Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




আপনি কি খ্রীষ্টের নিকট আসিয়াছেন ?

HAVE YOU COME TO CHRIST?
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

2003 সালের, 9ই নভেম্বর, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, November 9, 2003

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|


খ্রীষ্টের সময়ে ধর্মীয় নেতারা পুরানো নিয়মের শাস্ত্রটি অতি যত্নে অধ্যয়ন করেছিলেন| কিন্তু খ্রীষ্টের বিষয়ে শাস্ত্রে যা বলা হয়েছে সেই সত্য তারা উপলব্ধি করেননি - আর সেইজন্যে, তারা খ্রীষ্টের কাছে আসেননি, এবং তাঁর মাধ্যমে পরিত্রাণ গ্রহণ করেননি| তাদের মধ্যে একটা সাধারণ প্রবাদ চালু ছিল, ‘‘যাহার নিকটে ব্যবস্থার বাক্য আছে তাহার নিকটে অনন্ত জীবন আছে’’ (ম্যাথিউ হেনরী, যোহন 5:39 পদের টীকা)| কিন্তু যীশু বলেছিলেন যে শাস্ত্র তাঁর সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেয়,

‘‘তোমরা শাস্ত্র অনুসন্ধান করিয়া থাক, কারণ তোমরা মনে করিয়া থাক যে, তাহাতেই তোমাদের অনন্ত জীবন রহিয়াছে; আর তাহাই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়; আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:39-40)|

তারা শাস্ত্রের বাক্যে, বিশ্বাস করতেন কিন্তু তারা ঐসব শাস্ত্রে যে খ্রীষ্টের কথা বলা হয়েছে তাতে বিশ্বাস করতেন না| ডঃ ওয়ালভোর্ড বলেছিলেন, ‘‘অনুরূপে বর্তমানে বহু লোক মনে করেন যে বাইবেল অধ্যয়নই ইহার শেষ’’ (ওয়ালভোর্ড ও জুক, The Bible Knowledge Commentary, ভিক্টর বুকস, 1984, সংস্করণ II, পৃষ্ঠা 292)|

তারা বাইবেলের কাছে এসেছিলেন, এবং বাইবেলের বাক্যগুলি বিশ্বাস করেছিলেন - কিন্তু তারা খ্রীষ্টের কাছে আসেননি এবং তাঁকে বিশ্বাস করেননি|

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|

সেখানে পতিত মানবজাতির মধ্যে একটা ভয়ঙ্কর প্রবণতা ছিল খ্রীষ্ট ছাড়া অন্য কিছুর কাছে আসার, খ্রীষ্ট ছাড়া অন্য কিছুতে বিশ্বাস করার|

‘‘লোকে যাহা হইতে মুখ আচ্ছাদন করে’’ (যিশাইয় 53:3)|

‘‘তাহাদের প্রাণও আমাকে ঘৃণা করিল’’ (সখরিয় 11:8)|

‘‘তাহাতে তাহারা চেঁচাইয়া কহিল, দূর কর, দূর কর’’ (যোহন 19:15)|

এইভাবেই সমগ্র মানবজাতি খ্রীষ্টের সঙ্গে আচরণ করত| ঈশ্বরের অনুগ্রহ বাদে, এইভাবে বা অন্য কোনভাবে, মানবজাতি সম্পর্কে এইরকম বলা যেতে পারে,

