Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




অপরিচিত সেই ঈশ্বর

হেমন্ত ঋতুর মধ্যবর্তী সময়ে চাইনিজদের কাছে এক উপদেশ প্রদান)
THE UNKNOWN GOD
(A SERMON GIVEN AT THE CHINESE MID-AUTUMN FESTIVAL)
(Bengali)

লেখক ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২৯-শে সেপ্টেম্বর ২০১২ সালে লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনাকেলে
এক সান্ধ্যকালীন মুহুর্তে এই সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Saturday Evening, September 29, 2012


আসুন একসঙ্গে উঠে দাঁড়াই। আজকের এই সন্ধ্যাবেলায় আমি চাই প্রেরিত পুস্তকের ১৭-তম অধ্যায় খুলতে যার আরম্ভ হচ্ছে বাইশ নম্বর পদ থেকে। বাংলা বাইবেলে (কেরী অনুদিত) ইহা পাওয়া যাবে নতুন নিয়মের পাঠ্যাংশের ২৭৭- পৃষ্ঠায়।

“তখন পল আরেয়পাগের মধ্যস্থলে দাঁড়াইয়া কহিলেন,হে এথিনীয় মানুষেরা, দেখিতেছি তোমরা সর্ব বিষয়ে বড়ই কুসংস্কারাচ্ছন্ন। কেন না বেরাইবার সময় তোমাদের উপাস্য বস্তু সকল দেখিতে দেখিতে একটি বেদী দেখিলাম, যাহার উপরে লিখিত আছে ‘অপরিচিত দেবের উদ্দেশ্যে’। অতএব, তোমরা যে অপরিচিতের ভজনা করিতেছ, তাহাকে আমি তোমাদের নিকটে প্রচার করি। ঈশ্বর, যিনি জগৎ ও তন্মমধ্যস্থ সমস্ত বস্তু নির্মাণ করিয়াছেন, তিনিই স্বর্গের ও পৃথিবীর প্রভু; সুতরাং হস্ত নির্মিত মন্দিরে বাস করেন না; কোন কিছুর অভাব প্রযুক্ত মনুষ্যদের হস্ত দ্বারা সেবিত হন না, তিনিই সকলকে জীবন ও শ্বাস ও সমস্তই দিয়েছেন। আর তিনি এক ব্যাক্তি হইতে মনুষ্যদের সকল জাতিকে উৎপন্ন করিয়াছেন, যেন তারা সমস্ত ভুবনে বাস করে। তিনি তাহাদের নির্দিষ্ট কাল ও নিবাসের সীমা স্থির করিয়াছেন; যেন তাহারা ঈশ্বরের অন্বেষণ করে, যদি কোন মতে হাতড়িয়া হাতড়িয়া তাহার উদ্দেশ পায়; অথচ তিনি আমাদের কাহারও হইতে দূরে নহেন। কেন না তাহাতেই আমাদের জীবন, গতি ও সত্তা; যেমন তোমাদের কয়েকজন কবিও বলিয়াছেন ‘কারণ আমরাও তাঁহার বংশ’। অতএব আমরা যখন ঈশ্বরের বংশ, তখন ঈশ্বরের স্বরুপকে মনুষ্যে শিল্প ও কল্পনা অনুসারে ক্ষোদিত স্বর্ণের কি রৌপ্যের কি প্রস্তরের সদৃশ জ্ঞান করা আমাদের কর্তব্য নয়। ঈশ্বর সেই অজ্ঞানতারই কাল উপেক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু এখন সর্বস্থানের সকল মনুষ্যকে মন পরিবর্তন করিতে আজ্ঞা দিতেছেন; কেননা তিনি একটি দিন স্থির করিয়াছেন, যে দিনে আপনার নিরুপিত ব্যাক্তির দ্বারা ন্যায় জগৎ সংসারের বিচার করিবেন; এই বিষয়ে সকলের বিশ্বাস যোগ্য প্রমাণ দিয়াছেন, ফলতঃ মৃতগণের মধ্য হইতে তাঁহাকে উঠাইয়াছেন। তখন মৃতগণের পুণরুত্থানের কথা কেহ কেহ উপহাস করিতে লাগিল; কিন্তু আর কেহ কেহ বলিল, আপনার কাছে এ বিষয় আর একবার শুনিব। এই রুপে পল তাহাদের মধ্য হইতে প্রস্থান করিলেন। কিন্তু কোন কোন ব্যাক্তি তাহার সঙ্গ ধরিল ও বিশ্বাস করিল; তাহাদের মধ্যে আরেয়পাগীয়, দায়োনিসিয়ুস এবং দামারিস নাম্নী এক নারী ও তাহাদের সহিত আরো কয়েকজন ছিলেন”। (প্রেরিত ১৭ঃ২২-৩৪)

