Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




যোনা - মৃত্যু হইতে জীবন !

JONAH – FROM DEATH TO LIFE!
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হেইমার্স, জুনিয়র
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

2016 সালের, 5ই জুন, প্রভুর দিনের সকালবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, June 5, 2016


প্রথমে, সামুদ্রিক বিশালাকায় জন্তুর সম্বন্ধে একটি কথা| যোনা 1:17 পদের দিকে দেখুন| ‘‘আর সদাপ্রভু যোনাকে গ্রাস করণার্থে একটা বৃহৎ মৎস্য নিরূপণ করিয়াছিলেন|’’ ‘‘নিরূপণ’’ এর ইব্রীয় শব্দটি হল ‘‘mănăh.’’ এর অর্থ হল ‘‘গঠন করা,’’ ‘‘প্রস্তুত করা|’ এটা বিশেষভাবে গঠন করা হয়েছিল এবং প্রস্তুত করা হয়েছিল| এর অনুরূপ কিছু আগে ছিল না এবং পরেও না| এটি সদাপ্রভুর দ্বারা গঠিত হয়েছিল| তারপরে স্বয়ং মাছ| এর ইব্রীয় শব্দ হল ‘‘dag.’’ এর অর্থ হল একটি সামুদ্রিক প্রাণী - একটা গোটা মানুষকে, না চিবিয়ে, গিলে ফেলতে সক্ষম এক বিশাল আকৃতিবিশিষ্ট প্রাণী| আর এটা আমাদের পাঠ্যাংশের প্রতি নিয়ে আসছে,

‘‘আমি পর্ব্বতগণের মূল পর্য্যন্ত নামিয়া গেলাম; আমার পশ্চাতে পৃথিবীর অর্গল সকল চিরতরে বদ্ধ হইল; তথাপি, হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রাণকে কূপ হইতে উঠাইলে’’ (যোনা 2:6)|

যোনার পুস্তকের উপরে মন্তব্য করতে গিয়ে, বিখ্যাত সংস্কারবাদী জন্ কালভিন বলেছিলেন,

...যে ইহাতে [খ্রীষ্ট] যোনার ন্যায় হইবেন, কারণ তিনি হইবেন একজন ভাববাদী যাহাকে পুনরায় জীবনে ফিরাইয়া আনা হইয়াছিল... যেহেতু পুনরায় জীবনে ফিরিবার পরে, যোনা নীনবীর মন পরিবর্তন করিয়াছিলেন| তাহা হইলে ইহা হইতেছে এই অধ্যায়ের সরল অর্থ| অতএব যোনা খ্রীষ্টের প্রতিরূপ ছিলেন না, কারণ তাহাকে দূরে পরদেশীয়দের প্রতি পাঠান হইয়াছিল, কিন্তু কারণ তিনি পুনরায় জীবনে ফিরিয়া আসিয়াছিলেন... (John Calvin, Commentaries on the Twelve Minor Prophets, Baker Book House, 1998 reprint, volume 3, page 21)|

কালভিনের বাক্যটি লক্ষ করুন - যোনা ছিলেন ‘‘একজন ভাববাদী যাহাকে পুনরায় জীবনে ফিরাইয়া আনা হইয়াছিল|’’ মৃত্যু থেকে যোনার পুনরুত্থান ছিল তৃতীয় দিনে খ্রীষ্টের মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের প্রতিরূপ|

ডঃ এম. আর. ডিহানও বলেছিলেন, ‘‘যখন ভাববাদী যোনাকে সমুদ্রে নিক্ষেপ করা হইয়াছিল এবং একটি বিশালাকৃতি মৎস্য তাহাকে গ্রাস করিয়াছিল, তখন তিনি খ্রীষ্টের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের একটি স্পষ্ট প্রতীকে পরিণত হইয়াছিলেন’’ (M. R. DeHaan, M.D., Jonah – Fact or Fiction?, Zondervan Publishing House, 1957, p. 80). Dr. J. Vernon McGee said the same thing in his Thru the Bible Commentary|

সাউদার্ণ ক্যালিফোর্নিয়ার একটি সেমিনারিতে ডঃ মারফি লাম ইব্রীয় ভাষার শিক্ষা দিতেন| ডঃ লাম আমাকে বলেছিলেন, ‘‘মথি 12:40 পদে যীশু যোনার বিষয়ে আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট বর্ণনা দিয়াছেন|’’ সেই পদে, যীশু বলেছেন,