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|

ঈশ্বরের অনুগ্রহ ছাড়া, কোন মানুষ কখনও খ্রীষ্টের কাছে আসেন না| যীশু বলেছিলেন,

‘‘পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না’’ (যোহন 6:44)|

আজকের সন্ধ্যাতে ঈশ্বর কি আপনাকে আকর্ষণ করছেন? আপনি কি অনুভব করছেন যে আপনার খ্রীষ্টের প্রয়োজন আছে? আপনি কি অনুভব করেন যে তাঁকে ছাড়া আপনি দিশাহারা? যদি আপনি তা মনে করছেন, তবে ঈশ্বর আপনাকে আপনার ভ্রান্ত ধারণাগুলি থেকে, খ্রীষ্ট স্বয়ং এর প্রতি আকর্ষণ করছেন| আমি যা বলছি মন দিয়ে শুনুন, আপনার সব ভ্রান্ত ধারণা বিসর্জন দিন, আর খ্রীষ্টের কাছে আসুন| এখনও পর্যন্ত, আপনি খ্রীষ্টের কাছে আসেননি| এখনও পর্যন্ত, খ্রীষ্ট আপনাকে বলেছেন,

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|

I. প্রথমত, খ্রীষ্টের কাছে আসার পরিবর্তে লোকেরা কি করেন |

পঞ্চসপ্তমী বা ক্যারিসমেটিক পটভূমিকাবিশিষ্ট লোকেরা প্রায়ই ভেবে নেন যে অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির মাধ্যমে পরিত্রাণ লাভ হয়ে থাকে| সেই ‘‘পবিত্র আত্মা’’ প্রায়শই ঈশ্বর ও মানুষের মধ্যস্থতাকারী ব্যক্তি হিসাবে খ্রীষ্টের স্থান গ্রহণ করেন (দেখুন I তীমথিয় 2:5)| যীশু, বাস্তবে, প্রায়ই সেই "পবিত্র আত্মা" দ্বারা প্রতিস্থাপিত হন|

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|

রোমান ক্যাথলিক পটভূমিকার লোকদের ঝোঁক হল প্রায়শ্চিত্ত - পাপের নিদারুণ মর্মবেদনা, পাপের স্বীকারোক্তি, এবং উত্তম কাজকর্ম ইত্যাদি ক্রিয়ার দ্বারা খ্রীষ্টকে প্রতিস্থাপিত করা| একের পর এক নিজেদের কৃত পাপের স্বীকারোক্তি দিয়ে, অথবা দিন প্রতিদিন খ্রীষ্টকে অনুসরণ করে তারা উদ্ধার লাভের চেষ্টা করে থাকেন| খ্রীষ্টের পরিবর্তে এইসব মানবীয় কাজকর্ম|

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|

বিশ্বের অন্যান্য ধর্মের পশ্চাদপট থেকে আগত লোকেরা, যেমন বৌদ্ধধর্মাবলম্বী, হিন্দুধর্মাবলম্বী, ইসলাম ধর্মাবলম্বী, ইহুদী ধর্মাবলম্বী ইত্যাদি, বিশ্বাস করেন যে পরিত্রাণ খ্রীষ্টের উপরে নির্ভর করে না| তারা হয়ত খ্রীষ্টকে মুখে বলেন ‘‘একজন বিখ্যাত ভাববাদী’’ কিন্তু তারা বিশ্বাস করেন না যে খ্রীষ্ট একাই তাদের পরিত্রাণ করতে পারেন| মুক্তির জন্যে তারা ‘‘একটি উত্তম জীবন’’ অতিবাহিত করার উপরে সাধারণভাবে নির্ভরশীল হন|

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|

ব্যাপটিষ্ট এবং সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারকদের মধ্যেও খ্রীষ্ট ছাড়া অন্য কিছুর উপরে বিশ্বাস স্থাপনের ঝোঁক দেখা যায়| ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছিলেন,

সহস্রাধিক মন্ডলী সদস্য অপরিত্রাণপ্রাপ্ত, পুনর্জন্মহীন পাপী অবস্থাতে ঈশ্বরের ক্রোধের তলে বসবাস করিতেছেন| বর্তমানে নরকে অগণিত সহস্রাধিক...গোঁড়া ব্যাপটিষ্ট রহিয়াছেন...যাহারা [নরকে] গিয়াছেন, কখনও প্রকৃতভাবে পরিত্রাণ লাভ করেন নাই| [তাহারা] পথ হারাইয়াছেন, তাহাদের নিকটে মিথ্যা আশা রহিয়াছে এবং এখন তাহারা নিদারুণ যন্ত্রণার মধ্যে অবস্থান করিতেছেন (Dr. John R. Rice, Religious But Lost, Sword of the Lord, 1939, p. 8) |

