Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




রাত্রের দর্শন -
ইস্টারের একটি প্রচার

VISIONS IN THE NIGHT –
AN EASTER SERMON
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র|
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

2016 সালের, 27শে মার্চ, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, March 27, 2016

‘‘হে থিয়ফিল, প্রথম প্রবন্ধটী আমি সেই সকল বিষয় লইয়া রচনা করিয়াছি, যাহা যীশু সেই দিন পর্য্যন্ত সাধন করিতে ও শিক্ষা দিতে আরম্ভ করিয়াছিলেন, যে দিনে তিনি আপনার মনোনীত প্রেরিতদিগকে পবিত্র আত্মা দ্বারা আজ্ঞা দিয়া, উর্দ্ধে নীত হইলেন: আপন দুঃখভোগের পরে তিনি অনেক প্রমাণ দ্বারা তাঁহাদের নিকটে আপনাকে জীবিত দেখাইলেন, ফলতঃ চল্লিশ দিন যাবৎ তাঁহাদিগকে দর্শন দিলেন, এবং ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয়ে নানা কথা বলিলেন’’ (প্রেরিত 1:1-3)|


যীশু মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| এই বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না| তাঁর কবর রোমানদের দ্বারা মুদ্রাঙ্কিত করা হয়েছিল, এবং রোমের সৈন্যেরা তাদের জীবনে দিয়ে সেটা পাহারা দিয়েছিল| কিন্তু ইষ্টার রবিবারের সকালে ঈশ্বর সেই বিশাল পাথর সরিয়ে দিয়েছিলেন এবং রোমানদের মুদ্রাঙ্ক ভেঙ্গে ফেলেছিলেন| আর যীশু সেই কবর থেকে উঠে প্রথম প্রভাতের আলোয় বের হয়ে এসেছিলেন| সেই শূন্য কবর স্বয়ং তাঁর মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের প্রচার করেছিল!

যীশু কবর থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| সেখানে এই বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকতে পারে না| পুনরুত্থানের পর একশ জনেরও বেশি লোক তাঁকে জীবিত অবস্থায় দেখেছিলেন| প্রেরিত পৌল বলেছিলেন, ‘‘তাহার পরে, একেবারে পাঁচ শতের অধিক ভ্রাতাকে দেখা দিলেন...তাহার পরে, তিনি যাকোবকে; পরে সকল প্রেরিতকে দেখা দিলেন| সকলের শেষে আমাকেও দেখা দিলেন’’ (I করিন্থীয় 15:6-8)| ‘‘আপন দুঃখভোগের পরে তিনি অনেক প্রমাণ দ্বারা তাঁহাদের নিকটে আপনাকে জীবিত দেখাইলেন, ফলতঃ চল্লিশ দিন যাবৎ তাঁহাদিগকে দর্শন দিলেন, এবং ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় নানা কথা বলিলেন’’ (প্রেরিত 1:3)|

ডঃ জন্ আর. রাইস বলেছিলেন,

বিবেচনা করুন যে আক্ষরিক অর্থে শতাধিক লোক যাহারা যীশুকে তাঁহার পুনরুত্থানের পর দেখিয়াছিল আর তাহাদের মধ্যে কেহ কেহ বারংবার একাধিক্রমে চল্লিশ দিন [যাবৎ], তাহাদের সেই সাক্ষ্য কতটা অভিভূতকারী ছিল...আক্ষরিক অর্থে শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীগণ মানিয়া লইয়াছিলেন যে যীশু মৃত্যু হইতে পুনরুত্থিত হইয়াছিলেন| এক জন ব্যক্তিও উপস্থিত হন নাই হয় ইহা বলিবার জন্য যে তাহারা [ইষ্টারের] পরে তাঁহার মৃতদেহ দেখিয়াছে, নতুবা একটিও প্রমাণের প্রতিবাদ করিবার জন্য| প্রত্যক্ষদর্শীগন [বলিয়াছিলেন] তাহারা পরিত্রাতাকে অনুভব করিয়াছেন, তাঁহাকে স্পর্শ করিয়াছেন, তাঁহার হস্ত ও পদদ্বয়ের নখে চিহ্ন অনুভব করিয়াছেন, তাঁহাকে ভোজন করিতে দেখিয়াছেন, তাঁহার সহিত চল্লিশ দিন যাবৎ আদানপ্রদান করিয়াছেন...সমস্ত প্রমাণ এতই অভিভূতকারী ছিল যে শুধুমাত্র তাহারাই ইহা অস্বীকার করিয়াছিলেন যাহারা বিশ্বাস করিতে চাহেন নাই এবং প্রমাণগুলিকে পরীক্ষা করিয়া দেখেন নাই| আশ্চর্য্যের কিছুই নাই যে বাইবেল বলিতেছে যে যীশু ‘‘আপন দুঃখভোগের [মৃত্যুর] পরে তিনি অনেক প্রমাণ দ্বারা তাঁহাদের নিকটে আপনাকে জীবিত দেখাইলেন,’’ প্রেরিত 1:3 (John R. Rice, D.D., Litt.D., The Resurrection of Jesus Christ, Sword of the Lord Publishers, 1953, pp. 49-50) |

