Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




অন্তিম দিনে মন্ডলীর অপরিত্রাণপ্রাপ্ত সদস্যরা

(২য় পিতরের উপর ৫ নং প্রচার)
UNCONVERTED CHURCH MEMBERS IN THE LAST DAYS
(SERMON #5 ON II PETER)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ৩১শে মে, প্রভুর দিনের সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেল্সের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, May 31, 2015

“সেই প্রকারে তোমাদের মধ্যেও ভাক্ত গুরুরা উপস্থিত হইবে, তাহারা [গোপনে] বিনাশজনক দলভেদ উপস্থিত করিবে, যিনি তাহাদিগকে ক্রয় করিয়াছেন সেই অধিপতিকেও অস্বীকার করিবে, এইরূপে শীঘ্র আপনাদের বিনাশ ঘটাইবে” (২য় পিতর ২:১)|


প্রেরিত বলেছিলেন যে মন্ডলীতে “তোমাদের মধ্যে” ভাক্তগুরুরা উপস্থিত হবে| সেটা বর্তমানে ক্রমবর্ধমানহারে সত্য|

“কেননা এমন সময় আসিবে যে সময় লোকেরা নিরাময় শিক্ষা সহ্য করিবে না; কিন্তু কানচুলকানিবিশিষ্ট হইয়া, আপন আপন অভিলাষ অনুসারে আপনাদের জন্য রাশি রাশি গুরু ধরিবে” (২য় তীমথিয় ৪:৩)|

লোকেরা এমন কিছু শুনতে চায় যা তাদের কানে আনন্দদায়ক শিহরণ জাগায়| সুতরাং ভ্রান্ত শিক্ষকেরা বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকেন| যে সমস্ত শিক্ষকদের আমি দূরদর্শনের পর্দায় দেখি তারা সকলেই বাস্তবিকপক্ষে এই শ্রেনীভূক্ত| এরা গোপনে নারকীয় ভ্রান্ত শিক্ষা নিয়ে আসে|

২য় পিতরের দ্বিতীয় অধ্যায়ে এই সমস্ত ভ্রান্ত শিক্ষকদের বর্ণনা দেওয়া হয়েছে| প্রেরিত বলেছেন যে তারা “নারকীয় ভ্রান্ত শিক্ষা,” এমনকী খ্রীষ্টকে অস্বীকার করার শিক্ষাদানও করবে| তারা সুসমাচার প্রচার না করার দ্বারা যীশুকে অস্বীকার করে| তিনি বলেছেন যে তারা শাস্ত্রবিরোধী হবে| তারা লোকেদের এই শিক্ষা দেবে যে লোকেরা পাপের মধ্যে বসবাস করতে পারে এবং তবুও হতে পারে খ্রীষ্ট বিশ্বাসী| তারা ঈশ্বর অপেক্ষা বরং অর্থের জন্য কাজ করতে পারে| তাদের শাস্তি হবে নিদারুন পীড়নদায়ক| যারা বিদ্রোহ করেছিল এমন দেবদূতদের যেভাবে “নরকে নিক্ষেপ করা হইয়াছিল” তেমনভাবে তাদেরও বিচার করা হবে| নোহের সময়ের লোকদের যেমন মহাপ্লাবনের মধ্যে বিচার করা হয়েছিল তেমনভাবেই তাদের বিচার করা হবে| স্বর্গ থেকে পাঠানো আগুনের দ্বারা যেমনভাবে সদোম ও ঘমোরা নগরীদ্বয়ের বিচার করা হয়েছিল তেমনভাবেই তারা বিচারিত হবে|

