Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




আজকের জগতের মধ্যে যে অশুভ শক্তি

(আদি পুস্তকের মধ্যে ৭৯ সংখ্যার সংবাদ)
DEMONS IN THE WORLD TODAY
(SERMON #79 ON THE BOOK OF GENESIS)
(Bengali)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর।
By Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৪ সালের, ২৫শে মে, সদাপ্রভুর দিনে সকালবেলা লস এঞ্জেলসের ব্যাপটিষ্ট ট্যাবারন্যাকলে
এক সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, May 25, 2014

“আর এইরূপে, যখন ভূমন্ডলে মনুষ্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, ও অনেক কন্যা জন্মিল, তখন ঈশ্বরের পুত্রেরা মনুষ্যদের কন্যাগনকে সুন্দরী দেখিয়া; যাহার যাহাকে ইচ্ছা সে তাহাকে বিবাহ করিতে থাকিল” (আদিপুস্তক ৬:১-২)|


এই অনুচ্ছেদের প্রতি আপনার বাইবেলটি খোলা রাখুন| এই দুটি পদ ব্যাখ্যা করার আগে, আমি আপনাদের আজকের দিনে স্বধর্ম ত্যাগের বিষয়ে এক মুখ্য বিষয় দিতে চলেছি| গত রবিবার দিনে যীশু যে ভবিষ্যবাণী করেছিলেন তা আমরা দেখেছি, আর সেই বিষয়ে আমরা পুনরায় চিন্তা করতে চলেছি|

শিষ্যরা যীশুকে জিজ্ঞাসা করলেন, “আপনার আগমনের, ও যুগান্তের চিহ্ন কি?” (মথি ২৪:৩৭)| খ্রীষ্ট তাদের বহু চিহ্ন দিয়েছিলেন| কিন্তু তাদের আবার তিনি একটা বিরাট চিহ্নও দিয়েছিলেন যা অন্য সমস্ত কিছুকে অন্তর্ভূক্ত করবে| খ্রীষ্ট বলেছেন,

“বাস্তবিক নোহের সময়ে যেরূপ হইয়াছিল, মনুষ্যপুত্রের আগমনও তদ্রুপ হইবে” (মথি ২৪:৩৭)|

ঠিক সেই স্বাভাবিক সময়ের মতোই যুগের অন্তে এবং খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের বিষয়ে আমরা যদি জানতে চাই, তবে আমাদের সকলেরই সেই বিষয়ে পড়া দরকার যা নোহের সময়ে হয়েছিল, সেই জলপ্লাবনের আগে যা হয়েছিল| আর তার যে বর্ণনা তা এখানে উল্লিখিত হয়েছে কেবল বাইবেলের সেই তিনটি অধ্যায়ের মধ্যে - যথা আদিপুস্তক ৪, ৫ এবং ৬ উল্লিখিত হয়েছে|

গত রবিবারের রাত্রে আমি আপনার ও আমাদের পূর্বপুরুষদের সময়ের কথা, আদিপুস্তক ৫ থেকে দেখিয়েছিলাম, সে সময়টা স্বধর্ম ত্যাগ করার এক বর্ধনশীল সময়কাল, সেখানে যে মহা বিশ্বাস ছিল এমন কোন সময়ের উল্লেখ নেই! সেই অধ্যায়ের মধ্যে আমাদের যে পূর্বপুরুষেরা ছিলেন তারা তেমন কোন আত্মিক মহান নেতা ছিলেন না| ইহার মধ্যে যা কিছু বলা হয়েছে তা হলো তারা জীবনযাপন করেছিলেন, পুত্র ও কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন, আর তারপরে মারা গিয়েছিলেন| আর কেবলমাত্র সেটাই সব! পিতৃপুরুষদের এই যে তালিকা তার অর্দ্ধেকটার মধ্যে সেখানে এক ব্যক্তির নাম উল্লেখ রয়েছে যিনি পরিশেষে কিছু করেছিলেন| তার নাম ছিল হনোক| এই সময়ে স্বধর্ম ত্যাগের যে বিষয়টা ছিল তার বিরুদ্ধে তিনি প্রচার করে বলেছিলেন, যে সদাপ্রভু আসিতেছেন “ও তাদের তিনি ভর্ৎসনা করেছিলেন” (যীহুদা ১৫)| তিনি মহা জলপ্লাবনের আগমন সম্বন্ধে প্রচার করেছিলেন| আর বাইবেল বলে, “হনোক ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিলেন” (আদিপুস্তক ৫:২২)| নোহের সময় পর্যন্ত ইহা আর কোন পিতৃপুরুষদের নাম উল্লেখ করেনি, “আর নোহ ঈশ্বরের সহিত গমনাগমন করিলেন” (আদিপুস্তক ৬:৯)| এই সময়ে যে সমস্ত পিতৃপুরুষেরা ছিলেন তাদের বিষয়ে ইব্রীয় ১১ অধ্যায়ে বিশ্বাসের লোক বলে তাদের নাম তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে তাদের মধ্যে কেবল - হনোক ও নোহের নাম উল্লেখযোগ্য| আর এইভাবেই আদিপুস্তক ৫ অধ্যায়ে এক বর্ধনশীল সময়কালে স্বধর্ম ত্যাগের বিষয় লক্ষ্য করা যায়|

