ধিমত্তা পশুর উপাদানে সজ্জিভূত নয়। কোন মানুষই সাধারণ মনোবৃত্তি সম্পন্ন মেষে সজ্জিভূত নয়।

আপনি এই নগরীতে বসবাস করেন তাই স্বভাবত মেষের মুর্খতা সম্বন্ধে আপনি বেশি কিছু জানেন না। কিন্তু বাইবেলের সময়ে লোকেরা খুব ভালোভাবেই বোকা মেষের বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকতেন। নিশ্চিতভাবেই তাদের মেষ্পালকের দ্বারা যত্ন নেওয়া হতো আর তা না হলে তারা বিস্মিত হয়ে পড়তো।

একটা বিষয়ের জন্য মেষেরা সব থেকে ভালো তা হল – কেবল বিস্মিত হওয়া। যদি বেড়ার মধ্যে কেবলমাত্র একটি গর্ত থাকে তখন মেষেরা সেটার মধ্য দিয়ে বাইরে গিয়ে বিস্মিত হয়ে পড়ে। আর মেষ একবার যখন বেড়ার বাইরে চলে যায় তখন ইহা আর ফিরে আসার চেষ্টা করে না। মেষ ক্রমে ক্রমে নিরাপত্তার স্থান থেকে আরো দুরবর্তী স্থানে এগিয়ে গিয়ে বিস্মিত হয়ে পড়ে। মানুষও ঠিক সেই প্রকার। মন্দ কাজ করার জন্য সে সর্বসময়েই অত্যন্ত বিজ্ঞ কিন্তু যেটা ভালো সেই বিষয়ে সে বোকা হয়ে পড়ে। এটা ঠিক গ্রীক পৌরাণিক কাহিনীর আরগাসের মতো, পাপ খুঁজে বার করার জন্য মানুষ যেন শত চক্ষু প্রয়োগ করে, কিন্তু ঈশ্বরের অণ্বেষণ করার ক্ষেত্রে সে ঠিক বর্তমীয়সের ন্যায় অন্ধ! এই পাপ সম্বন্ধে প্রেরিত পৌল ইহাকে বিশ্বজনীন পীড়া হিসাবে উল্লেখ করেন যখন তিনি বলেন,

“তৎকালে তমরা খ্রীষ্ট হইতে বিভিন্ন, ইজ্রায়েলের প্রজাধিকারের বহিস্থ, এবং প্রতিজ্ঞা যুক্ত নিয়মগুলির অসম্পর্কীয় ছিলে, তোমাদের আশা ছিল না আর তমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বর বিহীন ছিলে” (এফেসিয়ানস২:১২).

“তাহারা চিত্তে অন্ধীভূত, ঈশ্বরের জীবনের বহির্ভুত হইয়াছে, আন্তরিক অজ্ঞানতা প্রযুক্ত, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হইয়াছে” (এফেসিয়ানস ৪:১৮).

এই পদগুলি আমাদের দেখায় যে মনুষ্য জাতি ঈশ্বর থেকে দূরে চলে গিয়াছে।

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি” (ঈশা ৫৩:৬)

এখন এখানে আমাদের পাঠ্য্যংশে, সমগ্র মনুষ্য জাতির পাপের কথা সম্বন্ধে স্বিকার করা হইয়াছে। ইহা আরও দেখায় যে মনুষ্য জাতি ঈশ্বর থেকে দূরে চলে গিয়েছে। ইহা এটাই দেখায় যে মনুষ্যজাতি ঈশ্বর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বহু শতাধিক ভ্রান্ত ধর্মে এবং ভ্রান্ত মতবাদে লিপ্ত হয়ে প্রতিমা পূজায়, এবং ভ্রান্ত দেব দেবী ও ভ্রান্ত খ্রীষ্টে মত্ত হয়ে উঠেছে, “তাহারা চিত্তে অন্ধীভুত, ঈশ্বরের জীবনের বহির্ভুত হইয়াছে, আন্তরিক অজ্ঞানতা প্রযুক্ত, হৃদয়ের কঠিনতা প্রযুক্ত হইয়াছে” (এফেসিয়ানস ৪:১৮).

২. দ্বিতীয়, প্রতিটি পাপের জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে ব্যাক্তিগত স্বীকার উক্তি।

পাঠ্যাংশ ধারাবাহিক ভাবে এগিয়ে চলেছে,

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি, প্রত্যেকে আপন আপন পাপের দিকে ফিরিয়াছি.....” (ঈশা ৫৩:৬).

