Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




শয়তানতুল্য অন্ধতা

SATANIC BLINDING
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৫ সালের, ২২শে ফেব্রুয়ারী, সদাপ্রভুর একটি দিনে সকালবেলায় লস্ এঞ্জেলসের
ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Moring, February 22, 2015

“কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিকাশ পাইতেছে তাহাদেরই কাছে আবৃত থাকে: তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেব অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচার-দীপ্তি, তাহাদের প্রতি উদয় না হয়” (২য় করিন্থীয় ৪:৩, ৪)|


আজ সকালে আমি শয়তানের বিষয়ে কথা বলতে যাচ্ছি| আমি যত প্রচার প্রস্তুত করেছি এই প্রচারটি তাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা কঠিন প্রচার| আমি নিশ্চিত যে শয়তান চাইছে না যে আমি এই প্রচারটি আজকে আপনাদের কাছে করি| আমার কাছে ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েলের লেখা একটা বই ছিল যেটাকে আমি উৎস হিসাবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম| শয়তান ও দিয়াবলের বিষয়ে তার প্রচার আমি অধ্যয়ণ করেছিলাম, এবং চিন্তা করেছিলাম যে তিনি যেসব কথা লিখেছেন তার কিছু কিছু আমি আমার নিজের প্রচারের ভূমিকায় ব্যবহার করব| আমি সেই বইটাকে টেবিলের উপর রেখেছিলাম| কিন্তু যখন আমার প্রচার প্রস্তুত করার সময় হল আমি সেটা টেবিলের উপরে দেখতে পেলাম না! মনে হল বইটা যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে! বইটা আমার পড়ার ঘরে থাকার কথা ছিল, কিন্তু আমি প্রায় তিন ঘন্টা সময় ব্যয় করেছিলাম সেটা খোঁজার জন্য, অথচ বইটা কোথাও দেখতে পেলাম না| আমি নিশ্চিত ছিলাম যে এই ব্যাপারটিতে শয়তানের কোন কারসাজি আছে|

তখন এলিনা বাড়িতে ঢুকেছিলেন| আমি থেমে গেলাম এবং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করলাম যেন বইটা খুঁজে পেতে তিনি আমাকে সাহায্য করেন| আমার টেবিলের চারপাশে মেঝেতে যেসব বই পড়েছিল এলিনা একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত অবধি সেগুলি সব ভাল করে খুঁজে দেখল| যখন এলিনা সেটা করছিল আমি ভাবলাম যে আমার আরও একবার সেই জায়গাটা দেখা দরকার যেখানে আমি ওটাকে শেষবার দেখেছিলাম| ইতিমধ্যেই আমি সেই জায়গাটি বার তিনেক দেখেছি, কিন্তু তাও আমি আবার দেখার চেষ্টা করেছিলাম| ওইতো বইটা আছে! আমার হৃদপিন্ড আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিল! ঈশ্বর আমার প্রার্থনায় সাড়া দিয়েছিলেন এবং আমাকে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে বইটা কোথায় আছে!

কেউ কেউ হয়ত ভাবতে পারেন যে এটা একটা ছোট্ট বিষয় – একটা বই খুঁজে পাওয়া| কিন্তু প্রায়ই এইসব “ছোট্ট বিষয়”এর মধ্যে দিয়েই আমরা দেখতে পাই শয়্তান কত সতর্ক আর পুঙ্খানুপুঙ্খ| “শয়্তান” হল ইব্রীয়তে তার নাম| “Sawtan” – এর অর্থ হল “প্রতিপক্ষ,” এর অর্থ “বিপক্ষ,” “শত্রু,” এবং “বিরোধী|” এই “শয়তান” শব্দটি এসেছে আর একটা ইব্রীয় শব্দ থেকে যার অর্থ হল “আক্রমণ|” শয়তান হল ঈশ্বরের শত্রু| সে ঈশ্বরের বিরোধীতা করে| সে ঈশ্বরের কাজকে আক্রমণ করে| আর সে খুব শক্তিশালী| ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল প্রায় ষাট বছর ধরে টেক্সাসের, ডালাস শহরের প্রথম ব্যপটিষ্ট মন্ডলীর পালক ছিলেন| তিনি বাইবেলভিত্তিক গ্রীকে এবং ঈশ্বরতত্ত্বে পিএইচ.ডি. ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন| তিনি বাইবেলের ভ্রমশূন্যতায় বিজয়ী ছিলেন| তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত সাউদার্ণ ব্যপটিষ্ট প্রচারক, বিংশশতাব্দীর শ্রেষ্ঠ প্রচারকদের মধ্যে একজন| ডঃ ক্রিস্ওয়েল বলেছেন,