আর এইভাবে ব্যাখ্যাকারীরা “শেথের ঐশ্বরিক বা ধার্মিক লাইনের” এবং “কয়িনের অধার্মিক বা ঈশ্বর ভয়হীন লাইনের” বিষয়ে বলেন| কিন্তু সেখানে এমন এক শব্দ ছিল না - এমন একটা শব্দ – যার বিষয়ে বাইবেল সেইভাবে শিক্ষা দেয়! হ্যাঁ, সেখানে দুটো জাতি ছিল বটে, একটা জাতি যা কয়িন থেকে আসছে, আর একটা জাতি যা শেথের বংশ থেকে আসছে| কিন্তু এদের উভয় দলই ছিল অধার্মিক! এই উভয় দলই জলপ্লাবনে বিনষ্ট হয়েছিল! প্রাচীনকালে যে ইহুদী র‍্যাব্বাইরা ছিলেন তারাও পিতৃপুরুষদের বর্ধনশীল ধর্মবিরূপতার বিষয়ে উল্লেখ করেন| যেটা আমাদের পাঠ্যাংশের ধর্মবিরূপতার যে পাপ সেই প্রকার উত্তেজনাময় বিষয়ের দিকে আমাদের নিয়ে আনে| আদিপুস্তক ৬:১-২ অধ্যায়টি, আবার দেখুন|

১. প্রথম, ইহা ছিল পৈশাচিক কর্মকান্ডের মহা সময় ।

“আর এইরূপে, যখন ভূমন্ডলে মনুষ্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, ও অনেক কন্যা জন্মিল, তখন ঈশ্বরের পুত্রেরা মনুষ্যদের কন্যাগনকে সুন্দরী দেখিয়া; যাহার যাহাকে ইচ্ছা সে তাহাকে বিবাহ করিতে থাকিল| তাহাতে সদাপ্রভু কহিলেন, আমার আত্মা মনুষ্যদের মধ্যে নিত্য অধিষ্ঠান করিবে না, তাহাদের বিপথগমনে তাহারা মাংসমাত্র: পরন্তু তাহাদের সময একশত বিংশতি বৎসর হইবে| তৎকালে পৃথিবীতে মহাবীরগন ছিল; এবং তৎপরেও, ঈশ্বরের পুত্রেরা মনুষ্যদের কন্যাদের নিকট গমন করিলে, তাহাদের গর্ভে সন্তান জন্মিল, তাহারাই সেকালের, প্রসিদ্ধ বীর| আর সদাপ্রভু দেখিলেন পৃথিবীতে মনুষ্যদের দুষ্টতা অত্যাধিক, এবং তাহাদের অন্তঃকরণ চিন্তার সমস্ত কল্পনা নিরন্তর কেবল মন্দ” (আদিপুস্তক ৬:১-৫)|

ইংরাজীতে স্কোফিল্ড নোট বলে যে এটা ছিল “কয়িনীয়দের সঙ্গে শেথীয়দের বিবাহের সময়”| কিন্তু সেই নোটের যে মন্তব্য তা সম্পূর্ণ ভুল| “ঈশ্বরের পুত্রেরা” হলেন পতিত দূত যারা “মনুষ্যদের কন্যাগনের সহিত” যৌনজাত সম্পর্ক গঠন করেছিল| ডাঃ রায়রী বলেছেন, “এই ‘ঈশ্বরের পুত্র’ বলে যে শব্দসমষ্টি যা পুরাতন নিয়মে [O.T] উদ্ধৃত হয়েছে তা একচেটিয়াভাবে স্বর্গদূতদের কথাই বলে…এই প্রকার এক অনন্য মুহূর্তে [তারা] মানবীয় মহিলাদের সঙ্গে সঙ্গ দিয়ে মানবীয় সন্তান সন্ততির জন্ম দিত” (Ryrie Study Bible, আদিপুস্তক ৬:২ অধ্যায়ের নোট বা মন্তব্য)| এর উৎস হিসাবে যিহুদা ৬ এবং ৭ উদ্ধৃতি করে, ডাঃ এম. আর. ডিহান বলেছেন, “এই স্বর্গদূতেরা যারা প্রথম অবস্থায় সেখান থেকে পতিত হয়েছিল তারা একসময়ে পবিত্র স্বর্গদূত ছিল| তাদের যে পাপ কার্য সেটা সদোমের ন্যায় - যারা বিস্ময়্করভাবেই মাংসিক, লাম্পট্যচারী, অস্বাভাবিক সম্পর্কে জড়িত হয়ে পড়েছিল - যার দ্বারা পৃথিবীতে তারা ঈশ্বরের দন্ডাজ্ঞা বা বিচার নামিয়ে এনেছিল” (M. R. DeHaan, M.D., The Days of Noah, Zondervan Publishing House, 1963, p. 144)|

