Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




অবিনশ্বর সেই পুস্তক

THE INDESTRUCTIBLE BOOK
(Bengali)

লেখকঃ ডাঃ আর এল হাইমার্স, জুনি by Dr. R. L. Hymers, Jr.

নভেম্বর মাসের ৪-তারিখে,২০১২ সালের এক সন্ধ্যার সময়ে লস এঞ্জেলেসের
ব্যাপটিস্ট মন্ডলীতে এই সংবাদ প্রচারিত হয়েছিল
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Evening, November 4, 2012

“ইহুদী রাজ জোশিয়ার পুত্র যিহোয়াকিমের চতুর্থ বৎসরে এই বাক্য সদা প্রভু হইতে জেরেমিয়ের নিকট উপস্থিত হইল, যথা তুমি একখানি জড়ানো পুস্তক লয় এবং আমি যেদিন তোমার কাছে কথা বলিয়াছিলাম, সেই অবধি। যোশিয়ের সময় অবধি, অদ্য পর্যন্ত ইজ্রায়েলের, যিহুদার ও সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ। হয়তো আমি যিহুদা কুলের উপরে যে সকল অমঙ্গল সংকল্প ঘটাইবার ইচ্ছা করিয়াছি , তাহারা সেই সমস্ত অমঙ্গলের কথা শুনিয়া প্রত্যেকে আপন আপন কুপথ হইতে ফিরিবে; আর আমি তাহাদের অপরাধ ও পাপ মার্জ্জনা করিব” (যেরেমিয় ৩৬ঃ১-৩)


যিহুদা প্রদেশের জাতি ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করেছে। এটা ছিল সেই সময় যখন বিদ্রোহ, স্ব-ধর্ম ত্যাগের মধ্যে দিয়ে এই জাতি এক বিরাট পাপের অবস্থার মধ্যে লিপ্ত ছিল। আজ রাত্রিবেলা আমরাও তাদের মতোই একতা সময়ে বসবাস করছি। কিন্তু এই সমস্ত বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যেও আমাদের কাছে শাস্ত্রের এই মহত্বপূর্ণ অংশটা রয়েছে, জেরেমিয় ছত্রিশ অধ্যায়।

আমি যখন ১৯৭০-এর প্রারম্ভে সাউদার্ন ব্যাপটিস্ট সেমিনারে বাইবেল প্রত্যাখান নামক ক্লাস যোগদান করেছিলাম তখন আমি এই অধ্যায়টা বারবার পড়তাম। সেখানের যিনি অধ্যাপক ছিলেন তিনি প্রতিদিন সকালে শ্রেণী কক্ষের মধ্যে বাইবেল নিয়েই সব সময়ে আক্রমণ করতেন। কিন্তু আমি যখন নিজের কক্ষে ফিরে আসতাম তখন রাত্রির পর রাত্রি যাপন করে এই অধ্যায়টি পড়ে স্বান্তনা লাভ করার চেষ্টা করতাম। ইহা হল বাইবেলের এক অধ্যায়। ইহা আমাদের বলে দেয় যে বাইবেল কোথা থেকে এসেছে। অন্ধ লোকেরা কেন বাইবেল ঘৃণা করে ইহা সেই সম্বন্ধে আমাদের বলে দেয় আর কি ভবাএই বা তাঁরা ইহাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। ইহা আবার এই কথাও আমাদের বলে যে ঈশ্বর কিভাবে এই বাইবেলকে সংরক্ষণ করলেন; আর ইহাকে যারা প্রত্যাখান করে তাদের ধ্বংস সম্বন্ধেও ইহা উল্লেখ করে।

প্রসঙ্গত আমি বাইবেলের সব জায়গা থেকে প্রচার করিনা কিন্তু আর রাত্রে আমাদের তা করার প্রয়োজন রয়েছে কেন না এই অনুচ্ছেদটি এতটাই মূল্যবান, আজকে আমরা যে অবস্থায় জীবন যাপন করছি তখনও ইহা ঠিক স্বমত বা স্বধর্ম বিসর্জন দেওয়ার প্রতি এই শিক্ষার প্রয়োজন ছিল। তাই আমরা যখন শাস্ত্র অধ্যায় করছি তখন আমার সঙ্গে সঙ্গে আসুন যা পরিষ্কার ভাবেই আমাদের দেখিয়ে দেয় যে বাইবেল হল ঈশ্বরের অবিনশ্বর বাক্য! এই অধ্যায়টি কম পক্ষে চারটি প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে।

