এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|
এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|
যখনই আপনি ডঃ হেইমার্সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |
খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ THE ASCENSION OF CHRIST লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. ১০-ই ফেব্রুয়ারী,২০১৩ সালে প্রভাতের সময়ে সদাপ্রভুর একটি দিনে লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে একটি উপদেশ প্রচারিত হয়েছিল “এই জন্য উক্ত আছে, তিনি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিলেন, মনুষ্য দিগকে নানা বরদান করিলেন” ( এফেসিয়ানস ৪:৮) |
জেবুসাইটস-রা ইজ্রায়েলের শত্রু ছিলেন। ঈশ্বরের লোকেদের দ্বারা অন্য সমস্ত ভূমি নিয়ে নেওয়ার পরেও তারা জেরুজালেম নগরীকে নিজেদের আয়ত্ত্বে রেখেছিল। পরিশেষে ডেভিড ও তার লোকেরা সেই নগরীকে হস্তগত করেন। ডেভিড স্মরণ করছেন তার সেনারা জেরুজালেমের উন্নতির জন্য কি ভাবে তা দখল করেছিল। ইহা ছিল সদা প্রভুর পর্বত, সিনয় পর্বত, যে জায়গাতে ঈশ্বরের মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সংগীত ও উচ্ছাসপূর্ণ উল্লাসের সাথে ডেভিড, ঈশ্বরের সেই নিয়ম সিন্দুককে সিনয় পর্বতে নিয়ে এসেছিলেন, সেই জায়গায়, যেটা সেখানে থাকবে। কিন্তু জাগতিক বিষয়ের উর্দ্ধে উঠেও সেই ঘটনাকে দেখতে সক্ষম হয়েছিল। খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণকে তিনি দেখতে পেয়েছিলেন, তিনি যে ভাবে ফিরে যান তখন সকলকে প্রভাবিত করেন, এবং তাঁর লোকেদের জন্য বিজয় লাভ করেন যাতে তিনি তাদের মধ্যে প্রভু এবং পরিত্রাতা হিসাবে বসবাস করতে পারেন। আর তাই গীত সংহিতা ৬৮-তে ডেভিড লিখলেন, “তুমি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিয়াছ, মনুশ্যদের মধ্য হইতে দান গ্রহণ করিয়াছ; এমন কি বিদ্রোহীদের মধ্যেও গ্রহণ করিয়াছ, যেন সদাপ্রভু ঈশ্বর (তোমায়) বাস করেন” (গীতসংহিতা ৬৮:১৮) এর এক হাজার বৎসর পরে প্রেরিত পল ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা সঞ্চারিত হয়ে ডেভিড যা বলেছিলেন তিনি তা প্রয়োগ করেন, সেই প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, যখন তিনি পিতার কাছে স্বর্গে ফিরে গেলেন ঈশ্বরের সেই দক্ষিণ হস্তের পার্শ্বে। য়ার তাই প্রেরিত গীতসংহিতা ৬৮:১৮-কে উদ্ধৃত করলেন, যা খ্রীষ্টের পুণরুত্থানের প্রতি প্রয়োগ করে, “তিনি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিলেন,মনুষ্য দিগকে নানা বরদান করিলেন” ( এফেসিয়ানস ৪:৮) প্রভু যীশু খ্রীষ্ট, শিশুরুপে যখন আসলেন তখন তিনি