Print Sermon

এই ওয়েবসাইটের উদ্দেশ্য হল ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি এবং ধর্ম্মোপদেশের ভিডিওগুলি বিশ্বব্যাপী পালক ও মিশনারিদের বিনামূল্যে সরবরাহ করা, বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বে, যেখানে ধর্ম্মতত্ত্বমূলক সেমিনারী বা বাইবেল স্কুল থাকলেও খুব কম রয়েছে|

এই সমস্ত ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপি ও ভিডিওগুলি www.sermonsfortheworld.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখন প্রতি বছর 221টি দেশের প্রায় 1,500,000 কম্প্যুটারে যায়| আরও শত শত লোক ইউটিউবের ভিডিওর মাধ্যমে এগুলি দেখেন, কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই তারা ইউটিউব ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং আমাদের ওয়েবসাইটে চলে আসেন| ইউটিউব আমাদের ওয়েবসাইটে লোক এনে দেয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি প্রতি মাসে 46টি ভাষায় প্রায় 120,000 কম্প্যুটারে প্রচারিত হয়| ধর্ম্মোপদেশের পান্ডুলিপিগুলি গ্রন্থসত্ত্ব দ্বারা সংরক্ষিত নয়, কাজেই প্রচারকগণ আমাদের অনুমতি ছাড়াই এইগুলি ব্যবহার করতে পারেন| মুসলিম এবং হিন্দু রাষ্ট্রসমেত, সমগ্র পৃথিবীতে সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এই মহান কাজে সাহায্য করার জন্য কিভাবে আপনি একটি মাসিক অনুদান প্রদান করতে পারেন তা জানতে অনুগ্রহ করে এখানে ক্লিক করুন|

যখনই আপনি ডঃ হেইমার্‌সকে লিখবেন সর্বদা তাকে জানাবেন যে আপনি কোন দেশে বাস করেন, অথবা তিনি আপনাকে উত্তর দিতে পারবেন না| ডঃ হেইমার্‌সের ই-মেল ঠিকানা হল rlhymersjr@sbcglobal.net |




প্রকৃত ভাবে মন ফেরানো-২০১০ প্রকাশন

REAL CONVERSION – 2010 EDITION

ডঃ আর এল হাইমার্স (জুনিয়র)
by Dr. R. L. Hymers, Jr.

৩০ শে মে,২০১০, লস এ্যাঞ্জেলসের ব্যাপটিস্ট ট্যাবারনাকলে, সকালে সদাপ্রভুর দিনে
যে উপদেশ প্রচারিত হয়েছিলো।
A sermon preached at the Baptist Tabernacle of Los Angeles
Lord’s Day Morning, May 30, 2010

“আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া ওঠ, তবে কোন মতে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে না" (ম্যাথু ১৮ঃ ৩)


যীশু সরল ভাবে বলিয়াছেন "তোমরা যদি না ফির, তোমরা কোন মতে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে না"। তাই তিনি পরিষ্কার ভাবেই সরল করিয়া দিয়াছেন যে আপনাকে অবশ্যই মন ফিরাতে হইবে। তিনি বলিয়াছেন, আপনি যদি মন ফিরানোর বিষয়টি অনুভব না করিয়া থাকেন তাহলে "আপনি স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবেন না।"

আজ সকালে আমি এক ব্যাক্তির কথা বলিতে চাই যিনি মন ফিরানোর বিষয়টি অনুভব করিয়াছিলেন তার প্রতি কি হইয়াছিলো। স্পারজিউন বলিয়াছেন "প্রথম দর্শনে বিশ্বাস বলিয়া হয়তো কোন বিষয় থাকিতে পারে কিন্তু স্বাভাবিক ভাবে আমরা বিশ্বাসে পদার্পণ করিয়া থাকি ধাপে ধাপে"। (C. H. Spurgeon, Around the Wicket Gate, Pasadena, Texas: Pilgrim Publications, 1992 reprint, p. 57). প্রায় ব্যাক্তি যাহারা এই পথ দিয়া অগ্রসর হয় তার ধাপ সমূহ প্রদান করা হইলো।

১. প্রথমত আপনি মন ফিরানোর ভাবনায় না থেকে, অন্য কোন উদ্দেশ্যে গীর্জাতে আসেন।

প্রায় সকলেই এই বিষয়টা করে থাকেন ও প্রথমেই তারা মন্ডলীতে আসিতে শুরু করেন ভুল কারণে। আমি নিজে ইহা করিয়াছি। মিস্টার গ্রিফিথও তাই করিয়াছেন, তিনি হলেন সেই ব্যাক্তি যিনি "বিস্ময়কর অনুগ্রহ" নামক গানটি গাহিয়াছেন। ঠিক সমস্ত প্রকার সম্ভাবনার মধ্যে আপনিও তাই করিয়াছেন।

