Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




“যাত্রাপুস্তক” নামের নূতন চলচ্চিত্র এবং বাইবেলের উপর
এর আক্রমণের প্রতি আমার উত্তর!

MY ANSWER TO THE NEW “EXODUS” MOVIE
AND ITS ATTACK ON THE BIBLE!
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ২৮শে ডিসেম্বর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Evening, December 28, 2014

“কারণ যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করিতে, তবে আমাকেও বিশ্বাস করিতে: কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন| কিন্তু তাঁহার লেখায় যদি বিশ্বাস না কর, তবে আমার কথায় কিরূপে বিশ্বাস করিবে?” (যোহন ৫:৪৬, ৪৭)|


যখন আমি ১৭ বছর বয়সের ছিলাম তখন আমি নিশ্চিতভাবে সেবাকাজের জন্য আহ্বান অনুভব করেছিলাম| আমি তখনও পরিত্রাণপ্রাপ্ত ছিলাম না, কিন্তু জানতাম যে ঈশ্বর আমাকে প্রচারক হওয়ার জন্য চেয়েছিলেন| তারা আমাকে বলেছিলেন যে আমাকে অবশ্যই কলেজ ডিগ্রী পেতে হবে| আমি এই বিষয়ে অনেকদিন ধরে চিন্তা করেছিলাম| আমি উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়া ছেড়ে দিয়েছিলাম সেইজন্য কোন কলেজ আমাকে গ্রহণ করছিল না| আমি আবার উচ্চ বিদ্যালয়ে ফিরে গিয়েছিলাম| প্রথাগত উচ্চ বিদ্যালয়ে ফিরে যাওয়ার পক্ষে আমি যথেষ্ট বয়ষ্ক ছিলাম, সুতরাং “খারাপ ছেলেদের” জন্য নির্দ্ধারিত এক বিশেষ ধরনের বিদ্যালয়ে আমি ভর্তি হয়েছিলাম| আমি কোন খারাপ ছেলে ছিলাম না, কিন্তু এটাই ছিল একমাত্র বিদ্যালয় যারা আমাকে ভর্তি করেছিল| এক বছর পর বা প্রায় সেইসময়ে আমি স্নাতক হয়েছিলাম এবং কলেজে ভর্তি হওয়ার বিষয়ে চিন্তা করা শুরু করেছিলাম| ঐ সময়ে আমি চীন দেশে মিশন কাজের মহান প্রবর্তক, জেমস্ হাডসন্ টেলারের বিষয়ে একটি বই পড়ি| আমি চিন্তা করেছিলাম, “আমি সেটাই করতে চলেছি| আমি চীনদেশের লোকেদের জন্য একজন মিশনারীতে পরিণত হব|”

আমি উনিশ বছর বয়সের ছিলাম যখন আমি লস্ এঞ্জেল্সের প্রথম চীনা ব্যপটিষ্ট মন্ডলীতে যোগদান করেছিলাম| সেটা ছিল ডঃ তিমথী লিন পালক হিসাবে পরিগনিত হওয়ার এক বছরের কিছু বেশি আগের কথা| সেই একই বছরে, শরৎকালে, আমি বাওলা মহাবিদ্যালয়ে (বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়) ছাত্র হিসাবে নাম তালিকাভূক্ত করি| আমার কোন টাকাপয়সা ছিল না এবং পরিবার থেকে কোন সাহায্য পেতাম না, সেইজন্য আমি বিকালে একটা আংশিক সময়ের কাজ নিয়েছিলাম এবং সকালের দিকে মহাবিদ্যালয়ে যেতাম| আমার গাড়ি ছিল না, সেইজন্য আমাকে একটা বাস ধরতে হতো লস এঞ্জেলস থেকে মিরাডার শেষ প্রান্তে, যেখানে আমার মহাবিদ্যালয় অবস্থিত সেখানে যাওয়ার জন্য| আমি জানতাম না যে কেমন করে খুব ভালভাবে পড়াশোনা করতে হয়| প্রত্যেকদিন খুব সকালে দীর্ঘ বাস যাত্রা এবং বিকালে ঘন্টাধিক সময় নিয়ে কাজ করাটা সামলানো আমার কাছে খুব কষ্টের হয়ে যাচ্ছিল| বাইওলায় বেশির ভাগ ক্লাসেই আমি অকৃতকার্য্য হয়েছিলাম এবং প্রথম সেমেস্টার পাঠ্যক্রমের পর আমি বিদ্যালয় থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিলাম| কিন্তু বাইওলাতে এমন কিছু একটা ঘটেছিল যা চিরকালের জন্য আমার জীবনকে পরিবর্তিত করেছিল|

