Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




বাক্যের দুর্ভিক্ষ!

A FAMINE OF THE WORD!
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

৩-রা ফেব্রুয়ারী,২০১৩ সদাপ্রভুর দিনে একটি সন্ধ্যায় লস এঞ্জেলেসের
ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনাকেলে একটি উপদেশ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, February 3, 2013

“সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন দিন আসিতেছে, যে দিনে আমি এই দেশে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করিব; তাহা অন্নের দুর্ভিক্ষ কিম্বা জলের পিপাসা নয়, কিন্তু সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণের। লোকেরা টলিতে টলিতে এক সমুদ্র হইতে অন্য সমুদ্র পর্যন্ত এবং উত্তর হইতে পূর্ব পর্যন্ত ভ্রমণ করিবে; তাহারা সদাপ্রভুর বাক্যের অণ্বেষণে ইতঃস্ততঃ দৌড়া দৌড়ি করিবে, কিন্তু তাহা পাইবে না। সেই দিনে সুন্দরী যুবতীগণ ও যুবকেরা পিপাসায় মুর্চ্ছাপন্ন হইবে”। (আমোষ ৮:১১-১৩)


আমোষ আসছেন টেকোয়া জায়গা থেকে যা লোহিত সমুদ্রের নিকটবর্ত্তী একটি গ্রাম। তিনি ইজ্রায়েল অংশের রাজ্যের যিহুদার একটি মরুপ্রান্তর থেকে আগমণ করেন। কিন্তু ঈশ্বর তাকে উত্তরের দূরবর্তী অঞ্চলে প্রেরণ করেন যেখানে ইজ্রায়েলের রাজ্য ছিল যারা যিহুদা থেকে টুকরো হয়ে পড়েছিল। তাদের যে রাজা ছিলেন, সেই দ্বিতীয় জেরোবোয়াম, তিনি বৈথেলে আরাধনার জন্য মিথ্যা জায়গা তৈরী করেছেন। সেই আরাধনার জন্য আমাজিয়াহ ছিলেন প্রতিমা পূজার যাজক বা পুরোহিত। সেই সময়ে আমোষ বলেন যে যিহুদার উপরে ঈশ্বরের বিচার আসতে চলেছে। তার উত্তেজনা পূর্ণ প্রচার আমাজিইয়াহ’দের যুকতই প্রদান করে তাকে তিরষ্কার করার জন্য। ডাঃ চার্লস এল. ফিনবার্গ বলেছেন,

ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্যের সেই প্রকার সরাসরি ঘোষণা (সর্ব্বদাই) নবজীবন লাভ না করা এবং ঈশ্বর ভক্তিহীন লোকেদের অসন্তুষ্ট করে তোলে। আর, সেই প্রকার ভক্তিহীনতা আমোষের সময়েও ছিল। ঈশ্বরের সেই বাক্যও সেই সময়ে প্রশ্নাতীত হয়ে পড়েছিল। আমাজিয়াহ ছিলেন বৈথেলের সোনার বাছুর পূজা করার যাজক বা পুরোহিত যিনি (রাজা) জেরোবোয়াম-এর সম্মুখে সেই ভাববাদীর বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছিলেন। ভিক্তিহীন আমাজিয়াহ অবাধ্যতার বিষয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে আসেন এবং এমন ভয়ঙ্কর ও ত্রাস জনক বাক্যে সেই বিপ্লবকে সমাপ্ত করেন যার ফলে সেই ভাববাদীর কথা থেকে শাসকের বিরুদ্ধে প্ররোচিত করার মতো পরিণাম দেখা যায়...। আমাজিয়াহ, আমোষের কথাকে বিকৃত করে তোলে যার ফলে তা রাজার বিরুদ্ধে ব্যাক্তিগত পরিবর্তন প্রকাশের আহবান জানায়...। এখন আমাজিয়াহ ভাববাদীকে সুপারিশ করেন যেন তিনি তার নিজের দেশ যিহুদাতে পলায়ন করেন...। যেন তিনি বৈথেলে আর কোন ভবিষ্যত বাণী না করেন... কেননা সেই নগরীটি ছিল সেই রাজ্যের ধর্মীয় উপবেশনের স্থান এবং সেই সঙ্গে তা আবার এক রাজার আবাসনও বটে। (চার্লস এল. ফিনবার্গ, Th.D., Ph.D., The Minor Prophets, মুডি প্রেস, ১৯৮২ প্রকাশনা, পৃ. ১১৩,১১৪)

