Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




আমেরিকা কেন বাইবেলের ভাববাণীর মধ্যে নেই

(ধর্ম্মোপদেশটি রবিবার “RIGHT TO LIFE”এ প্রচারিত হয়েছিল)
WHY AMERICA IS NOT IN BIBLE PROPHECY
(A SERMON PREACHED ON “RIGHT TO LIFE” SUNDAY)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ১৮ই জানুয়ারী, সদাপ্রভুর একটি দিনে সকালবেলায় লস্ এঞ্জেলসের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Morning, January 18, 2015

“তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, আমার প্রজা ইস্রায়েলের কাছে পরিণাম আসিল; আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না| সেইদিন প্রাসাদের গানসকল হাহাকার হইয়া যাইবে, ইহা সদাপ্রভু বলিলেন: শব অনেক; লোকে সকল স্থানে সেইসকল ফেলিয়া দিয়াছে চুপ” (আমোষ ৮:২-৩)|

“আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না|” ডঃ সি. এফ. কেইল বলেছেন যে এর মানে হল, “কোন একজন তাহাকে লক্ষ্য করা ছাড়াই অমনি ছাড়িয়া যায়, তাহার দোষের প্রতি দেখা ছাড়াই অথবা তাহাকে শাস্তিদান করা ছাড়াই; এই কারণে সে নিষ্কৃতি দেয়” (Keil and Delitzsch)| কিন্তু ডঃ জন গিল এর আরও বিচারমূলক অর্থ ব্যক্ত করেছিলেন, “এখন তাহাদিগের জন্য একটি চরম নিষ্পত্তি স্থাপন করিয়াছেন” (Jhon Gill)| ডঃ চার্লস জন এলিকট আরও যোগ করেছিলেন যে, “একটি সময় আসিবে যখন প্রার্থনা কোন সহায়ক হইবে না| সমস্ত মধ্যস্থতাগুলি, উহা যতই আবেগপ্রবণ অথবা তীব্র আকাঙ্খিত হউক না কেন, তাহাতে দেরী হইয়া যাইবে| অনুগ্রহের দুয়ার বন্ধ হইয়াছে” (Ellicot’s Commentary on the Whole Bible)| এবং ম্যাথু হেনরী পাঠ্যাংশের বিষয় এইভাবে প্রয়োগ করেছেন, “ঈশ্বরের সহিষ্ণুতা, যাহা পাপের বিরুদ্ধে দীর্ঘ সময় ধরিয়া, পাপ…চলিয়া যাইবে; এবং এমন এক সময় আসিবে যখন যাহারা এতদিন যাবৎ প্রায়ই নিস্তার পাইয়া আসিতেছিল তাহারা আর নিস্তার পাইবে না| আমার আত্মা সদাসর্বদা আর কঠোরভাবে চেষ্টা করিবে না| বার বার দন্ডদানকার্য্য স্থগিত রাখিলেও, তথাপি কার্য্য সম্পাদনের একটি দিন আসিবে” (Matthew Henry’s Commentary)|

আমোষ বলেছিলেন যে রাজা যারবিয়াম তলোয়ারের আঘাতে মারা যাবেন, আর ইস্রায়েলের লোকেরা দাস হিসাবে, অসূরীয়াতে বন্দী হবে| আমোষ বলেছিলেন যে ঈশ্বর তাকে বলেছেন, “আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না|” এটাই হল কথা! তারা লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল! অনুতাপ করার পক্ষে বড় দেরী হয়ে গিয়েছিল! প্রার্থনা করার পক্ষে খুব দেরী হয়ে গিয়েছিল! ইস্রায়েলকে রক্ষা করার পক্ষে খুব দেরী হয়ে গিয়েছিল! ঈশ্বরের বিচার ছিল চূড়ান্ত –

“তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, আমার প্রজা ইস্রায়েলের কাছে পরিণাম আসিল…আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না” (আমোষ ৮:২)|

এই পাঠ্যাংশের দুটি প্রয়োগ আছে| প্রথম, এটা একটা জাতির প্রতি প্রয়োগ করা হয়| ইস্রায়েল জাতির প্রতি, ঈশ্বর বলেছেন,

“আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না|”

দ্বিতীয়, এটা একজন ব্যক্তির প্রতি প্রয়োগ করা হয়| অমৎসিয়ের প্রতি, সেই ভ্রান্ত যাজক যিনি আমোষের বিরোধীতা করেছিলেন, ঈশ্বর বলেছেন, “তুমি নিজে অশুচি দেশে মরিবে, আর ইস্রায়েল স্বদেশ হইতে অবশ্যই নির্বাসিত হইবে” (আমোষ ৭:১৭)| সেখানে জাতির জন্য বিচার ছিল – আর একইভাবে এক ব্যক্তির জন্যও বিচার ছিল|

“আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না|”

১| প্রথম, এই পাঠ্যাংশ আমেরিকা এবং পাশ্চাত্য জগতের প্রতি প্রয়োগ হয়েছে |

“আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না” (আমোষ ৮:২)|

কেউ একজন বলেন, “ডঃ হাইমার্স, আপনি কী নিশ্চিত?” হ্যাঁ, আমি নিশ্চিত! আমরা পাপ করে অনুগ্রহের দিন হারিয়েছি, ঈশ্বর আমাদেরকে আর ছেড়ে যাবেন না| আমি নিশ্চিতভাবে অনুভব করি যে এইরকমটাই আমেরিকার প্রতি ঘটেছে!