সেই শূন্য কবর, এবং শতাধিক প্রত্যক্ষদর্শীরা, হলেন মৃত্যু থেকে খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের শক্তিশালী সব প্রমাণ|

তবুও খ্রীষ্টের শিষ্যদের পরিবর্তিত জীবন হচ্ছে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রমাণ| খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের সাক্ষী হয়ে এই মানুষগুলির আমূল পরিবর্তন হয়েছিল| তারা ছিল খুব ভীরু, ভয়ে একটি ঘরের মধ্যে আবদ্ধ অবস্থায় লুকিয়ে ছিল| কিন্তু পুনরুত্থিত খ্রীষ্টকে দেখার পরে, তারা নির্ভয়ে প্রচার করেছিল যে তিনি জীবিত ছিলেন - মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন! এবং তারা নিজেদের জীবন দিয়ে এই প্রচারের মূল্য প্রদান করেছিল!

পিতর - মারের চোটে তাকে প্রায় অর্দ্ধমৃত করে ফেলা হয়েছিল এবং পরে উল্টো করে ক্রুশারোপিত করা হয়েছিল|
আন্দ্রিয় - X-আকারের ক্রুশের উপরে তাকে ক্রুশারোপিত করা হয়েছিল|
সিবোদিয়ের পুত্র, যাকোব - এর মুন্ডচ্ছেদ করা হয়েছিল|
যোহন - তাকে ফুটন্ত তেলের কড়াইতে নিক্ষেপ করা হয়েছিল, আর সারা জীবনের জন্য খুঁতযুক্ত করে দিয়ে, তাকে পাটমস্ দ্বীপে নির্বাসন দেওয়া হয়েছিল|
ফিলিপ - তাকে প্রহার করা হয়েছিল এবং পরে ক্রুশের উপরে পেরেকবিদ্ধ করা হয়েছিল|
বার্থলময় - জীবন্ত অবস্থায় তার গায়ের চামড়া ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছিল এবং তারপরে ক্রুশারোপিত করা হয়েছিল|
মথি - তার মুন্ডচ্ছেদ করা হয়েছিল|
প্রভুর নিজের ভাই, যাকোব - মন্দিরের চূড়া তাকে থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, তারপরে প্রহার করে মেরে ফেলা হয়েছিল|
থদ্দেয় - তাকে তিরবিদ্ধ করে মেরে ফেলা হয়েছিল|
মার্ক - একদল ঘোড়া দিয়ে তাকে মৃত্যু না হওয়া অবধি টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল|
পৌল - তার মুন্ডচ্ছেদ করা হয়েছিল|
লূক - জলপাই গাছে তাকে মৃত্যু না হওয়া অবধি গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল|
থোমা - তাকে বর্শা দিয়ে খোঁচানো হয়েছিল, এবং পরে জ্বলন্ত উনানের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল|

(The New Foxe’s Book of Martyrs, Bridge-Logos Publishers, 1997, pp. 5-10; Greg Laurie, Why the Resurrection?, Tyndale House Publishers, 2004, pp. 19-20) |