এই তিনটি উদাহরনের দ্বারা পিতর দেখিয়েছেন যে ভ্রান্ত শিক্ষকেরা, এবং তাদের যারা অনুসরন করছে, তারাও বিচারিত হবে| ভ্রান্ত শিক্ষকেরা বলে যে লোকেরা পাপের মধ্যে বসবাস করতে পারে এবং তবুও তারা পরিত্রাণ পেতে পারে| তারা উচ্চকথায় গর্বিত| তারা প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী নেতৃবর্গের বিরুদ্ধে খারাপ কথা বলে| তারা বাইবেলের অধিকারকে অস্বীকার করে| এমনকী এই ভ্রান্ত শিক্ষকেরা যে সমস্ত বিষয়ের বিরুদ্ধে বলে সেগুলিকেই ভাল করে বোঝে না| তারা হচ্ছে পাপের ক্রীতদাস| এবং তারা নিজেদের পাপেই নিজেরা বিনষ্ট হবে| মন্ডলীতে এই সমস্ত লোকেরা “কলঙ্কিত” এবং “কালিমালিপ্ত|” তাদের চোখের দৃষ্টি ব্যাভিচারে পরিপূর্ণ| তারা পাপ করা থেকে বিরত থাকতে পারে না| তারা দৃঢ় নয় এমন লোককে বিপথে চালিত করে| তারা অভিশাপগ্রস্ত| তারা হচ্ছে ভ্রান্ত ভাববাদী বিলিয়মের মতন, যিনি অর্থের জন্য প্রচার করতেন|

এই সমস্ত ভ্রান্ত শিক্ষকেরা হলেন শুষ্ক কূয়া, অর্থাৎ জলবিহীন কূয়াগুলির মতন| তারা ভাল ভাল কথা বলে, কিন্তু তাদের অনুসরনকারীদের সঙ্গে প্রতারণা করে| তারা তাদের অনুসরনকারীদের স্বেচ্ছানুযায়ী কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেয়| কিন্তু তারা নিজেরা স্বয়ং অভিলাষমূলক পাপের দাস| তারা হল নৈতিক বিচ্যুতির দাস| তারা নতুন বিশ্বাসীদের বিপথে চালিত করে| বাইবেলের নির্দেশ থেকে ইচ্ছা করে মুখ ফিরিয়ে থাকার জন্য তারা চরমভাবে বিচারিত হবে| তারা হচ্ছে কুকুর এবং শূয়োরের মতন| তারা ভাল খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হওয়ার ভান করে থাকত, কিন্তু এখন তারা তাদের পুরানো পাপের প্রতি ফিরে আসছে| কুকুর ও শূয়োরের মতন, তাদের চরিত্রগুলি খ্রীষ্টের দ্বারা পরিবর্তিত হয়নি| এইগুলিই হচ্ছে সেই সমস্ত বিষয় যা ২য় পিতরের দ্বিতীয় অধ্যায় আমাদের বলছে|

এই সমস্ত ভ্রান্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের বিষয়ে বলার জন্য পিতর একটা সম্পূর্ণ অধ্যায় ব্যয় করেছিলেন কেন? প্রথমত, তারা খ্রীষ্টধর্ম্মের ইতিহাসের মধ্যে সর্বত্র বিরাজ করছে, এবং আমাদেরকে এই বিষয়গুলিতে সাবধান করে দেওয়ার প্রয়োজন আছে| দ্বিতীয়ত, শেষের দিনগুলিতে তারা সংখ্যায় এবং প্রাবল্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে| ২য় পিতরের ৩:৩ পদটি দেখুন| উঠে দাঁড়ান এবং উচ্চস্বরে সেটা পড়ুন|

“প্রথমে ইহা জ্ঞাত হও, যে শেষকালে উপহাসের সহিত উপহাসকেরা উপস্থিত হইবে, তাহারা আপন আপন অভিলাষ অনুসারে চলিবে” (২য় পিতর ৩:৩)|

আপনারা এবার বসতে পারেন| লক্ষ্য করুন পদটিতে বলা হচ্ছে, “শেষকালে|” ঐ সমস্ত উপহাসক এবং ভ্রান্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা একই লোক যাদের বিষয়ে আমরা দ্বিতীয় অধ্যায়ে পড়ছি| শেষের দিনের এই বিশাল সংখ্যক ভ্রান্ত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের সম্পর্কে বাইবেলের অনেক কিছু বলার আছে| বাহ্যিক দিকে তারা হলেন ভক্তির অবয়ব, কিন্তু তাদের মধ্যে ঈশ্বরের থেকে প্রাপ্ত কোন শক্তি নাই (২য় তীমথিয় ৩:৫)| “উত্তরকালে…[তাহারা মন দেয়] ভ্রান্তজনক আত্মাদিগেতে, ও ভূতগণের [দিয়াবলের] শিক্ষামালায়” (১ম তীমথিয় ৪:১)| যতক্ষণ জগত তাড়নার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ মন্ডলীগুলিকে বর্ণনা করা হয়েছে “ভূতগণের আবাস, এবং সমস্ত অশুচি আত্মার কারাগার, ও সমস্ত অশুচি ও ঘৃণার্হ পক্ষীর কারাগার” হিসাবে (প্রকাশিত বাক্য ১৮:২)| এই পরিস্থিতিতে মন্ডলীগুলিকে বলা হবে, “সেই মহাবেশ্যা” (প্রকাশিত বাক্য ১৭:১; ১৯:২)| ডঃ জে ভারন্ন ম্যাক্গী বলেছিলেন যে “মহাবেশ্যা” “তাহাদের লইয়া গঠন করা হইবে যাহারা কখনও পরিত্রাতা হিসাবে খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করে নাই” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, volume 5, Thomas Nelson Publishers, 1983, p. 1030; note on Revelation 17:1)|

