Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




আগমণকারী রাজা

THE COMING KING
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৩ সালে ৪-ঠা আগষ্ট, সদাপ্রভুর এক সকালে, লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট
ট্যাবারনেকেলে এক সংবাদ প্রচারিত হয়
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, August 4, 2013

“তখন পীলাত তাঁহাকে বলিলেন, তুমি কি তবে রাজা? যীশু উত্তর করিলেন, তুমিই বলিতেছ যে আমি রাজা। আমি এই জন্যই জন্ম গ্রহণ করিয়াছি, এবং আমি এই জন্য এই জগতে আসিয়াছি, যেন আমি সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিই” (যোহান ১৮:৩৭)


এই সংবাদটি সংক্ষিপ্ত করে প্রকাশিত এক বিশেষ সংস্করণের যা একবার ডাঃ ডব্লুউ.এ.ক্রিসওয়েল প্রচার করেছিলেন, ডালাসের প্রথম ব্যাপটিস্ট মন্ডলীর এক সম্ভ্রান্ত পালক এবং পরে এমেরিটাস পালক হিসেবে, যিনি টেক্সাসে ছিলেন ৫৭ বৎসর যাবৎ, ১৯৪৪ থেকে তার মৃত্যু পর্যন্ত, যেটা ঘটে জানুয়ারী ২০০২-এ, যখন তাঁর বয়স হয়েছিল ৯২। তার সংবাদ্গুলি ছিল চমকিত করবার মতো। যতবার তার প্রচার আমি শুণেছি আমার হৃদয় ভরে গিয়েছিল। তাকে আমি বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় অর্দ্ধাংশের মধ্যে তিনজন প্রচারকেদের মধ্যে এক অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রচারক বলে বিবেচনা করি।আর আজকে সকালে ডাঃ ক্রিসওয়েলের প্রকাশনকারী সংস্করণের এক মহা সংবাদ যার শিরোনাম “আগমনকারী রাজা” নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য। অনুগ্রহ করে আপনার বাইবেলে যোহান ১৮:৩৭ খুলুন, আর ঈশ্বরের বাক্য পড়ার জন্য উঠে দাঁড়ান।

“তখন পীলাত তাঁহাকে বলিলেন, তুমি কি তবে রাজা? যীশু উত্তর করিলেন, তুমিই বলিতেছ যে আমি রাজা। আমি এই জন্যই জন্ম গ্রহণ করিয়াছি, এই জন্য এই জগতে আসিয়াছি, যেন সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিই” (যোহান ১৮:৩৭)

আপনারা বসতে পারেন।

রোমিয় রাজ্যপাল,পন্তীয় পিলাতের সামনে যীশু দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি যেন এখানে অবজ্ঞার পাত্র। তাঁর মাথাতে একটি কাঁটার মুকুট জোর করে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, আর তাঁর মাথা ও মুখ বেয়ে রক্ত যেন অঝোর ধারায় ঝরে পড়ছে। বহু সংখ্যক রোমিয় চাবুকের মারে তাঁর পিঠ থেকে রক্তের সংগে মাংস পিণ্ড যেন খসে পড়ছে। অবিশ্বাসী কণ্ঠে, পিলাত বলে উঠলেন, “তবে তুমি কি রাজা?” যীশু বেশ জোরের সাথেই যে ভাবে গ্রীক ভাষায় তা ব্যাক্ত করা হয়, সেই প্রশ্নের পুণরুক্তি করলেন। “তুমিই বলিতেছ যে আমি রাজা। আমি এই জন্যই জন্মগ্রহন করিয়াছি,এই কারণেই এই জগতে আসিয়াছি” (যোহান ১৮:৩৭)। যীশু হলেন পরিত্রাতা, সেই মশিহা, এবং একমাত্র রাজা!

এক শর্তবিহীন চুক্তির মধ্যে, সদাপ্রভু ঈশ্বর প্যালেস্তাইন দেশে এব্রাহামের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ইজ্রায়েলীয় বংশের নাম চিরকাল থাকবে। এই বিষয়ে আমরা গীতসংহিতা ১০৫-এ সেই বিষয়ে পড়ি,

“তিনি আপন নিয়ম চিরকাল স্মরণ করেন, সেই বাক্য যা তিনি সহস্র পরম্পরার প্রতি আদেশ করিয়াছেন। সেই চুক্তি তিনি এ্যাব্রাহামের সহিত করিলেন, সেই শপথ আইজাকের কাছে করিলেন; তিনি তাহা জ্যাকবের জন্য বিধি বলিয়া স্থির করিলেন, আর ইজ্রায়েলের জন্য চিরকালীন নিয়ম বলিয়া দাঁড় করাইলেনঃ কহিলেন, আমি তোমাকে কনান দেশ দিব, আর সেটাই তোমাদের নির্ণীত অধিকার”(গীতসংহিতা ১০৫:৮-১১)