আপনারা সকলে এখন বসতে পারেন।

প্রেরিত পল এথেনস এবং গ্রীসে গিয়েছিলেন। প্রাচীন জগতের কাছে এথেনস প্রদেশটি ছিল এক যুক্ত কেন্দ্রীয় স্থান। ইহা ছিল, অ্যারিস্টটল, প্ল্যাটো ও সক্রেটিসের শহর। এখানে পল এথেনস শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তিনি এখানে আরেয়পাগে এসে উপস্থিত হলেন। আমার স্ত্রী ও বালকেরা দু বৎসর আগে সেখানে গিয়েছিলেন, এটা ছিল ইজ্রায়েলে যাওয়ার সময়ে তাদের একটা বাড়তি দৃশ্য ভ্রমণ করার জন্য। আরেয়পাগ জায়গাটি ছিল শত শত বিগ্রহে পরিপূর্ণ। সেই সময়কার দার্শনিকেরা সেখানে একত্রিত হতেন। সেই সমস্ত বিগ্রহ ও মূর্তির মধ্যে পল একটি বেদী দেখতে পান যার উপরে এই ভাবে লিখিত কিছু শব্দ পাওয়া যায় ‘অপরিচিত দেবের উদেশ্যে’। বহু বিগ্রহ ও দেবদেবী তাদের মধ্যে ছিল কিন্তু যে কোন ভাবে হোক না কেন তাদের হৃদয়ে তারা অনুভব বা উপলব্ধি করতে পারতেন যে সেখানে এমন এক ঈশ্বর রয়েছেন যার বিষয়ে তারা জানেন না। সেখানে জমায়েত লোকজনের মাঝখানে পল প্রচার করতে শুরু করলেন। তিনি বললেন, ‘ আমি দেখিতে পাইলাম এক বেদী যাহার উপরে লিখিত রয়েছে “অপরিচিত দেবের উদ্দেশ্যে”... তাকে আমি তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি’। (প্রেরিত ১৭ঃ২৩)

আজকে রাত্রে আমরা এখানে একত্রিত হয়েছি চাইনিজদের মধ্যকালীন হেমন্ত ঋতুর বসন্ত উৎসব উপলক্ষে। কিন্তু আমেরিকান ইহাকে বলে থাকেন চাঁদের হাটের উদযাপন। হেমন্ত ঋতুর মধ্য কালীন উৎসবের এই দিনটি চাইনিজ দিনপঞ্জীর এক গুরুত্বপূর্ণ ছুটির দিন। ইহা হল এমনি একটি ছুটির দিন যা এশিয়া মহা প্রদেশের কোরিয়া, জাপান( ১৮৮৩ খ্রীষ্টাব্দে যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের দিন পঞ্জী পরিবর্তিত হয়), ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন্স, লাওস দ্বীপসমূহ, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, মায়ানমার, তাইওয়ান, সিংগাপুর এবং এশিয়ার আরো বহু ভূখন্ডে উদযাপন করা হয়। ইহা হেমন্ত ঋতুর সৌর দিনপঞ্জিকার সময়ে সূর্য্য যখন বিষুবরেখাকে অতিক্রম করে এবং দিন ও রাত্রি সমান হয় ও চন্দ্রের অবস্থান পূর্ণ চক্রাকারে গোলাকৃত থাকে তখনই ইহা স্থান নেয়।

