Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




অবিশ্বাস – উদ্দীপনার একটি বাধা

(উদ্দীপনা সভার একাদশ প্রচার)
UNBELIEF – A HINDRANCE TO REVIVAL
(SERMON NUMBER 11 ON REVIVAL)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জুনিয়র।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ১২ই অক্টোবর, সদাপ্রভুর একটি দিনে সন্ধ্যাবেলায় লস্ এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকল মন্ডলীতে এই ধর্ম্মোপদেশটি প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord's Day Evening, October 12, 2014

“তাহারা আপন আপন গো-মেষপাল লইয়া সদাপ্রভুর অণ্বেষণ করিতে যাইবে; কিন্তু তাঁহার উদ্দেশ পাইবে না; তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া গিয়াছেন” (হোশেয় ৫:৬)|


অশূরীয়দের থেকে তারা যে ধরনের বাধা পেয়েছিল তাতে ইস্রায়েলীয়রা বিপদ দেখেছিল| তখন তারা ঈশ্বরের অণ্বেষণ করল| ঈশ্বরের ক্রোধ প্রশমিত করার জন্য, তারা অনেক সংখ্যায় মেষ ও বৃষ উৎসর্গ করার জন্য এনেছিল| কিন্তু তারা ঈশ্বরের কাছ থেকে কোন অনুগ্রহ পায় নি| প্রতিমা পূজা ও অন্যান্য পাপের কারনে “ঈশ্বর তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া গিয়াছেন|” যখন তাঁকে দেখা যেতে পারতো তখন তারা ঈশ্বরের অণ্বেষণ করেনি| আর এখন অনেক দেরী হয়ে গেছে| ঈশ্বর তাঁর উপস্থিতি তাদের থেকে সরিয়ে নিয়েছেন|

“তাহারা আপন আপন গো-মেষপাল লইয়া সদাপ্রভুর অণ্বেষণ করিতে যাইবে; কিন্তু তাঁহার উদ্দেশ পাইবে না; তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া গিয়াছেন” (হোশেয় ৫:৬)|

গত বুধবারের রাত্রে যখন আমি বিলি গ্রাহামের একটি ভিডিও দেখছিলাম তখন আমি ঐ পদটির বিষয়ে চিন্তা করছিলাম| ১৯৮৩ সাল নাগাদ তিনি ক্যালিফোরনিয়ার, সাক্রামেনটোতে ঐ প্রচার করছিলেন| তার বিষয়টি ছিল “পবিত্র আত্মা|” যখন তিনি প্রচার করছিলেন তখন আমি আমাদের পাঠ্যাংশের মধ্যে, “তিনি তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া গিয়াছেন” এই শব্দগুলির কথা চিন্তা করছিলাম|

এতক্ষনে, আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে আমি বিলি গ্রাহামকে ভালবাসি| আমি সবসময়ে ভালবেসেছি, আর ভবিষ্যতেও সবসময়ে ভালবাসব| কিন্তু ১৯৬৩ সালের, অগাষ্ট মাসের কোন একদিনে লস্ এঞ্জেলস্ কলিসিয়ামে তার প্রচার শুনতে যাওয়ার কথা আমি ভালভাবে মনে করতে পারি| সেদিন যখন আমি গাড়ি রাখার জায়্গাতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামলাম, আমি আক্ষরিকভাবেই বায়ুর মধ্যে, বিদ্যুত তরঙ্গের মতন, পবিত্র আত্মাকে “অনুভব” করতে পেরেছিলাম| যখন আমি কলিসিয়ামের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিলাম, আমার দেহের লোমগুলি সব খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে গেছিল| আমি অনুভব করছিলাম যে সেখানে পবিত্র আত্মা এতই প্রচন্ডভাবে উপস্থিত আছেন যে সেখানকার সমস্ত অভিজ্ঞতাই যেন বিদ্যুত সঞ্চারিত| বিশাল সেই স্টেডিয়ামে উপস্থিত প্রত্যেকটি লোক ছিল চরমভাবে শান্ত| ঐকতান-সঙ্গীতের বিরাট দল যখন “তোমার সৃষ্টি কত মহান” এই গানটি গাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়াচ্ছিল তখন সেখানে একটা আলপিন পরার আওয়াজও আপনি শুনতে পেতেন| মিস্টার গ্রাহামের প্রচার এতই ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল যে আমি আজও তার সেই প্রচারের বেশিরভাগ অংশই স্মরণ করতে পারি!