         শয়তান বুদ্ধিদীপ্তভাবে আমাদের শিক্ষাসংক্রান্ত সম্প্রদায়ে এবং বক্তৃতার মধ্যে জড়িয়ে আছে| সে শিক্ষা সংক্রান্ত পদ্ধতির তত্ত্বাবধান করে, এবং নিশ্চিত হতে চায় যে ঈশ্বর যেন দূরীকৃত হন| শয়্তান হল এই জগতের দেবতা|
         শয়তান ধর্ম ভালবাসে…ব্যাবিলনীয়, মিশরীয়, গ্রীক এবং রোমীয় দেবতাদের অবলম্বনে প্রাচীন জগতের সমস্ত গল্প বলা হয়েছিল| বর্তমানে ভারতবর্ষে ৩৩৫ মিলিয়ন ভিন্ন ভিন্ন দেবদেবীর পূজা করা হয়| শয়তান সেটা পছন্দ করে| আপনার যতজন খুশী দেবদেবীর উপাসনা করুন, শুধু তাদের মধ্যে থেকে প্রকৃত ঈশ্বরকে ছেড়ে দিন| [শয়তান] জগতের সব ধর্ম্মগুলিকে ভালবাসে| সে বহু মিলিয়ন সেইসব লোকেদের ভালবাসে যারা বুদ্ধের অথবা সিন্টোর পবিত্র স্থানে গিয়ে উপাসনা করে| সে হিন্দুদের দেবদেবীদের ভালবাসে, এবং ভালবাসে মুসলমানদের দ্বারা আল্লাহর উপাসনাকে| বহু মিলিয়ন লোক সেইসব দেবদেবীর আরাধনা করে, এবং শয়তান সন্তুষ্ট হয়| শুধু এদের মধ্যে থেকে প্রকৃত ঈশ্বরকে ছেড়ে দিন…
          [শয়তান] হচ্ছে আলোর দূত, সে সযত্নে তাদের থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখে যাদের সে শেষ ফল পাওয়া পর্যন্ত প্রতারণা করে…সে নিজেকে এক স্বতন্ত্র ব্যক্তি হিসাবে উপস্থাপিত করে| আপনি তাকে লক্ষ্য করুন| সে নিখুঁত পোষাক পরিহিত, এবং কোন প্রতিষ্ঠানের বা সমাজের উচ্চপদে প্রতিষ্ঠিত, একজন সক্ষম কার্যনির্বাহী| ইনি হচ্ছেন [মদের] গ্লাস হাতে ধরে থাকা একজন স্বতন্ত্র ব্যক্তি| কিন্তু [শয়তান] লুকিয়ে রাখে বস্তিজীবন এবং বমির মধ্যে মাতলামি এবং ভগ্ন-গৃহগুলির দুঃখ এবং ভগ্ন-পরিবারগুলি এবং অনাথ শিশুদের| সে খুব বুদ্ধিদীপ্ত! [সে হল এই জগতের দেবতা|]|
         সে জাঁকজমকের আর শহরের প্রধান রাস্তায় বা হলিউডে বা লা ভেগাসে গিয়ে আমোদের এবং সমস্ত অশ্লীল সাহিত্যের আকর্ষণের প্রশংসা করে| কিন্তু সে লুকিয়ে রাখে সেই সিফিলিস এবং গণোরিয়া এবং হারপ্স বা ভাইরাস ঘটিত স্নায়ুরোগ এবং এইড্স এবং ভগ্নহৃদয় এবং চোখের জল আর হতাশাকে| এই হচ্ছে শয়তান [এই জগতের সেই দেবতা]…
         …জীবন্ত ঈশ্বর এবং পরিত্রাতা, সেই প্রভু খ্রীষ্টের মন্ডলীকে সে জাল করে| প্রেরিত পৌল নকল মন্ডলীর বর্ণনা দিয়েছেন… “লোকে ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে” (২ তীমথিয় ৩:৫)…জাল মন্ডলী শয়্তানের গভীর বিষয়গুলি জানে এবং ঈশ্বরের গভীর বিষয়গুলির প্রতিদ্বন্দীতা করে| সেটা শয়্তান ভালবাসে| পরিত্রাতাবিহীন একটা ধর্ম্ম সে পছন্দ করে…হারিয়ে যাওয়া লোকেদের প্রতি কথা বলবেন না| অপরিত্রাণপ্রাপ্তদের মন পরিবর্তনের চেষ্টা করবেন না| কেবল তাকে সুন্দর, জনসাধারনের উপাস্য, এবং মেধাবী করে গড়ে তুলুন, কিন্তু পরিত্রাণকারী পরিত্রাতাকে [খ্রীষ্ট] এর বাইরে রাখুন| এই হচ্ছে শয়তান| [সেই হচ্ছে এই জগতের দেবতা]|
         এবং যেহেতু সে মেধাবী, যেহেতু সে আলোর দূত, সে [শয়তান] সযত্নে তাদের থেকে নিজেকে লুকিয়ে রাখে যাদের সে শেষ ফল পাওয়া পর্যন্ত প্রতারণা করে (W. A. Criswell, Ph.D., “The Fall of Lucifer,” Great Doctrines of the Bible – Angelology, volume 7, Zondervan Publishing House, 1987, pp. 93-95)|

