Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




পথ ও সত্য ও জীবন

THE WAY, THE TRUTH, AND THE LIFE
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র|
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ১৫ই নভেম্বর, প্রভুর দিনের সকালবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাক্ল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Morning, November 15, 2015

‘‘যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমিই পথ, ও সত্য, ও জীবন: আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকট আইসে না’’ (যোহন ১৪:৬)|


যখন আমরা যোহনের ১৩ এবং ১৪তম অধ্যায় পড়ি তখন আমরা দেখি যে শিষ্যেরা কতটাই না অন্ধ ছিলেন| তারা যীশুর সঙ্গে প্রায় তিন বছর ছিলেন এবং তবুও তারা ছিলেন অন্ধ| তারা অসুস্থদের সুস্থ করেছিলেন এবং দিয়াবলদের তাড়িয়ে দিতে পেরেছিলেন এবং তবুও তারা অন্ধ ছিলেন| এটা আমাকে বিস্মিত করে যে লোকেরা সেই চারটি সুসমাচার পড়তে পারে কিন্তু এটাকে তারা দেখতে পায় না! যীশু তাদের বারে বারে বলেছিলেন যে তিনি ক্রুশারোপিত হতে চলেছেন, তিনি মৃত্যুবরণ করতে চলেছেন, তিনি মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হতে চলেছেন|

‘‘তখন তিনি বারো জনকে কাছে লইয়া, তাঁহাদিগকে কহিলেন, দেখ, আমরা যিরূশালেমে যাইতেছি, আর ভাববাদিগণ দ্বারা যাহা যাহা লিখিত হইয়াছে সে সমস্ত মনুষ্যপুত্রে সিদ্ধ হইবে| কারণ তিনি পরজাতীয়দের হস্তে সমর্পিত হইবেন, এবং লোকেরা তাঁহাকে বিদ্রূপ করিবে, তাঁহার অপমান করিবে, তাঁহার গায়ে থুথু দিবে: এবং কোড়া প্রহার করিয়া, তাঁহাকে বধ করিবে: পরে তৃতীয় দিবসে তিনি পুনরায় উঠিবেন| এই সকলের কিছুই তাঁহারা বুঝিলেন না: এই কথা তাঁহাদের হইতে গুপ্ত রহিল, এবং কি কি বলা যাইতেছে তাহা তাঁহারা বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না’’ (লূক ১৮:৩১-৩৪; এইসঙ্গে দেখুন মথি ১২:৩৮-৪২; ১৬:২১-২৩; ১৭:২২-২৩; ২০:১৭-১৯; মার্ক ১০:৩২-৩৪)|

তাঁর শিষ্যেরা সেই মৌলিক সত্যটি বুঝতে পারেনি| ‘‘কি কি বলা যাইতেছে তাহা তাঁহারা বুঝিয়া উঠিতে পারিলেন না|’’ তারা সুসমাচার বুঝে উঠতে পারেনি! এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে শেষ ভোজে বসেছেন| ঠিক তার পরের দিনটিতেই তিনি ক্রুশারোপিত হতে চলেছেন| তবুও তাঁর শিষ্যেরা সুসমাচারের খুব সাধারন এই সত্যের বিষয়ে অন্ধ ছিল!