আমোষ তখন ভক্তিহীন যাজককে উত্তর করেন, ও তাকে বলেন,

“তখন আমোষ উত্তর করিয়া আমাজিয়াহকে কহিলেন, আমি নিজে ভাববাদী ছিলাম না, ভাববাদীর সন্তানও ছিলাম না, কেবল গোপালক ও ডুমুর ফল সংগ্রাহক ছিলাম। কিন্তু সদা প্রভু আমাকে পশু পালকের অনুগমন হইতে কহিলেন; এবং সদা প্রভু আমাকে কহিলেন, যাও, আমার প্রজা ইজ্রায়েলের কাছে ভাববাণী বল। অতএব এখন তুমি সদাপ্রভুর বাক্য শুণ, তুমি কহিতেছ ইজ্রায়েলের বিরুদ্ধে ভাববাণী কহিও না, আইজাকের কুলের বিপরীতে বাক্য বর্ষাইও না; এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা কহেন, তোমার স্ত্রী নগরের মধ্যে বেশ্যা হইবে, তোমার পুত্রগণ খড়্গে পতিত হইবে, তোমার ভূমি মান রজ্জুর দ্বরা বিভক্ত হইবে এবং তুমি অশুচি দেশে মরিবে, আর ইজ্রায়েল স্বদেশ হইতে অবশ্য নির্বাসিত হইবে”। (আমোষ ৭:১৪-১৭)

সেই দিনে সেই ভবিষ্যবাণী ছিল অবিশ্বাস্য। সেই দেশটি ছিল প্রাচুর্য্য এবং সামর্থের উচ্চশিখরে। কিন্তু আমোষ সদাপ্রভুর বাক্যকে যথাযথ ভাবে নিবেদন করলেন। তিনি প্রচার করলেন ঈশ্বরের বিচার তাদের উপরে আসতে চলেছে। ইজ্রায়েলের উপরে প্রথম যে বিচার তা হল তাদের বন্দী হিসেবে নির্বাসিত হতে হবে।

“অতএব আমি তোমাদিগকে নির্বাসনার্থে দামাস্কাসের ওদিকে গমণ করাইবো, ইহা সদাপ্রভু কহেন, যাঁহার নাম বাহিনীগণের ঈশ্বর” (আমোষ ৫:২৭)

ইজ্রায়েলের উপরে দ্বিতীয় যে বিচার তা ছিল তারা নিস্ফলা হইবে।

“আর আইজাকের উচ্চস্থবাটি সকল ধ্বংস হইবে, ইজ্রায়েলের পূণ্যধাম সকল উচ্ছন্ন হইবে এবং আমি খড়্গ লইয়া জেরোবোয়াম-এর কুলের বিরুদ্ধে উঠিব” (আমোষ ৭:৯)

ঈশ্বরের তৃতীয় যে বিচার তা ছিল সেখানে সকল জায়গাতে মৃত্যু ঘটিবে।

“সেই দিন প্রাসেদের গান সকল হাহাকার হইয়া যাইবে, ইহা প্রভু সদাপ্রভু বলেন; শব অনেক; লোকে সকল স্থানে সেই সকল ফেলিয়া দিয়াছে। চুপ” (আমোষ:৮:৩)

প্রতিটী জায়গাতে শব বা মৃত্যু হবে। যারা অল্প সংখ্যক অবশিষ্ট থাকবে তারা চুপিসারে বিস্ময়ের সঙ্গে তাদের মৃতদেহকে পড়ে থাকতে দেখবে। কিন্তু চতুর্থ যে বিচার ঈশ্বর থেকে আসতে চলেছে তা অন্যগুলো থেকে আলাদা। পুণরায় চতুর্থ বিচারের প্রতি কর্ণপাত করি।

“প্রভু, সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন দিন আসিতেছে, যে দিনে আমি এই দেশে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করিব; তাহা অন্নের দুর্ভিক্ষ কিংবা জলের পিপাসা নহে, কিন্তু সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণের। লোকেরা টলিতে টলিতে এক সমুদ্র হইতে অন্য সমুদ্র পর্যন্ত এবং উত্তর হইতে পূর্ব পর্যন্ত ভ্রমণ করিবে; তাহারা সদা প্রভুর বাক্যের অণ্বেষণে ইতস্তত দৌড়াদৌড়ি করিবে; কিন্তু তাহা পাইবে না। সেই দিন সুন্দরী যুবতীগণ ও যুবকেরা পিপাসায় মূর্চ্ছাপন্ন হইবে”। (আমোষ ৮:১১-১৩)

ইহার বিষয়ে চিন্তা করুন! দাসত্ব, জণগণের শূন্যতা এবং মৃত্যুর সতর্কীকরণের পরে—ঈশ্বরের বিচার বা দণ্ডাজ্ঞার যে চরম পরিণতি তা হল ঈশ্বরের বাক্য শ্রবণ করিবার দুর্ভিক্ষ! কিন্তু ইহা এক প্রকৃত অবস্থায় তা সত্য সত্যই সমস্ত কিছুর উপরে সব থেকে ভীষন এক বিচার বা দণ্ডাজ্ঞা! দাসত্ব, জণগণের শূন্যতা এবং মৃত্যু সহ্য করার মতো। কিন্তু ঈশ্বরের বাক্যের যে অপচয় তা যেন সমস্ত আশাকেই দূর করে দিচ্ছে!

