Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




বড়দিনের সময়ে খ্রীষ্টের অন্বেষণ

SEEKING CHRIST AT CHRISTMAS
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২৩-শে ডিসেম্বর,২০১২ সালে সদাপ্রভুর একটি দিনে প্রভাতের একটি মুহুর্তে লস
এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনাকেলে একটি উপদেশ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, December 23, 2012


খ্রীষ্টমাস বা বড়দিন আমি ভালোবাসি! আর আজকের এই সকালে আপনারা সকলে জে মণ্ডলীতে উপস্থিত হয়েছেন তা দেখে আমি অত্যন্ত আনন্দিত! আমি আশা করি আপনারা সকলেই ৫ঃ৩০ মিনিট, সন্ধ্যার সময়ে বড়দিন উপলক্ষে পুণরায় ফিরে আসবেন। একত্রে মিলে কতো সুন্দর সময়ই না আমাদের হবে। আপনাদের সকলকে মেরী খ্রীষ্টমাস ও বড়দিনের শুভেচ্ছা রইলো। আর আপনারা যারা ইন্টারনেটে এই সমস্ত কান্ড কারখানা দেখছেন সেই সকলকে আশীর্বাদ করুন, আর আপনাদের সকলকেও মেরী খ্রীষ্টমাস জ্ঞাপন করি।

এখন, আজকের এই সকালে আমি চাই আপনারা নিজের বাইবেলের জেরেমিয় ২৯ঃ১৩ পদটির প্রতি দৃষ্টিপাত করুন। যদি ইংরাজীতে স্কোফিল্ড বাইবেল রয়েছে তাহলে তার ৮০৩ নম্বর পাতা দেখুন।

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

আপনারা এখন বসতে পারেন।

এটা হল এমন এক প্রতিজ্ঞা যা বাইবেলে বেশ কয়েকবার দৃশ্য হয়েছে। দ্বিতীয় বিবরণী ৪ঃ২৯ পদে মোজেস বলেছেন, ‘তোমরা আপন ঈশ্বর সদাপ্রভুর অণ্বেষণ কর তবে তাহার উদ্দেশ পাইবে...’। এটা ছিল এক সুনির্দ্দিষ্ট কথা দেওয়া। ‘তোমরা আমার অণ্বেষণ কর আর আমার উদ্দেশ পাবে’। যীশু আবার এক সুনির্দ্দিষ্ট বচন দিয়েছেন, ‘জে অণ্বেষণ করে সে পায়’। (মোজেস ৭ঃ৮)

যাই হোক না কেন এই যে ভরোষা তার মধ্যে একটা সর্ত সংযুক্ত হয়ে রয়েছে। ম্যাথুজ ৭ঃ৮ পদে সেই শর্ত গ্রীকে এই ভাবে অনুবাদ করা হয়েছে, ‘অন্বেষণ কর’। যারা অন্বেষন করে তাদের সেই চিন্তাধারারকে আমি অনুসরণ করি; এটা এমন নয় যেমন ভাবে কোন একজন এটাকে অর্দ্ধ হৃদয়ে বহন করে নিয়ে যায়। জেরেমিয় ২৯ঃ১৩ পদের শর্ত হল ‘তোমরা যখন সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষন করিবে’। দ্বিতীয় বিবরণের ৪ঃ২৯ পদের শর্ত হল ‘তোমরা যদি তোমাদের অন্তঃকরনের সঙ্গে অণ্বেষন কর’। আর তাই খ্রীষ্টকে অন্বেষণ করার যে প্রতিজ্ঞা তার মধ্যে সর্ব্বদা বলে যে বিষয়টা সেটাই হল এক শর্তাবলী; তাই আপনি যদি তাঁকে অন্বেষণ করতে চান তবে অন্তঃকরণের সঙ্গেই আপনাকে খ্রীষ্টের অণ্বেষন করতে হবে। এক দৃঢ সংকল্প নিয়ে তাঁর অন্বেষন করতে হবে। এরপরে জেরেমিয় ২৯ঃ১৩ এবং দ্বিতীয় বিবরণ ৪ঃ২৯ পদে আরো একটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। আর তা হল আপনাকে অতি অবশ্যই তাঁর অন্বেষণ করতে হবে ‘আপনার অন্তঃকরণের সঙ্গে’, ‘আপনার অন্তঃকরণের সঙ্গে’। এই উভয় পদেই বলা হয়েছে, আপনি কেবল মাত্র মনে মনে তাঁর অণ্বেষন করবেন এমন নয় কিন্তু সর্ব্বান্তকরণে তাঁর অন্বেষন আপনাকে করতে হবে। এর যে যুক্তি সেই বিষয়টি নতুন নিয়মে প্রেরিত পল আমাদের কাছে তা ব্যক্ত করেন। ‘কারণ লোক হৃদয়ে বিশ্বাস করে ধার্মিকতার জন্য’। (রোমানস ১০ঃ১০)। আপনি যদি এই সমস্ত বিষয়টা আপনার মনে মনে কল্পনা করতে চান তবে আপনি কোনদিনই যীশুকে খুঁজে পাবেন না। ডাঃ কাগন যখন তাঁর দ্বিতীয় পিএইচডি সম্মানটি ক্লেয়ারমন্ট স্নাতক স্কুল (এখন বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে লাভ করেন তখন তিনি ডাঃ জন হিকের সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেন। ডাঃ হিকস ছিলেন ধর্মতত্ত্বের এক জনপ্রিয় ধর্মতত্ত্ববিদ। তিনি একটা মন্ডলী স্থাপনা করেন যারা বাইবেলে বিশ্বাস করেন কিন্তু তিনি নিজেকে সমাপ্ত করলেন এক সম্পূর্ণ অজ্ঞেয়বাদের মধ্য দিয়ে। নাস্তিকবাদ দিয়ে একটা সীমারেখা গড়ে তুললেন। কিভাবে তা হল? তিনি যীশুকে বোঝার চেষ্টা করলেন তার নিজের বোধগম্যতার দ্বারা। আর তাতে কোন মতেই কার্য্যসিদ্ধি হলো না। জন হিকের চিল তীক্ষ্ণ ধীশক্তি আর তিনি কয়েক দশক ধরে খ্রীষ্টিয়ানিটির বিষয়ে অধ্যয়ন করছেন। কিন্তু সেই সমস্ত অধ্যয়েন মধ্য দিয়ে তিনি কোন সময়ে খ্রীষ্টকে খুঁজে পান নি। এর জন্য আপনাকে নম্রমনা হয়ে আসতে হবে। এক কোমল শ্রদ্ধাপূর্ণ মন নিয়ে আর অন্তঃকরণের সঙ্গেই আপনাকে তাঁরন্বেষণ করতে হবে। তবেই আপনি, কেবল মাত্র তবেই আপনি তাঁকে পাবেন এবং নতুন জন্ম লাভ করবেন!