এটাই ছিল প্রাচীনকালের যিহুদী র‍্যাব্বাইদের দেখার বিষয়, আর আমি দৃঢ়নিশ্চিত কেননা ইহাই প্রাথমিকভাবে যথাযথ বিষয়| যাই হোক না কেন, নোহের সময়ে সেই পতিত স্বর্গদূতেরা (যাদের এখন দিয়াবল বলে জানা যায়) কিভাবে মহিলাদের সঙ্গে যৌনগত সম্পর্ক স্থাপন করেছিল সেই বিষয়ে বিজ্ঞচিত্ত লোকেরা বিস্মিত হয়ে পড়েন|

চাইনীজ ব্যপটিষ্ট মন্ডলীতে আমার দীর্ঘ সময়ের যে পালক তার নাম ডাঃ তীমথি লীন| তিনি ছিলেন পুরাতন নিয়মের এক বিজ্ঞচেতা ব্যক্তি যিনি আবার ইংরেজীতে নিউ আমেরিকান স্টান্ডার্ড ভার্সনের (NASV) অনুবাদক, সেইসঙ্গে তিনি আবার বেশ কিছু রক্ষণশীল সেমিনারীতে কাজও করেন| ডাঃ লীন এই প্রস্তাব প্রদান করেন যে কিভাবে স্বর্গীয় দূতেদের অস্তিত্ব মানবীয় মহিলাদের তাদের নিজেদের স্ত্রী হিসাবে গ্রহণ করেন| তিনি বলেন যে উচ্ছিন্ন হওয়া পতিত দূতেরা মানুষের উপরে পতিত হয় আর এইসব মানুষকে ভূতগ্রস্তভাবে অন্তরের দিক থেকে বশীভূত করে, মহিলাদের কাম বা মাংসিকভাবে প্রভাবিত ও প্রতিবিম্বিত করে| তিনি বলেছেন, “এইভাবে এই মন্দপরায়ণ উচ্ছিন্ন পতিত স্বর্গদূতেরা সাংঘাতিকভাবে শিশুদের মধ্যে মন্দ পৈশাচিক প্রভাব বিস্তার করে (যারা) তাদের নৈতিকভাবে ধ্বংস করে দেয়” (Timothy Lin, Ph.D., Genesis: A Biblical Theology, Biblical Studies Ministries International, 2002, pp. 96-97)| ডাঃ লীন আবার এটাও বলেছেন,

      মানুষের কাজকর্মের ব্যাপারে শয়্তান যেভাবে তার অনধিকার চর্চায় এতটা উন্মত্ত, তখন মানুষকে আরও দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলার প্রতি সে যৌনজাত লালসায় তাকে আসক্ত করে যাকে সে আগে থেকেই ভুল পথে পরিচালিত করেছিল| এই সময়ে এক জাতির সঙ্গে অপর জাতির মধ্যে যে বিবাহ তা যে কেবলমাত্র বিবাহের পবিত্র বিধানকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছে তাই নয় মানুষকে সে স্বার্থপর লালসাপূর্ণ ইচ্ছায় রূপান্তরিত করেছে কিন্তু সাধারনত যেটা শিক্ষা দেওয়া হয় সেটাকেও সে যেন আরো বেশী গম্ভীর করে তুলেছে| ইহা মানুষের কন্যাগনের সঙ্গে ঈশ্বরের সন্তানদের একত্রে বাস করাটাকে এমন জায়্গায় নিয়ে এনেছে, যাতে মনুষ্যজাতি তাদের পদমর্যাদায় সম্পূর্ণভাবে অমানবিক হয়ে পড়ে| এখানে যদি তারা কৃতকার্য হতে পারতো, তবে মানুষ আর কোনভাবেই মানুষের বংশে থাকতে পারতো না কিন্তু শয়্তানের বংশে রূপান্তরিত হতো, এইভাবে প্রতিজ্ঞাত উদ্ধারকর্তাকেও মানুষ হিসাবে জন্মগ্রহনের পন্থাকে সে অস্বীকার করতো|
      শয়্তানের পরিকল্পনা হল এই জগতের জনসংখ্যাকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলা| লোকেরা জলপ্লাবনকালে “জাহাজে নোহের প্রবেশদিন পর্যন্ত, ভোজন ও পান করিত, বিবাহ করিত ও বিবাহিত হইত” (মথি ২৪:৩৮)| আবার, “তখনকার সেই পৃথিবী দৌরাত্মে পরিপূর্ণ ছিল,” (আদিপুস্তক ৬:১১,১৩)| এই সময়ে শয়্তানের মুখ্য হাতিয়ার ছিল “ঈশ্বরের সন্তানগনের” দ্বারা, মন্দতা, খারাপ কাজ, দুর্নীতি ও হিংসা ছড়ানো যারা…সেইসময়ে লোকেদের দুর্নীতিগ্রস্ত করে তোলে (ibid)|