ডাঃ জেমস লেগেহ (১৮১৫-১৮৯৭) অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য ও চাইনিজ ভাষার এক অধ্যাপক ছিলেন। ডাঃ লেগেহ-এর কথা অনুযায়ী প্রাচীন চাইনিজেরা চন্দ্র দেবতার পূজা করেন না। তিনি বলেন চাইনিজ বাস্তবে এক ঈশ্বরেরই ভজনা করে থাকে, যাকে তারা বলে থাকেন, স্যাঙ-তাই (স্বর্গের রাজা)। ডাঃ লেগেহ “ক্যানন” থেকে উদ্ধৃতি প্রদান করেন সম্রাট শান –এর বিষয়ে, যার রাজত্বকাল অবসান হয় ২২০৭ খ্রীষ্ট পূর্ব্বাব্দে। শানের ‘ক্যানন বলে’ তিনি বিশেষ বলিদান উৎসর্গ করতেন কিন্তু তা ছিল অতি সাধারণ আকারে আর যার কাছে তারা বলিদান উৎসর্গ করতেন তা হল স্যাঙ-তাই এর কাছে। যাকে বলা হয়ঃ ‘ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে’(James Legge, Ph.D., The Religions of China, Hodder and Stoughton, ১৮৮০, পৃ ২৪-২৫)। প্রাচীন কালে চাইনিজ এবং অন্যান্য এশিয়া বাসীরা কেবল মাত্র কজন ঈশ্বরেরই উপাসনা করতেন, যার নাম স্যাঙ তাই, স্বর্গের রাজা। সেই সময়টা ছিল কনফুসিয়াস (৫৫১-৪৭৯ খ্রীষ্ট পূর্ব্বাব্দ) এবং সে সময়ে বুদ্ধদেব জন্মগ্রহণ করেন (৫৬৩-৪৮৩ খ্রীষ্ট পূর্ব্বাব্দ),সেই সময়ের ১৫০০ বৎসর পূর্বে। বুদ্ধধর্ম চীন প্রবেশ করার বহু শতাব্দী আগে লোকেরা ছিলেন একেশ্বরবাদী। তারা কেবলমাত্র একটি ঈশ্বরেই বিশ্বাস করতেন। কয়েক শতাব্দী পরেই আরো আত্মা সংযোজিত হয় এবং তাদের উপাসনা করা হয়। কিন্তু তখন পর্যন্ত স্যাঙ-তাই স্বর্গের একমাত্র রাজা হিসেবেই বিবেচিত হতে থাকেন। তারা অন্য দেব দেবীর পূজা ও ভজনা করতে শুরু করে আর তা এমন কি তাদের পূর্ব পুরুষদের মরে যাওয়া আত্মাদেরও । তারা বুদ্ধধর্ম ও অন্য ধর্মের প্রতি ফিরতে থাকে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও আজকে ঈশ্বর থেকে সেই প্রকার মোড় নিতে চলেছে। উদ্বোধনী বার্তায় প্রেসিডেন্ট ওবামা বলেছেন,‘আমেরিকা আর খ্রীষ্টিয়ান দেশ নয়’। এক সময়ে ইহা একটি দেশ ছিল কিন্তু মিঃ ওবামা বলেন যে এখন আর তা নেই। আর এই বৎসরে মিঃ ওবামা জাতীয় দিনের প্রার্থনায় উপস্থিত না হয়ে সেটাই করলেন যে বিষয়টি আমেরিকাবাসীরা বহু দশক ধরে উদযাপন করে এসেছেন। বহু আমেরিকান রয়েছেন যারা আমাদের পূর্ব পুরুষদের ঈশ্বরে আর বিশ্বাস করেন না। প্রাচীন কালের চাইনিজ লোকেরাও এই প্রকার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন। ঠিক আধুনিক সময়ে বহু আমরিকানদের মতোই তারা ধীরে ধীরে সাঙ–তাই থেকে দূরে চলে গিয়েছে যিনি হলেন স্বররগের রাজা। আর বহু আমেরিকার সঙ্গে এশিয়া বাসীরাও সেই ঈশ্বরকে জানে না।

এথেনসেও সেই প্রকার অবস্থা ছিল। তারা জীবন্ত ঈশ্বর থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। শাস্ত্র বলে,

“কাহারা ঈশ্বরকে জ্ঞাত হইয়াও তাহারা তাঁহাকে ঈশ্বর বলিয়া তাঁহার গৌরব করে নাই; ধন্যবাদও করে নাই, কিন্তু আপনাদের ত্ররক বিতর্কে অসাড় হইয়া পড়িয়াছে এবং তাহাদের অবধ হৃদয় অন্ধকার হইয়া গিয়াছে”। (রোমানস ১ঃ২১)

যে ঈশ্বরকে তারা ভজনা বা উপাসনা করছে তাকে তারা প্রকৃত ভাবে জানে না। আর পল তাদের বলেন, ‘আমি একটি বেদী দেখিলাম, যাহার ঊপর লেখা আছে “আপরিচিত দেবের উদ্দেশ্যে”... তাঁহাকে আমি তোমাদের নিকটে প্রচার করি’। (প্রেরিত ১৭ঃ২৩)। তাদের মধ্যে বহু শত বিগ্রহ ও ভ্রান্ত দেবদেবী ছিল। কিন্তু প্রকৃত ঈশ্বরকে তারা জানে না। তিনি তাদের কাছে যেন “অপরিচিত দেবের” ন্যায় হয়ে উঠেছেন।

