Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




পরিত্যাক্ত সেই প্রতিবেদন

(ঈশা ৫৩ –র ২ নং সংবাদ)
THE REJECTED REPORT
(SERMON NUMBER 2 ON ISAIAH 53)
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

২০১৩ সালের ৩-রা মার্চ প্রভাতকালীন মুহুর্তে সদাপ্রভুর একটি দিনে লস এঞ্জেলেসের ব্যাপটিস্ট
ট্যাবারনেকেলে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, March 3, 2013

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”? (ঈশা ৫৩:১)


ঈশা খ্রীষ্টের সুসমাচারের বিষয়ে বলছেন। গত রবিবার দিনে ৫২-অধ্যায়ের শেষে তিনটি পদ নিয়ে আমি প্রচার করেছি, যেখানে ভাববাদী খ্রীষ্টের দুঃখভোগের কথা ভবিষ্যবানী করেছিলেন যার আবির্ভাব ঘটবে এই ভাবে, ‘মনুষ্য অপেক্ষা তাহার আকৃতি, মানব সন্তান গণ অপেক্ষা , তাঁহার রুপ বিকার প্রাপ্ত বলিয়া যেমন অনেকে তাঁহার বিষয়ে হতবুদ্ধি হইত’।(ঈশা ৫২:১৪)। এটাই হল যীশুর চিত্র যিনি আমাদের পাপের জন্য প্রহৃত ও ক্রুশারোপিত হয়েছেন এবং পুণরায় মৃত্যু থেকে উত্থিত হয়েছেন, ‘তিনি উচ্চ উন্নত ও মহামহিক হয়েছেন’। (ঈশা ৫২:১৩)। কিন্তু এখন আমাদের পাঠ্যাংশে ভাববাদী সেই ঘটনার প্রতি শোক জ্ঞাপন করছেন এই ভাবে যে কেবলমাত্র কয়েকজন সুসমাচারের সেই সংবাদকে বিশ্বাস করবেন।

ডাঃ এডওয়ার্ড যে ইয়াং ছিলেন পুরাতন নিয়মের এক পন্ডিত, আমার পূর্বতন পালক ডাঃ টিমথি লীনের সহপাঠী এবং বন্ধু। তিনি আমাদের পাঠ্যাংশের ব্যাখ্যা করেন;

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
        (ঈশা ৫৩:১)

ডাঃ ইয়াং এই কথা বলেন, ‘যা প্রশ্নের থেকেও এক বিস্ময়কর ঘটনা। ইহা কোন ভাবে নেতি বাচক উত্তর দাবি করে না। কিন্তু ইহা স্বাভাবিক ভাবে এই মনোযোগের প্রতি আকর্ষণ করে, যারা হলেন সমগ্র জগতের মধ্যে কেবলমাত্র নগন্য কয়েকজন প্রকৃত বিশ্বাসী, যার বিষয়ে ভাববাদী তাঁর লোকেদের প্রতি প্রতিনিধিত্ব করেন, বলেন এবং ব্যাক্ত করেছেন এত অল্পসংখ্যক বিশ্বাসীর হতাশাকর অনুভুতির বিষয়ে’। (Edward J. Young, Ph.D., The Book of Isaiah, William B. Eerdmans Publishing Company, ১৯৭২,ভ্যলুম ৩, পৃ.২৪)।

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
       (ঈশা ৫৩:১)

‘প্রতিবেদন’ শব্দের অর্থ হল, ‘ঘোষিত সেই সংবাদ’। লুথার ইহাকে এইভাবে অনুবাদ করেছেন,‘আমাদের প্রচার’। (ইয়ং,ইবিড)। ‘আমাদের প্রচারকে কে বিশ্বাস করেছেন’? সেই পাঠ্যাংশকে সমান্তরাল যে ব্যাখ্যা, ‘কাহার কাছে সদাপ্রভুর বাহু প্রকাশিত হইয়াছে’? ‘সদাপ্রভুর বাহু’ হল এমন এক অভিব্যাক্তি যা প্রভুর শক্তির বিষয়ে ব্যাক্ত করে। আমাদের প্রচারে কি বিশ্বাস করেছে? আর কাহার কাছে সদাপ্রভুর বাহু প্রকাশিত হয়েছে? কার কাছে খ্রীষ্টের পরিত্রাণের শক্তি প্রকাশমান হয়েছে?