জগতের অন্য সমস্ত কিছু অন্যান্য জাতির জন্য, কিন্তু কনান দেশ, প্যালেস্তাইনের ভুমি, ইজ্রায়েল বংশের, যিহুদী জাতির জন্য। আর ইহা শর্তবিহীন চিরকালীন চুক্তি হিসাবে ঈশ্বর এ্যাব্রাহাম, আইজ্যাক এবং জ্যাকবের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন।

সেই একই ঈশ্বর সদাপ্রভু ডেভিডকে বলেছিলেন তার এক পুত্র হবে যে তার সিংহাসনে চিরকাল বিরাজ করবে, যার রাজত্বের সীমা থাকবে না। সদাপ্রভু ডেভিডকে বলেছিলেন,

“তোমার দিন সম্পূর্ণ হইলে, যখন তুমি আপন পিতৃলোকেদের সহিত নিদ্রাগত হইবে, তখন আমি তোমার পরে তোমার বংশকে, যে তোমার ঔরসে জন্মিবে তাহাকে স্থাপন করিব, এবং তাহার রাজ্য সুস্থির করিব... আর তোমার কুল ও তোমার রাজত্ব তোমার সম্মুখে চিরকাল স্থির থাকিবেঃ তোমার সিংহাসন চিরস্থায়ী হইবে”(২-য় স্যামুয়েল ৭:১২,১৬)

সেই একই ঈশ্বর সদাপ্রভু যিনি এ্যাব্রাহাম, আইজাক,ও জ্যাকবের কাছে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তারা কনান দেশকে লাভ করবে আর সেই একই ঈশ্বর সদাপ্রভু ডেভিডকে প্রতিষ্ঠা করলেন যিনি তার এক পুত্র লাভ করবেন যে ইজ্রায়েলের উপরে চিরকাল রাজত্ব করবে। আগামী দিনে যে রাজার আগমন হবে তিনি হবেন সেই পূর্ব পুরুষ ডেভিডের বংশ এবং তার উত্তরাধিকারীর বংশধারা থেকে। প্রচারক ঈশা ভবিষ্যবাণী করেছিলেন সেই শক্তিশালী, আগত রাজাকে, ডেভিডের সন্তান রুপে,

“কিন্তু যে দেশ পূর্বে যাতনা গ্রস্ত ছিল তাহার তিমির আর থাকিবে না, তিনি পুর্বকালে জেবুলুন দেশ এবং নাফতালি দেশকে তুচ্ছাস্পদ করিয়াছিলেন, কিন্তু উত্তরকালে সমুদ্রের নিকটবর্তী সেই পথ, জর্ডনের তীরস্থ প্রদেশ, জাতিগণের গালীলকে গৌরবান্বিত করিয়াছেন। যে জাতি অন্ধকারে ভ্রমণ করিত তাহারা মহা আলোক দেখিতে পাইয়াছেঃ যাহারা মৃত্যুর ছায়ার দেশে বাস করিত, তাহাদের উপরে আলোক উদিত হইয়াছে... কারণ একটি বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটি পুত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছেঃ আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্তভার থাকিবেঃ এবং তাঁহার নাম হইবে আশ্চর্যমন্ত্রী, বিক্রমশালী ঈশ্বর, সনাতন পিতা, শান্তিরাজ। ডেভিডের সিংহাসন ও তাঁহার রাজ্যের উপরে, কর্ত্তৃত্তবৃদ্ধির ও শান্তির সীমা থাকিবে না, যেন তাহা সুস্থির ও সুদৃঢ় করা হয়, ন্যায় বিচারে ও ধার্মিকতা সহকারে অনন্তকাল অবধি। বাহিনী গণের সদাপ্রভুর উদ্যোগ ইহা সম্পন্ন করিবে” (ঈশা ৯:১-২,৬-৭)

এই ভাববাণীর সাতশত এবং পঞ্চাশ বৎসর পরে, এক স্বর্গদূত যার নাম গাব্রিয়েল মরিয়াম নামে এক যিহুদী কুমারীর কাছে প্রকাশমান হল। সেই স্বর্গদূত তাকে বললো যে তিনি হবেন সেই ভবিষ্যৎকারী, পূর্ব অভিষিক্ত শিশুর, সেই আগত রাজার সেই ডেভিডের পুত্রের মাতা। সেই স্বর্গদূত বললো,

