Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




ডঃ কেগান এর শাস্ত্রাংশ

DR. CAGAN’S VERSE
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর।
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ২৯শে জুন, সকালবেলা সদাপ্রভুর দিনে লস এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকলে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, June 29, 2014

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৭)|


এই পদটির মাধ্যমে ঈশ্বর এক ব্যক্তিকে আমাদের মন্ডলীতে যীশুর প্রতি পরিচালনা করেন| তিনি কুড়ি বছর বয়সের, একজন যুবক ছিলেন| UCLA ক্যামপাসে তিনি স্নাতক উপাধি অর্জনের জন্য পড়াশোনা করছিলেন| তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন তার বয়স ত্রিশ বছরে পদার্পনের আগেই লক্ষাধিক ডলার রোজগার করবেন| তিনি তিনটি জায়্গায় কাজ করতেন এবং রাত্রে অধ্যয়ন করতেন| না, তিনি খ্রীষ্ট বিশ্বাসী ছিলেন না| তার চিন্তা ছিল যে খ্রীষ্টধর্ম শুধুমাত্র দূর্বল-মনস্ক ব্যক্তিদের জন্য, তার নিজের জন্য নয়! তার ধনী ও বিখ্যাত লোক হওয়ার ইচ্ছা হয়েছিল| তখন একরাত্রে তিনি ভাবলেন যে, “আমি পাশ্চাত্য জগতের শ্রেষ্ঠ লেখকদের সব বই পড়েছি, কিন্তু আমি কখনও বাইবেল পড়িনি|” তিনি বসে বাইবেল পড়া শুরু করলেন| তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই তা সহজভাবে পড়ে ফেললেন| শাস্ত্রে উল্লেখিত পৃষ্ঠার এই পদটি মনে হয় তার থেকে এড়িয়ে গিয়েছিল| তিনি তার মনের চিন্তা থেকে এটা দূর করে দিতে পারছিলেন না| এই শব্দগুলো ক্রমাগতভাবে তার মস্তিষ্কে আঘাত করছিল, “আর জগৎ, ও তার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী|” দুটি বছর ধরে, এই পদটি তার মস্তিষ্কে, প্রেতাত্মার মত আঘাত করছিল – যতক্ষন না একরাত্রে তিনি যীশুর কাছে আসলেন| তিনি বলেন, “কয়েক মূহুর্তের মধ্যে, আমি যীশুর কাছে এলাম| আমি তাঁকে বিশ্বাস করলাম| এটা খুবই সহজ ছিল|” আপনি এই লোকটিকে চেনেন| তার নাম ডঃ কেগান – আর তিনি এই মন্ডলীর সহপালক! আমি প্রচার করতে আসার আগে তার পুত্র জন সামুয়েলের গান আপনি শুনেছেন| আর এই হল সেই পদ যা কিনা ডঃ কেগানকে একজন খ্রীষ্ট বিশ্বাসীতে পরিনত করেছিল,

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৭)|

আজ সকালে উপস্থিত প্রত্যেক যুবকের জন্য এই পদটি এক গুরুত্বপূর্ণ সত্য বহন করছে| বেশির ভাগ লোকেরাই এই বিষয়ে চিন্তা করে না, কিন্তু “জগৎ বহিয়া যাইতেছে|” ডঃ এ. টি. রবার্টসন দেখিয়েছেন যে গ্রীক শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো “বহিয়া যাইতেছে” (Word Pictures in the New Testament, Broadman, 1933, পৃষ্ঠা. ২১৪)| জগৎ “বহিয়া যাইতেছে|” এই “জগৎ” শব্দটি এসেছে গ্রীক শব্দ “কস্মস্” থেকে| এটি জগতের প্রণালীকে বোঝায় যা শয়্তানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, বস্তুগত জগৎ এবং তার চিন্তাও অনুরূপ| এই সমস্তই বহিয়া যাইতেছে! একমাত্র তারাই যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে তারা অনন্তকালের জন্য বেঁচে থাকবে!