ভোজের পরে যীশু তাঁর শিষ্যদের পা ধুইয়ে দিচ্ছিলেন| পিতর তাঁকে বলেছিলেন, ‘‘আপনি কখনও আমার পা ধুইয়া দিবেন না|’’ যীশু বলেছিলেন, ‘‘যদি তোমাকে ধৌত না করি, তবে আমার সহিত তোমার কোন অংশ নাই|’’ পিতর তখন বলেছিলেন, ‘‘প্রভু, কেবল পা নয়, আমার হাত ও মাথাও ধুইয়া দিউন’’ (যোহন ১৩:৮, ৯)| তাহারা নম্রতার প্রয়োজনীয়তা বুঝিলেন না (১৩:১৪-১৭)| তারপরে যিহুদা যীশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবার জন্যে অন্যান্য শিষ্যদের থেকে বের হয়ে গিয়েছিলেন (১৩:৩০)| তখন পিতর বলেছিলেন, ‘‘প্রভু, আপনি কোথায় যাইতেছেন?’’ (যোহন ১৩:৩৬)| যীশু পিতরকে বলেছিলেন তুমি এখন আমার সঙ্গে যেতে পার না, কিন্তু পরে তুমি যেতে পারবে (যোহন ১৩:৩৬)| পিতরের কোন ধারণা ছিল না যে যীশু আবার স্বর্গে আরোহণের বিষয়ে কথা বলছেন| পিতর বোকার মতন বলেছিলেন, ‘‘আপনার নিমিত্ত আমি আমার প্রাণ দিব’’ (যোহন ১৩:৩৭)| যীশু বলেছিলেন, ‘‘যাবৎ তুমি তিন বার আমাকে অস্বীকার না কর, তাবৎ কুকুড়া ডাকিবে না’’ (যোহন ১৩:৩৮)| এরপরে যীশু বলেছিলেন, ‘‘আমি তোমাদের জন্য স্থান প্রস্তুত করিতে যাহিতেছি’’ (যোহন ১৪:২)| তাদের কোন ধারণা ছিল না যে যীশু আবার স্বর্গে ফিরে যাওয়ার কথা বলছেন| থোমা বোকার মতন বলে ফেলেছিলেন, ‘‘প্রভু, আপনি কোথায় যাইতেছেন তাহা আমরা জানি না; পথ কিসে জানিব?’’ (যোহন ১৪:৫)| যেমন আমি বলেছি, যীশুর শিষ্যেরা সকলেই এই সমস্ত সরল সাধারন সত্যের বিষয়ে সম্পূর্ণভাবে অন্ধ ছিলেন| যোহন ৩:৩ পদের উপরে লিখিত স্কোফিল্ডের টীকাতে তাদের এই অন্ধতার বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে,

স্বাভাবিক মানুষের ঈশ্বরের রাজ্য ‘‘দেখিবার’’ অথবা তাহাতে ‘‘প্রবেশ করিবার’’ অক্ষমতা হইতেই নতুন জন্ম প্রাপ্তির প্রয়োজনীয়তা উদ্ভূত হইয়া থাকে| মানুষ যতই সহজাত গুণবিশিষ্ট, নৈতিক স্বভাবযুক্ত, অথবা পরিশোধিত হউন না কেন, স্বাভাবিক মানুষ হইতেছে আধ্যাত্মিক সত্যের প্রতি চরমভাবে অন্ধ, এবং স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করিতে অক্ষম; কারণ সে না বাধ্য হইতেছে, না কিছু বুঝিতেছে, না ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিতেছে|

আমি এই বিবৃতিটির সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত| অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি হচ্ছে ‘‘অপরাধে এবং পাপে মৃত’’ (ইফিষীয় ২:১)| যেমন স্কোফিল্ডের টিকাতে বলছে, ‘‘স্বাভাবিক মানুষ হইতেছে আধ্যাত্মিক সত্যের প্রতি চরমভাবে অন্ধ|’’ এবং যীশুর ক্রুশারোপনের আগের রাত্রে তাঁর শিষ্যদের অবস্থা তখনও এইরকমটাই ছিল| তারা তিন বছর ধরে তাঁকে অনুসরণ করে আসছিলেন, কিন্তু তারা তখনও আধ্যাত্মিকভাবে অন্ধ ছিল! এর কারণ

‘‘প্রাণিক মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না: কেননা তাহার কাছে সে সকল মূর্খতা: আর সে সকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহা আত্মিক ভাবে বিচারিত হয়’’ (১ম করিন্থীয় ২:১৪)|

