Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




যোসেফ–খ্রীষ্টের এক বৈশিষ্ট

আদিপুস্তকের উপরে # ৭১ সংখ্যার সংবাদ
JOSEPH – A TYPE OF CHRIST
(SERMON #71 ON THE BOOK OF GENESIS)
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি.
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

১৭-ই ফেব্রুয়ারী ২০১৩ সদাপ্রভুর দিনে সান্ধ্যকালীন মুহুর্তে লস এঞ্জেলেসের ব্যপটিস্ট
ট্যাবারনেকেলে একটি সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল।
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, February 17, 2013


গত কয়েক মাস যাবৎ আদি পুস্তকের মধ্য থেকে এটা হল আমার একাত্তরতম সংবাদ যা আমি প্রচার করে এসেছি। সংবাদের উপযোগী করে তোলার ক্ষেত্রে আমাদের অভিপ্রায় অনুযায়ী আমরা তাদের এই ভাবে বই-এর প্রতি শিরোনাম করেছি তা হল ‘আদি পুস্তকের সংবাদ’। কিন্তু আজকের সন্ধ্যায় আমি আদিপুস্তকের পাঠ্যাংশ দিয়ে আরম্ভ করছি না। আমার আরম্ভ করার পাঠ্যাংশ হল লিউক থেকে, যে অনুচ্ছেদটি মিঃ প্রধম্মে এই সভায় অধ্যয়ন করেছেন। তাই অনুগ্রহ করে উঠে দাঁড়িয়ে লিউক ২৪:৪৪ এবং ৪৫ পড়ি। ইহা বাংলা বাইবেলের নতুন নিয়মে ১১১২ পৃষ্ঠায়।

“পরে তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকিতে থাকিতে আমি আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছি, আমার সেই বাক্য এই। মোজেসের ব্যাবস্থায় ও ভাববাদীগণের গ্রন্থে এবং গীতসংহিতায় আমার বিষয়ে যাহা যাহা লিখিত আছে, সেই সকল অবশ্য পূর্ণ হইবে। তখন তিনি তাহাদের বুদ্ধিদ্বার খুলিয়া দিলেন, যেন তাহারা শাস্ত্র বুঝিতে পারে”। (লিউক ২৪:৪৪-৪৫)

যীশু বলেছেন, ‘মেজেসের ব্যাবস্থায় আমার বিষয়ে যাহা যাহা লিখিত আছে সেই সকল অবশ্য পূর্ণ হবে’। ‘মোজেসের ব্যবস্থা’ যাকে যীশু বলেন বাইবেলের প্রথম পাঁচটি বই যা মোজেসের দ্বারা লেখা হয়েছিল। এই বাক্যে নিশ্চিত ভাবেই প্রথম বইটির প্রতি নির্দেশ প্রদান করে, যা হল আদিপুস্তক। আদিপুস্তকে যীশুর বিষয়ে যা কিছু অবশ্যই পূর্ণ হবে। এখন লিউক ২৪:২৫-২৭ পদে দেখুন। এখানে যীশু এই ভাবে বলেছেন, যখন তিনি পুণরুত্থানের অপরাহ্নে, যখন তিনি শিষ্যদের সঙ্গে ইমায়ূস পথে সাক্ষাৎ করেন।

“তখন তিনি তাঁহাদিগকে কহিলেন, হে অবোধেরা, এবং ভাববাদীগণ যে সমস্ত কথা জানিয়াছেন, সেই সকলে বিশ্বাস করণে শিথিল চিত্তেরা, খ্রীষ্টের কি আবশ্যক ছিল না যে, এই সমস্ত দুঃখভোগ করেন ও আপন প্রতাপে প্রবেশ করেন? আর তিনি মোজেস হইতে ও সমুদয় ভাববাদী হইতে আরম্ভ করিয়া সমুদয় শাস্ত্রে তাঁহার নিজের বিষয়ে যে সকল কথা আছে, তাহা তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন”। (লিউক ২৪:২৫-২৭)

২৭-পদের বিষয়ে আলোকপাত করুন, ‘পরে তিনি মোজেস হইতে.... সমুদয় শাস্ত্রে তাঁহার নিজের বিষয়ে যে সকল কথা আছে তা তাহাদিগকে বুঝাইয়া দিলেন’। আপনারা বসতে পারেন।

‘তাঁর বিষয়ে যে সকল লেখা আছে’ তা আদিপুস্তকের ব্যাখা থেকে যীশুর প্রতি নির্দেশ করে। এই উক্তি পরিষ্কারভাবে আমাদের দেখায় যে আদিপুস্তক বইটি আমাদের কাছে যীশুর ‘আদর্শ’ বিষয় বলছে। ইহা হল এমন এক আদর্শ বা নির্দেশ প্রদান করছে, যা হল তার প্রতিকম্পন। দৃষ্টান্ত স্বরুপ, আদিপুস্তকে নোয়াহ’র জাহাজে আটজন লোক উদ্ধার পেয়েছিল। আর তাই সেই জাহাজ খ্রীষ্টের নিদর্শন স্বরুপ; যিনি তার লোকেদের ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করে ছিলেন। সেই নিদর্শন বা আদর্শ হল জাহাজ এবং এর প্রতিকম্পন হলেন খ্রীষ্ট।