পাঠ্যাংশটি সাধারনত দুটি ধাপে পড়ে| আর আমি চাই যে আজ সকালে উপস্থিত সকল যুবকেরা এই বিষয়গুলি সম্বন্ধে চিন্তা করুক| আমাদের সহপালক, ডঃ কেগান যখন নাস্তিক ছিলেন, তখন এই পদটি তার উপরে গভীরভাবে প্রভাব ফেলেছিল| বর্তমানে এটাই তার জীবনের পথ| আমি প্রার্থনা করি যেন একইভাবে এই পদটি আপনার জীবনেও গভীর প্রভাব ফেলুক|

১. প্রথম, জগৎ বহিয়া যাইতেছে |

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে” (১ম যোহন ২:১৭ক)|

ডঃ রেইনিকার বলেন, “বহিয়া যাওয়া ইহা একটি প্রণালী” (গ্রীক নতুন নিয়মের ভাষাবিদ্যার প্রধান নীতি, Zondervan, ১৯৮০, পৃষ্ঠা. ৭৮৮)|

আপনাদের মধ্যে হয়তো কেউ কেউ ইতিমধ্যেই এটা দেখেছেন| উচ্চ বিদ্যালয়ের বন্ধুরা স্নাতক হয়েছেন| আপনি বলবেন আমরা আবার একত্রিত হব, কিন্তু কোনভাবে আপনি একত্রিত হননি| যে বন্ধুদের আপনি গণনা করেছিলেন তারা চলে গেছে| এটা আবার ঘটবে যখন আপনি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হবেন| যখন আপনি বিদ্যালয়ে আছেন তখনও এইরকম ঘটতে পারে| এমন কিছু একটা ঘটতে পারে যখন আপনার বন্ধু আপনার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে| একজন যুবক বলেন, “বর্তমানে যা আমার সঙ্গে হয়েছে তা অন্য সকলের সঙ্গেও হতে পারে|” সে কখনো চিন্তা করেনি যে এটা তার সঙ্গে হবে, কিন্তু কোনভাবে তার প্রতি সেটা হয়েছিল| আমি তার বিদ্যালয়ের বিষয়ে কথা বলছিলাম, সে বললো, “আমি আনন্দিত হব যদি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারি|”

এমনকী স্নাতক হওয়ার আগেই অনেক যুবক তাদের বন্ধুদের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদের কথা ভাবে| আর স্নাতক হওয়ার পর এটা আরও খারাপ হয়| আপনি বলবেন “আপনি সম্পর্ক রাখবেন,” কিন্তু সেটা সম্ভব হবে না| আপনি জানেন, সেটা কখনোই সম্ভব হবে না|

জোস ম্যাকডোয়েল দেখিয়েছেন যে “প্রত্যেক ছাত্রই সম্পর্ক হারানোর বা সম্পর্ক বিচ্ছেদের সম্মুখীন হয়ে থাকে যা তাদের অন্তরে বেদনা বয়ে নিয়ে আসে” (সংযোগহীন বংশধর, শব্দ, ২০০০, পৃষ্ঠা. ১৫৪)| তিনি দেখিয়েছেন যে পাঁচটি কারনে এইরকম হয়ে থাকে:

১|   যখন তারা চলে যায় অথবা তাদের বন্ধুরা চলে যায়|
২|   যখন তার বন্ধুরা তাকে অস্বীকার করে|
৩|   যখন তাদের পরিবার বিভক্ত হয়ে যায়|
৪|   যখন প্রেমের সমাপ্তি ঘটে|
৫|   যখন বন্ধু অথবা পরিবারের সদস্যের মৃত্যু হয় (ibid., পৃষ্ঠা. 155-160)|

তিনি সম্ভবত যুবকদের সম্পর্কচ্যুতির ষষ্ঠ ধাপটি দিতে পারতেন|

৬|   যখন আপনি স্নাতক হন|

হ্যাঁ, তিনি সঠিক যখন তিনি বলেন, “প্রত্যেক ছাত্রই সম্পর্ক হারানোর বা সম্পর্ক বিচ্ছেদের সম্মুখীন হয়ে থাকে যা তাদের অন্তরে বেদনা বয়ে নিয়ে আসে|” এটা আপনার জীবনেও হতে চলেছে – যে কোনভাবেই হোক না কেন| কেন? কারন জগৎ ইতিমধ্যেই “বহিয়া যাওয়ার প্রণালীর মধ্যে রহিয়াছে” (Rienecker, op. cit.)|