ডালাসের ঈশ্বরতাত্ত্বিক সেমিনারীর দীর্ঘদিনের সভাপতি, ডঃ জন্. এফ. ওয়ালভোর্ড, বলেছিলেন, “কোন ব্যক্তি যিনি বাইবেল অনুযায়ী যীশু খ্রীষ্টের ব্যক্তিত্ব এবং কর্মকে অস্বীকার করিয়াছেন তিনি আদৌ খ্রীষ্ট বিশ্বাসী হইতে পারেন না| তিনি হইতেছেন খ্রীষ্টধর্ম্ম বিশ্বাসীদের বিরোধী; তিনি সুসমাচারের বিরোধিতা করেন; তিনি হইতেছেন একজন বিরুদ্ধ মতাবলম্বী, অপরিত্রাত ব্যক্তি| তিনি হইতেছেন সেইরূপ এক ব্যক্তি যিনি ঈশ্বরের অনুগ্রহ দ্বারা কখনও স্পর্শিত হন নাই| দুঃখের বিষয় ইহাই যে পিতর যাহা ভবিষ্যদ্বাণী করিয়াছিলেন তাহাই সর্বতোভাবে বর্তমানে ধর্মাবিশ্বাসযুক্ত মন্ডলীতে স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হইতেছে…যে অবিশ্বাস মন্ডলীতে বর্তমানে প্রবেশ করিয়াছে তাহার প্রসারতা এবং গভীরতা বেশির ভাগ খ্রীষ্ট বিশ্বাসীই অনুভব করিতেছেন না…পিতর বহুপূর্বেই ইহা উপলব্ধি করিয়াছিলেন| পরিপূর্ণতার নিমিত্ত আর অপেক্ষা করিবার প্রয়োজন নাই| ইহা ইতিমধ্যেই পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছে” (John F. Walvoord, Th.D., “Where is the Modern Church Going?” in Prophecy and the Seventies, Charles L. Feinberg, Th.D., Ph.D., editor, Moody Press, 1971, pp. 113, 114)|

একজন প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে, আমি আপনাকে বলতে পারি যে, নব্য-সুসমাচার প্রচারকদের মধ্যে বেশ বড় সংখ্যক প্রচারকগণই “ঈশ্বরের অনুগ্রহের দ্বারা স্পর্শিত হয় নাই” এবং তারা হলেন “অপরিত্রাণপ্রাপ্ত” – ঠিক যেমন ডঃ ওয়ালভোর্ড বলেছিলেন| এটা সেমিনারীগুলির এবং আমাদের মন্ডলীর সদস্যগণের ক্ষেত্রে খুব সত্যি কথা| যেমন ডঃ ওয়ালভোর্ড বলেছেন, “যে অবিশ্বাস মন্ডলীতে প্রবেশ করিয়াছে তাহার প্রসারতা এবং গভীরতা বেশির ভাগ খ্রীষ্ট বিশ্বাসীই অনুভব করিতেছেন না|”

আমার প্রশ্ন হল এই যে – কেমন করে এই ভয়াবহ অবস্থা তৈরী হল? এর উত্তর পাওয়ার জন্য আমাদের সকলকে যা করতে হবে তা হল এই যে যেসব ঘটনা ঘটেছিল তার প্রতি পিছন ফিরে তাকাতে হবে| উনবিংশ শতাব্দী থেকে শুরু করে, প্রায় ১৮২৪ সাল নাগাদ, চার্লস জি. ফিনি মন পরিবর্তনকে এক দ্রুত এবং অর্থহীন “সিদ্ধান্ত”এ রূপান্তরিত করেছিলেন|