পরবর্তী দশ শতকে বিভিন্ন শহরে অনুষ্ঠিত বিলি গ্রাহামের ছয়টি ধর্ম্মসভায় আমি যোগদান করেছি| কিন্তু আমি যখন ৭০’এর দশকের প্রথমদিকে ক্যালিফোরনিয়ার, ওকল্যান্ডে তার এক ধর্ম্মসভায় গিয়েছিলাম, তখন সেখানে তার প্রচারের ক্ষমতা ছিল খুবই কম| তারপর, ১৯৮০ সালের প্রথমদিকে, ঘটনাক্রমে আমার পালক ডঃ তিমথী লিন এর সঙ্গে আমি, মিস্টার গ্রাহামের এক প্রচার টেলিভিশনে দেখছিলাম| যখন প্রচারের প্রায় অর্দ্ধেকটা শেষ হয়েছে, ডঃ লিন বলে উঠেছিলেন, “এটা মনে হচ্ছে যেন তার কোন ক্ষমতা নেই|” আমি মনে করি না যে মিস্টার গ্রাহাম বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারনে এইরকমটা হয়েছিল| তিনি সম্ভবত সবল ও সুন্দর ছিলেন| কিন্তু কোন একটা কিছুর অভাব ছিল| গত বুধবারের রাত্রে তার প্রচারের সেই ভিডিওটি দেখতে দেখতে আমি সেইরকমই অনুভব করছিলাম| তিনি পবিত্র আত্মার উপর প্রচার করছিলেন| কিন্তু কোন একটা কিছুর অভাব ছিল| আমার কাছে মনে হয়েছিল যেন পবিত্র আত্মার অভাব ছিল| আমার মনে হয়েছিল যেন “তিনি [ছিলেন] তাহাদের নিকট হইতে চলিয়া গিয়াছেন” (হোশেয় ৫:৬)| আর যখন মিস্টার গ্রাহাম প্রচার করছেন শুধুমাত্র তখনই এইরকম হয় এমনটা নয়| আজকের দিনে যখন আমি পাশ্চাত্য জগতের মন্ডলীর প্রচারগুলি শুনি তখন আমি অনুভব করতে পারি যে বেশিরভাগ প্রচারেই পবিত্র আত্মার অভাব রয়েছে| এটা আমার হৃদয়কে অসুস্থ করে তোলে – কারন আমি অনুভব করি যে যখন আমরা প্রচার করি তখন ঈশ্বর নিজে আমাদের মন্ডলী ছেড়ে চলে যান! কি দুঃখদায়ক| কতটা চরমতম দুঃখ! আমি যখন এই সব বিষয়ে চিন্তা করি কোন কোন সময়ে আমার চোখ থেকে জল বেরিয়ে আসে! ডঃ লয়েড-জোনস্ বলেন, “একজন মানুষ পবিত্র আত্মাবিহীন প্রচার করতে পারে| আমি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে এই শব্দটি ব্যাখ্যা করতে পারি, কিন্তু সেটা যথেষ্ট নয়| আত্মা এবং তাঁর শক্তি প্রদর্শনের প্রয়োজন আমাদের আছে” (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Revival, Crossway Books, 1987, p. 185)| ওহ, আমার নিজের সেই শক্তির প্রয়োজন আছে! অনুগ্রহ করে আমার প্রচারের জন্য প্রার্থনা করুন!

