Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে প্রচার করা

PREACHING THE UNSEARCHABLE RICHES OF CHRIST
লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.
(Bengali)

এক সংবাদ প্রচারিত হয় লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনেকেলে
সদাপ্রভুর এক দিনে সকাল বেলায়, ৪ঠা মে, ২০১৪ সালে
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, May 4, 2014

“আমি,সমস্ত পবিত্রগণের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ক্ষুদ্রতম হইলেও, আমাকে এই অনুগ্রহ দত্ত হইয়াছে, যাহাতে পরজাতিদের কাছে আমি খ্রীষ্টের সেই ধনের বিষয়ে সুসমাচার প্রচার করি যে ধনের সন্ধান করিয়া ওঠা যায় না” (এফেসিয়ানস ৩:৮).


 

আমার যত বয়স হচ্ছে আমি ততোই যেন প্রেরিত পৌলকে ভালোবাসছি। তিনি এতোটাই নম্র ব্যাক্তি,এবং তিনি আমাদের জন্যে খ্রীষ্টের ধনের বিষয়টাকে উন্মুক্ত করেন। আমাদের পাঠ্যাংশে তিনি আমাদের বলছেন “তিনি সমস্ত পবিত্র গণের মধ্যে সর্বাপেক্ষা ক্ষূদ্রতম।” এই প্রেরিতত্বের যে দায়িত্ব সেই বিষয়ে প্রেরিত পৌল সব সময়েই সব থেকে নত নম্রতার এক দর্শন তুলে ধরেন। ১ম করিন্থিয় ১৫:৯ পদে তিনি বলেছেন সমস্ত প্রেরিত গণের মধ্যে তিনি ক্ষুদ্রতম কেননা তিনি “খ্রীষ্টের মন্ডলীর তাড়না করতেন” যেটা তিনি তার রুপান্তরকরণের আগে। ১ম টিমোথী ১:১২ এবং ১৩ পদে তিনি সেই বিষয়ে পুণরুক্তি করেন।

এর পরে পৌল আমাদের বলতে চান যে তাঁকে সেই অনুগ্রহ প্রদান করা হয়েছে যেন তিনি “খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে প্রচার করেন।” কেনেথ ওউয়েস্ট নির্দেশ করেন “অজ্ঞেয়” বলে যে শব্দ গ্রীক থেকে অনুবাদ করা হয়েছে তার অর্থ হল, “যা কোন ভাবে অনুসরণ করা যায় না।” সুতরাং খ্রীষ্টের ধনের যে পূর্ণতা যাকে বলা যেতে পারে অতলস্পর্শ, “দুর্বোধ্য ঠিক সেই ভাবে যেটাকে সম্পূর্ণ ভাবে মানুষের দ্বারা বোধগম্য করা যায় না” (Kenneth S. Wuest, Ph.D., Wuest’s Word Studies, Eerdmans, 1975, volume I, p. 84).

বহু বৎসর কাল যাবত আমাকে বহুল অর্থপূর্ণ পালক ও শিক্ষকদের দ্বারা বলা হয়েছিল আমি যেন সাধারণ ভাবে সুসমাচারকে প্রচার না করি, নতুবা আমার লোকেরা আন্তরিকতাহীন খ্রীষ্টান হয়ে উঠবে। এই বিষয়টা আমি প্রায় দীর্ঘ দিন সময় পর্যন্ত বিশ্বাস করে এসেছি- বাস্তবে আমাকে যতক্ষণ পর্যন্ত না স্পারজিউনের সংবাদের একটা সেট তুলে দেওয়া হলো ততো দিন পর্যন্ত। বেশ কিছু সময় স্পারজিউনের সংবাদ পড়ার পরে, খ্রীষ্টের ওপরে প্রচার করার যে গভীরতা রয়েছে সেই বিষয়ে আমি বিস্মিত হয়ে পড়লাম। সুতরাং আমি চিন্তা করলাম যে সুসমচারকে যতো পন্থায় প্রচার করা যায় আমি তা প্রচার করবো, ঠিক যেমন ভাবে স্পারজিউন প্রচার করেছেন। চিন্তা করতে করতে আমি স্মরণ করলাম, “এই বিষয়টা আমি দীর্ঘ সময় ধরে করতে পারবো না। আমার কাছে ততোটা উপাদন নেই, আর আমার লোকেরাও এক ঘেয়েমিতে ভরে উঠবে।”