প্যাস্টর রিচার্ড ওয়ার্মব্রান্ড (১৯০৯-২০০১) পর্যন্ত রোমানিয়ার সাম্যবাদীদের জেলে চোদ্দ বৎসর জীবন যাপন করেছিলেন। তার ওপরে এতোটাই অত্যাচার করা হয় যেখানে তিনি সমস্ত কিছুকেই হারিয়ে ফেলেন—সমস্ত কিছু, তা এমন কি সদাপ্রভুর বাক্য পর্যন্ত! আর ঈশ্বরের সেই বাক্য তাকে সমস্ত প্রকার ব্যাথা ও যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে নিয়ে যায়! প্যাস্টর ওয়াং মিন্ডো (১৯০৯-১৯৯১) চীনের সাম্যবাদীদের বন্দীশালাতে কুড়ি বৎসর জীবন কাটান। কোন একটা প্রতিবেদনে তাকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, জেলের মধ্যে সময় কাটাবার সময়ে তার কাছে কোনটা সব থকে গুরুত্বপুর্ণ ছিল, তখন ওয়াং বলেন, ‘সেই বাক্য’। এই লোকেদের হৃদয়ের মধ্যে বাইবেলের বাক্যকে রেখে দিয়েছেন, আর বহু বৎসর কাল তারা যখন জেলের মধ্যে সময় কাটান তখন সেটাই তাদের বিশ্বাসে এগিয়ে চলতে সাহায্য করেছে। কোন দেশ, কোন ব্যাক্তির কাছে এর থেকে বড় শাস্তি আর হতেই পারে না যেখানে ঈশ্বর দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করে তাদের বিচার করেছেন, আর সেই বিচার হল ‘সদাপ্রভুর বাক্য শ্রবণ করার’ দুর্ভিক্ষ (আমোষ ৮ঃ১১)। আর সেই বিচারই এই শাস্ত্রাংশ দেওয়া হয়েছে।

“প্রভু, সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন দিন আসিতেছে, যে দিনে আমি এই দেশে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করিব; তাহা অন্নের দুর্ভিক্ষ কিংবা জলের পিপাসা নহে, কিন্তু সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণের। লোকেরা টলিতে টলিতে এক সমুদ্র হইতে অন্য সমুদ্র পর্যন্ত এবং উত্তর হইতে পূর্ব পর্যন্ত ভ্রমণ করিবে; তাহারা সদা প্রভুর বাক্যের অণ্বেষণে ইতস্তত দৌড়াদৌড়ি করিবে; কিন্তু তাহা পাইবে না”।(আমোষ ৮:১১-১২))

এই গুলো আমার পাঠ্যাংশের পশ্চাৎভূমিতে লক্ষ্য করেছি যেখানে ইহার খুব সামান্য ব্যাখ্যাও প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ইহার বিষয়ে দুটি বিষয় রয়েছে যার বিষয়ে আমি আদান প্রদান করতে চাই।

১.প্রথমত, যে তত্ত্ব আমরা এই পাঠ্যাংশ থেকে শিখতে পারি।

ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমি এই দেশে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করিব... তা সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণের’, ইহ আকস্মিক ভাবে ঘটবে না। ঈশ্বর বলেছেন, ‘আমি ইহা প্রেরণ করিব’।

আমরা যেন কোন ভবাএই চিন্তা না করি যে বাক্যের এই দুর্ভিক্ষ তা কেবল বাইবেল অধ্যায়কে নির্দেশ করছে। তাদের কাছে স্পষ্টতই তোরাহ তাদের সঙ্গে ছিল মোজেসের লেখা পাঁচটি পুস্তক। ইহা তাদের বাড়িতে ছিল না কেননা ইহা চামড়াতে লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল যাহাতে লেখার দ্বারা। কিন্তু ইহাকে তারা বিশ্রাম দিনে কেবল মাত্র সেখানে গিয়ে শুনতে পারতো। এই যে দুর্ভিক্ষ তা হল প্রচারের দুর্ভিক্ষ—এমন এক দুর্ভিক্ষ যা হল সরাসরি ভাবে হৃদয় স্পর্শ করার মতো ভাববাদী মূলক প্রচার। ডাঃ ফিনবার্গ বলেছেন,