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
        (ঈশা ৫৩:১)

এই পদটি দেখায় যে আপনাকে প্রথমে অবশ্যই খ্রীষ্টের প্রচারে বিশ্বাস করতে হবে আর তারপরেই খ্রীষ্টের মধ্যে ঈশ্বরের পরাক্রমে পরিবর্তিত বা কনভার্ট হতে পারেন। তথাপি ভাববাদীর গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্ন দেখায় যে কেবলমাত্র অল্পসংখ্যক ব্যাক্তিই বিশ্বাস করবে ও কনভার্ট বা পরিবর্তিত হবে।

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
       (ঈশা ৫৩:১)

১. প্রথম, এই জগতে খ্রীষ্টের পরিচর্য্যা কাজের সময়ে কিছুসংখ্যক ব্যাক্তি বিশ্বাস করে এবং রুপান্তরিত হয়।

যীশু ল্যাজারাসের কবরের কাছে আসেন। এই ব্যাক্তি চারদিন যাবৎ মৃত্যুবরণ করেছে। যীশু তাদের বললেন, ‘তোমরা কবরের মুখ থেকে পাথরটাকে সরিয়ে ফেল’। (যোহান ১১:৩৯)। ল্যাজারাসের বোন তাকে থামিয়ে দিতে চাইছিলেন। তিনি বললেন, ‘প্রভু এই সময়ের মধ্যে তার শরীরে দুর্গন্ধ এসে গিয়েছে। কেননা আজ চারদিন হল সে মারা গিয়াছে’। (ইবিড)। কিন্তু তারা যীশুর বাধ্য হয়ে কবরের মুখ থেকে পাথরটাকে সরিয়ে দিলেন যা কবরকে ঢেকে রেখেছিল। এরপরে যীশু, ‘চিৎকার করে বললেন, ল্যাজারাস বাহিরে এস! তাহাতে সেই মৃত ব্যক্তি বাহিরে এলো! তার হাত ও পা কবরের কাপড়ে বাঁধা ও জড়ানো ছিল। এবং মুখ গামছায় বাধা ছিল। যীশু তাদের বললেন, ‘একে খুলে দাও, ও যেতে দাও’। (যোহান ১১:৪৩-৪৪)।

“অতএব প্রধান যাজকেরা ও ফরিশীরা সভা করে বলতে শুরু করলেন, আমরা এখন কি করবো ? এ ব্যাক্তি তো অনেক অসম্ভব কাজ করছে”। (যোহান ১১:৪৭)

কতগুলো অলৌকিক কাজ তিনি করেছিলেন তা তারা দেখেছিলেন আর তাই ভয় পেয়ে গেছিলেন যে সমস্ত সাধারণ লোকেরা তাদের ছেড়ে তাঁকেই অনুসরণ করবে।

“অতএব সেদিন অবধি তাহারা তাঁহাকে বধ করিবার মন্ত্রণা করিতে লাগিলেন”। (যোহান ১১:৫৩)

মহাযাজকেরা ও ফরিশীরা একত্রে মিলে সভা করতে আরম্ভ করলো যেন সব থেকে ভালো একটা দিনে তাঁকে ধরে, ‘মৃত্যু দন্ড দিতে পারে’। প্রেরিত যোহান বলেছেন,

“কিন্তু যদিও তিনি তাদের সম্মুখে এত চিহ্ন কার্য্য করেছিলেন, তথাপি তারা তাঁকে বিশ্বাস করলো না; যেন ঈশা ভাববাদীর কথা পূর্ণ হয়, হে প্রভু আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? আর প্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”? (যোহান ১২:৩৭-৩৮)

