Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




উদ্দীপনার জন্য একটি প্রার্থনা

(উদ্দীপনা সভার ত্র্য়োদশ প্রচার)
A PRAYER FOR REVIVAL
(SERMON NUMBER 13 ON REVIVAL)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ২ রা নভেম্বর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সকালবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Morning, November 2, 2014

“আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক, যেমন অগ্নি ঝোপ প্রজ্জ্বলিত করে, যেমন অগ্নি জল ফুটায় [তদ্রুপ হউক], তোমার বিপক্ষদিগকে তোমার নাম জ্ঞাত কর, তোমার সাক্ষাতে জাতিগণ কম্পিত হউক!” (যিশাইয় ৬৪:১,২)|


ডঃ জন এইচ. আর্মস্ট্রং হলেন পুনঃজাগরণ এবং উদ্দীপনা সেবাকাজের সভাপতি| তিনি “The Coming Evangelical Crisis” বই এর লেখক| ডঃ আর্মস্ট্রং বলেছেন,

পাশ্চাত্য সম্প্রদায়ের ক্ষয় গুরুতরভাবে প্রশ্নাতীত… যেমন আমরা জানিয়াছি তেমনি আমরা পাশ্চাত্য সভ্যতার সমূহ পতনের সাক্ষ্য দিতেছি| আমরা…মনে করিতেছি যে ঘটনাগুলির অবস্থা যেরূপ তাহারা সেইরূপ অবস্থায় সদাসর্ব্বদা থাকিবে| আমরা…ইতিমধ্যে ভুলিয়া গিয়াছি যে শুধুমাত্র অল্প কিছুদিনের মধ্যে একদা অজেয় “লৌহ পর্দা” নামিয়া আসিয়াছে (John H. Armstrong, Ph.D., True Revival, Harvest House Publishers, 2001, pp. 125, 126)|

তিনি বোঝাতে চেয়েছেন যে কমিউনিষ্টদের দ্বারা আগের সোভিয়েত ইউনিয়নের যেমন দ্রুত পতন হয়েছিল তেমনি দ্রুত আমাদের সভ্যতার পতন হতে পারে – মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যে! আমি মনে করি এইরকমটা হবে| ডঃ আর্মস্ট্রং সেটা লিখেছিলেন তের বছর আগে, ২০০১ সালে|

আগের রাত্রে ঠিক বিছানায় যাওয়ার আগে আমি ওয়ার্ল্ড পত্রিকায় একটি বিরক্তিকর প্রবন্ধ পড়েছিলাম| যখন আমি লক্ষ্যহীনভাবে ঘুমাতে যাচ্ছিলাম, তখন চিন্তা করেছিলাম, “আমরা এখন সেখানে আছি| আমাদের সভ্যতা এখন পৃথকভাবে পতিত হচ্ছে| এটা ঘটতে পারে সেইরকম দ্রুত যেমন দ্রুত পতন হয়েছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের|”

লক্ষ্যভ্রষ্ট পৃথিবী এটা জানে না, কিন্তু খ্রীষ্টধর্ম্ম হল সেই “চুম্বক” যা আমাদের সভ্যতাকে একসঙ্গে ধরে রাখে| কিন্তু আমাদের মন্ডলীগুলি এতটাই দূর্বল যে তারা এই কাজ আর করে উঠতে পারছে না| আমাদের চোখের সামনে আমাদের জীবনের ধারা শেষ হয়ে যাচ্ছে|

