Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




তিনি আপনাকে দৃঢ়ভাবে ধরিয়া রাখিবেন!

HE WILL HOLD YOU FAST!
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ২৮শে জুন, প্রভুর দিনের সকালবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, June 28, 2015

“আর আমি তাহাকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

আমার মনে আছে একজন প্রচারক বলেছিলেন যে এই প্রতিজ্ঞা কখনই অবিশ্বাসীদের কাছে প্রচার করা যাবে না| তিনি বলেছিলেন যে হারানো লোকেরা অত্যাধিক আস্থাপূর্ণ হয়ে পড়বে| সেটা হয়ত তাদের পাপে পরিচালিত করবে| তাদের অবশ্যই একটা অস্থির অবস্থার মধ্যে রাখতে হবে, কখনই পূর্ণ নিশ্চয়তার মধ্যে নয় যাতে তারা শেষ পর্যন্ত “স্থায়ী হইতে” সক্ষম হয়| কিছুক্ষণের জন্য আমি এটা বিশ্বাস করেছিলাম| আমি জানি অনেক আন্তরিক খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা এই অভিমত ধরে রাখেন| সেই সব প্রচারক যারা এটা বিশ্বাস করেন তারা প্রায়শই এই পাঠ্যাংশকে ভয় পায়|

কিন্তু আমাদের উচিৎ সেই সমস্ত লোকেদের দেখা যারা প্রথমেই খ্রীষ্টকে এইকথা প্রচার করতে শুনেছিলেন| ৩১তম পদ অনুসারে তারা “তাঁহাকে মারিবার জন্য পাথর তুলিল” (যোহন ১০:৩১)| এই কথা বলার জন্য তারা খ্রীষ্টকে ঘৃণা করেছিল| খ্রীষ্ট এই বাণী অবিশ্বাসীদের কাছে প্রচার করেছিলেন| আমি নিশ্চিত যে এখানে আমাদের মধ্যেও কিছু কিছু অবিশ্বাসী আছেন| প্রত্যেকটি সেবাতে আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি, কঠোর প্রার্থনা করছি, অপরিত্রাত ব্যক্তিদের পাওয়ার জন্যে| আমি আপনাকে সেই একই কথা বলবো যা যীশু সেই অপরিত্রাণপ্রাপ্ত ক্রুদ্ধ মানুষের দলকে বলেছিলেন,

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

“আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই|” এই প্রসঙ্গ আমাদের বলে যে “তাহাদিগকে” শব্দটি খ্রীষ্টের মেষের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত| “আমার মেষেরা আমার রব শুনে, আর আমি তাহাদিগকে জানি, এবং তাহারা আমার পশ্চাদগমন করে” (যোহন ১০:২৭)| “আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই|” আমরা লোকদের মন উপলব্ধি করে এইকথা বলতে পারি না যে তারা খ্রীষ্টের মেষেদের মতন কি না| কিন্তু আমাদের পাঠ্যাংশের এই পদের পূর্ববর্তী পদ আমাদের বলছে যে কারা ঈশ্বরের লোক তা কিভাবে জানা যাবে| “আমার মেষেরা আমার রব শুনে, আর আমি তাহাদিগকে জানি, এবং তাহারা আমার পশ্চাদগমন করে|” প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের চিহ্ন হল এই যে – তারা খ্রীষ্টের কথা শোনে, তারা তাঁকে জানে এবং তিনি তাদেরকে জানেন, এবং তারা বাধ্যতার সঙ্গে তাঁর পশ্চাদগমন করেন| এইগুলি হচ্ছে একজন প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর চিহ্ন| আর এদের সম্পর্কেই যীশু বলেছেন|

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

“প্রেম দ্বারা কার্য্যসাধক বিশ্বাসই শক্তিযুক্ত” (গালাতীয় ৫:৬) এটাই হল খ্রীষ্টের প্রকৃত মেষের চিহ্ন| তাদের জন্যই যীশু বলেছেন, “আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়ালইবে না|” ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স বলেছিলেন, “খ্রীষ্টে আমরা কোন পরীক্ষাকালের মধ্যে নাই, এবং সেইস্থানে অনুগ্রহ হইতে পতিত হইবার কোন সম্ভাবনা নাই (Assurance (Romans 5), The Banner of Truth Trust, 1971, p. 236)|