আধুনিক “সিদ্ধান্তে” যে বিষয়টা বাদ যাচ্ছে তা হল পাপের চেতনা! ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স বলেছেন, “জন্ ব্যানিয়ান প্রাচুর্য্যময় অনুগ্রহে আমাদিগকে বলিয়াছেন যে আঠারো মাস ধরিয়া তিনি [পাপের চেতনার অধীনে] এবং আত্মার নিদারুন যন্ত্রনার মধ্যে ছিলেন| সময় উপাদানটি কোন বিষয় নয়, কিন্তু কোন ব্যক্তি যিনি জাগ্রত এবং পাপের চেতনাপ্রাপ্ত তিনি অবশ্যই এই বিষয়ে যন্ত্রনা পাইবেন| কিভাবে তিনি মরিতে এবং ঈশ্বরের সন্মুখীন হইতে পারেন?” (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Assurance (Romans 5), The Banner of Truth Trust, 1971, p. 18)|

গত শুক্রবারে আমি জন্ ব্যানিয়ানের Pilgrim’s Progress বা যাত্রিকের গতি নামের বইটি পড়ছিলাম| তিনি পাপের চেতনা এবং প্রকৃত মন পরিবর্তন সম্পর্কে যা বলেছেন তা ফিনির আগে এতই সাধারন ছিল যে সেটা ছিল প্রায় সমস্ত সুসমাচার প্রচারকদেরই সাধারন বিশ্বাস| Pilgrim’s Progress বা যাত্রিকের গতি নামক বইটি ছাপানো হয়েছিল জর্জ হোয়াইটফিল্ডের জন্য, এবং সমগ্র ইউরোপ ও আমেরিকা জুড়ে সেই বই সমস্ত কালভিনিষ্টিক মেথডিষ্ট মন্ডলীগুলির মাধ্যমে বিক্রিত হয়েছিল| Pilgrim’s Progress বইটির সাতটি সংষ্করণ ছাপানো হয়েছিল জন্ ওয়েস্লীর জন্য এবং সেগুলি ওয়েস্লীয়ান মেথোডিষ্টদের দ্বারা পাঠ করান হত ইংরাজী বলিয়ে জগতের সর্বত্র| প্রোটেষ্টান্ট সম্প্রদায়ের দশ হাজারেরও বেশি লোক Pilgrim’s Progress বইটি পড়েছিলেন এবং সেটা ভালবেসেছিলেন| ব্যানিয়ান নিজে ছিলেন সর্বকালের স্বীকৃত ও বহুল পঠিত একজন ব্যাপটিষ্ট লেখক| ১৬৭৮ সালে প্রথম প্রকাশিত, ব্যানিয়ানের এই বইটির অনেকগুলি সংষ্করণ পরবর্তীতে প্রকাশিত হয়েছে, এবং কিং জেমসের বাইবেল ব্যতীত, ইংরাজি ভাষায় লেখা অন্য যে কোন বইয়ের তুলনায় এর অনেক বেশি কপি বিক্রী হয়েছে| মহান স্পারজিয়ন Pilgrim’s Progress বইটি ৭৫ বারেরও বেশি বার পড়েছিলেন| স্পারজিয়নের প্রচারের মধ্যে এই বই থেকে উদ্ধৃতি এবং ব্যাখ্যা পুনঃ পুনঃ প্রতীয়মান হয়েছে| এটা হল মন পরিবর্তন বিষয়ক একটি বই – এবং বাস্তবিকপক্ষে এইগুলিকেই সমস্ত প্রোটেষ্টান্ট এবং ব্যাপটিষ্টেরা মন পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্বাস করে আসছিল যতদিন না উনবিংশ শতাব্দীতে ফিনি মন পরিবর্তনকে সিদ্ধান্তে রূপান্তরিত করেছিলেন|