আমি কতটাই না ভ্রান্ত ছিলাম! বেশ কিছু বৎসর হয়ে গেলো আমি রবিবার দিনের সকাল ও সন্ধ্যায় সুসমাচার প্রচার করে আসছি। আর ইহা যেন মনে হচ্ছে আমি কেবল বাইরের দিকটাতেই আঁচর কাটছি! এখন আমার আর মনেই হয় না যে আমি সংবাদের যে উপাদান রয়েছে তার অভাব হবে, কেননা এখন আমি খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে প্রচার করছি যা অলভ্য, অতলস্পর্শ, দুর্বোধ্য “যার অতল গভীরে আপনি কোন দিন যেতে পারবেন না” খ্রীষ্টের সে ধন! সাহায্য করুন! খ্রীষ্টের ধনের বিষয়ে এতো কিছু রয়েছে যার সমস্ত কিছুকে আমরা কোনদিনই শেষ করতে পারবো না-আর তা এমন কি এক শত বৎসরের মধ্যেও!

আমরা ক্রমাগত ভাবে খ্রীষ্টের সুসমাচার আমাদের লোকেদের আন্তরিকতাহীন করছে বলে বলতে শুণবো- যেম্ন ভাবে আমাকে বলা হয়েছিল ? মোটেই নয়! আমাদের মধ্যে বেশ কিছু চমৎকার খ্রীষ্টিয়ান রয়েছেন যাদের আপনি জগতের অন্য কোন জায়গাতে পাবেন না! এটা দর কষাকষির মতো কোন বিষয় নয়। ইহাই হল সরল সত্য! আজকে জগতে আমাদের মধ্যে বেশ কিছু পরাক্রম শীল খ্রীষ্টিয়ান রয়েছেন। আর তারা সুসমাচার প্রচারে রুপান্তরিকৃত হয়েছেন। সুসমাচারের প্রচারেই তারা পোক্ত। আর তারা পরাক্রমশীল হয়ে ওঠেন সুসমাচার প্রচারের দ্বারা! পৌল যখন এই কথা বলছেন তখন আমি কেবল সেই কথাগুলো বোঝার চেষ্টা করছি,

“কেননা আমি মনে স্থির করিয়াছিলাম আর কিছুই জানিবো না তোমাদের থেকে, কেবল যীশু খ্রীষ্টকে, এবং তাহাকে ক্রুশে হত বলিয়াই জানিব” (১ম-করিনথিয়ান্স ২:২).

আমরা পরিত্রাণ লাভ করিয়াছি খ্রীষ্টে বিশ্বাস করিয়া ও যিনি ক্রুশারোপিত তাঁর দ্বারা। ক্রুশারোপিত খ্রীষ্টের অনুগ্রহরুপ বিশ্বাসেই আমরা বৃদ্ধি লাভ করি। ক্রুশারোপিত খ্রীষ্টের উপরে বিশ্বাস করার দ্বারাই আমরা পবিত্রকৃত হয়েছি। খ্রীষ্ট হলেন, “আলফা ও ওমেগা, শুরু এবং শেষ” (প্রকাশিত বাক্য১:৮)। খ্রীষ্ট হলেন আমাদের “বিশ্বাসের আদিকর্তা ও [সেই] সিদ্ধিকর্তা” (হিব্রুজ ১২:২)। গতরাত্রে আমি যেভাবে প্রচার করেছি, খ্রীষ্ট “...যিনি হইয়াছেন আমাদের জন্য ঈশ্বর হইতে জ্ঞান, ধার্মিকতা, ও পবিত্রতা, এবং মুক্তি” (১ম করিনথিয়ান্স ১:৩০)। যেহেতু আমাদের উদ্ধার, পবিত্রকরণ,এবং গৌরবাণ্বিত হওয়ার সম্পূর্ণ কর্মপরিধি খ্রীষ্টের মধ্যে বিদ্যমান – তাই এর জন্য সত্য সত্যই খুব বেশী করে এই বিষয়ে প্রচার করার প্রয়োজন আমাদের নেই! মিঃ গ্রীফিথ এই সবে মাত্র এক পুরাতন জার্মান সংগীত গাইলেন যা অনুবাদ করা হয়েছে ইংরাজীতে,