স্বর্গ থেকে অবতরণ করলেন যিনি বেথলেহেমের জাব পাত্রে জন্মালেন। তিনি অধিকতর ভাবে অবতরণ করলেন যখন তিনি, ‘অবজ্ঞাত ও মনুষ্যদের ত্যাজ্য, ব্যাথার পাত্র ও যাতনা পরিচিত হইলেন’ (ইশা ৫৩:৩)। তিনি নীচে অবতরণ করলেন গ্যাৎশিমানী বাগানে যেখানে তার উপরে আমাদের পাপ সকল স্থাপন করা হল, সেখানে তিনি আকুল ভাবে আর্তনাদ করছিলেন ও ঘেমে গিয়েছিলেন, ‘ যেখানে তাঁর ঘর্ম রক্তের ঘনীভূত বড় বড় ফোঁটা হইয়া ভুমিতে পড়িতে লাগিল (লিউক ২২:৪ঃ৪৪)তিনি এমনকি সেখানেও অবতরণ করলেন যেখানে তিনি আপনাকে অবনত করিলেন মৃত্যু পর্যন্ত, এমন কি ক্রুশীয় মৃত্যু পর্যন্ত আজ্ঞাবহ হইলেন’(ফিলিপিয়ানস ২:৮)। তিনি আরো বেশী ভাবে অবতরণ করলেন যখন তাঁর মৃত শরীরকে কবরে শায়িত করে রাখা হয়েছিল। প্রেরিত পল সে ভাবে বলেছেন, ‘ তিনি আবার পৃথিবীর নীচতর স্থানে নামিয়া ছিলেন’। (এফেসিয়ানস ৪:৯) তাঁর যে অবতরণ তা ছিল এক দীর্ঘকালীন এবং অন্ধকারময়, তিনি অবমাননাকর স্থানে নত হলেন ও মৃত্যু ও যন্ত্রণা ভোগ করলেন। এক অন্ধকারাচ্ছন্নতা এবং ত্যাজ্য অবস্থার মধ্যে তিনি চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘ঈশ্বর আমার, ঈশ্বর আমার, তুমি কেন আমাকে পরিত্যাগ করিয়াছ’? (ম্যাথুজ ২৭:৪৬) কবরের সেই সর্ব নিম্ন স্থানে তাঁকে শায়িত করে রোমিয় সৈন্যরা কবরকে শিলমোহর দিয়ে পাহারা দিতে থাকলেন। কিন্তু তৃতীয় দিবসে, অতি প্রত্যুষে, পৃথিবী কেঁপে উঠলো, স্বর্গের দূত কবরের মুখ থেকে পাথরকে সরিয়ে দিলেন। যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠলেন এবং সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন কবর থেকে হেঁটে সকালের সূর্যালোকে বেরিয়ে এলেন! হাল্লেলুইয়া! হাল্লেলুইয়া! হাল্লেলুইয়া! পুণরুত্থানের উজ্জ্বল সকালে খ্রীষ্ট তাঁর গৌরবময় আরোহণকে আরম্ভ করেন! তিনি প্রমাণ করলেন যে তিনি জীবিত, যেখানে তিনি মাংস ও অস্থি নিয়ে দৈবিক ভাবে উত্থিত হয়ে এই পৃথিবীতে ছিলেন এবং আপন দুঃখ ভোগের পরে তিনি অনেক প্রমাণ দ্বারা তাঁদের নিকটে আপনাকে জীবিত দেখালেন ও চল্লিশ দিন ধরে তাদের দর্শন দিলেন’(প্রেরিত ১:৩)। মেরী ম্যাগডালেন ও জেমস তাঁকে দেখতে পান। তিনি যখন তাদের মাঝখানে দাঁড়ালেন তখন এগারো জন শিষ্য তাঁকে দর্শন করলেন, ‘তখন তারা তাঁকে একটি ভাজা মাছ দিলেন আর তিনি তাহা লইয়া তাদের সাক্ষাতে ভোজন করিলেন’(লিউক২৪:৪২,৪৩)। ইম্মায়ূ নামক গ্রামের রাস্তাতে তিনি দুজনের সঙ্গে কথা বললেন, ‘আমার হাত ও আমার পা দেখ, এ আমি স্বয়ং, আমাকে স্পর্শ কর, আর দেখ আমায় যেমন দেখিতেছ আত্মার ও অস্থির এমন মাংস নাই’ (লিউক ২৪:৩৯)। থমাস তার হাতের গর্তের মধ্যে আঙুল রাখলেন এবং এমনকি তার বিদীর্ণ ক্ষতের