আমি যখন গোল্ডেন গেট ব্যাপটিস্ট সেমিনারীতে স্নাতোকত্তোর ডিগ্রি নিয়ে অধ্যয়ন করছিলাম তখন আমি হারিয়ে যাওয়া দুজন লোককে জানতাম যারা খুবই গর্বিতমান ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন শ্বেতকায় ব্যাক্তি যার নাম চিল গীল। অপর ব্যাক্তি ছিলেন একজন কোরিয়ান ব্যাক্তি যার নাম চিল চাং। তারা উভয়েই তাদের তীক্ষ্ণ ধীশক্তির জন্য খুবই গর্বিত ছিলেন তা আবার সরাসরি ভাবে এক ছাত্র অবস্থাতেই। কিন্তু তাদের কেউই পরিত্রাণ লাভ করেনি। আমার স্নাতোকোত্তরের পরে আমি তাদের উভয়কেই কনভার্ট হয়েছে বলে দেখতে পেয়ে অত্যন্ত উল্লসিত হইয়ে উঠলাম। আগে তারা আমার সঙ্গে যুক্তি প্রদর্শন করতো, আমাকে দেখে হাসতো এবং আমাকে ‘সঙ্কীর্ণমনার বুনিয়াদ’ বলে রহস্য করতো কেন না আমি বাইবেলে বিশ্বাস করতাম। কিন্তু তারা কনভার্ট হয়ে যাওয়ার পরে উভয়েই অত্যন্ত দুঃখপ্রকাশ করে আমার কাছে কাঁদছিলেন। তারা উভয়েই ঈশ্বরের অনুগ্রহে নম্র ও নত হয়েছিল। তারা উভয়েই তাদের নিজেদের হৃদয়ে যীশুকে খুঁজে পেয়েছিলেন, কেন না লোকে হৃদয়ে বিশ্বাস করে ধার্মিকতার জন্য। তারা উভয়েই যে হারিয়ে গিয়েছে এই কথা তাদের কাছে বলে আমি যে তাদের সাহায্য করেছি তা তারা স্বীকার করেছিল। তারা যখন আমাকে বললো জে তারা পরিত্রাণ লাভ করছে, এই কথা আমার কাছে বলাতে আমি যে কতোটা আনন্দ লাভ করেছি, তা আমি ভুলতে পারবো না।

ঈশ্বরের কাছে এরাই হল দু ধরনের লোক—তারা হলেন যখন তারা অন্তঃকরণের সঙ্গে তাঁর অন্বেষণ করেন তখন সেই অন্বেষণের মধ্যে তারা যীশুকে খুঁজে পায় এবং দ্বিতীয় প্রকার লোক হল তারা, যারা যীশুকে খুঁজে পায় না কেন না তারা অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুকে অন্বেষণ করে না। হ্যাঁ, ঈশ্বরের কাছে সেখানে কেবল দুইধরনের লোক রয়েছে – তারা হলেন ঠিক জন হিকের মতো, যতক্ষণ পর্য্যন্ত না তিনি তাঁকে খুঁজে পেলেন ততক্ষণ তাঁর অন্বেষন করেন নি এবং সেখানে আবার গিল এবং চাং-এর মতো লোকেরাও রয়েছেন যতক্ষণ পর্য্যন্ত না তারা তাঁকে খুঁজে পেলেন যারা যীশুকে তাদের অন্তঃকরণের সঙ্গে অন্বেষনকরছিলেন।