আমরা যখন আজ রাত্রের সংবাদে আসছি তখন আমরা দেখবো যে আদিপুস্তকে কি ভাবে যোসেফ খ্রিষ্টের আদর্শ বা প্রতিনিধিত্ব স্বরুপ ছিলেন। ডাঃ আই. এম. হালদিমান, যিনি হলেন নিউ ইয়র্ক নগরীর প্রথম ব্যাপটিস্ট মন্ডলীর দীর্ঘকালীন পালক, যিনি আদিপুস্তকে যোসেফের মধ্যে একশত এবং একটি সমান্তরাল বিষয় নির্দেশ করেন; এবং খ্রীষ্টকে নূতন নিয়মের চারটি সুসমাচারেও পাওয়া যায়। ইহার বিষয়ে চিন্তা করুন! খ্রীষ্ট ছিলেন প্রতি কম্পন এক নিদর্শন বা পরিপূর্ণতা এবং যোসেফের জীবনে একশত একটি প্রতিকম্পন। আমার মধ্যে সেই প্রকার চিন্তার কোন অবকাশ নেই যেখানে খ্রীষ্ট যোসেফের বিষয়ে যে আদর্শ তার বিষয়ে কয়েক বার উল্লেখ করে তাঁর পূর্ণতার কথা ব্যাক্ত করেন, ‘ মোজেস থেকে শুরু করে.... শাস্ত্রে তাঁহার নিজের বিষয়ে যে সকল কথা আছে তাহা তাদের কাছে বুঝিয়ে দিউলেন’। (লিউক ২৪:২৭)। আমি নিশ্চিত ভাবেই আপনাদের কাছে একশত একটি সমান্তরাল পার্থক্য যা যোসেফ ও খ্রীষ্টের মধ্যে রয়েছে তা দেখাবো না। কিন্তু তাদের বেশ কয়েকটা আমি আপনাদের কাছে তুলে ধরবো।

আদিপুস্তকের শেষ চোদ্দটি চরিত্রের মুখ্য বিষয় হল যোসেফ। আদি পুস্তকে অন্য কারোর থেকেও বেশির ভাগ চরিত্র সন্নিবেশিত হয়েছে যোসেফের প্রতি। এ্যাব্রাহাম, আইজাক, ও জ্যাকব ও অন্য কারো থেকেও বেশী অধ্যায় যোসেফের বিষয়ে বলে। যে কারণে পবিত্র আত্মা যোসেফের বিষয়ে এতটা ব্যাক্ত করেন কেননা অন্য কারো থেকে বাইবেলের মধ্যে তিনিই হলেন সব থেকে খ্রীষ্টের ন্যায় ব্যাক্তিত্ব। স্কোফিল্ড বাইবেলের যে টীকা আদিপুস্তক ৩৭:২ পদে বলা হয়েছে, ‘কোন জায়গাতেই এই ভাবে উল্লেখ করা হয়নি যে যোসেফ ছিলেন খ্রীষ্টের চরিত্রের ন্যায়, যদিও ইহার প্রতি বিশ্লেষণ অত্যন্ত আকস্মিক ভাবেই তা প্রচুর। আমি এই মত পোষণ করি কেননা সেই বিশ্লেষণ আকস্মিক ভাবেই প্রচুর সংখ্যক’। কিন্তু আমি এই বিষয়ে অসম্মতই প্রকাশ করি কেননা নুতন নিয়মে তাকে খ্রীষ্টের আদর্শ বলে উল্লেখ করে না –কিন্তু আমি এই নিষ্পত্তিতে উপস্থিত হয়েছি তা হল—আদিপুস্তকে সেই আদর্শ হলেন যোসেফ। চারটি সুসমাচারে খ্রীষ্ট হলেন তার প্রতিকম্পন। আর তাই চারটি সুসমাচারে বারে বারে তাঁর প্রতিকম্পনের বিষয় উল্লেখ করে। আর সেই কারণেই, ‘সেই বিশ্লেষণ আকস্মিক ভাবেই প্রচুর সংখ্যক’। এই বিষয়ে ডাঃ হাল্ডেম্যান ঠিকই বলেছেন—যোসেফ হলেন খ্রীষ্টের আদর্শ। এই বিষয়ে আমি পনেরোটি সমান্তরাল বিষয় আপনাকে দিতে চলেছি যেখানে যোসেফকে খ্রীষ্টের আদর্শ হিসাবে দেখানো হয়েছে।