আপনি জানেন যে, ইংরাজী ভাষাভাষীদের জগতে ১৮৫৯ সালের পর থেকে আর কোন বড় উদ্দীপনা হয় নি| সেটা ১৫০ বছরেরও বেশি সময়কাল| ১৮৫৯ সালের আগে, আমাদের মন্ডলীগুলি প্রায় প্রতি দশ বছর বা সেইরকম একটা সময় অন্তর ঈশ্বর-প্রেরিত উদ্দীপনার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে| কিন্তু ডঃ মার্টিন লয়েড-জোনস্ বলেন,

১৮৫৯ সাল হইতে সেখানে একটিই বড় উদ্দীপনা হইয়াছে| ওহো, আমরা একটি ব্যর্থ যুগের মধ্যে রহিয়াছি… মনুষ্যেরা জীবন্ত ঈশ্বরের উপর এবং তাঁর আত্মবলিদানের উপর এবং তাঁর মিলনসাধন ক্ষমতার উপর হইতে তাহাদের বিশ্বাস হারাইয়াছে এবং তাহারা প্রজ্ঞা, দর্শন এবং শিক্ষার প্রতি ফিরিয়াছে| মন্ডলীর ইতিহাসের একটি ব্যর্থ যুগের মধ্য দিয়া আমরা অতিবাহিত হইতেছি…আমরা এখনও প্রান্তরের মধ্যেই রহিয়াছি| যাহা কিছুই স্মরণ করায় যে আমরা ইহার বাহিরে আছি, তাহা বিশ্বাস করিবেন না আমরা ইহার বাহিরে নহি (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Revival, ibid., page 129)|

আর সেটাই হল কারন যে চীনের ক্ষমতাশালী উদ্দীপনার ঐ সমস্ত ভিডিওগুলি আমি আপনাদের দেখিয়েছিলাম, The Cross – Jesus in China (China Soul for Christ Foundation, click here to order it)| আমি চেয়েছিলাম যে আপনি দেখুন শুধুমাত্র এটাই নয় যে উদ্দীপনা আজকের দিনে সম্ভব – উদ্দীপনা এখনও এই মূহুর্তে ঘটে চলেছে পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে| কিন্তু যেহেতু পাশ্চাত্য জগতে আদর্শ অনুসারে কোন উদ্দীপনা হয় নি, তাই নিজের চোখে দেখার জন্য আমি আপনাকে কোন একটি ভিডিও পাঠাতে পারি না| আমি শুধু আপনাকে দেখাতে পারি এখান থেকে বহুদূর চীনদেশে তৈরী হওয়া, একটি ভিডিও| আমি আশা করেছিলাম যে চীনদেশ থেকে আসা এই সমস্ত উদ্দীপনার ভিডিওগুলি দেখলে আপনিও উদ্দীপনার জন্য আকাঙ্খিত হবেন| রাজা সলোমন বলেছেন,

“পিপাসার্ত প্রাণের পক্ষে যেমন শীতল জল, দূরদেশ হইতে প্রাপ্ত মঙ্গল সংবাদ তদ্রুপ” (হিতোপদেশ ২৫:২৫)|

আমি চেয়েছিলাম আপনি দেখুন যে উদ্দীপনায় ঈশ্বর আজও, এই মূহুর্তে, কি করতে পারেন| ব্রিয়ান এইচ. এডোয়ার্ডস্ বলেন,