সেই সব শিষ্যেরা অপরিত্রাণপ্রাপ্ত অবস্থায়, আত্মিকভাবে মৃত ছিলেন, যতক্ষণ না যীশু মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন এবং ইষ্টার রবিবারের রাত্রে তাদের কাছে এসেছিলেন! কোন একজন বলেছিলেন, ‘‘কোথায় ইহা বলা হইয়াছে?’’ এই ধর্মভ্রষ্টতার দিনে আমরা নিজেদের কথোপকথনে কতটাই অন্ধ! প্রত্যেকটি সুসমাচারের শেষে এই কথা বলা হয়ে থাকে! (যোহন ২০:১৯-২২; লূক ২৪:৩৬-৪৫; ইত্যাদি পদগুলি দেখুন)| এই জিনিষটি আমাকে মানসিক আঘাত দেয় যে আজকের এই শেষের দিনেও অনেক প্রচারক এইরকমের একটি সাধারন সত্য জানেন না! আশ্চর্য্যের কিছুই নেই যে তারা আর সুসমাচার প্রচার করছেন না! আমি সেই সমস্ত পালকদের কথা কদাচিৎ শুনতে পাই যারা এখন সুসমাচার প্রচার করেন! আমরা তাদের প্রচার শুনতে অভ্যস্ত ছিলাম| কিন্তু আমরা এখন আর তাদের প্রচার শুনি না, অন্ততপক্ষে এই আমেরিকাতে নয়! আমার কাছে এইরকম মনে হয় যে অনেক প্রচারকই যীশুর শিষ্য থোমার মতন অন্ধ, যিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি যদি তাঁহার দুই হাতে প্রেকের চিহ্ন না দেখি, ও সেই প্রেকের স্থানে আমার অঙ্গুলি না দিই, এবং তাঁহার কুক্ষিদেশ মধ্যে আমার হাত না দিই, তবে কোন মতে বিশ্বাস করিব না’’ (যোহন ২০:২৫)| বাকি সব শিষ্য যেমন ছিল থোমা তাদের মতনই ছিলেন| তিনি ছিলেন এক অবিশ্বাসী, অপরিত্রাণপ্রাপ্ত মানুষ, একজন হারিয়ে যাওয়া মানুষ| এবং তিনি ছিলেন সেই হারিয়ে যাওয়া মানুষ, থোমা, যিনি যীশুকে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘‘প্রভু, তাহা আমরা জানি না [আপনি কোথায় যাইতেছেন] পথ কিসে জানিব?’’ (যোহন ১৪:৫)|

যীশু থোমা এবং অন্য শিষ্যদের উপরে রাগ করেননি| থোমা স্বর্গের বিষয়ে এবং কিভাবে সেখানে যাওয়া যাবে সেই বিষয়ে যীশুকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন| যীশু তাকে এই বলে উত্তর দিয়েছিলেন,

‘‘আমিই পথ, ও সত্য, ও জীবন: আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকট আইসে না’’ (যোহন ১৪:৬)|

আমি বাকি অংশটি স্কটল্যান্ডের একজন বিখ্যাত পালক রবার্ট ম্যুরে ম্যাকচিয়ান (১৮১৩-১৮৪৩) এর থেকে উপযোগী করছি, যিনি মাত্র ২৯ বছর বয়সে মারা যাওয়ার আগে, নিজের মন্ডলীতে ঈশ্বর প্রেরিত উদ্দীপনা প্রত্যক্ষ করেছিলেন| রবার্ট ম্যাকচিয়ান বলেছিলেন, ‘‘পরিত্রাণের সুসমাচারের সম্পূর্ণ বর্ণনা হিসাবে [যোহন ১৪:৬] পদটিকে বিবেচনা করিয়া, আসুন আমরা ইহার বিভিন্ন অংশে যাই|’’

১| প্রথমত, খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের প্রতি একমাত্র পথ |

যীশু স্বয়ং স্বর্গে যাওয়ার একমাত্র পথ| বিষয়বস্তুটিই হচ্ছে একটি বিশেষণ, ‘‘আমিই পথ|’’ যীশু আমাদেরকে ঈশ্বরের কাছে যাওয়ার পথই শুধু দেখাচ্ছেন তাই নয় - তিনিই হলেন ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর সেই পথ| সেখানে আর অন্য কোন পথ নাই! কেবলমাত্র যীশুই আপনাকে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে যেতে পারেন!