যে বিভাগকে বলা হয় “তাঁহার মন পরিবর্তনের আশান্বিত প্রকাশ” সেই বিভাগে আমরা পরিত্রাণের বিষয়ে এমন অনেক কিছুর শিক্ষালাভ করি যেগুলি ফিনির “সিদ্ধান্তমূলক মতবাদ” প্রবর্তনের ফলস্বরূপ আমরা ভুলে গিয়েছিলাম| এই বিভাগটি শুরু হচ্ছে বিশ্বাসী এবং আশাবাদী এই দুই ধরনের লোকের মধ্যকার একটি আলোচনা দিয়ে| আশাবাদী বলছেন যে যখন তাকে দেখান হয়েছিল জগতের শূন্যতা – মন্ডলীতে অনুপস্থিতি, মিথ্যাভাষন ও প্রতিজ্ঞা, লা ভেগাসের যাওয়ার মতন উন্মত্ততা ইত্যাদি, তখন থেকেই তিনি প্রথম নিজের পরিত্রাণের বিষয়ে চিন্তা করা শুরু করেছিলেন| কিন্তু তিনি বলেছিলেন, “প্রথমে, আমি আমার চোখ বন্ধ করে ফেলেছিলাম (বাইবেলের) আলোকের বিপক্ষে|” তারপরে তিনি বলেছিলেন,

“প্রথমত – ইহা হইতেছে আমার উপরে ঈশ্বরের কার্য্য সেই বিষয়ে আমি অজ্ঞ ছিলাম| আমি কখনই চিন্তা করি নাই যে পাপের প্রতি পাপীদের চেতনার জাগরণ ঘটাইবার দ্বারা ঈশ্বর পাপীদের মন পরিবর্তন শুরু করেন| দ্বিতীয়ত – তদবধি পাপ আমার পাপময় স্বভাবের নিকট খুবই মধুর ছিল, এবং তাহা ছাড়িয়া দিতে আমি ঘৃণা করিতাম| তৃতীয়ত – আমি জানিতাম না যে কিরূপে আমার হারানো বন্ধুদিগকে বর্জন করিতে হয়, কারণ আমার নিকটে তাহাদের উপস্থিতি অধিক বাঞ্ছণীয় ছিল| চতুর্থত – সেই সময়গুলিতে আমি অনুভব করিতাম যে পাপের চেতনার অনুভূতি অর্জন করা এতটাই বিরক্তিকর এবং হৃদয়-ভীতি সঞ্চারক হইবে যে আমি তাহা সহ্য করিতে পারিব না|”

খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বললেন, “ইহা মনে হইতেছে যেন কোন কোন সময়ে তুমি তোমার সমস্যা হইতে মুক্তি পাইয়াছ|”

“হ্যাঁ,” আশাবাদী বলেছিলেন, “কিন্তু প্রলোভন আমার মনে পুনরায় ফিরিয়া আসিবে, এবং তখন আমি পূর্বে যেরূপ ছিলাম তাহা অপেক্ষাও হয়ত অধিক মন্দ হইব|”

আশাবাদী বলেছিলেন যে পাপের চেতনা তার কাছে তখন ফিরে আসবে এবং তাকে যন্ত্রণা দেবে|

খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বললেন, “তখন তুমি কী করিলে?”

আশাবাদী বললেন, “আমি চেষ্টা করিয়াছিলাম আমার জীবনের ভুল সংশোধন করিবার|” আমি পাপ না করিবার চেষ্টা করিয়াছিলাম| আমি আমার পাপ এবং হারাইয়া যাওয়া বন্ধুদিগের নিকট হইতে পলাইয়া গিয়াছিলাম| আমি প্রার্থনা করিতে, বাইবেল পাঠ করিতে, এবং অন্যান্য ভাল কাজ করিতে শুরু করিয়াছিলাম|”

খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলেছিলেন, “এইগুলি কী তোমাকে সাহায্য করিয়াছিল?”

আশাবাদী বলেছিলেন, “হ্যাঁ, কিছু সময়ের জন্য| কিন্তু অবিলম্বেই আমি পুনরায় ঝামেলায় পড়িতে শুরু করিয়াছিলাম, এমনকী আমি নিজেকে সংশোধন করা সত্ত্বেও|”

খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলেছিলেন, “কিভাবে তাহা ঘটিয়াছিল?”