আমরা এখানে অল্প কয়েকটি মন্ডলীর মধ্যে একটি, যেখানে এখনও রবিবারের সন্ধ্যার উপাসনা হয় এই লস্ এঞ্জেল্সে| এবং বেশির ভাগ মন্ডলীতেই বুধবার রাত্রের প্রার্থনা সভা আর হয় না! ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন! আমরা একাকী, আর সেটা আমরা অনুভব করি| আমরা একাকী, এবং আমরা দূর্বল| আমাদের শত্রুরা খুব শক্তিশালী এবং বাকপটু| আমরা প্রত্যেকদিন তাদের তীক্ষ্ণস্বর শুনছি| আমাদের সময়ে এটাই কি খ্রীষ্টধর্ম্ম শেষ হওয়ার শুরু? বর্তমানে এই ধরনের খারাপ চিন্তাগুলি প্রত্যেক চিন্তাশীল খ্রীষ্ট বিশ্বাসীদের মনের মধ্যে আলোড়িত হচ্ছে| আর আমরা বিস্মিত যে আমরা এই বিষয়ে কি করতে পারি| আমরা দেখতে পাচ্ছি যে মন্ডলীগুলি এবং তাদের সাক্ষ্য চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে| আমরা দেখছি সুসমাচারমূলক সম্প্রদায়গুলির দূর্বলতা এবং জাগতিকতা| সেটা অন্য সব কিছুর তুলনায় বেশি করে আমাদের বিক্ষুব্ধ করে|

১৯৫০ সালের প্রাচীন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীরা মৃত| রাষ্ট্রপতি রেগান গত হয়েছেন| ফ্রান্সিস শ্যিফার মৃত| জন্ আর. রাইস মারা গিয়েছেন| হ্যারল্ড লিন্ডসেল, বিল ব্রাইট, ডবলিউ. এ. ক্রিস্ওয়েল, জেরী ফাল্ওয়েল এবং ডঃ লয়েড-জোন্স এরা সকলেই মারা গিয়েছেন| বিলি গ্রাহাম, ৯৬ বছর বয়েসে, বহুদূরে নর্থ ক্যারোলীনার এক পাহাড়ের গায়ে এক জায়গায়, একাকী হুইল চেয়ারে বসে থাকেন| আমরা একাকী – এবং সেখানে এমন কোন শক্তিশালী মানুষ নেই যিনি পাশ্চাত্য সভ্যতার সূর্য্য অস্ত যাওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারেন|

ভাববাদী যিশাইয় এইভাবে অনুভব করেছিলেন| তাকে সক্রিয় করা হয়েছিল ঈশ্বরের অন্বেষণ করতে| তিনি বলেছেন,

“তুমি তো আমাদিগের পিতা, য্দ্যপি আব্রাহাম আমাদিগকে জানেন না, এবং ইস্রায়েল আমাদিগকে স্বীকার করে না: তথাপি, তুমি সদাপ্রভু, আমাদিগের পিতা, অনাদিকাল হইতে; আমাদিগের মুক্তিদাতা” (যিশাইয় ৬৩:১৬)|

ডঃ লয়েড-জোন্স বলেছেন,

আপনি এবং আমি অবশ্যই কেবলমাত্র পুরুষানুক্রমিক ঐতিহ্যের নামে…কেবলমাত্র যাহারা আমাদের পূর্বে গিয়াছেন তাহাদের নামে ঈশ্বরের সন্মুখে যাইব না| মেথডিষ্ট পিতাগণ, অথবা পিউরিটিয়ানগণ, অথবা সংষ্কারসাধকগণ তাহারা যাহাই হইয়া থাকুন না কেন, আমি এই বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ করি না| না, আমরা তাহাদের নামে, আব্রাহাম, যাকোব এর নামে – কোনমতেই বিনতি করি না| “তুমিই আমাদিগের পিতা|” সংষ্কারসাধকগণ আমাদিগকে পরিত্রাণ দিতে পারেন না, মেথডিষ্ট পিতাগণ আমাদিগকে পরিত্রাণ দিতে পারেন না| সেখানে [আজ] বড় বিপদ কারন আমরা পিতাদিগের পশ্চাতেই পড়িয়া রহিয়াছি| না, ইহা হইতেছেন ঈশ্বর| “তুমিই আমাদিগের পিতা,” আর অন্য কেহ নহে…শুধু ঈশ্বর, “তাঁহার নাম অনাদি হইতে,” এবং ইহা অনন্তকাল থাকিবে| ঈশ্বর সেই মৄতদের ঈশ্বর নহে, কিন্তু জীবিতদের ঈশ্বর, এবং তিনি হইতেছেন জীবন্ত ঈশ্বর (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Revival, Crossway Books, 1987, pp. 301, 302)|