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

খ্রীষ্টমাস বা বড়দিনের কাহিনীতে মহান এই সত্যতার বিষয় খুঁজে পাওয়াটা কতোই না সুন্দর ও অত্যাশ্চর্য্য বিষয় তাই নয় কি! আমি যখন খ্রীষ্টমাসে কাহিনীর বিষয় ধ্যান করি তখন এই সত্যতাটাই শাস্ত্রের একটার পর একটা পাতা অন্বেষণ করতে সাহায্য করে। আর সেই ঘটনা হল ঈশ্বরের সামনে যেখানে দু ধরনের লোক রয়েছে যা খ্রীষ্টমাসের কাহিনীতে তা অতি সরল ও সাধারণ হয়ে ওঠে আর তা এমন কি একটা ছোট শিশু পর্য্যন্ত তার পার্থক্য বুঝে ওঠে আর তারা বুঝে ওঠে যে কেন তারা ভিন্ন প্রকার!

১. প্রথম, যারা অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অন্বেষণ করে না

প্রথমত সেখানে এক ব্যাক্তি ছিলেন যার নাম বাইবেলে পর্য্যন্ত দেওয়া হয়নি। কেবল মাত্র আমরা সেই ব্যাক্তির বিষয়ে জানতে পারি তা এইজন্য কেন না সে যা করেছে যীশুর সাথে।

প্রথম খ্রীষ্টমাসের সময় যোসেফ এবং মরিয়ম গালীলের নাজারাথ নগর থেকে বেথলেহেম নগরে রোমীয় সরকারকে কর প্রদান করার জন্য গিয়েছিলেন। সেই সময়ে বেথলেহেম নগরী ছিল লোকে পরিপূর্ণ যারা সকলেই কর দেওয়ার জন্য সেখানে এসেছিলেন। বেথলেহেম ছিল খুব ছোট একটা শহর আর আজও তা সেই ছোটই রয়েছে। মরিয়ম ও যোসেফ যখন সেখানে পৌঁছালেন তখন মরিয়ম প্রায় সন্তানের জন্ম দিতে চলেছিলেন। সন্তান জন্মগ্রহণ করার জন্য যোসেফ একটি জায়গা খুঁজে বার করার চেষ্টা করলেন। কিন্তু বাইবেল বলে, ‘কারণ পান্থশালায় তাদের জন্য কোন স্থান ছিল না’ (লিউক ২ঃ৭)। ‘পান্থশালা’ এটাই প্রকাশ করে যে বেথলেহেম শহরটা কত ছোট। সেখানে কেবল মাত্র একটিই পান্থশালা ছিল আর সেটাও আবার পুর্ণ। পান্থশালার মালিক তাদের ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে হয়তো এমন ব্যাক্তিও ছিল যার নাম হয়তো এখানে উল্লেখ নেই। কি হৃদয়হীন ব্যাক্তিই না তিনি ছিলেন যিনি মহিলার এইমতো অবস্থা দেখে তার প্রতি মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিলেন যে মহিলা না কি সন্তানের জন্ম দিবেন এই মতো অবস্থায়। এর জন্য তাকে গোয়াল ঘরে যেতে বাধ্য হতে হয় আর তাদের সদ্যজাত শিশুকে সেই জাব পাত্রে শুইয়ে রাখতে হয় যেখানে গরু ও মোষেরা জাবনা খেতো।

দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে এমন একটি বালকের কথা আমি পড়েছিলাম যার নাম ওয়ালি সে খ্রীষ্টমাসের নাটকে পান্থশালার মালিকের ভূমিকায় অভিনয় করেছিল। সেই বালক তার দৃশ্য বা অঙ্কের লাইনটি এইভাবে উক্তি করেছিল। সে যোসেফকে বললো ‘তুমি চলে যাও, কারন এই পান্থশালা পূর্ন’। যে বালকটি যোসেফের ভূমিকায় অভিনয় করছিল, সে বললো, ‘আমার স্ত্রী’র প্রসব কাল উপস্থিত হইয়াছে, তোমার পান্থশালার একটা কোণে নিশ্চয়ই একটু জায়গা রয়েছে তার জন্য’। ওয়ালি সেই মেয়েটির দিকে তাকালো, যে মরিয়মের ভূমিকায় অভিনয় করছিল, আর তখন তার চোখ দিয়ে যেন জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো এবং ভুলে গেল যে এখন সে কি বলবে! তখন পর্দার পিছন থেকে প্রম্পটার বলতে লাগলেন, ‘তুমি তোমার দৃশ্যের লাইনে যা আছে বল’। ওয়ালি বলও, ‘এখানে থাকার কোন জায়গা নেই, তোমরা চলে যাও’। তখন মরিয়ম ও যোসেফ চলে যেতে উদ্যত হন, আর তখনই সেই ছোট্ট অভিনেতা ওয়ালির গাল বেয়ে কান্নার জল ঝরতে শুরু করলো। আর তখন সেখানেই সে খ্রীষ্টমাসের গল্পটিকে সম্পুর্ণ ভাবে পরিবর্তন করে ফেললো। সে চিৎকার করে কেঁদে উঠলো, ‘দাঁড়াও, যোসেফ যেও না, মরিয়ম যেও না, আমার ঘরে থাকতে পার’! তখন দর্শক আপ্লুত হয়ে পড়লো। সেই সময়ে কেউই ওয়ালির প্রতি খারাপ আচরণ করে নি। বরং তারা আনন্দিত হয়েছিলেন এইজন্য কেন না সেই ছোট্ট বালকটি খ্রীষ্টমাসের কাহিনীকে পরিবর্তন করে দিয়েছিল!