সকালের আকাশ যখন চমকায় আমার হৃদয় চিৎকার করে জাগরিত হয়ঃ
যীশু খ্রীষ্টের নাম প্রশংসিত হোক!
সেই মতোই কাজে ও প্রার্থনায়, যীশুর প্রতি নিজেকে পুণরুদ্ধার করিঃ
যীশু খ্রীষ্টের নাম প্রশংসিত হোক!

নিদ্রা যখন তার মলমকে উপেক্ষা করে, আমার শান্ত আত্মা আকুল হয়,
আমার যীশু খ্রীষ্ট প্রশসিংত হোক!
যখন পাপ আমাকে নিপিড়ন করে, এই দিয়ে আমি বক্ষ রক্ষা করি,
আমার যীশু খ্রীষ্ট প্রশসিংত হোক!

দুঃখ কি আমার মনকে পূর্ণ করবে? এখানেই আমি শ্বান্তনা খুঁজে পাই,
আমার যীশু খ্রীষ্ট প্রশংসিত হোক!
বা জাগতিক সুখ যখন ম্রিয়মান হয়? তখন পর্যন্ত আমার শ্বান্তনা এটাই,
আমার যীশু খ্রীষ্ট প্রশংসিত হোক!

এই হোক, জীবন যখন আমার, আমার [আনন্দ গীত] হোল ঐশ্বরিকঃ
যীশু খ্রীষ্ট যেন প্রশংসিত হয়!
চিরকাল সর্ব সময়ে জন্য এই শ্বাশ্বত সঙ্গীত গাওঃ
যীশু খ্রীষ্ট যেন প্রশংসিত হয়!
(“May Jesus Christ Be Praised,” author unknown; translated from the
      German by Edward Caswall, 1814-1878).

অথবা,গতরাত্রে মিঃ গ্রীফিথ যেমন ভাবে গেয়েছেন,

যীশু খ্রীষ্ট আমায় বানিয়েছেন, আমার জন্য সব করেছেন, আমার জন্য সব করেছেন।
তিনি একাই আমার সমস্ত উত্তর,সমস্ত কিছুতেই তিনি।
প্রজ্ঞা, ধার্মিকতা এবং পরাক্রম, পবিত্রতা এই ক্ষণে,
আমার উদ্ধার পূর্ণ ও স্বাধীন, তার সমস্ত কিছুতেই তিনি আমার যা প্রয়োজন!
(“All I Need,” author unknown; copyright 1965 by Dr. John R. Rice in
      “Revival Specials No. 2”).

আমি যখন এই প্রজেক্টের প্রতি তাকিয়ে সুসমাচারকে বহু দৃষ্টিকোণ থেকে প্রচার করার চেষ্টা করি, তখন আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে আমার এই সংবাদ হয়তো ইণ্টারনেটে সামান্য আবেদন রাখবে। কিন্তু এখন আমি অনেকের দ্বারা উৎসাহিত যারা এই সংবাদ পড়েছেন। দৃষ্টান্ত স্বরুপ, গত মাসে প্রায় ১০০,৯৮৯ জন আমাদের ওয়েব সাইটে “তালিকাকে” স্পর্শ করেছেন, আর আমাদের কাছে বহু উৎসাহব্যাঞ্জক ই-মেইল এসেছে। গত মাসে ইন্দোনেশিয়া থেকে এক মিশনারী নিম্নলিখিত সংবাদ আমার কাছে প্রেরণ করেছেন, আমার তিয়াত্তর-তম জন্ম দিন উপলক্ষে। এটা আপনাদের পড়তে আমার দ্বিধা হচ্ছে কেননা মনে হবে যে আমি গর্ব অনুভব করছি। কিন্তু ইহা ছিল খুবই চমৎকার তাই আমি অনুভব করলাম ইহাকে আলোচনা করাই ভালো। ইংরাজী তার প্রথম মাতৃভাষা নয়। তিনি ইন্দোনেশিয় ভাষায় কথা বলেন। সুতরাং আমাকে মুগ্ধ করার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তাকে লেখার প্রতি যথেষ্ঠ সময় নিতে হয়েছে।