পল তাদের বলেন, যে সেই অপরিচিত ঈশ্বরই জগৎ ও তার মধ্যস্থিত সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন। তিনি আরো বলেন যে ঈশ্বরকে তারা জানে না, তিনি হলেন ‘স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু’, আর তিনি মানুষের হস্ত নির্মিত কোন মন্দিরে বসবাস করেন না। তিনি তাদের বলেন যে অপরিচিত সেই ঈশ্বর হলেন স্যাঙ-তাই, স্বর্গের রাজা, ‘স্বর্গ ও পৃথিবীর প্রভু’। ( প্রেরিত ১৭ঃ২৪)।

আমরা তোমাদের নতুন কোন ধর্ম বিশ্বাস করার জন্য বলছি না। খ্রীষ্টিয়ানিটির মধ্যে সেখানে নতুন কিছুই নেই। ইহা হল পৃথিবীর সব থেকে পুরাতন এক ধর্ম। খ্রীষ্টিয়ানিটি ফিরে যায় সেই সময়ের প্রতি যেটা হল ক্রন্দন উদ্যানের সময়। ইহা কেবল মাত্র এখানেই বহু শতাব্দী আগে বুদ্ধ ধর্ম, তাইওয়ান ধর্ম, হিন্দু ধর্ম, ইসলাম বা অন্য যে কোন প্রকার ধর্মের উৎপত্তি হয়। খ্রীষ্ট এসেছিলেন সেই স্বর্গীয় পিতার প্রতি আমাদের পুণরুদ্ধার করতে দেওয়ার জন্য স্যাঙ তাই, স্বর্গের রাজার সঙ্গে। তাই প্রেরিত পল বলেন,

“তৎকালে তোমরা.... প্রজাধিকারের বহিঃস্থ এবং প্রতিজ্ঞা যুক্ত নিয়ম গুলির অসম্পর্কীয় ছিলে, তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে আশাহীন ছিলে। কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছ”। (এফেসিয়ান্স ২ঃ১২-১৩)

আমাদের পূর্বকালীন পিতৃত্বের হাত থেকে ঈশ্বরের প্রতি পুণরুদ্ধার করার জন্য খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। আমাদের কুসংস্কারকে চূর্ণ করার জন্য এবং আমাদের জীবন যে প্রতিমা বা মূর্তির স্থান রয়েছে তা দূর করে দেওয়ার জন্য কগ্রীষ্টের আবির্ভাব হয়েছিল। সেই “অপরিচিত দেবকে” আমাদের কাছে ঈশ্বরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য খ্রীষ্ট এসেছিলেন’।

আর তাই প্রেরিত পল তাদের বলেছিলেন যে ঈশ্বর, ‘এক ব্যাক্তি হইতে মনুষ্যদের সকল জাতিকে উৎপন্ন করিয়াছেন, যেন তাহারা সমস্ত ভূতলে বাস করে, তিনি তাহাদের নির্দিষ্টকাল ও সীমা স্থির করিয়াছেন’। (প্রেরিত ১৭ঃ২৬)। আজকের এই রাত্রে সারা বিশ্বে জাতিগত উত্তেজনা এবং জাতির মধে আর এক জাতির গৃহযুদ্ধ হয়ে চলেছে। চীন ও জাপান উভয়ের মধ্যে এক উত্তেজনা রয়েছে। ইজ্রায়েলে যে ইহুদীরা রয়েছে তাদের সঙ্গে ইরাণের লোকেদের মধ্যে জাতিগত উত্তেজনা বয়েই চলেছে। যাই হোক আঙ্কেন তাদের সমস্যা কিন্তু জাতিগত বিষয়কে কেন্দ্র করে নয়। সমস্যাটা হল আত্মিক। জাতিগত যে পক্ষপাত তা হল পাপের এক পরিণাম।