“আর দেখ, তুমি গর্ভবতী হইয়া, পুত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম যীশু রাখিবে। তিনি মহান হইবেন, আরা তাঁহাকে পরাৎপারের পুত্র বলা যাইবেঃ আর প্রভু ঈশ্বর তাঁহার পিতা ডেভিডের সিংহাসন তাঁহাকে দিবেনঃ তিনি জ্যাকব কুলের উপরে যুগে যুগে রাজত্ব করিবেন; ও তাঁহার রাজ্যের শেষ হইবে না। তখন মরিয়ম স্বর্গদূতকে কহিলেন, ইহা কিরুপে হইবে, আমি তো সেই পুরষকে জানি না? তখন স্বর্গদূত তাহাকে কহিলেন, পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবেন, এবং পরাৎপরের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করিবেঃ এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্র বলা যাইবে” (লিউক ১:৩১-৩৫)

এর নয় মাস পরে সেই সন্তান ভুমিষ্ঠ হন। কাছেই একটি মাঠে, বিস্ময়কারী মেষপালকদের সামনে, স্বর্গীয় দূতবাহিনীর এক বৃহৎ দল প্রকাশিত হয়ে স্তব করতে লাগলো, “উর্দ্ধলোকে ঈশ্বরের মহিমা, পৃথিবীতে (তাঁহার) প্রীতি পাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি” (লিউক ২:১৪)। সেই চুক্তি বা নিয়মের প্রতিজ্ঞাত রাজা পরিশেষে আগমন করলেন!

টিবেরিয়াস সীজারের পনেরো বৎসর সময়ে, ত্রিশ বছরের যীশু জর্ডন নদীতে স্নান করিয়া ব্যাপ্তিস্ম গ্রহণ করিলেন জোহান ব্যাপ্তাইজের দ্বারা। তাঁর মা মরিয়মের দ্বারা, নাথনের বংশের মধ্য দিয়া ডেভিডের পরিবারে অবতীর্ণ হন। মরিয়ামসের স্বামী, যোসেফের দ্বারা, সলোমনের লাইনের মধ্য দিয়া ডেভিডের বংশ থেকে বৈধভাবে অবতীর্ণ হলেন। বৈধ অধিকার এবং রক্তের উত্তরাধিকারী সূত্রে যীশু ছিলেন প্রতিজ্ঞাত রাজা!

সেই দিনে, ভাববাদী দানিয়েলের প্রতি গাব্রিয়েলের দ্বারা নিরুপিত যে সময়ের বিষয়ে ভবিষ্যবাণী করা হয়েছিল, যথাযথ পন্থায় জ্যাকেরিয়া যে ভাবে ভবিষ্যবাণী করেছিলেন, সেই ভাবেই প্রভু যীশু খ্রীষ্ট জেরুজালেমে প্রবেশ করলেন, সাধারণ ভাবে ও গাধার পিঠে চেপে, যেখানে তিনি নিজেকে নিয়ম বা চুক্তির রাজা হিসাবে উপস্থাপন করলেন, যিনি হলেন শান্তিরাজ। তিনি যখন জেরিজালেমের পবিত্র নগরীতে আসেন, তখন লোকেরা চিৎকার করতে থাকে, “ধন্য সেই রাজা, যিনি প্রভুর নামে আসিতেছেন, উর্দ্ধলোকে ঈশ্বরের কি মহিমা! ডেভিডের পুত্রের মহিমা!” লোকেদের চিৎকার থামাবার জন্য স্ক্রাইব ও ফরিশিরা যখন চেষ্টা করেছিল, তখন যীশু উত্তর করেন, “তোমাদিগকে কহিতেছি, ইহারা যদি চুপ করিয়া থাকে, প্রান্তর সকল চেঁচাইয়া উঠিবে” (লিউক ১৯:৪০)।

ঈশ্বরের মনোনীত লোকেদের জীবনে ইহা ছিল এক মহান চুক্তির দিন। ইতিহাসের মধ্যে ইহা ছিল চূড়ান্ত এক মুহুর্ত। চুক্তিকারী রাজার আগমন হয়েছে, যীশু, যিনি হলেন যিহুদীদের রাজা। কিন্তু সেখানে আরো কিছু রয়েছে।

১. প্রথম, তিনি হলেন প্রত্যাখ্যাত রাজা।

স্যানহেড্রিনের মধ্যে যীশু সাক্ষী দেওয়ার জায়গাতে দাঁড়ালেন, যা হল ইজ্রায়েলের উচ্চতম আদালত। তাঁর সম্মুখে মহা যাজক যিনি স্যানহেড্রিনের এই বিচার সভায় সভাপতিত্ব করছিলেন দাঁড়িয়ে। মহা যাজক প্রভুকে বললেন,