১.প্রথম, তারা উভয়েই গভীর ভাবে পিতার প্রীতির পাত্র ছিলেন।

আদিপুস্তকে আমরা পড়ি,

“...ইজ্রায়েল সকল পুত্র অপেক্ষা তাহাকে অধিক ভালোবাসতেন....” (আদি পুস্তক ৩৭:৩)

ইজ্রায়েল ছিল জ্যাকবের নতুন নাম। আর ইজ্রায়েল যোসেফকে অন্য সকলের থেকে অত্যন্ত গভীর ভাবে ভালো বাসতেন। তাই যোসেফ হলেন এক আদর্শ।

যীশু যখন ব্যাপ্তিস্মদাতা যোহানের দ্বারা ব্যাপ্তিস্ত গ্রহণ করেন তখন ঈশ্বর স্বর্গ থেকে এই ভাবে বললেন,

“ইনিই আমার প্রিয় পুত্র, ইহাতেই আমি প্রীত”। (ম্যাথুজ ৩:১৭)

যীশু হলেন সেই প্রতিকম্পন যেন সেই আদর্শকে এক পূর্ণ রুপ দেন।

২. দ্বিতীয়, তারা উভয়েই নিজেদের ভাই-এর দ্বারা ঘৃণীত হোন।

আদি পুস্তকে আমরা পড়ি,

“কিন্তু পিতা তাহার সকল ভ্রাতা অপেক্ষা তাহাকে অধিক ভালোবাসেন, ইহা দেখিয়া ভাতৃগণ তাহাকে দ্বেষ করিত, তাহার সঙ্গে শান্ত ভাবে কথা কহিতে পারিত না”। (আদি পুস্তক ৩৭:৪)

যোসেফের ভাই-এরা তাকে এমন ভাবে ঘৃণা করতেন যে তার প্রতি সহানুভুতিশীল আচরণও করতেন না। যোসেফ হলেন এক আদর্শ।

যীশুর ভাই-এরা তাঁর সঙ্গে কড়া ও তীব্রভাবে কথা বলতো (যোহান ৭:৩,৪)। তারা তাঁকে তিরস্কার করে বলতো, ‘তুমি নিজেকে জগতের কাছে প্রকাশ কর’। এর পরে আমাদের বলা হয়েছে , ‘কারণ তাঁহার ভ্রাতারাও তাঁহাতে বিশ্বাস করিত না। (যোহান ৭ঃ৫)। যীশুখ্রীষ্ট হলেন প্রতি কম্পন যিনি সেই আদর্শের এক শূণ্যতা প্রকাশ করেন।

৩. তৃতীয়, তাদের উভয়ের বিরুদ্ধেই মন্ত্রণা করা হয়েছিল।

আদি পুস্তকে আমরা এইভাবে পড়ি যেখানে যোসেফের ভাইয়েরা বলে,

“এখানে আইস, আমরা উহাকে বধ করি” (আদিপুস্তক ৩৭:২০)

যোসেফ ছিলেন সেই আদর্শ।
ফরিশিরাও যীশুর প্রতি সেই একই বিষয় করে, কেননা আমাদের এই ভাবে বলা হয়েছে,

“অতএব সেই দিন অবধি তাহারা তাঁহাকে বধ করিবার মন্ত্রণা করিতে লাগিলেন”। (যোহান ১১:৫৬)

যীশু খ্রীষ্ট হলেন প্রতিকম্পণ যিনি সেই আদর্শের পূর্ণতাকে প্রকাশ করেন।

৪. চতুর্থত, তাদের উভয়ের পোষাক তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।

আদি পুস্তকে আমরা পড়ি,

“আর যোসেফ আপন ভাতৃগণের নিকটে আসিলে তাহারা তাহার গাত্র হইতে সেই বস্ত্র, সেই চোগাখানি তুলিয়া লইলেন....” (আদিপুস্তক ৩৭:২৩)

যোসেফ ছিলেন সেই আদর্শ।

যীশু যখন ক্রুশারোপিত হন তখন সৈন্যরা ‘তাঁহার বস্ত্র সকল ..... এবং আঙারাখাটিও লইলেন’ (যোহান ১৯:২৩)। যীশু ছিলেন সেই আদর্শকে পূর্ণ ভাবে প্রদান করার এক প্রতি কম্পন। যোসেফকে সম্পূর্ণ নগ্ন করে কুয়োর মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। যীশুও বস্ত্র উন্মোচিত অবস্থায় ক্রুশে পেরেক বিদ্ধ হোন। যীশু হলেন প্রতি কম্পন, সেই আদর্শ পরিপূর্ণ করার এক প্রতিরুপ।

৫. পঞ্চম, তাদের উভয়কেই মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

আদিপুস্তকে আমরা পড়ি যে তার ভাই জুডাহ বলেছিল, তারা যেন যোসেফকে বিক্রি করে দেয়, আর তারা তাই করলেন, একদল বণিকের কাছে তাকে বিক্রি করে দিল, ‘আর তারা যোসেফকে মিশরে নিয়ে আনেন’। (আদি পুস্তক ৩৭:২৮)