যখন আমার বার বছর বয়্স ছিল সেই সময়ে একদিন আমার মা আমাকে নিয়ে আরিজোনার, ফোয়েনিক্স থেকে গাড়ি চালিয়ে কানাডার, টরোন্টোতে নিয়ে যাচ্ছিলেন| আমরা যখন চিকাগো অঞ্চলে এসে পৌঁছেছিলাম আমার মা একটি পুলিশের লোককে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কোন হাইওয়ে ধরে যেতে হবে| পুলিশটি মাকে বলেছিল একটি ইউ-টার্ণ নিতে| সে বলেছিল যে সেটাই হল একমাত্র রাস্তা| আমরা প্রায় একঘন্টা বা সেরকম কিছু্ক্ষণ সময় ধরে গাড়ি চালিয়েছিলাম, কিন্তু আমি লক্ষ্য করতে শুরু করেছিলাম, রাস্তার ধারের কিছু চিহ্নের প্রতি, যেগুলি আমি আগেই দেখেছি| আমি বললাম, ‘‘মা, আমার মনে হচ্ছে আমরা যে রাস্তা দিয়ে এসেছি সেই রাস্তাতেই আবার ফিরে চলেছি|’’ মা রাস্তা থেকে সরে এসে একজায়গায় গাড়ি থামালেন এবং সেখা একটি ট্যাক্সি-ক্যাব দাঁড়িয়ে ছিল| মা বললেন, ‘‘আমরা চিকাগোর পূর্বদিকে টরোন্টোতে যাচ্ছি| আমরা কি ঠিক রাস্তাতে চলছি?’’ ঐ ট্যাক্সিচালকের ঠোঁটের একপাশ থেকে একটি সিগারেট ঝুলছিল| সে বলেছিল, ‘‘মহাশয়া, আপনারা সবই ভুল করেছেন! আপনাদের ঐ রাস্তাটি ধরে যেতে হবে!’’ তিনি সেই দিকটিই দেখিয়ে দিলেন যেদিকে থেকে আমরা ইতিমধ্যেই এতক্ষণ ধরে আসছিলাম| কাজেই আমরা আবার ঘুরে গেলাম এবং পিছনের দিকে যেতে থাকলাম, সেই একই রাস্তায় প্রথমে যেটা ধরে গিয়েছিলাম! পুলিশের লোকটি আমাদের ভুল দিক দেখিয়েছিল! যতক্ষণ না যীশু আমাদের কাছে আসছেন ততক্ষণ আমরা সকলেই ভুল পথে চলতে থাকি| প্রাচীন জগতে এইরকম বলা হত যে, ‘‘সমস্ত পথই রোমের দিকে যায়|’’ আজকের জগতে আমরা বলতে পারি যে, ‘‘সমস্ত পথ নরকের দিকে যায়|’’ যীশু একাই হলেন ‘‘সেই পথ’’ যা ঈশ্বরের দিকে নিয়ে যায়!

রবার্ট ম্যাকচিয়ান বলেছিলেন, ‘‘যীশু নিঃস্ব আদমের পুত্রগণের উদ্দেশ্যহীনভাবে পরমদেশের রাস্তার সন্ধানে কঠোর সংগ্রামের জন্য তাদের সমব্যথিত হইয়াছিলেন, এবং তিনি পরমদেশ ছাড়িয়াছিলেন এবং স্বর্গে পিতার নিকট যাইবার পথ খুলিয়া দিবার জন্য নীচে নামিয়া আসিয়াছিলেন| তিনি কিভাবে ইহা করিয়াছিলেন?...তিনি আমাদের স্থানে একজন মানুষ হিসাবে আসিয়াছিলেন| তিনি আমাদের সমস্ত পাপ ক্রুশের উপরে বহন করিয়াছিলেন| এখন তাঁহার রক্তক্ষরণরত দেহের মাধ্যমে সর্বোচ্চ অপরাধযুক্ত পাপীগণও প্রবেশ করিতে পারে, এবং ঈশ্বরের পরমদেশে উপনীত হইতে পারে, এবং চিরস্থায়ীভাবে সেথায় বসবাস করিতে পারে| শীঘ্র যীশুর নিকটে আসুন, সন্দেহ করিবেন না; কারণ তিনি বলিতেছেন, 'আমি হইতেছি সেই পথ|’’’

আপনি পিতার কাছে যে আসবেন সেটা ‘‘পাপীর প্রার্থনা’’ বলার দ্বারা হয় না| উন্নততর জীবনযাত্রা পালনের দ্বারাও এটা হয় না| আপনার কিছু কিছু পাপ আর না করার দ্বারাও সেটা হয় না| এমনকী যীশুর বিষয় সংক্রান্ত কিছু ঘটনাতে বিশ্বাস করার মাধ্যমেও এটা হয় না|

রবার্ট ম্যাকচিয়ান বলেছিলেন, ‘‘এবং এখন, আমার বন্ধুগণ, ইহাই কী পিতার নিকটে আসিবার জন্য আপনার পথ? খ্রীষ্ট বলিতেছেন, ‘আমিই পথ...আমা দিয়া না আসিলে কেহ পিতার নিকট আইসে না|’ তাহা হইলে, আপনি যদি আপনার নিজস্ব পথে আসিবার চেষ্টা করিতে থাকেন - তাহা আত্ম-সংশোধনের পথ হউক অথবা সেই আশা প্রযুক্ত পথ যে ঈশ্বর কঠোর হইবেন না, যাহাই হউক না কেন - যদি আপনাকে সতর্ক করা না হয়, তাহা হইলে বিচারের দিনে আপনি দেখিবেন যে আপনি নরকের অগ্নিশিখায় পতিত হইয়াছেন|’’