আমি এটা দেখে খুব খুশী যে ব্যপটিষ্টরা অনেকেই সংষ্কারসাধকদের প্রতি ফিরে যাচ্ছেন| কিন্তু, সংষ্কারসাধকদের আমি যতই ভালবাসি না কেন, আমি জানি, যিশাইয়’র মতন, যে সংষ্কারসাধকেরা এবং পিউরিটিয়ানেরা কেউই আমাদের পরিত্রাণ দিতে পারে না! এমনকি তারা আমাদের কোন সাহায্য করতেও পারে না! আমাদের সভ্যতা এত পাপের গভীরে চলে গেছে, এত ঈশ্বর কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছে, এবং এতদূরে চলে গেছে, যে ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের মতবাদের দ্বারা পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না| আমরা অবশ্যই ঈশ্বরের প্রতি ফিরে যাব! সংষ্কারসাধকেরা যতই শ্রদ্ধেয় বা মহান হোক না কেন, আমরা তাদের প্রতি ফিরে যেতে পারিনা| আমরা অবশ্যই ঈশ্বরের প্রতি ফিরে যাব! ঈশ্বর একাই আমাদের সাহায্য করতে পারেন!

কিন্তু আমরা অবশ্যই ঈশ্বরের কাছে শুধুমাত্র আমাদের দেশের পরিত্রাণ যাচ্ঞা করার জন্য ফিরে যাব না| ওহ, না! আসলে, আমাদের দেশের লোকেরা ঈশ্বরের লোক নয়| তারা জীবন্ত ঈশ্বরের সঙ্গে কিছু করতে চায় না! যিশাইয় বলেছেন,

“তুমি যাহাদের উপর কখনও কর্ত্তৃত্ব কর নাই; ও তোমার নাম যাহাদের উপর কীর্ত্তিত হয় নাই: আমরা তাহাদের সমান হইয়াছি” (যিশাইয় ৬৩:১৯)|

ঈশ্বরের নামের প্রশংসা হোক! আমরা চাইব না, অথবা অন্বেষণ করব না, সেই “নৈতিক প্রাধান্য,” “প্রথম আমেরিকা,” রিপাবলিকান দল, অথবা অন্য কোন জাগতিক শক্তি আমাদের উপরে ঝুঁকে পড়ুক! এমনকি আমরা অবশ্যই এই সমস্ত নগণ্য এবং সাময়িক আকর্ষণের বিষয়গুলির জন্য আমাদের প্রার্থনার সময় অপচয় করব না! এখন আমাদের অবশ্যই ঝুঁকে পড়তে হবে একমাত্র ঈশ্বরের হাতের প্রতি! “তথাপি, তুমি সদাপ্রভু, আমাদিগের পিতা, অনাদিকাল হইতে আমাদিগের মুক্তিদাতা; ইহাই তোমার নাম” (যিশাইয় ৬৩:১৬)|

পর্ব্বতগণ স্থিরভাবে দাঁড়াইবার পূর্ব্বে,
   অথবা জগত তাহার আকার পাইবার পূর্ব্বে,
অনন্তকাল হইতে তুমিই ঈশ্বর,
   অসীম বৎসর ধরিয়া তুমি একই রহিয়াছ|

তোমার দৃষ্টিতে, সহস্র বৎসর,
   মনে হয় সন্ধ্যা অতীত হইল;
সংক্ষিপ্ত নিশি যেমন রাত্রির শেষ,
   সূর্য্য উদয়ের পূর্বে|
(“O God, Our Help in Ages Past” by Isaac Watts, D.D., 1674-1748).