সেই পান্থশালার মালিক কি ভীষণ স্বার্থপর ব্যাক্তিই না ছিলেন। আর ঠিক যেমন ভাবে আপনি ও আমি জানি যেখানে সেই প্রকার স্বার্থপর ও নোংরা লোকেরাও রয়েছে যারা যীশুর সঙ্গে কোন সম্পর্ক ও তাকে নিয়ে কিছুই করতে চায় না। এর অর্থ হল সেই প্রকার শীতল হৃদয়মনা ব্যক্তি খ্রীষ্টমাসের দৃশ্যকে এমনি ভাবেই এই বৎসরে সান্টা মনিকাতে প্যাসিফিক উপকূলের রাস্তার ধারে নিয়ে গিয়েছে। অপর একটি নোংরা অস্থিরমতি ব্যাক্তি খ্রীষ্টমাসের গাছটিকে জোর করে উঠিয়ে নিয়ে গেছে কোন এক দারিদ্রগ্রস্থ, একাকী মানুষের কাছ থেকে যে কিনা ক্যালিফর্ণিয়ার নিউ হলের আবাস ঘরে বিশ্রাম করছে। প্ল্যানো, টেক্সাসের অপর এক ব্যাক্তি ছোট শিশুদের বাধ্য করেছে আফগানিস্থানে যে সৈন্যরা রয়েছে তাদের কাছে যেন তারা খ্রীষ্টমাস কার্ডের মধ্য দিয়ে শুভেচ্ছা প্রেরণ না করে। হ্যাঁ, সত্য সত্যই, সেখানে এমন লোকেরাও রয়েছে যাদের মধ্যে সেই মতো অন্তর আত্মার অর্থবোধ নেই, যেখানে তাদের হৃদয়ে যীশুর জন্য কোন জায়গা থাকতে পারে। তারা তাদের পার্টি ও বন্ধুদের সাথে এতোটাই ব্যাস্ত যে খ্রীষ্টমাসের সন্ধ্যায় মন্ডলীতে আসার জন্য তাদের কোন সময়ই নেই। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার তাদের ক্রোধকে ব্যাক্ত করেছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যেহেতু তাদের আমি খ্রীষ্টমাসের সন্ধ্যা ও নতুন বৎসরের সন্ধ্যায় মন্ডলীতে থাকতে বলেছি বলে তারা আমাকে স্বেচ্ছাচারী বলে আখ্যা করেছে। কিন্তু আপনি যদি তাদের ডিসকো পার্টি বা নেশা করার কোন পার্টিতে তাদের আমন্ত্রণ জানান তবে তারা একটা শব্দও আপনার বিরুদ্ধে বলবে না। আসুন, ইহার সম্মুখীন হই– এই প্রকার যে সমস্ত লোকেরা হৃদয়হীন পান্থশালা মালিকের ন্যায় তারা হলেন খ্রীষ্টবিহীন ও ঈশ্বরবিহীন অবস্থায়। তিনি এই হতভাগী গর্ভবতী নারীকে গোয়াল ঘরের প্রতি ফিরিয়ে দিলেন আর তাকে গোয়াল ঘরে জাব পাত্রে শিশুর জন্ম গ্রহণ করাতে বাধ্য করলেন। ঈশ্বর যেন তাদের পাপে আক্রান্ত আত্মা ও মন্দতার জন্য অনুগ্রহ প্রদান করেন। এই প্রকার লোকেদের কথা শুনবেন না। আগামীকাল সন্ধ্যায় খ্রীষ্টমাসের সন্ধ্যায় মন্ডলীতে উপস্থিত থাকবেন।

এরপরে সেখানে রাজা হেরোদও ছিলেন। পন্ডিত লোকেরা তাঁকে বলে ছিলেন যে ইহুদীদের রাজা যীশু নাম নিয়ে জন্ম গ্রহণ করেছেন। হেরোদ তাদের বলেছিলেন যীশুর অন্বেষণ করে তিনি কোথায় জন্মেছেন সেই সংবাদ যেন তারা তাকে ফিরে এসে দিয়ে যান যাতে তিনিও তাঁর আরাধনা করতে পারেন। কিন্তু বাস্তবে তিনি যীশুকে চান নি। তার অধিকার হারাবার ভয় তার মধ্যে এসেছিল কেন না তার প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার রাজার জন্ম হয়েছে। তিনি সত্য সত্যই যীশুকে হতাকরে তার নিজের পথের কাঁটা দূর করতে চেয়েছিলেন।