১. প্রথম, বাইবেল কোথা থেকে এসেছে ।

এর উত্তর জেরেমিয় ৩৬ঃ১-২ পদে উল্লেখ করা হয়েছে। সেই পদটির প্রতি দৃষ্টিপাত করুন।

“ইহুদী রাজ জোশিয়ার পুত্র যিহোয়াকিমের চতুর্থ বৎসরে এই বাক্য সদা প্রভু হইতে জেরেমিয়ের নিকট উপস্থিত হইল, যথা তুমি একখানি জড়ানো পুস্তক লয় এবং আমি যেদিন তোমার কাছে কথা বলিয়াছিলাম, সেই অবধি। যোশিয়ের সময় অবধি, অদ্য পর্যন্ত ইজ্রায়েলের, যিহুদার ও সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ। (জেরেমিয় ৩৬ঃ ১-২)

এই বাক্য জেরেমিয়ের কাছে সদাপ্রভুর কাছ থেকে উপস্থিত হয়, ... ‘তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি; সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ’। বাইবেলের যে অনুপ্রেরণা এটাই হল তার এক বর্ণনা। প্রেরিত পল বলেছেন,

“তুমি শিশুকাল অবধি পবিত্র শাস্ত্রকলাপ জ্ঞাত আছ, সে সকল খ্রীষ্ট যীশু সম্বন্ধীয় বিশ্বাস দ্বারা তোমাকে পরিত্রাণের নিমিত্ত জ্ঞানবান করিতে পারে। ঈশ্বর প্রণোদিত প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি আবার শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী’। (২-য় টিমোথি ৩ঃ১৫-১৬)

এখানে প্রেরিতেরা আমাদের বলেন যে, ‘পবিত্র শাস্ত্র’ দেওয়া হয়েছে ‘ঈশ্বরের অনুপ্রেরণা দ্বারা বা ঈশ্বর নিঃশ্বাসিত’। ‘ঈশ্বর নিঃশ্বাসিত বা অনুপ্রেরণা’ শব্দকে গ্রীক ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে, ‘যীশু থিওনিউষ্টস’। ইহার অর্থ হল, ঈশ্বরের নিঃশ্বাস’। এর অর্থ হল শাস্ত্র নিজে থেকেই ঈশ্বরের নিঃশ্বাসিত বাক্য। পল টিমোথিকে বলেছিলেন যে লেখার যাবতীয় বিষয় ঈশ্বরের নিঃশ্বাস। এই লেখা মানুষের কাছ থেকে আসে নি আর তারপরেই ঈশ্বর ইহাতে নিঃশ্বাস প্রদান করেছেন এমন নয়। না, ঈশ্বর সেই সমস্ত বাক্যে নিঃশ্বাস প্রদান বা তাকে অনুপ্রাণিত করেছেন আর তারপরেই মানুষ সেগুলোকে লিখেছেন।

যীশু এই বিষয়কে আরো পরিষ্কার করে দেন যখন তিনি বলেন, ‘মনুষ্য কেবল রূটিতেই বাঁচিবে না কিন্তু ঈশ্বর মুখ হইতে যে প্রত্যেক বাক্য নির্গত হয়, তাহাতেই বাঁচিবে’। (ম্যাথুজ ৪ঃ৪) শাস্ত্রের প্রতিটি অংশ ‘ঈশ্বরের মুখ থেকে বেরিয়ে আসা নিঃশ্বাস’।

এরপরে ২-য় পিটার ১ঃ২১ পদে আমরা পড়ি,‘কেননা ভাব বানী কোনদিন মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই; কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মার দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন’। এখানে ‘চালিত হইয়া’ যে শব্দ তার গ্রীক অর্থ হল ‘ফিরো’। ইহার অর্থ ‘সঙ্গে করে বহন করে নিয়ে যাওয়া’। অতএব, ঈশ্বরের পবিত্র লোকেরা পবিত্র আত্মার দ্বারা তাদের কাছে লেখার জন্য যা কিছু দিয়েছেন সেতাকেই তারা সেই ভাবে সঙ্গে করে বহন করে এসেছেন। ঈশ্বর ভাববাদীদের মনকে পরিচালনা করেন, যাতে যে শব্দ তারা লিখেছেন তা সরাসরি ভাবেই ঈশ্বর থেকে নির্গত। সি এইচ স্পারজিউন বলেছেন,