কয়েকবছর আগে আমি ও আমার স্ত্রী এলিনা মিশরে ছিলাম| আমরা বড় পিরামিডটার একেবারে শীর্ষচূড়ায় উঠেছিলাম এর ভিতরে একটা রাস্তা দিয়ে যা সরাসরি নীচে থেকে সোজা উপরে ফৌরানের কবরস্থানে গিয়েছে| আমাকে বলা হয়েছিল যে আপনি এটা আর করতে পারবেন না, কিন্তু ফিরে এসে তা করেছিলাম| ঐ পিরামিড থেকে আপনি বাইরে দৃষ্টিগোচর করতে পারেন| এটা এখনও চমৎকার, যদিও বারে বারে এটা বিধ্বস্ত হয়েছিল| ফৌরানের সভাপতিত্বে যে মহান সভ্যতা গড়ে উঠেছিল তাও শেষ| বর্তমানে সেখানকার লোকেরা খুবই গরীব ও অনগ্রসর| কোন একসময় মিশর ছিল পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ শহর| তার সমস্ত ঐতিহ্য বর্তমানে হারিয়ে গেছে| কিছুই অবশিষ্ট নেই কেবল সেই চূর্ণ বিচূর্ণ পিরামিড ছাড়া| এমনকী কবরের স্থানও শূন্য| ভ্যান্ডালস্রা অনেক আগেই ফৌরানের মমি ধ্বংস করেছে এবং তার কবরের মধ্যে গচ্ছিত ধন সম্পত্তি চুরি করেছে| যখন আমি সেই অর্ধ-ধ্বংসপ্রাপ্ত পিরামিডের দিকে দেখি, আমি ভাবি,

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে” (১ যোহন ২:১৭)।

যখন আমি ও এলিনা ছেলেদের নিয়ে ইংল্যান্ডে ছিলাম তখন আমরা ওয়েষ্ট মিনিষ্টার মঠে গিয়েছিলাম| ইংরেজদের অনেক মহান পুরুষ, মহান কবি ও বিবৃতিকার এবং সৈনিকদের সেখানে কবর দেওয়া হয়| তারা বিখ্যাত যুদ্ধে লড়াই করেছেন, বিখ্যাত বই লিখেছেন, এবং পৃথিবী-খ্যাত কবিতা লিখেছেন| এখন তাদের হাড়গুলো মহান অট্টালিকার তলদেশে, মেঝের নীচে, এবং দেওয়ালের ভিতরে, শোয়ানো আছে| সেই বিকালে যখন ওয়েষ্টমিনিষ্টার মঠের মধ্যে দিয়ে হাঁটছিলাম তখন ক্ষীন আলো ও গভীর নিস্তব্ধতা অনুভব করছিলাম| এই পাঠ্যাংশটি আমার মনের মধ্যে আলোড়ন তুলেছিল,

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে” (১ যোহন ২:১৭)।

ডঃ জে. ভার্ণন ম্যাকগী বলেন,

সেখানের সমস্ত মহিমা তাহার সহিত জড়াইয়া আছে, কিন্তু ইহা ইতিমধ্যে বহিয়া গিয়াছে| বর্তমানে ইংল্যান্ড শুধুমাত্র পৃথিবীর এক তৃতীয় শক্তিধর দেশ…তাহার সমস্তই বহিয়া গিয়াছে এবং ইহার কামলালসা| আজ কোথায় [রাজা] অষ্টম হেনরীর কামলালসা? সেখানে ঐ কবরগুলির মধ্যে এটাও একটি| শুধুমাত্র চিন্তা করুন ঐ সমস্ত গৌরবের বিষয় যাহা ওয়েষ্টমিনিষ্টারে [মঠ] কবরপ্রাপ্ত – সমস্ত কিছুই বহিয়া গিয়াছে (Dr. J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson, 1983, volume V, p. 776)|

চার্চিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে বাঁচাতে চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সাম্রাজ্য বাঁচানোর সতর্কবার্তা শুনতে ইতিমধ্যেই অনেক দেরী হয়ে গিয়েছিল| শুধুমাত্র কঠিন প্রতিদ্বন্দীতার মাধ্যমে ইংল্যান্ড সক্ষম হয়েছিল হিটলার এবং নাৎসি বাহিনীর থেকে নিজেকে বাঁচাতে|