“আমি তোমাকে জীবন্ত ঈশ্বরের নামে দিব্য দিতেছি, আমাদিগকে বল দেখি তুমি কি সেই খ্রীষ্ট, ঈশ্বরের পুত্র? যীশু উত্তর করিলেন, তা তো তুমি বলিলেঃ যাহা হউক আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, এর পরে তোমরা মনুষ্য পুত্রকে পরাক্রমের দক্ষিণ পার্শ্বে বসিয়া থাকিতে,এবং স্বর্গের মেঘের মধ্যে আসিতে দেখিবে” (ম্যাথুজ ২৬:৬৩-৬৪)

প্রভু যখন এই কথা বললেন, তখন মহা যাজক নিজের বস্ত্র ছিঁড়ে ফেললেন আর স্যানহেড্রিন বা বিচার সভার উদ্দেশ্যে বললেন, “তোমরা তার মুখে ঈশ্বর নিন্দা শুণলে। তোমরা এখন কি বলতে চাও?” তখন তারা চিৎকার করে বলতে লাগলো, “ওকে ক্রুশে দাও, ক্রুশে দাও!”

সেই সময়ে দেশের সাজা স্যানহেড্রিনের হাত থেকে, রোমিয় ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধির উপরে অর্পন করা হয়েছিল। সুতরাং, যিহুদীরা, যীশুকে পন্তিয়াস পীলাতের কাহে নিয়ে গেলেন ও বলতে থাকলেন যে, “তিনি বলছেন তিনি নাকি রাজা।” প্রভু যীশু সেখানে তখন দাঁড়িয়ে ছিলেন, নম্র ভাবে, ধৈর্য্য সহকারে, নীরবে। পীলাত তখন তাঁকে বললেন, “ও ? একজন রাজা?” “হ্যাঁ, তিনি নিজেকে খ্রীষ্ট বলছেন, একজন রাজা। তিনি রাজদ্রোহিতা ও দেশদ্রোহিতায় অভিযুক্ত।” পীলাত বললেন, “আমি তাঁকে চাবুক মেরে ছেড়ে দেব।”

আর তাই রোমিয় সৈন্যদল তাঁকে মারলেন, অবজ্ঞা করলেন এই দোষে যে তিনি যিহুদী এবং নিম্ন নাজারেন, তাঁকে কাঁটার মুকুট পড়িয়ে দিলেন, একটা বেগুনি বস্ত্র তাঁর কাঁধে উড়িয়ে দিলেন, রাজিকীয় কর্ত্তৃত্তের নিদর্শন অনুসারে তাঁর হাতে একটা দণ্ড দিলেন, আর তাচ্ছিল্যের সংগে তার সামনে নতজানু হয়ে, বলতে থাকলেন, “ হে যিহুদীদের রাজা, নমস্কার।”

পীলাত তাঁকে ভয়ানক পীড়িত ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখলেন, এক ভয়ানক রুপ যার শরীরের মধ্যে রয়েছে কাঁটার মুকুট এবং এক নোংরা, ছেঁড়া, জীর্ণ কাপড়ের এক টুকরো পরানো, তাঁকে লোকেদের কাছে নিয়ে এনে বলা হল, “ এই দেখুন আপনাদের রাজা!” তারা উত্তর করে বলে উঠলো, “সীজার ছাড়া আমাদের অন্য কোন রাজা নেই। ওকে ক্রুশে দাও!”

এক রকম ভয়েই, পন্তিয়াস পীলাত তাঁকে সৈন্যদের হাতে সমর্পন করলেন যারা তাঁকে কালভেরী পর্বতে নিয়ে গিয়ে ক্রুশের উপরে পেরেক দ্বারা বিদ্ধ করে, ক্রুশারোপিত করেন। কিন্তু তার মাথার উপরে পীলাত তকমাও এই ভাবে লিখে সেঁটে দিলেন, “এই সেই যিশু, এক রাজা।” ফরিশিরা বললেন, “এই ভাবে লিখবেন না, ‘এই যীশু হলেন রাজা।’ বরং লিখুন ‘এই সেই যীশু, যিনি নিজেকে রাজা বলেন।”’ পিলাত উত্তর করে বললেন, “আমি যা লিখেছি তা লিখে দিয়েছি।” এক রাজা হিসাবেই যীশু ক্রুশারোপিত হন,এবং তিনি এক রাজা হিসাবেই মারা যান-এক প্রত্যাখ্যাত রাজা। “তিনি তাঁর নিজের লোকেদের কাছে এলেন, কিন্তু তাঁর নিজের লোকেরা তাঁকে গ্রহণ করলেন না” (যোহান ১:১১)।