‘‘কারণ যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের [সামুদ্রিক বিশালাকার প্রাণী] উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ব্ভে থাকিবেন’’ (মথি 12:40)|

খ্রীষ্টের বিবৃতি থেকে তিনটি শিক্ষা পাওয়া যায়:

1. যোনা হচ্ছে খ্রীষ্টের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের একটি প্রতিচ্ছবি|

‘‘কারণ যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের [সামুদ্রিক বিশালাকার প্রাণী] উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ব্ভে থাকিবেন’’ (মথি 12:40)|

2. সেইজন্য যোনা অনুগ্রহের দ্বারা পরিত্রাণের একটা প্রতিচ্ছবি|

‘‘আমাদের প্রতি তাঁহার পরাক্রমের অনুপম মহত্ত্ব কি| ইহা তাঁহার শক্তির পরাক্রমের সেই কার্য্যসাধনের অনুযায়ী, যাহা তিনি খ্রীষ্টে সাধন করিয়াছেন; ফলতঃ তিনি তাঁহাকে মৃতগণের মধ্য হইতে উঠাইয়াছেন...’’ (ইফিষীয় 1:19-20)|

তখন খ্রীষ্টের পুনরুত্থান মন পরিবর্তনকারীদের উপরে বর্ত্তায়|

‘‘আর যখন তোমরা আপন আপন অপরাধে ও পাপে মৃত ছিলে, তখন তিনি তোমাদিগকেও জীবিত [বাঁচাইলেন] করিলেন’’ (ইফিষীয় 2:1)|

এবং, আবার, আমাদের বলা হয়েছিল,

‘‘এমন কি, অপরাধে মৃত আমাদিগকে, খ্রীষ্টের সহিত জীবিত করিলেন, (অনুগ্রহেই তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ;) এবং তিনি খ্রীষ্ট যীশুতে আমাদিগকে তাঁহার সহিত উঠাইলেন’’ (ইফিষীয় 2:5-6)|

এই সমস্ত পদ দেখায় যে অপরিত্রাণ প্রাপ্ত লোকেরা পাপে মৃত হন এবং অবশ্যই তাদের খ্রীষ্টে জীবিত হতে হয়| খ্রীষ্টের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের দ্বারা মন পরিবর্তনের সেই ‘‘মৃত্যু হইতে জীবন’’ এর অভিজ্ঞতা, সংযুক্ত এবং শক্তিপ্রাপ্ত - এবং সেইজন্য যোনার প্রতি যা হয়েছিল তার দ্বারা প্রতিচ্ছবিত (দ্রষ্টব্য. মথি 12:40)|

3. সেই কারণেও যোনার পুনরুত্থান হল নিমজ্জনের দ্বারা একজন মন পরিবর্তনকারীর বাপ্তিস্ম গ্রহণের একটি প্রতিচ্ছবি| রোমীয় 6:3-4 পদগুলি বলছে,

‘‘তোমরা কি জান না যে, আমরা যত লোক খ্রীষ্ট যীশুর উদ্দেশ্যে বাপ্তাইজিত হইয়াছি, সকলে তাঁহার মৃত্যুর উদ্দেশে বাপ্তাইজিত হইয়াছি? অতএব আমরা তাঁহার মৃত্যুর উদ্দেশে বাপ্তিস্ম দ্বারা তাঁহার সহিত সমাধিপ্রাপ্ত হইয়াছি; যেন, খ্রীষ্ট যেমন পিতার মহিমা দ্বারা মৃতগণের মধ্য হইতে উত্থাপিত হইলেন, তেমনি আমরাও জীবনের নূতনতায় চলি’’ (রোমীয় 6:3-4)|

বিশ্বাসের দ্বারা, মন পরিবর্তনকারী খ্রীষ্টে নিমজ্জিত হয়েছেন, খ্রীষ্টের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের মাধ্যমে তাঁর সঙ্গে মিলিত হয়েছেন| ডঃ ম্যাকআর্থার সঠিকভাবে বলেছেন, ‘‘নিশ্চিতভাবে জল বাপ্তিস্ম এই যথার্থতার প্রতিচ্ছবি...’’ (আইবিড., রোমীয় 6:3 পদের টীকা)| এইভাবে, জল বাপ্তিস্মের দ্বারা প্রতিচ্ছবিত, মন পরিবর্তনের অভিজ্ঞতা, খ্রীষ্টের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের প্রতি ইঙ্গিত করছে, যার দৃষ্টান্ত যোনার দ্বারা স্থাপিত হয়েছিল (দ্রষ্টব্য. মথি 12:40)|