প্রত্যেকটি সেমেস্টারে বাইওলা বিদ্যালয় একজন করে বিশেষ প্রচারক নিয়ে আসতেন যিনি সপ্তাহব্যাপী প্রত্যেকদিন সকালে চ্যাপেলে গিয়ে ধারাবাহিকভাবে ধর্ম্মোপদেশ প্রচার করতেন| সেই সেমেস্টারে প্রচারক ছিলেন ডঃ চার্লস জে. উডব্রীজ (১৯০২-১৯৯৫)| তিনি ছিলেন ক্যালিফোরনিয়ার, পাসাডেনাতে অবস্থিত ফ্যুলার থিওলজিক্যাল সেমিনারীর প্রতিষ্ঠাকারী অধ্যাপকদের একজন| কিন্তু কয়েক মাস আগেই ডঃ উডব্রীজ ফ্যুলারের ফ্যাকাল্টির অধ্যাপক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন কারণ তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন যে ইতিমধ্যেই সেমিনারী উদারপন্থী মতবাদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে|

বাইওলার চ্যাপেলে সভার সময়ে, ডঃ উডব্রীজ দ্বিতীয় পিতর পুস্তকের পদের-পর-পদ ধরে প্রচার করতেন| তার বাবা মা চীনে মিশনারী ছিলেন যে কারণে তিনি চীনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন| সেটা তাকে আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল| সেই পর্য্যন্ত আমার জীবনে অন্য যত প্রচারকের প্রচার শুনেছিলাম তার চাইতে অনেক গভীর মনোযোগের সঙ্গে আমি তার প্রচার শুনতাম| যখন তিনি দ্বিতীয় পিতর ২:১-৩ পদে পৌঁছালেন, তিনি ফ্যুলারের উদারনীতির আরম্ভকে, এবং অন্য অনেক সেমিনারীর পূর্ণ-স্ফীত উদারনীতিকে চূড়ান্তভাবে পরাস্ত করেছিলেন| তিনি বোকা ছিলেন না| তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মন্ডলীর ইতিহাসের উপর পিএইচ. ডি. সহ স্নাতক হয়েছিলেন এবং পরবর্তীতে ডিউক বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে আরও অধ্যয়ণ করেছিলেন| ডঃ জে. গ্রেশহাম ম্যাকেন তাকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট বোর্ড ফর প্রেসবাইটেরিয়ান ফোরেন মিশনের প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করেছিলেন| এক সপ্তাহ ধরে তার প্রচার শোনার পর আমি মন পরিবর্তন করেছিলাম| আমি যে শুধু পরিত্রাণ পেয়েছিলাম তাই নয়, আমি বিশ্বাস করেছিলাম বাইবেলের প্রতিটি অনুপ্রাণিত বাক্যে, আর ইব্রীয় পুরান নিয়্ম ও গ্রীক নতুন নিয়মের শর্তহীন অভ্রান্ততায়| আমি বাইওলাতে কেবল একটা সেমেস্টারে যোগদান করেছিলাম| কিন্তু সেখানে যীশু আমাকে পরিত্রাণ দিয়েছিলেন, এবং সেখানেই আমি পবিত্র শাস্ত্রের বাক্যের প্রতি বিশ্বাস করার শিক্ষা অর্জন করেছিলাম| প্রথম শতাব্দীর ফরিসীরা বলতেন যে তারা পুরান নিয়মকে বিশ্বাস করেছিলেন, কিন্তু তারা প্রকৃতপক্ষে খ্রীষ্ট বিষয়ক ভাববাণীগুলিকে অস্বীকার করেছিলেন| আর তিনি তাদের বলেছিলেন,

“কারণ যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করিতে, তবে আমাকেও বিশ্বাস করিতে: কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন| কিন্তু তাঁহার লেখায় যদি বিশ্বাস না কর, তবে আমার কথায় কিরূপে বিশ্বাস করিবে?” (যোহন ৫:৪৬, ৪৭)|

ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল নির্দেশ করেছেন যে “সামান্যতম যাহা যীশুর সম্পর্কে স্থাপন করা হইয়াছিল [বিবৃতি] হইল এই যে মোশি বাস্তবিকই শাস্ত্র লিখিয়াছিলেন এবং যিহুদীরা একজনাকেই জানিতেন যাহাতে তিনি সম্পর্ক স্থাপন করিয়াছিলেন” (The Criswell Study Bible; note on John 5:45-47)| ডঃ আর. সি. এইচ. লেনস্কি বলেছিলেন, “…যিহুদীরা বিশ্বাস করেন নাই মোশি কি বলিয়াছিলেন এবং সেইমত তাহাও বিশ্বাস করেন নাই যীশু যাহা বলিয়াছিলেন” (The Interpretation of St. John’s Gospel; note on John 5:46)| এবং ডঃ চার্লস জন এলিকট বলছেন, “তাহারা মোশিকে বিশ্বাস করেন নাই, আর সেইজন্য তাঁহাকেও বিশ্বাস করেন নাই” (Ellicott’s Commentary on the Whole Bible; note on John 5:46)|