এখন, আমরা আমাদের পাঠ্যাংশে আসি| এই হলেন ঈশ্বর সেই ভাববাদী যার প্রতি তার মুখ ফিরিয়েছেন| এই হলেন ঈশ্বর যার প্রতি তিনি যখন প্রার্থনা করেন তখন ঐকান্তিকভাবে বিনতি করেন,

“আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক…” (যিশাইয় ৬৪:১)|

যখন এই প্রার্থনা করেছিলেন তখন ঈশ্বরের লোকেরা খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে ছিলেন| তাদের আনা হয়েছিল ভয় এবং দুঃখের সর্বনিম্ন জায়্গায়| ভাববাদী তাদের আর্থিক উন্নতির জন্য প্রার্থনা করেননি| তিনি তাদের মানসিক শান্তির জন্য প্রার্থনা করেননি| এমনকি তিনি তাদের সাফল্যের জন্যও প্রার্থনা করেননি| তিনি যোয়েল ও‌স্‌টিনের মতন ছিলেন না! তিনি জানতেন যে সেটা তাদের প্রয়োজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল না| যিশাইয় জানতেন তাদের প্রধান, প্রাণবন্ত প্রয়োজন ছিল তাদের মধ্যে ঈশ্বরের উপস্থিতি| আর সেইজন্য তিনি শাস্ত্রে লিপিবদ্ধ করা প্রার্থনাগুলির মধ্যে সবচেয়ে মহান প্রার্থনাটি করেন,

“আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক…” (যিশাইয় ৬৪:১)|

ডঃ জে. ভার্নন ম্যাকগীর সঙ্গে আমি খুব বড় একটা ভিন্নমত পোষন করি না| কিন্তু এই পদের যে ব্যাখ্যা তিনি দিয়েছেন তার সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না| তিনি বলেছেন, “মহাতাড়নার যুগে ইস্রায়েলের প্রার্থনার বিষয় যিশাইয় ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছেন” (Thru the Bible, volume III, p. 342; note on Isaiah 64:1)| না, এটা তাড়নার সময়ে খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের জন্য ইস্রায়েলের প্রার্থনার ভবিষ্যদ্‌বাণী নয়| তারা সম্ভবত এর জন্য প্রার্থনা করবে, কিন্তু এটা পাঠ্যাংশের মূল উপযোজন নয়| ভাববাদী এখনই ঈশ্বর নেমে আসার জন্যে প্রার্থনা করছিলেন! সুপারজিয়ন এবং ডঃ লয়েড-জোন্স দুজনেই বলেছেন যে এই প্রার্থনা হল পবিত্র আত্মার নেমে আসার জন্য|

“আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক…” (যিশাইয় ৬৪:১)|

ডঃ লয়েড-জোন্স বলেছেন, “আমার দ্বিধা নাই [বলিতে] যে উহা উদ্দীপনার সঙ্গে সংযুক্ত সীমাহীন প্রার্থনা…উদ্দীপনায় ঈশ্বরের আত্মার পরিদর্শনের জন্য বিশিষ্ট, নির্দ্দিষ্ট, জরুরী প্রার্থনা| চূড়ান্ত বিনতির উত্তম প্রকাশের জন্য সেখানে আর কোন শব্দাবলী নাই, যাহা কাউপারের এই গানের চাইতে ভালভাবে প্রকাশ করে,

স্বর্গ বিদীর্ণ করিয়া, শীঘ্র নামিয়া আইস,
এবং সহস্র হৃদয়কে কর তোমার নিজের|

…ইহাই উদ্দীপনায় ঘটিয়া থাকে” (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Revival, ibid., p. 305)|