      ঈশ্বরের প্রতিটি (শাস্ত্রাংশ) খন্ড হলো জীবন্ত ঈশ্বরের লেখাঃ ইহার প্রতিটি বাক্যে ও শব্দকে সর্ব্ব শক্তিমানের অঙ্গুলির দ্বারা লেখা হয়েছে; ইহার প্রতিটি শব্দের ও অধ্যায়ের বিষয় বস্তু অনন্তকালীন জিহবা থেকে নির্গত হয়েছে। এর প্রতিটি শব্দ পবিত্র আত্মার দ্বারাই নির্দেশিত হয়েছে। যদিও মোজেসকে ব্যাবহার করা হয়েছিল তার সেই জ্বলন্ত কলম দিয়ে লেখেন আর এরজন্য ঈশ্বর তার কলমকে পরিচালিত করেন(আর এই ভাবে বাইবেলের প্রতিটি বইকেই লেখা হয়)। ইহা মানুষের বর নয় কিন্তু ঈশ্বরের বর, আর ইহাকে আমি যখন দেখি, তখন আমি দেখতে আপি যেন সেই রব ইহার মধ্য থেকে নির্গত হয়ে বলছে, ‘আমি হলাম ঈশ্বরের বই; হে মনুষ্য সন্তান, ইহাকে পড়; আমি হলাম ঈশ্বরের লেখাঃ আমার পাতা গুলো ওল্টাও, কেননা ঈশ্বরের দ্বারা আমাকে লেখা হয়েছে; ইহাকে পড়, কেননা তিনিই হলেন ইহার রচয়িতা’। (C. H. Spurgeon, “A Coffer of Jewels About the Bible,” pp. 45-46).

প্রভু যীশু খ্রীষ্ট বাইবেল থেকে ক্রমাগতভাবে বলতে থাকেন যা হল, এক পরিশুদ্ধ অনন্তকালীন ঈশ্বরের বাক্য। তিনি বলেন, ‘আকাশের ও পৃথিবীর লোপ হইবে কিন্তু আমার বাক্যের লোপ কখনও হইবে না’। (ম্যাথুজ ২৪ঃ৩৫)। তিনি বলেন, ‘আর শাস্ত্রের খন্ডন হইতে পারে না’।(যোহান ১০ঃ৩৫)। তিনি বলেন, ‘কেননা যে কেহ এই কালের ব্যাভিচারী ও পাপিষ্ঠ লোকেদের মধ্যে আমাকে ও আমার বাক্যকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করে, মনুষ্য পুত্র তাহাকে লজ্জার বিষয় জ্ঞান করিবেন, যখন তিনি পবিত্র দূত গণের সহিত আপন পিতার প্রতাপে আসিবেন’। (মার্ক ৮ঃ৩৮)।

জেরেমিয় ৩৬ঃ২-র প্রতি লক্ষা করুন, যেখানে ঈশ্বর তাঁর ভাববাদীকে বলেন, ‘তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ’। অতএব, এখানে এবং বাইবেলের সব জায়গাতেই আমাদের বলা হয়েছে যে ইহা হল একমাত্র ‘বাক্য’ যা ঈশ্বরের নিঃশ্বাসিত বাক্য রুপেই আমাদের কাছে প্রদান করা হয়েছে। ইহা কল্পনা প্রবণ কিছু ছিল না বা এমন কোন কাহিনী ছিল না যা অনুপ্রাণিত বা ঈশ্বর নিঃশ্বাসিত। না ইহা ছিল পবিত্র ‘বাক্য’ যা ছিল ‘ঈশ্বর নিঃশ্বাসিত’, ঈশ্বরের মুখ থেকে প্রদান করা হয়েছিল। জেরেমিয় ৩০ঃ২ পদে আমরা পড়ি যেখানে ঈশ্বর জেরেমিয়কে বলে ছিলেন, ‘আমি তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ’।