এখন আদিপুস্তক ৬:৪ পড়ুন,

“তৎকালে পৃথিবীতে মহাবীরগন ছিল; এবং তৎপরেও, ঈশ্বরের পুত্রেরা মনুষ্যদের কন্যাদের নিকট গমন করিলে, তাহাদের গর্ভে সন্তান জন্মিল, তাহারাই সেকালের, প্রসিদ্ধ বীর” (আদিপুস্তক ৬:৪)|

এই প্রকার মন্দ-আত্মাগ্রস্ত সন্তানদের ইংরাজীতে কিং-জেমস অনুবাদে (KJV) বলা হত “দানব”|* এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক অনুবাদ যা ইব্রীয় শব্দে পুরাতন র‍্যাব্বাইদের দ্বারা “নেফিলিম” শব্দ থেকে এসেছে| তারা ইব্রীয়কে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করে সেপ্টুয়াজিন্টে তাদের “গিগানেট” (দানব) বলে ব্যাখ্যা করে| কিন্তু “নেফিলিম” বলে ইব্রীয়তে যে শব্দ আছে তার অর্থ “দানব” নয়| পরিবর্তে, তার অর্থ হল “পতিত এক ব্যক্তি”| ডাঃ হেনরি এম. মরিস বলেছেন “এর সম্ভাব্য ও স্বাভাবিক অর্থ হল ‘যারা পতিত হয়েছে’, যার সম্ভাব্য নির্দেশ হতে পারে…পতিত স্বর্গদূত…এই সময়ে সে সেই সন্তানদের মধ্যে মন্দ-আত্মাগ্রস্ত ব্যক্তিদের নিয়ন্ত্রনে থাকা স্ত্রী ও পুরুষদের সংশ্রবে যাদের আগমন হয়েছে তারাই হল এমন ব্যক্তি যাদের বলা হয় [নেফিলিম বা ‘পতনগ্রস্ত এক ব্যক্তি’]” (হেনরী এম. মরিস, পি এইচ. ডি., The Genesis Record, Baker Book House, 1986 edition, p. 172; আদিপুস্তক ৬:৪ এর নোট)| সুতরাং আদিপুস্তক ৬:৪ কে আমরা অনুবাদ করতে পারি এইভাবে যে, “সেই সময়ে এই জগতে সেখানে পতিত ব্যক্তিরা যেমন ছিল, আর তেমনি তার পর, ঈশ্বরের পুত্রেরা [মন্দআত্মাগ্রস্ত পুরুষেরা] মনুষ্যদের কন্যাগনের কাছে আসে, আর তারা তাদের প্রতি সন্তান প্রদান করে..”| সেই সময়ের শেষে জলপ্লাবন আসার আগে, সমুদয় মনুষ্যজাতি মন্দ-আত্মাগ্রস্ত ব্যক্তির দ্বারা সৃজিত হয়েছিল আর মন্দতাই লোকেদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার করেছিল| শয়্তানের পরিকল্পনা প্রায় কার্যকারী হতে চলেছিল| সে সম্ভবত মনুষ্য জাতিকে ও বংশকে ধ্বংস করেই ফেলেছিল, আর এইভাবে খ্রীষ্টের আগমনকেও প্রায় রোধ করে দিতে চলেছিল| এই মন্দ-আত্মাগ্রস্ত লোকেদের আদিপুস্তক ৬:৫ পদে বর্ণনা করা হয়েছে| শয়্তানের পরিকল্পনা কোনটাকে থমকে দিয়েছিল? দেখুন আদিপুস্তক ৬:৮,

“কিন্তু নোহ সদাপ্রভুর দৃষ্টিতে অনুগ্রহ প্রাপ্ত হইলেন” (আদিপুস্তক ৬:৮)|

ঈশ্বরের মহা করুণায় নোহ এবং তার পরিবার মন্দ-আত্মাগ্রস্তদের হাত থেকে উদ্ধার লাভ করেছিল| তিনি যখন “পতিতদের” ধ্বংস করার প্রতি জলপ্লাবন নিয়ে আনেন তখন তাদের তিনি সংরক্ষনও করে রাখেন| আপনি যদি মনোনীতদের একজন, ঈশ্বরের মনোনীত, তবে আপনার ভয় করার কোন প্রয়োজন নেই, কেননা ঈশ্বরের অনুগ্রহ শয়্তান ও দিয়াবলের থেকেও শক্তিশালী| ল্যুথার বলেছেন, “যদিও এই জগৎ, দিয়াবলে পূর্ণ হয়, আমাদের বিনাশ করার জন্য ভীতিগ্রস্ত করে, তবুও আমরা ভয় করবো না, কেননা ঈশ্বর তাঁর বাক্যে শর্ত আরোপ করেছেন যে আমাদের তিনি বিজয়ী করবেন”| কিন্তু আপনি যদি উদ্ধার লাভ করেননি, তবে আপনি ভীতিগ্রস্ত হয়ে পড়বেন! আর সেটাই আমাদের দ্বিতীয় প্রস্তাবের প্রতি এগিয়ে নিয়ে চলে|