ঈশ্বর তাঁর অসীম প্রেমের মধ্য দিয়ে ইজ্রায়েলিদের জন্য তাঁর সংবাদকে তাঁর দানের মধ্য দিয়ে প্রেরণ করলেন যেন তাঁর মনোনিত পথের মধ্যে তাকে নিয়ে আসতে পারে এবং তার জন্য নিজের ইচ্ছাকে সঙ্গতিপূর্ন করে তোলেন। কিন্তু এই ভাববাদীরা বিরুদ্ধাচারন করলো, তাদের সংবাদ অবজ্ঞাত হয়ে পড়লো; আর তাদের বলা হল যেন তারা প্রচার বন্ধ করে দেয়। এখন প্রভু (যিহুদাকে) বলেছেন, ইহা যখন তার কাছে নিয়ে আনা হয়েছিল তখন যেহেতু ভাববাদীর বলা বাক্য অবজ্ঞা করেছিল, তার জানা উচিত ছিল যেন তিনি ভাববাদী মূলক সমস্ত বিষয়ের আদান প্রদানের বিষয় গুলো স্মরণে রাখে। আর তাই বাক্য কর্ণপাত না করার ফলে সদাপ্রভুর সেই বাক্যকে এখন তার কাছ থেকে হরণ করে নেওয়া হবে।(ফিনবার্গ, ইবিড, পৃ.১১৮)

লোকেরা যখন আত্মায় পূর্ণ প্রচারকে শুণতে না চায় তখন ঈশ্বর ইহাকে তুলে নেন এক বিচার মূলক শাস্তি হিসেবে। বাইবেলে সেখানে বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে। রাজা সৌল স্যামুয়েলের কাছ থেকে ভাববাদী মূলক বাক্যকে অগ্রাহ্য করেন; আর তাই ঈশ্বর তার সঙ্গে আর কোন কথা বলেন না (১ স্যামুয়েল ২৮:৬)। ইজেকিয়েলের বই-তে আমরা পড়ি,

“সংহার আসিতেছে, তাহারা শান্তির অণ্বেষণ করিবে, কিন্তু তাহা মিলিবে না। বিপদের উপরে বিপদ ঘটিবে, জনরবের উপরে জনরব হইবে, আর তাহা ভাববাদীর নিকটে দর্শনের চেষ্টা করিবে, কিন্তু যাজকের ব্যাবস্থাজ্ঞান ও প্রাচীন লোকেদের মন্ত্রণা লোপ পাইবে”। (ইজেকিয়েল ৭:২৫-২৬)

আবার আমরা মিকাহ ৩:৬,৭ বলতে শুনি, তিনি ভাববাদীদের প্রচার করা থেকে বিরত রেখে যিহুদার বিচার করবেন। ডাঃ ফিনবার্গ বলেছেন যে, ‘সেই প্রকার সত্যতার বিরুদ্ধাচারণের জন্য উচিৎ শাস্তি’ নিয়ে আনার দ্বারা ঈশ্বর ভাববাদী মূলক প্রচারের এক সমাপ্তি নিয়ে এসেছিলেন। (ইবিড)।

অধার্মিক যাজক আমাজিয়াহ আমোষকে বলেছিলেন, ‘তুমি বৈথেলে আর কখনও ভাববাণী বলিও না, কেননা এ রাজার পুণ্যধাম ও রাজপুরী’ (আমোষ ৭:১৩)। আর এইভাবেই ঈশ্বর দুর্ভিক্ষ নিয়ে আসার দ্বারা ইজ্রায়েলের বিচার করেন, ‘সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণ করার দ্বারা’ (আমোষ ৮:১১)।

নতুন নিয়মে প্রভু যীশু খ্রীষ্ট জেরুজালেম নগরীর প্রতি এই কথা বলে কাঁদতে থাকেন, ‘... কুক্কুট যেমন আপন শাবক দিগকে আপন পক্ষের নীচে একত্রিত করে, তদ্রুপ আমিও কতবার তোমার সন্তানদের একত্র করার ইচ্ছা করেছি কিন্তু তোমরা সম্মত হইলে না। দেখ তোমাদের গৃহ তোমাদের নিমিত্ত উৎসন্ন হইয়া পড়িয়া রহিল’ (ম্যাথুজ ২৩:৩৭,৩৮;২৪:১)। পরে অন্য আরো একটা সময়ে গাদারীয়তে যেখানে যীশু দুজন লোকের মধ্য হতে ভূত ছারায় সেখানে ‘নগরের সমস্ত লোক যিশুর সহিত সাক্ষাৎ করিবার জন্য বাহির হইয়া আসিল, আর তাহারা তাঁকে দেখে নিজেদের সীমা থেকে চলে যেতে বিনতি করলো’ (ম্যাথু ৮:৩৪)। তিন সেই সীমা ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তিনি সেখানে আর ফিরে যান নি। তারা তাঁকে প্রত্যাখান করে, আর তিনি পাপে মৃত্যু বরণ করার জন্য তাদের সেখানেই ছেড়ে দেন। প্রেরিত বই-য়ে আমরা দেখি ‘পল এখানে বাক্যে নিবিষ্ট ছিলেন এবং যীশুই যে খ্রীষ্ট ইহা যিহুদিদের কাছে প্রমান দিতে ছিলেন’।(প্রেরিত ১৮:৫)।