         আপনার সুসমাচার বারংবার সেই বিষয়ে বলে উঠেছে এক সিমফনির মতো, ঠিক যেমন বিথোভেনের পঞ্চম সঙ্গীতের মতোই। সেই বিষয়বস্তু বার বার পুণরাবৃত্তি হয়। আপনার সংবাদের মধ্যে রক্ত এবং খ্রীষ্টের প্রায়শ্চিত্ত, এবং রুপান্তর করণের বিষয়, বার বার পরিলক্ষিত হয়। আপনি আবার “সিদ্ধান্তবাদ” ও বর্তমান দিনের মন্ডলীর মধ্যে বারংবার স্বধর্মত্যাগের বিরুদ্ধে প্রচার করেছেন। এই নির্ধারিত রচনা ঠিক যেন বিথোভনের পঞ্চম সংগীতের মতোই বার বার পুণরাবৃত্ত হয়েছে। আর এটা বার বার সব সময়েই দৃষ্ট হয়েছে।
         আপনার সংবাদ আমাদের কানে যেন অনুরণণ ধ্বনি তোলে আর আমাদের বার বার স্মরণ করিয়ে দেয় যে এই জীবন ও সুযোগ যেন খুব শীঘ্র অতিক্রম করে যাবে। সুতরাং এখানে যখন সুযোগ রয়েছে তখনই অতি অবশ্যই ক্রমাগত ভাবে খ্রীষ্টকে প্রচার করতে হবে। আমাদের জীবন ও সুযোগ যেন ঠিক শুকনো পাতার মতো যা কান্ড থেকে শীঘ্রই আলাদা হয়ে যাবে, তার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে, আর তাদের স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্য উড়ে যাবে, সাপের নাচের মতো, বাতাসের ছন্দ অনুসরণ করার মতো, আর তার পরে চিরকালের জন্য ক্ষয় লাভ করে শেষ হয়ে যাবে। প্রথমেই আমরা দেখি আর স্বাধীনতাকে উপভোগ করি, কিন্তু সেই সময় খুব শীঘ্রই অতিক্রান্ত হবে আর স্বাধীনতা হবে অদৃশ্য, আমরা যতক্ষণ পর্যন্ত না উপলব্ধি করতে পারছি যে আমাদের জীবন আর ফলপ্রসূ নয় আর ঈশ্বরের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা যেন সুযোগ সুবিধা হারিয়ে ফেলেছি।
         আপনার সংবাদ আমাদের কানে প্রতিধ্বনিত হয় আর তা আমাদের বার বার স্মরণ করিয়ে দেয় যেন কেবল দর্শক বা শ্রবণকারী না হয়ে, বাক্যের কার্য্যকারী হই, খ্রীষ্টের বাক্য প্রচারকারী ব্যাক্তি হই। আমাদের জীবন ও সুযোগ সুবিধা যেন রং বেরংএর সুন্দর মেঘধনুর ন্যায় যা আমাদের চক্ষুকে হতভম্ব করে উদাসীন করে তোলে; কিন্তু ঝড় যেন তার সমস্ত সৌন্দর্য্যতা ও অস্তিত্ত্বকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। সুসমাচার প্রচার করার জন্য অনেক সময় অনেক আশ্চর্য্যজনক সুযোগকে দেখি, কিন্তু আমরা যেন পরিতৃপ্ত হয়ে ইহার সৌন্দর্য্যতার প্রতি এক দৃষ্টে চেয়ে থাকি, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমাদের কাছে সতর্কীকরণ আসছে। কিন্তু সেই চমৎকার সুযোগ চলে গিয়েছে আর নিতান্ত ফাঁকা ছাড়া কিচ্ছু পড়ে নেই। আমাদের সময় প্রদান করা হয়েছে যেন হারানোদের কাছে পৌঁছাই। যদিও সেখানে অনেক বাধা রয়েছে, তথাপি অনেক কিছু উন্মুক্ত। তাদের মধ্য থেকে যারা আমাদের প্রচারকে প্রত্যাখান করেছে, নিশ্চিত ভাবেই সেখানে সব সময়েই কেউ না কেউ রয়েছে যারা খ্রীষ্টকে গ্রহণ করেছে।