সংক্ষেপে পুনরাবৃত্তি করবার জন্য,


1. যোনা খ্রীষ্টের মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের চিত্র অঙ্কন করেছিলেন|

2. যোনা মন পরিবর্তনের আত্মিক মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের চিত্র অঙ্কন করেছিলেন|

3. যোনা বিশ্বাসীগণের বাপ্তিস্মের চিত্র অঙ্কন করেছিলেন|


খ্রীষ্ট কি প্রকৃতই মারা গিয়েছিলেন? হ্যাঁ| একজন অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি কি প্রকৃতই অপরাধে এবং পাপে মৃত হন? হ্যাঁ| একজন পরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি কি প্রকৃতই মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হন? হ্যাঁ| এমনকী একজন অভিজ্ঞ প্রচারক তাদের মুখমন্ডল এবং হাবভাবের মধ্যে একটি পরিবর্তন দেখতে পায়|

যোনা কি সেই বিশাল মাছের পেটের মধ্যে জীবিত ছিলেন? আমি মনে করি এর উত্তর স্পষ্ট! যেমন ডঃ লাম বলেছিলেন, ‘‘মথি 12:40 পদে যীশু যোনার বিষয়ে আমাদের সর্বোৎকৃষ্ট বর্ণনা দিয়াছেন|’’

‘‘কারণ যোনা যেমন তিন দিবারাত্র বৃহৎ মৎস্যের [সামুদ্রিক বিশালাকার প্রাণী] উদরে ছিলেন, তেমনি মনুষ্যপুত্রও তিন দিবারাত্র পৃথিবীর গর্ব্ভে থাকিবেন|’’

যীশু প্রকৃতপক্ষেই মারা গিয়েছিলেন - সেইজন্যে তাঁর তুলনা দেখাচ্ছে যে খ্রীষ্ট এটা বিশ্বাস করেছিলেন যে যোনা সত্যি সত্যিই মারা গিয়েছিলেন| সেখানেই সমস্ত বিতর্কের মীমাংসা হয়ে গেল! যোনা এটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন যখন তিনি বলেছেন,

‘‘আমি পর্ব্বতগণের মূল পর্য্যন্ত নামিয়া গেলাম ; আমার পশ্চাতে পৃথিবীর অর্গল সকল চিরতরে বদ্ধ হইল; তথাপি, হে আমার ঈশ্বর সদাপ্রভু, তুমি আমার প্রাণকে কূপ হইতে উঠাইলে’’ (যোনা 2:6)|

ইব্রীয় ভাষায় ভ্রষ্টাচার শব্দটিকে বোঝানো হয় ‘‘shachath’’ দিয়ে| এর অর্থ হল ‘‘কবর,’’ এবং এটা যোনার মৃত্যুকে বোঝায়|