তাই আমাদের হাতে যে বাইবেল আমরা ধরে রয়েছি, যা ইংরাজীতে অনুবাদ করা হয়েছে। আমাদের নিশ্চিত হওয়া দরকার সেই সমস্ত শত শত শাস্ত্রাংশ, সেই সমস্ত প্রকৃত হিব্রু এবং গ্রীক শব্দ ঈশ্বরের নিঃশ্বাসিত বাক্য, ঈশ্বরের মুখ থেকে উঠে এসেছে, আর সেই সমস্ত ব্যক্তি যারা ইহা লিখেছেন তা ঈশ্বরের মুখ থেকে ইহা যে ভাবে নির্গত হয়েছে সেই ভাবেই হিব্রু ও গ্রীক ভাষাতে তারা তা লিখেছেন। জেরেমিয় ৩৬ঃ১৮ পদে বারুখ যা বলেছেন তা লক্ষ্য করুন, ‘তিনি (জেরেমিয়) মুখে আমার নিকটে এই সকল কথা উচ্চারণ করিতেছিলেন, এবং আমি কালি দিয়া এই পুস্তকে সে সমস্ত লিখিতে ছিলাম’। ঈশ্বর জেরেমিয়কে সেই বাক্য দিয়াছিলেন। তাঁর নিজের মুখ দিয়ে সেগুলিকে তিনি উচ্চারণ করেন। আর বারুখ সেগুলোকে লেখেন। এই ভাবেই আমরা আমাদের কাছে ঈশ্বর নিঃশ্বাসিত বাইবেলকে পেয়েছি।

ডাঃ বি.বি. ম্যাককিনি, তার একটা গানে বলেছেন,

বাইবেল যে ঈশ্বর প্রেরিত তা আমি জানি,
   পুরাতন, সেই সঙ্গে নূতনও;
অনুপ্রাণিত ও পবিত্র, সেই জীবন্ত বাক্য,
   বাইবেল যে সত্য তা আমি জানি।
আমি জানি, আমি জনি, আমি জানি বাইবেল হল সত্য
   সামগ্রিক ভাবে ঐশ্বরিক ভাবেই অনুপ্রাণিত
আমি জানি যে বাইবেল হল সত্য।
     (“I Know the Bible is True” by Dr. B. B. McKinney, 1886-1952).

২.দ্বিতীয়, বাইবেল কেন ঘৃণা করা হয় ।

এখানে কোন ভুল নেই। আজও হাজার হাজার অগণিত লোকেদের দ্বারা বাইবেল একটা ঘৃণার বই--- ঠিক যে ভাবে আগেও ইহা অনেকের ঘৃণ্য ছিল। কেন এমন হয়? দ্বিতীয় পদটা আরো একবার দেখুন,

“তুমি একখানি জড়ানো পুস্তক লয় এবং আমি যেদিন তোমার কাছে কথা বলিয়াছিলাম, সেই অবধি। যোশিয়ের সময় অবধি, অদ্য পর্যন্ত ইজ্রায়েলের, যিহুদার ও সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ” (জেরেমিয় ৩৬ঃ২)

শেষের কয়েকটি শব্দের প্রতি লক্ষ্য রাখুন। ইজ্রায়েলের বিরুদ্ধ্বে যে সমস্ত বাক্য আমি তোমাকে বলেছি এবং যিহুদা এবং সমস্ত জাতির বিরুদ্ধ্বে....’। এই জন্যই লোকেরা বাইবেল ঘৃণা করে। ইহা তাহাদের বিরুদ্ধ্বে বলে। মানুষ বাইবেল ঘৃণা করে কেননা ইহা বলে যে তাহারা পাপী। এই ভাবে আজ পর্যন্ত এমন কোন বই লেখা হয়নি যা বাইবেল যে ভাবে যতটা করে সেই ভাবে পাপকে দোষারোপ এবং মানুষের চেতনা বোধকে খোঁচা মারে না।

নাস্তিক বাইবেল এই জন্য ঘৃণা করে কেননা ইহা তাকে মূর্খ বলে অবহিত করে—‘মূঢ মনে মনে বলিয়াছে, ঈশ্বর নাই’। (গীতা সংহিতা ১৪ঃ১)

বিগ্রহের পূজারী বুদ্ধ্ব ধর্মাবলম্বীরা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা ইহা বলে সেই সমস্ত বিগ্রহ বা মূর্তির পূজারীরা ‘মূর্খ হইয়াছে’। (রোমনস ১ঃ২২)

যারা সমলিঙ্গের যৌনতার ওকালতি করে, তারা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা ইহা বলে, ‘এই জন্য ঈশ্বর তাদের জঘন্য রিপুর বশে সমর্পণ করিয়াছেন...’। (রোমানস ১ঃ২৬-২৮)

যাহারা ভ্রুণ মোচনের ওকালতি করেন, তারা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা, ইহা বলে ‘ তুমি নরহত্যা করিও না’। (যাত্রা পুস্তক ২০ঃ১৩)