আমি মন্ডলিতে আসিয়াছিলাম অতি অল্প বয়সে কেননা আমার পার্শ্ববর্তী পরিবারের লোকেরা তাদের সহিত মন্ডলীতে আসিবার জন্যে আমাকে নিমন্ত্রণ দিয়াছিলেন। আর তাই ১৯৫৪ সাল হইতেই আমি মন্ডলীতে আসিতে শুরু করি কেওননা আমি একাকিত্ব অনুভব করিতেছিলাম; এবং আমার পার্শ্ববর্তী দরজার লোকেরা আমার প্রতি সদয় ছিলেন। সেটাই একমাত্র যুক্তিযুক্ত কারণ নয়, তাই কি ? আমি সম্মুখপানে আগাইলাম,ও প্রথম উপদেশের প্রান্তভাগে শুনিলাম ও ব্যাপ্তিস্ত গ্রহণ করিলাম।আর এইভাবেই আমি ব্যাপ্তিস্ত হইয়া উঠিলাম। কিন্তু আমি মন ফিরাই নাই। আমি আসিয়াছিলাম কেননা তারা আমার প্রতি সদয় ছিলেন। আমি পরিত্রাণ পাইবার উদ্দেশ্যে আসিতাম না। অতএব আমাকে দীর্ঘকালীন এক দন্দ্বের মধ্য দিয়া যাইতে হইয়াছিলো, যার সর্বশেষ সময় সীমা ছিলো সাত বৎসর। পরিশেষে ১৯৬১ সনের ২৮-শে সেপ্টেম্বর আমি রুপান্তরিত হইয়া উঠি যেখানে ডঃ যে চার্লস উডব্রীজ একটি বাইবেল কলেজে (বর্তমান বাইয়োলা বিশ্ববিদ্যালয়) প্রচার করার সময়ে তাঁর কথা শুনিয়াছিলাম।

আপনার বিষয়ে কি মনে হয় ? আপনি একাকিত্ব অনুভব করিতেছিলেন বলিয়া কি মন্ডলীতে আসিইয়াছিলেন না কি যেহেতু শিশু অবস্থা হইতে আপনার পিতা মাতা আপনাকে মন্ডলীতে লইয়া আসিতেন তাই ? আজকে সকালে আপনি যদি এখানে অভ্যাস ছাড়াই আসিয়াছেন, ঠিক যেমনি ভাবে ছেলে মেয়েরা মন্ডলীতে বড় হইয়া উঠে, ইহার অর্থ এমন নয় যে আপনি মন ফিরাইয়াছেন। আমাকে ভুল বুঝিবেন না। আপনি যে এখানে আসিয়াছেন ইহাতে আমি আনন্দিত- এর মধ্যে আপনার যদি মন্ডলীর ছেলে মেয়েদের মতো আচরণ থাকিয়া থাকে অথবা একাকিত্ব রহিয়াছে -- ঠিক আমারই মতো যখন আমার বয়স তেরো বৎসর ছিলো। মন্ডলীতে আসিবার প্রতি সেগুলি ছিল বোধ জ্ঞান সম্পন্ন যুক্তি কিন্তু সেগুলি আপনাকে পরিত্রাণ দিতে পারে না। পরিত্রাণ লাভ করিবার জন্যে আপনাকে অতি অবশ্যই প্রকৃত মন ফিরান অবস্থার মধ্য দিয়া যাইতে হইবে। আপনাকে সত্য সত্যই পরিত্রাণ লাভ করিতে হইবে। সেটাই হল "সঠিক" কারণ।

অভ্যাসের বাইরে বা আপনি একাকিত্ব অনুভব করিয়াছেন বলিয়া এইখানে আসিয়াছিলেন ইহা দোষের কথা নয়। ইহাই প্রকৃত যুক্তিও নয়। আপনাকে অতি অবশ্যই মন ফিরানোর জন্যে বেশি কিছু চইতে হইবে, শুধু মাত্র মন্ডলীতে আসিয়া আপনি খুশী ও শান্তি অনুভব করিয়াছিলেন ইহাই একমাত্র কারণ নহে।