কিন্তু খ্রীষ্টবিহীন একটা জীবনের ধ্বংসাবশেষকে সে লুকিয়ে রাখে| সে জীবনের শূণ্যতা এবং দুঃখকে গোপন করে| সে খ্রীষ্টবিহীন মৃত্যু এবং আশাহীন কবরকে গোপন রাখে| সে অপরিত্রাণপ্রাপ্ত মৃতের শেষ বিচারকে গোপন করে রাখে| অগ্নিশিখায় আত্মার সেই অনন্তকালীন যন্ত্রণা এবং চিরন্তন অগ্নিহ্রদে আত্মার সেই চিরকালীন মর্মবেদনা সে গোপন করে! এই হল শয়তান| এই হল এই জগতের সেই দেবতা!

আর এটা হচ্ছে সেই অস্তিত্ব, এই শয়তান, যার সম্বন্ধে প্রেরিত বলেন,

“কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিকাশ পাইতেছে তাহাদেরই কাছে আবৃত থাকে: তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেব অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচার-দীপ্তি, তাহাদের প্রতি উদয় না হয়” (২য় করিন্থীয় ৪:৩, ৪)|

১| প্রথম, যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদের প্রতি কি আবৃত |

কেন, এটা সেই সুসমাচার, “খ্রীষ্টের গৌরবময় সুসমাচার|” এইজন্য যে আপনাদের মধ্যে যারা হারিয়ে গেছে তাদের থেকে এই জিনিষটিই লুক্কায়িত আছে| শেখার পক্ষে খ্রীষ্টের সুসমাচার খুব সাধারন একটা জিনিষ| পাঁচ মিনিটেরও কম সময়ের মধ্যে আপনি সুসমাচারের মৌলিক সত্য শিখে নিতে পারেন| প্রেরিত পৌল শাস্ত্রের দুটি সংক্ষিপ্ত পদের মাধ্যমে সুসমাচারকে ব্যক্ত করেছেন| তিনি বলেছেন,

“ফলতঃ প্রথম স্থলে আমি তোমাদের কাছে এই শিক্ষা সমর্পণ করিয়াছি এবং ইহা আপনিও পাইয়াছি যে শাস্ত্রানুসারে খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন; ও কবরপ্রাপ্ত হইলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন” (১ম করিন্থীয় ১৫:৩, ৪)|

এটা বাক্যের একটা অংশমাত্র| একটা বাক্য সুসমাচারকে বর্ণনা করে!

প্রথমত, “খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন|” তিনি ছিলেন খ্রীষ্ট যিনি আমাদের পাপের জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন, অন্য কোন ব্যক্তি নন| তিনি ছিলেন যীশু খ্রীষ্ট, যাঁকে ঈশ্বর স্বর্গ থেকে পাঠিয়েছিলেন| এই ছিলেন খ্রীষ্ট, যিনি কুমারী মরিয়মের কোলে জন্মগ্রহণ করেছিলেন| তিনি ছিলেন যীশু খ্রীষ্ট, যিনি নিস্পাপ অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন, যিনি এই জগতে পাপবিহীনভাবে বসবাস করেছিলেন| ইনি ছিলেন খ্রীষ্ট, যার বিষয়ে এমনকী রোমীয় শাসক পিলাত পর্যন্ত বলেছিলেন, “আমি তো ইহার কোনই দোষ পাইতেছি না” (যোহন ১৮:৩৮)| মোটেই কোন দোষ নাই! কতবড় সত্যি কথা| এমনকী তাঁর শত্রুরাও তাঁর মধ্যে কোন দোষ বা পাপ দেখতে পাননি| শত্রুদেরকে তাঁর বিষয়ে মিথ্যা বলতে হয়েছিল, এবং তারা বলেছিল যীশু নাকি বলেছিলেন যে তিনি তিনদিনের মধ্যে মন্দিরটি আবার তৈরী করে দিতে পারেন, যা তিনি কখনও বলেননি! সেটা একটা মিথ্যা কথা ছিল! তাঁকে হত্যা করার বিষয়টি যাতে যুক্তিযুক্ত মনে হয় তার জন্যই শত্রুদের মিথ্যা কথা বলতে হয়েছিল| এই হলেন যীশু খ্রীষ্ট, যিনি কখনও মিথ্যাকথা বলেননি, এবং যিনি মানুষকে সাহায্য করা ছাড়া আর কখনও অন্য কিছু করেননি| ইনিই ছিলেন যথাযথ, পাপহীন ঈশ্বরের পুত্র|