         আপনার সংবাদ আমাদের কানে যেন অনুরণনকারী যুক্তি তুলে ধরে ও আমাদের বার বার স্মরণ করিয়ে দেয় সেই বিষয় অনুভনব করতে যে কাজ করার জন্য আমাদের যে সামর্থ তা প্রায় দুর্বল হয়ে গিয়েছে। আমাদের পরিবর্তন করার প্রতি আমাদের জীবন ও তার মধ্যে যে সুযোগ তা যেন গর্জনকারী ঢেউয়ের মতো, আমাদের প্রতিস্পর্দ্ধা দেখায়, কিন্তু আমাদের সেই সামর্থ শীঘ্রই অদৃশ্য হয় আর তা কোমল শব্দকারী ক্ষুদ্র ঢেঊয়ে রুপান্তরিত হয় যখন তা তীরে এসে আছাড় খায়- ঠিক কাজ করার প্রতি আমাদের যে সিদ্ধান্ত, যা সব সময়ের জন্য সুস্থির নয়। কোন কোন সময়ে যেন অত্যন্ত উত্তেজিত, কিন্তু প্রায় সময়ে আমরা নিদারুণ হতাশ অনুভব করি এবং কাজকে পরিত্যাগ করি। আত্মা যখন আমাদের মনের মধ্যে প্রজ্বলিত হচ্ছে, তখন সেই অগ্নি যেন ক্রমাগত ভাবে আমাদের প্রচার ও সেবাকাজকে উত্তেজিত করতে থাকে। আমাদের উদ্বিপ্ত করে তোলার জন্য আপনার সংবাদে আমাদের কানের মধ্যে যুক্তি প্রদর্শন করে আমাদের উদ্বুদ্ধ করে থাকে, ঠিক যেমন ভাবে প্রেরিতবর্গ বলেছেন, “কার্য্যে শিথিল হইও না; আত্মায় উত্তপ্ত হও; প্রভুর পরিচর্যা কর” (রোমিয় ১২:১১).
         আপনার সংবাদ সব সময়েই আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যেখানে ঈশ্বরের বাক্য বলেছে, “মানবগন, যাহাদের আয়ু তৃণ সদৃশঃ যেমন মাঠের পুষ্প, মাঠেই সে প্রফুল্ল হয়। বায়ু যখন তার ওপর দিয়ে বহে, তখন সে আর নাই; তাহার স্থানও তাহাকে আর চিনিবে না” (গীতসংহিতা ১০৩:১৫-১৬).
         আপনার সংবাদের জন্য ধন্যবাদ। ধন্যবাদ দিই আপনার ভাবাবেগের জন্য যা আমাদের সব সময় প্রবিষ্ট করে, আমাদের বল দেয় ক্রমাগত ভাবে সুসমাচার প্রচার করার বিষয়ে। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আপনি যা কিছু করেন সেই সমস্ত কিছুর জন্য আমাদের প্রভু ও পরিত্রাতা, যীশু খ্রীষ্টের জন্য ।
         আপনার জন্মদিন সুখের হোক, প্রিয় পালক। ঈশ্বর আপনাকে এবং আপনার পরিবার ও সকলকে আশীর্বাদ করুন।
পরিচর্যা ক্ষেত্রে আপনার পুত্র,
এডি।