একজন স্বাধীন ব্যপটিষ্ট মানুষের লেখা একটি ব্লগ আমি ইন্টারনেটে পড়ছি| তিনি এক চালাকচতুর লোক| তিনি বেশ কয়েকটি বিষয়ে সঠিক কথা লিখেছেন| কখনও কখনও তার চিন্তা ভাবনাগুলি বেশ আকর্ষণীয় ও সাহায্যকারী| কিন্তু যখন তিনি প্রথম মহা জাগরণের আগের আমেরিকা এবং পাশ্চাত্যের তুলনা করেছিলেন ইংল্যান্ডের সঙ্গে তখন তিনি খুব ভুল করেছিলেন| আমি তার উত্তর দিচ্ছি কারণ তিনি এক মিথ্যা আশা দিয়েছিলেন যেটা অন্য লোকেরাও দেয় বলে আমি শুনেছি – আর এর উত্তর অবশ্যই দেওয়া উচিৎ| সেই মিথ্যা আশা হল এই যে – ইংল্যান্ডের সেই পাপপূর্ণ অবস্থা প্রথম মহাজাগরণকে বন্ধ করেনি (the Wesley/Whitefield revival)| সেই কারণে (তিনি যুক্তি দিচ্ছেন) আমেরিকা এবং পাশ্চাত্যের সেই পাপ আমাদের দেশে এবং আমাদের বন্ধু দেশগুলিতে উদ্দীপনা পাঠানো থেকে ঈশ্বরকে বিরত করবে না| সেই ব্যপটিষ্ট ব্লগ-লেখক তার প্রবন্ধ শেষ করেছেন এই বলে, “আসুন আমরা প্রার্থনা করি ও কাজ করি শেষ অবধি, এবং ঈশ্বরের নিকট ইহা [উদ্দীপনা] আনিবার জন্য মিনতি করি|”

এটা শুনতে আমার কাছে খুব বোকা বোকা আর অর্থহীন লাগছে| আমার জীবনভর আমি এইরকম কথা শুনে এসেছি| আমি মনে করি না যে সেই লোকটি খুব চিন্তাশীল| তিনি বলছেন প্রার্থনা করতে| প্রাচীনকালের মেথডিষ্টদের মতন, তিনি কি গোটা রাত ধরে প্রার্থনা-সভা করতে রাজী আছেন? তার মন্ডলী কী সেইরকম করবে? তিনি কি জানেন এমন কোন একটি মন্ডলীর কথা যারা এইরকম করবে? তারা কি হোয়াইটফিল্ড এবং ওয়েসলীর লোকেরা যেরকম করেছিল সেইরকমভাবে উপবাস এবং প্রার্থনা করবে? তার মন্ডলী কি উপবাস করার আহ্বান জানাবে? তিনি কি জানেন এমন কোন মন্ডলীকে, যে কোনখানের, যারা উপবাস করবে? তিনি কি “সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ”এর বিরুদ্ধে প্রচার করবেন, এবং সহজভাবে বলবেন বেশিরভাগ স্বাধীন ব্যপটিষ্টরা হারিয়ে গেছে, তারা কখনো মন পরিবর্তন করেনি, তারা নতুন জন্মপ্রাপ্ত নয় - যেমন হোয়াইটফিল্ড এবং ওয়েসলী তাদের মন্ডলীর লোকেদের প্রতি করেছিলেন? তার পালক কি সেটা করবেন? তিনি কি কোন স্বাধীন ব্যপটিষ্টকে, বা সাউদার্ণ ব্যপটিষ্ট পালককে জানেন, যিনি সেরকম করবেন? তিনি কি এমন কোন পালককে জানেন যিনি নিজেকে সমস্ত মন্ডলী থেকে সরিয়ে রাখতে চাইবেন, ঠিক যেমনভাবে ওয়েসলী এবং হোয়াইটফিল্ড নিজেদের সরিয়ে রেখেছিলেন? তিনি এমনকী মাত্র একজন পালকের বিষয়েও কি জানেন যিনি এই সমস্ত ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে পারেন? তিনি নিজেও কি এইরকম করতে পারবেন? সেই ধরনের প্রচারই শুধুমাত্র আজকের দিনে প্রকৃত উদ্দীপনায় ব্যবহার করা যেতে পারে| তিনি এমন কোন প্রচারকদের কি জানেন যারা এইরকম প্রচার করতে পারবেন? পল ওয়াশারের বিষয়ে আমাকে বলবেন না! যে ধরনের প্রচারের প্রয়োজন আছে তার প্রচার সেটার অর্দ্ধেকও নয়!