যোনার প্রথম দুটি অধ্যায় মন পরিবর্তনের চিত্রও অঙ্কন করছে| অনেক দিক থেকে এটা আমার নিজের মন পরিবর্তনের বর্ণনা দেয়| ঈশ্বর যোনার হৃদয়ের প্রতি কথা বলেছিলেন এবং তাকে নীনবীতে প্রচারে যেতে বলেছিলেন| ঈশ্বর আমার হৃদয়ে কথা বলেছিলেন এবং আমাকে বলেছিলেন যে আমি তাঁর একজন সাক্ষ্য হব| যোনা ইশ্বরের উপস্থিতি থেকে দৌড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন| তিনি একটি জাহাজে উঠে পড়েছিলেন এবং নীনবী থেকে যতটা পারেন ততদূরে চলে গেছিলেন| আমি হান্টিংটনের মন্ডলী ত্যাগ করেছিলাম এবং লস্ এঞ্জেল্সের রাস্তায় অন্ধকারের মধ্যে এবং ভয়ে ভয়ে হাঁটছিলাম| যেমন যোনা পালিয়েছিলেন আমিও তেমনই ঈশ্বরের কাছ থেকে পালিয়ে গিয়েছিলাম| কিন্তু ঈশ্বর সেই জাহাজে যোনার প্রতি এক বিশাল ঝড় প্রেরণ করেছিলেন| আমি সামনে পিছনে নিক্ষিপ্ত হচ্ছিলাম এবং অনুভব করেছিলাম যে আমার কোন আশা ছিল না| যোনা সমুদ্রে নিক্ষিপ্ত হয়েছিলেন এবং এক বিশালাকার সামুদ্রিক প্রাণীর দ্বারা গ্রাসিত হয়েছিলেন| আমি একটি চীনা মন্ডলীতে গিয়েছিলাম এবং কলেজ যাওয়ার চেষ্টায় রত হয়েছিলাম| হতাশা এবং আশাহীনতা আমাকে গ্রাস করছিল| আমি কলেজ যেতে পারতাম না কারণ আমার কোন গাড়ি ছিল না| বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে আমাকে বাসে করে সেখানে যেতে এবং ফিরে আসতে হত| যখন আমি কলেজ থেকে ফিরে আসতাম আমাকে তখন কাজ করতে হত| পড়াশোনা করার জন্য আমার কাছে কোন সময় ছিল না| আমি জানতাম যে আমি ক্লাসে ফেল করতে চলেছি| আমি অনুভব করেছিলাম যে আমি দিয়াবলের দ্বারা গ্রাসিত হচ্ছি| সেখানে কোন আলো ছিল না| সেখানে কোন আশা ছিল না| সেখানে শান্তি ছিল না| সেই বিশাল সামুদ্রিক প্রাণীর পেটের মধ্যে যেমন যোনা অনুভব করতেন আমি সেইরকমই অনুভব করতাম|

‘‘জলরাশি আমাকে ঘেরিল, প্রাণ পর্য্যন্ত উঠিল, জলধি আমাকে বেষ্টন করিল, মৃণাল আমার মস্তকে জড়াইল| আমি পর্ব্বতগণের মূল পর্য্যন্ত নামিয়া গেলাম; আমার পশ্চাতে পৃথিবীর অর্গল সকল চিরতরে বদ্ধ হইল...’’ (যোনা 2:5, 6)|

সেইভাবেই আমি অনুভব করতাম| আমি এটা উপলব্ধি করতে পারিনি, কিন্তু ঈশ্বর আমাকে এই জীবনের অহংকার এবং আশাহীনতাকে দেখাচ্ছিলেন| এবং আমার সমস্ত পাপ চিরতরে আমার সামনে উপস্থিত হয়েছিল!

আমার নিজেকে আমাদের যুবকদের একজন, সারজিও মিলোর মতন মনে হচ্ছিল| অনুতাপের মধ্যে থাকাকালীন অবস্থায়, সারজিও মিলো বলেছিলেন, ‘‘আমি আর এই ভার ধরিয়া রাখিতে পারিতেছি না| আমি ভীষণভাবে ভারাক্রান্ত হইয়াছিলাম...আমি ভয়ানক হাঙ্গামা, এবং আমার পাপের অপরাধের মধ্যে ছিলাম...কোন কিছুই আমাকে খুশী করিতে পারিতেছিল না অথবা এই বিপদ হইতে টানিয়া বাহির করিতে পারিতেছিল না...আমি নিজেকে বলিতাম, ‘এখন মরিলে আমার কি হইবে?’ ‘আমি এই মুহূর্তে মরিতে পারি না, এই অবস্থায় নয়|’ তখন যাহারা আমাকে অতিক্রম করিয়া যাইত আমি তাহাদের মুখন্ডলের দিকে চাহিয়া থাকিতাম, এবং ইহা আমাকে স্মরণ করাইয়া দিত সেই বিষয় যাহা ডঃ হেইমার্স তাহার একটি ধর্ম্মোপদেশে বলিয়াছিলেন যে তিনি দেখিয়াছেন লোকেরা নিজেদের আত্মার বিষয়ে কোন উদ্বেগ ব্যতীত জামবুইসের ন্যায় হাঁটিতেছে|’’ এই ছিলেন সারজিও, পাপের গভীর চেতনার মধ্যে থাকা অবস্থায়, সকালবেলায় একা একা বাড়ি যেতেন, যেমন গভীর সমুদ্রের মধ্যে যোনা ছিলেন|