“কারণ যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করিতে, তবে আমাকেও বিশ্বাস করিতে: কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন| কিন্তু তাঁহার লেখায় যদি বিশ্বাস না কর, তবে আমার কথায় কিরূপে বিশ্বাস করিবে?” (যোহন ৫:৪৬, ৪৭)|

ডঃ লেনস্কি বলেছেন যে যীশুর সব বাক্য “…তথাকথিত সমস্ত ‘গবেষণা’র তুলনায় অধিক মূল্যবান যাহা সর্বদা প্রদান করা হইয়াছে এবং ইহা এই সমস্ত সমালোচকদের বিপরীতে [বিরুদ্ধে] স্থিত” (Lenski, ibid.)| “কারণ যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করিতে, তবে আমাকেও বিশ্বাস করিতে: কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন” (যোহন ৫:৪৬)|

এখন আমরা “দলবদ্ধভাবে প্রস্থান: ঈশ্বর এবং রাজারা” নামের একটি চলচ্চিত্র দেখতে পাই – যা রিড্লে স্কট দ্বারা নির্দেশিত এবং আংশিকভাবে প্রযোজিত| উইকিপিডিয়া অনুসারে, “২০১৩ সালে রিড্লে বলেছিলেন যে তিনি একজন নাস্তিক|” সেই কারণে আমাদের বিস্মিত হওয়া উচিৎ হবে না যে ডঃ আলবার্ট মোহলার বলেছিলেন, “এই চলচ্চিত্রে আমরা যা দেখি সেটা হল যে মোশি হচ্ছেন অতিপ্রাকৃতিক অবিদ্যমান” (www.albertmohler.com)| আশ্চর্য্য হওয়ার কিছু নেই! কারণ এই ছায়াছবির সহ-প্রযোজক এবং নির্দেশক উভয়েই হলেন এক নাস্তিক! একজন ব্যক্তি যিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না তিনি কিভাবে দলবদ্ধভাবে প্রস্থানের বিষয়ে একটি ছায়াছবি প্রস্তুত করতে পারেন যা শাস্ত্রের প্রতি সত্য এবং প্রভু যীশু খ্রীষ্টের সাক্ষ্যের প্রতি সত্য? আশ্চর্য্যের কিছু নেই যে রিড্লে স্কট এগার বছরের এক বালক হিসাবে ঈশ্বরের প্রতিকৃতি করে দেখিয়েছিলেন! মোটেই আশ্চর্য্যের নয় যে “তিনি স্বাভাবিক ব্যাখ্যা সহযোগে মহামারী এবং অলৌকিক কার্য্যগুলি এমনভাবে উপস্থিত করেছেন যেন সেগুলি কোন অতিপ্রাকৃত ঘটনা নয়” (Mohler, ibid.)| কিন্তু ডঃ মোহলার বলেছেন, “বাইবেল পরিষ্কারভাবে দলবদ্ধ প্রস্থানকে ইতিহাস হিসাবে উপস্থিত করেছে, এবং খ্রীষ্টিয় বিশ্বাসের ইতিহাস প্রস্তুত হয়েছে সেই ঐতিহাসিক ভিত্তির উপর” (ibid.)|

কিন্তু রিড্লে স্কট “…পরিষ্কার করে বলেছিলেন যে তিনি বিশ্বাস করতেন না যে মোশি কখনও জীবনযাপন করেছিলেন – এবং সেইজন্য দলবদ্ধ প্রস্থানের বিবরণকে ঐতিহাসিক সত্য বলে গ্রহণ করা যাবে না| তিনি ধর্ম্মীয় সংবাদ সেবাকে বলেছিলেন যে তিনি যে দৃষ্টিতে কল্পবিজ্ঞানকে দেখেন সেই দৃষ্টিতেই [তার] ছায়াছবিকে দেখেছিলেন, ‘কারণ আমি কখনো ইহাতে বিশ্বাস করি নাই…” (Mohler, ibid.)| সুতরাং মিঃ স্কট প্রভু যীশু খ্রীষ্ট যা বলেছেন তার বিরুদ্ধে গিয়ে নিজের বিচার ব্যক্ত করেছেন,