স্বর্গের দূত যোসেফকে বললেন, যিনি হলেন যীশুর পরিচিত পিতা, রাজা হেরোদ শিশু যিশুকে হত্যা করার অণ্বেষণ করছেন, ‘তখন তিনি শিশু যীশু ও তাঁর মা’কে সঙ্গে নিয়ে ... মিশরে চলে গেলেন’। (ম্যাথুজ ২:১৪)। যীশু হলেন সেই আদর্শের পূর্ণ রুপদান করার এক প্রতি কম্পন।

৬.ষষ্ঠ, তারা উভয়েই ক্রীতদাসের মূল্যে বিক্রিত হোন।

আদিপুস্তকে আমরা পড়ি যে যোসেফের ভাইয়েরা তাঁকে যে কুয়োতে ফেলে দিয়েছিলেন সেখান থেকে তাকে টেনে তোলেন এবং ‘বিংশতি রৌপ্য মুদ্রায় সেই ইসমিলাইটসদের কাছে যোসেফকে বিক্রয় করিলেন’ (আদিপুস্তক ৩৭:২৮)। যোসেফ ছিলেন সেই আদর্শ।

যীশু ক্রুশারোপিত হওয়ার বেশ কয়েকদিন আগে, তাঁরই এক শিষ্য জুডাহ মহাযাজকের কাছে গিয়ে বলেন, ‘আমাকে কি দিতে চান বলুন, আমি তাহাকে আপনাদের হস্তে সমর্পণ করিব? তাহারা তাহাকে ত্রিশ রৌপ্য খন্ড তৈল করিয়া দিলেন’ (ম্যাথুজ ২৬:১৫)। যোসেফের সময়ে একজন ক্রিতদাসের মূল্য ছিল কুড়ি রৌপ্য মুদ্রা। প্রায় ১৭৫৬ বৎসর পূর্বে খ্রীষ্টের প্রতিও বিশ্বাস ঘাতকতা করার মূল্য ছিল ত্রিশটি রৌপ্য মুদ্রার বিনিময়ে; এটাই ছিল খ্রীষ্টের সময়ে একজন ক্রিতদাসের বিক্রয় মূল্য।

যীশু ছিলেন সেই আদর্শকে পরিপূর্ণ রুপ প্রদান করার এক প্রতি কম্পন।

৭.সপ্তম, তারা উভয়েই পরীক্ষিত হয়েছিলেন।

যোসেফকে যখন মিশরে নিয়ে আসা হয় তখন তাকে পটিফারের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়, যিনি ছিলেন ফারাও-এর এক সেনাপতি। এই ব্যাক্তি যোসেফকে তার বাড়ি ও সমস্ত কিছু রক্ষোণাবেক্ষণ করার জন্য সমর্পণ করেন। পটিফার যখন চলে যান তখন, তার স্ত্রী যোসেফ’কে প্রলোভন দেখিয়ে বলেন, ‘আমার সহিত শয়ন কর’, কিন্তু যোসেফ সেই প্রলোভনের প্রতিরোধ করেন এবং গৃহ থেকে পলায়ন করেন (আদি পুস্তক ৩৯:১২)। যোসেফ ছিলেন এক আদর্শ।

নতুন নিয়মে আমাদের বলা হয়েছে ‘যীশু শয়তানের দ্বারা পরিক্ষীত হওয়ার জন্য, আত্মা দ্বারা প্রান্তরে নীত হইলেন’(ম্যাথুজ ৪:১)। কিন্তু যীশু শাস্ত্র বাক্য উদ্ধৃত করে সেই প্রলোভনের হাত থেকে বিজয়ী হোন। যীশু ছিলেন সেই আদর্শের পরিপূর্ণ রুপ প্রদান করার এক প্রতি কম্পন।

৮. অষ্টম, তারা উভয়েই মিথ্যা দ্বারা অভিযুক্ত হোন।

তিনি যখন যোসেফের সঙ্গে যৌন কার্য্য করার চেষ্টা করে তখন তার প্রতি দোষারোপ করে পটিফারের কাছে তাকে মিথ্যা প্রমাণিত করে (আদি পুস্তক ৩৯:১৪-১৮)। যোসেফ ছিলেন আদর্শ।

নতুন নিয়মে আমরা পড়ি যে ক্রুশারোপিত হওয়ার আগের রাত্রিতে যীশুকেও মিথ্যাভাবে বিনা দোষে অভিযুক্ত করা হয়েছিল যখন তাকে যাজকদের সামনে আনা হয়েছিল।