নিকটেও স্পর্শ করিলেন যা পেরেকের দ্বারা বিদ্ধ ও ক্রুশারোপণেঢ় সময়ে বর্শা দ্বারা আক্রমণ করা হয়েছিল। প্রভু যীশু যে সত্যই মৃত্যু বরণ করেছিলেন তা তাঁর শরীরের খুলে থাকা ক্ষতই প্রমান করে। আর তিনি যে মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন তা প্রমাণ করে যখন থমাস তার প্রভুর পুণরুত্থিত শরীরের ক্ষতের অংশে স্পর্শ করেন। সমস্ত কিছু সন্দেহের উর্দ্ধে খ্রীষ্ট যীশু মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে ইঠেছেন! হাল্লেলুইয়া! হাল্লেলুইয়া! হাল্লেলুইয়া! তিনি যখন তাদের কাছে প্রমাণ করলেন যে তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়েছেন তখন খ্রীষ্ট নিজে তাঁর শিষ্যদের অলিভ পর্বতে নিয়ে গেলেন। তারা যখন তাঁর দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, ‘তখন তিনি তাদের সম্মুখে উর্দ্ধে নীত হলেন এবং এক খানি মেঘ তাহাদের দৃষ্টিপথ থেকে তাহাকে গ্রহণ করিল’ (প্রেরিত ১:৯)। নিশ্চিত ভাবেই কবিরা যখন তার বিষয়ে গান করেন তখন তারা ঠিকই বলেন, স্বর্গীয় বীণা বাজছে, স্বর্গদূতেরা গান করছে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট স্বর্গে ফিরে গিয়েছেন যেখান থেকে তিনি এসেছিলেন। হে খ্রীষ্ট, তুমিই হলে এই বিশ্ব জগতের রাজা! তুমি হলে অনন্ত কালীন পিতার পুত্র! তুমি স্বর্গের উন্নত স্থানে বসে রয়েছো, গৌরবে ভূষিত; পরাক্রমে আচ্ছাদিত, তুমি হলে রাজাদের রাজা ও প্রভুদের প্রভু! পরিত্রাতা যীশু চিরকাল রাজত্ব করিতেছেন; এটাই আমাদের সেই পাঠ্যাংশে ফিরিয়ে নিয়ে আসে, “তিনি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিলেন,মনুষ্য দিগকে নানা বরদান করিলেন” ( এফেসিয়ানস ৪:৮) আর সেই পাঠ্যাংশ থেকেই খ্রীষ্টের স্বর্গে ফিরে যাওয়ার তিনটি মহান সত্যতার বিষয়ে আমরা শিক্ষালাভ করি। . ১. প্রথম, খ্রীষ্টের বিজয় তাঁর স্বর্গারোহণের সময় প্রত্যক্ষ হয় খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন ঈশ্বর ও মানুষের শত্রুর সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য। তাঁর এই যুদ্ধ কখনও রক্ত মাংসের সাধারন যুদ্ধের ন্যায় ছিল না, সেই যুদ্ধ ছিল ‘নীতির বিরুদ্ধে, পাশব শক্তির বিরুদ্ধে, সমস্ত পৃথিবীর অন্ধকারে বসে রাজত্ব করা শাসকদের বিরুদ্ধে, উচ্চ স্থানাধিকারী আত্মিক শয়তানীর বিরুদ্ধে’(এফেসিয়ানস৬:১২)। খ্রীষ্ট লড়েছেন পাপ, মৃত্যু এবং নরকের বিরুদ্ধে। তিনি লড়েছেন ঈশ্বরের ঘৃণার বিরুদ্ধে এবং নকল ধর্মত্বের প্রতি সাধারণের আশক্তির বিরুদ্ধে। তিনি দিয়াবল ও তার সৈন্যদের বিরুদ্ধে লড়েছেন। তিনি সমস্ত শত্রুর বিরুদ্ধে লড়েছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁর শোণিত আর ঘাম রক্তের ফোঁটা হয়ে ঝড়েছে, যতক্ষণ না তিনি তাঁর ‘আত্মাকে মৃত্যুর করতল গত করেছেন’ (ইশা ৫৩:১২)। কিন্তু যখন যুদ্ধ শেষ হল, তিনি মৃত্যু থেকে উন্নত হলেন আর পরম পিতার সিংহাসনে অধিষ্ঠ হলেন। সমস্ত লজ্জা, কষ্টভোগ আর ধিক্কার – এই সব তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন। তিনি এখন গর্জিত স্যাদুকদের বা দোষারোপণকারী ফ্রেইসদের থেকে অনেক দূরে চলে এসেছেন। জুডাস আর তাঁকে চুমু দিতে পারবেন না। পাইলেট তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করতে পারবে না, হেরোড তাঁকে আর ব্যাঙ্গ করতে পারবে না। এখন তিনি তাঁর সমস্ত শত্রুদের থেকে অনেক উঁচুতে চিরকালীন ভাবে অবস্থান করেন। তিনি এসেছিলেন আমাদের বাঁচাতে, তিনি রক্তাক্ত হন, মৃত্যু বরণ করেন, খ্রীষ্টের কাজ এখনও পৃথিবীতে শেষ হয় নাই। ক্রুশের উপরে তিনি যখন চিৎকার করে বলে উঠলেন, ‘ইহা সমাপ্ত হইল’, তখন থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য আর বেশী কিছুর প্রয়োজন হবে না। এখন তিনি নিজের সিংহাসনে বসে আমাদের যাজক হয়ে মধ্যস্থতা করছেন। এখন তিনি সমস্ত নামের উর্দ্ধে উন্নত হয়েছেন এবং সমস্ত কিছুকে তাঁর বশীভূত করা হয়েছে। এটাই হলেন সেই খ্রীষ্ট যার উপরে আমরা নির্ভর করি এবং তাঁকেই আমরা প্রেম করি। আর তাঁর মধ্য দিয়ে যে সমস্ত উপকার আমাদের কাছে আসে আমরা যেন তা ভুলে না যাই। ইহা কেবলমাত্র তাঁর দ্বারাই আমরা সমস্ত আশীর্বাদ সকল গ্রহণ করি। ‘তিনি উর্দ্ধে উন্নত হয়েছেন’ । ‘তিনি বন্দীগণকে বন্দী করিলেন’। তিনি ‘মানুষদের উপহার বা বর প্রদান করেন’। তাই আসুন খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণের পরে সিংহাসনে উপবিষ্ট হওয়ার জন্য আনন্দ করি। তাঁর উন্নত হওয়াটা বিজয়ের আশ্বাস প্রদান করে এবং তাঁর বিজয়ের প্রমাণ প্রদান করে। আমাদের পরিত্রাণের জন্য যে সমস্ত বিষয়ের প্রয়োজন তা উত্থিত খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে পাওয়া যায়। সত্য সত্যই, তাঁর সেই উন্নতি শীল অবস্থা চিৎকার করে বলে, ‘ইহা সমাপ্ত হইল’—আমাদের পরিত্রাণের জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা খ্রীষ্ট যীশুর মধ্যেই পাওয়া যায় যিনি পিতার দক্ষিণে গৌরবে উন্নত হয়ে বিরাজ করছেন! ২.