এরপর আমাদের ব্লগ লেখক বন্ধুটি বলছেন, “আসুন আমরা প্রার্থনা করি এবং কাজ করি শেষ অবধি” [উদ্দীপনা]| কোন ধরনের কাজ করার কথা তার মনে হয়েছে? জেরী ফলওয়েল একটা জিনিস বলেছিলেন যা ছিল চরম সত্য| জেরী ফলওয়েল বলেছিলেন, “গর্ভপাত হচ্ছে আমেরিকার জাতীয় পাপ|” ওহ, হ্যাঁ, সেই বিষয়ে জেরী ফলওয়েল ছিলেন প্রকৃতভাবে সঠিক! নিশ্চয়ই, মিঃ ব্লগ-লেখক, “শেষ অবধি কাজ করুন” এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে অজাতদের হত্যা বন্ধ করার কাজ! মিঃ ব্লগ-লেখক, আপনি কি সেইরকম “কোন কাজ শেষ পর্যন্ত” করেছেন? আপনি কি কোন ব্যপটিষ্ট পালকদের জানেন যারা “সেই শেষ পর্য্যন্ত কাজ” করেছেন? আপনি কি কোন ব্যপটিষ্ট মন্ডলীকে জানেন যেটা গর্ভপাত ক্লিনিকগুলি বন্ধ করছে? আপনি কি এইগুলির একটিকেও জানেন যেটা “সেই শেষ পর্য্যন্ত কাজ” করছে? আমি জানি না| আমাদের নিজেদের মন্ডলী লস্ এঞ্জেলসের দুটি গর্ভপাত ক্লিনিক বন্ধ করে দিয়েছে| আমরা আইনসম্মত বিরোধ অবস্থানের মাধ্যমে দুটিকেই সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিয়েছি! যদি আমেরিকার অর্দ্ধেক ব্যপটিষ্ট মন্ডলীগুলি প্রত্যেকে দুটি করে গর্ভপাত ক্লিনিক বন্ধ করে দিত, তবে গর্ভপাত আর্ও অনেক আগেই বন্ধ হয়ে যেত| আমাদের সহকারী পালক, ডঃ কেগান এবং আমি, শতাধিক ক্যাথলিকদের সঙ্গে গর্ভপাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে বসেছিলাম, যখন অশ্বারোহী পুলিশেরা আমাদের ভয় দেখিয়েছিল, আর হাতে লাঠি নিয়ে আমাদের চারিদিকে ঘোড়ায় চড়ে ঘুরেছিল| মিঃ ব্লগ-লেখক, তখন ব্যপটিষ্টরা কোথায় ছিলেন? আমি একজনকেও দেখিনি! আমি শুধু দেখেছিলাম বয়স্ক সেবিকাদের এবং কয়েকটি ক্যাথলিক বিদ্যালয় থেকে আসা কিছু যুবককে| ব্যপটিষ্ট প্রচারকেরা তখন কোথায় ছিলেন? কোথায় ছিলেন সেই ব্যপটিষ্ট মহিলারা যারা সানডে স্কুলে শিক্ষা দিতেন? সেই মুখ্য, মাঝবয়সী ব্যপটিষ্ট মহিলারা যারা আমাদের মন্ডলী পরিচালনা করতেন এবং আমাদের প্রচারকদের উপরে ছড়ি ঘোরাতেন, তারা কোথায় ছিলেন? আমি তাদের একজনকেও দেখিনি! তারা কি এইসব গ্রাহ্য করতেন না? না, আমার মনে হয় না যে তারা এইসব বিষয় গ্রাহ্য করতেন! ব্লগ-লেখক যে মহা উদ্দীপনার কথা বলেছেন তাতে সেই মহিলারা, মোটেও ওয়েসলীর মহিলাদের মতন ছিলেন না|

আমেরিকা প্রতি বছর দশ লক্ষ শিশুকে হত্যা করে! আমরা জোর করে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে ৫৭ মিলিয়ন শিশুর ভ্রূণ হত্যা করেছি জানুয়ারী, ১৯৭৩ সাল পর্য্যন্ত| এখনও পর্য্যন্ত, প্রত্যেক আমেরিকান সুসমাচারমূলক “খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের” হাত থেকে ফোঁটা ফোঁটা করে রক্ত ঝরে পড়ছে| আমরা তাদের ৫৭ লক্ষ শিশুকে হত্যা করার সুযোগ দিয়েছি আর আমরা নিজেরা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মন্ডলীতে এক ঘন্টা ধরে বসে থেকেছি আর তেজস্বী বক্তৃতা শুনেছি! আমরা কোথায় ছিলাম যখন ৫৭ মিলিয়ন শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল? আমরা এতটাই প্রতারিত এবং অন্ধ ছিলাম যে আমরা যথাযথভাবে চিন্তা করেছিলাম যে জোয়েল অসটিনের অনুপ্রাণিত সহাস্য কথাবার্তার মাধ্যমে লোকেরা “পরিত্রাণ” পাচ্ছিল – কারণ তিনি কয়েকটি গল্প বলার পর একটি সুমধুর ছোট্ট তথাকথিত “পাপীদের প্রার্থনা” উপস্থাপিত করছিলেন এবং তার রসিকতার মাধ্যমে লোকদের হাসাচ্ছিলেন| কিন্তু সেই রসিকতা আমাদের উপর এসে পড়ল! কেউ পরিত্রাণ পেলেন না! কেউ না! কেউ না! কেউ না! কেউ না! কেউ না! কেউ না! সেই ধরনের প্রচার আমাদের জাতির বা আমাদের লোকেদের মন পরিবর্তন করে না! এবং এটা এখনও তাদের মন পরিবর্তন করবে না! ডঃ এ. ডব্লিউ. টোজার বলেছেন, “বর্তমান আমেরিকায় খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের ন্যায় আমাদের জানা একটি বহু বিস্তৃত উদ্দীপনা এক নৈতিক দুঃখদায়ক ঘটনা হইতে পারে যাহা হইতে আমরা শতাধিক বৎসরেও মুক্ত হইব না|” (A.W. Tozer, D.D., Keys to the Deeper Life, Zondervan Publishing House, 1957, p. 12)|

“তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, আমার প্রজা ইস্রায়েলের কাছে পরিণাম আসিল…আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না” (আমোষ ৮:২)|

তখন অবধি, আমাদের দেশ, অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম দিকের ইংল্যান্ডের সঙ্গে কোনভাবেই তুলনীয় ছিল না – কোন দিক দিয়েই না! গ্রেট ব্রিটেনের অপরিত্রাণপ্রাপ্ত লোকেরা আমরা যেমন তার তুলনায় অনেক অনেক বেশি আধ্যাত্মিক ছিলেন! এমনকী কয়লাখনির শ্রমিকেরা বা কৃষকেরাও আমাদের থেকে অনেক বেশি শিক্ষিত ছিল| এমনকী যেসব লোকেরা পড়তে পারত না তারাও হোয়াইটফিল্ড এবং ওয়েসলীর জটীল প্রচার শুনতেন আর সেইসব বুঝতে পারতেন! যেমন তারা করতেন সেভাবে আমাদের লোকেরা কি পারবে সম্পূর্ণ নৈতিক বিচ্যূতির মত জটীল বিষয়ের প্রচার-সভায় শুধুমাত্র স্থির হয়ে বসে থাকতে? সেই লোকেরা প্রতিদিন ভোর ৫টায় বরফের উপর দাঁড়িয়ে থাকত তাদের প্রচার শোনার জন্য! আমাদের লোকেরা কী সেইরকম করবে? না, তারা করবে না! আমাদের লোকেরা আবেগপ্রবনভাবে বাঁধা আছে হিংস্র ভিডিও খেলা, যৌনতা, নিষ্ঠুর ও নোংরা দূরদর্শন অনুষ্ঠান, মাদকদ্রব্য, এবং অশ্লীল ও শয়তানিয় চলচ্চিত্রের এক স্থির প্রবাহের দ্বারা| ওয়েসলীর ইংল্যান্ডে তাদের এইসবের কোনটাই ছিল না! ওয়েসলীর ইংল্যান্ডে সাধারন লোকেদের মধ্যে বিবাহ-বিচ্ছেদ বলে কোন কিছু ছিল না| পরিবারগুলি ছিল অক্ষত এবং স্থায়ী, আমাদের বর্তমানের পরিবারের মতন ভাঙ্গাচোরা নয়! এরপর তাদের সরকারের তুলনায় আমাদের সরকারের দিকে দেখুন| তাদের দেশ পরিচালিত হত লোকসভার সুস্থ মস্তিষ্কের এবং বিচক্ষন মানুষদের দিয়ে, যারা হয়ত প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নয়, তবে তারা অন্ততঃ খ্রীষ্টিয় নৈতিকতার দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন| আমাদের দেশ পরিচালিত হয় ভীরু মানুষদের দ্বারা, যারা হলেন দূর্বল এবং এদের কোন খ্রীষ্টিয় নৈতিক আদর্শ নেই| ওয়েসলীর ইংল্যান্ডে তারা কোন যৌন স্বেচ্ছাচারিতা অনুমোদন করত না| আমার আর বেশি কিছু বলার দরকার আছে কী? আর তাদের ধর্ম্মের ব্যাপারটি কিরকম ছিল? হ্যাঁ, ওয়েসলীর ইংল্যান্ডে সেটা ছিল বিস্তৃতভাবে ঈশ্বরবাদী ব্যক্তির ধর্ম্ম| হ্যাঁ, প্রায় সমস্ত পালকই ছিলেন অপরিত্রাণপ্রাপ্ত| কিন্তু – এবং এটা হল খুব বড় একটা “কিন্তু” – তারা মোটেও “সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ” দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন না| তারা মনে করতেন না যে তারা পরিত্রাণপ্রাপ্ত, যেমন আমাদের অন্ততঃ ৭৫ শতাংশ লোকে মনে করেন| তারা চিন্তাও করতেন না যে তথাকথিত “পাপীদের প্রার্থনা”র মাত্র কয়েকটি শব্দ অস্পষ্টভাবে উচ্চারন করেই তারা পরিত্রাণ পেতে পারবে| পাপীরা জানতেন যে তারা খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নয়, এবং তারা পরিত্রাণ পেয়েছেন বলে ভণিতা করতেন না, যেমন আমরা করে থাকি| তাছাড়া, যখন তারা মন পরিবর্তনের কথা ভাবতেন, তারা এই বিষয়ে সেইরকমই ভাবতেন, যেমনভাবে জন ব্যানিয়ন ভেবেছিলেন তার অতি জনপ্রিয় - “প্রধান পাপীর প্রতি প্রাচুর্য্যময় অনুগ্রহ” এবং “যাত্রিকের গতি” নামের দুটি বইয়ের মধ্যে| মন পরিবর্তন সম্বন্ধে তাদের যে ধারণা তার সবটাই ছিল পিউরিটানদের দৃষ্টিভঙ্গীকে ভিত্তি করে যা হল – চেতনা ও শুদ্ধতা – “সিক্ত ঐশ্বরিক প্রেম” নয়!