কেউ কেউ হয়তো বলতে পারেন, “আমি সুসমাচারের প্রবাসাজ্ঞার মধ্যে রহিয়াছি| আমি জানি আমাকে অবশ্যই খ্রীষ্টের নিকটে যাইতে হইবে, আর একই সময়ে ইহাও জানি যে আমি তাহা পারিব না| আমার উচিৎ কিন্তু আমি পারি না| তাহা হইলে আমার কী করা উচিৎ?” উত্তরটা খুব সহজ, খ্রীষ্টের কাছে নিজেকে সমর্পন করুন| তাঁর প্রতি ক্রন্দন করুন| তিনি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিবেন| তিনি সুসমাচার প্রবাসাজ্ঞাকে হাতুড়ির আঘাতে ভেঙ্গে দেবেন এবং আপনার আত্মাকে রক্ষা করবেন| আপনি বলেন, “আমি উহা বুঝিতে পারি না|” অবশ্যই বুঝবেন না| এটা একটা রহস্য| গ্রীক শব্দটি হল “musterion” বা মুসটেরিয়ন| এর অর্থ হল এমন একটা কিছু যা মানুষের মনের দ্বারা বোঝা যায় না, কিন্তু তা সত্ত্বেও বাইবেলে সত্য| প্রেরিত পৌল বলেছেন, “আমরা নিগূঢ়তত্ত্বরূপে ঈশ্বরের সেই জ্ঞানের কথা কহিতেছি, সেই গুপ্ত জ্ঞান, যাহা ঈশ্বর আমাদের প্রতাপের জন্যে যুগপর্য্যায়ের পূর্ব্বে নিরূপণ করিয়াছিলেন…” (১ম করিন্থীয় ২:৭)| খ্রীষ্টের উপরে নিজেকে নিক্ষেপ করুন| তাঁহাকে বিশ্বাস করুন| তাঁহার মধ্যেই আপনার সমস্ত প্রশ্নের উত্তর হবে| তাঁর রক্ত এবং ধার্মিকতার দ্বারা তিনি আপনাকে উদ্ধার করবেন| এবং তিনি আপনাকে শেষ পর্য্যন্ত স্থির রাখবেন| তিনি আপনাকে এই সমস্ত কিছুর মধ্যে ধরে রাখবেন| আপনি খ্রীষ্টের এক মেষে পরিনত হবেন!

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

খ্রীষ্টের মেষের অনন্তকালীন নিরাপত্তার বিষয়ে বিশ্বাস রাখার জন্য আমাদের পাঠ্যাংশের এই তিনটি ধারা তিনটি কারণ দর্শায়|

১| প্রথমত, খ্রীষ্টের উপহার |

প্রথমে পরিত্রাতা বলছেন, “আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই|” অনন্তজীবন আমাদের প্রত্যেকের কাছে আসে একটি উপহার হিসাবে| আমরা যখন জন্মগ্রহণ করি তখন আমরা অনন্ত জীবনের অধিকারী ছিলাম না| আদমের সন্তান হিসাবে আমরা সবাই জন্মগ্রহণ করেছি| মৃত্যুবরণ করবার জন্যেই আমরা জন্মগ্রহণ করেছি| কোন কাজকর্মের দ্বারা আমরা এটা সঞ্চয় করিনি| ভাল কাজ করার দ্বারা আমরা এটা অর্জন করতে পারি না| বাইবেলের পদগুলি শিক্ষার মাধ্যমে আমরা এটা অর্জন করতে পারি না| কোন প্রার্থনার বাক্য উচ্চারণের দ্বারা আমরা এটা অর্জন করতে পারি না| এটা হচ্ছে একটা উপহার| যেহেতু এটা একটি উপহার তাই এটা অর্জন করতে পারা যায় না| যখন কোন ব্যক্তি তার আত্মার অনন্ত জীবন লাভ করে, সেটা হয় এক বিনামূল্যের উপহার| আমরা এটাকে পুরষ্কার হিসাবে গ্রহণ করি না| এটা বিনামূল্যের এক উপহার|

প্রথম থেকেই ঈশ্বর শেষটি জানেন| যখন তিনি কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করেন, তখন তিনি তার মধ্যেকার সমস্ত অপূর্ণতা ও ব্যর্থতার কথা জানেন| আগে থেকেই তিনি জানেন যে কিভাবে সেই মানুষ কোন কোন সময়ে ব্যর্থ হবে| কোন মানুষকে অনন্ত জীবন দান করেছেন এবং তারপর সেই মানুষের কোন ব্যর্থতার কারণে সেটা ফিরিয়ে নিয়েছেন এইরকম কখনই তিনি করতেন না – যেহেতু তিনি সেই পুরষ্কার দেওয়ার আগে থেকেই জানতেন যে সেই মানুষটির জীবনে কি ধরনের ব্যর্থতা আসবে|