বিবর্তনশীল লোকেরা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা ইহা বলে, ‘ঈশ্বর সৃষ্টি করেছেন’। (আদি পুস্তক ১ঃ১;১ঃ২৪;১ঃ২৭ ইত্যাদি)।

ধর্মীয় পাপীরা বাইবেল ঘৃণা করে কেননা, ইহা তাহাদের পাপের উপরে সিধা আলোক পাত করে।

“আর সেই বিচার এই যে, জগতে জ্যোতি আসিয়াছে এবং মনুষ্যেরা জ্যোতি হইতে অন্ধকার অধিক ভালো বাসিল কেননা তাহাদের কর্মসকল মন্দ ছিল। কারণ যে কেহ সদাচারণ করে, সে জ্যোতি ঘৃণা করে, এবং জ্যোতির নিকট আইসে না, পাছে তাহার কর্ম সকলের দোষ সাব্যস্ত হয়” (যোহান ৩ঃ১৯-২০)

৩. তৃতীয়, বাইবেলের সঙ্গে বিদ্রোহী পাপীরা কি করে।

জেরেমিয়ের মুখ থেকে ঈশ্বরের যে বাক্য লিখিত হয়েছিল, সেই জড়ানো পুস্তক থেকে দুষ্টর রাজা যিহোয়াকিমের প্রতি তা পাঠ করা হল। ২২-পদের প্রতি দেখুন।

“ওই সময়ে নবম মাসে রাজা শীতকাল যাপনের গৃহে বসিয়া ছিলেন, এবং তাহার সম্মুখে জ্বলন্ত আগুনের আঙ্গটা ছিল। আর যিহুদী তিন চারি পাতা পাঠ করিলে পর (রাজা) লেখকের ছুরিকা দ্বারা পুস্তকখানি কাটিয়া ওই আঙ্গটার আগুনে ফেলিয়া দিতে লাগিলেন। এই রুপে শেষ পুস্তকখানির সমুদয় আঙ্গটার আগুনে ভস্মসাৎ হইল। রাজা ও তাহার দাস গণ ওই সকল বাক্য শুনিয়াও কেহ ভীত হইলেন না ও আপন আপন বস্ত্র ছিঁড়িলেন না”। (জেরেমিয় ৩৬ঃ২২-২৪)

সেই বিদ্রোহী, মন্দ রাজা একসঙ্গে একটি পাতা জ্বালিয়ে দিলেন। নূতন আর কি আছে ? তাহলে এই ঘটনা নিশ্চিত ভাবেই সত্য যে পাপীরা বাইবেল ঘৃণা করে। তারা সব সময়ই ইহাকে ঘৃণা করে। ইডন উদ্যানের মধ্যে, শয়তান সুকৌশলে ইভের কাছে ফিস ফিস করে বলে, ‘ঈশ্বর কি বাস্তবিক বলিয়াছেন?’ (আদি পুস্তক ৩ঃ১)। শয়তান সরাসরি ভাবেই বাইবেলকে অস্বীকার করে, সে ইভকে মিথ্যাকথা বলে, ‘তুমি কোন ক্রমে মরিবে না, যদি তুমি ঈশ্বরের বাক্য অমান্য কর’। (আদি পুস্তক ৩ঃ৪)। এই ভাবে শয়তান বদমাইস পাপীদের পরিচালিত করেছে আক্রমণ করার প্রতি আর তখন থেকেই বাইবেলকে সে তুচ্ছ জ্ঞান করে আসছে।

লোকেরা প্রায় সময়ে বলে থাকে যে তারা বাইবেল প্রত্যাখান করে কেননা, তারা অত্যন্ত চিন্তাশীল বা উৎকর্ষ সাধক। কিন্তু এই ভাবে তারা নিজেদেরই প্রবঞ্চিত করছে। প্রকৃত যে কারণে তারা বাইবেল প্রত্যাখান করে তা এইজন্য কেননা তারা ঈশ্বরের শ্ত্রু। প্রেরিত পল বলেছেন,

“কেননা, মাংসের ভাব ঈশ্বরের প্রতি শত্রুতা, কারণ তাহা ঈশ্বরের ব্যাবহার বশীভূত হয় না, বাস্তবিক হইতে পারেও না”। (রোমানস ৮ঃ৭)