“কিন্তু অনেক মিথ্যা সাক্ষী আসিয়া জুটিলেও অবশেষে দুইজন আসিয়া বলিল, এই ব্যাক্তি বলিয়াছিল, আমি ঈশ্বরের মন্দির ভাঙিয়া ফেলিতে ও আবার তিন দিনের মধ্যে গাঁথিয়া তুলিতে পারি। তখন মহা যাজক উঠিয়া দাঁড়াইয়া তাহাকে কহিলেন, তুমি কি কিছুই উত্তর দিবে না ? তোমার বিরুদ্ধে ইহারা কি সাক্ষ্য দিতেছে”? (ম্যাথুজ ২৬:৬০-৬২)

যীশু ছিলেন সেই আদর্শের পরিপূর্ণ রুপ প্রদান করার এক প্রতি কম্পন।

৯.নবম, তাদের উভয়কেই শৃঙ্খলে বন্ধন করা হয়েছিল।

তার স্ত্রীর প্রতি কুকার্য্যে প্ররোচনার অভিযোগ পটফার যোসেফকে জেলে বন্দী করে রাখলেন।

“অতএব যোসেফের প্রভু তাঁহাকে লইয়া কারাগারে রাখিলেন, যে স্থানে রাজার বন্দীগণ বদ্ধ থাকিত, তাহাতে তিনি সেখানে সেই কারাগারে থাকিলেন” (আদি পুস্তক ৩৯:২০)।

যোসেফ হলেন সেই আদর্শ প্রতিনিধি।

নতুন নিয়মে যীশুও শৃঙ্খলে বদ্ধ হন,

“আর তাহারা তাঁহাকে বাঁধিয়া লইয়া গিয়া দেশাধক্ষ্য পীলাতের নিকটে সমর্পণ করিলেন” (ম্যাথুজ ২৭:২)

যীশু ছিলেন সেই আদর্শের পরিপূর্ণতার প্রতি কম্পন।

১০. দশম, তারা উভয়েই আরো দু-জন বন্দীর সঙ্গে নির্দ্দিষ্ট হন যাদের একজন
উদ্ধার লাভ করে এবং অপর জন হারিয়ে যায়।

“তাহাতে ফারাও আপনার সেই দুই কর্মচারির প্রতি, ওই প্রধান পান পাত্র বাহক ও প্রধান খাদ্য প্রস্তুতকারকের প্রতি ক্রুদ্ধ হইলেন, এবং তাহাদিগকে বন্দী করিয়া, রক্ষক সেনাপতির বাটিতে, কারাগারে, যোসেফ সে স্থানে বন্দী ছিলেন, সেই স্থানে রাখিলেন”। (আদি পুস্তক ৪০:২,৩)

যোসেফের সঙ্গে আরো দু-জন ব্যাক্তি জেলে বন্দী ছিলেন। তাদের একজনকে নিষ্কৃতি দেওয়া হল আর অপর ব্যাক্তিকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করা হল। যোসেফ হলেন সেই আদর্শ।

নতুন নিয়মে, যীশুকে দুজন দস্যুর মাঝখানে ক্রুশারোপিত করা হয়।

“আরোও দুইজন লোক, দুইজন দূষ্কর্মকারী, হত হইবার জন্য তাঁহার সঙ্গে নীত হইল”। (লিউক ২৩:৩২)

ক্রুশের উপরে দুজনের মধ্যে একজন উদ্ধার লাভ করেছিল। অন্য ব্যাক্তি বিনাশ হয়েছিল। যীশু ছিলেন সেই আদর্শ পরিপূর্ণ করার এক প্রতি কম্পন।

১১.একাদশতম, দুঃখভোগের পরে উভয়েই উন্নত হয়েছিলেন।

বেশ কিছু দূরদর্শিতাপূর্ণ ঘটনার পরে যোসেফ কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করেন, ‘আর ফারাও যোসেফকে আরও কহিলেন, দেখ, আমি তোমাকে সমস্ত মিশর দেশের উপরে নিযুক্ত করিলাম’। (আদিপুস্তক ৪১:৪১)। তিনি কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে সমুদয় মিশর দেশের প্রধান মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন! যোসেফ ছিলেন এক আদর্শ ব্যক্তি।

নতুন নিয়মে আমরা পুণরুত্থিত খ্রীষ্টের পরমানন্দ বা উন্নত হওয়ার বিষয়ে পড়ি,

“এই কারণ ঈশ্বর তাঁকে উচ্চ পদাণ্বিত করিলেন, এবং তাঁহাকে সেই নাম দান করিলেন, যাহা সমুদয় নাম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। যেন যীশুর নামে স্বর্গ- মর্ত্য–পাতাল নিবাসীদের ‘সমুদয় জানু পতিত হই, এবং সমুদয় জিহবা যেন স্বীকার করে’ যে যীশু খ্রীষ্টই প্রভু এইরুপে পিতা ঈশ্বর যেন মহিমান্বিত হন”। (ফিলিপিয়ানস ২:৯-১১)