২. দ্বিতীয়, আজকে আমরা এমন সময়ে বসবাস করছি যেখানে দিয়াবলের কার্য প্রচুর ।

এটাই আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যায় প্রভু যীশু খ্রীষ্টের ভাববাণীর প্রতি, যিনি বলেছেন,

“বাস্তবিক নোহের সময়ে যেমন হয়েছিল, মনুষ্যপুত্রের আগমনও তদ্রুপ হইবে” (মথি ২৪:৩৭)|

ডাঃ এম. আর. ডিহান বলেছেন,

আমরা কি আজকের অবস্থার সঙ্গে নোহের দিনের কোন সাদৃশ্যভাব খুঁজে পাচ্ছি…? নিশ্চিতভাবেই একজন যদি নোহের দিনে যা কিছু পুনরুক্তি হয়েছিল, সেটাকে চিনে নিতে নিষ্ক্রিয় হয়, তবে আত্মিকভাবে অন্ধ হয়ে সম্পূর্ণভাবে ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি অজ্ঞতা প্রকাশ করবে… (M. R. DeHaan, The Days of Noah, Zondervan Publishing House, 1971 edition, page 149)|

নোহের দিনে দিয়াবলের অশুভশক্তি এই জগতকে গ্রাস করে নিয়েছিল - আর প্রায় সমুদয় মনুষ্য জাতিকে ধ্বংস করে দিয়েছিল|

আমার জীবনকালে শয়্তানের পরাক্রম শক্তিকে আমি বর্ধিষ্ণু হতে লক্ষ্য করেছি| ১৯৬০ সালের সময়ে ইহা আমার জীবনে অনুভূত হচ্ছিল যে এই বিশ্ব যেন ধ্বংসের সীমানায় এগিয়ে এসে টুকরো হতে চলেছে| বহু যুবক ব্যক্তিরা এল এস ডি’র মতো ড্রাগ নিয়ে নিজেদের দিয়াবল ও মন্দতার প্রতি আক্রান্ত হয়ে তার প্রতি উন্মুক্ত হয়ে পড়েছে| আজকে তারা এমন ড্রাগের ব্যবহার করছে যা এল এস ডি’র মতো ড্রাগকেও প্রায় মিছরির মতো ক্ষতিহীন করে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে| সত্তরের দশকের প্রথমের দিকে সানফ্রানসিস্কো শহরে আমি হিপ্পিদের মধ্যে প্রচার করেছিলাম| আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি আপনাদের বলতে পারি যে এই ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রায় অনেকেই দিয়াবলের প্রভাবে প্রভাবিত ছিল, আর তাদের মধ্যে কয়েক জনকে আমি সম্পূর্ণভাবেই মন্দ-আত্মাগ্রস্ততার মধ্যে দেখতে পেয়েছিলাম| ১৯৭৩ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রীম কোর্ট গর্ভপাতকে বৈধ চাহিদা বলে আমেরিকার সব জায়গাতেই ঘোষণা করেছে| আর সেই তখন থেকেই আজ পর্যন্ত ৫৫ মিলিয়ন শিশু মন্দ-আত্মাগ্রস্ত গর্ভরোধক “ডাক্তারদের” দ্বারা চরম দুর্দশার মধ্যে পড়েছে| আমরা নিজেরাও সানফ্রানসিস্কো এবং লস এঞ্জেলসের ভিতরে, যুবতীদের মধ্যে পরিচর্যা কাজ করার সময়ে আবিষ্কার করতে পেরেছি, যে সেখানে কমপক্ষে প্রতিটি মহিলা যারা সেই “দাবীর বশবর্তী হয়ে” গর্ভপাত করেছে তারাও আজ পৈশাচিক হয়ে উঠেছে, আর তাদের মধ্যে অনেকেই সম্পূর্ণভাবে সেই মন্দ-আত্মাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে| আজকে এই মহিলারা, ও ড্রাগ গ্রহণকারী ব্যক্তিরা, বিপুলভাবে ভোট অধিকারের প্রয়োগ করে দ্বিতীয়বার বারাক ওবামাকে সেই অফিসে সুদৃঢ় করেছে| মিঃ ওবামার এমন সমস্ত চিন্তাধারা রয়েছে যেগুলো দিয়াবল সংক্রান্ত| আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি তিনি তখনই পৈশাচিক হয়ে ওঠেন যখন তিনি (২১ বৎসরের জন্য) ডাঃ যেরিমায়া রাইটের এক মন্ডলীর পালকত্বের অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন, সেই ব্যক্তি যিনি টেলিভিশনে আর্তনাদ করেন, “ঈশ্বর আমেরিকার নিন্দা করে! ঈশ্বর আমেরিকার নিন্দা করে! ইশ্বর আমেরিকাকে জাহান্নামে পাঠান!” আমি দেখতেই পাচ্ছিনা কিভাবে কোন একজন ২১ বৎসর ধরে প্রায় প্রতি রবিবারে মন্দ-আত্মাগ্রস্ত না হয়ে সেই মন্ডলীতে যোগদান করে! এটা আমাদের আশ্চর্য করে না যেখানে প্রেসিডেন্ট যেন অনেকটাই আরামদায়ক জায়্গাতে রয়েছেন খ্রীষ্টিয়ান রণসৈন্যদের থেকে মুসলমান রণসৈন্যদের নিয়ে| তাদের মনে হয় যেন তারা একত্রে একই মন্দ-আত্মা দ্বারা একত্রিত হয়ে রয়েছেন!