খ্রীষ্টের কাছে আসার দ্বারা আপনি অবশ্যই পিতার কাছে আসেন| পরিত্রাত হওয়ার জন্য সেখানে আর কোন পথ খোলা নেই, কারণ সেখানে কেবলমাত্র ‘‘ঈশ্বরের এবং মনুষ্যদের মধ্যে একমাত্র মধ্যস্থও আছেন, তিনি মনুষ্য খ্রীষ্ট যীশু’’ (১ম তীমথিয় ২:৫)|

২| দ্বিতীয়ত, খ্রীষ্ট হলেন সেই সত্য |

‘‘ইহা বলিতে পারা যায় না যে একজন অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি সেই সত্যকে জানেন| ইহাতে কোন সন্দেহ নাই যে সেখানে অনেক রকমের সত্য আছে যাহা একজন অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি জানেন| তিনি গণিতের সত্যকে জানিতে পারেন - তিনি অনেক সাধারন সত্যকে জানিতে পারেন; কিন্তু ইহা সত্ত্বেও এইরূপ বলা যায় না যে একজন অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ব্যক্তি সেই সত্যকে জানেন, কারণ খ্রীষ্টই হইতেছেন সেই সত্য’’ - রবার্ট ম্যুরে ম্যাকচিয়ান এই কথা বলেছিলেন|

আমার দুইজন কাকা ছিলেন যারা ছিলেন মস্ত বড় পাঠক| দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে, টেলিভিশনের আগে, অনেক লোক প্রচুর লেখা পাঠ করে শোনাতেন| তখনকার দিনে লোকেদের পক্ষে বই পড়ে শোনান খুব সাধারন একটা ব্যাপার ছিল| কিন্তু আমার এই দুই কাকা অন্যদের চাইতে অনেক বেশি পাঠ করতেন, এমনকী আজকের দিনে যেমন পাঠ করা হয় তার চাইতেও সেইসময়ে তাদের বই পড়াটা খুব সাধারন ব্যাপার ছিল|

এই দুই কাকার মধ্যে একজনের নাম দেওয়া হয়েছিল পোর্টার - রবার্ট পোর্টার এলিয়ট| কিন্তু সকলেই তাকে মাঝের নাম ধরেই ডাকতো, পোর্টার| পোর্টার কাকার হাতে সবসময়ে একটা বই থাকত| তিনি সেনাবাহিনীতে কাজ করতেন, কিন্তু এখন তিনি সান্তা মনিকাতে একটি ব্রেক শপে কর্মরত, একজন মেকানিক| তিনি সবসময় পড়তেই থাকতেন| দুপুরের খাওয়ার সময়ে, কাজের শেষে, এমনকী টিভি দেখার সময়েও, তিনি বই পড়তেন| একবার করে তিনি মুখ তুলে টিভির দিকে দেখতেন এবং পরক্ষণেই যে বইটি পড়ছিলেন সেদিকে মুখ নামিয়ে পড়া আরম্ভ করে দিতেন| তিনি হত্যা রহস্য সংক্রান্ত, আগাথা ক্রিষ্টির লেখা, সেই ধরনের বই পড়তেন| কিন্তু তার খুব প্রিয় বই ছিল বিজ্ঞান এবং কল্পবিজ্ঞান জাতীয় বই| আক্ষরিক অর্থেই তার কাছে প্রায় একশ বা তার কাছাকাছি সংখ্যক বিজ্ঞান এবং কল্পবিজ্ঞানের বই ছিল| তিনি প্রকৃত বিজ্ঞান সম্বন্ধে, এবং তার চেয়েও বেশি করে কল্প বিজ্ঞান সম্বন্ধে অনেক কিছু জানতেন| তিনি ছিলেন ডারউইনের বিবর্তনবাদের একজন ঘোর বিশ্বাসী| তিনি এই বিষয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলে যেতে পারতেন|