দ্বিতীয়ত, “খ্রীষ্ট আমাদের পাপের জন্য মরিলেন|” খ্রীষ্ট আমাদের পরিবর্তে নিজে ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন, আমাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য| প্রেরিত পৌল বলেছিলেন,

“খ্রীষ্টও একবার পাপ সমূহের জন্য দুঃখভোগ করিয়াছিলেন, সেই ধার্ম্মিক ব্যক্তি অধার্ম্মিকদের নিমিত্ত” (১ম পিতর ৩:১৮)|

ভাববাদী যিশাইয় খ্রীষ্টের সম্বন্ধে বলেছিলেন,

“তিনি আমাদের অধর্ম্মের নিমিত্ত বিদ্ধ” (যিশাইয় ৫৩:৫)|

“আর সদাপ্রভু আমাদের সকলকার অপরাধ তাঁহার উপরে বর্ত্তাইয়াছেন” (যিশাইয় ৫৩:৬)|

এই হলেন খ্রীষ্ট, আমাদের প্রতিকল্প| ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আমাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য - তিনি আমাদের পরিবর্তে মৃত্যুবরণ করেছিলেন|

তৃতীয়ত, “তিনি কবরপ্রাপ্ত হইলেন, আর…তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন|” তিনি প্রকৃতই ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছিলেন| তাঁর মৃতদেহ একটা কবরে রাখা হয়েছিল| তারা কবরটি মুদ্রাঙ্কিত করেছিল এবং তাঁর মৃতদেহ সেখানে ছেড়ে এসেছিল| কিন্তু তৃতীয় দিনে তিনি মৃত্যু থেকে উত্থাপিত হয়েছিলেন| তিনি শারীরিকভাবে মৃত্যু থেকে উত্থাপিত হয়েছিলেন - আমাদের জীবন দান করার জন্য,

“যেন যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে অনন্তকালীন জীবন পায়” (যোহন ৩:১৫)|

সেই হল সুসমাচার! এটা সেইরকমই সরল!

“কারণ আমরা যখন পাপী ছিলাম, তখনও খ্রীষ্ট আমাদের নিমিত্ত প্রাণ দিলেন| সুতরাং সম্প্রতি তাঁহার রক্তে যখন ধার্ম্মিক গণিত হইয়াছি, তখন আমরা কত অধিক, নিশ্চয় তাঁহা দ্বারা ঈশ্বরের ক্রোধ হইতে পরিত্রাণ পাইব..তবে সম্মিলিত হইয়া, কত অধিক, নিশ্চয় তাঁহার জীবনে পরিত্রাণ পাইব” (রোমীয় ৫:৮-১০)|

এই হল সেই সুসমাচার| একটি শিশু মাত্র পাঁচ মিনিটের মধ্যে এই সত্যগুলি জেনে নিতে পারে! আপনাদের মধ্যে যারা দুই বা তিন বার এই মন্ডলীতে এসেছেন তারা ইতিমধ্যেই এই সত্য ঘ্টনাগুলি জানেন| আপনারা ইতিমধ্যে শিখে নিয়েছেন সুসমাচারের সত্যগুলিকে| এবং তবুও…এবং তবুও…এবং তবুও, আপনারা পরিত্রাত হননি| আপনি সুসমাচার জানেন, কিন্তু আপনি পরিত্রাণ পাননি| “কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিনাশ পাইতেছে তাহাদেরই কাছে আবৃত থাকে” (২য় করিন্থীয় ৪:৩)|

২| দ্বিতীয়, যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদের কাছে সুসমাচার কেন আবৃত |

এর উত্তর আমাদের পাঠ্যাংশের মধ্যেই রয়েছে, “তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেব অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে” (২য় করিন্থীয় ৪:৪)| শয়তানকে বলা হয় “এই যুগের দেব|” যোহন ১২:৩১ পদে শয়তানকে বলা হয়েছে “এই জগতের অধিপতি|” ১ম যোহন ৫:১৯ পদে আমাদের বলা হয়েছে,