পল বলেছেন যে ঈশ্বর সমস্ত জাতিকে কেবলমাত্র ‘এক রক্ত’ বা ‘এক ব্যাক্তি’ থেকেই সৃষ্টি করেছেন। কিভাবে এই বিষয়ে তিনি জানলেন? বাইবেলে ঈশ্বরের যে প্রকাশ তার দ্বারাই তিনি ইহা জানতে পারেন। এমন কি এই আধুনিক সময়েও মানুষ জানতোই না যে ঈশ্বর এই বিষয়টা পলের কাছে দু হাজার বৎসর আগে প্রকাশ করেছেন। আপনি একজন আফ্রিকাবাসীর রক্ত নিয়ে শ্বেতকায় বিদেশীর শরীরে সঞ্চালন করতে পারেন। আপনি চীন দেশের কোন এক ব্যাক্তির রক্ত নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার আদিম অধিবাসীর শরীরে সঞ্চালন করতে পারেন। কেন সেটা সম্ভব ? কেননা ঈশ্বর কেবল মাত্র ‘এক ব্যাক্তির রক্ত থকেই সমস্ত জাতির উৎপত্তি করেছেন যেন তারা পৃথিবীর সমস্ত জায়গাতে বসবাস করে’। (প্রেরিত ১৭ঃ২৬)। সেতাই হয়তো এথিনীয় লোকেদের অবাক করে তুলেছিল যারা সেই দিনে পলের এই কথা শুনেছিলেন। পাপের কারণেই তারা সেই প্রকার নীতিতে বিশ্বাসী হয়েছে। তারা মনে করতো যে অন্যদের থেকে তারা ভালো। কিন্তু এই বিষয়ে তারা তো ঠিক ছিল না। কেবল মাত্র এক নর ও এক নারী থেকেই ঈশ্বর জগতের সমুদয় জাতিকে নির্মাণ করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ‘ডি-এন-এ’ গবেষণা নির্দেশ প্রদান করে যে মধ্যপ্রাচ্যে কেবল মাত্র এক জন মহিলার দ্বারাই সমুদয় মনুষ্য জাতির উদ্ভব হয়েছে। বেশ কিছু বৎসর আগে টাইমস’ পত্রিকাতে উপরের পাতাতেই এই আলোক প্রতিবেদনটি ছিল। কোন জাতি থেকে আপনি আসছেন তাতে কিছু যায় আসে না, আমরা সকলেই সম্পর্কযুক্ত। আমরা সকলেই সেই রক্তের ভাই ও বোন। আর খ্রীষ্ট আমাদের সকলকেই সেই একটি পরিবারে একত্রিত করার জন্য ফিরিয়ে নিয়ে আনতে চান তা হল তাঁর মন্ডলী। আর তাই আজকের রাত্রিকালে আমি আমার যুবক ভাই বোনেদের বলতে চাই, আপনার সেই জাতিগত পূর্ব সংস্কারে আপনাকে যেন অন্য কোন সংস্কৃতি থেকে আগত জাতির সঙ্গে সহ ভাগীতা করার জন্য দূরে না রেখে দেয়। আমাদের মধ্যে জাতিগত যে পূর্ব্ব সংস্কার রয়েছে তার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা যায়। অন্য কোন জাতির সাথে বন্ধুত্ব করার যে ভয় সেটা হল মাংসিক ও পাপপ্রবণ। অন্য একটি রাত্রিতে আমাদের সন্তান বলেছিল ইহা যেন ‘অলৌকিক’ কেন না আমি এবং আমার স্ত্রী যিনি হলেন পর্তুগীজ ও আমি একজন শ্বেতবর্ণ বিদেশী হয়ে আমরা আমাদের বিবাহিত জীবনের ৩০-বৎসর পূর্ণ করলাম। গত বৃহস্পতিবার দিনে আমরা আমাদের ত্রিশ বৎসরের বিবাহ বাৎসরিকী সমাপ্ত করলাম। আমার মনে হয় এই দিক দিয়ে আমাদের পুত্র ঠিকই বলেছে। ইহা হয়তো অলৌকিক কাজের মতোই মনে হয়, কিন্তু ইহা আমার কাছে জগতে সব থেকে প্রকৃত বাস্তব বলেই মনে হয়! তাকে ছাড়া আমার জীবন আমি কল্পনাই করতে পারি না। আমার কাছে তিনি হলেন ঈশ্বরের মহান দান আর তার জন্য তাঁকে আমি প্রতিদিনই ধন্যবাদ জানাই!