২. দ্বিতীয়, তিনি হলেন এক নির্বাসিত রাজা।

যীশু যখন ক্রুশের উপরে মারা যান, তখন শয়তান নিশ্চয়ই আনন্দ করছিল! ইহা মনে হচ্ছে যেন শয়তান সেই সমস্ত স্ক্রাইব আর ফরিশিদের মুখ মারফত চিৎকার করে চলেছিল,

“ওই ব্যাক্তি অন্য অন্য লোকেদের রক্ষা করিত; আপনাকে রক্ষা করিতে পারিল না। যদি তিনি ইজ্রায়েলের রাজা হোন, তাহা হহিলে এখন ক্রুশ হইতে নামিয়া আসুন” (ম্যাথুজ ২৭:৪২)

আমি শুণতে পাচ্ছি শয়তান সেই সমস্ত স্ক্রাইব, ফরিশী ও স্যানহেড্রিনেদের দ্বারা আনন্দ করছিল যখন তারা যীশুকে নিয়ে সভা করে এখানে সেখানে নিয়ে গিয়ে পরিশেষে তিনি যখন ক্রুশে মারা গেলেন তখন তারা আনন্দ করছিলেন।

কিন্তু এর পরে কি হবে তা শয়তান জানতো না। ইহা এতোটাই গোপন যা ঈশ্বরের হৃদয়ে রাখা ছিল সেখানে এই প্রকার অঙ্কের মধ্যে বিরতি, ক্রুশ ও মৃত্যু এবং রাজা হিসাবে তাঁর দ্বিতীয় আগমনের বিষয়ে এখন বিশ্রাম ঘটবে। সেখানে এমন এক বিরাম থাকে (পল বলেন এক “রহস্য” এফেসিয়ানস ৩ অধ্যায়ের মতো এক নিগুঢ় তত্ত্ব)। এই বিরতির সময়ে পবিত্র আত্মার এমন একটা যুগ হবে যেখানে ঈশ্বর সমুদয় জগৎ থেকে তার লকেদের নিজের কাছে আহবান করবেন। তাদের বলা হবে “এক্লেসিয়া,” “ডাকিয়া নিয়ে আসা ব্যাক্তি,” আমাদের ভাষায়, “সেই মন্ডলী।”

পরিত্রাণের এই সুসমাচার প্রতিটি জায়গাতে সমুদয় লোকেদের কাছে প্রচারিত হবে। যে কোন জায়গা থেকে কোন ব্যাক্তি মন ফিরিয়ে যীশুতে বিশ্বাস করবে, তিনিও সেই মন্ডলীতে সংযুক্ত হবেন, যা হল ঈশ্বরের পরিবার। সেখানে একমাত্র বিশ্বাসী পরিবার বর্গ হবে- যেখানে থাকবে যিহুদী এবং অযিহুদী, গ্রীক এবং পরজাতি, কালো ও সাদা, হলুদ ও বাদামী, পুরুষ ও স্ত্রী, শিক্ষিত ও মুর্খ, ধনী ও গরীব, সিকলেই ঈশ্বরের সম্মুখে বহুমূল্যবান, তারা হবেন প্রভুর উদ্ধারকারী পরিবার, এক নুতন সৃষ্টি, যাকে বলা হবে মন্ডলী, খ্রীষ্টের এক কনে।

তাহলে সেই রাজ্যের বিষয়ে কি হবে ? সেখানে কি কোন রাজত্ব থাকবে না? ঈশ্বর কি সেই রাজ্যের বিষয়ে ভুলে গিয়েছেন? আপনি দেখছেন, যীশু হলেন মণ্ডলীর মস্তক। কিন্তু তাঁকে “মন্ডলীর রাজা” হিসাবে বলা হচ্ছে না। নুতন নিয়মে সেই প্রকার কোন শব্দ নেই। যীশু হলেন এক রাজ্যের উপরে মহান রাজা-কিন্তু সেই রাজ্য কি কোন দিন আসবে? এই পৃথিবীর উপরে যীশু কি কোন সময়ে রাজত্ব করবেন?