আর আমেরিকার ক্ষেত্রেও ঠিক এমনই হবে| আমাদের সময় চলে যাবে| আমাদের সত্যতা শেষ হয়ে যাবে| অনেক পন্ডিত ব্যক্তি বলছেন যে আমেরিকার শেষ পরিনতির সাক্ষী আমরাই|

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে” (১ যোহন ২:১৭)।

উচ্চবিদ্যালয় শেষ হবে| আপনি ঐ সব বন্ধুদের আর দেখতে পাবেন না| বিশ্ববিদ্যালয় শেষ হবে| সেই বন্ধুরাও চলে যাবে| আপনার পরিবারের সব একে একে মারা যাবেন - আপনার মা, আপনার বাবা, অন্য আত্মীয়স্বজন| সকলেই চলে যাবে| শেষ পর্যন্ত, আপনিও চলে যাবেন|

এটা আমার প্রতিও ঘটেছিল| আমার উচ্চ বিদ্যালয়ের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বন্ধু চলে গেছে| এক এক করে আমার পরিবার - আমার বাবা, আমার মা, আমার আত্মীয়স্বজন মারা গেছেন| শেষ পর্যন্ত, আমিও চলে যাব|

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে” (১ যোহন ২:১৭)।

অতএব কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকবেন সেটা কোন ব্যাপার নয়| কত টাকা উপার্জন করবেন সেটাও কোন ব্যাপার নয়| কোন ব্যাপার নয় যে কতটা সাফল্য আপনি অর্জন করেছেন| সমস্তই চলে যাবে| এগুলির কোনটাই কোন বস্তু নয়, “যেহেতু এই সংসারের অভিনয় অতীত হইতেছে” (১ম করিন্থীয় ৭:৩১)|

“তোমাদের জীবন কি প্রকার? তোমরা তো বাস্পস্বরূপ, যাহা ক্ষণেক দৃশ্য থাকে, পরে অন্তর্হিত হয়” (যাকোব ৪:১৪)।

আমি এবং অন্য একজন পালক দূরদর্শনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চলচ্চিত্রের ফুটেজ দেখেছিলাম| ১৯৪০ এর সুপরিচিত সাংবাদিক মার্থা গেলহর্ণ, কিছু পুরানো যুদ্ধের ছায়াছবি বর্ণনামূলকভাবে প্রস্তুত করেন| “আপনি কি জানেন তিনি কে?” আমি পালককে জিজ্ঞাসা করলাম| “না,” তিনি বললেন, “তিনি কে ছিলেন?” “তিনি আর্নেস্ট হেমিংওয়ের তৃতীয় স্ত্রী|” আর্নেস্ট হেমিংওয়ে ছিলেন পৃথিবীখ্যাত উপন্যাস রচয়িতা| তার অনেক উপন্যাস অবলম্বনে বড় চলচ্চিত্র তৈরী হয়েছে| রাষ্ট্রপতি কেনেডি তার উদ্বোধনী সভায় তাকে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য বলেন| কিন্তু তিনি বক্তৃতা দিতে অসমর্থ ছিলেন| তার স্ত্রী মার্থা গেলহর্ণ ছিলেন বিখ্যাত সাংবাদিক| বর্তমানে কেউই জানেনা তিনি কে ছিলেন! আর খুব কম লোকেই এখন তাকে স্মরণ করে, নতুবা|

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে” (১ম যোহন ২:১৭)।

হেমিংওয়ের মতো, আপনিও সাহিত্যের পুলিৎজার আর্থিক পুরস্কার জয় করতে পারেন| কি পার্থক্য এতে তৈরী হবে? মার্থা গেলহর্ণের মতো, আপনিও টাইম পত্রিকার জন্য লিখতে পারেন| কিন্তু সেটা কে মনে করে রাখবে? ডোনাল্ড স্টারলিং এর মতো, আপনি ক্লিপার্স জয় করতে পারেন| এখন থেকে কয়েক বছর পরে কে সেটা জানবে? কে সেটা স্মরণ করবে? আপনি বেয়নস্ অথবা মিলে সাইরাসের মতো বিখ্যাত গায়ক হতে পারেন| এখন থেকে কয়েক বছর পরে কে আপনাকে চিনবে? কে আপনাকে গণ্য করবে? এর বিষয় কি হবে?

চরম দূর্দশায় আপনি চোখ তুলে বলতেন, “ইহা ছিল সত্য! আমি কত বোকা ছিলাম তাই ইহা শুনি নাই!”