খ্রীষ্ট হলেন সেই প্রতি কম্পন যেন সেই আদর্শের পরপূরক হন।

১২.দ্বাদশ, তারা উভয়েই কেঁদেছিলেন।

শেষের দিকে, ইজ্রায়েল দেশে যোসেফের ভাইয়েরা দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হন। তাদের নিজেদের অনাহারের হাত ত্থেকে বাঁচার জন্য তারা মিশরে যায় শষ্য কেনার জন্য। ইহাকে তাদের সংগ্রহ করতে হয় তাদের ভ্রাতা যোসেফের কাছ থেকে, যে এখন মিশরের প্রধান মন্ত্রী। তার ভাইয়েরা যোসেফকে চিনতে পারেনি কারণ তিনি ছিলেন চুল, দাড়ি কাটা বাক্তিত্বের মানুষ; ঠিক মিশরিয়দের মতোই একজন। আদি পুস্তকে আমাদের পাঁচবার বলা হয়েছে যোসেফের কান্নার বিষয়ে, যেখানে তিনি তাঁর ভাইয়েদের জন্য কাঁদেন। এখানে তার একটা সময়ের বিষয় উল্লেখ করা হল;

“তিনি উচ্চৈস্বরে রোদন করিলেন; মিশরিয়রা তাহা শুণিতে পাইল ও ফারাওএর গৃহস্থিত লোকেরাও শুণিতে পাইল” ( আদি পুস্তক ৪৫:২)

যোসেফ হলেন সেই আদর্শ।

নতুন নিয়মে আমরা পড়ি যে ‘যীশু কাঁদিলেন’ (যোহান ১১:৩৫)। পুণরায় আমাদের বলা হয়েছে যীশু জেরুজালেমের প্রতি তাকিয়ে কাঁদলেন,

“পরে তিনি যখন নিকটে আসিলেন, তখন নগরটি দেখিয়া তিনি তাহার জন্য রোদন করিলেন”। (লিউক ১৯:৪১)

যীশু হলেন, প্রতিকম্পন ও সেই আদর্শতা পরিপূর্ণ করার এক ব্যাক্তিত্ব।

১৩.ত্রয়োদশতম, যারা তাদের প্রতি অন্যায় করেছিল তারা উভিয়েই তাদের ক্ষমা করেন।

আদিপুস্তকে আমরা পড়ি যে পরিশেষে যোসেফ নিজেকে তার ভাইদের কাছে প্রকাশ করেন। এই সমস্ত বৎসর ও দিনের পরে তারা তাকে চিনতে পারে নই কারণ যোসেফ সেখানে চুল ও দাড়ি কেটে মিশরিয়দের মতোই থাকতেন ও তাদের মতোই বস্ত্র পরিধান করতেন। কিন্তু যোসেফ নিজেকে তাদের কাছে প্রকাশ করে ও তাদের ক্ষমা করেন।

“পরে যোসেফ আপন ভাইদের কহিলেন, বিনয় করি আমার নিকট আইস। তাহারা নিকটে গেলেন। তিনি কহিলেন, আমি যোসেফ, তোমাদের ভাই, যহাকে তোমরা মিশর বাসীদের কাছে বিক্রয় করিয়াছিলেন” (আদিপুস্তক ৪৫:৪)

“পরে যোসেফ আপন ভাই বেঞ্জামিনের গলা ধরিয়া রোদন করিলেন, এবং বেঞ্জামিনও তাঁহার গলা ধরিয়া রোদন করিলেন। আর যোসেফ অন্যসকল ভাইকেও চুম্বন করিলেন ও তাহাদের গলা ধরিয়া রোদন করিলেন; তাহার পরে তাহার ভ্রতারা তাঁহার সহিত আলাপ করিতে লাগিলেন”। (আদি পুস্তক ৪৫:১৪-১৫)

যোসেফ হলেন এক আদর্শ।

যীশু বলেছেন সেই বিষয়ে আমরা নতুন নিয়মে পড়ি, যখন তারা তাঁকে ক্রুশে দিচ্ছিলেন তিনি ক্রুশ থেকে তাদের প্রতি তাকালেন। তারপরে পরিত্রাতা বলে উঠলেন, ‘পিতা তুমি তাদের ক্ষমা কর কেননা তারা কি করছে তা তারা জানে না (লিউক ২৩:২৪)। যীশু হলেন প্রতিকম্পন ও সঙ্গে আদর্শ পরিপূর্ণ করার এক ব্যাক্তিত্ব।

১৪.চতুর্দশতম, তারা উভয়েই তাদের লোকেদের রক্ষা করেছিলেন।

আদি পুস্তকে আমরা পড়ি যেখানে যোসেফ তাদের ভাইদের বলেছেন যে তারা যা করেছে তার জন্য তারা যেন মনস্তাপ করে; ‘কেননা প্রাণ রক্ষা করিবার জন্যই ঈশ্বর তোমাদের অগ্রে আমাকে পাঠাইয়াছেন’। (আদি পুস্তক ৪৫:৫)। যোসেফ হলেন আদর্শ।