অধিকন্তু, তাদের সকলের একই বাইবেল ছিল| তাদের কাছে একমাত্র কিং জেমস্ বাইবেলই ছিল| এইজন্য বিভিন্ন অনুবাদের আধিক্যে তারা বিভ্রান্ত ছিলেন না, যার ডজনখানেক ছিল, কলুষিত গ্রীক পাঠ্যাংশের উপর ভিত্তি করে অনুবাদিত, আর জ্ঞানবাদের ধারণা দ্বারা প্রভাবিত, যেমন আমাদের আজকের বাইবেল হয়েছে| আর সেখানে তাদের বিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কিং জেমস্ বাইবেলের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না| যদিও তারা অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ছিলেন, তারা বিশ্বাস করতেন যে বাইবেল হল ঈশ্বরের বাক্য| এমনকী দ্বিতীয় কিং জর্জ (১৭২৭-১৭৬০) নিজেও আপনাকে হয়ত বলেছেন যে বাইবেল ছিল ঈশ্বরের বাক্য! বিদ্যালয়গুলিতে বাইবেলের উপর কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না| যুবকেরা প্রত্যেকেই বাইবেলের গল্পগুলি জানত| আমাদের দেশের মতন, সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে, আদালতে, অথবা সরকারী প্রশাসনে বাইবেল নিষিদ্ধ ছিল না| যদিও তারা নবজন্মপ্রাপ্ত খ্রীষ্টবিশ্বাসী ছিলেন না, তবুও বাইবেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারী করার পরিবর্তে, তারা বাইবেলকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছিলেন এবং অনুমোদন দিয়েছিলেন| অধিকন্তু, সেখানে কোন সরকারী লিখিত বিবৃতি ছিল না| প্রত্যেকে কাজ করতেন, এবং বাইবেলে যেমন শিক্ষা দেওয়া হয়েছে তেমনই সকলে নিজেদের কাজের নৈতিকতায় বিশ্বাস করতেন| বর্তমানে, কঠোর পরিশ্রম কমে গেছে এবং ঘৃণাভরে বলা হয় “পিউরিটানদের কাজের নৈতিকতা,” যেন এরকম কাজ করাটা খুব খারাপ| যেহেতু তারা সবাই হয় কাজ করত বা সেবা করত, আমাদের লোকেদের মতন তাদের হাতে সময় ছিল না ঘুরে দেখার এবং বিভিন্ন অপার্থিব বিষয়ে কল্পনা করার| ধ্যান অনুশীলন, বৌদ্ধধর্ম্মতত্ত্ব চর্চা, বা কোন ধরনের প্রাচ্য অতীন্দ্রিয়বাদ চর্চার জন্য তাদের হাতে সময় ছিল না| সেই কারণেই তাদের মধ্যে খুব অল্পসংখ্যক লোক মন্দ-আত্মাবিষ্ট ছিলেন – যেখানে এটা খুব পরিষ্কার যে আমাদের হাজার হাজার লোক (যদি সংখ্যাটি মিলিয়ন না হয়) আছেন মন্দ-আত্মার পরিচালনার অধীনে|

না, মিঃ ব্লগ-লেখক হোয়াইটফিল্ড ও ওয়েসলীর অধীনে মহাজাগরণের আগে যারা ইংল্যান্ডে ছিলেন, তাদের সঙ্গে আমাদের লোকেদের তুলনা করে ভুল করেছেন| বরঞ্চ নোহের দিনে যেসব লোকেরা ছিলেন তাদের সঙ্গে আমেরিকার লোকদের তুলনা করাটা সত্যের অনেক কাছাকাছি যেত! এই বংশের বিষয়ে খ্রীষ্ট যা বলেছিলেন এটা কি ঠিক তাই নয়? খ্রীষ্ট বলেছিলেন,

“বাস্তবিক নোয়ের [নোহের] সময়ে যেরূপ হইয়াছিল, মনুষ্যপুত্রের আগমনও তদ্রূপ হইবে| কারণ জলপ্লাবনের সেই পূর্ব্ববর্তী কালে জাহাজে নোয়ের [নোহের] প্রবেশদিন পর্য্যম্ত, লোকে যেমন ভোজন ও পান করিত, বিবাহ করিত ও বিবাহিত হইত, এবং বুঝিতে পারিল না, যাবৎ না বন্যা আসিয়া সকলকে ভাসাইয়া গেল; তদ্রূপ মনুষ্যপুত্রের আগমনও হইবে” (মথি ২৪:৩৭-৩৯)|