মনুষ্যজাতির পাপের স্বাভবিক যে স্বীকারোক্তি তা নির্দিষ্ট ভাবে প্রত্যেক ব্যাক্তির ব্যাক্তিগত স্বীকার উক্তির দ্বারা চালিত হয়েছে। “আমরা সকলেই আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি”। কেউই তাদের নিজের মনোনয়নের দ্বারা ঈশ্বরের প্রতি ফেরেনি। প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যাক্তি তাদের “নিজেদের পন্থা বা পথের বিবেচনা সাধন করেছে”। পাপের মুখ্য যে বিষয় তা এখানেই রয়েছে, আমাদের নিজেদের পথ মনোনীত করতে গিয়ে আমরা ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচারণ করে বসে রয়েছি। আমরা আমাদের নিজেদের জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছিলাম। আমরা আমাদের নিজেদের পরিকল্পনা অনুসারী হতে চেয়েছিলাম। আমরা নিজেদের ঈশ্বরের কাছে সমর্পিত বা বশীভুত হয়ে থাকতে চাই নি।আমরা খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করে তাঁর কাছে প্রভু বলে নিজেদের সমর্পিত করি নি।

এই পাঠ্যাংশ দেখায় যে প্রত্যেকের এক বিশেষ পাপ রয়েছে তা হল “তাদের নিজেদের পথ।” প্রতিটি নর ও নারীর এক মুখ্য পাপ রয়েছে যেটা অন্যদের থেকে সম্পুর্ণ আলাদা। দুটি সন্তান যাদের একই পিতা মাতার দ্বারা বড় করে তোলা হয় তাদের মধ্যেও আচার গত ভাবে ভিন্ন প্রকার পাপ থাকে। একজন ব্যাবহারিক ভাবে নিজের ইচ্ছায় সেই পাপ করে আর অন্য ব্যক্তি অন্য ভাবে করে থাকে। “আমরা প্রত্যেকেই নিজে নিজের পথে ফিরেছি”। একজন ইহার ডানদিকে অপর ব্যাক্তি ইহার বাম দিকে। কিন্তু এয়ারা উভয়েই নিজে থেকে ঈশ্বরের পন্থাকে উল্লঙ্ঘন করেছে।

খ্রীষ্টের সময়ে সেখানে যিহুদী লোকেরা ছিলেন যারা অত্যন্ত দৃঢতার সঙ্গে ঈশ্বরের নিয়মের বিরুদ্ধাচারন করতো। সেখানে এমন পাপী ব্যাক্তিও ছিল যারা তাদের জীবন থেকে ঈশ্বরকে বাতিল করে দিয়েছিল। সেখানে আবার ফরিশীরাও ছিলেন যারা এটিএম ধার্মিকতায় বুশ্বাস করতেন, তারা মনে করতেন যে অন্যদের থেকে তারা খুবই ভালো। সেখানে আবার সদ্দুকীরাও ছিলেন যারা স্বর্গদূত এবং মন্দ আত্মাতেও বিশ্বাস করতো না। তারা শারীরিক ভাবে পাপ করতে পারে না। তারা অন্যদের মতো পাপপূর্ণ জীবন যাপন করতো না বা ফরিশীদের মতো অতি প্রাকৃতিক ভাবে জীবন যাপন করতেন না। কিন্তু তারা নিজেদের ভাবধারায় ঈশ্বরের সত্যতার বিরুদ্ধাচারণ করতো। তাদের সকলের প্রতিই ইহার বিষয় বলা যেতে পারে,

“আমরা সকলে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি” (ঈশা ৫৩:৬)

আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ খ্রীষ্টিয়ান পরিবারে বড় হয়েছেন তথাপি সুসমাচারের যে জ্যোতি রয়েছে তা প্রত্যাখানের মধ্যে আপনারা পাপ করেছেন। আর সেটাই হল “আপনার নিজের পথ বা ইচ্ছা।” অন্যরা আবার হয়তো এক নির্দিষ্ট পাপের বিষয়ে চিন্তা করছেন। আপনি যখন ইহাকে স্মরণ করেন তখন অত্যন্ত গভীর ভাবেই সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। তথাপি আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ খ্রীষ্টে নির্ভর এবং তাঁর মধ্যে শান্তি ও ক্ষমা লাভ করার পরিবর্তে ক্রমাগত ভাবে দোষী অনুভব করতে থাকেন। কেউ আবার খ্রীষ্টকে অস্বীকার করে একই ভাবে দিনের পর দিন জীবন কাটাতে থাকেন। “আমরা সকলেই আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি।”

অন্য ব্যাক্তি হয়তো বলতে পারে, “আমি আমার হৃদয় কঠিন করেছি।আমি খ্রীষ্টের প্রয়োজন ও সেই চেতনা উপলব্ধি করতাম, কিন্তু এখন তা আর করি না। এখন আমি ভয় পাচ্ছি কেননা সদাপ্রভু তাঁর অভিশাপের মধ্যে প্রতিজ্ঞা করেছেন আমি তাঁর বিশ্রামে প্রবেশ করতে পারবো না। ঈশ্বর যে আমার উপরে তা প্রদান করবেন এই বিষয়ে আমি ভীতপ্রায়।” কিন্তু আমি চাই আপনি পাঠ্যাংশের পরবর্তী অংশগুলো সতর্কতার সংগে শুনুন, কেননা সেখানে তৃতীয় আরো একটি বিষয় রয়েছে যা দেখায় যে আপনার জন্য সেখানে এখনও আশা রয়েছে!