“কিন্তু তাহারা প্রতিরোধ ও নিন্দা করাতে তিনি বস্ত্র ঝাড়িয়া তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের রক্ত, তোমাদেরই মস্তকে বর্ত্তুক, আমি শুচিঃ এখন অবধি আমি পরাজিতদের মধ্যে চলিলাম” (প্রেরিত ১৮:৬)

দ্বিতীয় বংশাবলির শেষ অধ্যায়ে আমরা এই প্রকার বিচারের কথা পুণরায় পড়তে থাকি।

“আর তাহাদের পিতৃপুরুষদের ঈশ্বর অপদূতদিগকে তাহাদের কাছে পাঠাইতেন, প্রত্যুষে উঠিয়া পাঠাইতেন, কেননা তিনি আপন প্রজাদের ও আপন বাসস্থানের প্রতি মমতা করিতেন। কিন্তু তাহারা ঈশ্বরের দূতদিগকে পরিহাস করিত; তাহার বাক্য তুচ্ছ করিত ও তাঁহার ভাববাদীগণকে বিদ্রুপ করিত; তন্নিমিত্ত শেষে আপন প্রজাদের বিরুদ্ধে সদা প্রভুর ক্রোধ উত্থিত হইল, অবশেষে আর প্রতিকারের উপায় রহিল না। অতএব তিনি চালডিসদের রাজাকে তাহাদের বিরুদ্ধে আনিলেন, আর রাজা, যুবকগণকে তাহাদের ধর্মধামে খড়্গ দ্বারা বধ করিলেন, আর যুবতী, বৃদ্ধ কি জরাজীর্ণ কাহারো প্রতি দয়া করিলেন না; ঈশ্বর তাঁহার হস্তে সকলকে সমর্পণ করিলেন” (২-য় বংশাবলি ৩৬:১৫-১৭)

আর সেটাই আমরা বাইবেল থেকে দেখতে পাই যে ইহা যখন প্রত্যাখান করা হয় তখন ঈশ্বর পরাক্রমশালী ভাববাদীমূলক প্রচার দূরীভুত করেন। ইহা হল ঈশ্বর থেকে বিচারমূলক শাস্তি। আর সেতাই হল সেই তত্ত্ব যা আমরা এই পাঠ্যাংশতে খুঁজে পাই।

২. দ্বিতীয়, পাঠাংশের প্রয়োগ।

“সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন দিন আসিতেছে, যে দিনে আমি এই দেশে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করিব; তাহা অন্নের দুর্ভিক্ষ কিম্বা জলের পিপাসা নয়, কিন্তু সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণের। লোকেরা টলিতে টলিতে এক সমুদ্র হইতে অন্য সমুদ্র পর্যন্ত এবং উত্তর হইতে পূর্ব পর্যন্ত ভ্রমণ করিবে; তাহারা সদাপ্রভুর বাক্যের অণ্বেষণে ইতঃস্ততঃ দৌড়া দৌড়ি করিবে, কিন্তু তাহা পাইবে না। সেই দিনে সুন্দরী যুবতীগণ ও যুবকেরা পিপাসায় মুর্চ্ছাপন্ন হইবে”। (আমোষ ৮:১১-১৩)

ডাঃ কিথ এম. বেইলি, খ্রীষ্টিয়ান মিশনারী মৈত্রীর রোম সেক্রেটারী, একবার বলেছিলেন,

      আমার মনে হয় এ. ডাব্লুউ. টোজার ছিলেন একজন ভাববাদী। তিনি তার প্রজন্মের লোকেদের বহুদূর পর্যন্ত দেখতে সক্ষম ছিলেন। মণ্ডলী ও তার অন্তরে কি ক্ষয় পাচ্ছে তা তিনি উপলব্ধি অ তার বিশ্লেষণ করতে পারতেন। ভাববাদী মূলক দিক দিয়েই অভিষেক মূলক পরাক্রমী শক্তির ও যোগ্যতার দ্বারা তিনি সেই সত্যতার বিষয় বলার জন্য উৎসাহ লাভ করতেন। (ডাঃ কিথ এম. বেইলি, ডাঃ এ. ডাব্লুউ. টোজার-এর লেখা বই ‘I Call It Heresy’!-র মুখবন্ধে যা বলেছেন; খ্রীষ্টিয়ান পাবলিকেশান্স, ১৯৭৪ এডিশান, পৃ.৬)

এখানে ডাঃ এ. ডাব্লুউ. টোজার-এর ভাববাদীমূলক দুটি বিবৃতি তুলে ধরা হল। প্রথমে তিনি বলেন,