“আর সমস্ত জগত সেই পাপাত্মার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে” (১ যোহন ৫:১৯)|

স্কোফিল্ড সেন্টার নোট এইভাবে এর অনুবাদ করেছে,

“আর সমস্ত জগত পাপী এক ব্যক্তির মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে”

এবং NASV ব্যাখ্যা করেছে এইভাবে,

“আর সমস্ত জগত মন্দ একজনের ক্ষমতার মধ্যে শুইয়া রহিয়াছে|”

এই পদগুলি পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছে যে ঈশ্বরবিহীন শাসক, ভ্রান্ত ধর্ম্ম, মন্দ লোক, এবং বিকৃত ধারণা সমেত জগতের (বিশ্বের) গঠনতন্ত্র, শয়তান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে| জগতের একটা বেশ বড় সংখ্যক লোকেদের ধারণা, মতামত, লক্ষ্য এবং দৃষ্টিভঙ্গী সবই পরিচালিত হচ্ছে এই যুগের জাগতিক-আত্মার দ্বারা| এলিকট্ একে বলেছেন, “ঘৃণার আত্মা এবং অসাধুতা এবং স্বার্থপরতা [যাহা] কার্যকরীভাবে দিয়াবলকে দেবতুল্য করিয়া তুলে” (Ellicott’s Commentary on the Whole Bible, volume VII, Zondervan, n.d., p. 375; note on II Corinthians 4:4)|

আর এলিকট্ বলেছিলেন যে সেই “জগতের দেব প্রত্যক্ষভাবে ঈশ্বরের [কাজের] বিরোধী” (ibid.)| এটাই হল “শয়তান” নামের অর্থ – প্রতিপক্ষ, বিরোধী, শত্রু, প্রতিবাদী|

আপনি হয়ত এটা অনুভব করতে পারছেন না, কিন্তু যাদের মন পরিবর্তন হয়নি তারা প্রত্যেকে ঈশ্বরের বিরোধীতা করেন| প্রত্যেকে! এর কোন ব্যতিক্রম নেই! আমাদের মধ্যে যারা টেলিফোনের মাধ্যমে সুসমাচার প্রচারমূলক কাজ করেন তারা প্রত্যেকে নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে এটা জানেন| সেই প্রচারকেরা কখনও এমন একজনকেও খুঁজে পাননি যিনি মন্ডলীতে এসেছেন এবং কোনরকম সংগ্রাম – যা প্রায়শই এক বিরাটাকায় এবং বিশাল সংগ্রাম, ছাড়াই পরিত্রাত হয়েছেন! আর সেটা সেই একজনের সঙ্গেই হয় যিনি প্রকৃতভাবে আসেন! তারা শুধু সংগ্রাম সঙ্গে করে ভিতরে আসেন| কিন্তু সেই অধিকাংশেরা আদৌ আসবে না! সাদা আমেরিকানদের ক্ষেত্রে এটা বিশেষভাবে সত্যি – কিন্তু, একদিক থেকে বা অন্য কোনদিক দিয়ে, এটা অন্যান্য প্রত্যেকটি জাতিগত দলের ক্ষেত্রেও একইভাবে সত্যি| এমনকী একজন “সুন্দর” চীনা মা বলবেন, “ঠিক আছে, তিনি আসতে পারেন| কিন্তু তাকে ব্যপ্তিস্ম দেবেন না!” এত ঘন ঘন তারা এই ধরনের কথা বলে যে আপনি আস্তে আস্তে অনুভব করতে শুরু করেন যে তারা তাদের হৃদয়ে ঈশ্বরের বিরুদ্ধাচরণ করছেন| তাদের চিন্তাধারা এই যুগের দেবতার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যেমন এলিকট্ এটাকে ব্যাখ্যা করেছেন, “অসাধুতা এবং স্বার্থপরতার আত্মা” (ibid.)|