এই সমস্ত মানুষেরা ভয়ঙ্কর দুঃখভোগের মধ্যে দিয়ে গিয়েছিলেন, এবং যোহন ছাড়া বাকি সকলেই শোচনীয় মৃত্যুবরণ করেছিলেন| তাদের প্রতি এইরকম ঘটেছিল কেন? তাদের প্রতি এইরকম ঘটেছিল এই কারণে যে তারা বলেছিলেন মৃত্যু থেকে যীশুর পুনরুত্থানের পরে, তারা যীশু খ্রীষ্টকে জীবিত অবস্থায় দেখেছিলেন! মানুষেরা যা দেখেননি সেইরকম কোন কিছুর জন্যে তারা দুঃখভোগ করবেন না অথবা মৃত্যুবরণ করবেন না! এই সমস্ত মানুষেরা দেখেছিলেন খ্রীষ্টকে ‘‘অনেক অভ্রান্ত প্রমাণের দ্বারা [মৃত্যু হইতে] জীবিত হইতে, তাহাদিগের [দ্বারা] চল্লিশ দিনের [জন্য] দেখা হইয়াছিল’’ (প্রেরিত 1:3)| বার্দ্ধক্যের গভীরে প্রবেশ করার ফলে, তাঁর দেহ ফুটন্ত তেল থেকে ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতযুক্ত হয়েছিল, আর প্রেরিত যোহন বলেছিলেন, ‘‘আমরা যাহা স্বচক্ষে দেখিয়াছি, যাহা নিরীক্ষণ করিয়াছি, এবং স্বহস্তে স্পর্শ করিয়াছি’’ তিনি সেই পুনরুত্থিত খ্রীষ্ট (I যোহন 1:1)| আমি বলছি যে এই সমস্ত মানুষদের আমরা বিশ্বাস করতে পারি! মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত সেই খ্রীষ্টের প্রচারের জন্যে এরা দুঃখভোগ এবং মৃত্যুবরণ করেছিলেন| মানুষেরা যা দেখেননি সেইরকম কোন কিছুর জন্যে তারা দুঃখভোগ করেন না অথবা মৃত্যুবরণ করেন না! কবর থেকে পুনরুত্থানের পরে, এই সমস্ত মানুষেরা খ্রীষ্টকে দেখেছিলেন, এবং তাঁকে স্পর্শ করেছিলেন! সেটাই হচ্ছে কারণ যে অত্যাচার এবং মৃত্যু তাদেরকে ‘‘খ্রীষ্ট মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন,’’ এই প্রচার করা থেকে বিরত করতে পারেনি!

থোমা সেখানে তাঁহাকে ঘরে আবদ্ধ রাখিয়াছিলেন,
তাঁহাকে তাহার পালক ও প্রভু বলিয়া ডাকিলেন,
গহ্বরের অভ্যন্তরে তাহার অঙ্গুলীসকল ভরিলেন
যাহা পেরেক এবং তরবারির দ্বারা প্রস্তুত হইয়াছিল|
যিনি মারা গিয়াছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত হইয়াছেন!
যিনি মারা গিয়াছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত হইয়াছেন!
ভাঙ্গিয়াছেন সেই কঠিন, বরফতুল্য মৃত্যুকবল -
যিনি মারা গিয়াছিলেন তিনি পুনরায় জীবিত হইয়াছেন!
   (“Alive Again” by Paul Rader, 1878-1938) |

এখন শিষ্যেরা শেষবারের মতন পুনরুত্থিত যীশুর সঙ্গে মিলিত হচ্ছেন| তিনি তাদের যিরূশালেমে অপেক্ষা করতে বলছেন যতক্ষণ না তারা ‘‘পবিত্র আত্মার দ্বারা ব্যাপ্তিস্ম লাভ’’ করে| যীশু বলেছিলেন,

‘‘কিন্তু পবিত্র আত্মা তোমাদের উপরে আসিলে, তোমরা শক্তিপ্রাপ্ত হইবে: আর তোমরা যিরূশালেমে, সমুদয় যিহূদীয়া ও শমরিয়া দেশে, এবং পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত, আমার সাক্ষী হইবে’’ (প্রেরিত 1:8)|

আর এটা আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে আসছে, লস্ এঞ্জেল্সের ডাউনটাউনের কেন্দ্রস্থলের সিভিক সেন্টারে অবস্থিত, আমাদের নিজেদের এই মন্ডলীতে| আমি বলছি যে, ঈশ্বরের অনুগ্রহের দ্বারা, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী একটি সুন্দরতম খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর দল আমাদের মন্ডলীতে আমরা পেয়েছি! এবং সেটা হচ্ছে বিশ্বের সব খ্রীষ্ট বিশ্বাসী যুবকদলের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ একটি দল! আমি দ্বিধাবিহীনভাবে এটা বলতে পারছি কারণ এই কাজ যিনি করেছিলেন তিনি আমি নই| সমস্ত কৃতিত্ব সেই ‘‘উনচল্লিশ-জনের’’ ছোট্ট কার্য্যকারী প্রাপ্তবয়স্ক যুবকবৃন্দের যারা এই মন্ডলীর এক বিধ্বংসী বিভাজনের পরে, যা আমাদের 400 প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যকে বের করে নিয়েছিল, নিজেদের সময় এবং অর্থ বিসর্জন দিয়েছিলেন এই মন্ডলীকে দেউলিয়া হওয়া থেকে রক্ষা করার জন্য| যীশুর নামের প্রশংসা করুন! তিনি আমাদের বিজয় লাভ করতে পরিচালনা করেছেন!