এরপরে ডঃ রাইস বলেছেন,

বহুকাল যাবৎ ইহা বাইবেলে প্রতিপালিত হইয়া আসিতেছে, ইহা স্পষ্ট যে কাহারও পক্ষে প্রতারিত হইবার এবং একটি মিথ্যা আশার উপরে নির্ভর করিবার প্রকৃত বিপদ এইস্থানে রহিয়াছে, সর্বশেষে শুধুমাত্র ইহা আবিস্কার করিতে যে তিনি চিরতরে হারাইয়া গিয়াছেন (আইবিড.)|

ব্যাপটিষ্ট এবং সুসমাচার সংক্রান্ত ব্যক্তিরা প্রায়ই খ্রীষ্টের তুলনায় বরং ‘‘পাপীর প্রার্থনা’’তে বেশি বিশ্বাস রাখেন| তারা বলেন, ‘‘আমাকে উদ্ধার করার জন্যে আমি তাঁকে বলেছি| সেটাই কি যথেষ্ট নয়?’’ না, তা যথেষ্ট নয় ! পরিত্রাণ লাভ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই খ্রীষ্টের কাছে আসতে হবে! আপনি অবশ্যই আপনার নিজের প্রার্থনাতে বিশ্বাস করবেন না! আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বরের পুত্রকে বিশ্বাস করতে হবে! খ্রীষ্ট বলেননি যে আপনি তাঁর কাছে যাচ্ঞা করুন| তিনি তাঁর কাছে আসতে বলেছিলেন| খ্রীষ্ট বলেছিলেন,

‘‘হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব’’ (মথি 11:28)|

তাঁর কাছে আসার চাইতে বরং, তাঁর কাছে যাচ্ঞা করে আপনি প্রতারিত হয়েছেন!

অন্যেরা খ্রীষ্টের কাছে না এসে, বরং বাইবেল কি বলছে তাতে বিশ্বাসের দ্বারা প্রতারিত হচ্ছেন| তারা বাইবেলে স্থিত ‘‘পরিত্রাণের পরিকল্পনা’’ জানেন| তারা জানেন যে তাদের করা সমস্ত পাপের জন্যে খ্রীষ্ট মৃত্যুবরণ করেছিলেন| তারা জানেন যে তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| তারা বাইবেলের সেই সব সত্য ঘটনাগুলি বিশ্বাস করেছেন, কিন্তু তারা কখনও যীশু, স্বয়ং এর কাছে আসেননি| যেমন ডঃ ওয়ালভোর্ড বলেছিলেন, ‘‘বর্তমানে বহু লোক মনে করেন যে বাইবেল অধ্যয়নই ইহার শেষ|’’

কিভাবে আপনি নিজেকে ঐ ফরিশিদের থেকে আলাদা করছেন? যীশু তাদের প্রতি বলেছিলেন,

‘‘তোমরা শাস্ত্র অনুসন্ধান করিয়া থাক, কারণ তোমরা মনে করিয়া থাক যে, তাহাতেই তোমাদের অনন্ত জীবন রহিয়াছে; আর তাহাই আমার বিষয়ে সাক্ষ্য দেয়; আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:39-40)|

এইগুলি হচ্ছে, সেইসময়ের, অনেকগুলি কাজকর্মের মধ্যে কয়েকটি যা লোকেরা খ্রীষ্টের কাছে আসার পরিবর্তে করতেন| এটা কি সম্ভব যে আপনি এই ধরনের ভুল করেছেন?