কিভাবে এটা সম্ভব হতে পারে যে আপনাকে অনন্তজীবন দেওয়া যাবে এবং তারপরে আপনার মৃত্যু হবে? যখন যীশু বলেন “অনন্তকাল” তখন তিনি “অনন্তকাল”কেই বোঝাচ্ছেন| স্পারজিয়ন বলেছেন, “ইহা আমার পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব নয় পাপের মধ্যে থাকিয়া নষ্ট হইয়া সেই আধ্যাত্মিক জীবন হারাইয়া ফেলা|” এই হচ্ছে “অনন্ত জীবন|”

যখন খ্রীষ্ট কূয়োর পাশে সেই স্ত্রীলোকের সঙ্গে কথা বলেন তখন তিনি বলেছিলেন,

“কিন্তু আমি যে জল দিব তাহা যে কেহ পান করে তাহার পিপাসা আর কখনও হইবে না; বরং আমি তাহাকে যে জল দিব তাহা তাহার অন্তরে এমন জলের উনুই হইবে যাহা অনন্ত জীবন পর্য্যন্ত উথলিয়া উঠিবে” (যোহন ৪:১৪)|

দ্য রিফরমেশন স্টাডি বাইবেল বলে, “পুরাতন নিয়মে জীবন জল বলতে বোঝায় [বলা হচ্ছে] প্রবাহিত জল – কর্মে নিযুক্ত আলঙ্কারিকভাবে [ঈশ্বরের] কর্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত|” “উথলিয়া উঠা” দেখায় এর প্রাচুর্য্য; “অনন্ত জীবন” হচ্ছে সীমাহীন এবং চিরতরে পর্য্যাপ্তভাবে প্রবহমান! এটা হচ্ছে মানুষের আত্মার মোড়কে ঈশ্বরের সেই জীবন! যীশু তাঁর মেষদের অন্তরে ঈশ্বরের সীমাহীন জীবন দান করেছিলেন – যা সর্বদা উথলে উঠছে – যা কখনও শেষ হয় না – সর্বদা প্রবহমান! এ হল এক উপহার| একে অর্জন করা যায় না| এটা খ্রীষ্টের দেওয়া এক উপহার| তিনি যা দেন তা কখনও ফিরিয়ে নেন না!

কেউ কেউ বলেন, “কিন্তু কী হবে যদি আমি ধরে রাখতে না পারি? কী হবে যদি ছেড়ে দিই?” ওহ, বন্ধু, আপনি এখনও মধ্যযুগীয় ক্যাথলিকদের মতন করে চিন্তা করছেন! এটা আপনার দ্বারা অর্জিত হয়নি! কিভাবে সেটা হত? আপনি তো “পাপে মৃত|” কিভাবে একজন মৃত মানুষ কিছু ধরে রাখতে পারত? কিভাবে একজন মৃত মানুষ পরিত্রাণ পাওয়ার জন্যে আদৌ কিছু করতে পারত? ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, বাইবেল বলছে,

“এমন কি যখন আমরা পাপে মৃত ছিলাম [ঈশ্বর] আমাদের প্রাণবন্ত করেছেন [আমাদের জীবিত করেছেন] খ্রীষ্টের সহিত, (অনুগ্রহেই তোমরা পরিত্রাণ পাইয়াছ;)”(ইফিষীয় ২:৫)|

একটি মৃত আত্মাকে অনন্ত জীবন দেওয়া হয়| অনন্ত জীবন হল একটা উপহার, যা দেওয়া হয় সেই সমস্ত পুরুষ এবং মহিলাদের যারা পাপে মৃত! এটা হল সুসমাচারের এক শুভবার্তা! প্রভুর প্রশংসা হোক! “আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; এবং তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

তিনি আমার আত্মাকে হারিয়ে যেতে দেবেন না, তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন;
   তাঁর দ্বারা এই মহামূল্যে ক্রীত হয়েছি, তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন|
তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন, তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন;
   কারণ পরিত্রাতা আমাকে এত প্রেম করেন, যে তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন|
      (“He Will Hold Me Fast” by Ada R. Habershon, 1861-1918) |