ঠিক এই প্রকার পুরাতন হেরোদের মতো এমন বহু ব্যাক্তি আজও রয়েছেন। তারা বলে যে তারা যীশুর আরাধনা করতে চায়। এমন কি তারা মন্ডলীতে যোগদানও করে, একসঙ্গে গান করে আর আর ভান করে জে তারা যীশুকে ভালো বাসেন। কিন্তু যীশুকে তারা যদি তাদের হৃদয়ে প্রথম স্থান দেয় তবে তাদের যে অবস্থান তা হারাবার ভয় তারা করতে থাকে। তারা এই ভয় পায় যে তারা হয়তো অর্থ হারিয়ে ফেলবে অথবা তাদের বন্ধুদের তারা হারাবে অথবা হয়তো অন্য কোন প্রকারের সুযোগ সুবিধাকে তারা হারিয়ে বসবে। তাই তারা যীশুকে প্রেম করার ভান করে কিন্তু বাস্তবে তার তাঁকে পছন্দই করে না। বাস্তবে তারা যীশুর অণ্বেষণ করে না। অন্তঃকরণের সঙ্গে তারা সত্যসত্যই যীশুর অন্বেষণ করে না।

আমরা তাদের প্রতিটি সভার শেষে বাক্যের পর বাক্য মুদ্রণ করি তাদের হাতে দেওইয়ার জন্য। মিঃ মেনসিয়া যখন অনুসন্ধান কক্ষে জিজ্ঞাসা করেন তাদের পড়ার জন্য প্রতিদিন তারা এই সংবাদের অংশ পাচ্ছে কি’না, তখন তারা স্বাভাবিক ভাবে বলে “না”। এই সংবাদটা পড়ার জন্য তাদের সময় লাগবে কেবল মাত্র ১৫-মিনিট কিন্তু তারা সেটাও করে না। দেখুন, তারা কতোটাই নয়া হেরোদের মতো অভিনয় করে। মুখে তারা বলে যীশুকে তাদের প্রয়োজন তথাপি তারা তাঁর অন্বেষণ করার জন্য ১৫-মিনিট সময় পর্যন্ত ব্যায় করে না। এই প্রকার লোকেরা যিশুকে পেতে পারে না! কেন ?

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

ঠিক হেরোদের মতোই তারা অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অণ্বেষোণ করছে না। আর সেই কারণেই তারা তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না! ইহা খুব স্রল ও স্বাভাবিক।

সেখানে আবার পণ্ডিত ব্যাক্তিরাও ছিলেন। হেরোদ তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেন যে খ্রীষ্ট কোথায় জন্ম গ্রহণ করবেন ? তারা ছিলেন বাইবেলের ছাত্র। তারা শাস্ত্র প্রতিদিনই অধ্যয়ন করতেন। খ্রীষ্ট কোথায় জন্মগ্রহণ করবেন তা তারা জানতেন। তাই তখনই তারা পুরাতন নিয়মের মিখা ৫ঃ২ উদ্ধৃত করলেন।

“আর তুমি হে বেথলেহেম ইফ্রাতা, তুমি ইহুদীর সহস্রগণের মধ্যে ক্ষুদ্র বলিয়া অগণিতা, তোমা হইতে ইস্রায়েলের মধ্যে কর্তা হইবার জন্য আমার উদ্দেশ্যে এক ব্যাক্তি উৎপন্ন হইবেন, প্রাককাল হইতে, অনাদিকাল হইতে তাঁহার উৎপত্তি”। (মিখা ৫ঃ২)

সেই পন্ডিতেরা বললেন, ‘তিনি বেথলেহেমে জন্মগ্রহণ করবেন’। এখন তারা বেথলেহেমের যেখানে ছিলেন, সেখা থেকে হেঁটে আসার জন্য সময় লাগে ৩০-মিনিট। খ্রীষ্টের অন্বেষণে তারা কি বেথলেহেমে গিয়েছিলেন? না, তারা যান নি। তারা কেবল মাত্র বাইবেল অধ্যয়ন করেই পরিতৃপ্ত ছিলেন। তারা খ্রীষ্টকে অন্বেষণ করার জন্য কোন চেষ্টাই করেন নি। অতএব, সেই জন্যই, তারা কোন সময়েই খ্রীষ্টকে অন্বেষণ করতে পারেন নি। যেহেতু তারা ৩০-মিনিট সময় ব্যায় করে খ্রীষ্টের অন্বেষণ করতে যান নি তাই তাদের নরকেই স্থান হয়েছিল। সেই প্রকার, লোক কি আজও রয়েছে ? অতি অবশ্যই। আজকে তারা অন্য কোন কিছুর অন্বেষণ করা ছেড়ে দিয়ে প্রতি রবিবার দিনে তারা কেবল মাত্র মন্ডলীতেই বসে থাকেন। এদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা আবার কাজের অনুসন্ধান করতেও যায় না, আর এর জন্য তারা নিজেরাও জানে যে তারা সত্য সত্যই নতুন জন্মপ্রাপ্ত ব্যাক্তি নয়। ডাঃ চান বা শ্রীমতী সালাজার-এর যা রয়েছে তা যে তাদের নেই তা তারা জানে না। তারা এটাও জানেনা যে ডাঃ এ্যান্থনি বা জ্যাক বা জন স্যামুয়েলের যা আছে তা তাদের নেই। সোরিয়া ও লারা যা রয়েছে তা যে তাদের নেই তাও তারা জানে না। খ্রীষ্ট যে তাদের নেই, তা তারা জানে। কিন্তু ঠিক পন্ডিতদের মতোই, ইহার বিষয়ে কিছু করার জন্য তারা খুবই অলস হয়ে পড়েছেন। তারা বাইবেল পড়েন, তারা সংবাদও শোনেন। কিন্তু কেবলমাত্র ততটুকুই তারা করেন। .