২. দ্বিতীয়ত আপনি জানিতে শুরু করেন যে সেখানে সত্য সত্যই ঈশ্বর আছেন।

মন্ডলীতে আমার পূর্ব থেকেই আপনি অনুভব করিয়াছেন যে ঈশ্বরের অস্তিত্ব রহিয়াছে। কিন্তু অনেকের কাছে কেবল মাত্র অস্পষ্ট ধারণা রহিয়াছে ও সু-সমাচারের প্রতি মুখোমুখি হওয়ার আগে থেকেই ঈশ্বর সম্বন্ধে তাদের মধ্যে অস্পষ্ট বিশ্বাস বা ভরষা রহিয়াছে। যদি তাদের কেউ আপনাকে এখানে লইয়া আসিয়াছে সম্ভবত আপনার জন্যেও সেই একই বিষয় হইতে পারে। আপনি যদি মন্ডলীতে বড় হইয়াছেন, তবে আপনি শাস্ত্রের বহু অংশ সম্বন্ধে অবগত আছেন। অতি সহজেই বাইবেলের মধ্যে আপনি সঠিক জায়গাটি খুঁজিয়া লইতে পারেন। পরিত্রাণের পরিকল্পনার বিষয় আপনি অবগত আছেন। বাইবেলের বহু পদ ও গান আপনার জানা আছে। তথাপি ঈশ্বর যেন আপনার কাছে অপ্রকৃত ও অস্বচ্ছ মনে হইতেছে।

তাহলে, আপনি হয় নুতন ব্যাক্তি অথবা মন্ডলীর ছেলে মেয়ে, আপনার মধ্যে কিছু একটি হইতে আরম্ভ করিল। আপনি অনুভব করিতে শুরু করিলেন যে কেবল মাত্র ঈশ্বর সম্বন্ধে কথা বলাই নয়, ঈশ্বর সত্য সত্যই এখানে রহিয়াছেন। ঈশ্বর আপনার নিকট যেন প্রকৃত ব্যাক্তিত্ব হইয়া উঠিতে লাগিলেন। আমার বয়স যখন পনেরো তখন আমি ঈশ্বরের বাস্তবতার বিষয়ে যত্নশীল হইয়া উঠিলাম, যে দিবসে, আমার ঠাকুরমার কবর হইতেছিল, ঠিক গাছের নীচে, সেই কবর স্থানে বাস্তবে আমি মাটিতে পড়িয়া গেলাম। ঈশ্বর যে বাস্তবে জীবন্ত ব্যাক্তি তা আমি জানিতাম। কিন্তু তখনও আমি মন ফিরাই নাই।

আপনিও কি সেই সময় কিছু অনুভব করিয়াছিলেন? আপনার জীবনে ঈশ্বর কি প্রকৃত বাস্তব? তা কি ভীষণ গুরুত্ব পূর্ণ? বাইবেল বলে,

"বিনা বিশ্বাসে প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়, কারণ যে ব্যাক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয় তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন" [i.e. তিনি আছেন] (হিব্রুজ ১১ঃ৬)।

ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস করাতে প্রয়োজন নির্ভরতার-- কিন্তু ইহা পরিত্রাণ সাধনকারী বিশ্বাস নয়। ইহা মন পরিবর্তন করা নয়। আমার মা প্রায় সময়েই বলিতেন 'আমি সর্ব্বদাই ঈশ্বরে বিশ্বাস করিতাম'। তিনি যে তা করিতেন সেই বিষয়ে আমার মনে কোন প্রশ্ন ছিলো না।ছোটবেলা থেকেই তিনি ঈশ্বর বিশ্বাস করিতেন। কিন্তু যতদিন পর্যন্ত না তাঁর বয়স আশি হইয়াছিলো, ততদিন পর্যন্ত তিনি মন পরিবর্তন করেন নাই। ঈশ্বরে যে তিনি বিশ্বাস করিতেন ইহা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কোন ব্যাক্তিকে প্রকৃতভাবে মন পরিবর্তন করিতে হইলে আরোও বেশি কিছু অতি অবশ্যই তার জীবনে ঘটার প্রয়োজন রহিয়াছে।

তাই আমি বলিতছি যে আজিকে সকালে, আপনি সম্ভবত ঈশ্বর ও তার প্রকৃত বাস্তবতা না জানিয়াই মন্ডলীতে উপস্থিত হইয়াছেন। এরপরে, হতে পারে, ধীরে ধীরে, সম্ভবত অতি সত্বর, ঈশ্বর যে সেখানে রহিয়াছেন তা আপনি দেখিতে পাইতেছেন। সেটাই হল দ্বিতীয় ধাপ, কিন্তু ইহা এখনও পর্যন্ত মন পরিবর্তন নয়।

৩. তৃতীয়ত আপনি উপলব্ধি করিতে পারেন যে আপনার পাপের দ্বারা ঈশ্বরকে আপনি অসন্তুষ্ট ও ক্রোধিত করিয়া তুলিয়াছেন।

বাইবেল বলে "যাহারা মাংসের অধীনে থাকে,(যারা রুপান্তরিত বা মন পরিবর্তন করে নাই) তাহারা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিতে পারে না। (রোমানস ৮ঃ৮)। তাই আপনি উপলব্ধি করিতে থাকেন যে এক মন পরিবর্তন হীন ব্যাক্তি হিসাবে, ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করিবার জন্যে আপনি কিছুই করিতে পারেন না। প্রসঙ্গত, আপনি উপলব্ধি করিতে শুরু করেন যে, আপনি এক পাপী ব্যাক্তি। প্রতি দিনেই আপনার "অপরিবর্তনশীল চিত্ত আপনার জন্য ক্রোধের সঞ্চার করিতেছে" (রোমানস ২ঃ৫)। বাইবেল বলেঃ