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে” (১ম যোহন ২:১৭ক)।

২. কিন্তু, দ্বিতীয়ত, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী |

পাঠ্যাংশ বলে,

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৭)।

এই পদের দ্বিতীয় অংশ আমাদের বলছে ঈশ্বর যা চাইছেন, যে ব্যক্তি তাই করে বা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে, সে “অনন্তকাল স্থায়ী|” গ্রীক শব্দ “Abideth” (স্থায়ী) এর অনুবাদের অর্থ হল “সঙ্গে থাকা, একই অবস্থায় থাকা, বাস করা” (শক্তিশালীর)| আমরা এইভাবেও অনুবাদ করতে পারি, “যে ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল বাস করবে|”

শেষ পর্যন্ত আমাদের জাগতিক বিচার বুদ্ধিতে আমরা জানি যে এই জগৎ চলে যাবে| সমস্ত কিছুই চলে যাবে| কিন্তু ঈশ্বর যা চাইছেন কোন ব্যক্তি তা পালন করলে সে অনন্তকাল বাস করবে| আমাদের জন্য ঈশ্বরের বাক্যে কি চমৎকার প্রতিজ্ঞা!

“যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী [বাস করিবে]” (১ম যোহন ২:১৭খ)।

যে চমৎকার পুরানো সুসমাচারের গানটি আমরা এই সভা শুরুর আগে গেয়েছিলাম তা অবশ্যই সত্য! এটা আমাদের স্বর্গের বিষয়ে বলে!

প্রিয়বর্গ সেখানে হইতে পারে আমি অনেক পূর্বেই প্রেম করিয়াছি, আনন্দ নদী আমার চারিদিকে প্রবাহিত;
আমি জানি, তবুও আমার ত্রাতার হাসি, আমার জন্য যুগবধি গৌরব বিরাজমান|
ঐ দেখ আমার জন্য গৌরব বিরাজমান, আমার গৌরব, আমার গৌরব|
তাঁর অনুগ্রহে যখন তাঁর শ্রীমুখ দেখব, তখনই হবে গৌরব, আমার জন্য গৌরব|
   (“O That Will Be Glory” by Charles H. Gabriel, 1856-1932)|

কিন্তু এই গানের মধ্যে ঈশ্বরের মহান প্রতিজ্ঞা শুধুমাত্র তাদের জন্য যারা ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে|

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৭)|

সেটাই কি “ঈশ্বরের ইচ্ছা” যা আপনি অবশ্যই পালন করেন যেন অনন্ত জীবনের অধিকারী হতে পারেন? যীশু বলেন,

“কারন আমার পিতার ইচ্ছা এই, যে কেহ পুত্রকে দর্শন করে, ও তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে যেন অনন্ত জীবন পায়: আর আমিই তাহাকে শেষদিনে উঠাইব|” (যোহন ৬:৪০)।

“যিনি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করিবেন তিনি অনন্তকাল স্থায়ী [বাস করিবেন]|” “এবং ইহা তাঁহার ইচ্ছা যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, প্রত্যেকেই যে কেহ পুত্রকে দর্শন করে [বিশ্বাসে], এবং তাঁহাতে বাস করে, অনন্ত জীবন পায়: এবং আমি তাহাকে শেষদিনে উঠাইব|” প্রত্যেক ব্যক্তি যারা বিশ্বাসে যীশু খ্রীষ্টের প্রতি তাকান, এবং সর্ব্বান্তকরনে তাঁর উপর নির্ভর করেন, অনন্ত জীবনের অধিকারী হবেন| এই হচ্ছে যীশু খ্রীষ্টের প্রতিজ্ঞা – আর তিনি কখনও মিথ্যা বলেন না!