II. দ্বিতীয়ত, খ্রীষ্টের কাছে আসার পরিবর্তে অন্য পথ কেন আপনাকে উদ্ধার করবে না |

আপনার শেষ বিচারের সময়ে, যখন আপনি ঈশ্বরের সিংহাসনের সামনে দাঁড়াবেন, যীশু আপনাকে বলবেন,

‘‘আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই; হে অধর্ম্মাচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও’’ (মথি 7:23)|

কেন তিনি আপনাকে তাঁর থেকে দূর হয়ে নরকের অগ্নিশিখার দিকে যেতে বলবেন? কারণ ‘‘আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই|’’ তিনি কখনও আপনাকে জানেননি তার কারণ এই যে আপনি কখনও তাঁর কাছে আসেননি ! এটা এতই সহজ!

একটি প্রার্থনার বাক্য বলার দ্বারা অথবা বাইবেলে স্থিত কিছুতে বিশ্বাস স্থাপনের দ্বারা আপনি পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করেছেন| কিন্তু সেইসব জিনিষ কাউকে পরিত্রাণ দেয় না| বাইবেল বলছে,

‘‘তখন তাহারা তাঁহাকে কহিল, আমরা যেন ঈশ্বরের কার্য্য করিতে পারি, এ জন্য আমাদিগকে কি করিতে হইবে? যীশু উত্তর করিয়া তাহাদিগকে কহিলেন, ঈশ্বরের কার্য্য এই, যেন তাঁহাতে তোমরা বিশ্বাস কর, যাঁহাকে তিনি প্রেরণ করিয়াছেন’’ (যোহন 6:28-29)|

একমাত্র ‘‘কার্য্য’’ যা গ্রহণযোগ্য তা হল যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন! ‘‘যীশুর উপরে বিশ্বাস করা’’ হচ্ছে ‘‘যীশুর কাছে আসুন’’ বলার আর একটি উপায়| ‘‘যীশুর উপরে বিশ্বাস করা’’ এবং ‘‘তাঁর কাছে আসা’’ হচ্ছে একই কথা বলার দুটি ভিন্ন উপায়| যীশু বলেছেন,

‘‘পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না, আর আমি তাহাকে শেষ দিনে উঠাইব| ভাববাদিগণের গ্রন্থে লেখা আছে, ‘‘তাহারা সকলে ঈশ্বরের কাছে শিক্ষা পাইবে|’’ যে কেহ পিতার নিকটে শুনিয়া শিক্ষা পাইয়াছে, সেই আমার কাছে আইসে| কেহ যে পিতাকে দেখিয়াছে, তাহা নয়; যিনি ঈশ্বর হইতে আসিয়াছেন, কেবল তিনিই পিতাকে দেখিয়াছেন| সত্য, সত্য, আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে’’ (যোহন 6:44-47)|

এই অধ্যায়ে, আমরা দেখছি যে, যীশুর কাছে আসা এবং যীশুকে বিশ্বাস করা হচ্ছে সহজভাবে একই কথা বলার দুটি পৃথক পথ| এখন, আপনার কাছে আমার প্রশ্ন হল - আপনি কি যীশুর কাছে এসেছেন ? আপনি কি তাঁর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করেছেন ?

আর কিছুই নয় কেবলমাত্র যীশুর কাছে আসলেই তার ফলস্বরূপ পরিত্রাণ পাওয়া যাবে - কারণ যীশু ছাড়া আর কেউই আপনাকে উদ্ধার করতে পারেন না! যীশু ব্যতীত আর কেউ আপনার পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেননি | আপনাকে অনন্ত জীবন দান করতে যীশু ব্যতীত আর কেউ মৃত্যু থেকে শারীরিকভাবে পুনরুত্থিত হননি |

‘‘আর অন্য কাহারও কাছে পরিত্রাণ নাই ; কেননা আকাশের নীচে মনুষ্যদের মধ্যে দত্ত এমন আর কোন নাম নাই, যে নামে আমাদিগকে পরিত্রাণ পাইতে হইবে’’ (প্রেরিত 4:12)|