ইহা এইরূপ নহে যে উদ্দীপনা একটি রোগের ন্যায় ধরিতে পারে, কিন্তু ইহার প্রভাব এক আকূল আকাঙ্খা ও তৃষ্ণা সৃষ্টি করে তাহাদের মধ্যে যাহাদেরকে ইহার বিষয়ে বলা হয় অথবা যাহারা ইহাকে দেখে| যাহাদের ঈশ্বর উদ্দীপনায় ব্যবহার করেন তাহাদের মধ্যে বেশিরভাগই ঈশ্বর অতীতে যাহা করিয়াছেন সেই বিষয়ে সতর্ক থাকেন…আমরা নির্বোধ যে আমরা এই সমস্ত বিষয় শিক্ষার সুযোগ লই নাই যাহা বিগত উদ্দীপনাগুলির বিষয়ে আমরা পারিতাম আর যাহাতে আমরা আমাদিগের জন্য ঈশ্বরের সম্ভাব্য বিষয়ের প্রতি প্রতিবেদনশীল হইতাম| আমাদিগের প্রয়োজন ঈশ্বর কি করিতে পারেন সেই বিষয়ের প্রতি আমাদিগের দৃষ্টিকে স্থির রাখিবার, আমাদিগের মন সম্প্রসারিত হইয়াছে এবং আমাদিগের দৃষ্টি স্থির হইয়াছে ঈশ্বরের পরাক্রমশীল কর্মের উপর| ঈশ্বর সম্ভবত অতীতে তিনি কি করিয়াছেন সেই বিষয়ে আমাদিগকে প্রতিবেদনশীল হইবার জন্য অপেক্ষা করিতেছেন (Brian H. Edwards, Revival! – A People Saturated with God, Evangelical Press, 1991 edition, pp. 91, 92)|

গত উদ্দীপনাগুলির এবং বর্তমানে বিভিন্ন জায়্গায় যে উদ্দীপনাগুলি হচ্ছে, সেগুলির বিষয়ে গল্প শোনা, আমাদেরকে অবশ্যই সাহায্য করবে বিশ্বাস করতে যে, আমাদের মন্ডলীতেও ঈশ্বর এই বিষয়গুলি করতে পারেন| আমাদের মধ্যে উদ্দীপনার সবচেয়ে বড় বাধা হল অবিশ্বাস|

যীশু তাঁর নিজের শহর নাসারথে ফিরে এসেছিলেন| যখন লোকেরা শুনেছিল যে তিনি তাদের সমাজগৃহে প্রচার করছেন তারা “বিস্ময়াপন্ন” হয়েছিল| কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছিলেন যে তিনি শুধুমাত্র একজন সূত্রধরের ছেলে| তারা তাঁর দ্বারা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন| তখন বাইবেল বলে, “আর তাহাদের অবিশ্বাস প্রযুক্ত তিনি সেখানে বিস্তর পরাক্রম কার্য্য করিলেন না” (মথি ১৩:৫৮)| ডঃ জন গিল বলেছেন, “ক্ষমতার অভাবের (অনটন) জন্য নহে, অথবা যেন তাহাদের অবিশ্বাস তাঁহার উপর বিজয়্লাভের জন্য প্রবল হইয়াছিল; কিন্তু তিনি তাহা নন কারন তিনি তাহাদের অযোগ্যতার বিচার করিয়াছিলেন” (John Gill, D.D., An Exposition of the New Testament, volume I, The Baptist Standard Bearer, 1989 reprint, p. 159; note on Matthew 13:58)|

আমি একজন লোককে জানি যিনি প্রকৃতপক্ষে এক মহাউদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু বলেছিলেন যে তিনি এটা লক্ষ্যও করেন নি কারন তিনি সদ্য বিবাহিত ছিলেন! আমি অন্য আর একটি লোকের বিষয়ে জানি যিনি ভার্জিনিয়াতে প্রকৃত আশ্চর্যজনক এক উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু তিনি বলেছিলেন যে এটা শুধুমাত্র এক “দীর্ঘ আমন্ত্রণ|” আমার কাছে এটা মনে হয় যে যেসব লোকেরা অতি জাগতিক ছিল তারা উদ্দীপনাকে প্রশংসনীয় বলে উপলব্ধি করত যখন এটা এসেছিল! আর তারা নিশ্চিতভাবে উদ্দীপনার জন্য প্রার্থনার প্রতি অতিমাত্রায় অবিশ্বস্ত ছিল! ঈশ্বর আমাদের সাহায্য করুন তাঁর শক্তির প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করতে!