      দিয়াবল সেই প্রকার প্রচারকের প্রতি কোন সমস্যা সৃষ্টি করবে না যিনি তার সত্তার সাথে অনমীয় ভাবে সন্ত্রস্ত এবং কাজের বিষয়ে উদ্বিগ্ন আর যার ব্যাপৃত হয় কেবলমাত্র ত্রিশ মিনিট আর তার বলার যে সমস্ত তা হল, ‘ উপকার হও, তাহলেই তুমি অনুভুতি সম্পন্ন হয়ে উঠবে’,আপনি যে ভাবে চান সেই ভাবে ভালো হতে পারেন তথাপি আপনি যদি যীশু খ্রীষ্টের ওপরে নির্ভর না করেছেন তবে আপনি নরকেও যেতে পারেন! যার সংবাদে ‘কেবল মাত্র উপকারী হও’ বলে প্রচার করা হয় সেই প্রকার প্রচারকের প্রতি শয়তান তার সময় নষ্ট করতে চাইবে না। (এ. ডাব্লুউ. টোজার, ডি.ডি., “Who Put Jesus on the Cross?” in The Best of A. W. Tozer, একত্রিত করেছেন ওয়ারেন ডাব্লুউ.ওইয়ারসবি, বেকার বুক হাউস, ১৯৮৬ এডিশন, পৃ. ২৩০,২৩১)

আবার ডাঃ টোজার বলেছেন,

      যে কোন ব্যাক্তির মধ্যে বেদির উপরে গিয়ে ধর্মোপদেশ দান করার পরিষ্কার দান রয়েছে তিনিই গড়পড়তা তার সমাবেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেন যদি তিনি তাদের ‘প্রতিপালন’ করে একাকী ছেরে দেন, তাদের আপনি বেশ কিছু বিষয় মুখী সত্যতার বিষয় প্রদান করুন আর কোন সময়ে এই প্রকার ইঙ্গিত প্রদান করবেন না যে তারা ভুল আর তবেই তারা পরিতৃপ্ত হবে। অন্য দিক দিয়ে যে ব্যাক্তি সত্যের বিষয়ে প্রচার করে এবং যারা শুণে সেই শ্রোতাদের জীবনে প্রয়োগ করে তারা যন্ত্রণা ও নির্মম অবস্থা অনুভব করে। তাকে এক কঠিন জীবনের অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয় কিন্তু তা হয় এক গৌরব ময় অবস্থা। ঈশ্বর যেন সেই প্রকার বিহু ভাববাদীদের উত্তলন করেন। অত্যান্ত মারাত্মক ভাবেই মণ্ডলীতে তাদের প্রয়োজন। (ইবিড, পৃ. ১৪২)

লিওনার্ড র‍্যাভেনহিল ছিলেন ডাঃ এ. ডাব্লুউ. টোজার –এর বন্ধু। প্রসঙ্গত, ডাঃ টোজার র‍্যাভেনহিল-এর মহত্বর বইটির পরিচিতি সম্বন্ধে মুখবন্ধ লেখেন, Why Revival Tarries. তার সেই বই যেখানে র‍্যাভেনহিল বলেন, America is Too Young to Die.

      গুরুত্বপূর্ণ প্রচারের মধ্যে রয়েছে এক দুর্ভিক্ষ যা হল বিবেক উত্তেজিত করার দুর্ভিক্ষ, তা হল হৃদয় বিদির্ণ করার মতো এক দুর্ভিক্ষ, সেই দুর্ভিক্ষ মূলক প্রচারে আমাদের পিতারা এমন কিছু উপলব্ধি করতেন যা তাদের সারা রাত্রি সজাগ করে রাখতো পাছে তারা নরকে পতিত হয়! আমি পুণরায় বলি, ‘সেখানে সদাপ্রভুর বাক্যের দুর্ভিক্ষ ছিল’। যোগ্যতা সম্পন্ন সুসমাচার প্রচারের দুর্ভিক্ষ সেখানে ছিল! (লিওনার্ড র‍্যাভেনহিল, America is Too Young to Die, বেথানি ফেলোশিপ, ১৯৭৯, পৃ.৮০)

আমার মনে হয় ডাঃ টোজার ও লিওনার্ড র‍্যাভেন হিল যথার্থ ভাবেই ঠিক ছিলেন। ‘আমাদের পূর্ব পিতামহেরা যে ভাবে জানিতেন সেখানে সেই প্রকার প্রচারের এক দুর্ভিক্ষ ছিল যা তাদের সারা রাত্রি জাগরিত করে রাখতো পাছে তারা নরকে পতিত হয়’ হ্যাঁ, আজকে সেই প্রকার প্রচারের দুর্ভিক্ষ রয়েছে আর তা এমন কি রক্ষণশীল মণ্ডলী গুলোতেও।