নতুন নয়মে আমরা পড়ি যেখানে স্বর্গদূত বলছে, ‘তুমি তাঁহার নাম যীশু (ত্রাণ কর্তা) রাখিবে কারণ তিনিই আপন প্রজাদিগকে তাহাদের পাপ হইতে ত্রাণ করিবেন’ (ম্যাথুজ ১:২১)। যোসেফ যা বলেছিলেন যীশুও সেই কথা বলতে পারতেন, ‘ঈশ্বর তোমাদের অগ্রে আমাকে পাঠাইয়াছেন তোমাদের প্রাণ রক্ষা করার জন্য’। যীশু হলেন সেই প্রতি কম্পন যেন সেই আওদর্শতার পরিপূর্ণ রুপ প্রদান করেন। কিন্তু যেখানে আরো একটি অংশ রয়েছে যেটার প্রতি মনোযোগ দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

১৫. পঞ্চদশতম, লোকেরা তাদের প্রতি যে ক্ষতি করেছিল ঈশ্বর সেটাকে উত্তমতায় রুপান্তর করলেন।

পরিশেষে যোসেফের ভাইয়েরা তাঁর কাছে এসে তাঁর চরণে পড়ে; যোসেফ তাদের বলেন তারা যেন তাঁর জন্য ভয় না পায়। আর যোসেফ বললেন,

“তোমরা আমার বিরুদ্ধে অনিষ্ট কল্পনা করিয়াছিলে বটে, কিন্তু ঈশ্বর তাহা মঙ্গলের কল্পনা করিলেন; অদ্য যেরুপ দেখিতেছ, এই রুপে অনেক লোকের প্রাণ রক্ষা করাই তাঁহার অভিপ্রায় ছিল। তমরা এখন ভীত হইও না, আমিই তোমাদিগকে ও তোমাদের বালক বালিকাগণকে প্রতিপালন করিব, এই রুপে তিনি তাহাদিগকে স্বান্তনা দিলেন ও চিত্ততোষক কথা কহিলেন”। (আদি পুস্তক ৫০:২০-২১)

আজকে রাত্রে সেই বাক্যের দ্বারা খ্রীষ্ট নিজে কি বলেন তা আপনার কাছে বলার প্রয়োজন কি আমার রয়েছে;

“অতএব, তোমরা এখন ভীত হইও না , আমি তোমাদের প্রতিপালন করিব। ... এই রুপে তিনি তাহাদিগকে স্বান্তনা দিলেন ও চিত্ততোষক কথা কহিলেন”। (আদি পুস্তক ৫০:২১)

নিশ্চিত ভাবেই যোসেফ হলেন সেই আদর্শ এবং যীশু হলেন ইহার পূর্ণতা! এতা এতটাই সমান্তরাল যে সেই সমসস্ত বাক্য যিশুর নিজের মুখ থেকে যেন আসে!

“অতএব, তোমরা এখন ভীত হইও না , আমি তোমাদের প্রতিপালন করিব। ... এই রুপে তিনি তাহাদিগকে স্বান্তনা দিলেন ও চিত্ততোষক কথা কহিলেন”। (আদি পুস্তক ৫০:২১)

এই প্রকার এক পরিত্রাতার উপরে নির্ভর করা খুবই সহজ। তিনি আপনার প্রতি পালন করবেন। তিনি আপনাকে স্বান্তনা দেবেন। তিনি আপনার পাপের ক্ষমা করেন ও আপনাকে তাঁর মহা মূল্যবান রক্তের দ্বারা আপনাকে ধৌত করবেন। আজ রাত্রে তাঁর কাছে এসে তাঁর উপর নির্ভর করুন। আপনি যদি চান, যীশু আপনাকে উদ্ধার করবেন তবে এই মুহুর্তে এই ঘরের পিছনে যে ঘরটি রয়েছে সেখানে যান। ডাঃ কাগান আপনাকে একটী নীরবতার জায়গাতে নিয়ে যাবেন, যেখানে তিনি আপনার সঙ্গে কতাহ বলবেন ও প্রার্থনা করবেন। তাই এই সময়ে সেখানে আপনারা যেতে পারেন। ডাঃ চান অনুগ্রহ করে যারা সংবাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাদের জন্য প্রার্থনা করুন।

সংবাদের পরিসমাপ্তি
ডাঃ হাইমার্সের সংবাদ আপনি প্রতি সপ্তাহে ইন্টারনেটের মাধ্যমে
www.realconversion.com এই সাইটে পড়তে পারেন। ক্লিক করুন “সংবাদের হস্তলিপি”