“কারণ যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করিতে, তবে আমাকেও বিশ্বাস করিতে: কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন| কিন্তু তাঁহার লেখায় যদি বিশ্বাস না কর, তবে আমার কথায় কিরূপে বিশ্বাস করিবে?” (যোহন ৫:৪৬, ৪৭)|

২০০১ সালের, ১৩ই এপ্রিল লস্ এঞ্জেলস টাইমস এর প্রথম পাতায় (p. A-1) টাইমস এর ধর্ম্মীয় লেখক, টেরেসা ওয়াটানাবি’র লেখা “যাত্রাপুস্তকের সন্ধিহান গল্প” শিরোনামে, একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল| সেই প্রবন্ধটি ছিল দলবদ্ধ প্রস্থানের প্রতি এক আক্রমণ, যার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে, “দলবদ্ধ প্রস্থান: ঈশ্বর এবং রাজাদের” নামের ছায়াছবিতে দেখান বিকৃতির| আমি টাইমসে প্রকাশিত সেই প্রবন্ধের মূল ধাপগুলি পড়ব এবং তারপর সেগুলির উত্তর দিব|

যাত্রাপুস্তকের সন্দিহান গল্প

পন্ডিতগণের অনেকেই শান্তভাবে সমাপ্তিমূলক সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে মোশির মহাকাব্য কদাচ ঘটে নাই, আর এমনকী যিহুদী যাজকগণও এই বিষয়ে প্রশ্ন উঠাইতেছেন…

যদিও, এই সমস্ত পন্ডিতগণের নাম দেওয়া হয়নি| এবং শুধু একজন যিহুদী “যাজক” এর নাম উদ্ধৃত করা হয়েছিল, যিনি লস্ এঞ্জেলসের কাছে, ওয়েষ্টউডের এক সমাজগৃহের রব্বি| কিন্তু সেই প্রবন্ধ এই কথা বলেনি যে সেটা একটা গোঁড়া সমাজগৃহ নয়| আর প্রবন্ধটি বলেনি যে সেই রব্বি এক উদারপন্থী ছিলেন যিনি কখনও পুরান নিয়মকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেননি, যেমন গোঁড়া রব্বিরা করতেন| এবং সেই প্রবন্ধ উল্লেখ করেনি যে সেখানে পুরান নিয়মের অনেক পন্ডিতবর্গ ছিলেন যেমন ট্রিনিটি ইভ্যানজিলিক্যাল ডিভিনিটি স্কুলের ডঃ গ্লিয়েসন্ আর্চার, টালবট স্কুল অফ থিয়োলজির ডঃ চার্লস এল. ফিনবার্গ , এবং ডঃ তিমথী লিন যিনি ছিলেন তাইওয়ানে অবস্থিত চায়্না ইভ্যানজিলিক্যাল সেমিনারীর সভাপতি| এই ব্যক্তিবর্গ শিক্ষা দিয়েছিলেন যে যাত্রাপুস্তক হল আক্ষরিকভাবে সত্য| কিন্তু এদের মত লোকেদের উল্লেখ টাইমস এর সেই প্রবন্ধটিতে করা হয় নি| কেবলমাত্র আধ্যাতিক জ্ঞানসম্পন্ন উদারপন্থী পন্ডিতবর্গের উল্লেখ করা হয়েছে, যাতে গভীরভাবে ছাপ পড়ে যেন রক্ষণশীল পন্ডিতবর্গের কোন অস্তিত্বই নেই| সেই প্রবন্ধ বলে চলেছিল যে,

প্রত্নতত্ত্ববিদগণ বলেন যে সেখানে চূড়ান্ত কোন প্রমাণ নাই যে ইস্রায়েলীয়রা কখনও মিশরে থাকিতেন, তাহারা কখনও ক্রীতদাস ছিলেন, তাহারা কখনও ৪০ বৎসর ধরিয়া সিনাই প্রান্তরে ঘুরিয়া বেড়াইয়াছিলেন অথবা কখনও কনান দেশ জয় করিয়াছিলেন (ibid.)|