দ্বিতীয়, খ্রীষ্টের উন্নতশীল অবস্থা আমাদের সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করেছে। “তিনি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিলেন” (এফেসিয়ানস ৪:৮) আমরা দাসের ন্যায় বন্দী ছিলাম, আমরা পাপে বন্দী ছিলাম। শয়তানের দ্বারা দাস হয়ে ছিলাম। ‘যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগনের সঙ্গে কার্য্য করিতেছে’ (এফেসিয়ানস ২:২)। আমরা মাংসের অভিলাষে বন্দী ছিলাম, মন্দ আচরণের বন্দী ছিলাম, আমাদের মনের বিভিন্ন প্রকার ইচ্ছায় আমরা বন্দী ছিলাম। কিন্তু খ্রীষ্ট ‘বন্দীগণকে বন্দী করিলেন’। আপনি কোন সময়ে ভুলে যাবেন না যে আপনি সেই সমস্ত শত্রুদের দ্বারা বন্দী ছিলেন। কোন সময়ে ভুলে যাবেন না যে আপনি মিশরে সেই আশাহীন ইজ্রাইলিয়দের বালকের ন্যায় বন্দি ছিলেন। ঠিক সেই রাজা ফারাও মতোই আপনি সেই নিষ্ঠুর বন্দীত্বের মধ্যে ছিলেন। কিন্তু খ্রীষ্ট, আমাদের মোজেস, আপনাকে স্বাধীন করেছেন। তাঁর স্বর্গারোহণে ‘তিনি বন্দীগণকে বন্দী করলেন’। আসুন তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করি। সন্দেহহীন ভাবেই আজকের সকালে সেই প্রকার ব্যাক্তিরা রয়েছেন যারা এখন পর্যন্ত শয়তানের বন্ধনে বন্দী হয়ে রয়েছেন, অন্ধকারের অধিপতির ভয়ানক অবস্থায় নিমজ্জিত হয়ে রয়েছেন। আপনি বন্দী হয়ে রয়েছেন, ‘তাঁর দ্বারা ও তাঁর ইচ্ছা অনুসারে বন্দী হয়ে রয়েছেন’। (২-য় টিমোথি ২:২৬)। কিন্তু আপনাকে সেই অশ্লীল অকথ্য শয়তানের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য খ্রীষ্ট স্বর্গে উন্নত হয়েছেন। উত্থিত খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করুন আর তিনিই আপনাকে শয়তানের ফাঁদ থেকে রক্ষা করবেন, পাপের অপরাধ থেকে মুক্ত করবেন এবং তাদের মৃত্যুর হুল থেকে স্বাধীন করবেন। সেটা যে সত্য তা আমি জানি কেননা যীশু সেটার জন্যে আমার হয়ে মৃত্যু বরণ করলেন! ‘তিনি বন্দীগণকে বন্দী করলেন’। আর আমাকে তাঁর পরাক্রমী হস্তের দ্বারা উদ্ধার করলেন! বালির নিমজ্জিত অবস্থা থেকে আমাকে তিনি উন্নত করলেন ৩. তৃতীয়, খ্রীষ্ট উন্নত হয়ে আমাদের বরদান করলেন। সম্পূর্ণ পাঠ্যাংশটি বলে, “তিনি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিলেন,মনুষ্য দিগকে নানা বরদান করিলেন” এফেসিয়ানস ৪:৮) এফেসিয়ান চার অধ্যায়ের যে প্রসঙ্গ সেখানে আমরা বেশ কিছু দানের বিষয়ে পড়ি যা উন্নত প্রভু আমাদের প্রদান করেন। “যিনি নামিয়াছিলেন, তিনিই সকল স্বর্গের উর্দ্ধে উঠিয়াছেন, যেন সকলই পূরণ করেন। আর তিনিই কয়েকজনকে প্রেরিত, কয়েকজনকে ভাববাদী, কয়েকজনকে সুসমাচার প্রচারক ও কয়েকজনকে পালক ও শিক্ষাগুরু করিয়া দান করিয়াছেন”। (এফেসিয়ানস ৪:১০-১১) তিনি আমাদের প্রেরিত বর্গদের প্রদান করেছেন যারা নতুন নিয়মের বেশির ভাগ অংশকে লিখেছেন আমাদের অধ্যয়নের জন্য। আমাদের সতর্ক করে দেওয়ার জন্য তিনি ভাববাদী প্রদান করেছেন। আমাদের কাছে সুসমাচার প্রচার করার জন্য প্রচারকদের আমাদের প্রদান করেছেন। আমাদের পরিচালিত করার জন্য তিনি পালকদের