তারা অলৌকিক ভাবে তাঁকে পাঁচ হাজার লোককে খাওয়াতে দেখেছিলেন। তারা দেখেছেন যে কি ভাবে তিনি কুষ্ঠদের সুস্থ করেছেন এবং অন্ধদের চক্ষুকে খুলে দিয়েছিলেন। তারা দেখেছিলেন যে কি ভাবে তিনি মন্দ আত্মাদের দূর করেছিলেন এবং পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যাক্তিকে কতোটা প্রবলভাবে সুস্থ করে স্বাভাবিক করেছিলেন। তারা দেখেছিলেন কি ভাবে তিনি বিধবার মৃত সন্তানকে জীবন দান করেছিলেন। তিনি যে কেবল জলকে দ্রাক্ষা রসে রুপান্তরিত করতে দেখেছিলেন তাই নয় তারা তাঁর কাছ থেকে এই কথাও শুণেছিলেন,

“আর যীশু সমস্ত নগরে ও গ্রামে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন; তিনি লোকেদের সমাজ গৃহে উপদেশ দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিলেন; এবং সর্ব্বপ্রকার রোগ ও সর্ব্বপ্রকার ব্যাধি-র আরোগ্য করিলেন”। (ম্যাথুজ ৯:৩৫)

তথাপি তিনি যখন ল্যাজারাসকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেন তখন তারা ‘সেদিন অবধি তাঁহাকে বধ করিবার মন্ত্রণা করিতে লাগিলেন’। (যোহান ১১:৫৩)

“কিন্তু যদিও তিনি তাহাদের সাক্ষাতে এত চিহ্ন কার্য্য করিয়াছিলেন; তথাপি তাহারা তাঁহাতে বিশ্বাস করিল না; যেন ঈশা ভাববাদীর বাক্য পূর্ণ হয়, তিনি তো বলয়াছিলেন, হে প্রভু আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? আর প্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”? (যোহান ১২:৩৭-৩৮)

হ্যাঁ, কেবলমাত্র অল্পসংখ্যক লোক বিশ্বাস করেছিল এবং এই জগতে খ্রীষ্টের পরিচর্য্যা কাজের সময়ে রুপান্তরিত বা কনভার্ট হয়েছিল।

২. দ্বিতীয়, প্রেরিত বর্গের সময়ে অল্প সংখ্যক ব্যাক্তি বিশ্বাস করে রুপান্তরিত বা
কনভার্ট হয়েছিল।

অনুগ্রহ করে রোমিয় ১০:১১-১৬ খুলবেন। আসুন উঠে দাঁড়িয়ে আমরা সকলে মিলে এই মহা অংশটিকে পড়ি।

“কেননা শাস্ত্র বলে, যে কেহ তাঁহার উপরে বিশ্বাস করে সে লজ্জিত হইবে না। কারণ ইহুদী আর গ্রীকে কোনই প্রভেদ নাই; কেননা সকলেরই একমাত্র প্রভু; যত লোক তাঁহাকে ডাকে, সেই সকলের পক্ষে তিনি ধনবান। কেননা যে কেহ প্রভুর নামে ডাকে, সে পরিত্রাণ পাইবে। তবে যাহারা বিশ্বাস করে নাই, কেমন করিয়া তাঁহাকে ডাকিবে? আর যাহারা কথা শুণে নাই, কেমন করিয়া তাঁহাতে বিশ্বাস করিবে? আর প্রচারক না থাকিলে, কেমন করিয়া শুণিবে? আর প্রেরিত নাহিলিলে, কেমন করিয়া প্রচার করিবে? যেমন লিখিত আছে, যাহারা মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করেন তাহাদের চরণ কেমন শোভা পায়! কিন্তু সকলে সুসমাচারের আজ্ঞাবহ হয় নাই। কারণ ঈশা কহেন, ‘হে প্রভু আমরা যাহা শুণিয়াছি তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে’? (রোমিয় ১০:১১-১৬)

আপনারা সকলে বসতে পারেন।

লক্ষ্য করুন, শাস্ত্রের সমস্ত অংশ বলে, ১২ পদ

“কারণ ইহুদী ও গ্রীকে কিছুই প্রভেদ নাই, কেননা সকলেরই একমাত্র প্রভু। যতলোক তাঁহাকে ডাকে, সেই সকলের পক্ষে তিনি ধনবান”। (রোমিয় ১০:১২)