আমি এই মন্ডলী শুরু করেছিলাম ১৯৭৫ সালের, এপ্রিল মাসে – এবং আমি ৪০ বছর ধরে আসুরিক সংগ্রামের, এবং জাগতিক আত্মার, আর যাদের হৃদয় শয়তান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, আর যারা ঈশ্বর ও তাঁর লোকেদের প্রতিপক্ষ এবং বিরোধী, তাদের সঙ্গে এক অন্তহীন মানসিক যন্ত্রণাদায়ক সংঘাতের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি| ইফিষীয় ২:২ পদে শয়তানের সংজ্ঞা হচ্ছে, “আকাশের কর্তৃত্বাধিপতির অনুসারে, যে আত্মা এখন অবাধ্যতার সন্তানগণের মধ্যে কার্য্য করিতেছে|” সেই হল শয়তান! সেই হচ্ছে এই জগতের দেবতা! সেই হল প্রকৃত ঈশ্বরের শত্রু! সে সমস্ত মানুষের হৃদয়ে কাজ করে একজন প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী মানুষ হয়ে ওঠা থেকে তাদের বিরত করে| এটা শুধু আমার একার মতামত নয়| সেই ব্রিটিশ প্রচারক ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্স, যাকে মনে করা হয় বিংশ শতাব্দীর বিখ্যাত প্রচারকদের মধ্যে একজন, তার কথা শুনুন| তিনি বলেছেন,

শয়তান সবসময় আমাদের বিভ্রান্ত করার জন্য অপেক্ষা করছে| সে ঈশ্বরের কাজকে ধ্বংস করে দিতে চায়…খুব সূক্ষভাবে, সে তার নিজের চিন্তাধারাকে কৌশলে ও পরোক্ষভাবে ব্যবহার করে (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Spiritual Blessing, Kingsway Publications, 1999, p. 158)|

অন্য কোন এক জায়গায় ডঃ লয়েড-জোন্স দিয়াবলের সম্বন্ধে বলেছেন, “তার প্রবল চেষ্টা হল ঈশ্বর থেকে পুরুষ এবং মহিলাদের বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া|” “[শয়তান] হচ্ছে ঈশ্বরের প্রবল প্রতিদ্বন্দী: সে তার সমস্ত অস্তিত্বের সঙ্গে ঈশ্বরকে ঘৃণা করে” (Authentic Christianity, volume 4, The Banner of Truth Trust, 1966, p. 42)| শয়্তান – সে হল এমন একজন যে আপনার মনকে অন্ধ করে দেয় এবং সুসমাচারকে আপনার কাছ থেকে আবৃত করে রাখে|

৩| তৃতীয়, যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদের কাছে সুসমাচার কিভাবে আবৃত |

ডঃ লয়েড-জোন্স বলেছেন, “শয়তান সবসময় আমাদের বিভ্রান্ত করার জন্য অপেক্ষা করছে|” সুসমাচার হল উজ্জ্বল, চমৎকার, যা আমাদের মুক্তি ও আশা দেয়| দিয়াবল চায় না যে আপনি এইগুলির কিছু পান! আমাদের পাঠ্যাংশ বলছে যে সে “অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করে দিয়েছে, যেন খ্রীষ্টের গৌরবের সুসমাচার দীপ্তি…তাহাদের প্রতি উদয় না হয়|” শয়তান “সবসময়ে আমাদের বিভ্রান্ত করার জন্য অপেক্ষা করে|” আমি আপনাদের বলছি কয়েকটি প্রণালীর কথা যার মাধ্যমে শয়তান লোকেদের বিভ্রান্ত করে, যীশুতে বিশ্বাস করা থেকে তাদের দূরে রাখে| আমার অনেকগুলি প্রণালী দেওয়ার প্রয়োজন নাই, কারণ দিয়াবল খুব বেশি প্রণালী ব্যবহার করে না| তার সেটা প্রয়োজন হয় না কারণ সে জানে যে মাত্র কয়েকটি চাতুরির দ্বারা সে আপনার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে এবং আপনাকে ক্রীতদাস বানিয়ে রাখতে পারবে| এখানে তার চাতুরিগুলির থেকে প্রধান তিনটির কথা বলা হল, যেগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে সে আপনাকে পরিত্রাণ পাওয়া থেকে দূরে রাখে|