খ্রীষ্ট আমাদের বংশের সঙ্গে অষ্টাদশ শতাব্দীর ইংল্যান্ডের লোকদের তুলনা করেননি! তিনি আমাদের বংশের সঙ্গে তুলনা করেছেন নোহের সময়ের লোকদের,

“আর সদাপ্রভু দেখিলেন পৃথিবীতে মনুষ্যের দুষ্টতা বড়, এবং তাহার অন্তঃকরণের চিন্তার সমস্ত কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ| তাই সদাপ্রভু পৃথিবীতে মনুষ্যের নির্মান প্রযুক্ত অনুশোচনা করিলেন, ও মনঃপীড়া পাইলেন” (আদিপুস্তক ৬:৫-৬)|

“তখন ঈশ্বর নোহকে কহিলেন, আমার গোচরে সকল প্রাণীর অন্তিমকাল উপস্থিত; কেননা তাহাদের দ্বারা পৃথিবী দৌরাত্ম্যে পরিপূর্ণ হইয়াছে; আর, দেখ, আমি পৃথিবীর সহিত তাহাদিগকে বিনষ্ট করিব” (আদিপুস্তক ৬:১৩)|

আমাদের ব্লগ-লেখক বন্ধু বলেছেন, “সেখানে এই আশা রহিয়াছে…ঈশ্বর যেমন হোয়াইটফিল্ড, জন এবং চার্লস ওয়েসলীর আত্মিক উদ্দীপনার মাধ্যমে…ইংল্যান্ডকে আসন্ন সম্পূর্ণ আত্মিক ও নৈতিক অধঃপতন থেকে উদ্ধার করিয়াছিলেন, সেইভাবে ঈশ্বর আমাদের সময়ে একই জিনিষ আরও একবার করিতে পারেন|” তিনি সঠিক যখন তিনি বলেন যে ঈশ্বর সেটা আবার করতে পারেন| কিন্তু সেটা প্রশ্ন নয়| প্রশ্ন এটা নয় যে ঈশ্বর একটা জাতীয় উদ্দীপনা পাঠাতে পারেন কিনা| প্রশ্ন হল যে ঈশ্বর কি পাঠাবেন জাতীয় উদ্দীপনা? আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী যে এর উত্তর হল সন্দেহাতীতভাবে “না!” আমরা পাঠ্যাংশে যেমন পড়ছি,

“তখন সদাপ্রভু আমাকে কহিলেন, আমার প্রজা ইস্রায়েলের কাছে পরিণাম আসিল…আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না| সেইদিন প্রাসাদের গানসকল হাহাকার হইয়া যাইবে, ইহা সদাপ্রভু বলিলেন: শব অনেক; লোকে সকল স্থানে সেইসকল ফেলিয়া দিয়াছে চুপ” (আমোষ ৮:২-৩)|

আমি মনে করি সেখানে কোন আশা নাই, আমেরিকা এবং পাশ্চাত্য জগতের জন্য, একেবারেই নাই| একেবারেই না| গতসপ্তাহে ISIS ইন্টারনেটে যে কথাগুলি বলেছে সেগুলি শুনুন| প্যারিসে ১৭ জনকে হত্যা করার ঠিক পরেই, এই মুসলমান জঙ্গীরা আমেরিকাতে ই-মেল পাঠিয়েছিল| সেই ই-মেলগুলির মধ্যে দুটি মেলে বলা হয়েছে,

“আমরা আপনাদের জন্য আসিয়াছি| আপনাদের পশ্চাৎদিকে পর্যবেক্ষণ করুন|”

“আমরা বন্ধ করিব না| আমরা আপনার, আপনার স্ত্রী এবং শিশুদের সবকিছু জানি|”

তারা কি সন্ত্রাসের দ্বারা আমাদের বশীভূত করবে? “ইসলাম” শব্দের অর্থ কী তাই! এর অর্থ “আত্মসমর্পণ|” আমরা কী তাদের কাছে নিজেদের সমর্পণ করব? তারা কী আমেরিকা ও পাশ্চাত্যের উপর কর্তৃত্ব করবে? কেবল ঈশ্বরই এটা নিশ্চিতভাবে জানেন, কিন্তু এটা ভাল দেখায় না! এতদূর নিশ্চিত| ঈশ্বর বলছেন,

“আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না” (আমোষ ৮:২)|

আমেরিকা বা ইউরোপে কোন জাতীয় উদ্দীপনা হবে না| এইরকম ঘটবে না| সেখানে বরাবরের জন্য খুব দেরী হয়ে গিয়েছে| ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল, বিংশ শতাব্দীতে আমেরিকার জন্ম দেওয়া সর্বমহান সেই প্রচারক, বলেছেন, “আমাদের লোকেরা অবিরত আতঙ্কের মধ্যে বাস করিতেছেন এবং ইহা আগামীদিনের জন্য অশুভ পূর্বাভাস দান করিতেছে কারণ আমরা হইতেছি মন্দ লোক…সকল দিক হইতে আমেরিকা ক্রমবর্ধমানতার সহিত ঈশ্বর-বিহীন এবং ধর্ম্মীয় শাসনমুক্ত হইয়া পড়িতেছে| এইস্থানে একটি বিচারের দিন আসন্ন এবং আমরা ইহা অনুভব করিতেছি|” ডঃ ক্রিস্ওয়েল পঞ্চাশ বছরেরও বেশি দিন ধরে ডালাসের প্রথম ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীর পালক ছিলেন| তিনি বিলি গ্রাহামের পালক ছিলেন| (W. A. Criswell, Ph.D., Great Doctrines of the Bible – Bibliology, Zondervan Publishing House, 1982, p. 43)|

একটি জাতি এবং মানুষ হিসাবে আমরা বিচারের সন্মুখীন হচ্ছি| সেইজন্য আমেরিকা বাইবেলের ভাববাণীর মধ্যে নাই| আমরা আর একটা মহান দেশ থাকব না| শেষ-সময়ে শাস্ত্রের ভাববাণীর বিষয়ে মতামত প্রকাশের যোগ্য আর আমরা হব না! কিন্তু আমি আপনাদের বলেছিলাম যে এখানে পাঠ্যাংশের দ্বিতীয় একটি প্রয়োগ আছে|

২| দ্বিতীয়, এই পাঠ্যাংশ প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতি প্রযোজ্য যারা মৃত্যুজনক পাপ করে |

এমন একটা সময় আসবে, যদি সেটা ইতিমধ্যেই না এসে গিয়ে থাকে, যখন ঈশ্বর আপনার বিষয়ে এইরকম বলবেন,

“আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না” (আমোষ ৮:২)|

যখন ঈশ্বর আপনার বিষয়ে সেইরকম বলছেন, তার অর্থ হল যে আপনি চিরকালের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত| আপনি হয়ত এখন থেকে অনেক বছর বেঁচে থাকবেন| কিন্তু আপনি ইতিমধ্যেই নরকের অনন্ত অগ্নির জন্য দন্ডপ্রাপ্ত যখন ঈশ্বর বলেন, “আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না|” কেন সেরকম ঘটবে? কারণ আপনি ক্ষমার অযোগ্য পাপ করেছেন! অতীতের অনেক মহান প্রচারকেরা ক্ষমার অযোগ্য পাপের বিষয়ে বলেছেন| ডঃ মার্টিন লয়েড জোনস্ “পবিত্র আত্মার বিরুদ্ধে সেই পাপ”এর বিষয়ে বলেছেন (The Sons of God, p. 230)| যোনাথান এডওয়ার্ডস, এশাহেল নেটলটন, মুডি, টোরে, জর্জ ডব্লিউ. ট্রুয়েট, এবং সমস্ত পুরানো কালের প্রচারকেরা “ক্ষমার অযোগ্য পাপ”এর বিষয় বলেছেন| ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছিলেন,

এমন এক পাপ আছে “যাহা মানুষের জন্য ক্ষমার যোগ্য নহে|” এমন পাপ আছে যাহা, যদি একজন মানুষ করিয়া ফেলে, “তাহা সেই মানুষকে ক্ষমা করিবে না, না এই জগতে, না আগতপ্রায় জগতে|” সেখানে এক ক্ষমার অযোগ্য পাপ আছে…যে ক্ষমার অযোগ্য পাপ [হইল] সেই যা এক ব্যক্তি যতক্ষন জীবিত আছে ততক্ষন হয়ত অতিক্রম করিতে পারে তাহার শেষসীমা, যতক্ষন জীবিত আছে ততক্ষন হয়ত অতিক্রম করিতে পারে অভিশাপের অঞ্চল, অতিক্রম করে অভিশাপের অঞ্চল, হয়ত চিরকালের জন্য অতিক্রম করিতে পারে দয়ার সীমা যখন এই জগতে জীবিত আছে!...হ্যাঁ, সেই ক্ষমার অযোগ্য পাপ এখন করা যাইতে পারে| যে কোন পাপী যিনি সুসমাচার শুনিয়াছেন, যিনি গভীরভাবে অনুতপ্ত, যিনি জ্ঞানালোক প্রাপ্ত হইয়াছেন তাহার নিজের পাপ সম্বন্ধে এবং তাহার নিজের যে পরিত্রাতার প্রয়োজন সেই বিষয়ে, তিনি পাপ করিবার এক সাংঘাতিক বিপদের মধ্যে রহিয়াছেন যাহার কোন ক্ষমা নাই (Dr. John R. Rice, Crossing the Deadline, Sword of the Lord, 1953, pp. 3-4)|