আপনার জন্য এটাই ঈশ্বরের ইচ্ছা যে আপনি যীশুতে বিশ্বাস করুন| যখন আপনি সম্পূর্ণ হৃদয়ে তাঁর প্রতি ফিরবেন, তৎক্ষনাৎ আপনি উদ্ধার পাবেন| মৃত্যুর পরে আপনি অনন্ত জীবন পাবেন না| ওহ, না! আপনি এখনই অনন্ত জীবন পাবেন – আপনি যখনই হৃদয়ে এবং পূর্ণভাবে ঈশ্বরের পুত্র, যীশু খ্রীষ্টকে বিশ্বাস করবেন| যীশু বলেন:

“আর আমি তাহাদিগকে অনন্ত জীবন দিই [এই মূহুর্তে]; তাহারা কখনই বিনষ্ট হইবে না” (যোহন ১০:২৮)|

আপনার জন্য ঈশ্বরের ইচ্ছা এই যে আপনি পাপ থেকে ফিরুন আর সম্পূর্ণ হৃদয়ে যীশুতে বিশ্বাস করুন| খ্রীষ্ট আপনার সমস্ত পাপের দেনা শোধ করার জন্য ক্রুশে মৃত্যুবরণ করেছেন| খ্রীষ্ট মৃত্যু থেকে স্বশরীরে পুনরুত্থিত হয়েছেন| বর্তমানে তিনি স্বর্গে ঈশ্বরের দক্ষিনে উপবিষ্ট| যখন আপনি যীশুর কাছে আসবেন, তখন তিনি তাঁর উদ্ধারকারী রক্ত দিয়ে আপনার সমস্ত পাপ ধৌত করবেন| তখন অনন্তকাল ধরে অনন্ত গৌরবে তাঁর সঙ্গে বাস করবেন|

উপসংহার:

“আর জগৎ, ও তার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে|” জগৎ ইতিমধ্যেই বহে যাচ্ছে| জগতে আপনার যে সকল বন্ধু ছিল তাদের আপনি ইতিমধ্যেই হারিয়েছেন| আপনি যখন উচ্চবিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন তখনই আপনি তাদের হারিয়েছেন| যখন আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করেছেন তখন তাদের হারিয়েছেন| আপনার জীবনে অশান্তির সময়ে আপনি তাদের হারিয়েছেন| যখন তারা মারা যাবে আপনি তখন তাদের হারাবেন| তারা প্রকৃত খ্রীষ্ট বিশ্বাসী না হলে, যে কোনভাবেই হোক, আপনার সব বন্ধু চলে যাবে| কিন্তু আপনার যদি প্রকৃত পরিত্রাণপ্রাপ্ত বন্ধু থাকে, তবে আপনি তাদের সঙ্গে ঈশ্বরের রাজ্যে অনন্তকালীন আনন্দ করবেন! সে কারনেই আমরা বলি, “কেন আপনি একাকী? মন্ডলীর গৃহে আসুন! খ্রীষ্টের গৃহে আসুন!” মন্ডলীতে আপনি ও আপনার পরিত্রাণপ্রাপ্ত বন্ধুবর্গ অনন্ত জীবন পাবেন| যখন আপনি স্বর্গে যাবেন তখন একে অপরকে চিনতে পারবেন| আপনি সেখানে অনন্তকাল ধরে বন্ধুত্বের আনন্দ উপভোগ করবেন| কি আশ্চর্য প্রতিজ্ঞা!

কিন্তু আপনি অবশ্যই ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করুন| আপনি অবশ্যই পাপ থেকে ফিরে আসুন এবং যীশু খ্রীষ্টের কাছে আসুন, “ঈশ্বরের মেষশাবক, যিনি জগতের পাপভার লইয়া যান” (যোহন ১:২৯)|

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৭)|

আপনি কি জগৎ এবং তার পাপ ছেড়ে, যীশুতে আসবেন? যীশু আপনাকে তাঁর কাছে ডাকছেন| তিনি বলেন,

“হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোকসকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব” (মথি ১১:২৮)|

লারা নামে একজন বালিকার সাক্ষ্য শুনুন| তিনি এই সভায় উপস্থিত আছেন| লারা, অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়ান| আপনি বসতে পারেন| লারা বলেন,