এর মানে কী, “ঈশ্বর নামিয়া আসিয়াছেন”? আমি আপনাকে বলব যে এটা সঠিকভাবে কি বোঝাতে চাইছে| সানফ্রা‌ন্‌সিস্‌কোর উত্তরদিকে, মিল ভেলীতে একটি মন্ডলী শুরু করার পর আমি লস্‍ এঞ্জেল্‌সে ফিরে আসি| তারা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল আর বলেছিল “পুত্রের পর্বসংক্রান্ত উৎসব” নামের এক সভায় প্রচার করার জন্য| আমি বিমানযোগে সান্‌ফ্রান্‌সিস্‌কো যাই এবং তারপর বেশ কয়েকঘন্টা গাড়ীতে যাওয়ার পর, উত্তরদিকে বহুদূর গিয়ে এক জায়্গায় পৌঁছাই| সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল একটি মাঠে| আমরা যেমন যেমন এগিয়ে যাচ্ছিলাম, আমি অনুভব করছিলাম ঈশ্বরের উপস্থিতি| আমি যখন গাড়ী থেকে নামলাম তখন শত শত যুবকদের উপস্থিতি দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম| কয়েকটি গান হওয়ার পর, আমাকে পরিচিত করান হল| আমি বিশাল জনতার সামনে দাঁড়িয়ে মাইক্রোফোনে আমার প্রচারের পাঠ্যাংশটি ঘোষণা করেছিলাম| ইতিমধ্যে রাত্রি হয়ে গিয়েছিল| তখন সন্ধ্যালোক না, কিন্তু খুব অন্ধকার ছিল| মাইক্রোফোন এবং আলোর বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল মোটর চালিত জেনারেটরের সাহায্যে| আমি সেই পাঠ্যাংশটি পড়া শেষ করার ঠিক পরেই, সব বিদ্যুৎ সংযোগ চলে গিয়েছিল| মাইক্রোফোনটি অকেজো হয়ে পড়েছিল| সমস্ত আলো নিভে গিয়েছিল| সেখানে এত অন্ধকার ছিল যে আমি আমার নিজের হাতটাই দেখতে পারছিলাম না| আমি ভাবছিলাম, “আমি কী করতে পারি?” এখানে শত শত যুবকেরা মাঠে বসে আছে| তাদের মধ্যে বেশির ভাগ যুবক কখনও মন্ডলীর গৃহের মধ্যে যায়নি| আমি তাদের কী বলব? এই পরিপূর্ণ অন্ধকারের মধ্যে আমি কী করব? তখন ঈশ্বর নেমে এসেছিলেন!

“আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক…”

আমি শুধু বলতে পারি যে ঈশ্বর এতটাই ক্ষমতার সঙ্গে নেমে এসেছিলেন যে আপনি তার উপস্থিতি অনুভব করতে পেরেছিলেন| তখন আমি আমার সর্ব্বোচ্চ স্বরে প্রচার করতে শুরু করেছিলাম| সেখানে কোন আলো ছিল না| সেখানে কোন মাইক্রোফোন ছিল না| কোনটারই দরকার ছিল না! ঈশ্বর সেখানে রাত্রির ঘন অন্ধকারের মধ্যে তাঁর কাজ করে যাচ্ছিলেন| এমনকি যখন আমি প্রচার করছিলাম তখন আমার এইসব কথা চিন্তা করারও প্রয়োজন হচ্ছিল না| সব শব্দগুলি আমার মুখ দিয়ে প্রবল স্রোতের মতন প্রবাহিত হচ্ছিল! যুবকেরা চরম নীরবতার মধ্যে অবস্থান করছিলেন| আমার গলার স্বর ছাড়া আর কোন কিছুই শোনা যাচ্ছিল না| আমি প্রচার শেষ করেছিলাম এবং, এক বা দুই সেকেন্ডের জন্য, আমি বিস্মিত হয়েছিলাম তার পরে কি করতে হবে সেটা ভেবে| ঠিক সেইসময়, আমি একটি শব্দ শুনতে পেলাম| জেনারেটর কাজ করা শুরু করল| হঠাৎ করে মাঠের সব আলো জ্বলে উঠল – আর সেইসঙ্গে মাইক্রোফোনও চালু হল| আমি একটি সাধারণ আমন্ত্রণ জানালাম| আমি আক্ষরিকভাবেই শিহরিত হলাম দেখে যে শতাধিক হারিয়ে যাওয়া হিপি যুবকেরা আমার দিকে এগিয়ে আসছে, আর তাদের মধ্যে অনেকেরই চোখে জল| সেখানে কোন বাদ্যযন্ত্র ছিল না| সেখানে কোন শব্দ ছিল না, শুধু তাদের পায়ের এবং তাদের হাঁটু গেড়ে বসার শব্দ ছাড়া| আমরা তারপরেও সেখানে ছিলাম অনেকক্ষন অবধি, তাদের সঙ্গে বার্তালাপ করার জন্য| আমার বন্ধু, রেভা. মার্ক বাক্লে, স্মরণ করেন সেই অবিস্মরণীয় রাত্রির কথা – সেই রাত্রি যখন আলো নিভে গিয়েছিল আর ঈশ্বর নেমে এসেছিলেন – এবং অনেক হিপি এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তি খ্রীষ্টের রক্তের মাধ্যমে শান্তি খুঁজে পেয়েছিলেন ঈশ্বরের সান্নিধ্যে থেকে! এই ধরনের উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে চল্লিশটিরও বেশি মন্ডলী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল – সমগ্র আমেরিকা, ইউরোপ, এশিয়া এবং আফ্রিকাতে! ঈশ্বর তখন এইরকম করেছিলেন এবং ঈশ্বর আবার এটা করতে পারেন! সম্ভবত তিনি হলেন সুপারজিয়ন যিনি বলেছেন, “একমাত্র ঈশ্বরই ঈশ্বরের কাজ করতে পারেন|”

“আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক…”

১৯৬৯ সালে, প্রথম চিনা ব্যপটিষ্ট মন্ডলীতে, আপনি এমনকি মন্ডলীগৃহে প্রবেশের আগেই আক্ষরিকভাবে ঈশ্বরের উপস্থিতি অনুভব করতে পারতেন| এই বিষয়ে সেখানে কিছুই অসংযত ছিল না| কিন্তু সেখানে ঈশ্বর ছিলেন| আমি কেবল আংশিকভাবে বর্ণনা করতে পারি যেন সেখানে বায়ুতে বিদ্যুত ছিল! বাইবেল এটাকে ঈশ্বরের “গৌরব” বলেছে| এটা হিব্রু শব্দ থেকে অনুবাদ করা হয়েছে যার অর্থ হল “প্রভাব|” আপনি সেই গৌরব অনুভব করতে পারেন – ঈশ্বরের প্রভাব, বায়ুর মধ্যে!

আমি সঠিকভাবে জানি রেহেইস্ বিভান জোন্স ঠিক কি বলতে চেয়েছিলেন যখন তিনি ওয়েলসের একটি উদ্দীপনার বর্ণনা দিয়েছিলেন,

মূহুর্তের মধ্যে সমগ্র স্থানটি ঈশ্বরের গৌরবের সহিত এতই ভয়ঙ্কর হইয়াছিল – এখানে “ভয়ঙ্কর” শব্দটি ব্যবহৃত হইয়াছে স্বেচ্ছাকৃতভাবে; ঈশ্বরের পবিত্র উপস্থিতি এতই স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হইয়াছিল যে প্রচারক নিজেই আচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছিলেন; সেই পুল্‌পিট যেস্থানে তিনি দাঁড়াইয়াছিলেন সেই স্থান ঈশ্বরের আলোকে এতই পরিপূর্ণ হইয়াছিল যে তাহাকে সেই স্থান ছাড়িয়া আসিতে হইয়াছিল! সেইস্থানে; আসুন আমরা সেই স্থান ছাড়িয়া দিই| বাক্যগুলি পারে না কিন্তু উপহাস করে ঐ জাতীয় অভিজ্ঞতাকে (Brian H. Edwards, Revival! A People Saturated with God, Evangelical Press, 1991 edition, p. 134)|