যদি ঈশ্বর একটা দেশকে অমনি ছেড়ে যান, তবে তিনি আপনাকেও অমনি ছেড়ে যাবেন! যদি একটা দেশ মৃত্যুজনক পাপ করতে পারে, তবে আপনিও পারেন! ১ম যোহন ৫:১৬ পদে বলেন, “মৃত্যুজনক পাপ আছে” (১ম যোহন ৫:১৬)| কয়িন সেই পাপ করেছিলেন, এবং ঈশ্বর তাকে চিরকালের জন্য ছেড়ে চলে যান| যদিও তিনি অনেক বছর বেঁচেছিলেন, কিন্তু তিনি আর কখনই উদ্ধার পাননি| ফৌরান, মোশির সময়ে, সেই পাপ করেছিলেন, এবং ঈশ্বর তাকে ছেড়ে চলে যান| যদিও তিনি বহু বছর বেঁচে ছিলেন, তিনি আর কখনই পরিত্রাণ পাননি| যিহুদা ঐ পাপ করেছিলেন এবং ঈশ্বর তাকে পরিত্যাগ করেছিলেন – তিনি মাত্র কয়েক ঘন্টা বেঁচে ছিলেন, কিন্তু সেটা তার পরিত্রাণ পাওয়ার পক্ষে বড্ড দেরী হয়ে গিয়েছিল! যদি আপনি পবিত্র আত্মার প্রতিরোধ করেন আর যীশুকে বিশ্বাস করতে অস্বীকার করেন, তাহলে একটা দিন এবং একটা ঘন্টা আসবে যখন ঈশ্বর আপনাকেও তেমনভাবে ছেড়ে চলে যাবেন! তখন ঈশ্বরের দ্বারা এইরকম বলা হবে যে,

“আমি তাহাদিগকে আর অমনি ছাড়িয়া যাইব না” (আমোষ ৮:২)|

ডঃ জন্ আর. রাইসের গানের কথাগুলি যত্ন নিয়ে শুনুন,

তুমি অপেক্ষা করিয়াছিলে আর ইতঃস্তত করিতেছিলে তবুও পরিত্রাতাকে অস্বীকার করিয়াছ
তাঁর সমস্ত সতর্কতা কত সহিষ্ণু, তাঁর সমস্ত মিনতি কত সহৃদয়;
যদিও তুমি নিষিদ্ধ ফল খাইয়াছিলে, তুমি শয়্তানের প্রতিজ্ঞাকে বিশ্বাস করিয়াছিলে;
যদিও তোমার হৃদয় কঠিন হইয়া গিয়াছিল; পাপ তোমার মনকে অন্ধকার করিয়া দিয়াছিল|
তখন কত দুঃখ বিচারের সন্মুখীন হওয়া কোন অনুগ্রহ ছাড়াই তোমাকে স্মরণ করান হইবে
তখন তুমি বিলম্ব করিয়াছিলে ইতঃস্তত করিয়াছিলে তথাপি আত্মা চলিয়া গিয়াছিল;
কি ভর্ৎসনা এবং বিলাপ, যদি মৃত্যু তোমায় আশাহীন দেখে,
তুমি বিলম্ব করিয়াছিলে এবং ইতঃস্তত করিয়াছিলে এবং অনেক সময় অপেক্ষা করিয়াছিলে!
   (“If You Linger Too Long” by Dr. John R. Rice, 1895-1980)|

আজ সকালে আমি আপনাদের সামনে মিনতি করছি – আপনার পাপ থেকে ফিরে আসুন এবং যীশুকে এখনই বিশ্বাস করুন, যখন এখনও সময় আছে| এখনই যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করুন – ঈশ্বর আপনাকে পরিত্যাগ করার আগে – যেমন তিনি ইস্রায়েলকে পরিত্যাগ করেছিলেন! যেমনভাবে তিনি আমোষের দিনে আমাজিয়াকে পরিত্যাগ করেছিলেন! যেমনভাবে তিনি কয়িনকে ছেড়ে গিয়েছিলেন! যেমনভাবে তিনি ছেড়ে গিয়েছিলেন ফৌরিনকে! যেমনভাবে তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন যুডাসকে! তিনি আপনাকে পরিত্যাগ করবেন!!! খ্রীষ্টের কাছে আসুন| এখনই খ্রীষ্টে বিশ্বাস করুন, খুব দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই! বাইবেল বলছে,

“তুমি সমস্ত চিত্তে সদাপ্রভুতে বিশ্বাস কর; আর তোমার নিজ বিবেচনায় বিশ্বাস করিও না” (হিতোপদেশ ৩:৫)|

যীশুতে বিশ্বাস করুন| তাঁর রক্ত আপনার সমস্ত পাপ আচ্ছাদন করবে, এবং সমস্ত ধুয়ে দিবে| ক্রুশের উপরে তাঁর মৃত্যু আপনার করা সমস্ত পাপের প্রায়শ্চিত্ত করবে, এবং অনন্তকালীন ক্রোধ থেকে আপনাকে মুক্ত করবে| মৃত্যু থেকে তাঁর পুনরুত্থান আপনাকে নতুন জীবন এবং আশা প্রদান করবে! যীশুকে এখনই বিশ্বাস করুন আর তিনি আপনার পাপ চিরকালের জন্য ক্ষমা করবেন! ডঃ চান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন| আমেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

SINGING AND READING

খসড়া চিত্র

OUTLINE