কিন্তু আপনি যদি রুপান্তরিত ব্যাক্তি নয় তবে আপনার সেতাই শোণার প্রয়োজন আছে। এই প্রচার বেদীর পেছনে যে ব্যাক্তিরা রয়েছেন তারা হলেন ডাঃ চান, ডাল কাগান, মিঃ গ্রিফিথ, মিঃ লি, মিঃ প্রুধম্মে, মিঃ সং এবং মিঃ মেনসিয়া, যারা এই সত্যতা বলার জন্য মূল্য দিয়েছেন, সত্যতাকে ব্যাখা করেছেন, তা হল পাপের উপরে ঈশ্বরের বিচারমূলক দণ্ডের সত্যাতা, সেই সত্যতা হল আপনাকে অবশ্যই নুতন জন্ম লাভ করতে হবে, আপনাকে অবশ্যই রুপান্তরিত হতে হবে, তা নাহলে আপনাকে নরকে যেতে হবে। যে বিষয়ে আজকে প্রায় সময়ে শোনাই যায় না। কিন্তু সত্য হল এটাই! প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বলেছেন,

“পরে ইহারা অনন্ত দণ্ডে, কিন্তু ধার্মিকেরা অনন্ত জীবনে প্রবেশ করিবে..... দিয়াবলের ও তাহার দুতগণের জন্য যে অনন্ত অগ্নি প্রস্তুত করা গিয়াছে ইতাহার মধ্যে” (ম্যাথুজ ২৫:৪৬,৪১)

সেই সত্যের কথা আপনার কাছে আমাদের জানাতে হবে। আমাদের আহবান করা হয়েছে ঠিক আমোষ ভাববাদীর মতো, যেন সেই সত্যের বিষয়ে আপনাকে বলি। আমরা যেন সত্যকে কোমতে গতিরোধ করে না রাখি। সেই সত্য আপনাকে জানাবার জন্য পবিত্র আত্মা আমাদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করছে! প্রভু যীশুর দ্বারা আমাদের প্ররোচিত করা হয়েছে যেন পবিত্র ত্রিগুণী ঈশ্বরের কাছে আপনার যে হারিয়ে যাওয়া অবস্থা তাকে আপনার কাছে ঘোষণা করি। আপনি হারিয়ে গিয়েছেন! খ্রীষ্ট বলেছেন যে আপনি দন্ডাজ্ঞার মধ্যে রয়েছেন আর সেই দণ্ডাজ্ঞা হল অনন্ত অগ্নি, যা দিয়াবল ও তার দূতেদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। (ম্যাথুজ ২৫:৪১)।

অন্যদের উপেক্ষা করতে বা হাসতে দিন। আমাদের প্রস্তাবে তাদের বিদ্রুপ করতে দিন। আমরা যা বলি তা তাদের প্রত্যাখান করতে দিন, ঠিক যেমন ভাবে মন্দতায় পূর্ন আমাজিয়াহ যাজক আমোষ ভাববাদীর সতর্কতাকে উপেক্ষা করে ছিলেন। আমোষ যা বলেছিলেন তা সেই পাপী লোকেদের বলার জন্য আমরা বাধ্য, ‘তোমরা সেই কলুষিত দেশে মারা যাবে; আর তোমরা নিশ্চয় সেই দেশে বন্দী ও নির্বাসিত হবে’ (আমোষ ৭:১৭)। যত তাড়াতাড়ি তোমরা মনে কর, মৃত্যু তোমাদের উপরে আঘাত হানবে। আর তোমরা মনে প্রাণে নিমজ্জিত হতে হতে অনন্তকালীন অগ্নিতে অধোমুখ হয়ে পড়বে! অন্যদের উপেক্ষা বা হাসতে দিন ও আমাদের অপবাদ করতে দিন, ঠিক যে ভাবে ভ্রান্ত যাজক আমোষের প্রতি করে চিল। কিন্তু আমরা সদা প্রভুর বাক্যকে দমিয়ে রাখতে পারি না। সদাপ্রভুর সেই বাক্য! সদাপ্রভুর সেই বাক্য! সদাপ্রভুর বাক্য আপনাকে বলতে চাইছে, যে আপনি ‘অনন্ত কালীন দন্ডাজ্ঞা ভোগ করবেন.... অনন্ত কালীন অগ্নিতে’। আর সেটাই হল সদাপ্রভুর বাক্য! সেই প্রভু যীশু খ্রীষ্ট!