যীশু স্বর্গে উন্নত হওয়ার ৩০- বৎসর পরে এই বিষয়টা প্রেরিত পলের দ্বারা লেখা হয়। আর এই ভাবেই প্রেরিত বই এর পরেই পল রোমিয় বইটি লেখেন। তিনি ইহুদী ও অইহুদী উভয়দেরই এই কথা বলছেন, পল বলেন, ‘কারণ ইহুদী ও গ্রীকে কিছুই প্রভেদ নাই’। সমস্ত লোকেরই খ্রীষ্টকে প্রয়োজন রয়েছে।

আর তথাপি, বিশেষ করে পল তার বৃহত্তর অইহুদী শ্রোতাবর্গের কাছে, ঈশা ৫৩:১ পদে উদ্ধৃত করে যীশু যা বলেছিলেন প্রেরিত পলও সেই একই কথা বলেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষীতে তুলনামূলকভাবে কেবলমাত্র অল্পসংখ্যক পরজাতি বিশ্বাস আর ঈশা ৫৩:১ উদ্ধৃত করে ভাববাদী বলেন, প্রয়োগের মধ্য দিয়ে কেবলমাত্র ইহুদীদের থেকে প্রায় সংখ্যক পরজাতি আল্পমাত্রায় সুসমাচারের প্রতি একটু বেশি প্রতিক্রিয়া হবে। ঈশার অভিযোগ তুলে ধরে পল এই বিষয়টি উদ্ধৃত করেন।

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
      (ঈশা ৫৩:১)

ইহুদীদের থেকে পরজাতিরা সুসমাচারের প্রতি বেশি ভাবে উদ্ধৃত ছিলেন। তথাপি, এ সত্ত্বেও, তুলনামূলক কেবলমাত্র প্রেরিত বর্গ ও পলের পরিচর্য্যা কাজের সময়ে মুষ্টিমেয় কয়েকজন যীশুর উপরে বিশ্বাস করেছিল। প্রেরিত বর্গের সময়ে সেখানে এক বিরাট উদ্দীপনার সময় ছিল এই বিষয়ে আমরা প্রেরিত বইয়েতে তা দেখতে পাই। এমন কি সেই প্রকার পরাক্রমশীল উদ্দীপনা তুলনামূলক ভাবে মুষ্টিমেয় অল্প সংখ্যক পরাজিতদের খ্রীষ্টের পরিত্রাণের মধ্যে দিয়ে আনে। সুসমাচার প্রচার করাটা ছিল কঠিন তা এমন কি রোমিয়দের মধ্যেও।

খ্রীষ্ট এবং প্রেরিতবর্গ এরা উভয়েই অল্প সংখ্যক কনভার্ট বা রুপান্তরকারী ব্যাক্তিদের দেখতে সক্ষম হয়েছিলেন। এই ভাবেই প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টিয়ানেরা সংখ্যালঘু অবস্থায় থেকে গিয়েছিল আর সংখ্যালঘু হিসাবে তাড়না ভোগ করেছিলেন। আর তাই যোহান ও পল উভয়েই আমাদের পাঠ্যাংশটি উদ্ধৃত করেন এই বিষয় ব্যাখ্যা করার জন্য যে বেশী সংখ্যক লোক কেমন ভাবে সুসমাচারের প্রতিরধ করেছিল--- ব্যাখ্যা করার প্রতি এই ভাবে বলা হয় তাদের মধ্যে প্রায় অনেকে যাদের কাছে প্রচার করা হয়েছিল তারা অপরিবর্তনশীল রিয়ে গিয়েছে।

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
       (ঈশা ৫৩:১)

আর এটাই খ্রিষ্টিয়ান ইতিহাসে বহুযুগ ধরে সত্য বলে বিবেচনা করা হয়েছে। সব সময়ে, সর্বদা কেবলমাত্র অল্পসংখ্যক লোকেরাই সুসমাচারকে বিশ্বাস করেছে আর তারাই প্রকৃতভাবে কনভার্ট বা পরিবর্তিত হয়েছে। আর আজকেও বর্তমান জগতে সেটাই সত্য বিষয়। কোন কিছুরই পরিবর্তন হয় নি। আর এই বিষয়টাই আমাদের শেষ বিষয়ের প্রতি নিয়ে আসে।