প্রেরিত পৌল বলেন, “আত্মাকে নির্ব্বান করিও না” (১ম থিষলনীকিয় ৫:১৯)| অবিশ্বাস এবং জাগতিকতা আত্মাকে নির্ব্বান করে! ডঃ লয়েড-জোনস্ নির্দ্দিষ্ট কয়েকজন ঈশ্বরতত্ত্ববিদের “আত্মার নির্ব্বান” এবং উদ্দীপনায় আগ্রহ হারানোর বিষয়ে বলেছেন (The Puritans, Banner of Truth, 1996 edition, p. 9)|

শিষ্যেরা তাদের অল্প বিশ্বাসের কারনে এক শক্তিশালী দিয়াবলকে বার করে দিতে পারেনি (মথি ১৭:২০))| যিহুদীরা “অবিশ্বাসের কারনে” প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করতে পারেনি (ইব্রীয় ৩:১৯)| আমার মনে কোন সন্দেহ নেই যে অবিশ্বাসরূপ পাপের জন্য উদ্দীপনার “নির্ব্বান” হয়ে যেতে পারে|

বাইবেল এর পাতায় পাতায় দেখান হয়েছে, ঈশ্বরের পরাক্রমশালী কাজের বিষয়্গুলিকে, যেন তাঁর উপরে আমাদের বিশ্বাস আরও বেশি করে বৃদ্ধি পায়| ইব্রীয় একাদশ অধ্যায়ের সম্পূর্ণটাই হচ্ছে ঈশ্বরকে বিশ্বাস করার মাধ্যমে বিষয়গুলি সম্পূর্ণ করার বিষয়ে| আমি মনে করি যে আমাদের উদ্দীপনা না থাকার একটা প্রধান কারন হল এই বিষয়ে অবিশ্বাস যে, ঈশ্বর আমাদের সময়ে এখনই উদ্দীপনা পাঠাতে পারেন| সেই কারনেই আমাদের অতীতের উদ্দীপনাগুলির, এবং আজকের দিনে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ঘটছে এমন উদ্দীপনাগুলির বিবরণ শোনা উচিৎ| তাহলে আমরা দিয়াবলবিষ্ট বালকের পিতার সঙ্গে একসাথে বলতে পারব, “প্রভু, বিশ্বাস করিতেছি; আমার অবিশ্বাসের প্রতিকার করুন” (মার্ক ৯:২৪)| ঈশ্বর যখন উদ্দীপনা পাঠানোর জন্য প্রায় প্রস্তুত হবেন, তিনি আপনার বিশ্বাস বৃদ্ধি করবেন, যখন আপনি পবিত্র আত্মা উপচিয়ে পরার জন্য প্রার্থনা করবেন| যখন আপনি উদ্দীপনার বিষয়ে শুনবেন, তখন গভীরভাবে মনোযোগ দিন| এরপর প্রার্থনা করুন ঈশ্বর যেন আমাদের মন্ডলীতে একটি উদ্দীপনা পাঠান| আর আমি মনে করি এটাই আপনার জন্য যথাযথ প্রার্থনা, “প্রভু, বিশ্বাস করিতেছি; আমার অবিশ্বাসের প্রতিকার করুন|”