আশাবাদী তখন উত্তর দিলেন, “যখন আমি মনে করিতে পারিলাম যে আমার সমস্ত ধার্ম্মিক কার্য্য মলিন বস্ত্রের ন্যায়, এবং যখন মনে করিতে পারিলাম যে ব্যবস্থা পালনের দ্বারা কেহই ধার্ম্মিক গণিত হইবে না, তখন আমি বুঝিয়াছিলাম যে ইহা চিন্তা করিয়া আমি বোকামি করিয়াছি যে উত্তম কার্য্য করিয়া অথবা ব্যবস্থা পালন করিবার দ্বারা আমি স্বর্গে যাইতে পারিব| আমি ইহাও ভাবিয়াছিলাম যে, আমি যদি এমনকী এখনও সঠিক হইতে পারি, তবুও ঈশ্বরের বইতে আমার পুরাতন পাপগুলি এখনো নথিভূক্ত থাকিবে| সেই পুরাতন পাপগুলিই আমাকে নরকভোগে লইয়া যাইবে যদি সেগুলিকে অপসারিত না করা হয় – এবং আমি সেগুলিকে অপসারিত করিতে পারি নাই! আমি আরও অধিক সংগ্রামের মধ্য দিয়া গিয়াছিলাম, কিন্তু তবুও আমার কোন শান্তি হয় নাই| আমি অনুভব করিয়াছিলাম যে নিজেই নিজেকে পরিবর্তন করিবার পক্ষে আমার আপন হৃদয় ছিল অতিরিক্ত পাপপূর্ণ| বিশ্বাসী তখন আমাকে বলিয়াছিল যে যদি না আমি এমন একজন মনুষ্যের ধার্ম্মিকতা গ্রহণ করিতে পারি যিনি কখনও কোন পাপ করেন নাই, আমি পরিত্রাণ লাভ করিতে পারিব না| তিনি আমাকে বলিয়াছিলেন যে সেই মানুষটি হইলেন যীশু, যিনি ঈশ্বরের দক্ষিণ পার্শ্বে বসিয়া থাকেন| বিশ্বাসী বলিলেন, ‘তোমাকে অবশ্যই তাঁহার দ্বারা ধার্ম্মিক গণিত হইতে হইবে – যিনি তোমার জন্যে ক্রুশের উপরে দুঃখভোগ করিয়াছেন|’”

খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বললেন, “তখন তুমি কী করিলে?”

আশাবাদী বলেছিলেন, “আমি ইহার প্রতিবাদ করিয়াছিলাম| আমি ভাবিয়াছিলাম যীশু আমাকে উদ্ধার করিতে ইচ্ছা করিবেন না|”

“বিশ্বাসী তখন তোমাকে কী বলিয়াছিলেন?”

“তিনি আমাকে যীশুর নিকট আসিতে বলিয়াছিলেন|”

“তোমাকে যেমন বলা হইয়াছিল তুমি কী সেইরূপ করিয়াছিলে?”

“আমি বারে বারে বহুবার, চেষ্টা করিয়াছিলাম|”

“পিতা কী তাঁর পুত্রকে তোমার সন্মুখে প্রকাশ করিয়াছিলেন?”

“প্রথমবারে নয়, অথবা দ্বিতীয়বারে, অথবা তৃতীয়বারে, অথবা চতুর্থবারে, অথবা পঞ্চমবারে অথবা ষষ্ঠবারের মধ্যে একবারও নয়|”

“তোমার মনে কী থামিয়া যাইবার চিন্তা আসে নাই?”

“হ্যাঁ, একশত বারেরও বেশি বার|”

“এবং তবুও তুমি থামিয়া যাও নাই কেন?”

“আমি বিশ্বাস করিয়াছিলাম যে আমার নিকট যাহা বলা হইয়াছিল তাহার সবটাই সত্য যে, খ্রীষ্টের ধার্ম্মিকতা ব্যতীত সমগ্র জগত আমাকে উদ্ধার করিতে পারিত না| সেই কারণে, আমি নিজেই চিন্তা করিয়াছিলাম যে, ‘যদি আমি থামিয়া যাই, আমি মারা যাইব, এবং অনুগ্রহের সিংহাসন ব্যতীত আমি মরিতে পারি না|’ অতএব যতক্ষণ না পিতা আমাকে সেই পুত্রের দর্শন করাইয়াছিলেন আমি অবিরত থাকিয়াছিলাম|”

“আর কিরূপে যীশু তোমার নিকটে প্রকাশিত হইয়াছিলেন?”