জন্ কেগানেরও একই ধরনের অভিজ্ঞতা ছিল| জন্ বলেছিলেন, ‘‘আমার মন পরিবর্তনের [পূর্ব্বের] সেই সপ্তাহগুলিতে অনুভব করিতাম যেন মরিয়া যাইতেছি; আমি ঘুমাইতাম না, আমি হাসিতেও পারিতাম না| আমি কোন প্রকার শান্তি খুঁজিয়া পাইতাম না...ঈশ্বর এবং মন পরিবর্তন সংক্রান্ত আমার সমস্ত ভাবনা চিন্তা আমি বর্জন করিয়াছিলাম, আমি এই বিষয়ে চিন্তা করিতে অস্বীকার করিয়াছিলাম, তাহা সত্ত্বেও আমি কোন শান্তি খুঁজিয়া পাই নাই...এইরূপ যন্ত্রণার অনুভূতি আমি বন্ধ করিতে পারিতেছিলাম না...আমি নিজেকে, নিজের কৃত পাপকে ঘৃণা করিতে শুরু করিয়াছিলাম এবং ইহা আমাকে কেমন অনুভব করাইয়াছিল...আমার পাপসকল অন্তহীনভাবে মন্দ হইতে মন্দতর হইতেছে|’’

সরিয়া ইয়ান্সি বলেছিলেন, ‘‘ডঃ হেইমার্স পাপের উপরে শক্তিশালী এবং দৃঢ় প্রচার করিয়াছিলেন...আমি আমার কৃত সকল মন্দ কাজ স্মরণ করিয়াছিলাম| আমার চিন্তার অভ্যন্তরস্থ পাপ, মিথ্যা বচন, এবং [অন্যান্য] বহু পাপ| আমি লজ্জা অনুভব করিয়াছিলাম এবং ঈশ্বরের সম্মুখীন হইতে পারি নাই...আমি ক্রন্দন করিতাম| আমি ভাবিয়াছিলাম, ‘আমি আর কখনও খ্রীষ্টকে খুঁজিয়া পাইব না’ ...আমি ক্রমাগত ক্রন্দন করিতাম| আমি চিন্তা করিয়াছিলাম যে আমার পরিত্রাতা হিসাবে খ্রীষ্টকে আমি কখনও পাইব না|’’

যোনা বলেছিলেন, ‘‘জলরাশি আমাকে ঘেরিল, প্রাণ পর্য্যন্ত উঠিল, জলধি আমাকে বেষ্টন করিল, মৃণাল আমার মস্তকে জড়াইল...তোমার সকল ঢেউ, তোমার সকল তরঙ্গ, আমার উপর দিয়া গেল’’ (যোনা 2:5, 3)|

যতক্ষণ খ্রীষ্ট আমার কাছে আসেননি আমি সেইরকমই ভাবতাম, এবং খ্রীষ্ট আমার উপরে তাঁর প্রেম বর্ষন করেছিলেন, এবং আমি গেয়ে উঠেছিলাম, ‘‘আশ্চর্য্য প্রেম, কিভাবে ইহা হইতে পারে, আমার ঈশ্বর, আমার জন্যই তোমার মৃত্যুবরণ করা উচিৎ?’’ আর যোনা কেঁদে ফেলেছিলেন এবং বলেছিলেন, ‘‘পরিত্রাণ সদাপ্রভুরই কাছে’’ (যোনা 2:9)|

‘‘পরে সদাপ্রভু সেই মৎস্যকে বলিলেন, আর সে যোনাকে শুষ্ক ভূমির উপরে উদগীরণ করিয়া দিল’’ (যোনা 2:10)|

ঈশ্বরের প্রশংসা হোক! যে মুহূর্তে আপনি যীশুকে বিশ্বাস করবেন তৎক্ষণাৎ আপনার সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে ‘‘উদগীরণ’’ করা হবে! দিয়াবলের বন্ধন থেকে আপনাকে উদগীরণ করা হবে! মৃত্যু থেকে আপনাকে উদগীরণ করা হবে - যীশু খ্রীষ্টের মধ্যে নূতন এক জীবনে! আমার প্রিয় বন্ধুগণ, যদি আপনি যীশুর প্রতি মুখ ফেরান তাহলে দেখবেন যোনা সঠিক ছিলেন - ‘‘পরিত্রাণ সদাপ্রভুরই কাছে|’’ যেমন একটি আধুনিক অনুবাদে এইভাবে বলা হয়েছে, ‘‘পরিত্রাণ সদাপ্রভু হইতে হয়|’’ ঈশ্বর থেকে বিনামূল্যে এই উপহার খ্রীষ্টে নীত হয়েছে|