“দুষ্টদের প্রতি তিনি প্রতিদিন ক্রোধিত ঈশ্বর" (গীতসংহিতা ৭ঃ১১)

ঈশ্বর যে সত্যসত্যই সেখানে আছেন এই বিষয়টি আপনি আবিষ্কার করার পরে অনুভব করেন যে পাপ করিবার দ্বারা আপনি ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করিয়াছেন। তাঁকে ভালো না বাসার ফলেও ঈশ্বরকে আপনি অসন্তুষ্ট করিয়াছেন। যে পাপ আপনি করিয়াছেন তা ছিলো ঈশ্বর ও তাঁর আত্মার বিরুদ্ধ। পরে ইহা আপনার নিকটে অত্যন্ত স্বচ্ছ হইলো যে তা সত্য বিষয়। ঈশ্বরের জন্যে আপনার ভালোবাসার অভাবটি এই ভাবে প্রত্যক্ষ হইলো যে এই মুহুর্তে আপনি বিরাট পাপ করিয়াছেন। কিন্তু, সমস্ত কিছুর থেকেও আপনি দেখিতে শুরু করিলেন যে আপনার প্রকৃত স্বভাব / আচরণও পাপে পরিপূর্ণ, আপনার মধ্যে ভালো কিছুই নেই, আপনার নিজের হৃদয়ও পাপে পরিপূর্ণ।

এই অবস্থাকে মন্ডলীর নীতি নিষ্ঠ ব্যাক্তিবর্গের দ্বারা বলা হইয়া থাকে 'ঘুমভাঙা' অবস্থান। কিন্তু পাপের তীক্ষ্ণ বোধশক্তি ও গভীর ভাবে দোষারোপ বিহীন অবস্থাতে কোন সচেতনাতাই আসতে পারে না। আপনি এই ভাব অনুভব করবেন ঠিক যে ভাবে জন নিউটন করেছেন, যখন তিনি লিখলেনঃ

"হে প্রভু, আমি কতই না কদর্য, অপবিত্র ও কলুষিত হে প্রভু,
কিরুপে আমি এ পাপের বোঝা লইয়া উদ্যোগের সাহস আনিতে পারি ?
এই প্রকার অশুচি হৃদয় কি তোমার আবাস স্থল হইতে পারে? আমাকেও সিক্ত কর !
যে মন্দতা আমি দেখিতে পাই, তার প্রতিটি অংশ"!
   (“হে প্রভু, আমি কতই না কদর্য" জন নিউটনের লেখা, ১৭২৫-১৮০৭)

আপনার অন্তঃকরণ ও মনের আন্তরিক পাপময় অবস্থা সম্বন্ধে আপনি গভীর ভাবে চিন্তা করতে আরম্ভ করবেন। আপনি চিন্তা করতে থাকবেন, 'আমার হৃদয় অত্যন্ত ভাবেই পাপ পূর্ণ ঈশ্বর থেকে বহু দূরে রহিয়াছে'। সেই প্রকার চিন্তাধারা আপনাকে অত্যন্ত ভাবে বিচলিত ও বিশৃঙ্খল করিয়া তুলিবে আপনার নিজের পাপ পূর্ণ চিন্তাধারা ও ঈশ্বরের প্রতি ভালবাসার অভাবে। ঈশ্বরের প্রতি আপনার হৃদয়ের শীতল অচেতন বোধ এই পর্যায়ে আপনাকে গভীর ভাবে ব্যাতিব্যাস্ত করিয়া তুলিবে। আপনি উপলব্ধি করিতে শুরু করিবেন যে ঠিক আপনার মতোই একজন ব্যাক্তি পাপ পূর্ণ হৃদয় নিয়া, যেন প্রত্যাশার বাহিরে রইয়াছে। আপনি তখন দেখিবেন যে ঈশ্বরের কাছে ইহা সঠিক ও প্রয়োজন যেন আপনাকে নরকে প্রেরণ করেন-- কেন না আপনি নরকের যোগ্য। আপনি যখন সত্য সত্যই সচেতনতা লাভ করিবেন ও উপলব্ধি করিবেন যে আপনি ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করেছেন ও আপনার পাপের দ্বারা তাঁকে ক্রোধিত করিয়া তুলিয়াছেন তখনই আপনি এই কথা চিন্তা করিবেন। সচেতনশীল করার যে ধাপ সেটি হল এক গুরুত্বপূর্ন ধাপ, কিন্তু ইহাই প্রকৃতপক্ষে মন পরিবর্তন করা নয়। একজন ব্যাক্তি যখন দেখেন যে তিনি কতই না পাপপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন তখনই তিনি সচেতনতা লাভ করেন কিন্তু তখনও পর্যন্ত তিনি রুপান্তরিত হয়ে ওঠেন নি। কেবলমাত্র পাপের জন্যে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার থেকেও মন পরিবর্তন আরোও এক ধাপ এগিয়ে থাকে।