“আমি তাঁহাকে আমার মাংসিক চক্ষু দিয়া দেখি নাই, কিন্তু আমার হৃদয়ের চক্ষু দিয়া দেখিয়াছিলাম| এইভাবে ইহা ঘটিয়াছিল: একদিন আমি খুব দুঃখিত মনে ছিলাম| আর এই দুঃখের কারণ ছিল আমার পাপের বিশৃঙ্খলতা এবং জঘণ্যতার এক নতুন দৃশ্য| সন্মুখে তাকাইয়া আমি শুধুমাত্র নরক এবং অনন্তকালীন নরকবাস ছাড়া আর কিছুই দেখিতে পাইতেছিলাম না| হঠাৎ করিয়া আমি জানিয়া গেছিলাম যে প্রভু যীশু স্বর্গ হইতে আমার দিকে তাকাইয়া আছেন এবং আমাকে বলিতেছিলেন, ‘প্রভু যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন কর, এবং তুমি পরিত্রান পাইবে|’ আমি বলিয়াছিলাম, ‘প্রভু, আমি এক মহাপাপী, খুব বড় এক পাপী|’ এবং তিনি উত্তর করিয়াছিলেন, ‘আমার অনুগ্রহই তোমার জন্য যথেষ্ট|’ তখন আমি তাঁহাকে বলিয়াছিলাম, ‘কিন্তু প্রভু, বিশ্বাস করা বলিতে কী বোঝায়?’ তখন আমি শুনিলাম যে তিনি বলিতেছেন, ‘যে কেহ আমার নিকটে আইসে সে কখনও ক্ষুধার্ত হইবে না, এবং যে কেহ আমাতে বিশ্বাস করে সে কখনও তৃষ্ণার্ত হইবে না,’ আরও বলিতেছেন যে এই বিশ্বাস করা এবং নিকটে আসা আসলে হইতেছে একই জিনিষ| এবং যে কেউ যিনি নিকটে আসিয়াছিলেন – ইহার অর্থ, খ্রীষ্টে পরিত্রাত হইবার পরে তাহাদের হৃদয়ে প্রবাহিত হইয়াছিল – বাস্তবিক খ্রীষ্টে বিশ্বাস স্থাপন| তখন আমার দুই চক্ষু অশ্রুপূর্ণ হইয়া গিয়াছিল এবং আমি বলিয়াছিলাম, ‘কিন্তু যীশু, আমি যেরকম, সেইরকমের একজন মহাপাপী কী আপনার দ্বারা সত্য সত্যই গৃহীত হইবে এবং আপনার দ্বারা পরিত্রাত হইবে?’ এবং আমি শুনিয়াছিলাম যে তিনি বলিতেছেন, ‘যে কেহ আমার নিকটে আইসে আমি কখনও তাহাকে ফেলিয়া দিব না|’ ইহার পরে তিনি বলিয়াছিলেন, ‘খ্রীষ্ট যীশু এই পৃথিবীতে আসিয়াছিলেন পাপীদিগকে উদ্ধার করিতে|’ ‘তিনি আমাদের ভালবাসেন এবং তাঁর রক্তের দ্বারা তিনি আমাদিগের পাপ হইতে আমাদিগকে শুচি করিয়াছেন|’ এই সমস্ত ঘটনা হইতে আমি জানিয়াছিলাম যে আমাকে অবশ্যই তাঁহার মধ্য হইতে ধার্ম্মিকতা খুঁজিয়া লইতে হইবে, এবং আমার কৃত পাপের ক্ষমা লাভ করিতে হইলে আমাকে অবশ্যই তাঁহার রক্তের প্রতি দৃষ্টি দিতে হইবে, যাহা তিনি ক্রুশের উপরে বহাইয়া দিয়াছিলেন আমার কৃত পাপের দেনা শোধ করিবার জন্য| আমি যীশুর নিকট আসিয়াছিলাম| আমার চক্ষুদ্বয় ছিল অশ্রুপূর্ণ, এবং আমার হৃদয় যীশুর প্রতি, তাঁহার লোকেদের প্রতি, এবং তাঁর প্রদর্শিত পথের প্রতি ভালবাসায় পরিপূর্ণ ছিল|

খ্রীষ্ট বিশ্বাসী বলেছিলেন, “তোমার উপরে ইহার কী প্রভাব পড়িয়াছিল?”