এই আন্তরিকতা পুর্ণ সংবাদটি আমাকে পাঠিয়েছিলেন ইন্দোনেশিয়ার এক বিশ্বস্ত মিশনারী। ইহা আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল, আর আমি চাইছিলাম ইহাকে আপনাদের সংগে আলোচনা করার জন্য। হ্যাঁ, আমাদের অতি অবশ্যই সুসমচারের সংবাদকে প্রচার করতে হবে। আর “খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধনের বিষয়ে” আমাদের অতি অবশ্যই শ্রম করতে হবে উদ্দীপনা সহকারে তা ঘোষণা করার জন্য।

আমি বিশ্বাস করি প্রতিটি খ্রিষ্টিয়ানের প্রয়োজন রয়েছে যেন এই সুসমাচারকে তারা প্রায় সময়ে শোণেন। “খ্রীষ্টের অজ্ঞেয় ধন” কেবলমাত্র অবিশ্বাসীদের প্রতি দেওয়া হয় নি। প্রসঙ্গত, ইফিষিয়দের প্রতি পত্রে এই ভাবে লেখা হয়েছে “ইফি যে স্থি্‌ত পবিত্র, ও খ্রীষ্ট যীশুতে বিশ্বাসী জনগণ সমীপে” (ইফিশিয়ানস ১:১)। এই বৃহৎ পত্রের মধ্যে প্রেরিত পৌল সুসমাচারের বিষয়ে বহু বিষয় তুলে ধরেন। বাইবেলের মধ্যে ইহা হল আমার পছন্দের বই কেননা ইহা যীশুকে এতটা ভালো ভাবে উচ্চকৃত করে, এবং সুসমাচারকে অতি স্বচ্ছভাবে ঘোষণা করে। আর প্রেরিত এই খ্রীষ্টিয়ানদের উৎসাহ প্রদান করেন তাদের মধ্যে এই কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়ার দ্বারা যে তাদের উদ্ধার করার জন্য যীশু কি না করেছেন। এখানে আমার পছন্দের দুটি পদ উল্লেখ করলাম।

“তৎকালে তোমরা খ্রীষ্ট হইতে ভিন্ন, ইজ্রায়েলের প্রজাধিকার বহিস্থ এবং প্রতিজ্ঞা যুক্ত নিয়মগুলির অসম্পর্কীয় ছিলে, তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বর বিহীন ছিলেঃ কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে পূর্বে দূরবর্তী ছিলে যে তোমরা খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা নিকটবর্তী হইয়াছো” (এফেশিয়ানস ২:১২-১৩).

প্রত্যেক খ্রীষ্টিয়ানকে বার বার সুসমাচার শোণার প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে যে একটা সময় ছিল যখন আমাদের কোন আশা ছিল না, আর আমরা জগতে ঈশ্বর বিহীন অবস্থায় ছিলাম। আমাদের স্মরণ করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে “খ্রীষ্টের রক্তের দ্বারা আমরা তাঁর নিকটবর্ত্তী হয়েছি।”

আমি রেভারেন্ড ওয়ারেন পিল, যিনি হলেন নিউটাউনএ্যাবির ট্রিনিটি প্রেসবাইটেরিনিয়ান মন্ডলীর পালক, উত্তর আয়ারল্যান্ডের তার আশ্চর্য্য উপদেশ ও সংবাদ গুলো পড়ছিলাম। ট্রুথ ম্যাগাজিনে শিরোনামে যে সংবাদ মুদ্রিত হয়েছে সেখানে রেভারেন্ড পিল নির্দেশ করেন সমস্ত খ্রীষ্টিয়ান, এমন কি পালকদেরও, প্রায় সময়ে সুসমাচার শোণার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলছেন, “আমাদের সব সময়ই সুসমাচার শুণতে হবে এবং আমাদের জীবনে প্রতিদিন ইহাকে বিশ্বাস করতে হবে” (Banner of Truth Magazine, August/September 2013, p. 4). ওহ! বাইবেল সমাবেশে তিনি প্রচারকদের উদ্দেশ্যে এই কথা বলেন! “আমাদের অতি অবশ্যই সুসমচার শুণে প্রতি নিয়ত আম,আমাদের জীবনে তা বিশ্বাস করতে হবে।” সেটাই হল ভালো বিষয়, প্রচারক! ইহা বলার জন্য ধন্যবাদ! তার এই সংবাদ যখন আমি পড়েছি, তখন তার আটটি কারণ আমি সংক্ষেপে লিপিবদ্ধ করেছি যে কেন নূতন জন্ম প্রাপ্ত খ্রীষ্টিয়ানদের প্রায় সময় সুসমাচার শোণার প্রয়োজন রয়েছে, আর এই বিষয়ে প্রত্যেক দিন চিন্তা করতে হবে! বিষয় গুলো এখানে এই প্রকার। তাতে কোন নির্দিষ্ট বিন্যাস দেওয়া হয় নি। আমি তাদের বিষয়ে যেমন ভাবে চিন্তা করেছি সেগুলো এই ভাবে লেখা হয়েছে। হতে পারে আপনি এর থেকে বেশি কিছু চিন্তা করবেন। কেন খ্রীষ্টিয়ান লোকেদের সুসমাচার শোণার প্রয়োজন তার তালিকা ও যুক্তি এখানে দেওয়া হল।