হঠাৎ করেই আপনি হইয়তো উপলব্ধি করিলেন যে ঈশ্বরকে আপনি অসন্তুষ্ট করিয়া তুলিয়াছেন অথবা কেবল মাত্র কোন শিক্ষা হইতে সেই প্রকার সচেতনাবোধ হয়তো বর্দ্ধনশীল হইতে পারে এক পূর্ণ ধীর শাস্তিতে যে ঈশ্বর অসন্তুষ্ট হইয়াছেন আর তিনি আপনার সঙ্গে অত্যন্ত ভাবেই ক্রোধিত। আপনি যে পাপ পূর্ণ ব্যাক্তি ও অপবিত্র এই সচেতনাবোধে আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত না জাগ্রত হইতেছেন, তখন আপনি চতুর্থ ও চূড়ান্ত মন পরিবর্তনের ধাপে প্রস্তুত হইতেছেন।

চার্লস স্পারজিউন তাঁর পাপের সম্বন্ধে এই প্রকার সচেতনতা বোধে উত্তীর্ণ হোন যখন তাঁর বয়স কেবল মাত্র ১৫- বৎসর। তাঁর পিতা ও ঠাকুরদা উভয়েই প্রচারক ছিলেন। তাঁরা এমন একটা দিনে বসবাস করিতে ছিলেন যেখানে আধুনিক 'নিষ্পত্তিবোধ' প্রকৃত মন পরিবর্তনের বিষয়টিকে তখনও পর্যন্ত পঙ্কিল ও অস্বচ্ছ করে তোলে নাই। তাই তাঁর পিতা ও ঠাকুরদা 'খৃষ্টের জন্যে সিদ্ধান্ত' নেওয়ার জন্য অগভীর সিদ্ধান্তে উপনীত হইবার জন্য তাকে 'জোর করেন নাই'। পরিবর্তে তারা ঈশ্বরের প্রতি অপেক্ষায় ছিলেন যেন তাঁর মধ্যে মন পরিবর্তনের পুরো কাজটা তিনিই করেন। আমার মনে হয় তারা ঠিকই ছিলেন।

তাঁর বয়স যখন পনেরো পরিশেষে স্পারজিউন পাপ সম্বন্ধে এক গভীর মন পরিবর্তনের অবস্থানে পৌঁছান। স্পারজিউন পাপ হতে তার সচেতনতাশীলতার কথা এই কথার মধ্যে দিয়ে ব্যাক্ত করিয়াছেনঃ

হঠাৎ করেই আমার মোজেসের সাথে সাক্ষাৎ হয়। যিনি তাঁর হস্তে করিয়া ঈশ্বরের নিয়ম বহন করিতেছিলেন, আর তিনি যখন আমার প্রতি তাকাইলেন, মনে হইলো তিনি যেন আমার মধ্যে নিজের চক্ষু দ্বারা কিছুর অণ্বেষণ করিতেছেন। ঈশ্বরের দশটি বাক্য (পড়িবার জন্য) তিনি (আমাকে বলিলেন)। যা হলো দশটি আজ্ঞা-- আর আমি যখন তাদের পড়িতে থাকি তারা সকলেই মনে হয় একত্রে মিলে পবিত্র ঈশ্বরের উপস্থিতিতে আমাকে দোষারোপ ও অভিযুক্ত করিতেছে।

সেই অভিজ্ঞতার মধ্যে তিনি দেখিলেন যে ঈশ্বরের উপস্থিতিতে তিনি একজন পাপী ব্যাক্তি আর তাই 'ধর্মের' বা 'উত্তমতার' কোন পরিমাপই আমাকে রক্ষা /পরিত্রাণ করিতে পারে। তখন যুবক স্পারজিউনকে এক বিরাট অবসাদের মধ্য দিয়া যাইতে হইলো। তাই তিনি তার নিজের প্রচেষ্টাতে ঈশ্বরের শান্তি অর্জন করিবার জন্য বহু পন্থার চেষ্টা করিতে থাকেন, কিন্তু ঈশ্বরের কাছে সেই শান্তি আনয়ন করার সমস্ত প্রচেষ্টাই অকৃতকার্য্য হইয়া ওঠে। এর পরেই তিনি চতুর্থ "ধাপের" প্রতি প্রস্তুত হইয়াছিলেন-- যাহা হইল মন পরিবর্তন করিবার একমাত্র চূড়ান্ত কার্য্যধারা।