      ২০১১ সালের, ২৮শে এপ্রিল আমি মন্ডলীতে এসেছিলাম| মন্ডলীতে আমি নিজেকে খুবই আপ্যায়িত অনুভব করলাম, কিন্তু এটা আমার পাপের বোঝা সরিয়ে দেয় না| ডঃ হাইমার্সের প্রচার আমি যখন প্রথমবার শুনি তখনই আমি সরাসরি পাপের চেতনা অনুভব করি| আমি অনুভব করি যে এই প্রচারটি শুধুমাত্র আমার জন্য যেন আমি স্পষ্ট আলোয় দাঁড়িয়ে আছি এবং ডঃ হাইমার্স আমার প্রতি প্রচার করছেন| দুই সপ্তাহের জন্য, দুঃখার্ত হৃদয় নিয়ে আমি বাড়ি গেলাম, তারপর আমি অনুসন্ধান ঘরে যেতে শুরু করলাম| প্রচার এবং অনুসন্ধানের মাধ্যমে, আমি অনুভব করলাম আমার পাপের কলুষতা| আমি আমার পাপকে ঘৃণা করলাম, আমি নিজেকে অনুভব করলাম যে আমি অশ্লীল, মন্দ, ব্যবহারের অযোগ্য, আর অস্থির এবং আমার মধ্যে ভাল কিছুই নেই| আমি জানতাম সেখানে তখন আমার পাপের জন্য আমি নরকের যোগ্য| অনেকদিন ধরে, আমি ঘুমাতে পারিনি এবং আমার পাপের জন্য আমি মৃত্যুভয় অনুভব করতাম| প্রতি রাত্রে, আমি একাগ্রতার সাথে ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভের জন্য প্রার্থনা করতাম|
      কিন্তু আমি ঈশ্বরের কাছে ক্রমাগত প্রার্থনা করতাম যে প্রভু আমাকে ক্ষমা কর, আমি জঘণ্য পাপী| আবার, আমি যীশুর কাছে ক্ষমার জন্য এবং তাঁর রক্তে আমার সমস্ত পাপ ধৌত করার জন্য প্রার্থনা করতাম|
      ২০১১ সালের, ১৮ই জুন, শনিবার সন্ধ্যায়, ডঃ হাইমার্স তার প্রচারে বলেন, “যীশু আপনাকে ভালবাসেন|” প্রথমবারের জন্য যীশুর ভালবাসা আমার কাছে সত্যে পরিনত হল| একজন অযোগ্য পাপীর মুক্তির জন্য, যীশুর ক্রুশীয় দুঃখভোগ, আমার কাছে প্রথমবারের জন্য সত্যে পরিনত হল| যখন তারা আমাকে অনুসন্ধান ঘরে ডাকেন, তখন প্রথমবার জানলাম যে যীশু প্রকৃতই আমাকে ভালবাসেন| আর সেইজন্য, ডঃ কেগান যখন আমাকে যীশুর কাছে আসতে বললেন, আমি বিশ্বাসে তাঁর কাছে এলাম, এবং যীশু আমাকে উদ্ধার করলেন! তাঁর রক্তে আমার সমস্ত পাপ ধৌত করলেন! তাঁর ক্রুশীয় যাতনা ও দুঃখভোগের মাধ্যমে আমার প্রতি তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করলেন| এবং প্রথমবারের মত, আমার চোখে অনুভূতির অশ্রুজল ছিলনা| যীশুর কাছে আমি সাধারন বিশ্বাসে আসি, এবং তিনি আমাকে উদ্ধার করেন|

আপনি যদি যীশুর দ্বারা আপনার পাপ থেকে ধৌত হতে চান এবং আমার সঙ্গে কথা বলতে চান, তবে অনুগ্রহ করে অডিটোরিয়ামেৰ পিছনে যান| ডঃ কেগান আপনাকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে আমরা পরিত্রাণ পাওয়ার বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলতে পারবো| এখনই যান| ডঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন কেউ একজন আজ সকালে যীশুতে বিশ্বাস করতে পারেন|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: ১ম যোহন ২:১৫-১৭ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মি. জন স্যামুয়েল কেগান: “যীশুতে”
(by James Procter, 1913)

খসড়া চিত্র

ডঃ কেগানের শাস্ত্রাংশ

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর।

“আর জগৎ, ও তাহার অভিলাষ বহিয়া যাইতেছে: কিন্তু যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী” (১ম যোহন ২:১৭)|

১.  প্রথম, জগৎ বহিয়া যাইতেছে, ১ম যোহন ২:১৭ক; ১ম করিন্থীয় ৭:৩১;
যাকোব ৪:১৪ |

২.  দ্বিতীয়, যে ব্যক্তি ঈশ্বরের ইচ্ছা পালন করে সে অনন্তকাল স্থায়ী, ১ম যোহন
২:১৭খ; যোহন ৬:৪০; ১০:২৮; ১:২৯; মথি ১১:২৮ |