বাইবেলের প্রতি রুপান্তর সাধক নয় এমন চিত্ত, সেই মাংসিক ব্যাক্তির ঘৃণ্যভাব তাদের শাস্ত্রের বিরুদ্ধে আরো বেশী ভাবে বিদ্রোহ করয়ার প্রতি পরিচালিত করে। রাজা যেডেকিয়ার জেরেমিয় ভাবাবদীর থেকে বিজ্ঞ ব্যাক্তি ছিলেন না। আর নিশ্চিত ভাবেই তিনি ততোটা শিক্ষিত ছিলেন না। না, তিনি বিজ্ঞমান বা শিক্ষিত বলেই যে বাইবেল জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন এমন নয়। তিনি বাইবেল জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন কেননা তিনি মন্দ ও বিদ্রোহী ছিলেন, মাংসিক মন ‘ঈশ্বরের বিরুদ্ধে শত্রু ভাবাপন্ন’ আচরণ করে।

১৯৭০ সালে আমি যখন গোল্ডেন ব্যাপটিস্ট থিয়লজিকাল সেমিনারীতে পড়াশুনা করি তখন বাইবেলের বিরুদ্ধে অবিশ্বাসী অধ্যাপকের মুখে এই নেশা গ্রস্থ হওয়ার মতো বাদ প্রতিবাদ মূলক কথা আমি শুনেছি। কাম বিকারগ্রস্ত এবং মাদকাসক্ত যে সমস্ত ব্যাক্তিরা বাইবেলের বিরুদ্ধে যে সমস্ত বিতির্ক করে সেই ভাবে যাদের ‘দক্ষ’ অধ্যাপক বলা হয় তারাও কেন তা ব্যাবহার করে ? এর উত্তর খুব সোজা। তারা রুপান্তরিত বা কনভার্ট হয় নি। তারা কেবলমাত্র ‘স্বাভাবিক মানুষ’ কেননা তারা নূতন জীবনের অভিজ্ঞতা লাভ করে নি। বাইবেল বলে,

“কিন্তু প্রানী মনুষ্য ঈশ্বরের আত্মার বিষয়গুলি গ্রহণ করে না, কেনন আতাহার কাছে সে সকল মূর্খতা; আর যে সকল সে জানিতে পারে না, কারণ তাহা আত্মিকভাবে বিচারিত হয়”। (১-ম করিন্থিয়ান ২ঃ১৪)

যতক্ষণ পর্যন্ত না একজন পাপী কনভার্টেড বা রুপান্তরিত না হচ্ছে সে প্রানীকে মানুষের মতো বাইবেলের বিষয়ে বিরুদ্ধাচারণ করবে ঠিক যে ভাবে সেই মন্দ রাজা করেছিলে, যিনি জেরেমিয়ের সময়ে বাইবেলকে আগুনে ছুঁড়ে জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। যারা বাইবেলকে আক্রমণ করে এবং তার সমালোচনা করে তারা সর্ব্বদাই অপরিত্রাণ প্রাপ্ত লোক, যার মধ্যে কম পক্ষে কিছু পরিমাণ শয়াতানের নিয়ন্ত্রণ তার মধ্যে থাকে। (এফিসিয়ানস ২ঃ২)। ডাঃ ম্যাককিনে বলেছেন,

প্রতিপক্ষ যদিও কঠিন আত্মায় অস্বীকার করে
   সেই সংবাদ পুরাতন হলেও এখন নতুন
প্রতিবার যখনই এই কাহিনী বলা হয়, ইয়াহার সত্যতা মধুর ন্যায়
   বাইবেল যে সত্য তা আমি জানি
আমি জানি, আমি জনি, বাইবেল হল সত্য
   প্রতিটি জায়গাতে ইহা ঐশ্বরিক ভাবে অনুপ্রাণিত

৪. চতুর্থ, ঈশ্বর কি ভাবে তাঁর বাক্য সংরক্ষণ করেন।

সেই মন্দ রাজা যিহোয়াকিম ছুরি নিয়ে ঈশ্বরের বাক্যের অনুচ্ছেদ গুলিকে টুকরো করে দেন। তারপরে তিনি বাইবেলের সেই টুকরো খন্ডগুলিকে তার আগুনের শিখায় ছুঁড়ে দেন। তথাপি রাজা ও তার দাসেরা সে সকল বাক্য শুনেও কেউ ভীত হলেন না ও নিজেদের বস্ত্র ছিঁড়লেন না’।(জেরেমিয় ৩৬ঃ২৪)। সেই অন্যায় সম্বন্ধে আমাদের বলা হয়েছে, ‘ঈশ্বর ভয় তাহাদের চক্ষুর অগোচর’ (রোমনস ৩ঃ১৮)। কেবল মাত্র পাপের চেতনা প্রদান করার মধ্য দিয়েই পাপীদের সামনে নিইয়ে আসা হয় এবং ঈশ্বরের আত্মার দ্বারাই তারা ভয়শীল হয়ে ওঠে। ঈশ্বর যতক্ষণ পর্যন্ত না তাদের অন্ধ হৃদয়কে খুলে দিচ্ছেন ততোক্ষণ পর্যন্ত লোকেরা ঈশ্বরের আসন্ন বিচারের বিষয়ে ভয় করবে