সেই কৃতিত্ব আমাদের মন্ডলীর যুবক সদস্যদের প্রতিও প্রযোজ্য| তারা হলেন অসাধারন প্রার্থনার যোদ্ধা| তারা প্রার্থনার জন্যে ঘন্টাধিক সময় ব্যয় করে - প্রচার অথবা বাইবেল অধ্যয়নের জন্য নয়, কিন্তু প্রার্থনার জন্যে - এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে প্রত্যেকটি সপ্তাহে| এই সমস্ত যুবক পুরুষ এবং মহিলাদের প্রার্থনার জন্যে দুটি দলও আছে যারা আমাদের মন্ডলীতে ঈশ্বর যেন আমাদের মধ্যে উদ্দীপনা প্রেরণ করেন তার জন্য সপ্তাহের অন্য কোন সময়ে মিলিত হন| বিশ্বের অনেক মন পরিবর্তনকারীদের দ্বারা তাদের প্রার্থনার উত্তর দেওয়া হয়েছে| এই বসন্তকালে মাত্র সাত সপ্তাহের মধ্যেই তাদের প্রার্থনার উত্তরে তেরজন লোক এই মন্ডলীতে মন পরিবর্তন করেছেন| তাদের একজন হলেন 89 বছর বয়সের এক নাস্তিক| আর একজন হলেন 86 বছর বয়স্ক এক ক্যাথলিক| একজন ছিলেন মহিলা যিনি প্রায় 40 বছর ধরে খ্রীষ্টকে বাধাদান করে আসছিলেন| এমন একজন যিনি তার সারা জীবন ধরে শয়তানের অধীনে বন্দী ছিলেন| অন্যান্য নয়জনের সকলেই ছিলেন যুবক যারা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে এসেছিলেন এবং সেই সব কলেজ থেকে তাদের আনা হয়েছিল, যেখানে আমরা সুসমাচার প্রচার করে থাকি| যীশুর নামের প্রশংসা করুন! আত্মা জয় করার জন্যে তিনিই হলেন আমাদের উদাহরন!

ডঃ ডেভিড রালস্টোন গত সপ্তাহের শেষে আমাদের মন্ডলীতে প্রচার করেছিলেন| তিনি একজন মিশনারী, এবং ‘‘Christ to the Nation’’ (জাতির প্রতি খ্রীষ্ট) এর প্রতিষ্ঠাতা| ডঃ রালস্টোন তার ফেসবুকের পাতায় আমাদের মন্ডলীর একটি ছবি দিয়েছেন - এই কথাগুলির সাথে| ডঃ রালস্টোন বলেছেন,

         আমি গত রাত্রে [শনিবার রাত্রিতে] এবং আজ সকালে [রবিবার] লস্ এঞ্জেল্স শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ব্যাপটিস্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে প্রচার করেছি, যেখানকার পালক হলেন ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র| আশ্চর্য্যজনক সভা, প্রত্যেকটি আসন পূর্ণ ছিল, উপস্থিত লোকদের অর্দ্ধেককে দেখাচ্ছিল 30 বছরের কম বয়স্ক!
         এছাড়া, যা বলা হচ্ছিল তার প্রতিটি বাক্য শ্রোতাদের জন্য ইংরাজি থেকে স্প্যানিশ এবং চীনা দুটি ভাষাতেই অনুবাদ করে দেওয়া হচ্ছিল| বাক্য প্রচারের সময় মহান আত্মার আবেগে, অনেক আমেন এবং হাততালি পড়ছিল| পালক হাইমারসের প্রচার গড়ে 120,000টি কম্পিউটারে প্রায় 120টি বিভিন্ন দেশে প্রত্যেক তিরিশ দিনে অনলাইনে পাঠ করা যায় - এছাড়া ইউটিউবেও দেখা যায়|
         আমি অন্য আর কোন প্রচারকের কথা জানি না যিনি এত সংখ্যক লোকের কাছে পৌঁছাচ্ছেন, পৃথিবীর সর্বত্র, এত ধারাবাহিকভাবে সুসমাচার প্রচার সাথে নিয়ে|
         আমি মনে করি আধুনিক যুগে এই সেবাকাজ স্পারজিয়নের সেবাকাজের তুল্য|

যীশুর নামের প্রশংসা করুন! তাঁর নামে ঈশ্বর প্রার্থনার উত্তর দেন!