১| দিয়াবল পরোক্ষভাবে কৌশলে আপনার মনের মধ্যে প্রবেশ করে এবং আপনাকে চিন্তা করতে বাধ্য করে, “সেখানে আমাকে অনেক কিছু ছেড়ে দিতে হবে| মন্ডলীতে যাওয়ার ব্যাপারটি ঠিক আছে, কিন্তু যদি আমি প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিনত হই, তবে আমাকে অনেক কিছু পরিত্যাগ করতে হবে|” যীশু একটা প্রশ্নের মাধ্যমে ঐ শয়্তানিক চিন্তার উত্তর দিয়েছিলেন| যীশু প্রায়ই একটি প্রশ্নের উত্তর দিতেন অন্য একটি প্রশ্ন জিজ্ঞাসার মাধ্যমে| যদি দিয়াবল আপনাকে বলেন “সেখানে পরিত্যাগ করার জন্য অনেক কিছু আছে,” যীশু বলেন, “তার আত্মার বিনিময়ে মনুষ্য কি দেবে?” “বস্তুতঃ মনুষ্যেরা যদি সমুদয় জগত লাভ করিয়া আপন প্রাণ খোয়ায়, তবে তাহার কি লাভ হইবে?” (মার্ক ৮:৩৬, ৩৭)| জগত যা কিছু দেয় তার সবই যদি আপনি পান এবং বিনিময়ে আপনি যদি আত্মা হারান, তবে আপনি চিরকালের জন্য দন্ডপ্রাপ্ত হবেন, সুখছাড়া, আনন্দ ছাড়া, আশাহীনভাবে – নিতান্তই আশাহীন অবস্থায় চিরকাল থাকবেন|

২| দিয়াবল পরোক্ষভাবে কৌশলে আপনার মনের মধ্যে প্রবেশ করবে এবং আপনাকে চিন্তা করতে বাধ্য করবে, “আমি প্রত্যেক রবিবার মন্ডলীতে আসি| আমি মন্ডলীর প্রতিটি সেবায় উপস্থিত থাকি| আমি মনে করি যে আমি সঠিক|” স্পারজিউন বলেছেন, “তাহারা খ্রীষ্টের কথা শুনিবে না যখন তিনি বলেন, ‘যে বিশ্বাস না করে সে নরকে যাইবে,’ তাহার নৈতিক চরিত্র যাহাই হউক না কেন| না; তাহারা সহজ এবং প্রফুল্ল হৃদয়ে…ধ্বংসের পথে যাইবে| নিশ্চিতভাবে এই লোকেরা শয়্তানের দ্বারা অন্ধ হইয়াছে|”

৩| দিয়াবল পরোক্ষভাবে কৌশলে নিজেকে আপনার মনের মধ্যে প্রবেশ করায় এবং আপনাকে চিন্তা করতে বাধ্য করে, “আমার মধ্যে একটা কোন অনুভূতি নিশ্চয়ই থাকতে হবে| আমি জানি যে পালক বলেন আমার উচিৎ নয় কোন অনুভূতির প্রত্যাশা করা| কিন্তু আমার যদি কোন অনুভূতি না থাকে তবে অনুসন্ধান কক্ষে ডঃ কেগানকে বলার মতন আমার কিছুই থাকবে না| ডঃ কেগান বলবেন, ‘আমাকে এই বিষয়ে বলুন|’ আমার তাকে বলার মতন কিছুই থাকবে না যদি আমি কোন অনুভূতির অভিজ্ঞতা লাভ না করি|” সেই বৃদ্ধ বৃটিশ প্রচারক ডঃ মার্টিন লয়েড-জোন্সের কথা শুনুন| তিনি বলেছেন, “পরিত্রাণের বিষয়ে অনুসন্ধানকারীদের সহিত আচরণ করিবার সময়, একজন কাহাকেও উল্লেখ করিতে হইবে যে নতুন নিয়ম কখনও বলে নাই, ‘যাহারা অনুভব করিবে তাহারা পরিত্রাণ পাইবে,’ কিন্তু ‘যাহারা বিশ্বাস করিবে,’…সুতরাং ইহা [যথেষ্ট] আপনি বলিবেন, ‘আমি এই নিয়েই বেঁচে থাকি; আমি কিছু অনুভব করি অথবা কিছু অনুভব না করি তাতে কিছু যায় আসে না; আমরা অনুভবের দ্বারা পরিত্রাত হই না কিন্তু পরিত্রাত হই বিশ্বাসের দ্বারা’” যীশুতে (Life in God, Crossway Books, 1995, p. 105)|


এখন আমি জানি যে আমি যা কিছু বলেছি তার কোন কিছুই আপনাকে সাহায্য করবে না যদি না ঈশ্বর আপনাকে সাহায্য করেন সেই অনুভূতি পেতে যে আপনি নিজে নিজে শয়্তানের হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন না| আপনি অবশ্যই দেখবেন যে আপনি খ্রীষ্টকে মনোনীত করতে পারেন না| ডঃ লয়েড-জোন্স বলেছেন, “সেই ‘এই জগতের দেব’ অসম্ভব করে তোলে [আপনার] এটা করা” (Assurance, Banner of Truth, 1971, p. 310)| আপনি যদি প্রকৃতই নিজের কাছে, এবং ঈশ্বরের কাছে সৎ হন, আপনার হৃদয় কেঁদে উঠবে, “আমি হারিয়ে গেছি! ওহ, যীশু আমাকে উদ্ধার করুন|” এইরকম করলে মুহূর্তের মধ্যে, যীশু আপনার কাছে আসবেন, এবং তিনি আপনাকে উদ্ধার করবেন|