এখন কেবল মাত্র জেরেমিয়র খণ্ডটাই পুড়িয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে—তার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য জ্বলে গিয়েছে। তাহলে, সেটাই কি তবে বাইবেলের শেষ অংশ ছিল ? না, ইহা সেই প্রকার কিছু ছিল না। ২৭-নম্বর পদটি দেখুন,

“জেরেমিয়ের মুখে শুনিয়া, বারুখ যে সকল বাক্য লিখিয়াছিলেন, তৎসম্বলিত পুস্তকখানি রাজা পোড়াইলে পর সদাপ্রভুর এই বাক্য জেরেমিয়ের নিকট উপস্থিত হইল। তুমি পুঃণর্বার আর এক পুস্তক গ্রহণ কর; এবং প্রথম বাক্য সকল, অর্থাৎ যিহুদা রাজ যিহোয়াকিম কর্ত্তৃক দগ্ধীভুত সেই প্রথম পুস্তকে যাহা ছিল সে সমস্ত ত্নমধ্যে লিখ”।(জেরেমিয় ৩৬ঃ ২৭-২৮)

এখন ৩২-নম্বর পদের প্রতি দেখুন,

“পরে জেরেমিয় আর একখানি পুস্তক লইয়া নেরিয়ের পুত্র বারুখকে দিলেন, তাহাতে যিহুদা রাজ যিহোয়াকিম যে পুস্তক আগুনে পোড়াইয়া ছিলেন, তাহার সমস্ত কথা তিনি পুঃণর্বার জেরেমিয়ের মুখে শুনিয়া লিখিলেন, অভিন্ন ঐ প্রকার আর অনেক কথাও তাহাতে লিখিত হইল”। (জেরেমিয় ৩৬ঃ৩২)

বাইবেল হল একমাত্র বই যাকে কোন সময়েই ধ্বংস করা যেতে পারে না। কেন ? কারণ বাইবেল হল অবিনশ্বর পুস্তক ! প্রেরিত পিটার বলেছেন, ‘কিন্তু প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে’। (১-ম পিটার ১ঃ২৫)। ঈশা ভাববাদী বলেছেন, ‘তৃণ শুষ্ক হইয়া যায়, পুষ্প ম্লান হইয়া যায়, কিন্তু আমাদের ঈশ্বরের বাক্য চিরকাল থাকিবে’। (ঈশা ৪০ঃ৮)। আর গীতিরচক বলেছেন,‘অনন্ত কালের নিমিত্ত হে সদাপ্রভু, তোমার বাক্য স্বর্গে সংস্থাপিত’। (গীত সংহিতা, ১১৯ঃ৮৯)। ডাঃ জন আর. রাইস বলেছেন, ‘গীতসংহিতা ১১৯ঃ৮৯ শব্দটি নিশ্চিত ভাবেই শাস্ত্রের অনন্তকালীন চরিত্র সম্বন্ধে শিক্ষা দেয়,যা স্বর্গে সংরক্ষিত হয়ে রয়েছে’। (John R. Rice, D.D., Our God-Breathed Book – The Bible, Sword of the Lord Publishers, 1969 edition, p. 358).

সুসমাচার যে নিশ্চিত এই বিষয়ে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন কেন না বাইবেল তাই বলে! ‘আর প্রভুর বাক্য চিরকাল থাকে’। (১-ম পিটার ১ঃ২৫)। যীশুখ্রীষ্ট স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে নেমে এসেছেন, আপনার সমস্ত পাপ তাঁর নিজের দেহের উপরে নিলেন আর ক্রুশে গেলেন মৃত্যুদণ্ড ভোগ করার জন্য—যেন আপনার অপরাধের ও আপনার পাপের মূল্য প্রদান করেন। আর খ্রীষ্ট কবর প্রাপ্ত হইলেন, আর শাস্ত্রানুসারে তিনি তৃতীয় দিবসে উত্থাপিত হইয়াছেন।( ১-ম করিন্থিয় ১৫ঃ৪)। আপনার পাপ থেকে মন পরিবর্তন করে খ্রীষ্টেড় উপরে নির্ভর করুন। তিনি আপনাকে আপনার পাপ থেকে, নরক থেকে এবং অনন্তকালীন কবর, শূণ্য গর্ভের হাত থেকে উদ্ধার করবেন। আমেন!!