আমার কি রণসৈন্যদের মধ্যে সমকামী যৌনতা এবং “সমকামী ব্যক্তির বিবাহের যে উত্থান” সেই বিষয়ে উল্লেখ করা প্রয়োজন? আমার কি অশ্লীলবৃত্তির বিষয়ে উল্লেখ করার কোন প্রয়োজন রয়েছে - এখন যেটাতে ৯৫ শতাংশেরও বেশী কিশোর বয়্সী ছেলেদের লিপ্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে? আমাকে কি আবার মত্ত উপভোগ্য এবং রক প্রেক্ষাগৃহে যে সমস্ত বাদ্যযন্ত্র শোনা যায় তার কথা উল্লেখ করতে হবে, যেখানে জমায়েত সমস্ত লোক সেখানের তাল ও ছন্দের মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে এবং মানবীয় কামরূপ মাংসিক ভাবধারায় স্পন্দনময় হয়ে ওঠে? হলিউড চলচ্চিত্রে আজকে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি আমাকে কি আবার সেই অনির্বচনীয় মৃত্যুবৎ হত্যালীলার কথা উল্লেখ করতে হবে? ডাঃ জে. ভার্নন ম্যাকগী বলেছেন,

আজকে বহু লোক মন্দ-আত্মাগ্রস্ত…আমরা আরো বেশী করে এদের প্রকাশ এমনভাবে দেখতে পাচ্ছি যা পৈশাচিক বা মন্দতাপূর্ণ| আমাদের বিষয়ে সেখানে আরো অনেক তথ্য প্রমাণ রয়েছে (J. Vernon McGee, Th.D., Thru the Bible, Thomas Nelson Publishers, volume IV, 1983, p. 51; comment on Matthew 8:32)|

ডাঃ ম্যাকগী অত্যন্ত সম্মানীয় এবং খ্যাতনামা বাইবেল শিক্ষক ছিলেন| ডাঃ মার্টিন লয়েড-জোন্‌সকে বলা হয় বিংশতিতম শতাব্দীর সবথেকে খ্যাতনামা প্রচারক| প্রায় পঁচিশ বৎসরেরও বেশী সময় ধরে ইংল্যান্ডের, লন্ডন শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ওয়েস্ট মিনিস্টার চ্যাপেলে তিনি পালকত্বের কাজ করেন| ডাঃ লয়েড-জোন্‌স বলেছেন,

আত্মীক অবমাননা ও সমুদয় দেশে ঈশ্বরভয়হীনতার কারনেই, মন্দ পৈশাচিক কার্যক্রমের উত্থান ঘটেছে (Martyn Lloyd-Jones, M.D., Healing and the Scriptures, Oliver-Belson Books, 1988, p. 159)|

শেষ সময়ে বাইবেল ভবিষ্যবাণী করে পৈশাচিক কার্যক্রমের এক বিরাট তালিকা নিয়ে| প্রেরিত পৌল বলেছেন,

“কিন্তু ইহা জানিও, শেষকালে বিষম সময় উপস্থিত হইবে| কেননা মনুষ্যেরা আত্মপ্রিয়, অর্থপ্রিয়, আত্মশ্লাঘী, অভিমানী, ধর্মনিন্দুক, পিতামাতার অবাধ্য, অকৃতজ্ঞ, অসাধু, স্বাভাবিক স্নেহরহিত, ক্ষমাহীন, অপবাদক, অজিতেন্দ্রীয়, প্রচন্ড, সদ্‌বিদ্বেষী, বিশ্বাসঘাতক, দুঃসাহসী, গর্বান্ধ, ঈশ্বরপ্রিয় নয় বরং বিলাসপ্রিয় হইবে; লোক ভক্তির অবয়বধারী, কিন্তু তাহার শক্তি অস্বীকারকারী হইবে: এইসব লোকদের হইতে সরিয়া যাও” (২য় তীমথি ৩:১-৫)|