স্পারজিয়ন বলেছিলেন, “আমরা প্রত্যাশা করি যে বিশ্বাসীরা শেষ পর্য্যন্ত ধরিয়া রাখিবে, কারণ সেই জীবন যাহা ঈশ্বর তাহার মধ্যে রোপন করিয়াছিলেন তাহার চরিত্র সেই ধরনের যে ইহা অবশ্যই নিজের অস্তিত্ব বজায় রাখিবে, অবশ্যই সমস্ত বাধা জয় করিবে, অবশ্যই বিকশিত হইবে…অবশ্যই তাহাকে শাশ্বত মহিমার সন্মুখীন করাইবে” (C. H. Spurgeon, “Perseverance Without Presumption,” MPT, Number 1,055)| এইরকম অবশ্যই হবে! এইরকম অবশ্যই হবে! এটা আপনাকে অবশ্যই শ্বাশত মহিমার মুখোমুখি এনে দেবে! এটা একটা উপহার! এটা হল যীশু খ্রীষ্টের উপহার! তিনি বলছেন, “আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই|” তাঁর পবিত্র নামের প্রশংসা করুন! তিনি আমাদের অনন্ত জীবন দেন! আমরা এর জন্য কোন মূল্য দিইনা| ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করার দ্বারা যীশু এর মূল্য দিয়েছিলেন! মৃত্যু থেকে পুনরুত্থানের দ্বারা যীশু এটা আমাদের জন্য সংগ্রহ করেছিলেন!

হালেল্লুইয়া, ইহা হইয়াছে! আমি সেই পুত্রে বিশ্বাস করি;
আমি ক্রুশারোপিত একজনের রক্তের দ্বারা মুক্তি পাইয়াছি!
      (“Hallelujah, ‘Tis Done” by Philip P. Bliss, 1838-1876) |

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

অনন্ত জীবন হল খ্রীষ্টের উপহার|

২| দ্বিতীয়ত, খ্রীষ্টের প্রতিজ্ঞা |

আমি তাহাদিগকে অনন্তজীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না…” তিনি বলছেন, “আমি ইহা করিতেছি|” কি বিস্ময়কর এক প্রতিজ্ঞা! “তাহারা কখনও বিনষ্ট হইবে না|” আমি খুব আনন্দিত যে তিনি সেটা বলেছিলেন| কিছু লোক বলেছেন যে তারা নিজেদের সিদ্ধান্ত মাফিক চলে যেতে পারেন| তারা হয়তো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তাঁর থেকে দূরে চলে যাওয়ার| কিন্তু “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না” - এই বাক্যাংশ বা উক্তি সেই ধারনাকে দূরে সরিয়ে দেয়| এটা সমস্ত কালকে অন্তর্ভূক্ত করে| “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না|” এরা কী সেই নবীন বিশ্বাসীগণ যাদের খুব সামান্য জ্ঞান আছে? এদের বিশ্বাস কী খুব অল্প যেহেতু এরা সদ্য মন পরিবর্তিত? “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না|” যখন এরা অপেক্ষাকৃত বয়স্ক হয়ে পড়বে এবং জীবনের সব সমস্যা তাদের পূর্ব-বিশ্বাসের উপরে ঝুঁকে পড়বে, তখন তারা কী জাগতিক হয়ে পড়বে এবং তাদের বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে? “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না|” তারা বিনষ্ট হয়ে যেত যদি জাগতিকতা তাদের ধ্বংস করতে পারত| তারা বিনষ্ট হয়ে যেত যদি মন্দ তাদের পুনরায় দাসে পরিনত করতে পারত, কিন্তু এইরকম হবে না| “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না|” “কখনই” শব্দের দ্বারা সমস্ত সম্ভাবনা বন্ধ হয়ে গেছে| কী হত যদি তারা ভীষণভাবে প্রলুব্ধ হত? “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না|” কী হত যদি তারা এতটাই শীতল হয়ে পড়ত যে তাদের সমস্ত প্রেম এবং আগ্রহ চলে যেত? “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না|” পাপ তাদেরকে আর কখনও সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না| “তাহারা আর কখনই বিনষ্ট হইবে না|”