দিয়েছেন। আমাদের কাছে বাইবেলকে ব্যাখা করে তা প্রয়োগ করার জন্য তিনি শিক্ষকদের আমাদের জন্য প্রদান করেছেন। তিনি আমাদের কাছে এই সমস্ত কৃপাপ্রাপ্ত ব্যাক্তিদের প্রদান করেছেন। “পবিত্রগণকে পরিপক্ক করিবার নিমিত্ত করিয়াছেন, যেন পরিচর্যা কার্য্য সাধিত হয়, যেন খ্রীষ্টের দেহকে গাঁথিয়া তোলা হয়, যাতে আমরা সকলে ঈশ্বরের পুত্র বিষয়ক বিশ্বাসের ও তত্ত্বজ্ঞানের ঐক্য পর্যন্ত, খৃষ্টের পূর্ণতার আকারের পরিমাণ পর্যন্ত অগ্রসর না হই; যেন আমরা আর বালক না থাকি, মনুষ্যদের ঠকামিতে,ধূর্ততায়, ভ্রান্তির, চাতুরী ক্রমে – তরঙ্গাহত এবং যে সে শিক্ষাবায়ুতে ইতস্ততঃ পরিচালিত না হই; কিন্তু প্রীমে সত্য নিষ্ঠ হইয়া সর্ববিষয়ে তাঁহার উদ্দেশ্যে বৃদ্ধি পাই; যিনি মস্তক তিনি খ্রীষ্ট, তাঁহা হইতে সমস্ত দেহ, প্রত্যেক সন্ধি যে উপকার যোগায় তা দ্বারা যথাযথ সংলগ্ন ও সংযুক্ত হইয়া প্রত্যেক ভাগের স্ব স্ব পরিমানানুযায়ী কার্্য অনুযায়ী দেহের বৃদ্ধি সাধন করিতেছে, আপনাকেই প্রেমে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য করিতেছে”। (এফেসিয়ানস ৪:১২-১৬) আমেন! প্রেরিতদের লেখা গুলি পড়ুন। সেগুলি হল আমাদের উন্নীত খ্রীষ্টের এক বরদানের ন্যায়! ভাববাদীদের বাক্য কর্ণপাত করুন এবং তাদের কাছ থেকে উপকার লাভ করুন। তাদের কথা হল উন্নীত খ্রীষ্টের এক বরদান! আপনার পালকের কথা শুনুন এবং তার জন্য ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দিন! তিনিও হলেন উন্নীত খ্রীষ্টের এক বরদান! বরদান প্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গেও সেই একই বিষয় করুন, তাদের তিনি প্রেরণ করেছেন আপনাকে পরিচালিত করার জন্য। ‘হ্যাঁ, তিনিই মানুষদের এই বরদান করেছেন’। তাঁর নামের প্রশংসা করুন। খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণের পরে আরও মহান একতা দান তিনি আমাদের প্রদান করেছেন তা হল তাঁর দ্বিতীয় আগমনের প্রতিজ্ঞা। পৃথিবীতে তাঁর আগমণ আমাদের কাছে নিশ্চিত প্রদান করে যে তিনি স্বর্গে ফিরে গিয়েছেন আর তার উন্নত বা স্বর্গারোহণ আমাদের কাছে নিশ্চিত প্রদান করে যে তিনি পুণরায় ফিরে আসছেন। যীশু বলেছেন, “আমি যখন যাই, ও তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করি, তখন পুণর্বার আসিব এবং আমার নিকট তোমাদিগকে লইয়া যাইব...” (জন ১৪:৩) তিনি যে ফিরে আসবেন তা হল প্রকৃত ভাবে প্রতিটি নিষ্ঠাবান খ্রীষ্টানের জন্য এক প্রতিজ্ঞা ও এক দানের ন্যায়, ‘ যেন যাহাদের প্রত্যাশা নাই সেই অন্য সকল লোকেদের মতো তোমরা দুঃখার্ত না হও’ (১-ম থেসালনিয়ানস ৪:১৩)। এই জগতের লোকেদের কোন প্রত্যাশাই নেই! কিন্তু খ্রীষ্টিয়ানদের এক বিরাট আশা