৩.তৃতীয়, তাঁর লোকেদের পাপের জন্য খ্রীষ্টের প্রতিকল্পনীয় বিজয়ী মৃত্যু।

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে সম্পুর্ণ পদটি পড়ুন, শেহশের যে অংশটির প্রতি জোর দেওয়া হয়েছে তার প্রতি বিশেষ মনোযোগ আকর্ষণ করুন। “আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার আপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন।”

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৬)।

আপনারা সকলে বসতে পারেন। ডাঃ এডোয়ার্ড যে ইয়াং বলেছেন,

সেই দাসের দুঃখভোগের বিষয়ে পদের প্রথম অর্দ্ধ এই যুক্তি নির্দেশ করছে আর দ্বিতীয় ভাগটি নিশ্চিত করে প্রভু নিজেই সেই দাসকে দুঃখ ভোগের স্বীকার করালেন আমাদের সকলের জন্য তাঁর উপরে দুঃখ স্থাপন করার দ্বারা। এখানের যে ক্রিয়া পদ তা হল (“স্থাপন”)যার অর্থ হল প্রচন্ডভাবে মুষ্ঠিঘাত করে আঘাত করা। যে দোষে আমরা দোষী তা আমাদের উপরে আঘাত করার জন্য ফিরে না এসে তাঁর উপরে তা পড়লো যা আমাদের উপরে পড়ার কথা কিন্তু তা বরং আমাদের বদলে খ্রীষ্টের উপরে পড়লো। সদাপ্রভু ঈশ্বর আঘাত প্রদান করলেন আমাদের দোষের জন্য তাঁকে আঘাত করার দ্বারা। যে দোষ আমাদের ছিল তার জন্য ঈশ্বর তাঁকেই আঘাতের কারণ করে তুললেন, তিনিই হলেন আমাদের প্রতিকম্পন শাস্তি যা আমাদের জন্য তিনি বহন করলেন, মেষেদের প্রাণ বাঁচাবার জন্য মেষ পালক তাঁর নিজের জীবনকে দিলেন।(Edward J. Young, Ph.D., The Book of Isaiah, Eerdmans, 1972, volume 3, pp. 349-350).

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৬)।

সংবাদের শিরোনামে “ব্যাক্তি বিশেষের পাপ যীশুর উপরে বর্তাইল”, এই বিষয়ে স্পারজিউন বলেন,

এখানে লটের লজ্জাজনক পাপকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের আমি উল্লেখ করতে চাই না সেগুলো ডেভিডের পাপের থেকেও আলাদা। ডেভিডের পাপগুলি ছিল কালও পাপ, রক্তিম পাপ কিন্তু ডেভিডের পাপ গুলয় কোন মতেই মানসের মতো নয়; মানসের পাপগুলি আবার কোন মতেই পীটারের পাপের মতো নয়। পীটারের পাপটা ছিল সামান্য আলাদা (প্রকার); এবং সেই মহিলা যিনি পাপী ছিলেন আপনি তাকে পীটারের ন্যায় উল্লেখ করতে পছন্দ করবেন না, না তো আপনি যখন তার চরিত্রের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন তখন তাকে লিডিয়ার সঙ্গে তুলনা করতে পারেন না; না তো আপনি যখন লিডিয়ার কথা চিন্তা করেন তখন কি আপনি ফিলিপীয়ার কারাগারের মধ্যে (যে পৃথক কথার বিষয় অনুভব করেন) তাছাড়া তাকে দেখতে পান। তারা সকলেই সমান, তারা সকলেই বিপথগামী হয়ে পড়েছে, কিন্তু তারা সকলেই কিন্তু আলাদা, ভিন্ন প্রকার, তারা সকলেই নিজে নিজের পথের প্রতি ফিরিয়াছে;কিন্তু....সদাপ্রভু(“তাদের সমস্ত আপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন”)... আপনি যখন সুসমাচারের মহান ঔষধের কাছে আসেন, যীশু খ্রীষ্টের মহামূল্যবান রক্তের কাছে আসেন,তখন সেখানেই আপনি....যাকে সব থেকে পুরাতন ডাক্তারেরা বলে থাকেন ক্যাথলিকন, বিশ্বজনীন এক ঔষধ,যা সমস্ত ব্যাধির প্রয়োজন সেটায়, সমস্ত পাপকে দূর করে দেয়, ইহার সমস্ত প্রকার দোষকে পৃথক করে দেয় আর ইহা কেবলমাত্র এই পাপের জন্যেই তৈরী হয়েছে (C. H. Spurgeon, “Individual Sin Laid on Jesus,” The Metropolitan Tabernacle Pulpit, Pilgrim Publications, 1977 reprint, volume XVI, pp. 213-214).