আপনাকে অবশ্যই যীশুর কাছে আসতে হবে নয়তো আপনি পরিত্রাণ পাবেন না| অন্য সমস্ত প্রণালী, অন্য সমস্ত পথ, নরকের দিকে ধাবিত হয়| কিন্তু এখনও অবধি আপনি তাঁর কাছে আসেননি, এসেছেন কি? তাঁর সম্বন্ধে বাইবেলে কি বলা হয়েছে তার সবই আপনি বিশ্বাস করেছেন| এমনকি তাঁর কাছে আপনার উদ্ধার যাচ্ঞা করেছেন| কিন্তু আপনি এখনও তাঁর কাছে আসেননি - এসেছেন কি?

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর না’’ (যোহন 5:40)|

III. তৃতীয়ত, কিভাবে জানা যাবে যে আপনি খ্রীষ্টের কাছে এসেছেন কি না |

আপনি হয়তো বলেন, ‘‘আমি খ্রীষ্টের কাছে এসেছি কি না তা আমি জানি না| কিভাবে আমি তা বলতে পারি?’’ এটা বলার উপায় II করিন্থীয় 13:5 পদে দেওয়া আছে| প্রেরিত পৌল বলেছেন,

‘‘আপনাদের পরীক্ষা করিয়া দেখ, তোমরা বিশ্বাসে আছ কি না; প্রমাণার্থে আপনাদেরই পরীক্ষা কর...’’ (II করিন্থীয় 13:5)|

এই পদের সম্পর্কে, স্পারজিওন বলেছিলেন,

আপনি নিজেকেই পরীক্ষা করুন কেননা যদি আপনি কোন ভুল করিয়া থাকেন, তাহা হইলে এই জগৎ ব্যতীত অন্য কোন স্থানে আপনি ইহা কখনও সংশোধন করিতে পারিবেন না...আমি আমার আত্মাকে নরকের অগ্নিশিখাতে নিক্ষিপ্ত হইতে দিতে পারি না| যদি আমরা আমাদের স্বয়ংকে পরীক্ষা না করি, তাহা হইলে কি এক ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে দিয়াই না আপনি ও আমি চলিতেছি! ইহা এক অনন্তকাল স্থায়ী বিপদ; ইহা হইতেছে স্বর্গ অথবা নরকের এক বিপদ, ঈশ্বরের অনন্তকালীন অনুগ্রহ অথবা তাঁর অনন্তকাল স্থায়ী অভিশাপের এক বিপদ| সেই প্রেরিত হয়তো ভাল বলিয়াছেন, ‘‘আপনাদের পরীক্ষা করিয়া দেখ’’ (C. H. Spurgeon, “Self Examination,” The New Park Street Pulpit, Pilgrim Publications, 1981 reprint, volume IV, p. 429) |

ডঃ জে. ভারন্ন ম্যাকগী II করিন্থীয় 13:5 পদের বিষয়ে এই মন্তব্য করেছিলেন,

পৌল বলিতেছেন যে আমরা বিশ্বাসে আছি কি না তাহা দেখিতে আমাদের উচিৎ নিজেদেরকেই পরীক্ষা করিয়া দেখা| এই বিষয়ের সম্মুখীন হইতে আমাদের রাজি থাকা উচিৎ (J. Vernon McGee, Thru the Bible, Thomas Nelson, 1983, volume V, p. 145) |