আর আমাদের মন্ডলীতেও ঠিক সেই ভাবেই হওয়া প্রয়োজন কেন না ঈশ্বর ‘কেবল মাত্র এক ব্যাক্তির রক্ত থেকেই সমস্ত মনুষ্য জাতিকে সৃষ্টি করেছেন যেন তারা সমস্ত ভূতলে বাস করে’ (প্রেরিত ১৭ঃ২৬)। ইহা যেন জগতের মধ্যে সব থেকে অতি বাস্তব বিষয় বলেই মনে হয় যখন আমি চাইনিজ মন্ডলীতে ব্যাপ্তিস্য গ্রহণ করি, কেন নয়া আমার পেস্টর প্রায় দু দশকের এক পন্ডিত ছিলেন। হারিয়ে যাওয়া জগতের কাছে সেটা হয়তো অদ্ভুত বলে মনে হয়। তারা ক্রমাগতভাবে একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ ও দ্বন্দ্ব করে চলেছে । একতা জাতি পরবর্তী জাতির প্রতি। কিন্তু প্রভু যীশু খ্রীষ্ট এসেছেন কেবল মাত্র পুণরুদ্ধার করার জন্যই নয়, আমাদের যেন তিনি একত্রিত করেন, সমস্ত জাতি হবে মন্ডলীর একটা দেহের ন্যায়। আমাদের মতো এক মন্ডলী, যেখানে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার জাতির লোকদল তাদের এই পৃথিবীতে সব থেকে অতি প্রাকৃতিক বিষয় হয়ে ওঠা দরকার কেন না ঈশ্বর আমাদের এক জায়গাতে নিয়ে এসেছেন। পাপ আমাদের পৃথক করে দেয়। কিন্তু ঈশ্বর আমাদের একটি জায়গাতে নিয়ে আসেন । যে পন্থায় ইহা ঘটে তার জন্য এটাকে অলৌকিক কার্য্য বলাই ভালো – যাকে বলা হয় নতুন জীবনের জন্য অলৌকিক কাজ! আমরা যদি সত্য সত্যই নতুন জন্ম প্রাপ্ত তবে ইহা ঘটবে। বেশ কিছু সপ্তাহ পূর্বে ডাঃ জন আর রাইসের ছোট কন্যা যখন এখানে ছিল, তখন সে ও আমার স্ত্রী উভয়ে মিলে আমাদের মন্ডলীতে ২০টি সংস্কৃতির লোকদল সম্পর্কে গণণা করেন And that’s the way it should be in our church, because God “hath made যারা আমাদের মন্ডলীতে যোগদান করেন। সে বলে ইহা সত্যই আশ্চর্য্য। ইহাকে সেই ভাবে রাখার জন্য কাজ করে যান। এই জগৎকে দেখতে দিন যে আমরা খ্রীষ্টের মধ্যে ভ্রাতা ও ভগ্নি। এই বিকৃত জগতের মধ্যে এই মন্ডলী প্রেম ও একতার এক সাক্ষ্যকে বহন করুক! তাই আসুন, সেই গানটি গাই। ‘আজই কাউকে সাহায্য করুন’।

আজই কাউকে সাহায্য করুন, জীবনের যাত্রা পথে কোন একজনকে, বন্ধুত্বের হস্ত
প্রসারিত করে একাকীত্ব সমাপ্ত করে ওঃ আজই কাউকে সাহায্য করুন !
   (“Help Somebody Today” by Carrie E. Breck, 1855-1934;
       altered by the Pastor).

আর প্রেরিত পল এথিনীয় লোকেদের বলেছিলেন,

“...ঈশ্বর সেই অজ্ঞানতার কাল উপেক্ষা করিয়াছিলেন, কিন্তু এখন সর্ব্বস্থানের সকল মনুষ্যকে মন পরিবর্তন করিতে আজ্ঞা দিতেছেন” (প্রেরিত ১৭ঃ৩০)

ঈশ্বর তাদের অতীতের অজ্ঞানতা এবং অন্ধ বিশ্বাসকে এড়িয়ে গিয়েছেন। কিন্তু এখন তিনি আমাদের সকলকে আজ্ঞা দিচ্ছেন আমাদের পশ্চাৎভূমি ও জাতি যাই হোক না কেন, যেন অনুতাপ করি। এখন তিনি ‘প্রতিটি জায়গার সমস্ত লোকেদের মন পরিবর্তন করার আজ্ঞা প্রদান করেছেন’। সেতাই হল ঈশ্বরের বাক্য! ঈশ্বর বলেছেন, ‘ মন পরিবর্তন করার জন্য আমি তোমাকে আজ্ঞা প্রদান করছি’। ইহার অর্থ হল পাপ থেকে আপনার মনের পরিবর্তন। ইহার অর্থ হল সত্য সত্যই আপনি মন পরিবর্তন করে খ্রীষ্টের প্রতি ঘুরে দাঁড়ান। ইহার অর্থ হল নিজের ওপরে নির্ভর না করে খ্রীষ্টের ওপরে নির্ভর করা। আপনি যখন সত্য সত্যই মন পরিবর্তন করেন তখন আপনি ঈশ্বরের পরাক্রমী শক্তির দ্বারা নতুন জন্ম গ্রহণ করেন।