আপনি কি আপনার পরিত্রাণের প্রয়োজন দেখছেন? প্রয়োজন অনুভব না করাটাই হচ্ছে স্বাভাবিক| মানুষ তাদের প্রকৃতিগত, সাধারন অবস্থায় আদৌ সেই প্রয়োজন বোধ করে না| যে কোন একজনের কাছে এটা অনুভব করা একটা অলৌকিক কাজ যেমন সারজিও করেছিলেন, বা যেমন জন্ কেগান করেছিলেন, বা যেমন সরিয়া করেছিলেন - অথবা যেমন যোনা করেছিলেন - অথবা যেমন কুড়ি বছরের এক যুবক হিসাবে লস্ এঞ্জেল্সের রাস্তা ধরে একাকী হাঁটতে হাঁটতে, আমি করেছিলাম| কোন ব্যক্তিকে পাপের চেতনার মধ্যে নিয়ে আনতে হলে পবিত্র আত্মাকে অলৌকিক কাজ করতে হয়| একমাত্র পবিত্র আত্মার কোন কাজই একজন লোককে তার হৃদয় থেকে বলাতে পারে, ‘‘আমার পাপ সতত আমার সম্মুখে রহিয়াছে’’ (গীতসংহিতা 51:3)|

আপনি কি নিজেকে পরীক্ষা করেছেন? আপনি কি প্রকৃতই নিজের হৃদয়ের প্রতি দৃষ্টি দিয়েছেন? যদি আপনি তা না করে থাকেন তাহলে সেখানে আপনার জন্য কোন আশা নেই| অধিকাংশ লোক সেটার থেকে ছুটে পালাচ্ছে - যেমন ঈশ্বরের উপস্থিতি থেকে যোনা ছুটে পালিয়ে গিয়েছিলেন| নিজেদের পাপ সম্বন্ধিত চিন্তা থেকে দূরে থাকার জন্যে লোকেরা নিজেদের সময় কোন কিছু দিয়ে ব্যস্ত করে রাখে| চিন্তা থেকে দূরে থাকার জন্য, ঈশ্বরের থেকে লুকিয়ে থাকার জন্য কোন কোন লোক প্রায় অন্তহীন ভিডিও গেমস খেলে যায়| অন্য অনেকে চিন্তা থেকে বিরত থাকতে - সর্বদা কাজ করার জন্য চতুর্দিকে দৌড়ে বেড়ান| অনেকে চিন্তামুক্ত থাকার জন্য কাজ বা অধ্যয়ণের মধ্যে নিজেকে জোর করে ডুবিয়ে রাখেন, অথবা জীবনের উন্নতির অন্বেষণে ব্যস্ত থাকেন, অথবা যে কোন কিছু একটা করতে থাকেন| ডঃ লয়েড জোন্স বলেছিলেন, ‘‘আপনার জীবনের জন্য আপনাকে লড়াই করিতে হয় এবং আপনার আত্মার জন্য আপনাকে লড়াই করিতে হয়| আপনাকে স্বয়ং নিজের সম্মুখীন হইবার থেকে বিরত করিবার জন্য জগত সমস্ত কিছু করিবে’’ - আপনার নিজস্ব পাপ বিষয়ক চিন্তা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে (‘‘The Sinner’s Confession’’)|

আপনাকে অবশ্যই আপনার অপরাধগুলির বিষয়ে চিন্তা করতে হবে| অপরাধ মানে বিদ্রোহ, আপনার নিজের মত করে চলার একটা ইচ্ছা, আপনি যেটা ভুল মনে করেন সেটাই করার একটা ইচ্ছা| এর অর্থ হল সেই রকমের যে কোন একটা কিছু করা যা আপনার নিজের বিবেক ভুল বলে জানে| এটা পাপের ইচ্ছাকৃত কাজ| আপনার বিবেক বলেছিল ‘‘না’’ - কিন্তু আপনি যে কোন উপায়ে সেটা করেছিলেন| সেটাই হচ্ছে অপরাধ!

তারপরে আপনাকে অবশ্যই আপনার কৃত পাপকাজের বিষয়ে চিন্তা করতে হবে| তার মানে আপনি ভেবেছিলেন অথবা সেই কাজগুলি করেছিলেন যা বিপথগামী, বিকৃত - খারাপ চিন্তা, বাঁকা, প্যাঁচালো, কুৎসিত, ঘৃণ্য পাপকাজ - আপনার হৃদয়ে এবং আপনার জীবনে!