“কিন্তু দুষ্ট লোকেরা ও বঞ্চকেরা পরের ভ্রান্তি জন্মাইয়া, ও আপনারা ভ্রান্ত হইয়া, উত্তরোত্তর কুপথে অগ্রসর হইবে” (২য় তীমথি ৩:১৩)|

প্রেরিত পৌল ইঙ্গিত প্রদান করেন যে এই প্রকার মন্দতাপূর্ণ পৈশাচিক কার্যক্রম এমন কি সেই শেষ সময়ে রক্ষণশীল মন্ডলীগুলোতেও প্রবেশ করবে,

“এবং সত্য হইতে কান ফিরাইয়া, গল্পের দিকে বিপথে যাইবে” (২য় তীমথি ৪:৪)|

“বাস্তবিক নোহের সময়ে যেরূপ হইয়াছিল, মনুষ্যপুত্রের আগমনও তদ্রুপ হইবে” (মথি ২৪:৩৭)|

আমরা শয়্তানের কার্যক্রমের ঘুরপাক খাওয়া সেই প্রকার একটা জগতে বসবাস করছি| কেবলমাত্র যীশুই আমাদের সেই প্রকার জগৎ থেকে উদ্ধার করতে পারেন!

শয়তানের যে সময়ে আমরা আজ বসবাস করছি, যেখানে আমাদের সকলকেই মনোনিবেশ করতে হবে সতর্কতামূলকভাবে সেই সতর্কীকরন বাণীর উপরে যা প্রেরিত পিতর আমাদের প্রদান করেছেন,

“তোমরা প্রবুদ্ধ হও, জাগিয়া থাক; তোমাদের বিপক্ষ দিয়াবল, গর্জনকারী সিংহের ন্যায়, কাহাকে গ্রাস করিবে, তাহা অন্বেষণ করিয়া বেড়াইতেছে” (১ম পিতর ৫:৮)|

আমাদের মধ্যে অনেকে রয়েছে যারা যীশুর উপরে নির্ভর করে পরিত্রাণ লাভ করাটাতে আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ কেন এতটা কঠিন অনুভব করে সেই বিষয়ে কি কোনদিন বিস্মিত হয়েছেন? আপনি কি কোন সময়ে আপনার হৃদয়ে এইভাবে চিন্তা করেছেন যে ইহা সম্ভবত পৈশাচিক মন্দ আক্রমন – আপনার জন্য শয়্তানের সর্বশেষ আঘাত হল আপনাকে তার নিজের দাস করে রাখা? যারা “তাদের সমুদয় জীবনে” সেই দিয়াবলের বন্ধনে আবদ্ধ (সেই দাসত্বে আবদ্ধ) বাইবেল তাদের বিষয়েও কথা বলে (ইব্রীয় ২:১৪, ১৫)|

এই কারনেই যীশু এসেছেন – যেন আপনাকে দিয়াবলের বন্ধন থেকে মুক্ত করেন, যেন শয়্তানের দাসত্ব থেকে আপনাকে স্বাধীন করেন! যীশু ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছেন যেন আপনার পাপের দন্ডাজ্ঞা মিটিয়ে ফেলেন| দিয়াবলের দাসত্ব থেকে আপনাকে স্বাধীন করার জন্য যীশু মৃত্যু থেকে পুনরায় জীবিত হয়ে উঠেছেন! আপনাকে শয়্তানের বন্ধন থেকে মুক্ত করার প্রতি যীশুর কাছে এসে অনুনয় করুন! আপনার পাপের ক্ষমা লাভ করে আপনাকে নূতন জীবন দেওয়ার জন্য যীশুর কাছে এসে অনুনয় করুন! যীশু এইভাবে বলেছেন ঈশ্বর তাঁকে পাঠিয়েছেন “যেন বন্দীদের কাছে মুক্তির বার্তা প্রচার করেন, এবং…যারা বন্ধনের মধ্যে রয়েছে তাদের স্বাধীন করেন” (লূক ৪:১৮)| আহা, আসুন, আসুন, আসুন - যীশুর কাছে আসুন! “যীশু ছাড়া কেউই নয়, কেবলমাত্র যীশু, তিনিই আশাহীন পাপীদের প্রতি উত্তম করতে পারেন!”

শয়্তানের বিষয়ে আর চিন্তা করবেন না! কেবলমাত্র যীশুর বিষয়েই চিন্তা করুন! নিজেকে যীশুর প্রতি নিক্ষেপ করুন আর তিনি আপনাকে পাপ ও মৃত্যু থেকে স্বাধীন করবেন! যীশু আপনাকে উদ্ধার করবেন! “কেবল যীশুতেই বিশ্বাস করুন, কেবলমাত্র যীশুতে বিশ্বাস করুন, এখন কেবল তাঁর উপরে নির্ভর করুন| তিনি আপনাকে উদ্ধার করবেন, তিনি আপনাকে উদ্ধার করবেন, তিনি আপনাকে এখনি উদ্ধার করবেন”! আহা, পাপ থেকে ফিরুন আর এখনি পরিত্রাতার উপরে নির্ভর করুন!