আমি আমার ছেলে লেসলীকে এটা পড়ে শুনিয়েছিলাম| যখন সেই সংবাদপত্রটি প্রকাশিত হয়েছিল, তার বয়স ছিল ১৭ বছর| আমি সেটা পড়ে শোনানোর ঠিক পরেই আমার ছেলে বলেছিল, “যদি [যাত্রাপুস্তকের] এই বিষয়গুলি পৃথিবীর সাধারন অংশে সংঘটিত হত, যেমন চীন বা ইংল্যান্ডে, তবে তারা হয়তো আরও অনেক আগেই এগুলির প্রমাণের সন্ধান পেয়ে যেত| কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে এটা ‘সাধারন’ ছিল না| তারা ক্রমাগত যুদ্ধ ও সংঘাতের মধ্যে থাকত| যখন থেকে যাত্রাপুস্তক লেখা হয়েছিল, তখন থেকেই যিহুদীরা দুইবার সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছিল| বাইবেলে [যাত্রাপুস্তকে] উল্লেখিত জায়গাগুলি হাজারেরও বেশি বছর ধরে লুন্ঠিত হয়েছিল এবং টুকরো টুকরো হয়েছিল এবং ধ্বংস হয়ে গেছিল| এই সমস্ত ঘটনার পর আমাদের আশা করা উচিৎ নয় যে আমরা সমস্ত প্রমাণ সঠিকভাবে সাজান থাকা অবস্থায় খুঁজে পাব|” তখন তিনি বলেছিলেন যে, আমি নিজে নিজে চিন্তা করেছিলাম, “এই সতেরো বছরের বালকেরও উদারপন্থী বাইবেল সমালোচকদের চাইতে বেশি বুদ্ধি আছে|”

অরেঞ্জ প্রদেশের যিহুদী পন্ডিত সংক্রান্ত পর্ষদের সভাপতি, রব্বি ডেভিড এলিজারির বিবৃতির উল্লেখ ঐ প্রবন্ধে করা হয়েছে, এই কথা বলে,

কেবলমাত্র কয়েক বছর আগে, যাত্রাপুস্তক সম্বন্ধে সন্দিহান ছিলেন এমন প্রত্নতত্ত্ববিদগণ আমাদের বলেছিলেন যে রাজা দাউদ কখনও ছিলেন না| এই মতবাদ [ধ্বংস হয়েছিল] যখন ইস্রায়েল থেকে রাজা দাউদের বিষয়ে একটা শিলালিপি বা খোদাই করা লিপি আবিষ্কৃত হয়েছিল (Quoted in the Jewish Journal, 4/20/01, p. 11)|

ইস্রায়েলে বসবাসকারী আমার এক বন্ধু আমাকে চিঠি লিখেছিলেন, এই বলে যে, টাইমসের প্রবন্ধটি প্রকাশিত হওয়ার মাত্র কয়েক বছর আগে, প্রত্নতত্ত্ববিদেরা মাটি খুঁড়ে দাউদের জীবনকালের সঠিক সময়কার মাটির পাত্রের একটা টুকরো বের করেছিলেন, যার উপরে “রাজা দাউদ” শব্দকটি স্পষ্টভাবে লেখা ছিল|

ডঃ ডব্লিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল একজন অতি মেধাবী পন্ডিত ছিলেন| তিনি কেনটাকির, লোউস্ভিলির সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট থিওলজিক্যাল সেমিনারী থেকে বাইবেল সংক্রান্ত ভাষার উপরে পিএইচ. ডি. ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন| তিনি অনেক বইয়ের লেখক ছিলেন, এ ছাড়াও তিনি বাইবেলের অনেক বইয়ে টীকা লিখেছিলেন| ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি টেক্সাসের, ডালাসে অবস্থিত প্রথম ব্যাপটিষ্ট মন্ডলীর পালক ছিলেন| আমেরিকার বৃহত্তম “প্রোটেস্টান্ট” সম্প্রদায়ের সাউদার্ণ ব্যাপটিষ্ট সন্মেলনের সভাপতি হিসাবে, তিনি দুইবার নির্বাচিত হয়েছিলেন| তিনি খুব সহজেই একটি থিয়োলজিক্যাল সেমিনারীর সভাপতি হতে পারতেন! তার নিজের যুগের সন্ধিক্ষণের বই যার নাম কেন আমি প্রচার করি যে বাইবেল হল আক্ষরিকভাবে সত্য (ব্রডম্যান প্রেস, ১৯৬৯), ডঃ ক্রিস্ওয়েল বলেছেন,