যীশু স্বর্গে উন্নীত হওয়ার আগে, প্রেরিত অধ্যায়ে এক-এ শিষ্যরা তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, “প্রভু, আপনি কি এই সময়ে ইজ্রায়েলের হাতে রাজ্য ফিরাইয়া আনিবেন?” (প্রেরিত ১:৬)। যীশুর পক্ষে কিছু বলার জন্য সেটাই ছিল এক সঠিক মুহুর্ত, “সেখানে অন্য কোন রাজ্য আর হবে না, সেখানে কোন সময়েই একটি রাজ্য হবে না।” কিন্তু এই কথা যীশু তাদের বলেন নি। পরিবর্তে তিনি তাদের বললেন, “সে সকল সময় বা কাল পিতা নিজ কর্ত্তৃত্ত্বের মধ্যে রাখিয়াছেন তাহা তোমাদের জানিবার বিষয় নয়... [কিন্তু] তোমরা আমার জন্য সাক্ষ্য বনিবে... পৃথিবীর শেষপ্রান্ত পর্যন্ত” (প্রেরিত ১:৭-৮)। তাহাদের তিনি বলিলেন, তোমরা যাও ও আত্মা জয় কর, মন্ডলীকে পরিপূর্ণ কর, উদ্ধারকারীদের একত্রিত কর, সেই রাজ্য আসবে কিন্তু তা ভবিষ্যতে আসবে। এক গৌরবপূর্ণ দিনে সেই রাজ্যের আগমন হবে!

৩. তৃতীয়, তিনি হলেন আগমনকারী রাজা।

দুইভাবে যীশু আসতে চলেছেন। প্রথমে তিনি আগমন করবেন রাত্রিকালীন চোরের ন্যায়। দ্বিতীয়িত তিনি আগমন করবেন বিদ্যুতের ন্যায় যা আকাশকে বিদীর্ণ করে পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত আলোকিত করবেন। আর এই ভাবেই প্রভু আকস্মিক ভাবে, চক্ষুর পলকে, রাজত্বকারী রাজা হিসাবে এক মহা প্রকাশে তিনি প্রকাশিত হবেন।

প্রথমত, তিনি আগমন করছেন রাত্রিকালীন চোর হিসাবে। তিনি আগমন করছেন অঘোষীত ভাবে, হঠাৎ, নীরবে, গুপ্তভাবে। তিনি রাত্রিকালীন চোর হিসাবে আগমন করছেন তাঁর সম্পদকে চুরি করার জন্য। তিনি চোর হিসাবে আগমন করছেন তাঁর লোকেদের উল্লাসকে দূর করার জন্য। আমরা সকলেই রুপান্তরিত হব। আমরা যারা জীবিত ও অবশিষ্ট রয়েছি, যখন তিনি আসবেন, তখন হঠাৎ করেই পরমানন্দে প্রভুর সঙ্গে মিলিত হবে।

খ্রীষ্টিয়ান হিসাবে যারা মারা গিয়াছে তারা প্রথমে উত্থিত হবেন। তুরী বেজে উঠবে আর যারা খ্রীষ্টে মৃত তারা প্রথমে উত্থিত হবে। তারপরে সমস্ত জীবিত খ্রীষ্টিয়ানের প্রভুর সঙ্গে মেঘ রথে মিলিত হওয়ার জন্য উত্থিত হবে। আমরা সকলেই উত্থিত হব, সকলেই রুপান্তরিত হব। মেঘ যোগে প্রভুর সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য আমরা উন্নত হব। ঠিক ইনোকের সময়ে যেমন হয়েছিল, হঠাৎ করেই তিনি দৃষ্টির বহির্ভুত হলেন। ঠিক এলিজার দিনে যেমনটি হয়েছিল, ঈশ্বর তাকে ঘুর্ণিঝড়ের মধ্যে তুল্র নিলেন। যেমনটি লোটের সময়ে হয়েছিল, এই পৃথিবীতে ঈশ্বরের বিচার পতিত হওয়ার আগেই স্বর্গদূত তাকে বাইরে নিয়ে চলে গেলেন। সেই ভাবেই খ্রীষ্টের আগমন হবে চুপি চুপি, গুপ্ত ভাবে, ঠিক রাত্রিকালীন চোরের ন্যায় সেই ভীষণ যন্ত্রণার বিচারের ঠিক আগে তাঁর লোকেদের তিনি গৌরবে উন্নীত করবেন।

এর পরে, তিনি আসছেন উম্নুক্ত ভাবেই, এবং প্রত্যেক চক্ষু তাঁকে দেখবে, দূরস্থ ও নিকটস্থ সকলেই তাঁকে দেখবে। ঠিক বিদ্যুৎ যেমন এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত আলোকিত করে, আর ঠিক সেই ভাবেই খ্রীষ্টের গৌরব ও প্রতাপ দেখা যাবে। প্রকাশিত বাক্য ১:৭ পদে, প্রেরিতদের যে দর্শন সেখানে উল্লেখ রয়েছে, “দেখ, তিনি মেঘ সহকারে আসিতেছেন; আর প্রত্যেক চক্ষু তাঁহাকে দেখিবে।”