বক্তৃতার সমাপ্তি
ইন্টারনেটে www.realconversion.com. প্রতি সপ্তাহে আপনি ডাঃ হাইমারের বক্তৃতা
পড়িতে পারেন। ক্লিক করুন “বাংলায় বক্তৃতা”

You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may
write to him at P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015. Or phone him at (818)352-0452.

সংবাদের আগে শাস্ত্রের যে অংশ পাঠ করা হয়েছে, তা করেছেন ডাঃ ক্রিঘটন এল.চানঃ
গীত সংহিতা ১১৯ঃ৯-১৮
সংবাদের আগে একক সংগীত গেয়েছেন মিঃ বেঞ্জামিন কিন গেইড গ্রীফিথ ঃ
“বাইবেল যে সত্য তা আমি জানি” (by Dr. B. B. McKinney, 1886- 1952).


খসড়া চিত্র

অবিনশ্বর সেই পুস্তক

লেখক ঃ আর. এল. হাইমার্স, জুনি

“ইহুদী রাজ জোশিয়ার পুত্র যিহোয়াকিমের চতুর্থ বৎসরে এই বাক্য সদা প্রভু হইতে জেরেমিয়ের নিকট উপস্থিত হইল, যথা তুমি একখানি জড়ানো পুস্তক লয় এবং আমি যেদিন তোমার কাছে কথা বলিয়াছিলাম, সেই অবধি। যোশিয়ের সময় অবধি, অদ্য পর্যন্ত ইজ্রায়েলের, যিহুদার ও সমস্ত জাতির বিরুদ্ধে তোমাকে যাহা যাহা বলিয়াছি, সেই সমস্ত বাক্য উহাতে লিখ। হয়তো আমি যিহুদা কুলের উপরে যে সকল অমঙ্গল সংকল্প ঘটাইবার ইচ্ছা করিয়াছি , তাহারা সেই সমস্ত অমঙ্গলের কথা শুনিয়া প্রত্যেকে আপন আপন কুপথ হইতে ফিরিবে; আর আমি তাহাদের অপরাধ ও পাপ মার্জ্জনা করিব” (যেরেমিয় ৩৬ঃ১-৩)

১.  প্রথম, বাইবেল কোথা থেকে এসেছে ।
জেরেমিয়া৩৬ঃ১-২;২-ইয় টিমোথি ৩ঃ১৫-১৬ ; ম্যাথুজ ৪ঃ৪;
২-য় পিটার১ঃ২১; ম্যাথুজ ২৪ঃ৩৫; জন১০ঃ৩৫; মার্ক ৮ঃ৩৮;
জেরেমিয়া ৩০ঃ২; ৩৬ঃ১৮

২.  দ্বিতীয়, বাইবেল কেন ঘৃণা করা হয় ।
জেরেমিয়া ৩৬ঃ২;গীত সং হিতা ১৪ঃ১; রোমানস ১ঃ২২;
যাত্রা পুস্তক ২০ঃ১৩; আদি পুস্তক ১ঃ১; ২৪,২৭; জন ৩ঃ১৯-২০

৩.  তৃতীয়, বাইবেলের সঙ্গে বিদ্রোহী পাপীরা কি করে।
জেরেমিয়া ৩৬ঃ২২-২৪;আদি পুস্তক ৩ঃ১,৪; রোমানস ৮ঃ৭;
করিয়ান্থিস ২ঃ১৪; এফেসিয়ানস ২ঃ২;

৪.  চতুর্থ, ঈশ্বর কি ভাবে তাঁর বাক্য সংরক্ষণ করেন।
জেরেমিয়া ৩৬ঃ২৪; রোমানস ৩ঃ১৮; জেরেমিয়া ৩৬ঃ২৭-২৮;
১-ম পিটার ১ঃ২৫; ঈশা ৪০ঃ৮; গীত সং হিতা ১১৯ঃ৮৯