যীশু আপনাকে উদ্ধার করার বিষয়ে আমাদের কাছে এসে কথা বলুন| আপনার আসন ত্যাগ করে এখনি পিছনে যে অডিটোরিয়াম রয়েছে সেখানে চলে যান| ডাঃ কাগন আপনাকে আর একটি কক্ষে নিয়ে যাবেন যেখানে আপনি কথা বলতে পারেন| ডাঃ চান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যেন কোন একজন আজকে যীশুকে গ্রহণ করতে পারে| আমেন|


*প্রাচীন রাব্ব্যাইরা “নেফিলিমকে” ইব্রীয় ভাষায় অনুবাদ করেন সেপ্টুয়াজিন্টের “বিশালাকার দানব” হিসাবে| আর, সেইভাবেই তারা পরিচয় করিয়ে দেয় সেই ভ্রান্ত চিন্তাধারাকে যাকে বলা হয় নেফিলিম হল বিশালাকার দানব| “নেফিলিম” বলে এই যে শব্দ তা আবার গণনাপুস্তক ১৩:৩৩ পদে উল্লেখিত হয় যেখানে ইহাকে ইংরাজী ভাষার কে জে ভি’তে ভুলভাবে অনুবাদ করা হয়েছে “বীরগন” হিসাবে| এই উভয়ক্ষেত্রেই দুর্ভাগ্যজনক অনুবাদ সেপ্টুয়াজিন্টের (বিশালাকার দানব) থেকেই আসছে| গণনা পুস্তক ১৩:৩৩ পদে ওদের আমরা যেভাবে জানতে পারি তারা হলেন প্রকান্ড মানুষ যাদের ইব্রীয়তে খুব ছোট করে দেখান হয়েছে| কিন্তু ইহার অর্থ আবার তারা ছিল প্রকান্ড, কর্কশ লোক, তারা বিশালাকার দৈত্য নয়| “নেফিলিম” বলে যে শব্দ তা নির্দেশ করে সেই ঘটনার প্রতি যে তারা ছিল মন্দ-আত্মাগ্রস্ত, কেননা ইব্রীয়রা আসার আগে তাদের বেশির ভাগ লোকেরাই কনান দেশে বসবাস করতো| ইব্রীয়েরা ক্রমাগতভাবেই এই মন্দ-আত্মায় আসক্ত লোকেদের দ্বারা নিষ্ঠুরভাবে ব্যবহৃত হতো কেননা ঈশ্বর যেমনভাবে তাদের আজ্ঞা করেছিলেন তাদের প্রতি আচরণ করার জন্য তাদের সকলকে তারা তাঁর কথামতো তাড়িয়ে দেয় নি| এই সমস্ত অনুচ্ছেদগুলোতে সেখানে আর কোন “পৈশাচিক দানব” থাকতো না, যদিও বেশ কিছু ব্যাখ্যামূলক বই, এমনকি কঠিনভাবে এদের বিষয়ে, প্রাচীন রাব্ব্যাইদের দ্বারা ভুলভাবে অনুবাদ করা হয়েছিল|

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রাংশ পাঠ করেছেন মি. আবেল প্রধুম্মে: আদি পুস্তক ৬:১-৮ |
সংবাদের আগে একক সংগীত পরিবেশন করেছেন মি. বেঞ্জামিন কিনকেড গ্রিফিত:
“Then Jesus Came” (by Dr. Oswald J. Smith, 1889-1986).


খসড়া চিত্র

আজকের জগতের মধ্যে যে অশুভ শক্তি

(আদি পুস্তকের মধ্যে ৭৯ সংখ্যার সংবাদ)

লেখক : ডঃ আর এল হাইমার্স, জে আর।

“আর এইরূপে, যখন ভূমন্ডলে মনুষ্যদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, ও অনেক কন্যা জন্মিল, তখন ঈশ্বরের পুত্রেরা মনুষ্যদের কন্যাগনকে সুন্দরী দেখিয়া; যাহার যাহাকে ইচ্ছা সে তাহাকে বিবাহ করিতে থাকিল” (আদিপুস্তক ৬:১-২)|

(মথি ২৪:৩,৩৭; যিহুদা ১৫; আদিপুস্তক ৫:২২; ৬:৯)

১.  প্রথম, ইহা ছিল পৈশাচিক কর্মকান্ডের মহাসময়, আদিপুস্তক ৬:১-৫;
মথি ২৪:৩৮; আদিপুস্তক ৬:১১, ১৩, ৪, ৮ |

২.  দ্বিতীয়, আজকে আমরা এমন সময়ে বসবাস করছি যেখানে দিয়াবলের
কার্য প্রচুর, মথি ২৪:৩৭; ২য় তীমথিয় ৩:১-৫, ১৩; ৪:৪; ১ম
পিতর ৫:৮; ইব্রীয় ২:১৪, ১৫; লূক ৪:১৮ |