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট তাঁর লোকেদের সঙ্গেই আসিতেছেন, স্বর্গ থেকে তিনি নামিতেছেন। তিনি আসছেন ঈশ্বরের প্রতাপে ঈশ্বর পুত্র হিসাবে। তিনি তাঁর নিজের প্রতাপে এ্যাব্রাহামের পুত্র, ডেভিডের পুত্র, মনুষ্য পুত্র, ও ঈশ্বরের পুত্র হিসাবেই আগমন করছেন!

তিনি যিহুদীদের রাজা হিসাবে আসছেন। তিনি আসছেন জাতির রাজা হিসাবে। তিনি আসছেন রাজাদের রাজা হিসাবে। তিনি আসছেন প্রভু হিসাবে, প্যান্টোক্রেটর, সর্বশক্তিমান ঈশ্বর হিসাবে তিনি আসছেন, তিনিই হলেন ত্রিত্ব ঈশ্বরের দ্বিতীয় সত্ত্বা। তিনি আসছেন এই পৃথিবীর পুণঃ সৃষ্টিকর্তা ও পুণরুদ্ধারকারী হিসাবে। তিনি আসছেন সমস্ত সৃষ্টির প্রভু ও রাজা হিসাবে।

আর তবেই ঠিক ভাববাদী মিকাহর মতোই সমস্ত কিছু সামনে আনা হবে,

“আর তিনি অনেক জাতির মধ্যে বিচার করিবেন, এবং দূরস্থ বলবান জাতিদের সম্বন্ধে নিষ্পত্তি করিবেন; আর তাহারা আপন আপন খড়গ ভাঙিয়া লাঙলের ফাল গড়িবে, ও আপন আপন বর্শা ভাঙিয়া কাস্ত্যা গড়িবেঃ এক জাতি অন্য জাতির বিপরীতে আর খড়গ তুলিবে না, তাহার আর যুদ্ধ শিখিবে না” (মিকাহ ৪:৩)

শান্তির রাজকুমারের আগমণ হবে। আর তবেই ঈশা ভাববাদীর অতি সুন্দর ভাববাণী পরিপূর্ণ হবে,

“আর কেন্দুয়াব্যাঘ্র মেষ শাবকের সহিত একত্রে বাস করিবে, এবং চিতাব্যাঘ্র ছাগবৎসের সহিত শয়ন করিবে; আর গোবৎস এবং যুবসিংহ ও হৃষ্টপুষ্ট পশু একত্রে থাকিবে; এবং ক্ষুদ্র বালক তাহাদিগকে চালাইবে। ধেনু ও ভল্লুকী চরিবে; আর তাহাদের বৎস সকল একত্রে শয়ন করিবে এবং সিংহ বলদের ন্যায় বিচালি খাইবে। আর স্তন্যপায়ী শিশু কেউটে সাপের গর্ত্তের উপরে খেলা করিবে, ত্যাক্তস্তন্য বালক কৃষ্ণসর্পের বিবরের উপরে হস্ত রাখিবে। সে সকল আমার পবিত্র পর্বতের কোন স্থলে হিংসা কিম্বা বিনাশ করিবে নাঃ কারণ সমুদ্র যেমন জলে আচ্ছন্ন তেমনি পৃথিবী সদাপ্রভু বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হইবে” (ঈশা ১১:৬-৯)

যীশু খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমনের যে চিন্তাধারা তা মানুষের হৃদয়ে দুই প্রকার প্রতিক্রিয়া দেয়। তার একটা হল প্রচন্ড ভীতি। যদি আপনার হৃদয় জগতের মধ্যে রয়েছে, ও আপনার জীবন বিভিন্নপ্রকার পাপে লিপ্ত, তবে খ্রীষ্টের আগমনের যে চিন্তা ধারা তা আপনাকে প্রচন্ড ভীতির মধ্যে ফেলে দেবে যা প্রকাশিত বাক্যে ছয় অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ বা বর্ণনা করা আছে,

“আর [তারা] পর্বত ও শৈল সকলকে কহিতে লাগল, আমাদের উপরে পতিত হও, আর যিনি সিংহাসনে বসিয়া আছেন, তাঁহার সম্মুখ হইতে এবং মেষ শাবকের ক্রোধ হইতে আমাদিগকে লুকাইয়া রাখঃ কেননা তাঁহাদের ক্রোধের মহাদিন আসিয়া পড়িল; আর কে দাঁড়াইতে পারে?” (প্রকাশিত বাক্য ৬:১৬-১৭)