পৃথিবীর সমস্ত সোনাদানার চাইতে এই মন্ডলী আমার কাছে অনেক বেশি মূল্যবান| ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্ব-ব্যাপী এই সেবাকাজ আমার কাছে ‘‘রৌপ্যের নদী, অসংখ্যাত মনিমানিক্যের’’ তুলনায় অনেক মূল্যবান| এটা আপনার কাছে খুব ছোট্ট একটা কাজের সমান বলে মনে হতে পারে, কিন্তু এই মন্ডলী আমার কাছে বিশ্বের সবচাইতে বেশি গুরুত্বপূর্ণ!

আমার জীবন, আমার ভালবাসা আমি তোমাকে দিই,
   সেই ঈশ্বরের মেষশাবক যিনি আমার জন্য মরিয়াছেন;
ওহ আমি কি কখনও বিশ্বস্ত হইব,
   আমার পরিত্রাতা ও আমার ঈশ্বর!
আমি তাঁহার জন্য বাঁচিব যিনি আমার জন্য মরিয়াছেন,
   আমার জীবন কত তৃপ্ত হইবে!
আমি তাঁহার জন্য বাঁচিব যিনি আমার জন্য মরিয়াছেন,
   আমার পরিত্রাতা ও আমার ঈশ্বর!
(“I’ll Live For Him” by Ralph E. Hudson, 1843-1901;
      altered by Dr. Hymers) |

আমি কেবল এটা দেখি না যে এই মন্ডলীতে বর্তমানে কত মূল্যবান সম্পদ আছে - আমি এও দেখি যে এই মন্ডলীর কি হওয়া উচিৎ ছিল, এটা কি হতে পারে, এবং ঈশ্বরের অনুগ্রহের দ্বারা, এই মন্ডলী কি হবে! রাত্রের দর্শনে আমি দেখতে পারছি যে এই অডিটোরিয়ামের প্রতিটি কোণ যুবকদের দ্বারা ভর্তি হয়ে আছে! আর সেই সমস্ত দর্শনে আমি দেখতে পাই যে ঈশ্বরের আত্মা উদ্দীপনার ঢেউ এর পর ঢেউ নিয়ে নেমে আসছে! আমি দেখছি সেই সব যুবকদের আনন্দমুখর মুখগুলি যারা যীশুকে তাদের পরিত্রাতা এবং তাদের প্রভু হিসাবে খুঁজে পেয়েছেন! রাত্রির এই দর্শনে আমি দেখছি যুবকেরা কাঁদছেন এবং প্রার্থনা করছেন, আর উল্লাসে চিৎকার করছেন যেমন প্রাচীনকালের মেথডিষ্ট, ব্যাপটিষ্ট, এবং প্রেস্বাইটেরিয়ানেরা করতেন! আমি দেখি যে যুবকেরা সুসমাচার প্রচারক হওয়ার জন্য নিজেদের জীবন সমর্পণ করছেন - এমনকি তাদের মধ্যে কেউ কেউ যীশু খ্রীষ্টের জন্য মিশনারী হিসাবে বিদেশেও চলে যাচ্ছেন! আমি একটি শক্তিশালী মন্ডলী দেখছি, স্তরে স্তরে ফেটে বের হওয়া - ঈশ্বরের ভালবাসা সঙ্গে নিয়ে জলস্রোতের মতন বয়ে যেতে উদ্যত, এই স্থান থেকে আমাদের দেশের এবং আমাদের বিশ্বের সব অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রান্তগুলিতে! আমি দেখছি এই মন্ডলীর সেবাকাজের মাধ্যমে, খ্রীষ্ট যীশু উচ্চে স্থান পাচ্ছেন এবং সমগ্র বিশ্বের শত শত হারানো এবং একাকী আত্মার উপরে তাঁর অপার করুণা বর্ষণ করছেন! আর রাত্রির দর্শনে আমি শুনতে পাই যে তারা গাইছেন,

আমি তাঁহার জন্য বাঁচিব যিনি আমার জন্য মরিয়াছেন,
   আমার জীবন কত তৃপ্ত হইবে!
আমি তাঁহার জন্য বাঁচিব যিনি আমার জন্য মরিয়াছেন,
   আমার পরিত্রাতা ও আমার ঈশ্বর!