অথবা আপনি ডাঃ হাইমার্সকে মেইল পাঠাতে পারেন rlhymersjr@sbcglobal.net
অথবা আপনি তাকে পত্র লিখতে পারেনঃ পোস্ট বক্স ১৫৩০৮, লস এঞ্জেলেস, সিএ ৯০০০১৫,
এই ঠিকানায় অথবা আপনি তাকে টেলিফোন করতে পারেন (৮১৮)৩৫২-০৪৫২


সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন মিঃ আবেল প্রধম্মেঃ লিউক ২৪:৩৬-৪৫
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথঃ
“Blessed Redeemer” (by Avis B. Christiansen, ১৮৯৫-১৯৯৫)


খসড়া চিত্র

যোসেফ–খ্রীষ্টের এক বৈশিষ্ট

আদিপুস্তকের উপরে # ৭১ সংখ্যার সংবাদ
JOSEPH – A TYPE OF CHRIST
(SERMON #71 ON THE BOOK OF GENESIS)

লেখকঃ ডাঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি.

“পরে তিনি তাহাদিগকে কহিলেন, তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে থাকিতে থাকিতে আমি আমি তোমাদিগকে যাহা বলিয়াছি, আমার সেই বাক্য এই। মোজেসের ব্যাবস্থায় ও ভাববাদীগণের গ্রন্থে এবং গীতসংহিতায় আমার বিষয়ে যাহা যাহা লিখিত আছে, সেই সকল অবশ্য পূর্ণ হইবে। তখন তিনি তাহাদের বুদ্ধিদ্বার খুলিয়া দিলেন, যেন তাহারা শাস্ত্র বুঝিতে পারে”। লিউক ২৪:৪৪-৪৫,

লিউক ২৪:২৫-২৭

১.  প্রথম, তারা উভয়েই গভীর ভাবে পিতার প্রীতির পাত্র ছিলেন।
আদিপুস্তক ৩৭:৩; ম্যাথুজ ৩:১৭

২.  দ্বিতীয়, তারা উভয়েই নিজেদের ভাই-এর দ্বারা ঘৃণীত হোন।
আদিপুস্তক ৩৭:৪; যোহান ৭:৩,৪,৫

৩.  তৃতীয়, তাদের উভয়ের বিরুদ্ধেই মন্ত্রণা করা হয়েছিল।
আদিপুস্তক ৩৭:২০; যোহান ১১:৫৩

৪.  চতুর্থত, তাদের উভয়ের পোষাক তাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়।
আদিপুস্তক ৩৭:২৩; যোহান ১৯:২৩

৫.  পঞ্চম, তাদের উভয়কেই মিশরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
আদিপুস্তক ৩৭:২৮; ম্যাথুজ ২:১৪

৬.  ষষ্ঠ, তারা উভয়েই ক্রীতদাসের মূল্যে বিক্রিত হোন।
আদিপুস্তক ৩৭:২৮; ম্যাথুজ ২৬:১৫

৭.  সপ্তম, তারা উভয়েই পরীক্ষিত হয়েছিলেন।
আদিপুস্তক ৩৯:১২; ম্যাথুজ ৪:১

৮.  অষ্টম, তারা উভয়েই মিথ্যা দ্বারা অভিযুক্ত হোন।
আদিপুস্তক ৩৯:১৪-১৮; ম্যাথুজ ২৬:৬০-৬২

৯.  নবম, তাদের উভয়কেই শৃঙ্খলে বন্ধন করা হয়েছিল।
আদিপুস্তক ৩৯:২০;ম্যাথুজ ২৭:২

১০.  দশম, তারা উভয়েই আরো দু-জন বন্দীর সঙ্গে নির্দ্দিষ্ট হন যাদের একজন
উদ্ধার লাভ করে এবং অপর জন হারিয়ে যায়।

আদিপুস্তক ৪০:২,৩; লিউক ২২:৩২ .

১১.  একাদশতম, দুঃখভোগের পরে উভয়েই উন্নত হয়েছিলেন।
আদিপুস্তক ৪১:৪১;ফিলিপিয়ানস ২:৯-১১

১২.  দ্বাদশ, তারা উভয়েই কেঁদেছিলেন।
আদিপুস্তক ৪৫:২;যোহান ১১:৩৫; লিউক ১৯:৪১

১৩.  ত্রয়োদশতম, যারা তাদের প্রতি অন্যায় করেছিল তারা উভিয়েই তাদের
ক্ষমা করেন।
আদিপুস্তক ৪৫:৪; লিউক ২৩:৩৪

১৪.  চতুর্দশতম, তারা উভয়েই তাদের লোকেদের রক্ষা করেছিলেন।
আদিপুস্তক ৪৫:৫; ম্যাথুজ ১:২১

১৫.  পঞ্চদশতম, লোকেরা তাদের প্রতি যে ক্ষতি করেছিল ঈশ্বর সেটাকে
উত্তমতায় রুপান্তর করলেন।
আদিপুস্তক ৫০:২০,২১