একদিন সকালে তাকে আমাদের মন্ডলীতে আসতে দেখে আমি খুব বিস্মিত হয়েছিলাম| তিনি খুব শান্ত হয়ে ঘরের পিছনের দিকে বসেছিলেন এবং মনোযোগসহকারে আমার প্রচার শুনছিলেন| এরপরে আমি মন্ডলীতে আসার জন্যে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলাম| তিনি বলেছিলেন যে আমার প্রচার খুবই আন্তরিক ছিল| তারপর থেকে তিনি নিয়ম করে প্রত্যেক রবিবারে মন্ডলীতে আসতেন| শেষ পর্যন্ত, বেশ কয়েক সপ্তাহ বাদে, আমি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম| তিনি যত্নসহকারে আমার কথা শুনেছিলেন, এবং আমি তাকে যীশুর উপরে বিশ্বাস স্থাপন করাতে সমর্থ হয়েছিলাম| আমি এটা খুব কষ্ট করে বিশ্বাস করতে পেরেছিলাম! তিনি সর্বদাই এত শান্ত, এত বুদ্ধিমান মানুষের মতন থাকতেন যে আমি তার সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে শিশুদের মতন ভয় পেতাম| মোটা চশমা পরিহিত থায় তাকে খানিকটা হামফ্রে বোগার্টের মতন দেখতে লাগতো| কিন্তু মন পরিবর্তনের পরে তিনি হাসিমুখে থাকতেন এবং সম্পূর্ণ একজন আলাদা মানুষের মতন আমাদের মন্ডলীর যুবকদের সঙ্গে কথা বলতেন| তখন তিনি আমার কাছে খ্রীষ্ট সম্বন্ধীয় বই চাইতেন| আমি তাকে বিবর্তনবাদের বিরোধী একটি বই দিয়েছিলাম, একটা বেশ বড়, মোটা বই| তিনি সেটা সাগ্রহে গ্রহণ করেছিলেন| পরের রবিবারে তিনি আমার কাছে আরও বই চাইলেন| আমি তাকে আরও চল্লিশ বা পঞ্চাশটি বই দিয়েছিলাম| তিনি সেইগুলি সমস্ত পড়েছিলেন, এমনকী সেই বইগুলির কয়েকটিকে দুই তিনবার করে পড়ে ফেলেছিলেন| তিনি আর কোনদিন হত্যা রহস্য অথবা কল্পবিজ্ঞান জাতীয় বই পড়েননি| আমি তাকে ব্যপ্তিস্ম দিয়েছিলাম এবং তিনি আমাদের মন্ডলীর একজন বিশ্বস্ত সদস্য হয়েছিলেন| মিসেস স্যালি কুক পোর্টার কাকাকে খুব মনে করে রেখেছিলেন| তারপরে হঠাৎ তিনি একদিন হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান|

রবার্ট পোর্টার এলিয়টের ক্ষেত্রে কী হয়েছিল? কেন তিনি কল্পবিজ্ঞান এবং বিবর্তনবাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন? সেটা ছিল খুব সহজ একটা ব্যাপার - তিনি প্রভু যীশু খ্রীষ্টকে খুঁজে পেয়েছিলেন! তার কাছে আর কল্পবিজ্ঞানের কোন প্রয়োজন ছিল না| তিনি সেই সত্যের সন্ধান পেয়েছিলেন - যীশুর সন্ধান, যিনি বলেছিলেন, ‘‘আমিই পথ, ও সত্য, ও জীবন|’’ যখন আমি স্বর্গে যাব তখন প্রথমেই আমি যাদের খুঁজে বের করবো তাদের মধ্যে পোর্টার কাকা হবেন একজন! তিনি যীশুর দ্বারা পরিত্রাণ লাভ করেছিলেন, যিনি ছিলেন সমস্ত সত্যের চাবিকাঠি!