অন্য একটি সত্যি ঘটনার বিষয় আপনার জানা প্রয়োজন যে বেশিরভাগ উদ্দীপনা ঘটে, আমাদের মতন স্থানীয় মন্ডলীতে, অথবা অন্য ছোট ছোট সভাগুলিতে| উদ্দীপনা বিষয়ক বেশিরভাগ বইতে বড় বড় সুবিন্যস্ত ঘটনাগুলির উপর আলোকপাত করা হয়ে থাকে, যেমন – সমস্ত জেলাগুলি ঈশ্বরের জন্য বহ্নিমান, উদ্দীপনা ইতিহাসের ঘটনাকালের পরিবর্তন করেছে, ইত্যাদি| আমি মনে করি এই সমস্ত বইয়ের লেখকদের সদ্ অভিপ্রায় ছিল, কিন্তু আমি মনে করি না যে কিভাবে এই সমস্ত উদ্দীপনাগুলি শুরু হয়েছিল সেই বিষয়ে বিশদভাবে আমাদের কাছে কোন তথ্য বইতে উপস্থাপিত না করলে যে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে সেইটি ঐ লেখকেরা উপলব্ধি করেছেন| এই সমস্ত সুবিন্যস্ত ঘটনাগুলি পড়ার মাধ্যমে, আপনি হয়তো অবিশ্বাসের মধ্যে পড়ে যাবেন| সেটা হয়তো শয়্তানকে সুযোগ দেবে বলতে, “কিছুমাত্র যাহা বৃহৎ তাহা কখনই এইস্থানে ঘটিবে না!” সেই কারনে আমি আশা করি ঐ সমস্ত লেখকদের মধ্যে কয়েকজন অধিক পরিমানে মনসংযোগ করেছিলেন স্থানীয় মন্ডলীতে কি ঘটছে যখন মন্ডলীতে পবিত্র আত্মা প্রবাহিত হওয়ার অভিজ্ঞতা শুরু হয় সেই বিষয়ে| ডঃ লয়েড-জোনস্ তখন এটা লক্ষ্য করেছিলেন যখন তিনি বলেন,

আমরা আর পূর্বের ন্যায় রবিবারে মন্ডলীতে সমাবেশের প্রস্তুতি গ্রহণ করিব না…যেহেতু চিন্তার প্রবণতার পরিভাষা অনুসারে বড় সভাগুলি এবং আন্দোলনগুলি, ইহার অপেক্ষায় বরং স্থানীয় মন্ডলীগুলি পরিভাষা অনুসারে বৃদ্ধি পেয়েছিল, সুতরাং উদ্দীপনাগুলির বারংবার আগমন হ্রাস পেয়েছে ( Revival, ibid., p. 61 ) |

আমি বিস্ময়াপন্ন হই যদি এইরকম না ঘটে থাকে যখন আমি চীনের উদ্দীপনার উপরে ঐ সমস্ত ভিডিওগুলি আপনাকে দেখিয়েছিলাম| তারা দেখিয়েছিল যে সেখানে উদ্দীপনা ছিল বিশাল – বাস্তবিকপক্ষে দেশব্যাপী| আমি বিস্ময়াপন্ন হই যদি শয়্তান আপনাকে বলে, “যাহা কিছু বড় তাহা কখনই এইস্থানে ঘটিবে না|” সত্যি সত্যিই, এটাই সম্ভবত ঠিক! সম্ভবত আমাদের সময়ে আমেরিকায় কখনই জাতীয় উদ্দীপনা হয় নি| আমি বলছি না যে জাতীয় উদ্দীপনার জন্য আপনি কখনই প্রার্থনা করবেন না, কিন্তু অনুগ্রহ করে স্থানীয় মন্ডলীর উপর নজর করুন! ভাববাদী সখরিয় বলেছেন, “ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ের দিনকে কে তুচ্ছ জ্ঞান করিয়াছে?” (সখরিয় ৪:১০)| ডঃ ম্যাকজি বলেছেন, “আমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ের দিনকে তুচ্ছ করি| আমরা আমেরিকাবাসীরা বড় এবং চক্চকে বিষয়ে প্রভাবিত হই…আমরা দালানের আয়্তন এবং জনসমাগমের উপর সাফল্যকে পরিমাপ করি” (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, volume III, Thomas Nelson Publishers, 1983, p. 924; note on Zechariah 4:10)|

কবে আমরা শিখব যে ঈশ্বর সাধারনত এইভাবে কাজ করেন না? তিনি নোহের সময়ে মাত্র ৮ জন লোকের মাধ্যমে সমস্ত মানব জাতিকে রক্ষা করেছিলেন| সেখানে কোন “বড়” সভা হয় না – শুধুমাত্র ব্যক্তিগত – ইব্রীয় একাদশ অধ্যায়ের মধ্যে লেখা আছে| ঈশ্বর গিদিয়োনকে বলেছিলেন যে এই জনসমাগমকে বাড়ী পাঠাইয়া দাও কারন মিদিয়নীয়দের উপর বিজয় লাভের জন্য আমার মাত্র ৩০০ লোকের প্রয়োজন| ইতিহাসের সেই প্রধান উদ্দীপনার শুরু হয়েছিল হাতেগোনা কয়েক জন লোকের মাধ্যমে|