৪. চতুর্থ, আপনি ঈশ্বরের পুত্র, যীশু খৃষ্টের কাছে উপস্থিত হোন।

স্পারজিউন যখন তার পাপের প্রতি চেতনা লাভ করেছিলেন,প্রথমেই তিনি বিশ্বাস করিতে পারেন নাই যে তিনি কেবল মাত্র যীশুতে বিশ্বাস করিলেই পরিত্রাণ লাভ করিতে সক্ষম হইয়া উঠিবেন। তিনি বলিলেনঃ

খৃষ্টের নিকটে আসিবার পূর্বে, আমি নিজেকে বলিলাম,'নিশ্চিত ভাবেই ইহা তেমন হইতে পারে না, আমি যদি যীশুতে বিশ্বাস করি, ঠিক আমি যেমন রহিয়াছি, আমি পরিত্রাণ লাভ করিব ? আমাকে অতি অবশ্যই কিছু অনুভব করিতে হইবে, আমাকে অবশ্যই কিছু করিতে হইবে'।

কিন্তু তিনি কিছুই "অনুভব" করিলেন না, আর ইহার জন্য তিনি কিছুই করিলেন না। তিনি অত্যন্ত ভাবেই দূর্দশাগ্রস্ত হইয়া পড়িলেন। উত্তম! আর সেটাই কোন এক ব্যাক্তিকে তার থেকে দূরে পরিচালিত করা হয়-- যীশুর প্রতি, একমাত্র ঈশ্বরের পুত্র।

একটি ছোট্ট মন্ডলীতে স্পারজিউনকে তুষার ঝড়ের মধ্য দিয়া যাইতে হইয়াছিল। কেবল মাত্র অল্প সংখ্যক লোকই সেখানে ছিলেন। এমনকি পেস্টরকে পর্যন্ত সেই আর্তনাদ কারী ঝড়ের থেকে দূরে রাখা হইয়াছিল। কেবল মাত্র একটি রোগা মানুষ উঠিয়া দাঁড়াইলেন যেন চটজলদি একটি বক্তৃতা প্রদান করিবেন। সেই মানুষটি কেবলমাত্র বলিলেন; 'খৃষ্টের প্রতি দেখুন'। পরিশেষে তার সমস্ত প্রকার দ্বন্দ ও আন্তরিক বিশৃঙ্খলার পরে, সেই যুবক স্পারজিউন সেটাই করিয়াছিলেন। তার জীবনে এই প্রথমবার তিনি বিশ্বাস সহকারে যীশুখৃষ্টের প্রতি তাকাইলেন। স্পারজিউন বলিলেন ' আমি পরিত্রাণ লাভ করিয়াছি রক্তের দ্বারা।বাড়ি যাইবার সমস্ত পথে আমি এখন নৃত্য করিতে পারি'। তিনি স্বাভাবিক ভাবেই যীশুর কাছে আসিয়াছিলেন! ইহা অত্যন্ত সাধারণ, তথাপি অতি গভীর এক অভিজ্ঞতা যা এক জন মানুষ লাভ করিতে পারেন। আমার সেই হারিয়ে যাওয়া বন্ধুর প্রকৃত মন পরিবর্তন!

উপসংহার

প্রকৃত মন পরিবর্তনের মধ্যে খৃষ্টের অন্বেষণে কিছুই যেন আপনাকে থমকে না দেয়। যীশু যা বলিয়াছেন তা স্মরণ করিবেনঃ

“তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া উঠ তবে কোনমতে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে না" (ম্যাথু ১৮ঃ৩)

ঠিক 'যাত্রিকের গতিতে' মুখ্য চরিত্রের মতোই 'খৃষ্টের প্রতি সিদ্ধান্ত' নেওয়ার প্রতি অগভীর কোন কিছুতেই আস্তানা স্থাপন করিবেন না। আপনার মন পরিবর্তন যে বাস্তব সেই বিষয়ে নিশ্চিত হইয়া উঠুন কেন না সত্য সত্যই আপনি যদি মন পরিবর্তন লাভ করিয়া রুপান্তরিত হইয়া না উঠেন, "তবে আপনি কোন মতেই স্বররগ রাজ্যে প্রবেশ করিতে পারিবেন না" (ম্যাথু ১৮ঃ৩)


প্রকৃত মন পরিবর্তন লাভ করিবার জন্য

১.  আপনাকে অবশ্যই একটি জায়গাতে আসিতে হইবে ও বিশ্বাস করিতে হইবে যে সেখানে ঈশ্বর আছেন -- এক প্রকৃত ঈশ্বর যিনি পাপীদিগকে নরকে নস্যাৎ করেন আর পরিত্রাণকারীদের মৃত্যুর পরে স্বর্গে লইয়া যান।