এসাহেল নেটলিটন, দ্বিতীয় মহা জাগরনের মুখ্য সুসমাচার সংক্রান্ত প্রচারক, বলেছিলেন,

[আত্ম পরীক্ষার] এই কার্য্যে, ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকের অবশ্যই নিজ নিজ বিচারে বসা উচিৎ| বিশ্বস্তভাবে আপনার আত্মার সহিত আদানপ্রদান করুন| কিছুই না থাকা অপেক্ষা মিথ্যা আশা পোষণ করা সর্বাপেক্ষা মন্দ| একটি ভুল এই গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত্তে ভয়ঙ্কর উদ্বিগ্নতা বহন করিয়া আনে| পাছে আপনি আপনার ভুল অতি বিলম্বে আবিস্কার করেন, সেই কারণে উত্তমরূপে পরীক্ষা করুন সেই ভিত্তি যাহার উপরে আপনি আপনার স্বর্গলাভের আশা স্থাপন করিয়াছেন (Asahel Nettleton, Sermons From the Second Great Awakening, International Outreach, 1995 reprint, pp. 323, 333) |

পিছন ফিরে দেখুন এবং আপনার পরিত্রাণের মুহূর্তটি সম্বন্ধে চিন্তা করুন| আপনি কি খ্রীষ্টের কাছে এসেছিলেন ? অথবা আপনি অন্য কিছু করেছিলেন ? যেমন ডঃ নেটলিটন বলেছিলেন, ‘‘উত্তমরূপে পরীক্ষা করুন সেই ভিত্তি যাহার উপরে আপনি আপনার স্বর্গলাভের আশা স্থাপন করিয়াছেন|’’ আপনি কি প্রকৃতপক্ষে খ্রীষ্টের কাছে এসেছিলেন? আপনার সব আশার ভিত্তি কি খ্রীষ্ট, স্বয়ং? যদি আপনি সেদিন খ্রীষ্টের কাছে ফিরে না এসে থাকেন, তাহলে আজ রাত্রে আপনাকে তাঁর কাছে আসতেই হবে| যীশু বলেছিলেন,

‘‘যে আমার কাছে আসিবে, তাহাকে আমি কোন মতে বাহিরে ফেলিয়া দিব না’’ (যোহন 6:37)|

যীশু বলেছিলেন,

‘‘হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব’’ (মথি 11:28)|

আমার আশার ভিত্তি যীশুর রক্ত ও তাঁর ধার্ম্মিকতা ছাড়া অন্য কিছুর উপর নয়|
আমি দুঃসাহসী নই সুমধুর গঠন বিশ্বাস করতে, কিন্তু সম্পূর্ণভাবে যীশুর নামে আসক্ত|
আমি দৃঢ় পাষাণ খ্রীষ্টে, আছি; অন্য সব মৃত্তিকা ডুবন্ত বালি,
অন্য সব মৃত্তিকা ডুবন্ত বালি|
      (“The Solid Rock” by Edward Mote, 1797-1874) |


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন ডঃ ক্রেইগটন এল. চান: যোহন 5:39-47 |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“The Solid Rock” (by Edward Mote, 1797-1874) |


খসড়া চিত্র

আপনি কি খ্রীষ্টের নিকট আসিয়াছেন ?

HAVE YOU COME TO CHRIST?

লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র

‘‘আর তোমরা জীবন পাইবার নিমিত্ত আমার নিকটে আসিতে ইচ্ছা কর
না’’ (যোহন 5:40)|

(যোহন 5:39; যিশাইয় 53:3; সখরিয় 11:8; যোহন 19:15; 6:44)

I.   প্রথমত, খ্রীষ্টের কাছে আসার পরিবর্তে লোকেরা কি করেন, I তীমথিয় 2:5;
মথি 11:28 |

II.  দ্বিতীয়ত, খ্রীষ্টের কাছে আসার পরিবর্তে অন্য পথ কেন আপনাকে উদ্ধার
করবে না, মথি 7:23; যোহন 6:28-29, 44-47; প্রেরিত 4:12 |

III. তৃতীয়ত, কিভাবে জানা যাবে যে আপনি খ্রীষ্টের কাছে এসেছেন কি না,
II করিন্থীয় 13:5; যোহন 6:37 |