আমি চুয়ান্ন বছর ধরে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী| এমন একটা সময় ছিল যখন মনে হয়েছিল যে ঈশ্বর অনেক দূরে আছেন| এমন একটা সময় ছিল যখন এমনকী নিজের পরিত্রাণে আমি সন্দেহ প্রকাশ করেছিলাম| এমন একটা সময় ছিল যখন আমি চিন্তা করেছিলাম যে আমার পা পিছলে যাবে এবং আমি চিরকালের জন্যে হারিয়ে যাব| কিন্তু যীশু সর্বদা আমাকে এই সবের মধ্য দিয়ে বহন করে নিয়ে গেছেন| যীশু সর্বদা আমাকে হতাশার দোড়গোড়া থেকে ফিরিয়ে নিয়ে এসেছেন| আমি কোন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীর গৃহে লালিত পালিত হইনি| আমার সামনে অনুসরন করার মতন কোন ভাল উদাহরন ছিল না| সন্ত্রাসের হাওয়া আমার চারিদিকে প্রবাহিত হত| আমি প্রায় হারিয়ে যেতে বসেছিলাম| আমি অন্যান্য বহু লোকের পতন হতে দেখেছি| আমি অনুভব করেছিলাম যে আমিও তাদের সঙ্গে হারিয়ে যাব| এগিয়ে যাওয়ার পক্ষে আমি খুব দূর্বল ছিলাম| আমি নিজেকে পরিত্যক্ত বলে অনুভব করতাম| আমি নিজেকে দায়ূদের মতন মনে করতাম, যখন সে তার শত্রু, রাজা শৌলের কাছ থেকে লুকিয়ে গুহাতে থাকত|

“দক্ষিনে, নিরীক্ষণ করিয়া দেখ, আমাকে চিনে এমন কেহ নাই: আমার আশ্রয় বিনষ্ট হইল; কেহই আমার প্রাণের তত্ত্ব করে না” (গীতসংহিতা ১৪২:৪)|

“যখন আমি বলিতাম, আমার চরণ বিচলিত হইল; তখন, হে সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাকে সুস্থির রাখিত” (গীতসংহিতা ৯৪:১৮)|

আমি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এসব জানি| “যখন আমি বলিতাম, আমার চরণ বিচলিত হইল; তখন, হে সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাকে সুস্থির রাখিত|” আমি অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে জানি যে যীশু সত্যভাষন করেছিলেন| “তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না|” এখন এটা আমার কাছে কেবল একটা মতবাদ নয়| প্রভু যীশু খ্রীষ্টের মুখ থেকে নির্গত - এক জীবন্ত সত্য| “আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; এবং তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না|”

আমি কখনও নিজেকে ধরে রাখতে পারিনি, তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন;
   কারণ আমার প্রেম প্রায়ই শীতল হয়, তিনি অবশ্যই আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরবেন|
তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন, তিনি আমাকে দৃঢ়ভবে ধরে রাখবেন;
   কারণ পরিত্রাতা আমাকে এত প্রেম করেন, যে তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন|

যুবকগণ, আমিও যুবক ছিলাম এবং এখন আমি বৃদ্ধ হয়েছি| আমি জানি যীশুর প্রতিজ্ঞা হল সত্য| আমার অস্থি মজ্জাতে আমি এই কথা সত্যি বলে জানি! “যখন আমি বলিতাম, আমার চরণ বিচলিত হইল, তখন, হে সদাপ্রভু, তোমার দয়া আমাকে সুস্থির রাখিত|” আমি জানি যীশু সত্যি বলেছেন,

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

তিনি আমাকে উপরে ধরে রেখেছেন| তিনি আমাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছেন| আমি জানি তিনি একই কাজ আপনার জন্যেও করতে পারেন! সেই কারণে আমি দৃঢ়ভাবে আপনাকে আমার পরিত্রাতা, যীশুকে বিশ্বাস করতে বলতে পারি| আমি অনেক বছর আগে তাঁকে বিশ্বাস করেছিলাম, এবং আমি কখনই বিনষ্ট হয়ে যাইনি| যদি আপনি তাঁকে বিশ্বাস করেন, তিনি আপনাকে কখনই বিনষ্ট হতে দেবেন না! সেটাই হচ্ছে খ্রীষ্ট স্বয়ং এর প্রতিজ্ঞা!

৩| তৃতীয়ত, খ্রীষ্টের শক্তি |

“কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮খ)| লক্ষ করুন যে কিং জেম্স অনুবাদে “man” শব্দটি ইটালিক ফন্টে আছে| এর অর্থ KJV অনুবাদকগণ “man” শব্দটিকে রেখেছিলেন – কারণ এটা মূল গ্রীক পাঠ্যাংশে নেই| “tis” হল আসল গ্রীক শব্দ| এর অর্থ “কেহই” (জর্জ রিকার বেরী) অথবা “যে কোন ব্যক্তি অথবা বস্তু” (স্ট্রং)| এই অনুযায়ী মহান গ্রীক পন্ডিত এ. টি. রবার্টসন এই পদ প্রসঙ্গে বলছেন, “সেই মেষ নিরাপদ অনুভব করিতে পারে…কোন নেকড়ে নয়, কোন চোর নয়, কোন দস্যু নয়, কোন সৈনিক নয়, কোন দিয়াবল নয়, এমনকী কোন শয়তানও আমার হস্ত হইতে সেই মেষকে তুলিয়া [কাড়িয়া] লইতে পারিবে না” (Word Pictures; note on John 10:28)| যোহন ৬:৩৯ পদের সঙ্গে ডঃ রবার্টসন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন,