রয়েছে। “কারণ প্রভু স্বয়ং আনন্দধ্বনি সহ, প্রধান দূতের বর সহ এবং ঈশ্বরের তূরী বাদ্য সহ স্বর্গ হইতে নামিয়া আসিবেন, আর যাহারা খ্রীষ্টে মরিয়াছে, তাহারা প্রথমে উঠিবে। পরে আমরা যারা জীবিত আছি, যাহারা অবশিষ্ট থাকিব, আমরা আকাশে প্রভুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার নিমিত্ত, এক সঙ্গে তাহার সহিত যোগাযোগে নীত হইব; আর এইরুপ সতত প্রভুর সঙ্গে থাকিব, অতএব তোমরা এই সকল কথা বলিয়া একজন অন্যজনকে স্বান্ত্বনা দাও”। (১-ম থেসালনিয়ানস ৪:১৬-১৮) সেটাই হল আমাদের প্রত্যাশা, ‘পরমধন্য আশাসিদ্ধির জন্য এবং মহান ঈশ্বর ও আমাদের ত্রাণকর্তা যিশু খ্রীষ্টের প্রতাপের প্রকাশ প্রাপ্তির জন্য অপেক্ষা করি’। (তিতুস ২:১৩)। খ্রীষ্টের সেই ‘আশীর্বাদ ধন্য প্রত্যাশা’ যিনি এই পৃথিবীতে ফিরে আসবেন যা তাঁর স্বর্গে ফিরে যাওয়াটা তাঁর প্রত্যাবর্তনের সব থেকে মহান বরদান আমাদের কাছে প্রতিজ্ঞা যুক্ত বিষয়। তাঁর উত্থিত হওয়াটা আমাদের নিশ্চিত করে যে তিনি পুণরায় ফিরে আসছেন! তিনি যখন উন্নত হন তখন স্বর্গ দূতেরা বলেছিল, ‘এই যে যীশু তোমাদের নিকট হইতে স্বর্গে নীত হইলেন, উহাকে যেরুপ স্বর্গে গমন করিতে দেখিলে, সেই রুপ উনি আগমন করিবেন’। (প্রেরিত ১:১১)। আমেন!! তিনি পুণরায় ফিরে আসছেন খ্রীষ্টের স্বর্গে উত্থান আমাদের নিশ্চিত করে যে তিনি আমাদের জন্য পুণরায় ফিরে আসবেন। সেই প্রকার আশীর্বাদ যুক্ত প্রত্যাশা হল এমন এক উপহার যা স্বর্গে গমনকারী খ্রীষ্ট তাঁর লোকেদের প্রদান করেন যথা, ‘যে লোকেদের প্রত্যাশা নেই সেই প্রকার লোকেদের ন্যায় তোমরা দূঃখার্ত হইও না’। কি মহান উপহার তাই না! আমেন এবং আমেন! কিন্তু সেখানে আরও বেশী কিছু আছে। যারা পরিত্রাণ লাভ করেনি তাদের প্রতি খ্রীষ্ট পবিত্র আত্মাকে প্রেরণ করেন! তাই যীশু বলেছেন, “আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভালো, কারণ আমি না গেলে, সেই সহায় তোমাদের নিকটে আসিবে না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের নিকটে তাঁহাকে পাঠাইবো। আর তিনি আসিয়া পাপের সম্বন্ধে, ধার্মিকতার সম্বন্ধে ও বিচার সম্বন্ধে জগৎকে দোষী করিবেন”!(জন ১৬:৭-৮) স্বর্গে আরোহণকারী খ্রীষ্ট বলেছেন, ‘আমি তোমাদের নিকটে তাহা পাঠাইবো’। তিনি পবিত্র আত্মাকে প্রেরণ করেন, ‘যেন জগৎকে দোষী করেন; সেতা কোন ছোট কার্য্য নয়। তা হল পবিত্র আত্মার ‘সর্ব্বপ্রধান কাজ’। তাঁর মুখ্য কার্য্য। খ্রীষ্ট পবিত্র আত্মাকে প্রেরণ করেন যেন আপনার মতো পাপে হারিয়ে যাওয়া পাপীদের দোষী বলে সাব্যস্ত করে চেতনা প্রদান করেন। আপনি যখন পাপগ্রস্ত ও হারিয়ে গিয়েছেন বলে মনে করেন তখন ইহা এমন নয় যে আপনি বিচিত্র অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বা ‘অদ্ভুত’। ইহা এইজন্য কেননা পবিত্র আত্মা আপনাকে আপনার পাপ সকল দেখাচ্ছেন এবং যে বিচার আসতে চলেছে সেই বিষয়ে সতর্ক করে দেন। পবিত্র আত্মা আপনার বিবেকের মধ্যে কথা বলে এবং আপনাকে অনুভব করতে সাহায্য করে, আপনাকে পাপ থেকে পরিষ্কার করার জন্য খ্রীষ্টের রক্তের প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে। তাই পবিত্র আত্মার এই বরদানকে হাল্কা ভাবে নেবেন না। তাঁর দৃঢ় প্রত্যয়কারী কার্য্যের প্রতি বাধ্য হন এবং বিশ্বাস সহকারে যীশুর কাছে আসুন। খ্রীষ্ট আপনার পাপের ক্ষমা করবেন এবং ঈশ্বরের শান্তি আপনাকে প্রদান করবেন! “তিনি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিলেন,মনুষ্য দিগকে নানা স্বর্গে আরোহণকারী খ্রীষ্ট সবথেকে মহত্বপূর্ণ উপহার যা তিনি আমাদের প্রদান করেন তা হল তাঁর মহা মূল্যবান বলিদানের রক্ত। এই মুহুর্তে খ্রীষ্টের বলিদান আপনার জন্য প্রাপ্য। ইহা সেখানে, স্বর্গে রয়েছে, খ্রীষ্টের সঙ্গে। আর বাইবেল বলে, ‘তাঁর পুত্র যীশুর রক্ত আমাদের সমস্ত পাপ হইতে শুচি করে’।(১-ম যোহান ১:৭)। যে মুহুর্তে আপনি যীশুতে নির্ভর করেন, তখন খ্রীষ্টের রক্ত আপনাকে সমস্ত পাপ হইতে শুচি করে এবং আপনিও ঈশ্বরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এবং তাঁকে চিরকাল উপভোগ করতে প্রস্তুত থাকবেন। আমরা এই ভাবেই প্রার্থনা করি যেন আপনি পরিত্রাতার উপরে নির্ভর করতে পারেন এবং তাঁর পবিত্র রক্তের দ্বারা আপনার সমসত পাপ থেকে মুক্ত হোন! আমেন! পরিত্রাণ লাভ করার বিষয়ে আপনি যদি আমাদের সংগে কথা বলতে চান ও প্রকৃত এক খ্রীষ্টিয়ান হতে চান তবে আমরা যখন গানের পাতায় সাত সংখ্যার গান গাই তখন আপনি এই ভবনের পিছনের কক্ষে যেতে পারেন। আমরা যখন গান করছি চলে যান সেখানে। যীশু হলেন সবচেয়ে মধুর নাম যা আমি জানি, ডাঃ চেন অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন, বিশেষ করে তাদের জন্য যারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। . সংবাদের পরিসমাপ্তি অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net |
খসড়া চিত্র খ্রীষ্টের স্বর্গারোহণ THE ASCENSION OF CHRIST লেখকঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি. “তিনি উর্দ্ধে উঠিয়া বন্দীগণকে বন্দী করিলেন,মনুষ্য দিগকে নানা
বরদান করিলেন” (গীতসংহিতা ৬৮:১৮; ইশা ৫৩:৩; লিউক ২২:৪৪; ফিলিপিয়ানস২:৮; ১. প্রথম, খ্রীষ্টের বিজয় তাঁর স্বর্গারোহণের সময় প্রত্যক্ষ হয় ২. দ্বিতীয়, খ্রীষ্টের উন্নতশীল অবস্থা আমাদের সমস্ত শত্রুদের পরাজিত করেছে। ৩. তৃতীয়, খ্রীষ্ট উন্নত হয়ে আমাদের বরদান করলেন। |