১৯০৭ সালের জানুয়ারী মাসে, উত্তর কোরীয়ায় যখন ঈশ্বর তাঁর লোকেদের মধ্যে নেমে আসেন, একজন মিশনারী বলেছিলেন, “প্রত্যেকেই মন্ডলীতে প্রবেশ করে অনুভব করেছিলেন ঈশ্বরের উপস্থিতি, কারন গৃহ ঈশ্বরের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ ছিল… সেই রাত্রে পেয়ংইয়ং-এ ঈশ্বরের ঘনিষ্ঠভাবের অনুভূতি এমনভাবে [সেখানে] ছিল যা বর্ণনা করা অসম্ভব” (Edwards, ibid., pp. 135, 136)| ব্রিয়ান এডোয়ার্ডস বলেন, “ইহা হইল বারংবার ঈশ্বরের ভয়ঙ্কর উপস্থিতি যাহা বিশ্বাসীদের উপর গভীরভাবে পাপের চেতনা আনয়ন করিয়াছিল| যখন ঈশ্বরের উপস্থিতি একটি অপরিহার্য্য ঘটনা হয়, তখন আমরা উদ্দীপনায় থাকি” (Edwards, ibid.)| ডঃ আর্মস্ট্রং বলেছেন, যখন উদ্দীপনা আসে তখন “ঈশ্বর শক্তিশালীভাবে উপস্থিত আছেন এই বিষয়ে বিশ্বাসী এবং অবিশ্বাসী উভয়েই সজ্ঞানে সচেতন” (Armstrong, ibid., p. 53)|

“আহা, তুমি আকাশমন্ডল বিদীর্ণ করিয়া নামিয়া আইস, পর্ব্বতগণ তোমার সাক্ষাতে কম্পিত হউক…”

আমি আশা করি যে আমাদের মধ্যে কিছু লোক একত্রিত হয়ে সমবেত হোক এবং যিশাইয় ৬৪:১ পদের সেই বাক্যগুলি প্রার্থনা করুক| আমি আশা করি যে আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ, যখন আপনি একাকী আছেন, আপনার বাইবেল খুলে ঐ পদটির প্রতি দেখবেন এবং ভাববাদীর ঐ বাক্য আপনার নিজের বাক্য হিসাবে প্রস্তুত করে প্রার্থনা করবেন| প্রার্থনা করুন ঈশ্বর যেন উদ্দীপনার শক্তি নিয়ে আপনার মন্ডলীতে নেমে আসেন! ঈশ্বর আপনাকে আশীর্ব্বাদ করুন!

কার জন্য প্রার্থনা করবেন? বিশেষ করে আপনাদের মধ্যে থাকা তাদের সকলের জন্য যারা এখনও মন পরিবর্তন করেননি| আমরা প্রার্থনা করতে থাকব যেন ঈশ্বর আপনাকে আপনার পাপের জন্য গভীরভাবে চেতনা দান করেন| আপনি কখনও যীশুর জন্য প্রচন্ড প্রয়োজন উপলব্ধি করতে পারবেন না, যতক্ষণ না আপনি আপনার হৃদয়ের এবং মনের গভীর অন্ধকারময় পাপের জন্য চেতনা প্রাপ্ত হচ্ছেন| আমরা প্রার্থনা করব যেন পবিত্র আত্মা নেমে আসেন এবং আপনাকে সাহায্য করেন অনুভব করতে যে আপনি পাপপূর্ণ এবং পতিত| তারপরে, আমরা এটাও, আপনার জন্য প্রার্থনা করতে থাকব যে আপনি যেন যীশুতে বিশ্বাস স্থাপন করতে পারেন যাতে তাঁর মূল্যবান রক্ত সক্ষম হবে আপনার সমস্ত পাপ থেকে আপনাকে ধৌত করতে| ঈশ্বর যেন এই বিষয়্গুলি আপনার জীবনে কার্য্যকর করেন তার জন্য আমরা প্রার্থনা করতে থাকব| ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রার্থনায় পরিচালিত করুন| আমেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মিঃ আবেল প্রধুম্মে: যিশাইয় ৬৪:১-৪|
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Jesus, Where’er Thy People Meet” (by William Cowper, 1731-1800; to the tune of “The Doxology”).