তারপরে আসে সেই ‘‘পাপ’’ শব্দটি| এর মানে ‘‘লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়া|’’ এটা এইরকমের যেন কোন মানুষ লক্ষ্যবস্তুর দিকে তাক্ করে গুলি ছুঁড়ছেন, কিন্তু লক্ষ্যভ্রষ্ট হচ্ছেন| এর মানে আপনি সেইরকম হননি যা আপনার হওয়া উচিৎ ছিল| এর অর্থ যেরকমভাবে আপনার জীবনযাপন করা উচিৎ ছিল সেইভাবে আপনি জীবনযাপন করছেন না| এর অর্থ আপনি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়েছেন| ঈশ্বর যেভাবে আপনাকে জীবনযাপন করাতে চেয়েছেন আপনি সেইভাবে জীবনযাপন করেননি| আপনি যে এত অসুখী তাতে আশ্চর্য্যের কিছুই নেই!

যখন ঈশ্বরের আত্মা এই সমস্ত বিষয়গুলিকে আপনার মনের মধ্যে এনে দেন, তখন তাদের ঠেলে দূরে সরিয়ে দেবেন না| তখন আপনি পাপের চেতনার মধ্যে আসবেন| আপনি যে সেই ভাবনাগুলিকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হন| যদি আপনি তা করেন, তাহলে হয়ত আপনার কাছে আর কখনও আর একটি সুযোগ আসবে না| ঈশ্বর আবার আপনাকে পাপের চেতনার মধ্যে কখনও আনবেন না| এবং যদি ঈশ্বর যদি তা না করেন তাহলে আপনি বিচারিত, অনন্তকালীন বিনাশপ্রাপ্ত, এমনকী যদি আপনি ক্রমাগত এই জগতে বাস করেন তাহলেও|

আমরা প্রার্থনা করি যে পবিত্র আত্মা আপনাকে আপনার নিজের প্রতি অসন্তুষ্ট করে তুলবেন, আপনাকে অনুভব করাবেন যে আপনি সম্পূর্ণভাবে বিনাশপ্রাপ্ত, নিজের উপরে বীতশ্রদ্ধ, আশাহীন - হারানো মানুষ! একমাত্র তখন আপনি সক্ষম হবেন এই বলতে যে, ‘‘কেননা আমার অপরাধসমূহ আমার মস্তকের উপরে উঠিয়াছে, ভারী বোঝার ন্যায় সে সকল আমার শক্তি অপেক্ষা ভারী’’ (গীতসংহিতা 38:4)| তখন আপনি অনুভব করবেন যে যীশুই হলেন সেই একজন যিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারেন| শুধুমাত্র তখনই আপনি অনুভব করবেন যে ক্রুশের উপরে প্রবাহিত, যীশুর রক্ত ছাড়া অন্য কোন কিছুই আপনাকে শুচি করতে পারে না| একমাত্র তখনই আপনি নিজের সঙ্গে আপনার খেলা বন্ধ করবেন| একমাত্র তখনই আপনি আপনার পাপকে ঘৃণা করবেন এবং যীশুর প্রতি ফিরে আসবেন, এবং একমাত্র তাঁকেই বিশ্বাস করবেন| শুধুমাত্র তখনই আপনি সক্ষম হবেন যোনার সঙ্গে একসাথে এই বলতে যে, ‘‘পরিত্রাণ সদাপ্রভুর কাছে’’ (যোনা 2:9)| শুধুমাত্র তখনই আপনি সক্ষম হবেন সেই কাজ করতে যা এই গানটি বলছে,

প্রভু, আমি আসছি!
এখনই তোমার কাছে আসছি!
রক্তে আমাকে ধৌত কর, আমাকে শুচি কর
যা কালভেরী থেকে প্রবাহিত|
     (“I Am Coming, Lord” by Lewis Hartsough, 1828-1919) |

যীশুর রক্তের দ্বারা শুচি হওয়ার বিষয়ে যদি আপনি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, তাহলে অনুগ্রহ করে নিজের আসন ত্যাগ করুন এবং এই অডিটোরিয়ামের পিছনে গিয়ে ডঃ কেগান এবং জন্ কেগানকে অনুসরণ করুন| তারা আপনাকে একটি নির্জন ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে আমরা কথা বলতে ও প্রার্থনা করতে পারব| আমেন|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রুধোম্মে: যোনা 2:1-9 |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“I Am Coming, Lord” (by Lewis Hartsough, 1828-1919) |