        ইতিপূর্বে অবিশ্বাস্য এই চিন্তা ছিল যে মোশি সম্ভবত পঞ্চপুস্তক [বাইবেলের প্রথম পাঁচটি বই] লিখিয়াছিলেন যেহেতু তিনি বাস করিতেন লেখা আবিষ্কারের পূর্বে| ইহা ছিল আধুনিক [উদারপন্থী] সমালোচনার অনেকগুলি নিশ্চিত ফলের মধ্যে একটি| যদিও, বর্তমানে আমরা জানি যে, খ্রীষ্ট জন্মের ২০০০ বৎসর পূর্বে নিকট প্রাচ্যের সেই লেখা ছিল একটি সুপ্রতিষ্ঠিত শিল্পকলা| মোশির সময়ের সেই লেখাগুলি অজানা থাকার পরিবর্তে, আমরা আবিষ্কার করেছি যে মোশির সময়ের শত শত বৎসর পূর্বে লেখা ছিল এক অতি উন্নত শিল্পকলা, বহু [পূর্বে] মোশির সময়ের…
        বাইবেলের সত্যের প্রতি অপর একটি প্রত্নতাত্ত্বিক সাক্ষ্য পিটহামের মূল্যবান শহরে পাওয়া গিয়াছে যাহা মিশারে তাহাদের কঠোর বন্দীত্বের সময়ে ইব্রীয়দের দ্বারা তৈয়ারী করা হইয়াছিল দ্বিতীয় রামাসিসের জন্য| এই শহরটিকে সম্প্রতি মাটি খুঁড়িয়া বাহির করা হইয়াছে, এবং দেখা গিয়াছে যে ইহার গৃহগুলির দেওয়াল রৌদ্রে পোড়ান ইট দ্বারা নির্মিত, কোনটি খড় আর কোনটি খড় ছাড়া, হুবহু যেমন যাত্রাপুস্তক ৫:৭ পদে বর্ণিত আছে সেইরকম…আরও একবার বাইবেল ইতিহাস প্রমাণ করল যে সেটা অভ্রান্ত, যখন [উদারপন্থী] সমালোচকদের উপহাস হাস্যকর ও অযৌক্তিক প্রমাণিত হল|

কিন্তু আমি আরও অনেকদূরে যাব| উদারপন্থী সমালোচকেরা, যারা গোল্ডেন গেট ব্যাপটিষ্ট থিয়োলজিক্যাল সেমিনারীর অধ্যাপক ছিলেন, যখন আমি সেখানে ছিলাম আর স্নাতক হয়েছিলাম, তখন আমাদের ছাত্রদের বলেছিলেন সেখানে কোন নথি নাই যে ইব্রীয়রা কোনদিন মিশরে ছিলেন| আমি সেই অধ্যাপকদের একটি আলোকচিত্র এনে দেখিয়েছিলাম, যাতে দেখা যাচ্ছে দাড়িওয়ালা কিছু লোক ইট প্রস্তুত করছে, যেমন যাত্রাপুস্তকের পঞ্চম অধ্যায়ে আমাদের বলা হয়েছে যে তারা করেছিল| আমি অধ্যাপকদের, একটি পিরামিডের দেওয়ালের উপর থেকে তোলা সেই ছবিগুলি দেখিয়েছিলাম| তবুও তারা উপহাস করেছিল ও হেসেছিল, আর বলেছিল যে আমি খুব গোঁড়া কারণ আমি শাস্ত্রে বিশ্বাস করতাম| কিন্তু এইসব দাড়িওয়ালা লোকেদের মধ্যে একজনের আলোকচিত্র আমরা দেখতে পাই যিহুদী লোকেদের ঐতিহাসিক মানচিত্র নামের বইতে (cf. The Jewish Journal, 4/20/01, p. 11)| যেহেতু সমস্ত মিশরীয়রা নিখুঁত করে দাড়ি কামিয়ে রাখত, সেহেতু ইট প্রস্তুতরত দাড়িওয়ালা লোকেদের উপস্থিতি, পরিষ্কারভাবে নির্দেশ করে যে যাত্রাপুস্তকের সময়ে ইব্রীয় লোকেরা মিশরে ছিলেন! সেই গোঁড়া রব্বি, ডেভিড এলিয়াজারি, টাইমস প্রবন্ধে উল্লিখিত যাত্রাপুস্তকের উদারপন্থী সমালোচকদের বিষয়ে বলেছেন,

তাহাদের জীবনযাত্রার ধরন এবং শিক্ষা উৎপন্ন করে এক মানসিক অবস্থা যাহা যাত্রাপুস্তকের প্রমাণের বিরুদ্ধে পূর্বস্থাপিত এক চিত্র গঠন করে| যখন কেবল তাহাদের নিকট নিশ্চিতভাবে কোন বিকল্প থাকেনা তখন তাহারা নীরবে মানিয়া লয় [ঠিক বলিয়া স্বীকার করে] যে তোরা’তে [পুরাতন নিয়ম] কিছু আছে যা সত্য হতে পারে (The Jewish Journal, 4/20/01, p. 11)|