খ্রীষ্ট এই পৃথিবীতে এসেছিলেন যেন আমাদের পাপ ও মৃত্যু ও নরকের হাত থেকে উদ্ধার করেন। একটি উদ্দেশ্য নিয়েই তিনি এসেছিলেন যেন ক্রুশের উপরে মৃত্যু বরণ করেন, আমাদের পাপের দন্ড মিটিয়ে ফেলেন। তিনি ক্রুশের উপরে তাঁর বহু মূল্য রক্ত দেওয়ার জন্য এসেছিলেন যাতে আমাদের পাপ সকল ধৌত হয়ে ঈশ্বরের সম্মুখে গ্রহণ যোগ্য হই। খ্রীষ্ট শারিরীক ভাবে রক্ত মাংসের মৃত্যু থেকে পুণরুত্থিত হোন। তিনি এই মুহুর্তে স্বর্গে জীবিত রয়েছেন, আরো একটি জায়গাতে থেকে, আমাদের জন্য প্রার্থনা করছেন। আপনি যখন বিশ্বাস সহকারে খ্রীষ্টের কাছে আসেন তখন আপনি মুহুর্তের মধ্যেই নতুন জন্ম লাভ করেন। খ্রীষ্টের সঙ্গে আপনি একতা নতুন জীবনে প্রবেশ করেন! বাইবেল বলে, ‘কেহ যদি খ্রীষ্টে থাকে তবে সে নুতন সৃষ্টির সমস্ত পুরাতন বিষয় সকল অতীত হইয়াছেঃ দেখ, সমস্ত বিষয় সকল নুতন হইয়া উঠিয়াছে’। (২-য় করিন্থিয়ান্স ৫ঃ১৭)

আমাদের মেয়েদের একজন, এক শ্বেতবর্ণ কন্যা, এক যুবতী চাইনিজ কন্যাকে সাহায্য করেছেন যে আমাদের মন্ডলীতে খুবই নতুন। শ্বেতবর্ণ এই যুবতী মহিলা আমাকে প্রার্থনা অনুরোধের একটি কার্ড দিয়েছেন। সেই কার্ডের উপরে সে যা লিখেছে তা ব্যাকরণ গত ভাবে ততোটা ঠিক নয় কিন্তু ইহা ছিল অত্যন্ত সুন্দর প্রার্থনার অনুরোধ। সে আমাকে সেই চাইনিজ মেয়েটির জন্য প্রার্থনা করতে বলেছে, যাতে সে যীশুর জীবন্ত প্রেমকে অনুভব করতে পারে, কেবল মাত্র ‘মন্ডলী’-কে ‘নয়’। আমেন!! আমরা তোমার জন্য প্রার্থনা করছি যেন আমাদের মন্ডলীতে যে লোকেরা রয়েছে তাদেরও উর্দ্ধে গিয়ে যেন চিন্তা করে। আমরা চাই আপনারা যেন জীবন্ত খ্রীষ্টের প্রেম জানতে পারেন ও তা অনুভব করেন। আমরা চাই আপনি যেন জীবন্ত খ্রীষ্টে বিশ্বাসের মধ্য দিয়ে পরিত্রাণ লাভ করেন, নুতন জন্ম পান, মৃত্যু থেকে অনন্তকালীন জীবনে প্রবেশ করেন।

এথিনীয় প্রদেশের সেই লোকদের প্রেরিত পল বলেছিলেন যে ঈশ্বর খ্রীষ্টকে মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত করেছেন। তাদের তিনি বলেছিলেন তারা যেন অবশ্যই খ্রীষ্টে নির্ভর করেন, তা না হলে শেষ বিচারের সময় তাদের তিনি বিচারিত করিবেন। খ্রীষ্ট, তিনি জীবিত রয়েছেন। এই পৃথিবীর বিচার করার জন্য তিনি ফিরে আসছেন। আপনি কি প্রস্তুত ? আপনার পাপ কি ধৌত হয়েছে ? খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা পরিষ্কার হয়েছে ?