আমার সঙ্গে এই গানটি করুন!

আমি তাঁহার জন্য বাঁচিব যিনি আমার জন্য মরিয়াছেন,
   আমার জীবন কত তৃপ্ত হইবে!
আমি তাঁহার জন্য বাঁচিব যিনি আমার জন্য মরিয়াছেন,
   আমার পরিত্রাতা ও আমার ঈশ্বর!

খুব শীগগির আমি 75 বছর বয়সে পদার্পণ করতে চলেছি| আমি মারা যাওয়ার আগে হয়তো এই সমস্ত জিনিষ নাও দেখে যেতে পারি| কিন্তু আমি ইতিমধ্যেই এইগুলি সব দেখেছি - রাত্রির সেই দর্শনের মাধ্যমে! মিঃ গ্রিফিত, অনুগ্রহ করে মিসেস খ্রীশ্চিয়ানসেনের প্রিয় গান, ‘‘Fill All My Vision’’ গাইতে আমাদের সাহায্য করুন| অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান| আপনার গানের পাতায় এটা হল ছয় নম্বর গান|

পরিত্রাতা, আমি প্রার্থনা করি, আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর,
   আজ আমি শুধু যীশুকে দেখি;
যদিও উপত্যকার মধ্য দিয়া তুমি আমায় চালনা করিতেছ,
   তোমার অম্লান গৌরব আমাকে পরিবেষ্টন করে|
আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, ঐশ্ব্য পরিত্রাতা,
   তখনও তোমার গৌরবে আমার আত্মা উজ্জ্বল হইবে|
আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, যাহা সকলে সম্ভবত দেখে
   তোমার পবিত্র মূর্ত্তি আমার মধ্যে প্রতিফলিত|

আমার সকল দর্শন, আমার ইচ্ছা পূর্ণ কর
   তোমার গৌরব রাখ; আমার আত্মা অনুপ্রাণিত কর
তোমার পূর্ণাঙ্গ রূপের, তোমার পবিত্র ভালবাসার সহিত
   স্বর্গ হইতে আলোর স্রোতে আমার পথ ভাসাইয়া দাও|
আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, ঐশ্ব্য পরিত্রাতা,
   তখনও তোমার গৌরবে আমার আত্মা উজ্জ্বল হইবে|
আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, যাহা আমি সম্ভবত দেখি
   তোমার পবিত্র মূর্ত্তি আমার মধ্যে প্রতিফলিত|

আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, পাপের শূন্যতায়
   আলোকময়ের প্রতিবিম্ব অভ্যন্তরে উজ্জ্বল হউক|
আমি শুধু দেখি তোমার আশীর্ব্বাদধন্য মুখমন্ডল,
   তোমার অসীম অনুগ্রহে আমার আত্মা আনন্দিত|
আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, ঐশ্ব্য পরিত্রাতা,
   তখনও তোমার গৌরবে আমার আত্মা উজ্জ্বল হইবে|
আমার সকল দর্শন পূর্ণ কর, যাহা সকলে সম্ভবত দেখে
   তোমার পবিত্র মূর্ত্তি আমার মধ্যে প্রতিফলিত|
(“Fill All My Vision” by Avis Burgeson Christiansen, 1895-1985) |

আমি এই প্রচার চীন ও আফ্রিকার সেই মহান মিশনারী, চার্লস টি. স্টুড (1860-1931) এর বাক্যের উল্লেখ করে শেষ করছি|

একটি মাত্র জীবন,
   ইহা শীঘ্রই অতীত হইবে|
শুধু খ্রীষ্টের জন্য যাহা করা হইয়াছে
   তাহাই স্থায়ী হইবে|

যতদিন আপনি বেঁচে থাকবেন ঐ শব্দগুলি কখনও ভুলবেন না| আমার সঙ্গে ঐ শব্দগুলি বলুন|

একটি মাত্র জীবন,
   ইহা শীঘ্রই অতীত হইবে|
শুধু খ্রীষ্টের জন্য যাহা করা হইয়াছে
   তাহাই স্থায়ী হইবে|

ডঃ কেগান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রুধোম্মে: প্রেরিত 1:1-9 |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
       “The Strife Is O’er” (translated by Francis Pott. 1832-1909) |