আবার, সেই টাইমস প্রবন্ধ হাস্যকরভাবে, অযৌক্তিকভাবে, ভ্রান্ত যখন এতে বলা হয়েছে, “যাত্রাপুস্তকের বিরুদ্ধে ঘটনা দানা বাঁধতে শুরু করেছিল প্রায় ১৩ বছর আগে থেকে…যেকথা পন্ডিতেরা জানতেন এক দশকেরও বেশি সময় ধরে|” এটা একটা সরাসরি মিথ্যা কথা| বাইবেল সমালোচকেরা এইরকম বিষয়গুলি বলে চলেছেন ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে! যোহানন শিমলার (১৭২৫-১৭৯১) অষ্টাদশ শতাব্দীতে জার্মানীতে বাইবেলের এই সমালোচনা শুরু করেছিলেন| ডঃ হারওল্ড লিন্ডসেল বলেন,

১৭৫৭ সালে তিনি [হইয়াছিলেন] হ্যালের ঈশ্বরতাত্ত্বিক বিভাগের প্রধান| তিনি ছিলেন সেই লোক যিনি নীতিগতভাবে বাইবেলের মূলপাঠ নির্ণয় ও তৎসংক্রান্ত সমালোচনার উন্নতিবর্দ্ধন করিয়াছিলেন| যখন তিনি শাস্ত্রের মৌখিক অনুপ্রেরণার ধারনার প্রতি প্রতিদন্দ্বীতা আহ্বান করিয়াছিলেন তখন তিনি তাহার পিতার গোঁড়ামি হইতে প্রস্থান করিয়াছিলেন (Harold Lindsell, Ph.D., The Bible in the Balance, Zondervan Publishing House, 1979, p. 280)|

টাইমস প্রবন্ধটি বলেছে যে উদারপন্থী পন্ডিতেরা যাত্রাপুস্তকের এই সমস্ত তথাকথিত “ত্রুটিগুলি”র বিষয় জেনেছেন মাত্র কয়েক বছর হল – ১০ থেকে ১৩ বছর যখন ২০০১ সালে প্রবন্ধটি লেখা হয়েছিল| এর অর্থ এই যে সমালোচকেরা ১৯৮৮ অথবা ১৯৯১ সাল অবধি যাত্রাপুস্তকের প্রতি ভ্রান্ত শ্রদ্ধা করা থেকে মুক্ত হওয়া শুরু করেননি| তাহলে কেন আমি গোল্ডেন গেট সেমিনারীতে ১৯৭২ এবং ১৯৭৩ সালে - মানে প্রায় ১৫ বছর আগে এইসব কথা শুনেছিলাম? আর কেনইবা টাইমস প্রবন্ধ প্রকাশিত হওয়ার প্রায় ৫০ বছর আগে, ১৯৫১ সালে ডঃ হেনরী এম. মরিস নিচের প্রশ্নটি করেছিলেন? ১৯৫১ সালে ডঃ মরিস বলেছিলেন,

ইহা কিভাবে সম্ভব যে শতাব্দীকাল ধরিয়া, মনে হইতেছে যেন একজনেরও মনে সামান্যতম সন্দেহ হয় নাই যে লেখাগুলি প্রকৃতপক্ষে মোশির লেখা ছিল না, যতক্ষন না অবধি আধুনিক উচ্চমানের সমালোচকেরা তাহাদের উপর কাজ করিয়াছিলেন? (Henry M. Morris, Ph.D., The Bible and Modern Science, Chicago: Moody Press, 1951, p. 102)|

আর যাত্রাপুস্তকের উপর এই আক্রমণগুলি যদি মাত্র কয়েক বছর আগেই শুরু হয়ে থাকে, তাহলে কেন উইনস্টোন চার্চিল এই বিষয়ে ১৯৩২ সালে লিখে গেছিলেন? প্রায় ৮২ বছর আগে চার্চিল তার সময়ে উদারপন্থী সমালোচকদের বিরুদ্ধে বাইবেলের মোশি এবং যাত্রাপুস্তকের প্রতিরোধ করেছিলেন| চার্চিল বলেছেন,