একজন কুষ্ঠরোগীর জন্য এই ব্যাপারটা কত সহজ ছিল সেই বিষয়টি শুনুন যা আমরা কয়েকদিন আগে মার্ক লিখিত সুসমাচারের মধ্যে পড়েছি| সেই কুষ্ঠরোগী যীশুর কাছে এসেছিলেন, এবং হাঁটু গেড়ে বসেছিলেন| তিনি যীশুকে বলেছিলেন, “যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে শুচি করিতে পারেন|”

“এবং যীশু, করুণাবিষ্ট হইয়া, হাত বাড়াইয়া…এবং তাহাকে [বলিলেন], আমার ইচ্ছা; তুমি শুচিকৃত হও…এবং সে শুচিকৃত হইল” (মার্ক ১:৪১, ৪২)|

ওহ, আজ সকালে যেন কেউ যীশুর কাছে এমন করেই আসেন| “যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আমাকে শুচি করিতে পারেন|” “আমার ইচ্ছা; তুমি শুচিকৃত হও” – এবং সে শুচিকৃত হয়েছিল| এই হল সেই সুসমাচার! এটাই হল পরিত্রাণের শুভ বার্তা! এই হল আপনার একমাত্র আশা! দিয়াবল এবং তার মিথ্যার থেকে দূরে থাকুন! “যীশু, যদি আপনার ইচ্ছা হয়, আপনি আমাকে শুচি করিতে পারেন|” “আমি ইচ্ছা করিতেছি; আপনি শুচিকৃত হউন|” যদি আপনি স্পারজিউনের এই ছোট্ট কবিতার কথাগুলিতে বিশ্বাস করতে পারেন, আপনি তৎক্ষণাৎ যীশুর দ্বারা পরিত্রাত হবেন|

দোষী, দূর্বল, এবং অসহায় কীট, খ্রীষ্টের স্নেহশীল বাহুতে আমি পতিত;

তিনি আমার শক্তি এবং ধার্ম্মিকতা, আমার যীশু, এবং আমার সর্বস্য|

এবং খ্রীষ্টতে আনন্দ করতে করতে আপনার পথে এগিয়ে চলুন! স্বর্গীয় পিতা, আমি প্রার্থনা করি যে আজ সকালে এখানে কোন একজন যীশুর বাহুতে পতিত হবেন এবং পরিত্রাণ পাবেন| আমেন|

এবং আমি জানি, হ্যাঁ, আমি জানি,
     যীশুর রক্ত পারে জঘণ্যতম পাপীকে শুচি করতে,
এবং আমি জানি, হ্যাঁ, আমি জানি,
     যীশুর রক্ত পারে জঘণ্যতম পাপীকে শুচি করতে|
(“Yes, I Know!” by Anna W. Waterman, 1920)|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: ২ করিন্থীয় ৪:৩-৬ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Yes, I Know!” (by Anna W. Waterman, 1920).


খসড়া চিত্র

শয়তানতুল্য অন্ধতা

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।

“কিন্তু আমাদের সুসমাচার যদি আবৃত থাকে, তবে যাহারা বিকাশ পাইতেছে তাহাদেরই কাছে আবৃত থাকে: তাহাদের মধ্যে এই যুগের দেব অবিশ্বাসীদের মন অন্ধ করিয়াছে, যেন ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তি যে খ্রীষ্ট, তাঁহার গৌরবের সুসমাচার-দীপ্তি, তাহাদের প্রতি উদয় না হয়” (২য় করিন্থীয় ৪:৩, ৪)|

(২য় তিমথীয় ৩:৫)

১| প্রথম, যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদের প্রতি কি আবৃত, ১ম করিন্থীয় ১৫:৩,৪;
যোহন ১৮:৩৮; ১ম পিতর ৩:১৮; যিশাইয় ৫৩:৫,৬; যোহন ৩:১৫; রোমীয় ৫:৮-১০ |

২| দ্বিতীয়, যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদের কাছে সুসমাচার কেন আবৃত, যোহন ১২:৩১;
১ম যোহন ৫:১৯; ইফিষীয় ২:২ |

৩| তৃতীয়, যারা হারিয়ে গিয়েছে তাদের কাছে সুসমাচার কিভাবে আবৃত,
মার্ক ৮:৩৬,৩৭; মার্ক ১:৪১,৪২ |