অন্য দিকে, আমাদের সময়ে বড় “উদ্দীপনা” সভাগুলি প্রকৃত উদ্দীপনা উৎপন্ন করতে পারে নি| আমি সেটা পড়েছি যেখানে বিলি গ্রাহাম স্বীকার করেছিলেন যে উদ্দীপনা তার সুসমাচার প্রচারমূলক ধর্ম্মসভাগুলির মাধ্যমে আসে নি| এক্সপ্লো ’৭২ এর দিকে দেখুন – বিলি গ্রাহামের ছয় রাত্রিব্যাপী সুসমাচার প্রচার শোনার জন্য ক্যাম্পাস ক্রুসেড ফর ক্রায়িষ্ট টেক্সাসের, ডালাসে ২০০,০০০ যুবক ব্যক্তির সমাগম করিয়েছিল| এর থেকে কী বোঝা যাচ্ছে? খুব বেশি কিছু না| এক বছর পরে, ১৯৭৩ সালের, জুন মাসে মিস্টার গ্রাহাম কোরিয়ার, সিওলে এক মিলিয়নেরও বেশি লোকের সামনে প্রচার করেছিলেন| ওটা ছিল সেই সময় পর্য্যন্ত পৃথিবীর ইতিহাসে কোন একজন লোকের প্রচার শোনার জন্য সবচেয়ে বড় জনসমাবেশ| এর থেকে কী বোঝা গেছিল? বেশি কিছুই নয়| আমি নিশ্চিত যে ডালাসে এবং সিওলে কিছু লোক পরিত্রাণ পেয়েছিলেন – কিন্তু ঐসব প্রকান্ড সভাগুলিতে কোন উদ্দীপনা আসেনি|

তবে প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ উদ্দীপনা অল্প কয়েকটি লোকের মধ্যেই শুরু হয়েছে| ম্যাসাচুসেটসের, নরদাম্পটনে, যোনাথান এডওয়ার্ডস’র মন্ডলীতে যখন প্রথম মহা জাগরণ শুরূ হয়েছিল, তখন সেখানে মাত্র কয়েকশ লোক উপস্থিত ছিলেন, যেটা কি না সমস্ত ইংরাজী ভাষাভাষী জগতকে পরিবর্তিত করেছিল| ১৭৩৮ সালের নতুন বছরের শুরুতে অক্সফোর্ডের সাতজন স্নাতক এবং অন্যান্য প্রায় ষাটজন লোক লন্ডনের একটি ঘরে প্রার্থনা করার জন্য সমবেত হয়েছিলেন| পৃথিবীব্যাপী মহা জাগরণের বিস্তার এই সভা থেকেই এসেছিল| ১৮০৬ সালে পাঁচজন কলেজ ছাত্র একটি খড়ের গাদার নীচে প্রার্থনা করেছিলেন, এবং আমেরিকা থেকে সারা পৃথিবীব্যাপী মিশনারী আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যেটা ছিল সমস্ত কালের মধ্যে এক বৃহত্তম উদ্দীপনা| ১৭২৭ সালে প্রায় ৪০০ জন লোক কাউন্ট নিকোলাস ভন্ জিন্জেন্ডরফের জমিদারীতে প্রার্থনা করার জন্য মিলিত হয়েছিল যার বর্তমান নাম চেক প্রজাতন্ত্র| এক উদ্দীপনা শুরু হয়েছিল যেটা পৃথিবীর শেষপ্রান্ত অবধি এক হাজারেরও বেশি মিশনারীদের পাঠিয়েছিল| অধিকন্তু, এই মোরেভিয়ান প্রার্থনা সভা থেকেই, জন এবং চার্লস্ ওয়েসলী পরিত্রাণ পেয়েছিলেন| সেহেতু এই ধরনের বিশাল মেথডিষ্ট উদ্দীপনার, ও সেইসঙ্গে স্যালভেশান আর্মির, সূত্রপাত হয়েছিল চেকোশ্লোভাকিয়াতে মাত্র ৪০০ জন লোকের প্রার্থনা সভায়! ১৮৫৭ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর, নিউ ইয়র্ক শহরের, ফুলটন স্ট্রীটের নর্থ ডাচ্ মন্ডলীতে ছয়্জন লোক একঘন্টা ধরে সমবেতভাবে প্রার্থনা করেছিলেন| তারা সহমত হয়েছিলেন যে প্রত্যেক বুধবার একঘন্টা ধরে সমবেতভাবে তারা প্রার্থনা করবেন| সেই তৃতীয় মহা জাগরণ শুরু হয়েছিল, এবং পৃথিবীব্যাপী শত হাজার লোক মন পরিবর্তন করেছিলেন| নিউ ইয়র্ক শহরের ফুলটন স্ট্রীটের উদ্দীপনা তিন হাজার মাইল দূরে অবস্থিত ইংল্যান্ডের, লন্ডন শহরে, সি. এইচ. সুপারজিয়নের সেবাকাজের প্রেরনা যোগাতেও সাহায্য করেছিল!