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

আপনি কি অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অন্বেষণ করছেন? যদি আপনি তা করছেন না, আর সেই কারণের জন্যই আপনি তাঁকে খুঁজে পাচ্ছেন না। মিঃ মেনসিয়া আপনাকে যখন জিজ্ঞাসা করেন জে আপনি এই সংবাদ প্রতিদিন পড়ছেন কিনা, তখন আপনি বলেন, ‘আচ্ছা, না, প্রতিদিন নয়’। সেটা করার জন্য আপনি অত্যন্ত উদাসীন! খ্রীষ্টকে আপনি সেইভাবে লাভ করতে পারেন না। যীশু বলেছেন, ‘সংকীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা কর’। (লিউক ১৩ঃ২৪)। কিন্তু আপনি তেমন ভাবে চেষ্টা করছেন না। আপনি মন্ডলীতে শুধুমাত্র আসছেন, আপনার অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অন্বেষন করার প্রতি আপনি অত্যন্ত ভাবেই যেন ঘুমিয়ে পড়েছেন ও ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। সেই পণ্ডিতেরা জাগ্রত হয়ে উঠে অন্বেষণ করেন নি। পরিশেষে তারা মৃত্যু বরণ করে নরকেই গিয়েছেন। আর তাই আপনিও যদি গিম্ভীর ভাবে খ্রীষ্টের অন্বেষণ না করে কেবলমাত্র মন্ডলীতে আসেন ও যান তবে আপনার প্রতিও তাই ঘটবে। ঈশ্বর আপনাকে জাগরিত করুন

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

২. দ্বিতীয়, যারা অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অন্বেষণ করেছিল

আমার সময় চলে গিয়েছে কিন্তু আমি সেগুলো সংক্ষেপে উল্লেখ করবো। প্রথমতঃ সেখানে ছিল মেষ পালকেরা। সেই রাত্রে তারা তাদের মেষদের পাহারা দিচ্ছিল। সেই সময়ে স্বর্গদূতেরা তাদের কাছে প্রকাশিত হয়ে বলেছিলেন যে খ্রীষ্ট প্রভু বেথলেহেমে জন্ম গ্রহণ করেছেন। স্বর্গদূতেরা তাদের বলেছিলেন যে তারা সেই শিশুকে জাব পাত্রে কাপড়ে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পাবে। আমি সেই থেকে মেষ পালকের মাঠে ছিলাম। ইহা প্রায়, যীশু যেখানে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই জায়গাটা হেঁটে মাত্র পাঁচ মিনিটের পথ। মেষ পালকেরা স্বর্গদূতের কথা শুনে অপেক্ষা করে নি। তারা সেখানে চলে গেলে তাদের মেষেদের কি হবে সে বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে নি। কোন কুকুর হয়তো এক বা দুটো মেষ মেরে ফেলতেও পারতো। কোন চোর হয়তো একটা মেষ চুরিও করে নিতে পারতো। কিন্তু তারা সেই সমস্ত বিষয়ে কোন উদ্বিগ্নই হয় নি। তারা জানতো যে একটা বা দুটো মেষ হারিয়ে যাওয়ার থেকে খ্রীষ্টের দর্শনটা তাদের কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই বাইবেল বলে, ‘পরে তাহারা শীঘ্র গমন করিয়া মরিয়ম ও যোসেফ এবং সেই জাব পাত্রে শয়ান শিশুটিকে দেখিতে পাইল’। (লিউক ২ঃ১৬)। তারা অতিসত্বর সেখানে গিয়েছিল। যীশুর কাছে আসা থেকে কোন কিছুই তাদের কাছে বাধা হয়ে ওঠে নি। তারা সেই জাব পাত্রের কাছে এসেছিল। কি আশ্চর্য্য, ঠিক মেষ পালকেরদের মতোই ‘অতি সত্বর’ যীশুকে দেখার জন্য অন্য যুবক যুবতীরাও তার কাছে এসেছিল। লারাও অতি সত্বর যীশুর কাছে এসেছিলেন। কারণ ও অতি সত্বর যীশুর কাছে এসেছিলেন। তাদের হৃদয়ে যীশুর জন্যে উচ্চধ্বনি করার জন্য তারা এখানে কেবলমাত্র কয়েকদিন আগেই এখানে যোগদান করতে শুরু করেছেন আর তারা তাঁকে পেয়েছেন ঠিক জেরেমিয় ২৯ঃ১৩ পদে যেভাবে উল্লেখ করেছেন যে তারা তাঁকে পাইবে।