২.  আপনার অন্তরের অন্তস্থলে, আপনাকে অবশ্যই জানিতে হইবে যে আপনি একজন পাপী, যিনি অত্যন্ত গভীর ভাবেই ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করিয়াছেন। বেশ দীর্ঘ কাল আপনি হয়তো এইভাবে অগ্রসর হইতে পারেন(অথবা কারো কারো জন্য ইহা অল্পকাল হইতে পারে)। আমাদের ডিকন, ডঃ কাগান, বলিয়াছেন, ঃঈশ্বর আমার কাছে প্রকৃত হয়ে ওঠার পর হইতে বহু মাস ধরিয়া আমাকে রাত্রি বিহীন অবস্থায় সংগ্রাম চালাইয়া যাইতে হইয়াছে। আমার জীবনের এই অবস্থাটিকে আমিই বর্ণণা করতে পারি দুই বৎসর কালের মানসিক যন্ত্রণা"। (C. L. Cagan, Ph.D., From Darwin to Design, Whitaker House, 2006, p. 41).

৩.  একজন ক্রোধী ও দন্ড প্রদানকারী ঈশ্বরের প্রতি পুণর্মিলিত হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই অবগত হইতে হইবে যে আপনি কোন ভালো কাজই ইহার জন্য করিতে পারেন না। আপনি যা কিছু বলেন বা শিখেন অথবা করেন তার কোন কিছুই আপনাকে সাহায্য করিতে পারে না। সেই বিষয়টিকে আপনার হৃদয় ও মনের মধ্যে অবশ্যই পরিষ্কার করিয়া লইতে হইবে।

৪.  আপনাকে অতি অবশ্যই যীশুখৃষ্টের নিকটে আসিতে হইবে, সেই একমাত্র ঈশ্বরের পুত্র আর তাঁর রক্তের দ্বারাই আপনাকে পরিষ্কৃত হইতে হইবে। ডঃ কাগান বলিয়াছেন " আমি যথাযথ ভাবেই স্মরণ করিতে পারি সেই সমস্ত সেকেন্ডের বেশ কিছু মুহুর্ত, যখন আমি যীশুতে নির্ভর করিয়াছিলাম। ইহা মনে হইতেছিল আমি যেন অতি ঈশ্বর (যীশুর) সম্মুখীন হইতেছি... আমি নিশ্চিত ভাবেই যীশুখৃষ্টের উপস্থিতিতে ছিলাম আর তিনিও নিশ্চিত ভাবেই আমার সহায়ক হইইয়াছিলেন। বহু বৎসর আমি তাঁকে দূরে রাখিয়াছিলাম যদিও সর্বদাই তিনি আমার সহিত ছিলেন, অত্যন্ত প্রেমের সহিত আমাকে পরিত্রাণ প্রদান করিতে ছিলেন। কিন্তু সেই রাত্রিকালে আমি অবগত হইয়াছিলাম এখন সময় উপনীত হইয়াছে যেন তাঁর উপর নির্ভর করি। আমি অবগত ছিলাম আমাকে অবশ্যই তাঁর নিকটে আসিতে হইবে অথবা তাঁকে ছাড়া থাকিতে হইবে। ঠিক সেই মুহুর্তে, কেবল মাত্র কিছু সেকেন্ডের মধ্যে, আমি যীশুর নিকট আসিলাম।আমি আর আত্মনির্ভরশীল অবিশ্বাসী রহিলাম না। আমি যীশুখৃষ্টের উপরে নির্ভর করিয়াছিলাম। আমি তাঁকে বিশ্বাস করিয়াছিলাম। ইহা ছিল অত্যন্ত ভাবেই অতি সাধারণ বিষয়। সেই প্রকার একটি ছোট্ট সময়ে, কেবলমাত্র নির্ভরতার একটি ছোট্ট কার্‍্য্যের দ্বারা.... আমি যিশুখৃষ্টের প্রতি 'অতিক্রম করিয়া' আসিলাম যা ছিল সব থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যা মন পরিবর্তনের মুহুর্তে সকল মানবীয় জীবনে ঘটিতে পারে। আমার সমুদয় জীবনে আমি কেবল পলায়ন করিতেছিলাম-- কিন্তু সেই রাত্রি কালীন সময়ে আমি চারিপাশে ফিরিয়া তাকাইলাম আর সরাসরি ভাবে অতি ঈশ্বর যীশুর কাহে আসিলাম"।(C. L. Cagan, ibid., p. 19). সেটাই হল প্রকৃত মন পরিবর্তন। আর সেই প্রকার অভিজ্ঞতাই আপনাকে অনুভব করিতে হইবে যীশুখৃষ্টের প্রতি মন পরিবর্তন করিবার জন্যে !