৩. তৃতীয়, বর্তমানে অল্পসংখ্যক ব্যাক্তি বিশ্বাস করে পরিবর্তিত বা কনভার্ট হয়েছে।

আমাদের সময়ে ঈশা-র বিলাপকে কেন্দ্র করে আমরা প্রায় সময়েই তার সম্মুখীন হই, সেই প্রকার দুঃখ জনক প্রশ্নে,

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
       (ঈশা ৫৩:১)

দুঃখের সঙ্গে আমাদের বলতে হয় কেননা বর্তমান সময়ে মুষ্টিমেয় কেবল কয়েক জনই সুসমাচারে বিশ্বাস করে আর তাদের মধ্যে কেউ কেউ খ্রীষ্টের পরাক্রমী শক্তির দ্বারা উদ্ধার লাভ করে। এমন কি আমাদের নিকটতম আত্মীয়েরাও খ্রীষ্টকে প্রত্যাখান করে। আর আপনাদের মধ্যে অনেকেই জানেন। যাদের আমরা মন্ডলীতে নিয়ে আসি তাদের মধ্যে কেবলমাত্র কয়েকজনই সুসমাচারের প্রচার শুণে কোন রকমে বা আদৌ কনভার্ট বা রুপান্তরিত হয়। এর উপরে আমি তিনটি মন্তব্য করতে চাইঃ

(১)  প্রথম, বাইবেলের কোন জায়গাতে আমাদের বলা হয়েছে যে প্রায় লোকেরা পরিত্রাণ লাভ করবে? ইহা সেই ভাবে বলে না। প্রসঙ্গত, যীশু বরং এর উল্টোটাই বলেছেন, তিনি বলেছেন,

“সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর; কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর; এবং অনেকেই তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম এবং অল্প লোকেই তাহা পায়”। (ম্যাথুজ ৭:১৩-১৪)

কেবলমাত্র অল্প লোকেই তাহা পায়! আমাদের এই বিষয়টা অতি অবশ্যই মনে রাখা দরকার যে আমাদের সুসমাচার মূলক প্রচেষ্টা যখন অল্প সংখ্যক ব্যাক্তিদের কাছে মন পরিবর্তন নিয়ে আসে যাদের জন্য আমরা প্রত্যাশা করে থাকি।


আর, তখনই, দ্বিতীয় বিষয়টাকে আমি এই ভাবে বলতে চাই।

(২)  কয়েকজন ব্যাক্তি মন পরিবর্তন বা কনভার্ট হবে সুসমাচার প্রচারের উদ্দেশ্যে, আমাদের মনোভাব যেন তেমন না হয়। প্রতিক্রিয়া এক বিরাট আকারে বা ক্ষুদ্র আকারে সেটা বড় বিষয় নয়, আমাদের দৃষ্টি যেন সেই বিষয়ের উপরে লক্ষ্যস্থিত না হয় যে কতোজন কনভার্ট বা পরিবর্তিত হল। আমাদের মনোভাবের উপলক্ষ হবে ঈশ্বরের প্রতি বাধ্যতার আধারে। আমাদের দৃষ্টি যেন সব সময়ই ঈশ্বরের উপরে রাখা হয় এবং আমরা যখন সুসমাচার প্রচারে যাই তখন আমাদের বাধ্যতা যেন তাঁরই উপরে থাকে; এবং আমাদের মন যেন সর্বদাই ঈশ্বরের উপরে থাকে। এবং সুসমাচার প্রচারের সময় আমরা যেন তাঁরই বাধ্য থাকি! খ্রীষ্ট আমাদের বলেছেন,

“তোমরা সমুদয় জগতে যাও ও সমস্ত সৃষ্টির নিকটে সুসমাচার প্রচার কর”। (মার্ক ১৬:১৫)

এটাই করার জন্য খ্রীষ্ট আমাদের বলেছেন, আর লোকেরা ইহা শুণুক বা পরিবর্তন করুক বা না করুক আমরা যেন প্রচারে করে যাই। আমাদের অতি অবশ্যই সুসমাচার প্রচার করতে হবে কেননা ইহা করার জন্য খ্রীষ্ট আমাদের আজ্ঞা করেছেন! মানুষ কি ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে ইহার উপরে ভিত্তি করে আমাদের কৃতকার্যতা নির্ভর করে না। না! খ্রীষ্টের প্রতি বাধ্য থাকার দ্বারাই আমাদের কৃতকার্যতা উপস্থিত হয়। অতএব তারা সুসমাচারে বিশ্বাস করবে বা না , আমাদের অতি অবশ্যই সুসমাচার প্রচার করে যেতে হবে!