যারা খ্রীষ্টকে ত্যাগ করে পাপে জীবন যাপন করছেন, তাদের কাছে খ্রীষ্টের আগমন এক ভীতিসম। কিন্তু তাদের কাছে যারা পরিত্রাণ লাভ করেছে, তাদের কাছে সেই পরিত্রাতার যে আগমন তা সর্বদাই সমস্ত কিছুতে প্রেমময়, এবং মধুর, এবং মূল্যবান। ঠিক সাধু যোহান যেমন ভাবে প্রকাশিত বাক্যের শেষ বইয়ে বলেছেন, “আমেন। যাহাই হউক, যীশু আইস” (প্রকাশিত বাক্য ২২:২০)

ইহা হতে পারে দুপুরে, অথবা গোধুলি সময়ে,
ইহা হতে পারে মধ্য রাত্রের অন্ধকারময় আকস্মিকতার মুহুর্তে
তাঁর প্রতাপের উজ্জ্বল আলোক ছড়িয়ে পড়বে,
যখন যীশু তাঁর নিজেদের গ্রহণ করবেন।

স্বর্গ থেকে স্বর্গদূতেরা যখন হোসান্না বলে অবনত হবে,
সেই গৌরবজ্জ্বল সাধুবর্গ ও স্বর্গদূতেদের উপস্থিতিতে,
তাঁর ললাটে গৌরবময় জ্যোতির প্রভায়,
যখন যীশু তাঁর নিজেদের গ্রহণ করবেন।

ওহ কি আনন্দ!কতোই না উচ্ছ্বাস! আমরা আর মুমুর্ষু থাকবো না,
কোন পীড়া, কোন দুঃখ, কোন মৃত্যু এবং কোন কান্না আর হবে না,
প্রভুর সঙ্গে প্রতাপের মেঘ রথে আমরা উন্নীত হব,
যখন যীশু তাঁর নিজেদের গ্রহণ করবেন।

ওহ, প্রভু যীশু, কতকাল, আর কতকাল,
আগে থেকেই আমরা আনন্দের গান গাই,
খ্রীষ্টের আগমনে! হাল্লেলুইয়া!
হাল্লেলুইয়া! আমেন, হাল্লেলুইয়া! আমেন।
      (“Christ Returneth” by H. L. Turner, 1878).

সেই রাজা, প্রভু, পরিত্রাতা, সেই আশীর্বাদ ধন্য যীশুকে স্বাগত করুন!

সংবাদের পরিসমাপ্তি
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net
অথবা আপনি তাকে পত্র লিখতে পারেনঃ পোস্ট বক্স ১৫৩০৮, লস এঞ্জেলেস, সিএ ৯০০০১৫,
এই ঠিকানায় অথবা আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (৮১৮)৩৫২-০৪৫২

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ হেবল প্রধুম্মেঃ ঈশা ৫২:১৩-৫৩:৭
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“Christ Returneth” (by H. L. Turner, 1878).


খসড়া চিত্র

আগমণকারী রাজা

THE COMING KING

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি.

by Dr. R. L. Hymers, Jr.

“তখন পীলাত তাঁহাকে বলিলেন, তুমি কি তবে রাজা? যীশু উত্তর করিলেন, তুমিই বলিতেছ যে আমি রাজা। আমি এই জন্যই জন্ম গ্রহণ করিয়াছি, এই জন্য এই জগতে আসিয়াছি, যেন সত্যের পক্ষে সাক্ষ্য দিই” (যোহান ১৮:৩৭)

(গীত সংহিতা ১০৫:৮-১১; ২-য় স্যামুয়েল ৭:১২,১৬; ঈশা ৯:১-২,৬-৭;
লিউক ১:৩১-৩৫;২:১৪;১৯:৪০)

১. প্রথম, তিনি হলেন প্রত্যাখ্যাত রাজা, ম্যাথুজ ২৬:৬৩-৬৪; যোহান ১:১১

২. দ্বিতীয়, তিনি হলেন এক নির্বাসিত রাজা, ম্যাথুজ ২৭:৪২; প্রেরিত ১:৬,৭,৮

৩. তৃতীয়, তিনি হলেন আগমনকারী রাজা, প্রকাশিত বাক্য ১:৭; মিকাহ ৪:৩;
ঈশা ১১:৬-৯; প্রকাশিত বাক্য ৬:১৬-১৭;২২:২০