১. সুসমাচার আমাদের অপরাধ অনুভব করা থেকে স্বাধীন করে।
(পালক পিল এই বিষয়টী তার সংবাদে তুলে ধরেন)।

২. সুসমাচার আমাদের ভবিষ্যতের প্রত্যাশা দেয়- কেননা খ্রীষ্ট মৃত্যু
থেকে পুণরায় জীবিত হয়েছেন ও আবার ফিরে আসছেন!

৩. সুসমাচার আমদের বিশ্রাম প্রদান করে।
(যীশু বলেছেন,“আমি তোমাদের বিশ্রাম দেব,” ম্যাথুজ ১১:২৮)।

৪. সুসমাচার আমাদের শয়তানের উপরে শক্তি প্রদান করে।
(“আর তারা মেষ শাবকের রক্তে বিজয়ী হবে,” প্রকাশিত বাক্য ১২:১১)।

৫. সুসমাচার আমাদের প্রর্থনায় নিশ্চয়তা দেয়। (“সুতরাং,হে ভাতৃগণ,
যীশুর রক্তের গুণে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করিতে সাহস প্রাপ্ত হইয়াছি,”
হিব্রুজ ১০:২০)।

৬. সুসমাচার আমাদের দুঃখভোগের সময়ে সামর্থ প্রদান করে। (“আর
সমস্ত অনুগ্রহের ঈশ্বর, যিনি তোমাদিগকে খ্রীষ্টে, আপনার অনন্ত
প্রতাপ প্রদানার্থে আহবান করিয়াছেন, তিনি আপনি তোমাদের
ক্ষণিক দুঃখভোগের পর, তোমাদিগকে পরিপক্ক, সুস্থির, সবল,ও বদ্ধ
মূল করিবেন,” ১ম- পীটার ৫:১০)।

৭. যে কাজ আমরা সম্ভব বলে চিন্তা করিনি তা সম্পন্ন করার প্রতি
সুসমাচার আমাদের সামর্থ প্রদান করে তা সম্পন্ন করার প্রতি।
(“যিনি আমাকে শক্তি প্রদান করেন সেই খ্রীষ্ট যীশুর দ্বারা আমি
সকলই করিতে সমর্থ,” ফিলিপিয় ৪:১৩)।

৮. সুসমাচার আমাদের আস্থা প্রদান করে যে আমরা অনুগ্রহে বৃদ্ধিলাভ
করবো। (“ইহাতেই আমার দৃঢ় প্রত্যয়, এই যে তোমাদের অন্তরে
যিনি উত্তম কার্য্য আরম্ভ করিয়াছেন তিনি যীশু খ্রীষ্টের দিন পর্যন্ত
তাহা সিদ্ধ করিবেন,” ফিলিপিয় ১:৬)।