এরপরেই উপস্থিত হয় তৃতীয় বিষয় যা ইহার সঙ্গেই প্রবাহিত হতে থাকে।

(৩)  আপনি কি খ্রীষ্টের উপরে বিশ্বাস করেন ? আপনি কি খ্রীষ্টের প্রতি মন পরিবর্তন বা কনভার্ট হয়েছেন? আপনি কি বিশ্বাসের দ্বারা খ্রীষ্টের কাছে আসবেন ? এমন কি আপনার পরিবারের অন্য কোন ব্যাক্তি ও এমন কি আপনার বন্ধুদের মধ্যে কেউ যদি কনভার্ট বা মন পরিবর্তন না করে, আপনি কি খ্রীষ্টের অণ্বেষণ করবেন ? আপনি কি তাঁর কাছে আসবেন? খ্রীষ্ট যা বলেছেন তা আপনি মনে রাখবেন,

“যে বিশ্বাস করে ও ব্যাপ্তাইজড হয় সে পরিত্রাণ পাইবে; কিন্তু যে অবিশ্বাস করে তাহার দন্ডাজ্ঞা করা হইবে”। (মার্ক ১৬:১৬)

আপনি কি খ্রীষ্টের কাছে এসে পরিবর্তিত বা কনভার্ট হয়ে ব্যাপ্তিস্ম গ্রহণ করবেন? না কি আপনি সেই বিপুল সংখ্যক লোকেদের সঙ্গে থাকবেন যারা পরিত্রাতাকে প্রত্যাখান করেছেন এবং অনন্তকালের জন্য নরকের দাবানলে ধ্বংস হয়েছেন?

“কিন্তু যাহারা বিশ্বাস করে তাদের দণ্ডাজ্ঞা করা যাইবে না”। (মার্ক ১৬:১৬)


আমার প্রার্থনা এটাই যারা নরকে বিনষ্ট হছে সেই বিপুল সংখ্যক লোকেদের মধ্যে আপনি থাকবেন না কিন্তু আপনি আমাদের সঙ্গে এই স্থানীয় মন্ডলীতে যোগদান করুন। জগতের মধ্য থেকে বেরিয়া আসুন! বিশ্বাস সহকারে যীশুর কাছে আসুন! এই স্থানীয় মন্ডলীতে আসুন! আর সর্ব সময়ের জন্য উদ্ধার লাভ করুন, যীশুর রক্তে ও তাঁর ধার্মিকতায় অনন্ত জীবনের অধিকারী হোন!

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”?
       (ঈশা ৫৩:১)

আপনি কি তাদের একজনের মতো হবেন যে বিশ্বাস করে রুপান্তরিত ও কনভার্ট হবেন! আপনি কি সেই কয়েকজন লোকের মধ্য থেকে একজন হবেন যেন এই সুসমাচার যখন প্রচারিত হয় তখন ইহাতে বিশ্বাস করেন। আপনি কি বলবেন, ‘হ্যাঁ, মৃত্যুবরণ করেছেন আমার পাপের মূল্য মিটিয়ে দিয়ে আমাকে পাপ থেকে স্বাধীন করার জন্য। হ্যাঁ, তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত ও পুণরুত্থিত হয়েছেন। হ্যাঁ, আমি বিশ্বাস সহকারে তাঁর কাছে আসি। আপনি কি সেই কয়েকজন লোকের মধ্য থেকে একজন হবেন যার কাছে সদাপ্রভুর বাহু প্রকাশিত হয়েছে, এইভাবে যীশুর উপরে নির্ভর করে, আপনি যখন এই পরিত্রাণকে অনুভব করেন। ‘ঈশ্বরের সেই মেষ শাবক, যিনি জগতের পাপ ভার লইয়া যান’।(যোহান ১:২৯)।আপনি কি সেই কয়েক জনের মধ্য থেকে একজন হবেন যে যীশুর কাছে আসবে, এবং তাঁর বহুমূল্য রক্তের দ্বারা আপনার পাপ থেকে ধৌত ও পরিষ্কৃত হয়ে পবিত্র হবেন। আমাদের প্রতিবেদনে বিশ্বাস করার জন্য ঈশ্বর আপনাকে অনুগ্রহ প্রদান করুন এবং যীশু খ্রীষ্টের মধ্য দিয়ে পাপ থেকে উদ্ধার লাভের অভিজ্ঞতা অনুভব করুন! আমেন!

অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে এক সঙ্গে গান ‘প্রভু আমি তোমার কাছে আসছি’, আপনার গানের পাতায় সাত সংখ্যার গান।

তোমার আহবানের রব আমি শুণেছি, যা আমাকে, প্রভু তোমার কাছে আহবান করে
ক্যালভেরিতে যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাতে আমি শুচি হই।
আমি আসছি প্রভু! তোমার কাছে আসছি!
ক্যালভেরীতে যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাতে আমাকে ধৌত ও পরিষ্কৃত কর।

যদিও দূর্বল ও বিশ্রী ভাবে আসছি, তুমিই আমার শক্তিকে নিশ্চিত করবে,
আমার বিশ্রী ভাবকে তুমিই সম্পূর্ন ভাবে পরিষ্কার করবে যতক্ষণ পর্যন্ত না
        সমস্ত কিছু পবিত্র হয়।
আমি আসছি প্রভু! তোমার কাছে আসছি!
ক্যালভেরীতে যে রক্ত প্রবাহিত হয় তাতে আমাকে ধৌত ও পরিষ্কৃত কর।
   (“I Am Coming, Lord” by Lewis Hartsough, ১৮২৮-১৯১৯)

আপনার পাপের থেকে পরিত্রাণের বিষয়ে যীশুর দ্বারা তা কেমন ভাবে হবে, তা যদি জানতে চান তবে অনুগ্রহ করে এই অডিটরিয়ামের পিছনে আপনার চেয়ার ছেড়ে সেখানে যান। ডাঃ ক্যাগান আপনাকে শান্ত এক জায়গাতে নিয়ে যাবেন যেখানে তার সঙ্গে আপনি কথা বলতে পারেন। ডাঃ চান অনুগ্রহ করে এগিয়ে আসুন আর যহারা প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।

সংবাদের পরিসমাপ্তি
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net
অথবা আপনি তাকে পত্র লিখতে পারেনঃ পোস্ট বক্স ১৫৩০৮, লস এঞ্জেলেস, সিএ ৯০০০১৫,
এই ঠিকানায় অথবা আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (৮১৮)৩৫২-০৪৫২


সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মে ঈশা ৫২:১৩-৫৩:১
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“A Crown of Thorns” (by Ira F. Stanphill, 1914-1993).


খসড়া চিত্র

পরিত্যাক্ত সেই প্রতিবেদন

(ঈশা ৫৩ –র ২ নং সংবাদ)

লেখকঃ ডাঃ আর.এল.হাইমার্স,জুনি.

“আমরা যাহা শুণিয়াছি, তাহা কে বিশ্বাস করিয়াছে? সদাপ্রভুর বাহু কাহার কাছে প্রকাশিত হইয়াছে”? (ঈশা ৫৩:১, ৫২:১৪,১৩)

১.  প্রথম, এই জগতে খ্রীষ্টের পরিচর্য্যা কাজের সময়ে কিছুসংখ্যক ব্যাক্তি বিশ্বাস করে
এবং রুপান্তরিত হয়।
যোহান ১১:৩৯,৪৩-৪৪,৪৭,৫৩; ১২:৩৭-৩৮;
ম্যাথুজ ৯:৩৫

২.  দ্বিতীয়, প্রেরিত বর্গের সময়ে অল্প সংখ্যক ব্যাক্তি বিশ্বাস করে রুপান্তরিত বা
কনভার্ট হয়েছিল।
প্রেরিত, রোমানস ১০:১১-১৬

৩.  তৃতীয়, বর্তমানে অল্পসংখ্যক ব্যাক্তি বিশ্বাস করে পরিবর্তিত বা কনভার্ট হয়েছে।
ম্যাথুজ ৭:১৩-১৪;মার্ক ১৬:১৫,১৬;যোহান ১:২৯