সেই সঙ্গে সেখানে আবার পন্ডিত ব্যাক্তিরাও ছিলেন। তারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে এসেছিলেন। তারা তাদের স্ত্রী,সন্তানদের ফেলে এসেছিলেন, তারা তাদের উটে চড়ে ব্যাবিলনের পশ্চিম প্রান্ত থেকে তাঁর অন্বেষণে রওয়ানা দিয়েছিলেন। তারা পশ্চিম প্রান্তে মরুভূমির পথ দিয়ে প্রায় ছয়শত মেইল পথ যাত্রা করেছিলেন। তারা ঠান্ডা ও গরমেও সাহস দেখিয়েছিলেন। তারা নিজেদের দস্যুদের মুখে ঠেলে দিয়েছিলেন। তারা সেই মরু প্রান্তরের উত্তর দিক দিয়ে যাত্রা করে জর্ডন নদীর পাড় দিয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না জেরুজালেম পৌঁছান তারা যাত্রা করে চলেছিলেন; তারা সেই তারাটিকেই অনুসরণ করে পথ দিয়ে এগিয়ে চলেছিলেনযা ঈশ্বর তাদের অনুগমণের নিদর্শন স্বরুপ ধার্য্য করে ছিলেন। তারা শিশু যীশুর কাছে যথা স্থানেই এসেছিলেন এবং তারা তাদের সঙ্গে করে নিয়ে আসা উপহারে তাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছিলেন। আপনি কি অনুভব করছেন কোন প্রকার গাড়ি ছাড়াই কতটা মূল্যবান কষ্ট সহ্য করে তারা এই ঝুঁকি নিয়ে সেখানে এসেছিলেন, সেখানে পৌঁছানোর জন্য কোন পাকা রাস্তা ছিল না, ছিল না কোন ট্রেন, এমন কি থাকার জন্য সামান্য পান্থশালাও ছিল না, বিশ্রামের কোন স্থান ছিল না কিন্তু যাত্রা করার জন্য ছিল কেবল মাত্র উট। এই ভাবেই তারা এতোটা পথ যাত্রা করে এসেছিলেন। ইহার জন্য হয়তো তাদের কাছে এক মাস সময় পর্যন্ত লেগেছিল। তথাপি তারা এসেছিলেন। নিশ্চিতভাবেই সেই পন্ডিতেরা ভালো ভাবেই আমাদের পাঠ্যাংশের উদাহরণকে তুলে ধরেছেন।

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

তারা অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অন্বেষণ করেছিলেন, আর তারা তাঁকে পেয়েছিলেন, ঠিক আমাদের পাঠ্যাংশে যে ভাবে প্রতিজ্ঞা করা হয়েছে যে তারা আমাকে পাইবে।

‘শহীদের আওয়াজ’ বলে একটি ম্যাগাজিন আমি প্রতি মাসেই পাই। আমি আশা করি আপনি যদি www.persecution.com, গিয়ে তাদের ম্যাগাজিন চান, তবে তাদের কিছু ডলার পাঠিয়ে সেটা আপনাকে প্রেরণ করার জন্য বলতে পারেন। আমি সর্বদাই ইহা পড়ি। ইহা আপনাদের মতোই যুবক লোকেদের বিষয়ে বলে যারা রয়েছেন ভারতে, সুদানে, ইথিওপিয়ায়, পাকিস্তানে, ইরান, কিউবা, চীন, মায়ানমার এবং পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে অবস্থান কারী ব্যাক্তিরা। তারা যখন খ্রীষ্টিয়ান হয় তখন সেখানাকার যুবক যুবতীরা এক ভীষণ সংকটের মধ্য দিয়ে যান। তারা যখন প্রকৃতভাবে খ্রীষ্টিয়ান হয় তখন সত্য সত্যই তারা বিপদের সম্মুখীন হোন। তাদের কাউকে কাউকে জেলে বন্দী করা হয়। কাউকে আবার অত্যাচারিত হতে হয়। কাউকে আবার মৃত্যুবরণ করতে হয়। কাউকে কাউকে বিষ দিয়ে দেওয়া হয় অথবা তাদের মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে তাদের মুখকে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তথাপি শত শত, হাজারে হাজারে তারা যীশুখ্রীষ্টের কাছে আসেন – যিনি কিনা ঈশ্বরের পুত্র। তারা ঠিক সেই পন্ডিত লোকেদের মতোই। ইতিহাসে অন্য যে কোন সময়ের থেকে বহু সাম্যবাদী দলের লোকেরা, বহু হিন্দু, বহু মুসলমান খ্রীষ্টের কাছে এসেছেন ও আসছেন। খ্রীষ্টিয়ানিটি এই সকালে বিশ্বের তৃতীয় জগতে ব্যপৃত হচ্ছে। চীনের প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্র প্রত্যেক ঘন্টা, রাত্রি ও দিনের মধ্যে কম করে ৭০০ চাইনিজ যীশুর কাছে আসছেন। সেখানে কম করে হলেও ১২০ মিলিয়ান খ্রীষ্টিয়ান সেখানে রয়েছেন। আমি আশা করি আপনি আগামী কালের রাত্রিতেও এখনে আসবেন ডাঃ চাং-এর সংবাদ শোনার জন্য। আর তারা যখন খ্রীষ্টিয়ান হয়েছেন তখন তারাও বেশ বিপদের ঝুঁকি নিয়েছিলেন। কিন্তু পরিত্রাতার রক্তে তাদের পাপ সকল ধৌত হয়েছে। তারা যখন পরিত্রাতার উপর নির্ভর করছেন তখন জীবনে বেঁচে থাকার এক যুক্তি তারা খুঁজে পেয়েছেন। তারা যখন যীশুর কাছে এসে তাঁর উপরে নির্ভর করছেন তখন তারা অনন্ত জীবন লাভ করছেন। আমাদের এই আমেরিকাতে সেখানে আপনার জন্য তেমন ভীষণ কোন ঝুঁকি নেই। তাদের উদাহরণ অনুসরণ করার প্রকৃত কোন যুক্তি আপনার কাছে নেই। আর তাই আজকের সকালে সেই পরিত্রাতা আপনাকে বলেছেন,