বেশ কিছু সপ্তাহ আগে আমি একটা সংবাদ প্রচার করেছি যার নাম “আমার প্রারম্ভিক জীবন।” একজন যুবক ব্যাক্তি হিসেবে যে সমস্ত কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে আমি গিয়েছি সেই বিষয়ে আপনাদের কাছে বলেছি। দিয়াবল সেই সংবাদকে এক যুবক ব্যাক্তির মনের মধ্যে অন্য রকম ভাবে পৌঁছিয়েছিল। সেই যুবক ব্যাক্তি পরবর্ত্তী সময়ে আমাকে বলেছিলেন তার পক্ষে সেই সমস্ত কষ্টকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য যে ভয় রয়েছে সেই জন্য যীশুর প্রতি নির্ভর করতে তিনি দ্বিধা অনুভব করছিলেন। দেখুন শয়তান কিভাবে বিষয়কে বদলে দিতে পারে! আমার সংবাদের যে নির্দেশ তা ছিল প্রভু যীশু খ্রীষ্ট আমাকে সামর্থ প্রদান করেছেন সেই সমস্ত মুহুর্তের মধ্য দিয়ে যাওয়ার জন্য। আর খ্রীষ্ট আপনাকে সামর্থ প্রদান করবেন যেন সমস্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্য দিয়ে যেতে আপনি সক্ষম হোন। আপনার পাপ থেকে মন পরিবর্তন করে, যীশুর প্রতি ফিরুন! তাঁর রক্তের দ্বারা আপনার পাপ সকল ধুয়ে দেবেন আর আপনাকে এক নূতন ও অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল জীবন প্রদান করবেন যেখানে আপনি কোন সময়ে তাঁকে ছাড়া থাকবেন না! বাল্যকালে এই গানটা আমি গাইতে শিখেছি তাঁর উল্লেখ এখানে করলাম,

পরিত্রাতার কাছে আসার জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম,
আমার বিবাদ ও পাপকে ত্যাগ করেছিলাম;
তিনি হলেন প্রকৃত ব্যাক্তি, তিনিই হলেন ন্যায়ী ব্যাক্তি,
তাঁরই মধ্যে জীবনের সমস্ত ভাব রয়েছে।
আমি তাঁর কাছে ছুটে আসবো, অত্যন্ত আনন্দিত ও মুক্তভাবে ছুটে আসবো,
যীশু, মহান, উচ্চপদস্থ, আমি তোমার কাছে আসবো।
(“I Am Resolved” by Palmer Hartsough, 1844-1932).

আপনার পাপ থেকে ফিরুন আর আজই যীশুতে নির্ভর করুন! আপনি কোন সময়ে পশ্চাৎতাপ করবেন না! আর তারপরে আপনার পরবর্তী সমুদয় জীবনে প্রতিদিন সুসমাচার নিয়ে চিন্তা করুন। আপনার পাপের প্রায়শ্চিত্ত সাধন করার প্রতি যীশু ক্রুশের উপরে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমাদের সমস্ত প্রকার পাপ থেকে পরিষ্কার করয়ার জন্য যীশু তাঁর রক্তকে ঝরিয়েছেন। আমাদের জীবন প্রদান করার প্রতি যীশু শারিরীকভাবে মৃত্যু থেকে পুণরুত্থিত হয়েছেন! পাপের পথ ছেড়ে যীশুতে নির্ভর করুন! আপনার আর কোন মনস্তাপ থাকবে না!

যীশুর উপরে নির্ভর করার প্রতি আপনি যদি আমাদের সাথে কথা বার্তা বলতে চান, আর প্রকৃত এক খ্রীষ্টিয়ান হতে চান, তবে অনুগ্রহ করে আপনার স্থান ত্যাগ করে এই অডিটরিয়ামের পিছনে চলে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে আরো একটা ঘরে নিয়ে যাবেন যেখানে আপনি প্রার্থনা ও কথা বলতে পারেন। ডাঃ চ্যান, অনুগ্রহ করে প্রার্থনা করুন যাতে কোন একজন আজকের সকালে যীশুতে নির্ভর করতে পারে। আমেন।

(সংবাদের পরিসমাপ্তি)
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net - আপনি
তাকে পত্র লিখতে পারেন P.O. Box 15308, Los Angeles, C A 90015.এই ঠিকানায়
। আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (818) 352-0452.

এই সুসমাচারের ম্যানুস্ক্রিপ্ট এর ওপর ডাঃ হাইমসের কোন কপিরাইট নেই। আপনারা
ইহা ব্যাবহার করতে পারেন ডাঃ হাইমসের অনুমতি ছাড়াই। অবশ্য, ভিডিও মেসেজ
সবই কপিরাইটের সহিত আছে এবং কেবলমাত্র তার অনুমতি নিয়েই ব্যাবহার করা যাবে।

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মেঃ এ্যাফেসিয়ানস ৩:১-৮.
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“May Jesus Christ Be Praised” (author unknown; translated by Edward Caswall, 1814-1878).