আমার অন্য আর এক মামা ছিলেন আমার মায়ের বড় ভাই, যার নাম ছিল লয়েড ভি. ফ্লোয়ার্স, জুনিয়র| দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে তিনি ইউ. এস. নৌবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন| পোর্টারের মতন, লয়েড মামাও ছিলেন একজন মস্ত বড় পাঠক| তিনি বিশেষভাবে মেটাফিজিক্স এবং প্রাচ্য ধর্মের প্রতি আগ্রহী ছিলেন| যেখানেই তিনি যেতেন সেখানেই সেই ধরনের একটি বই তার সঙ্গে তার হাতে থাকত| তিনি ছিলেন প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলীতে আগ্রহী একজন ব্যক্তি, কিন্তু তার কাছে সবসময়ে পিরামিড অথবা প্রাচীন বর্ণমালা সংক্রান্ত, অথবা প্রাচ্য ধর্ম সংক্রান্ত একটি বই থাকত| তিনি আমার বন্ধু ছিলেন, এবং আমি তাকে পিরামিড এবং প্রাচ্য ধর্ম সম্বন্ধে ঘন্টার পর ঘন্টা বলতে শুনতাম| যদিও আমি তাকে বাইবেল পাঠ করার জন্য উৎসাহিত করতাম, তবুও তিনি এই বিষয়ে কখনও কোনরকম আগ্রহ প্রকাশ করেননি| তিনিও, একইরকমভাবে, হঠাৎ হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন| কিন্তু পোর্টার কাকার মতন, লয়েড মামা খ্রীষ্টে বিশ্বাস নিয়ে মারা যাননি| তিনি প্রায়শই আমাকে বলতেন যে তিনি সেই সত্যের সন্ধান করছেন| কিন্তু তিনি কখনও তা খুঁজে পাননি| তিনি কখনো যীশুকে খুঁজে পাননি, যিনি ছিলেন সমস্ত সত্যের প্রতিমূর্তি! খুব দুখঃজনকভাবে বলি, আমি যখন স্বর্গে যাব আমি লয়েড মামার খোঁজ করবো না - কারণ আমি জানি যে তিনি সেখানে থাকবেন না, কারণ যীশু বলেছিলেন, ‘‘আমিই...সত্য...আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকট আইসে না’’ (যোহন ১৪:৬)| লয়েড মামা নরকে গিয়েছিলেন|

আমার কোন মামা কাকার মধ্যে কোনজন আপনার মতন? আপনি কী পোর্টার কাকার মতন, যিনি যীশুর মধ্যে সত্য খুঁজে পেয়েছিলেন? নাকি আপনি লয়েড মামার মতন, যিনি কখনো পরিত্রাতাকে খুঁজে পাননি?

৩| তৃতীয়ত, খ্রীষ্ট হন জীবন |

রবার্ট ম্যাকচায়ান বলেছিলেন, ‘‘উভয় শাস্ত্র এবং অভিজ্ঞতা একইরূপ সাক্ষ্য দিতেছে যে আমরা চরিত্রগতভাবে অপরাধে এবং পাপে মৃত...ইহা খুবই সত্য, যাহারা সত্যই অপরাধে মৃত তাহারা জানেন না যে তাহারা মৃত| তথাপি যদি পবিত্র আত্মা আপনাকে চেতনা দেয় যে আপনি পাপে পূর্ণ, আপনি স্বভাবে মৃত, তবেই আপনি তাহা জানিতে পারেন...যদি আপনি কখনো ঈশ্বরের সমস্ত আজ্ঞা মানিয়া চলার চেষ্টা করিয়াছিলেন, যদি আপনি কখনো অপরাধ-পূর্ণ চিন্তা না করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, যদি আপনি সমস্ত অন্যায় লালসা এবং পাপ হইতে আপনার হৃদয়কে দূরে রাখিবার চেষ্টা কোন সময়ে করিয়াছিলেন - যদি আপনি কখনো এইরূপ চেষ্টা করিয়া থাকেন, তাহা হইলে আপনি কী অনুভব করেন নাই যে এই সমস্ত অসম্ভব? ইহা হইতেছে মৃত ব্যক্তির মধ্যে প্রাণ সঞ্চারের চেষ্টা করিবার অনুরূপ! ওহ, কী সাধারন একটি বিষয় যে আপনি মৃত - পুনরায় জন্মপ্রাপ্ত হন নাই! আপনাকে অবশ্যই পুনরায় জন্মপ্রাপ্ত হইতে হইবে| আপনাকে অবশ্যই খ্রীষ্টের সহিত যুক্ত হইতে হইবে, কারণ খ্রীষ্টই হইতেছে জীবন|’’

আপনার আত্মাও কী একটি কুঞ্চিত শাখার মতন - শুকনো, ফলবিহীন এবং মৃত? যীশুর কাছে আসুন! তাঁকে বিশ্বাস করুন| তাঁর রক্তের দ্বারা ধৌত হয়ে শুচি হন| তাঁর পুনরুত্থানের দ্বারা জীবিত হন| তখন আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার জীবন খ্রীষ্টে জীবিত! আপনিও প্রেরিত পৌলের সঙ্গে এইরকম বলতে সক্ষম হবেন যে, ‘‘ঈশ্বরের পুত্রে বিশ্বাসেই যাপন করিতেছি, তিনিই আমাকে প্রেম করিলেন এবং আমার নিমিত্তে আপনাকে প্রদান করিলেন’’ (গালাতীয় ২:২০ NKJV)| যীশু বলেছেন,