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

আপনার পাপের মূল্য চুকিয়ে দেওয়ার জন্য যীশু ক্রুশের উপরে মৃত্যু বরণ করেছেন। সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে পরিষ্কার করার জন্য তিনি তাঁর রক্ত দিয়েছেন। আপনাকে অনন্ত জীবন প্রদান করার জন্য তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। তিনি আপনাকে যেটা করতে বলছেন তা হল আপনার পাপ পূর্ণ জীবন থেকে ফিরুন আর যতক্ষণ পর্যন্ত না তাঁকে পাচ্ছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁর অন্বেষণ করতে থাকুন। আমরা এই ভাবেই প্রার্থনা করি যেন আজই এই খ্রীষ্টমাসের মরসুমে রবিবারে আপনি তাঁকে খুঁজে পান।

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে আপনার খ্রীষ্টমাস গানের খাতা থেকে গান নম্বর ৫ গান।

এসো ভক্ত বৃন্দ , কর জয় ধ্বনি,
   এসো হে সবে যাই বেথলেহেমে!
এসো হেরি তাঁয়, জগত দূত রাজায়,
   এসো পূজি তাঁহারে, এসো পূজি তাঁহারে
এসো পূজি তাঁহারে খ্রীষ্টেরে।

গাও হে স্বর্গদূত গন—
   মহা আনন্দে গাও হে
গাও সবে উর্দ্ধ স্বর্গবাসী গণ
   ঈশ্বরের গৌরব সর্ব্বোপরি স্বর্গে
এসো পূজি তাঁহারে, এসো পূজি তাঁহারে
   এসো পূজি তাঁহারে খ্রীষ্টেরে।
(“O Come, All Ye Faithful,” written in Latin by John F. Wade, 1710-1786;
      translated by Frederick Oakeley, 1802-1880).

আপনি যদি ডাঃ কাগান অথবা আমার সঙ্গে সাথে কথা বলতে চান, প্রকৃত ভাবে খ্রীষ্টিয়ান হয়ে ওঠার বিষয়ে, আপনার পাপের ক্ষমা লাভের বিষয়ে জানতে চান তবে অনুগ্রহ করে এখনই আপনার চেয়ার ছেড়ে অডিটরিয়ামের পিছনে যে ঘরটি রয়েছে সেখানে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে নিরিবিলি একটা জায়গাতে নিয়ে যাবেন যেখানে আপনি প্রার্থনাতে সময় কাটাতে পারেন। বাকিরা যখন যাচ্ছেন, তখন অনুগ্রহ করে এই পদটি গাইতে থাকুন,

যীশু প্রণাম তোমায়
   হইতে ভবে জাত
যীশু চিরদিন তোমার গৌরব হোক
   পিতার যে বাক্য মাংসে হোন প্রত্যক্ষ
এসো পূজি তাঁহারে, এসো পূজি তাঁহারে
   এসো পূজি তাঁহারে খ্রীষ্টেরে।

ডাঃ চান অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় এগিয়ে নিয়ে চলুন।

সংবাদের পরিসমাপ্তি
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may
write to him at P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015. Or phone him at (818)352-0452.

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ কিউ ডং লীঃ ম্যাথুজ ২ঃ১-১১
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথ ঃ
“O Little Town of Bethlehem” (by Phillips Brooks, 1835-1893).


খসড়া চিত্র

বড়দিনের সময়ে খ্রীষ্টের অন্বেষণ

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.

“আর তোমরা আমার অন্বেষণ করিয়া আমাকে পাইবে; কারণ তোমরা সর্ব্বান্তকরণে আমার অন্বেষণ করিবে” (জেরেমিয় ২৯ঃ১৩)

(ডিউটেরোনমি ৪ঃ২৯; ম্যাথুজ ৭ঃ৮; রোমানস ১০ঃ১০)

১. প্রথম, যারা অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অন্বেষণ করে না
(লিউক ২ঃ৭; মিকাহ ৫ঃ২; লিউক ১৩ঃ২৪)

২. দ্বিতীয়, যারা অন্তঃকরণের সঙ্গে যীশুর অন্বেষণ করেছিল
(লিউক ২ঃ১৬)