আপনার পাপের মূল্য চুকিয়ে দিবার জন্যে খৃষ্ট ক্রুশের উপরে মৃত্যু বরণ করিয়াছেন আর তিনি আপনাকে এক ক্রোধিত ঈশ্বরের প্রতি পুণর্মিলিত করিয়া দিয়াছেন। শারিরীক ভাবে যীশু মৃত্যু থেকে পুণরত্থিত হইয়াছেন ও স্বর্গে প্রত্যাবর্তন করিয়াছেন, যেখানে তিনি ঈশ্বরের দক্ষিণ হস্তে বসিয়া আপনার পরিত্রাণের জন্যে প্রার্থনা নিবেদন করিয়াছেন।

“ অতএব তোমরা যখন খৃষ্টের সহিত উত্থাপিত হইয়াছ, তখন সেই উর্দ্ধ স্থানের বিষয়ে চেষ্টা কর, যেখানে খৃষ্ট আছে, ঈশ্বরের দক্ষিণে বসিয়াছেন। উর্দ্ধস্থ বিষয় ভাব, পৃথিবীস্থ বিষয় ভাবিও না" (কোলজিয়ান্স ৩ঃ১-২)।

খৃষ্টের প্রতি তাকিয়ে থাকুন! সেই ঈশ্বরের পুত্রের প্রতি দেখুন! তাঁর রক্তের দ্বারা আপনার পাপ ধৌত হয়। ঠিক যোসেফ হার্ট যেমন ভাবে বলেছেনঃ

যে মুহুর্তে একজন পাপী বিশ্বাস করে,
ও তার ক্রুশারোপিত ঈশ্বরে নির্ভর করে,
সেই মুহুর্তেই তিনি তার পাপের ক্ষমা পান ও তাঁর
রক্তের মধ্যে দিয়ে উদ্ধার লাভ করেন।
   (“The Moment a Sinner Believes” by Joseph Hart,1712-1768).

স্পারজিউনের প্রতিও সেটাই ঘটিয়াছিল।এই একই কাজ ডঃ কাগনের প্রতিও ঘটিয়াছিল। আর সেটাই আপনার প্রতিও অতি অবশ্যই ঘটা প্রয়োজন। জীবন্ত খৃষ্টের সহিত অতি অবশ্যই আপনার সম্পর্ক স্থাপন হওয়ার প্রয়োজন আর সমস্ত প্রকার পাপের প্রায়শ্চিত্ত সাধনকারী রক্তের দ্বারা আপনাকে ধৌত হইবার প্রয়োজন রহিয়াছে!

বক্তৃতার সমাপ্তি
ইন্টারনেটে www.realconversion.com. প্রতি সপ্তাহে আপনি ডাঃ হাইমারের বক্তৃতা
পড়িতে পারেন। ক্লিক করুন “বাংলায় বক্তৃতা”

You may email Dr. Hymers at rlhymersjr@sbcglobal.net, (Click Here) – or you may
write to him at P.O. Box 15308, Los Angeles, CA 90015. Or phone him at (818)352-0452.

বক্তৃতার পূর্বে ডঃ ক্রিগটন এল. চ্যান দ্বারা প্রার্থনা
বক্তৃতার পূর্বে একক গান মিঃ বেঞ্জামিন কে. গ্রিফীথ দ্বারা:
“অ্যামেজিং গ্রেস” (জন নিউটন,১৭২৫-১৮০৭).


প্রকৃত মন পরিবর্তনের রুপরেখা

প্রকৃত ভাবে মন ফেরানো-২০১০ প্রকাশন

ডঃ আর এল হাইমার্স (জুনিয়র)

“আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, তোমরা যদি না ফির ও শিশুদের ন্যায় না হইয়া উঠ তবে কোন মতে স্বর্গরাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে না"। (ম্যাথু ১৮ঃ৩)

১. প্রথমতঃ, মন ফিরানোর থেকে আপনি বরং
মন্ডলীতে আসিতে থাকেন অন্য কোন উদ্দেশ্য লইয়া।

২. দ্বিতীয়তঃ আপনি জানিতে শুরু করেন যে সেখানে সত্য সত্যই এক ঈশ্বর আছেন।
(হিব্রুজ ১১ঃ৬)

৩. তৃতীয়তঃ আপনি উপলব্ধি করিতে পারেন যে আপনার পাপের দ্বারা
ঈশ্বরকে আপনি অসন্তুষ্ট ও ক্রোধিত করিয়াছেন।
রোমানস ৮ঃ৮; রোমানস ২ঃ৫; গীতসংহিতা ৭ঃ১১)

৪. চতুর্থতঃ আপনি ঈশ্বরের পুত্র যীশুখৃষ্টের কাছে উপস্থিত হোন
(কোলসিনাস ৩ঃ১-২)