আরেয়পাগে প্রেরিত পলের বক্তৃতার ফলাফলটা কি ছিল ? তার বক্তৃতার প্রতি সেখানে তিনটি প্রতিক্রিয়া ছিল,

“ তখন মৃতগণের পুনরুত্থানের কথা শুনিয়া কেহ কেহ উপবাস করিতে লাগিল; কিন্তু আর কেহ কেহ বলিল, আপনার কাছে এ বিষয় আর একবার শুনিব! এই রুপে পল তাদের মধ্য হইতে প্রস্থান করিলেন। কিন্তু কোন কোন ব্যাক্তি তাহার সঙ্গ ধরিল ও বিশ্বাস করিল; তাহাদের মধ্যে আরেয়পাগীয়, দায়োনিসিয়ুস এবং দামারিস নাম্নী এক নারী ও তাহাদের সহিত আরো কয়েকজন ছিলেন”। (প্রেরিত১৭ঃ২২-৩৪)

এদের মধ্যে কেউ কেউ বুদ্রুপ করেছিলেন বা হেসেছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছিলেন ‘এই বিষয়গুলো আমরা পরে আবার শুনবো’। ইহার বিষয়ে যথেষ্ঠ ভাবে শোনার প্রয়োজন আমাদের রয়েছে এবং ইহার বিষয়ে চিন্তা করার দরকারও রয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার সেখানেই তাকে বিশ্বাস করেছিলেন ও পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন। আমরা প্রার্থনা করি আজকে রাত্রিবেলা আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ রয়েছেন তারা পাপ পূর্ণ জীবন ধারা থেকে মন পরিবর্তন করবেন এবং যীশুর উপরে নির্ভর করবেন ও তাঁর দ্বারা পরিত্রাণ লাভ করবেন এবং তাঁর বহুমূল্য রক্তের দ্বারা ধৌত হয়ে পরিষ্কৃত হবেন। আর তাহলেই আপনি ঈশ্বরের প্রতি পুণস্থাপিত হবেন। আর তখনই আপনি নিজে থেকে জানতে পারবেন চীনের প্রাচীনতম ঈশ্বর সাঙ –তাই , স্বর্গের সেই রাজাকে ! খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করার জন্য আমরা আপনাকে উৎসাহ প্রদান করছি। তিনি আপনাকে সেই শান্তি এবং আনন্দ ও প্রত্যাশা প্রদান করবেন যার বিষয়ে আপনি আগে কোন সময়েই উপলব্ধি করতে পারেন নি। আর আমরা আপনাকে উৎসাহ প্রদান করি আগামী কাল এই মন্ডলীতে ফিরে আসার জন্য। আগামীকাল সকাল ১০-৩০ মিনিটে আমাদের মধ্যে আরো একটি ব্যাংকুইট থাকবে এবং তৃতীয় যে ব্যাংকুইট সেটি অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল সন্ধ্যাবেলা ৬-৩০ মিনিটে। তাই ফিরে আসুন ও কৌতুক ও সহযোগীতায় আংশ গ্রহণ করুন।

যারা যীশুখ্রিষ্টে নির্ভর করতে ও পরিত্রাণ লাভ করতে চান তাদের যে কোন ব্যাক্তির সঙ্গে কথা বলার জন্য আমি প্রস্তুত। তা করার জন্য আমাদের ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করুন। আমেন!!

ঈশ্বর যিনি এই চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন সেই চাঁদের হাটের
বিষয়ে পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন !

‘ঈশ্বর কেন চীনকে আশীর্বাদ করেছেন ও আমেরিকাকে দণ্ড / বিচার করেছেন’
সেই বিষয়ে পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন !

‘চীন দেশের কৃতকার্যতার গোপন তথ্য’ পড়ার জন্য এখানে
ক্লিক করুন !

‘চীনের সেই উন্মুক্ত দরজা’ সম্বন্ধে জানার জন্য
এখানে ক্লিক করুন !

‘চীন দেশে ঈশ্বরের আত্মায় মুদ্রাঙ্কিত’ পড়ার জন্য
এখানে ক্লিক করুন !

‘চীন – তারা পুর্ব দেশ হইতে আসিবে’ পড়ার জন্য এখানে
ক্লিক করুন !

‘চীনের ধন্যবাদ’ পড়ার জন্য এখানে ক্লিক করুন !

বক্তৃতার সমাপ্তি
ইন্টারনেটে www.realconversion.com. প্রতি সপ্তাহে আপনি ডাঃ হাইমারের বক্তৃতা
পড়িতে পারেন। ক্লিক করুন “বাংলায় বক্তৃতা”

You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may
write to him at P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015. Or phone him at (818)352-0452.

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন ডাঃ ক্রিঘটন এল.চানঃ
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথ ঃ
“Praise, My Soul, the King of Heaven” (by Henry F. Lyte, 1793-1847).