খ্রীষ্টে নির্ভর করুন। খ্রিষ্টের প্রতি সমর্পিত হোন। তাঁর উপরে নির্ভর করুন তা হলে আপনি আর লজ্জিত হবেন না, “কেননা সদাপ্রভু আমাদের সকলকার আপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন।”

আমরা হলাম দোষী, নীচ ও অসহায়;
তিনি ছিলেন দোষারহিত ঈশ্বরের মেষ;
ইহাই হবে “সম্পূর্ণ এক প্রায়শ্চিত্ত”?
হাল্লেলুইয়া! কি আশ্চর্য্য এই পরিত্রাতা!
   (“Hallelujah! What a Saviour!” by Philip P. Bliss,1838-1876).

আপনি কি যীশুতে নির্ভর করবেন? আপনি কি তাঁর কাছে নিজেকে সমর্পন করবেন, তাঁর প্রতি সমর্পিত হবেন, ও তাঁর উপরে নির্ভর করবেন? আপনি কি তাঁর রক্তের দ্বারা ধৌত হতে চান, এবং ক্রুশের উপরে তাঁর প্রতিকল্পনীয় বলিদানের দ্বারা বিচারের হাত থেকে উদ্ধার লাভ করবেন? সর্ব্বশক্তিমান পিতা ঈশ্বর আপনাকে সেই বিশ্বাস প্রদান ক্রুন যেন খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করতে পারেন এবং তাঁর কাছে নিজেকে সমর্পিত করে উদ্ধার লাভ করতে পারেন!

আসুন আমরা একত্রে মিলে উঠে দাঁড়াই। যীশুর উপরে নির্ভর করার জন্য আপনি যদি আমাদের সংগে কথা বলতে চান তিবে অনুগ্রহ করে এই মুহুর্তে আপনার জায়গা ছাড়ুন এবং পিছনে যে অডিটরিয়াম রয়েছে সেখানে যান। ডাঃ কাগন আপনাকে নীরব একটি ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে আপনার সংগে আমরা খ্রীষ্টের প্রতি সমর্পনের বিষয়ে কথা বলতে পারি এবং সেই রক্তের দ্বারা আপনি ধৌত ও পরিষ্কৃত হতে পারেন! মিঃ লী অনুগ্রহ করে এখানে এসে তাদের জন্য প্রার্থনা করবেন যারা এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। আমেন।

সংবাদের পরিসমাপ্তি
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net
অথবা আপনি তাকে পত্র লিখতে পারেনঃ পোস্ট বক্স ১৫৩০৮, লস এঞ্জেলেস, সিএ ৯০০০১৫,
এই ঠিকানায় অথবা আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (৮১৮)৩৫২-০৪৫২


সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন ডাঃ ক্রিঘটন এল. চানঃ ঈশা ৫২:১৩-৫৩:৬
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“Yes, I Know!” (by Mrs. Anna W. Waterman, 1920).


খসড়া চিত্র

বিশ্বজনীন পাপ, নির্দিষ্ট পাপ, এবং পাপের আরোগ্যতা

ঈশা ৫৩ অধ্যায়ের ৭-ম সংখ্যার উপদেশ
UNIVERSAL SIN, PARTICULAR SIN,
AND THE CURE FOR SIN
(SERMON NUMBER 7 ON ISAIAH 53)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

“আমরা সকলে মেষগণের ন্যায় ভ্রান্ত হইয়াছি; প্রত্যেকে আপন আপন পথের দিকে ফিরিয়াছি; আর সদাপ্রভু আমাদের সকলের অপরাধ তাঁহার উপরে বর্তাইয়াছেন” (ঈশা ৫৩:৬)।

(ঈশা ৫৩:৪, ৫, ৬, ৮, ১০, ১১, ১২)

১.  প্রথম, সমুদয় মানুষের যে পাপ তার স্বাভাবিক স্বীকার উক্তি,
ঈশা ৫৩:৬এ; রোমানস ৩:৯-১১; ১-ম পীটার ২:২৫;
এফেসিয়ানস ২:১২; ৪:১৮।

২.  দ্বিতীয়, প্রতিটি পাপের জন্য সুনির্দিষ্ট ভাবে ব্যাক্তিগত স্বীকার উক্তি,
ঈশা ৫৩:৬ বি।

৩.  তৃতীয়, তাঁর লোকেদের পাপের জন্য খ্রীষ্টের প্রতিকল্পনীয় বিজয়ী মৃত্যু,
ঈশা ৫৩:৬ সি।