“আর যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন তাহার ইচ্ছা এই, তিনি আমাকে যে সমস্ত দিয়াছেন তাহার কিছুই যেন না হারাই, কিন্তু শেষ দিনে যেন তাহা উঠাই” (যোহন ৬:৩৯)|

আবার ডঃ রবার্টসন, যোহন ১৭:১২ পদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, “আমি রক্ষা করিয়া আসিয়াছি…যে নাম তুমি আমাকে দিয়াছ আমি তাহাদিগকে সাবধানে রাখিয়াছি, তাহাদের মধ্যে কেহ বিনষ্ট হয় নাই…” এরপরে তিনি আবার কলসীয় ৩:৩ পদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছেন, “তোমাদের জীবন খ্রীষ্টের সহিত ঈশ্বরে গুপ্ত রহিয়াছে|” নতুন কিং জেমস অনুবাদে এইরকম আছে, “আমার হস্ত হইতে কেহই তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না|”

স্পারজিয়ন বলেছেন, “আপনি জানিবেন যে সন্মুখে রক্ষিত পাঠ্যাংশে ‘মানুষ’ শব্দটি আমাদের পড়িবার প্রয়োজন নাই, কারণ ইহা আদি [গ্রীক] পাঠ্যাংশে নাই…এবং সেই কারণে আমরা এইরূপ পড়িতে পারি – ‘কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না|’ শুধুমাত্র – কোন ‘মানুষ’ নহে, কিন্তু কোন দিয়াবলও নহে…ইহা কেবলমাত্র মানুষকেই অন্তর্ভূক্ত করিতেছে না, যাহারা কোন কোন সময়ে আমাদের চরম মন্দ [শত্রু] হইয়া থাকে…ইহা পতিত আত্মাকেও অন্তর্ভূক্ত করিতেছে; কিন্তু ইহাদের কেহই তাঁহার হস্ত হইতে আমাদের কাড়িয়া লইতে সক্ষম হইবে না| কোন সম্ভাবনাই নাই যাহার দ্বারা কেহ সক্ষম হইবে, তাহাদের যে কোন পরিকল্পনার দ্বারা, আমাদেরকে অপসারন করিতে…তাঁহার সম্পত্তি হিসাবে, তাঁহার প্রিয় পুত্র হিসাবে, তাঁহার সুরক্ষিত সন্তান হিসাবে থাকা হইতে| ওহ কি আশীর্বাদযুক্ত এক প্রতিজ্ঞা!” (ibid.)|

পালক উম্ব্রান্ডকে স্মরণ করুন| আপনি হয়ত আশ্চর্যান্বিত হবেন যে, কেন আমি Tortured for Christ বা টর্চার্ড ফর খ্রাইষ্ট নামের বইটি, বার বার পড়ি| আপনি বিস্মিত হতে পারেন যে কেন আমি এইরকম একটা বিভৎস বই পড়তে ভালবাসি| তার কারণ বলছি| আমি বইটা বিষাদগ্রন্থ পড়ার কৌতুহল নিয়ে, বা রক্তের প্রতি ভালবাসার কারণে পড়ি না| আমি তার লেখা বইগুলি পড়ি কারণ সেগুলো খ্রীষ্টের প্রতিজ্ঞা পালনের শক্তি প্রদর্শিত করে আমাকে আকর্ষণ করে| সুসমাচার প্রচার করার জন্যে উন্মাদ কম্যুনিষ্টরা উম্ব্রান্ডের উপরে অত্যাচার চালিয়েছিল| যে পর্যন্ত তিনি প্রচারের জন্যে দাঁড়াতে না পারতেন সেই পর্যন্ত্য তারা তার পায়ের তলায় আঘাত করত| তার পায়ের তলায় গভীর ক্ষত থাকার কারণে যখন তিনি এখানে আমাদের মন্ডলীতে প্রচার করতেন তখন তাকে নিজের জুতা খুলে নিতে হত এবং একটা চেয়ারে বসতে হত| লোহিত-তপ্ত লৌহশলাকা দিয়ে তারা তার দেহে আঠারোটি গভীর গর্ত করে দিয়েছিল| তারা তাকে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড় করিয়ে রাখত| তারা থাকে ক্ষুধার্ত রাখত| তারা তাকে ইঁদুর-ভর্তি একটা ঘরে তালাবন্ধ করে রেখেছিল| তারা তাকে নির্জন স্থানে আটক করে রেখেছিল যেখানে তিনি মাসের পর মাস কোন মানুষের কন্ঠস্বর শুনতে পেতেন না| তবুও তিনি এই সব কষ্ট অতিক্রম করেছিলেন – এবং বহুবার আমাদের মন্ডলীতে প্রচার করেছেন| আপনি বলছেন, “তাহার অবশ্যই লৌহসম-ইচ্ছা ছিল|” না, তিনিই আপনাকে প্রথম বলতেন যে তিনি খুব দূর্বল এক মানুষ ছিলেন| তিনি সেই সমস্ত অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে এসেছিলেন তার কারণ এই যে খ্রীষ্টের প্রতিজ্ঞা হচ্ছে সত্য!