আশাবাদী বললেন, “ইহা আমাকে দেখিতে বাধ্য করিয়াছিল যে সমগ্র জগত হইতেছে পাপপূর্ণ এবং দোষী| ইহা আমাকে দেখিতে সাহায্য করিয়াছিল যে পিতা ঈশ্বর সেই পাপীদিগকে ধার্ম্মিক সাব্যস্ত করিতে পারেন যাহারা তাঁহার পুত্র যীশুর নিকটে আসেন| ইহা আমাকে নিজ অজ্ঞতার জন্যে লজ্জিত করিল এইজন্যে যে, সেইসময়ের পূর্বে আমার অন্তরে যীশু খ্রীষ্টের সৌন্দর্য্য ও ভালবাসা বিষয়ক কোনরূপ চিন্তা ভাবনা কখনও ছিল না| ইহা আমাকে বাধ্য করিয়াছিল একটি পবিত্র জীবনকে ভালবাসিতে এবং প্রভু যীশুর সন্মান ও গৌরবের জন্যে দীর্ঘদিন ধরিয়া কিছু করিতে| হ্যাঁ, আমি এইরূপ ভাবিতাম যে যদি আমার শরীরে এক হাজার গ্যালন রক্ত থাকিত, আমি ইচ্ছা করিতাম প্রভু যীশুর জন্য তাহার সমস্তটাই বহাইয়া দিতে” (Simplified by Dr. Hymers, from The Pilgrim’s Progress in Modern English, updated by L. Edward Hazelbaker, Bridge-Logos Publishers, 1998, pp. 180-186)|

প্রিয় বন্ধুগণ, জন্ ব্যানিয়ানের সেই শব্দগুলি ছিল দশ সহস্রাধিক লোকের অন্তরে এক আশীর্বাদস্বরূপ, যে পর্য্যন্ত না “সিদ্ধান্তবাদ”এর ধূলা এবং ময়লা পরিত্রাণকে রূপান্তরিত করেছিল প্রায় যাদুবিদ্যার কৌশলের মতন এক জিনিষে| কিভাবে আমি প্রার্থনা করি যাতে আপনি এই বাক্যগুলি বারংবার পাঠ করবেন, পাপের চেতনার মধ্যে দিয়ে যাবেন, এবং বিশ্বাসে প্রভু যীশুর কাছে আসবেন|

এটাই হচ্ছে সত্যিকারের পথ| এটাই হল সঠিক পথ| এটাই হচ্ছে যীশু খ্রীষ্টের কাছে যাওয়ার পথ| এই হল সেই পথ যে পথে আমি পরিত্রাত হয়েছিলাম| এটাই হল সেই পথ যে পথে মিঃ গ্রিফিত পরিত্রাত হয়েছিলেন| এই হল সেই পথ যে পথে ডঃ কেগান এবং ডঃ চান উভয়েই পরিত্রাত হয়েছিলেন| এটাই হচ্ছে সেই পথ যে পথে আমাদের সমস্ত লোকেরা পরিত্রাণ পেয়েছিলেন| এবং এটাই সেই পথ যার দ্বারা আপনি অবশ্যই পরিত্রাত হবেন|

“কেননা জীবনে যাইবার দ্বার, সঙ্কীর্ণ, ও পথ দূর্গম, এবং অল্প লোকেই তাহা পায়” (মথি ৭:১৪)|

পিতা, আমি প্রার্থনা করি যেন তোমার ইচ্ছা যারা এই প্রচার শুনছেন অথবা পাঠ করছেন তাদের কোন একজনের অন্তরে গভীর চেতনা আনয়ন করে| এবং আমি প্রার্থনা করি যেন তোমার ইচ্ছা তাদের, তোমার পুত্র যীশুর প্রতি আকর্ষণ করুক, যিনি ক্রুশের উপরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছিলেন তাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্যে, এবং তাদের অনন্ত জীবন দান করার জন্য মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন| তাঁর নাম নিয়ে, আমেন|

যদি এই প্রচার আপনাকে আশীর্বাদ দান করেছে তবে অনুগ্রহ করে ডঃ হাইমার্সকে একট ই-মেল পাঠান এবং তাকে বলুন – www.realconversion.com (এখানে ক্লিক করুন)| আপনি যে কোন ভাষায় ডঃ হাইমার্সকে চিঠি লিখতে পারেন, কিন্তু যদি পারেন তো ইংরাজিতেই লিখুন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: ২য় পিতর ২:১৫-২২ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Rock of Ages” (by Augustus M. Toplady, 1740-1778) |