‘‘আমিই পথ, ও সত্য, ও জীবন: আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকট আইসে না’’ (যোহন ১৪:৬)|

তিনি কিভাবে এটা বলতে পেরেছিলেন? কারণ এটা হল সত্য| খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের একমাত্র পুত্র| তিনি হলেন একমাত্র একজন যিনি পারেন আমাদের পাপের দেনা ক্রুশের উপরে শোধ করে দিতে| তিনি হলেন একমাত্র একজন যিনি মৃত্যু থেকে স্বশরীরে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| অতএব ‘‘কোন মানুষ [তাঁহার] দ্বারা ব্যতীত পিতার নিকট আসিতে পারে না|’’ আমি প্রার্থনা করি যে আজকের সকালে আপনি যীশুতে বিশ্বাস করবেন এবং তাঁর বহুমূল্য রক্তের দ্বারা আপনার সমস্ত পাপ থেকে শুচি হবেন!

‘‘যীশু খ্রীষ্ট,’’ কি এক নাম
   ঈশ্বর পুত্র যিনি আসিলেন
ধ্বংসপ্রাপ্ত পাপীর পুনরুদ্ধারে!
   হালেল্লুইয়া! কি এক পরিত্রাতা!

অপমান ও কর্কশ উপহাস বহন করিতে,
   আমার স্থানে তিনি দন্ডাদেশ লইতে দাঁড়াইলেন;
তাঁহার রক্তের সহিত আমার ক্ষমা মুদ্রাঙ্কিত করিলেন;
   হালেল্লুইয়া! কি এক পরিত্রাতা!
(“Hallelujah, What a Saviour!” by Philip P. Bliss, 1838-1876) |

ডঃ চান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন|


যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তাহলে ডঃ হাইমার্স আপনার কাছ থেকে কিছু শুনতে চান| যখন আপনি ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখবেন তখন অবশ্যই তাকে জানাবেন যে কোন দেশ থেকে আপনি তাকে লিখছেন নয়ত তিনি আপনার ই-মেলের জবাব দিতে সক্ষম হবেন না| যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে সেইকথা জানান, কিন্তু কোন দেশ থেকে আপনি লিখছেন চিঠিতে সেটা অবশ্যই অন্তর্ভূক্ত করবেন| ডঃ হাইমার্সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net (এখানে ক্লিক করুন) | আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন| যদি আপনি ডঃ হাইমার্সকে ডাক-ব্যবস্থার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতে চান, তবে তার ঠিকানা হল P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015 | আপনি তাকে (818)352-0452 নম্বরে ফোন করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটে www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটে গিয়ে পড়তে পারেন| ক্লিক করুন “প্রচার পান্ডুলিপি|”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রুধোম্মে: যোহন ১৪:১-৬ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“For All My Sin” (by Norman Clayton, 1943).


খসড়া চিত্র

পথ ও সত্য ও জীবন

THE WAY, THE TRUTH, AND THE LIFE
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র|

‘‘যীশু তাঁহাকে কহিলেন, আমিই পথ, ও সত্য, ও জীবন: আমা দিয়া না আসিলে, কেহ পিতার নিকট আইসে না’’ (যোহন ১৪:৬)|

(লূক ১৮:৩১-৩৪; যোহন ১৩:৮,৯,১৪-১৭,৩০,৩৬,৩৭,৩৮;
যোহন ১৪:২, ৫; ইফিষীয় ২:১; ১ম করিন্থীয় ২:১৪;
যোহন ২০:১৯-২২; লূক ২৪:৩৬-৪৫; যোহন ২০:২৫;১৪:৫)

১| প্রথমত, খ্রীষ্ট হলেন ঈশ্বরের প্রতি একমাত্র পথ, যোহন ১৪:৬ক; ১ম তিমথীয় ২:৫ |

২| দ্বিতীয়ত, খ্রীষ্ট হলেন সেই সত্য, যোহন ১৪:৬খ |

৩| তৃতীয়ত, খ্রীষ্ট হন জীবন, যোহন ১৪:৬গ; গালাতীয় ২:২০ |