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

আমি জানি এটা সত্যি, কারণ আমিও আমার নিজের জীবনের অপেক্ষাকৃত ছোটখাটো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময়ে এই সত্যের অভিজ্ঞতা লাভ করেছি| যীশুতে সমর্পণ করুন এবং আপনি অনন্ত জীবন লাভ করবেন| যীশু মিথ্যা বলতে পারেন না|

পুনরায় স্পারজিয়নের উক্তির উল্লেখ করে আমাকে অবশ্যই এখন শেষ করতে হবে, “যদিও তখন আমি যুবক [তরুন] ছিলাম তথাপি আমি দেখিয়াছিলাম উন্নতির সম্ভাবনাযুক্ত অনেক তরুনদের যাহারা জীবনের প্রাথমিক অবস্থায় অনৈতিকতায় [ও পাপে] পতনের দ্বারা বিপর্যয় ডাকিয়া আনিয়াছিল| তাহারা যে ধরনের পাপ করিয়াছিল তাহা শুনিয়া আমি আমার আত্মায় ঐ পাপের প্রতি এক পাপ [ঘৃণা] অনুভব করিতাম| তাহাদের হইতে আমাকে পৃথক রাখা হইত [আমার পিতামাতার দ্বারা]| এখনও আমি ভয় পাইতেছি সেই তরুনেরা যে পাপ করিয়াছিলেন তাহা আমার উপরেও আধিপত্য বিস্তার করিতে পারে| আমার হৃদয়ের যে বঞ্চনা আছে সেগুলি আমাকে বিশ্বাসহীনতায় পরিচালনা করিতে পারে| আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী হইয়াছিলাম যে যদি আমি মনপরিবর্তন, পুনঃজন্ম লাভ, এবং নতুন জীবন লাভ না করিতাম, তাহা হইলে আমার কোন নিরাপত্তা থাকিত না| অন্যথায় আমি হয়্ত দিয়াবলের টোপ গিলিয়া ফেলিতাম| আমি ভীত ছিলাম যে আমি হয়ত নৈতিকভাবের নিজেকে অপমান করিব, যেমন সেই তরুনদের মধ্যে কেহ কেহ করিত বলিয়া আমি জানিতাম| সেই ভাবনা আমাকে আতঙ্কিত করিয়াছিল| কিন্তু যখন আমি শুনিলাম যীশু আমাকে পতন হইতে ধরিয়া রাখিবেন তখন সেই মতবাদ আমাকে চমৎকৃত করিয়াছিল এবং আশা করাইয়াছিল যে তিনি আমাকে পরিত্রাণ করিতে পারিবেন| আমি ভাবিয়াছিলাম, ‘যদি আমি যীশুর নিকটে যাই এবং তাঁহার নিকট হইতে একটি নূতন হৃদয় এবং একটি সঠিক আত্মা পাই, তাহা হইলে অন্যেরা যে পাপে পতিত হইয়াছিল তাহা হইতে আমি দূরে থাকিতে পারিব; আমি তাঁহার দ্বারা সংরক্ষিত থাকিব|’ সেই চিন্তা আমাকে যীশুর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করিতে আকর্ষণ করিয়াছিল| আমি আনন্দিত হইয়াছিলাম ইহা শুনিয়া যে যীশু হইতেছেন বিশ্বস্থ এক রক্ষক তাহাদের সকলের জন্যে যাহারা তাঁহার প্রতি সমর্পিত; আমি শুনিয়াছিলাম যে তিনি সক্ষম এবং ইচ্ছুক ছিলেন কোন যুবককে গ্রহণ করিতে এবং তাহার পথ শুচি করাইতে এবং এমনকী শেষ পর্যন্ত তাহাকে ধরিয়া রাখিতে| হে যুবকগণ, যীশুতে বিশ্বাস স্থাপনের তুল্য আর কোন নিরাপদ জীবন নাই” (C. H. Spurgeon, ibid., somewhat simplified by Dr. Hymers for modern hearers)|