আমরা ঘৃণার সহিত, প্রত্যাখ্যান করিতেছি, সেইসকল পান্ডিত্যপূর্ণ ও পরিশ্রমসাধ্য গূঢ় অর্থপূর্ণ কাহিনী যে মোশি সাধুজীবনীকার ব্যতীত আর কিছুই ছিলেন না যাহার উপরে যাজকবর্গ এবং লোকেরা তাহাদের অপরিহার্য্য সামাজিক, নৈতিক এবং ধর্ম্মীয় নির্দেশ চাপাইয়া দিয়াছিল| আমরা বিশ্বাস করি যে অধিকাংশ বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গী, অধিকাংশ আধুনিক তথ্য এবং যৌক্তিক ধারনা, সম্পূর্ণভাবে সন্তুষ্ট হইয়া থাকে বাইবেলের [যাত্রাপুস্তকের অন্তর্গত] কাহিনীকে আক্ষরিক অর্থে দেখিয়া, এবং মনুষ্যজাতির মধ্যে মহান একজনকে [মোশিকে] শণাক্ত করিতে পারিয়া যিনি অতীব দৃঢ় সংকল্পিত অগ্রগতির সহিত সম্মুখে চলিতেছিলেন যাহা্কে সর্বদা উপলব্ধি করা যায় মানবজাতির ইতিহাসে| আমরা অধ্যাপক গ্রাডগ্রিন্ড এবং ডঃ ড্রায়াসডাস্ট [বাইবেলের উদারপন্থী সমালোচক] এর [রচনা] দ্বারা অপরিবর্তিত বা অবিচলিত ছিলাম| আমরা নিশ্চিত হইতে পারি যে ঐ সমস্ত বিষয়গুলি [যাত্রাপুস্তকের অন্তর্গত] ঘটিয়াছিল ঠিক পবিত্র লেখা অনুযায়ী… আমরা পরম নিশ্চয়তার সহিত ‘পবিত্র শাস্ত্রের অজেয় প্রস্তরের উপর’ বিশ্রাম করিতেছি (Winston S. Churchill, “Moses,” in Amid These Storms, New York, Scribners, 1932, p. 293)|

চার্চিল বাইবেলে পন্ডিত ছিলেন না| কিন্তু তিনি একজন নোবেল পুরষ্কারজয়ী ঐতিহাসিক (১৯৫৩) ছিলেন| একজন ঐতিহাসিক হিসাবে তিনি জানতেন যে বাইবেলে দলগতভাবে প্রস্থানের বিষয়টিকে কল্পনা কাহিনীর তুলনায় মৌলিক সত্যের উপর ভিত্তি করতে হয়েছিল| তার ঐতিহাসিক অন্তর্দৃষ্টি তাকে “ডঃ ড্রায়াসডাস্ট” বা বাইবেলের অন্যান্য সমালোচকদের তুলনায় বেশি করে বোঝার শক্তি দিয়েছিল| এটা সেই একই ধরনের অন্তর্দৃষ্টি যা তাকে দেখিয়েছিল হিটলারকে এক বিপদ্জনক উন্মাদ লোক হিসাবে, যখন সেই ১৯৩০ সালে ইংল্যান্ড ও আমেরিকার বাকি সমস্ত নেতৃবর্গ, জন্ এফ. কেনেডির বাবা সমেত, হিটলারকে একজন মহান “কূটনীতিজ্ঞ ব্যাক্তি” হিসাবে দেখেছিলেন|

বাস্তবিক কারণ এই যে সমালোচকেরা, এবং রিডলে স্কটের মতন মানুষেরা তার যাত্রাপুস্তক ছায়াছবিতে, বাইবেলকে বিশ্বাস করেননি কারণ তারা আত্মিকভাবে অন্ধ ছিলেন| বাইবেল বলছে,

“কিন্তু প্রাণিক মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না: কেননা তাহার নিকট সে সকল মূর্খতা: আর সেইসকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহা আত্মিকভাবে বিচারিত হয়” (১ম করিন্থীয় ২:১৪)|

ঈশ্বরের বিষয়গুলি “প্রাণিত মনুষ্যের” মধ্যে লুকানো থাকে| যতক্ষণ না মানুষ নিজে বিনম্র হয়, এবং খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করে, ততক্ষণ শাস্ত্রের সত্য দর্শনের জন্য তার আত্মিক চক্ষু উন্মুক্ত হয় না|

“যদি তোমরা মোশিকে বিশ্বাস করিতে, তবে আমাকেও বিশ্বাস করিতে: কেননা আমারই বিষয়ে তিনি লিখিয়াছেন| কিন্তু তাঁহার লেখায় যদি বিশ্বাস না কর, তবে আমার কথায় কিরূপে বিশ্বাস করিবে?” (যোহন ৫:৪৬, ৪৭)|

যীশু খ্রীষ্ট আপনার পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশের উপর মৃত্যু বরণ করেছেন| আপনাকে জীবন দান করার জন্য তিনি শারীরিকভাবে মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন| খ্রীষ্ট বলেছিলেন, “তোমার নতুন জন্ম হওয়া আবশ্যক” (যোহন ৩:৭)| যখন আপনি নতুন জন্মপ্রাপ্ত হবেন, ঈশ্বরের শক্তির দ্বারা, তখনই শুধুমাত্র আপনি সম্পূর্ণ বাইবেল, এবং যাত্রাপুস্তকের মহান সত্যকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবেন| আমেন| ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালনা করুন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: যোহন ৫:৩৯-৪৭ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“I Know the Bible is True” (by Dr. B. B. McKinney, 1886-1952).