তাই আনন্দ সহকারে তাঁর বাক্যকে বিবেচনা করুন! আনন্দের সঙ্গে তাঁর বাক্য শুনুন। আনন্দের সঙ্গে সেই বাক্যের প্রতি মনযোগ দিন! তাঁর বাক্যের প্রতি ভয় রাখুন! আনন্দের সঙ্গে যীশুর কাছে পলায়ন করুন! কেবল মাত্র তিনিই আপনাকে রক্ষা করতে পারেন! কেবল মাত্র তিনিই তাঁর পবিত্র রক্তের দ্বারা আপনার পাপকে শোধন করতে পারেন! কেবলমাত্র তিনিই আপনাকে ধার্মিকতার বস্ত্র পরিধান করাতে পারেন! কেবলমাত্র তিনিই আপনাকে স্বর্গের উপযোগী করে তুলতে পারেন! আর কেবল মাত্র তিনি নিজেই আপনাকে অনন্ত কালীন অগ্নির হাত থেকে উদ্ধার করতে পারেন! অনুশোচনা করুন, যীশুতে নির্ভর করুন, আর আতঁর রক্ত আপনাকে পাপ থেকে শুচী করবেন ও আপনি উদ্ধার লাভ করবেন!

আমি একটা গান গাইতে চলেছি। আমি যদি আপনার বিবেকের মধ্যে পৌঁছেছি তাহলে আপনার আসন ছেড়ে আমার গানের সময়ে অডিটরিয়ামের পেছনে যে ঘরটি রয়েছে সেখানে চলে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে একটি নীরব জায়গাতে নিয়ে যাবেন যেখানে তিনি আপনাকে পরিত্রাণের বিষয়ে বলবেন এবং আপনাকে পরিত্রাতার রক্ত দিয়ে পাপ থেকে ধৌত করবেন। আমি যখন গান করছি তখনই সেখানে চলে যান।

সেখানে রক্ত পূর্ণ একটি স্রোত রয়েছে
ইম্যান্যুয়েলের শরীর থেকে তা সংগ্রহ করুন
আর পাপীরা তাঁর প্রবাহমান রক্তে নিমজ্জিত হয়
যেখানে তাদের সমস্ত কলঙ্ক মুক্ত হয়
তাদের সমস্ত কলঙ্কের মুক্তি হয়, তাদের সমস্ত কলঙ্কের মুক্তি হয়
আর পাপীরা তাঁর প্রবাহমান রক্তে নিমজ্জিত হয়
যেখানে তাদের সমস্ত কলঙ্ক মুক্ত হয়
   (“There Is a Fountain” উইলিয়াম কাউপার দ্বারা, ১৭৩১-১৮০০)

ডাঃ চান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনার জন্য এগিয়ে নিয়ে চলুন।

সংবাদের পরিসমাপ্তি
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net
অথবা আপনি তাকে পত্র লিখতে পারেনঃ পোস্ট বক্স ১৫৩০৮, লস এঞ্জেলেস, সিএ ৯০০০১৫,
এই ঠিকানায় অথবা আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (৮১৮)৩৫২-০৪৫২


সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রুধোম্মে আমোষ৭:১০-১৭
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথ ঃ
“Saved By the Blood” (এস. যে. হ্যান্ডারসন, ১৯০২ দ্বারা)


খসড়া চিত্র

বাক্যের দুর্ভিক্ষ!

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি.

“সদাপ্রভু কহেন, দেখ, এমন দিন আসিতেছে, যে দিনে আমি এই দেশে দুর্ভিক্ষ প্রেরণ করিব; তাহা অন্নের দুর্ভিক্ষ কিম্বা জলের পিপাসা নয়, কিন্তু সদা প্রভুর বাক্য শ্রবণের। লোকেরা টলিতে টলিতে এক সমুদ্র হইতে অন্য সমুদ্র পর্যন্ত এবং উত্তর হইতে পূর্ব পর্যন্ত ভ্রমণ করিবে; তাহারা সদাপ্রভুর বাক্যের অণ্বেষণে ইতঃস্ততঃ দৌড়া দৌড়ি করিবে, কিন্তু তাহা পাইবে না। সেই দিনে সুন্দরী যুবতীগণ ও যুবকেরা পিপাসায় মুর্চ্ছাপন্ন হইবে”। (আমোষ ৮:১১-১৩)

(আমোষ ৭:১৪-১৭; ৫:২৭; ৭:৯; ৮:৩)

১.প্রথমত, যে তত্ত্ব আমরা এই পাঠ্যাংশ থেকে শিখতে পারি।
১-ম স্যামুয়েল২৮:৬:৬ ইজেকিয়েল ৭:২৫-২৬; মিকাহ ৩:৬,৭;
আমোষ ৭:১৩; ম্যাথুজ ২৩:২৭,৩৮; ম্যাথুজ ২৪:১; প্রেরিত ১৮:৫,৬;
২-য় বংশাবলি ২৬:১৫-১৭।

২. দ্বিতীয়, পাঠাংশের প্রয়োগ। ম্যাথুজ ২৫:৪৬,৪১; আমোষ ৭:১৭।