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

আরও একটা চিন্তা আপনার মনে আসতে পারে| আমি বলেছি কোন লৌকিক শত্রু এবং কোন দিয়াবল আপনাকে পরিত্রাতার হাত থেকে কেড়ে নিতে পারে না| “কিন্তু,” আপনি বলছেন, “কী হইবে যদি আমি স্বয়ং যীশুর দিক হইতে মুখ ফিরাইয়া লই? কী হইবে যদি আমি স্বয়ং মন্ডলী ছাড়িয়া দিই এবং জগতে ফিরিয়া যাই?” প্রিয় বন্ধু, “আমি স্বয়ং” শব্দটি অন্তর্ভূক্ত আছে “যে কেহ” শব্দের মধ্যে| আমি জানি যাদের মিথ্যা মন পরিবর্তন হয়েছিল তারা অনেকে মন্ডলী ত্যাগ করে জাগতিকতার দিকে ফিরে গিয়েছিল| কিন্তু আমি এটাও জানি যে তাদের কাছে কখনও খ্রীষ্টের নিজের মেষের চিহ্ন ছিল না| তারা কখনও তাঁর গলার স্বর শোনেনি| তারা কখনও তাঁর দ্বারা জানিত ছিল না| তারা কখনও তাঁকে অনুসরন করেনি| তারা উপর উপর একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মাত্র, এবং তারপরে সেটা ফিরিয়ে নিয়েছিল| কিন্তু আমি আপনাকে এইরকম করতে বলছি না| আমি আপনাকে সেই ঈশ্বর পুত্র, নাজারতীয় যীশুর কাছে আসতে বলছি| আমি আপনাকে তাঁকে বিশ্বাস করতে এবং তাঁর উপর বিশ্রাম বা নির্ভর করতে বলছি| স্পারজিয়ন বলেছিলেন, “হে! পাপী, আজ আপনি যীশুর উপর এবং শুধু যীশুর উপরেই বিশ্রামের প্রতি পরিচালিত হউন, এবং তাহার পর মূল পাঠ গ্রহণ করুন| এই বিষয়ে ভয় করিবেন না – ‘আমি আমার মেষেদের অনন্ত জীবন দিই; এবং তাহার কখনই বিনষ্ট হইবে না, কেহই তাহাকে আমার হস্ত হইতে কাড়িয়া লইবে না’” (ibid.)|

তিনি আপনাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন, তিনি আপনাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন;
কারণ আমার পরিত্রাতা আপনাকে এত প্রেম করেন, তিনি আপনাকে দৃঢ়ভাবে ধরে রাখবেন|

পিতা, আমি প্রার্থনা করি যে এই প্রচার যিনি শুনছেন অথবা পড়ছেন তারা যীশুতে বিশ্বাস স্থাপনের মাধ্যমে বিশ্রাম খুঁজে পাবেন, যিনি তাদের অনন্ত জীবন দান করবেন| তাঁর নামে| আমেন|

যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে অনুগ্রহ করে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে বলুন – www.realconversion.com (এখানে ক্লিক করুন)| আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: যোহন ১০:২২-২৯ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ জ্যাক গ্যান:
“He Will Hold Me Fast” (by Ada R. Habershon, 1861-1918) |


খসড়া চিত্র

তিনি আপনাকে দৃঢ়ভাবে ধরিয়া রাখিবেন!

HE WILL HOLD YOU FAST!

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না, এবং কেহই আমার হস্ত হইতে তাহাদিগকে কাড়িয়া লইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

(যোহন ১০:৩১, ২৭; গালাতীয় ৫:৬; ১ম করিন্থীয় ২:৭)

১| প্রথমত, খ্রীষ্টের উপহার, যোহন ১০:২৮ক; ৪:১৪; ইফিষীয় ২:৫ |

২| দ্বিতীয়ত, খ্রীষ্টের প্রতিজ্ঞা, যোহন ১০:২৮ক; গীতসংহিতা ১৪২:৪;
গীতসংহিতা ৯৪:১৮ |

৩| তৃতীয়ত, খ্রীষ্টের শক্তি, যোহন ১০:২৮খ; ৬:৩৯; ১৭:১২; কলষীয় ৩:৩ |