আমি অনেক বছর ধরে উদ্দীপনার বিষয়ে পড়ে আসছি| আমি মনে করতে পারি না যে প্রথম মহা জাগরণের পর আর একটিও উদ্দীপনা কোন বড় সুসমাচার প্রচারমূলক সভা থেকে শুরু হয়েছিল| একটিও নয়! এটা স্মরণ করুন যে পঞ্চসপ্তমীর দিনে যখন ঈশ্বরের আত্মা বর্ষিত হয়েছিল তখন সেখানে মাত্র ১২০ জন লোক ছিল যারা উপরের ছোট এক ঘরে প্রার্থনা করছিল! খ্রীষ্টধর্ম্ম সেই ছোট্ট সভা থেকে পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত বিস্তার লাভ করেছে!

এখানে আমরা প্রত্যেক রবিবার সুসমাচার প্রচার করি| আমরা হারানো লোকেদের বলি যে যীশু তাদের পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশের উপর মৃত্যুবরণ করেছেন| আমরা তাদের বলি যে তাদের অনন্ত জীবন দেওয়ার জন্য যীশু মৃত্যু থেকে পুনরুত্থিত হয়েছেন| কিন্তু সেই সমস্ত প্রকৃত ঘটনা পবিত্র আত্মা তাদের কাছে সত্যে পরিনত করবে| তিনি অবশ্যই তাদের পাপের চেতনা দেবেন| তিনি অবশ্যই তাদের খ্রীষ্টে আকর্ষণ করবেন যেন তাদের পাপ তাঁর রক্তের দ্বারা ধৌত হতে পারে| আমি আশা করি আপনি প্রার্থনা করবেন যে ঈশ্বর যেন প্রকৃত উদ্দীপনায় আমাদের মন্ডলীতে তাঁর আত্মা বর্ষণ করেন! আমি আশা করি যেন আপনি যখনই প্রার্থনা করবেন প্রত্যেকবারই যেন আপনি উদ্দীপনার জন্য প্রার্থনা করেন| প্রার্থনা করুন যেন পাপীর হৃদয়ে এই কাজ করার জন্য পবিত্র আত্মা বর্ষণ করেন| হে ঈশ্বর, আমরা প্রার্থনা করি তোমার পবিত্র আত্মার বর্ষণের জন্য হারানো লোকেরা যেন পাপের চেতনা পান, এবং তোমার পুত্রের প্রতি তাদের আকর্ষণ করান| আমরা এর জন্যই প্রার্থনা করি তাঁর নামে| আমেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Breathe on Me” (by Edwin Hatch, 1835-1889;
altered by B. B. McKinney, 1886-1952).